ইশতিয়াক হাসান

বান্দরবান। সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে পৌঁছাতে তখনো বেশ খানিকটা বাকি। বড় মোদকের কাছাকাছি জায়গাটি। সাঙ্গু নদী ধরে চলছে আমাদের নৌকা। সালটা ২০১১। হঠাৎই এক অদ্ভুত জায়গায় চলে এলাম। চারদিকে সুনসান, নেই মানুষের আনাগোনা, কেবল পাখি আর পোকামাকড়ের শব্দ। নৌকা দাঁড় করতে বললাম মাঝিদের। নদীর মাঝখানে বড় একটা পাথুরে জায়গা জেগে দ্বীপের মতো। সেখানে আয়েশ করে বসলাম।
নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। একটা বানর মজা করে মারফা খাচ্ছে কৃষকের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে। মারফাখেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর। পাহাড়–অরণ্যে দীর্ঘ ঘোরাঘুরিতে ওই একবারই আড়ালে থাকতে পছন্দ করা জন্তুটিকে দেখার সৌভাগ্য হয়।
এ তো গেল প্রথম ও একমাত্র সাক্ষাতের গল্প। এবার বরং ঢোল জন্তুটি কী, তা একটু জেনে নেওয়া যাক। একধরনের বন্য কেনিড এরা। বৈজ্ঞানিক নাম কুয়ন আলপিনাস। লালচে রঙের এই জন্তু মূলত মধ্য, পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অরণ্যে ঘুরে বেড়ায়। এই এলাকার গভীর জঙ্গলের বাতাস প্রায়ই আলোড়িত হয় এদের শিস, চিৎকারে; সম্বার, বুনো শূকরের মতো প্রাণীদের আত্মা কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যা যথেষ্ট। বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোয় এদের আছে নানা নাম। যেমন শিস দেওয়া কুকুর, লাল নেকড়ে, রাম কুত্তা। ইংরেজি নাম এশিয়ান ওয়াইল্ড ডগ। আইইউসিএনের তথ্য অনুয়ায়ী, দুনিয়ায় মুক্তভাবে বিচরণ করা ঢোলের সংখ্যা ৯৪৯ থেকে ২ হাজার ২১৫, যা বুনো পরিবেশে টিকে থাকা বাঘের সংখ্যা থেকেও কম। কিন্তু তার পরও সাধারণ মানুষ তো বটেই, সংরক্ষণবিদ ও গবেষকদের কাছেও অনেকটা অচ্ছুত এরা।
এবার বুনো কুকুরের আরেকটি মজার বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সালটা ২০০৪–০৫। বেড়াতে গিয়েছি সীতাকুণ্ডের ইকো পার্কে। তখন আলাপ জমল এক বিট কর্মকর্তা ও কয়েকজন বনকর্মীর সঙ্গে। কথায় কথায় তাঁরা জানালেন এক অদ্ভুত ঘটনা। আহত এক মায়া হরিণকে উদ্ধার করে একটি খাঁচায় রাখা হয়েছিল পার্কের ভেতরে। রাতে অতর্কিতে হামলা চালায় ঢোল বা বন্য কুকুরদের একটা দল। সীতাকুণ্ডে ঢোল আছে এটা শুনে তখন অবাক হয়েছিলাম। তারপর তাঁরা দিলেন আরেক আশ্চর্য তথ্য। ঢোলরা নাকি চোখে প্রস্রাব ছুড়ে সাময়িক অন্ধ করে দেয় শিকারকে। তখন কথাটা ঠিক হজম করতে পারিনি, তবে পরে বিখ্যাত শিকারি, অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি লেখক এবং পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক এন্ডারসনের বইয়েও পেয়েছিলাম একই ধরনের বর্ণনা। সীতাকুণ্ডের ওই সফরের পর থেকেই বন্য কুকুরের প্রতি আগ্রহের শুরু। অবশ্য এরও কয়েক বছর আগে পত্রিকায় একটা খবর দেখেছিলাম, স্পষ্ট মনে আছ আজও। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া কিংবা সাতকানিয়ার দিকে পাহাড় কাটা শ্রমিকেরা ঢোলের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। যত দূর জানি, এখনো সীতাকুণ্ড–মিরসরাইয়ের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় ঢোল বা বন্য কুকুরেরা। কদিন আগেই ইকো পার্কটির দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই এ বিষয়ে।
তবে তুখোড় শিকারি হলেও গায়ে–গতরে এদের মোটেই বিশাল বলা যাবে না। আকারে অস্বাভাবিক রকম ছোট। ওজন কেবল ১২ থেকে ২০ কেজি, যা নেকড়ের চেয়ে অনেক কম, অনেকটা মাঝারি আকারের কুকুরের সমান।
ঢোলদের শিকারের ক্ষমতা নির্ভর করে দলের সদস্যসংখ্যা ও পরিস্থিতির ওপর। সাধারণ এক–একটি দলে ৫ থেকে ১৫টি ঢোল থাকে। কোনো কোনো গবেষণায় চল্লিশটি, এমনকি এক শটি পর্যন্ত সদস্যের দলের কথাও শোনা যায়। শিকারে ঢোলরা নানা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। কখনো কখনো ছোট দল পাঠায় স্কাউট করার জন্য। তবে সফল হলে মোটেই শিকারকে গলায় কামড়ে ধরে মারে না বাঘ বা চিতা বাঘের মতো। বরং ধরাশায়ী করে সরাসরি খেতে শুরু করে। এমনকি জীবন্ত অবস্থায় শিকারের চারপাশ থেকে ঘিরে আক্রমণ করে খাবলা–খাবলা মাংস তুলে নেওয়ার বিবরণও পাওয়া যায়। তবে ঢোলদের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য পাওয়া মুশকিল। কারণ, এদের দেখা পাওয়া ভার। চেহারাও এমন যে একটি থেকে আরেকটিকে, এমনকি স্ত্রী–পুরুষ আলাদা করাও মুশকিল।
বাঘের মতো পরাক্রমশালী প্রাণীকে হার মানিয়ে দেওয়ার রেকর্ড আছে ঢোলের। বিখ্যাত শিকারি অ্যান্ডারসনের বইয়ে এ রকম অন্তত দুটো ঘটনার বিবরণ আছে। এর মধ্যে একবার পরের দিন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় কেবল বাঘটার কিছু চামড়ার টুকরো। বুনো কুকুরের দলটি বাঘটিকে কোণঠাসা করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। ১৮০৭ সালের এক পেইন্টিংও কিন্তু এ ধরনের ঘটনাকেই সমর্থন করে, সেখানে এক দল ঢোলকে দেখা যায় একটি বাঘকে তাড়া করতে।
ঢোলদের কথা পাওয়া যায় আরও অনেক শিকারি ও অ্যাডভেঞ্চারের বইয়েও। এদের একজন এ মারভিন স্মিথ। বিশালদেহী বুনো মোষ আর সাম্বারদের ধরাশায়ী করার কাহিনি বর্ণনা করেছেন তিনি। এমনকি এক বন্ধু দুটো ঢোলের বাচ্চা পোষার ঘটনারও বিবরণ দিয়েছেন। ওগুলোর গায়ে এমন গন্ধ ছিল যে, বহুবার ধুয়েও গন্ধ দূর করা সম্ভব হয়নি। একটাকে পেলেপুষে বড় করলেও বুনো স্বভাব পুরোপুরি যায়নি। এমনকি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ওটাও পালিয়ে যায়।
যেসব এলাকায় বাঘ বা চিতা বাঘের সঙ্গে একত্রে বাস করতে হয়, সেখানে টিকে থাকার একটি সূত্র আছে ঢোলদের। তারা অরণ্যের পরাক্রমশালী ওই প্রাণীদের তুলনায় অন্য ধরনের শিকার বেছে নেয়। কখনো কখনো সরাসরি প্রতিযোগিতাও হয়। এমনকি বাঘের আক্রমণে ঢোল মারা যাওয়ার কিংবা চিতা বাঘের আক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনাও শোনা যায়।
বাঘ–চিতার সঙ্গে লড়াই করে হয়তো টিকে থাকা সম্ভব, তবে সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু মানুষের হাত থেকে বাঁচা কঠিন। বন ধ্বংসের পাশাপাশি এদের শিকার কমে যাওয়াও একটা সমস্যা। ঢোল কোনো গবাদিপশু মারলে মালিক ওই পশুটার শরীরে বিষ মাখিয়ে রাখে। এতে একবারে গোটা একটা ঢোলের দলও নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। এভাবে অবশ্য বাঘ, চিতা কিংবা শকুনও মারে জঙ্গল এলাকার আশপাশে বসবাস করা অধিবাসীরা। এ ধরনের বিষ মাখিয়ে ঢোল বা চিতা বাঘ হত্যার কথা শোনা যায় বাংলাদেশেও।
গত দশ বছরে ঢোলের বিচরণের এলাকা অন্তত ৫০ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেন গবেষকেরা। তবে ঢোলদের গতিবিধি অনুসরণ করা মুশকিল। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে খুব দুর্গম এলাকায় বাস ঢোলদের। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল কিংবা ভুটানের সাধারণ বনে এদের আবাস থাকলেও নিজেদের জাহির করার অভ্যাস নেই মোটেই।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শিকারি প্রাণী হওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলে এদের দারুণ ভূমিকা রয়েছে। ওখানকার কোনো কোনো এলাকা থেকে বাঘ বিদায় নেওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলের ওপরে উঠে এসেছে ঢোল। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও তাই দারুণ ভূমিকা এদের। আর আশ্চর্যজনক হলেও মানুষকে আক্রমণ করার প্রবণতা এদের একেবারেই কম।
চুনারুঘাটের তরাপ হিলে অবস্থিত কালেঙ্গার অরণ্যে বন্য কুকুরের গল্প শুনেছে অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়েও এই অরণ্যে ঢোলের আক্রমণের খবর মিলেছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অনেক বনেই টিকে আছে এই ধূর্ত প্রাণীরা। হালকা-পাতলা গড়ন ও সাবধানী চলাফেরার কারণে লোকচক্ষুর অনেকটাই আড়ালে থাকে এরা। আবার হরিণ কিংবা বিড়াল গোত্রের প্রাণীদের মতো এদের প্রতি চোরা শিকারিদের আগ্রহ কম থাকাও একটা বড় কারণ।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের বসানো ক্যামেরা ট্র্যাপে বান্দরবানের সাঙ্গু রিজার্ভে ধরা পড়েছে ঢোলের একাধিক ছবি। এমনকি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ছোট্ট এক বন সাতছড়িতেও সন্ধান মিলেছে এদের। ভারতের বারোমুরা হিলের সবচেয়ে উত্তর-পুবের সীমানায় অবস্থান রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্টের অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এখানেই ক্যামেরা ট্র্যাপে ঢোলদের বন্দী করেছেন তিন গবেষক তানিয়া জাকির, হারিশ দেববর্মা ও মুনতাসির আকাশ।
বন বিভাগে চাকরি করা মাহফুজুল হক রাঙামাটি-বান্দরবানে কয়েকবারই ঢোল দেখার কথা বলেছিলেন। কাসালং সংরক্ষিত বনেও এরা আছে। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমার কাছ থেকে শুনেছি, এখনো দুর্গ পাড়ার বাসিন্দাদের গবাদিপশু মারা পড়ার ঘটনা ঘটে ঢোলের আক্রমণে।
প্রকৃতিপ্রেমী মইনুল ইসলাম কাপ্তাইয়ে থাকতেন বাবার চাকরি সূত্রে, সেটা অন্তত বছর তিরিশেক আগের কথা। জানালেন, তখন নৌবাহিনীর এলাকায় বুনো কুকুরের অনেক বড় একটা দল দেখতেন প্রায়ই। কাপ্তাইয়ের ঢোলের ওই দলের বংশধরেরা কী এখনো মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে কাপ্তাইয়ের বন–পাহাড়ে? নাকি আরও অনেক বন্যপ্রাণীর মতো মানুষের হিংস্রতার বলি হয়ে তারা আস্তানা পাল্টেছে কিংবা হারিয়েই গেছে।
আরও পড়ুন

বান্দরবান। সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে পৌঁছাতে তখনো বেশ খানিকটা বাকি। বড় মোদকের কাছাকাছি জায়গাটি। সাঙ্গু নদী ধরে চলছে আমাদের নৌকা। সালটা ২০১১। হঠাৎই এক অদ্ভুত জায়গায় চলে এলাম। চারদিকে সুনসান, নেই মানুষের আনাগোনা, কেবল পাখি আর পোকামাকড়ের শব্দ। নৌকা দাঁড় করতে বললাম মাঝিদের। নদীর মাঝখানে বড় একটা পাথুরে জায়গা জেগে দ্বীপের মতো। সেখানে আয়েশ করে বসলাম।
নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। একটা বানর মজা করে মারফা খাচ্ছে কৃষকের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে। মারফাখেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর। পাহাড়–অরণ্যে দীর্ঘ ঘোরাঘুরিতে ওই একবারই আড়ালে থাকতে পছন্দ করা জন্তুটিকে দেখার সৌভাগ্য হয়।
এ তো গেল প্রথম ও একমাত্র সাক্ষাতের গল্প। এবার বরং ঢোল জন্তুটি কী, তা একটু জেনে নেওয়া যাক। একধরনের বন্য কেনিড এরা। বৈজ্ঞানিক নাম কুয়ন আলপিনাস। লালচে রঙের এই জন্তু মূলত মধ্য, পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অরণ্যে ঘুরে বেড়ায়। এই এলাকার গভীর জঙ্গলের বাতাস প্রায়ই আলোড়িত হয় এদের শিস, চিৎকারে; সম্বার, বুনো শূকরের মতো প্রাণীদের আত্মা কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যা যথেষ্ট। বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোয় এদের আছে নানা নাম। যেমন শিস দেওয়া কুকুর, লাল নেকড়ে, রাম কুত্তা। ইংরেজি নাম এশিয়ান ওয়াইল্ড ডগ। আইইউসিএনের তথ্য অনুয়ায়ী, দুনিয়ায় মুক্তভাবে বিচরণ করা ঢোলের সংখ্যা ৯৪৯ থেকে ২ হাজার ২১৫, যা বুনো পরিবেশে টিকে থাকা বাঘের সংখ্যা থেকেও কম। কিন্তু তার পরও সাধারণ মানুষ তো বটেই, সংরক্ষণবিদ ও গবেষকদের কাছেও অনেকটা অচ্ছুত এরা।
এবার বুনো কুকুরের আরেকটি মজার বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সালটা ২০০৪–০৫। বেড়াতে গিয়েছি সীতাকুণ্ডের ইকো পার্কে। তখন আলাপ জমল এক বিট কর্মকর্তা ও কয়েকজন বনকর্মীর সঙ্গে। কথায় কথায় তাঁরা জানালেন এক অদ্ভুত ঘটনা। আহত এক মায়া হরিণকে উদ্ধার করে একটি খাঁচায় রাখা হয়েছিল পার্কের ভেতরে। রাতে অতর্কিতে হামলা চালায় ঢোল বা বন্য কুকুরদের একটা দল। সীতাকুণ্ডে ঢোল আছে এটা শুনে তখন অবাক হয়েছিলাম। তারপর তাঁরা দিলেন আরেক আশ্চর্য তথ্য। ঢোলরা নাকি চোখে প্রস্রাব ছুড়ে সাময়িক অন্ধ করে দেয় শিকারকে। তখন কথাটা ঠিক হজম করতে পারিনি, তবে পরে বিখ্যাত শিকারি, অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি লেখক এবং পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক এন্ডারসনের বইয়েও পেয়েছিলাম একই ধরনের বর্ণনা। সীতাকুণ্ডের ওই সফরের পর থেকেই বন্য কুকুরের প্রতি আগ্রহের শুরু। অবশ্য এরও কয়েক বছর আগে পত্রিকায় একটা খবর দেখেছিলাম, স্পষ্ট মনে আছ আজও। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া কিংবা সাতকানিয়ার দিকে পাহাড় কাটা শ্রমিকেরা ঢোলের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। যত দূর জানি, এখনো সীতাকুণ্ড–মিরসরাইয়ের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় ঢোল বা বন্য কুকুরেরা। কদিন আগেই ইকো পার্কটির দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই এ বিষয়ে।
তবে তুখোড় শিকারি হলেও গায়ে–গতরে এদের মোটেই বিশাল বলা যাবে না। আকারে অস্বাভাবিক রকম ছোট। ওজন কেবল ১২ থেকে ২০ কেজি, যা নেকড়ের চেয়ে অনেক কম, অনেকটা মাঝারি আকারের কুকুরের সমান।
ঢোলদের শিকারের ক্ষমতা নির্ভর করে দলের সদস্যসংখ্যা ও পরিস্থিতির ওপর। সাধারণ এক–একটি দলে ৫ থেকে ১৫টি ঢোল থাকে। কোনো কোনো গবেষণায় চল্লিশটি, এমনকি এক শটি পর্যন্ত সদস্যের দলের কথাও শোনা যায়। শিকারে ঢোলরা নানা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। কখনো কখনো ছোট দল পাঠায় স্কাউট করার জন্য। তবে সফল হলে মোটেই শিকারকে গলায় কামড়ে ধরে মারে না বাঘ বা চিতা বাঘের মতো। বরং ধরাশায়ী করে সরাসরি খেতে শুরু করে। এমনকি জীবন্ত অবস্থায় শিকারের চারপাশ থেকে ঘিরে আক্রমণ করে খাবলা–খাবলা মাংস তুলে নেওয়ার বিবরণও পাওয়া যায়। তবে ঢোলদের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য পাওয়া মুশকিল। কারণ, এদের দেখা পাওয়া ভার। চেহারাও এমন যে একটি থেকে আরেকটিকে, এমনকি স্ত্রী–পুরুষ আলাদা করাও মুশকিল।
বাঘের মতো পরাক্রমশালী প্রাণীকে হার মানিয়ে দেওয়ার রেকর্ড আছে ঢোলের। বিখ্যাত শিকারি অ্যান্ডারসনের বইয়ে এ রকম অন্তত দুটো ঘটনার বিবরণ আছে। এর মধ্যে একবার পরের দিন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় কেবল বাঘটার কিছু চামড়ার টুকরো। বুনো কুকুরের দলটি বাঘটিকে কোণঠাসা করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। ১৮০৭ সালের এক পেইন্টিংও কিন্তু এ ধরনের ঘটনাকেই সমর্থন করে, সেখানে এক দল ঢোলকে দেখা যায় একটি বাঘকে তাড়া করতে।
ঢোলদের কথা পাওয়া যায় আরও অনেক শিকারি ও অ্যাডভেঞ্চারের বইয়েও। এদের একজন এ মারভিন স্মিথ। বিশালদেহী বুনো মোষ আর সাম্বারদের ধরাশায়ী করার কাহিনি বর্ণনা করেছেন তিনি। এমনকি এক বন্ধু দুটো ঢোলের বাচ্চা পোষার ঘটনারও বিবরণ দিয়েছেন। ওগুলোর গায়ে এমন গন্ধ ছিল যে, বহুবার ধুয়েও গন্ধ দূর করা সম্ভব হয়নি। একটাকে পেলেপুষে বড় করলেও বুনো স্বভাব পুরোপুরি যায়নি। এমনকি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ওটাও পালিয়ে যায়।
যেসব এলাকায় বাঘ বা চিতা বাঘের সঙ্গে একত্রে বাস করতে হয়, সেখানে টিকে থাকার একটি সূত্র আছে ঢোলদের। তারা অরণ্যের পরাক্রমশালী ওই প্রাণীদের তুলনায় অন্য ধরনের শিকার বেছে নেয়। কখনো কখনো সরাসরি প্রতিযোগিতাও হয়। এমনকি বাঘের আক্রমণে ঢোল মারা যাওয়ার কিংবা চিতা বাঘের আক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনাও শোনা যায়।
বাঘ–চিতার সঙ্গে লড়াই করে হয়তো টিকে থাকা সম্ভব, তবে সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু মানুষের হাত থেকে বাঁচা কঠিন। বন ধ্বংসের পাশাপাশি এদের শিকার কমে যাওয়াও একটা সমস্যা। ঢোল কোনো গবাদিপশু মারলে মালিক ওই পশুটার শরীরে বিষ মাখিয়ে রাখে। এতে একবারে গোটা একটা ঢোলের দলও নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। এভাবে অবশ্য বাঘ, চিতা কিংবা শকুনও মারে জঙ্গল এলাকার আশপাশে বসবাস করা অধিবাসীরা। এ ধরনের বিষ মাখিয়ে ঢোল বা চিতা বাঘ হত্যার কথা শোনা যায় বাংলাদেশেও।
গত দশ বছরে ঢোলের বিচরণের এলাকা অন্তত ৫০ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেন গবেষকেরা। তবে ঢোলদের গতিবিধি অনুসরণ করা মুশকিল। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে খুব দুর্গম এলাকায় বাস ঢোলদের। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল কিংবা ভুটানের সাধারণ বনে এদের আবাস থাকলেও নিজেদের জাহির করার অভ্যাস নেই মোটেই।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শিকারি প্রাণী হওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলে এদের দারুণ ভূমিকা রয়েছে। ওখানকার কোনো কোনো এলাকা থেকে বাঘ বিদায় নেওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলের ওপরে উঠে এসেছে ঢোল। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও তাই দারুণ ভূমিকা এদের। আর আশ্চর্যজনক হলেও মানুষকে আক্রমণ করার প্রবণতা এদের একেবারেই কম।
চুনারুঘাটের তরাপ হিলে অবস্থিত কালেঙ্গার অরণ্যে বন্য কুকুরের গল্প শুনেছে অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়েও এই অরণ্যে ঢোলের আক্রমণের খবর মিলেছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অনেক বনেই টিকে আছে এই ধূর্ত প্রাণীরা। হালকা-পাতলা গড়ন ও সাবধানী চলাফেরার কারণে লোকচক্ষুর অনেকটাই আড়ালে থাকে এরা। আবার হরিণ কিংবা বিড়াল গোত্রের প্রাণীদের মতো এদের প্রতি চোরা শিকারিদের আগ্রহ কম থাকাও একটা বড় কারণ।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের বসানো ক্যামেরা ট্র্যাপে বান্দরবানের সাঙ্গু রিজার্ভে ধরা পড়েছে ঢোলের একাধিক ছবি। এমনকি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ছোট্ট এক বন সাতছড়িতেও সন্ধান মিলেছে এদের। ভারতের বারোমুরা হিলের সবচেয়ে উত্তর-পুবের সীমানায় অবস্থান রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্টের অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এখানেই ক্যামেরা ট্র্যাপে ঢোলদের বন্দী করেছেন তিন গবেষক তানিয়া জাকির, হারিশ দেববর্মা ও মুনতাসির আকাশ।
বন বিভাগে চাকরি করা মাহফুজুল হক রাঙামাটি-বান্দরবানে কয়েকবারই ঢোল দেখার কথা বলেছিলেন। কাসালং সংরক্ষিত বনেও এরা আছে। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমার কাছ থেকে শুনেছি, এখনো দুর্গ পাড়ার বাসিন্দাদের গবাদিপশু মারা পড়ার ঘটনা ঘটে ঢোলের আক্রমণে।
প্রকৃতিপ্রেমী মইনুল ইসলাম কাপ্তাইয়ে থাকতেন বাবার চাকরি সূত্রে, সেটা অন্তত বছর তিরিশেক আগের কথা। জানালেন, তখন নৌবাহিনীর এলাকায় বুনো কুকুরের অনেক বড় একটা দল দেখতেন প্রায়ই। কাপ্তাইয়ের ঢোলের ওই দলের বংশধরেরা কী এখনো মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে কাপ্তাইয়ের বন–পাহাড়ে? নাকি আরও অনেক বন্যপ্রাণীর মতো মানুষের হিংস্রতার বলি হয়ে তারা আস্তানা পাল্টেছে কিংবা হারিয়েই গেছে।
আরও পড়ুন
ইশতিয়াক হাসান

বান্দরবান। সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে পৌঁছাতে তখনো বেশ খানিকটা বাকি। বড় মোদকের কাছাকাছি জায়গাটি। সাঙ্গু নদী ধরে চলছে আমাদের নৌকা। সালটা ২০১১। হঠাৎই এক অদ্ভুত জায়গায় চলে এলাম। চারদিকে সুনসান, নেই মানুষের আনাগোনা, কেবল পাখি আর পোকামাকড়ের শব্দ। নৌকা দাঁড় করতে বললাম মাঝিদের। নদীর মাঝখানে বড় একটা পাথুরে জায়গা জেগে দ্বীপের মতো। সেখানে আয়েশ করে বসলাম।
নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। একটা বানর মজা করে মারফা খাচ্ছে কৃষকের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে। মারফাখেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর। পাহাড়–অরণ্যে দীর্ঘ ঘোরাঘুরিতে ওই একবারই আড়ালে থাকতে পছন্দ করা জন্তুটিকে দেখার সৌভাগ্য হয়।
এ তো গেল প্রথম ও একমাত্র সাক্ষাতের গল্প। এবার বরং ঢোল জন্তুটি কী, তা একটু জেনে নেওয়া যাক। একধরনের বন্য কেনিড এরা। বৈজ্ঞানিক নাম কুয়ন আলপিনাস। লালচে রঙের এই জন্তু মূলত মধ্য, পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অরণ্যে ঘুরে বেড়ায়। এই এলাকার গভীর জঙ্গলের বাতাস প্রায়ই আলোড়িত হয় এদের শিস, চিৎকারে; সম্বার, বুনো শূকরের মতো প্রাণীদের আত্মা কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যা যথেষ্ট। বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোয় এদের আছে নানা নাম। যেমন শিস দেওয়া কুকুর, লাল নেকড়ে, রাম কুত্তা। ইংরেজি নাম এশিয়ান ওয়াইল্ড ডগ। আইইউসিএনের তথ্য অনুয়ায়ী, দুনিয়ায় মুক্তভাবে বিচরণ করা ঢোলের সংখ্যা ৯৪৯ থেকে ২ হাজার ২১৫, যা বুনো পরিবেশে টিকে থাকা বাঘের সংখ্যা থেকেও কম। কিন্তু তার পরও সাধারণ মানুষ তো বটেই, সংরক্ষণবিদ ও গবেষকদের কাছেও অনেকটা অচ্ছুত এরা।
এবার বুনো কুকুরের আরেকটি মজার বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সালটা ২০০৪–০৫। বেড়াতে গিয়েছি সীতাকুণ্ডের ইকো পার্কে। তখন আলাপ জমল এক বিট কর্মকর্তা ও কয়েকজন বনকর্মীর সঙ্গে। কথায় কথায় তাঁরা জানালেন এক অদ্ভুত ঘটনা। আহত এক মায়া হরিণকে উদ্ধার করে একটি খাঁচায় রাখা হয়েছিল পার্কের ভেতরে। রাতে অতর্কিতে হামলা চালায় ঢোল বা বন্য কুকুরদের একটা দল। সীতাকুণ্ডে ঢোল আছে এটা শুনে তখন অবাক হয়েছিলাম। তারপর তাঁরা দিলেন আরেক আশ্চর্য তথ্য। ঢোলরা নাকি চোখে প্রস্রাব ছুড়ে সাময়িক অন্ধ করে দেয় শিকারকে। তখন কথাটা ঠিক হজম করতে পারিনি, তবে পরে বিখ্যাত শিকারি, অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি লেখক এবং পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক এন্ডারসনের বইয়েও পেয়েছিলাম একই ধরনের বর্ণনা। সীতাকুণ্ডের ওই সফরের পর থেকেই বন্য কুকুরের প্রতি আগ্রহের শুরু। অবশ্য এরও কয়েক বছর আগে পত্রিকায় একটা খবর দেখেছিলাম, স্পষ্ট মনে আছ আজও। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া কিংবা সাতকানিয়ার দিকে পাহাড় কাটা শ্রমিকেরা ঢোলের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। যত দূর জানি, এখনো সীতাকুণ্ড–মিরসরাইয়ের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় ঢোল বা বন্য কুকুরেরা। কদিন আগেই ইকো পার্কটির দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই এ বিষয়ে।
তবে তুখোড় শিকারি হলেও গায়ে–গতরে এদের মোটেই বিশাল বলা যাবে না। আকারে অস্বাভাবিক রকম ছোট। ওজন কেবল ১২ থেকে ২০ কেজি, যা নেকড়ের চেয়ে অনেক কম, অনেকটা মাঝারি আকারের কুকুরের সমান।
ঢোলদের শিকারের ক্ষমতা নির্ভর করে দলের সদস্যসংখ্যা ও পরিস্থিতির ওপর। সাধারণ এক–একটি দলে ৫ থেকে ১৫টি ঢোল থাকে। কোনো কোনো গবেষণায় চল্লিশটি, এমনকি এক শটি পর্যন্ত সদস্যের দলের কথাও শোনা যায়। শিকারে ঢোলরা নানা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। কখনো কখনো ছোট দল পাঠায় স্কাউট করার জন্য। তবে সফল হলে মোটেই শিকারকে গলায় কামড়ে ধরে মারে না বাঘ বা চিতা বাঘের মতো। বরং ধরাশায়ী করে সরাসরি খেতে শুরু করে। এমনকি জীবন্ত অবস্থায় শিকারের চারপাশ থেকে ঘিরে আক্রমণ করে খাবলা–খাবলা মাংস তুলে নেওয়ার বিবরণও পাওয়া যায়। তবে ঢোলদের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য পাওয়া মুশকিল। কারণ, এদের দেখা পাওয়া ভার। চেহারাও এমন যে একটি থেকে আরেকটিকে, এমনকি স্ত্রী–পুরুষ আলাদা করাও মুশকিল।
বাঘের মতো পরাক্রমশালী প্রাণীকে হার মানিয়ে দেওয়ার রেকর্ড আছে ঢোলের। বিখ্যাত শিকারি অ্যান্ডারসনের বইয়ে এ রকম অন্তত দুটো ঘটনার বিবরণ আছে। এর মধ্যে একবার পরের দিন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় কেবল বাঘটার কিছু চামড়ার টুকরো। বুনো কুকুরের দলটি বাঘটিকে কোণঠাসা করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। ১৮০৭ সালের এক পেইন্টিংও কিন্তু এ ধরনের ঘটনাকেই সমর্থন করে, সেখানে এক দল ঢোলকে দেখা যায় একটি বাঘকে তাড়া করতে।
ঢোলদের কথা পাওয়া যায় আরও অনেক শিকারি ও অ্যাডভেঞ্চারের বইয়েও। এদের একজন এ মারভিন স্মিথ। বিশালদেহী বুনো মোষ আর সাম্বারদের ধরাশায়ী করার কাহিনি বর্ণনা করেছেন তিনি। এমনকি এক বন্ধু দুটো ঢোলের বাচ্চা পোষার ঘটনারও বিবরণ দিয়েছেন। ওগুলোর গায়ে এমন গন্ধ ছিল যে, বহুবার ধুয়েও গন্ধ দূর করা সম্ভব হয়নি। একটাকে পেলেপুষে বড় করলেও বুনো স্বভাব পুরোপুরি যায়নি। এমনকি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ওটাও পালিয়ে যায়।
যেসব এলাকায় বাঘ বা চিতা বাঘের সঙ্গে একত্রে বাস করতে হয়, সেখানে টিকে থাকার একটি সূত্র আছে ঢোলদের। তারা অরণ্যের পরাক্রমশালী ওই প্রাণীদের তুলনায় অন্য ধরনের শিকার বেছে নেয়। কখনো কখনো সরাসরি প্রতিযোগিতাও হয়। এমনকি বাঘের আক্রমণে ঢোল মারা যাওয়ার কিংবা চিতা বাঘের আক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনাও শোনা যায়।
বাঘ–চিতার সঙ্গে লড়াই করে হয়তো টিকে থাকা সম্ভব, তবে সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু মানুষের হাত থেকে বাঁচা কঠিন। বন ধ্বংসের পাশাপাশি এদের শিকার কমে যাওয়াও একটা সমস্যা। ঢোল কোনো গবাদিপশু মারলে মালিক ওই পশুটার শরীরে বিষ মাখিয়ে রাখে। এতে একবারে গোটা একটা ঢোলের দলও নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। এভাবে অবশ্য বাঘ, চিতা কিংবা শকুনও মারে জঙ্গল এলাকার আশপাশে বসবাস করা অধিবাসীরা। এ ধরনের বিষ মাখিয়ে ঢোল বা চিতা বাঘ হত্যার কথা শোনা যায় বাংলাদেশেও।
গত দশ বছরে ঢোলের বিচরণের এলাকা অন্তত ৫০ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেন গবেষকেরা। তবে ঢোলদের গতিবিধি অনুসরণ করা মুশকিল। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে খুব দুর্গম এলাকায় বাস ঢোলদের। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল কিংবা ভুটানের সাধারণ বনে এদের আবাস থাকলেও নিজেদের জাহির করার অভ্যাস নেই মোটেই।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শিকারি প্রাণী হওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলে এদের দারুণ ভূমিকা রয়েছে। ওখানকার কোনো কোনো এলাকা থেকে বাঘ বিদায় নেওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলের ওপরে উঠে এসেছে ঢোল। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও তাই দারুণ ভূমিকা এদের। আর আশ্চর্যজনক হলেও মানুষকে আক্রমণ করার প্রবণতা এদের একেবারেই কম।
চুনারুঘাটের তরাপ হিলে অবস্থিত কালেঙ্গার অরণ্যে বন্য কুকুরের গল্প শুনেছে অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়েও এই অরণ্যে ঢোলের আক্রমণের খবর মিলেছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অনেক বনেই টিকে আছে এই ধূর্ত প্রাণীরা। হালকা-পাতলা গড়ন ও সাবধানী চলাফেরার কারণে লোকচক্ষুর অনেকটাই আড়ালে থাকে এরা। আবার হরিণ কিংবা বিড়াল গোত্রের প্রাণীদের মতো এদের প্রতি চোরা শিকারিদের আগ্রহ কম থাকাও একটা বড় কারণ।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের বসানো ক্যামেরা ট্র্যাপে বান্দরবানের সাঙ্গু রিজার্ভে ধরা পড়েছে ঢোলের একাধিক ছবি। এমনকি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ছোট্ট এক বন সাতছড়িতেও সন্ধান মিলেছে এদের। ভারতের বারোমুরা হিলের সবচেয়ে উত্তর-পুবের সীমানায় অবস্থান রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্টের অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এখানেই ক্যামেরা ট্র্যাপে ঢোলদের বন্দী করেছেন তিন গবেষক তানিয়া জাকির, হারিশ দেববর্মা ও মুনতাসির আকাশ।
বন বিভাগে চাকরি করা মাহফুজুল হক রাঙামাটি-বান্দরবানে কয়েকবারই ঢোল দেখার কথা বলেছিলেন। কাসালং সংরক্ষিত বনেও এরা আছে। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমার কাছ থেকে শুনেছি, এখনো দুর্গ পাড়ার বাসিন্দাদের গবাদিপশু মারা পড়ার ঘটনা ঘটে ঢোলের আক্রমণে।
প্রকৃতিপ্রেমী মইনুল ইসলাম কাপ্তাইয়ে থাকতেন বাবার চাকরি সূত্রে, সেটা অন্তত বছর তিরিশেক আগের কথা। জানালেন, তখন নৌবাহিনীর এলাকায় বুনো কুকুরের অনেক বড় একটা দল দেখতেন প্রায়ই। কাপ্তাইয়ের ঢোলের ওই দলের বংশধরেরা কী এখনো মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে কাপ্তাইয়ের বন–পাহাড়ে? নাকি আরও অনেক বন্যপ্রাণীর মতো মানুষের হিংস্রতার বলি হয়ে তারা আস্তানা পাল্টেছে কিংবা হারিয়েই গেছে।
আরও পড়ুন

বান্দরবান। সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে পৌঁছাতে তখনো বেশ খানিকটা বাকি। বড় মোদকের কাছাকাছি জায়গাটি। সাঙ্গু নদী ধরে চলছে আমাদের নৌকা। সালটা ২০১১। হঠাৎই এক অদ্ভুত জায়গায় চলে এলাম। চারদিকে সুনসান, নেই মানুষের আনাগোনা, কেবল পাখি আর পোকামাকড়ের শব্দ। নৌকা দাঁড় করতে বললাম মাঝিদের। নদীর মাঝখানে বড় একটা পাথুরে জায়গা জেগে দ্বীপের মতো। সেখানে আয়েশ করে বসলাম।
নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। একটা বানর মজা করে মারফা খাচ্ছে কৃষকের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে। মারফাখেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর। পাহাড়–অরণ্যে দীর্ঘ ঘোরাঘুরিতে ওই একবারই আড়ালে থাকতে পছন্দ করা জন্তুটিকে দেখার সৌভাগ্য হয়।
এ তো গেল প্রথম ও একমাত্র সাক্ষাতের গল্প। এবার বরং ঢোল জন্তুটি কী, তা একটু জেনে নেওয়া যাক। একধরনের বন্য কেনিড এরা। বৈজ্ঞানিক নাম কুয়ন আলপিনাস। লালচে রঙের এই জন্তু মূলত মধ্য, পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অরণ্যে ঘুরে বেড়ায়। এই এলাকার গভীর জঙ্গলের বাতাস প্রায়ই আলোড়িত হয় এদের শিস, চিৎকারে; সম্বার, বুনো শূকরের মতো প্রাণীদের আত্মা কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যা যথেষ্ট। বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোয় এদের আছে নানা নাম। যেমন শিস দেওয়া কুকুর, লাল নেকড়ে, রাম কুত্তা। ইংরেজি নাম এশিয়ান ওয়াইল্ড ডগ। আইইউসিএনের তথ্য অনুয়ায়ী, দুনিয়ায় মুক্তভাবে বিচরণ করা ঢোলের সংখ্যা ৯৪৯ থেকে ২ হাজার ২১৫, যা বুনো পরিবেশে টিকে থাকা বাঘের সংখ্যা থেকেও কম। কিন্তু তার পরও সাধারণ মানুষ তো বটেই, সংরক্ষণবিদ ও গবেষকদের কাছেও অনেকটা অচ্ছুত এরা।
এবার বুনো কুকুরের আরেকটি মজার বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সালটা ২০০৪–০৫। বেড়াতে গিয়েছি সীতাকুণ্ডের ইকো পার্কে। তখন আলাপ জমল এক বিট কর্মকর্তা ও কয়েকজন বনকর্মীর সঙ্গে। কথায় কথায় তাঁরা জানালেন এক অদ্ভুত ঘটনা। আহত এক মায়া হরিণকে উদ্ধার করে একটি খাঁচায় রাখা হয়েছিল পার্কের ভেতরে। রাতে অতর্কিতে হামলা চালায় ঢোল বা বন্য কুকুরদের একটা দল। সীতাকুণ্ডে ঢোল আছে এটা শুনে তখন অবাক হয়েছিলাম। তারপর তাঁরা দিলেন আরেক আশ্চর্য তথ্য। ঢোলরা নাকি চোখে প্রস্রাব ছুড়ে সাময়িক অন্ধ করে দেয় শিকারকে। তখন কথাটা ঠিক হজম করতে পারিনি, তবে পরে বিখ্যাত শিকারি, অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি লেখক এবং পরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক এন্ডারসনের বইয়েও পেয়েছিলাম একই ধরনের বর্ণনা। সীতাকুণ্ডের ওই সফরের পর থেকেই বন্য কুকুরের প্রতি আগ্রহের শুরু। অবশ্য এরও কয়েক বছর আগে পত্রিকায় একটা খবর দেখেছিলাম, স্পষ্ট মনে আছ আজও। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া কিংবা সাতকানিয়ার দিকে পাহাড় কাটা শ্রমিকেরা ঢোলের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। যত দূর জানি, এখনো সীতাকুণ্ড–মিরসরাইয়ের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় ঢোল বা বন্য কুকুরেরা। কদিন আগেই ইকো পার্কটির দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই এ বিষয়ে।
তবে তুখোড় শিকারি হলেও গায়ে–গতরে এদের মোটেই বিশাল বলা যাবে না। আকারে অস্বাভাবিক রকম ছোট। ওজন কেবল ১২ থেকে ২০ কেজি, যা নেকড়ের চেয়ে অনেক কম, অনেকটা মাঝারি আকারের কুকুরের সমান।
ঢোলদের শিকারের ক্ষমতা নির্ভর করে দলের সদস্যসংখ্যা ও পরিস্থিতির ওপর। সাধারণ এক–একটি দলে ৫ থেকে ১৫টি ঢোল থাকে। কোনো কোনো গবেষণায় চল্লিশটি, এমনকি এক শটি পর্যন্ত সদস্যের দলের কথাও শোনা যায়। শিকারে ঢোলরা নানা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। কখনো কখনো ছোট দল পাঠায় স্কাউট করার জন্য। তবে সফল হলে মোটেই শিকারকে গলায় কামড়ে ধরে মারে না বাঘ বা চিতা বাঘের মতো। বরং ধরাশায়ী করে সরাসরি খেতে শুরু করে। এমনকি জীবন্ত অবস্থায় শিকারের চারপাশ থেকে ঘিরে আক্রমণ করে খাবলা–খাবলা মাংস তুলে নেওয়ার বিবরণও পাওয়া যায়। তবে ঢোলদের ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য পাওয়া মুশকিল। কারণ, এদের দেখা পাওয়া ভার। চেহারাও এমন যে একটি থেকে আরেকটিকে, এমনকি স্ত্রী–পুরুষ আলাদা করাও মুশকিল।
বাঘের মতো পরাক্রমশালী প্রাণীকে হার মানিয়ে দেওয়ার রেকর্ড আছে ঢোলের। বিখ্যাত শিকারি অ্যান্ডারসনের বইয়ে এ রকম অন্তত দুটো ঘটনার বিবরণ আছে। এর মধ্যে একবার পরের দিন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় কেবল বাঘটার কিছু চামড়ার টুকরো। বুনো কুকুরের দলটি বাঘটিকে কোণঠাসা করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। ১৮০৭ সালের এক পেইন্টিংও কিন্তু এ ধরনের ঘটনাকেই সমর্থন করে, সেখানে এক দল ঢোলকে দেখা যায় একটি বাঘকে তাড়া করতে।
ঢোলদের কথা পাওয়া যায় আরও অনেক শিকারি ও অ্যাডভেঞ্চারের বইয়েও। এদের একজন এ মারভিন স্মিথ। বিশালদেহী বুনো মোষ আর সাম্বারদের ধরাশায়ী করার কাহিনি বর্ণনা করেছেন তিনি। এমনকি এক বন্ধু দুটো ঢোলের বাচ্চা পোষার ঘটনারও বিবরণ দিয়েছেন। ওগুলোর গায়ে এমন গন্ধ ছিল যে, বহুবার ধুয়েও গন্ধ দূর করা সম্ভব হয়নি। একটাকে পেলেপুষে বড় করলেও বুনো স্বভাব পুরোপুরি যায়নি। এমনকি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর ওটাও পালিয়ে যায়।
যেসব এলাকায় বাঘ বা চিতা বাঘের সঙ্গে একত্রে বাস করতে হয়, সেখানে টিকে থাকার একটি সূত্র আছে ঢোলদের। তারা অরণ্যের পরাক্রমশালী ওই প্রাণীদের তুলনায় অন্য ধরনের শিকার বেছে নেয়। কখনো কখনো সরাসরি প্রতিযোগিতাও হয়। এমনকি বাঘের আক্রমণে ঢোল মারা যাওয়ার কিংবা চিতা বাঘের আক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনাও শোনা যায়।
বাঘ–চিতার সঙ্গে লড়াই করে হয়তো টিকে থাকা সম্ভব, তবে সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু মানুষের হাত থেকে বাঁচা কঠিন। বন ধ্বংসের পাশাপাশি এদের শিকার কমে যাওয়াও একটা সমস্যা। ঢোল কোনো গবাদিপশু মারলে মালিক ওই পশুটার শরীরে বিষ মাখিয়ে রাখে। এতে একবারে গোটা একটা ঢোলের দলও নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। এভাবে অবশ্য বাঘ, চিতা কিংবা শকুনও মারে জঙ্গল এলাকার আশপাশে বসবাস করা অধিবাসীরা। এ ধরনের বিষ মাখিয়ে ঢোল বা চিতা বাঘ হত্যার কথা শোনা যায় বাংলাদেশেও।
গত দশ বছরে ঢোলের বিচরণের এলাকা অন্তত ৫০ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেন গবেষকেরা। তবে ঢোলদের গতিবিধি অনুসরণ করা মুশকিল। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে খুব দুর্গম এলাকায় বাস ঢোলদের। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল কিংবা ভুটানের সাধারণ বনে এদের আবাস থাকলেও নিজেদের জাহির করার অভ্যাস নেই মোটেই।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শিকারি প্রাণী হওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলে এদের দারুণ ভূমিকা রয়েছে। ওখানকার কোনো কোনো এলাকা থেকে বাঘ বিদায় নেওয়ায় খাদ্যশৃঙ্খলের ওপরে উঠে এসেছে ঢোল। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও তাই দারুণ ভূমিকা এদের। আর আশ্চর্যজনক হলেও মানুষকে আক্রমণ করার প্রবণতা এদের একেবারেই কম।
চুনারুঘাটের তরাপ হিলে অবস্থিত কালেঙ্গার অরণ্যে বন্য কুকুরের গল্প শুনেছে অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়েও এই অরণ্যে ঢোলের আক্রমণের খবর মিলেছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অনেক বনেই টিকে আছে এই ধূর্ত প্রাণীরা। হালকা-পাতলা গড়ন ও সাবধানী চলাফেরার কারণে লোকচক্ষুর অনেকটাই আড়ালে থাকে এরা। আবার হরিণ কিংবা বিড়াল গোত্রের প্রাণীদের মতো এদের প্রতি চোরা শিকারিদের আগ্রহ কম থাকাও একটা বড় কারণ।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের বসানো ক্যামেরা ট্র্যাপে বান্দরবানের সাঙ্গু রিজার্ভে ধরা পড়েছে ঢোলের একাধিক ছবি। এমনকি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ছোট্ট এক বন সাতছড়িতেও সন্ধান মিলেছে এদের। ভারতের বারোমুরা হিলের সবচেয়ে উত্তর-পুবের সীমানায় অবস্থান রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্টের অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এখানেই ক্যামেরা ট্র্যাপে ঢোলদের বন্দী করেছেন তিন গবেষক তানিয়া জাকির, হারিশ দেববর্মা ও মুনতাসির আকাশ।
বন বিভাগে চাকরি করা মাহফুজুল হক রাঙামাটি-বান্দরবানে কয়েকবারই ঢোল দেখার কথা বলেছিলেন। কাসালং সংরক্ষিত বনেও এরা আছে। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমার কাছ থেকে শুনেছি, এখনো দুর্গ পাড়ার বাসিন্দাদের গবাদিপশু মারা পড়ার ঘটনা ঘটে ঢোলের আক্রমণে।
প্রকৃতিপ্রেমী মইনুল ইসলাম কাপ্তাইয়ে থাকতেন বাবার চাকরি সূত্রে, সেটা অন্তত বছর তিরিশেক আগের কথা। জানালেন, তখন নৌবাহিনীর এলাকায় বুনো কুকুরের অনেক বড় একটা দল দেখতেন প্রায়ই। কাপ্তাইয়ের ঢোলের ওই দলের বংশধরেরা কী এখনো মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে কাপ্তাইয়ের বন–পাহাড়ে? নাকি আরও অনেক বন্যপ্রাণীর মতো মানুষের হিংস্রতার বলি হয়ে তারা আস্তানা পাল্টেছে কিংবা হারিয়েই গেছে।
আরও পড়ুন

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
৮ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
২০ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ও ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ রাতে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, মোন্থা ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আবহাওয়ার আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করা হবে না বলেও জানান তিনি।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ও ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ রাতে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, মোন্থা ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আবহাওয়ার আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করা হবে না বলেও জানান তিনি।

নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। মারফা খেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর! পাহাড়–অরণ্যে...
০৮ জুলাই ২০২১
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
২০ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। মারফা খেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর! পাহাড়–অরণ্যে...
০৮ জুলাই ২০২১
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। মারফা খেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর! পাহাড়–অরণ্যে...
০৮ জুলাই ২০২১
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
৮ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
২০ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

নদীর বাম পাশে এক কৃষক মারফা বা পাহাড়ি শসা চাষ করেছেন। মারফা খেতের পাশ থেকেই শুরু জঙ্গলের। সেদিকে তাকালাম। তখনই এক ঝলকের জন্য দেখলাম জন্তুটাকে। লালচে শরীর, মাঝারি আকারের কুকুরের আকৃতি। পরমুহূর্তেই হারিয়ে গেল অরণ্যে। ঢোল বা বুনো কুকুর! পাহাড়–অরণ্যে...
০৮ জুলাই ২০২১
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
৮ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
২০ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে