নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। শুধু রং বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না; পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালা’য় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনায় মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য। তিনি ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন। এই কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই’র প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান, স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকেরা।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। শুধু রং বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না; পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালা’য় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনায় মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য। তিনি ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন। এই কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই’র প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান, স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকেরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। শুধু রং বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না; পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালা’য় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনায় মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য। তিনি ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন। এই কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই’র প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান, স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকেরা।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। শুধু রং বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ হবে না; পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রিন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালা’য় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়তে সরকারি ভবনগুলোতে গ্রিন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি। সরকারি স্থাপনায় মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য। তিনি ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন। এই কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই’র প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান, স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকেরা।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে আছে। এর মধ্যে আজ রোববার ভারতের দিল্লির অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে
বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে একরের পর একর জমির ফসল। ভেসে গেছে বিভিন্ন বিল-পুকুরের মাছ। বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। এমন পরিস্থিতিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
নুয়ে পড়েছে ৮০ ভাগ ধান
গতকাল সকালে রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার দরগাপাড়া গ্রামে কথা হয় কৃষক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। নিজের জমির পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এত বর্ষণ জীবনেও দেখিনি। কান্দরে ধানের ভুঁইয়ের ভেতর দিয়্যা পানির সুত বহিছে। মাঠের ৮০ ভাগ ধান শুয়ে পড়েছে। এই ধান তুইলতে লোকও পাওয়া যাবে না। কারণ, সবাইকেই তো ধান তুইলতে হবে। একসাথে এত লোক পাওয়া যাবে কুণ্ঠে। আমরা এবার মাঠেই মাডার।’
সরেজমিনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষক জহিরুল ইসলামের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তথ্যমতে, গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারা দিন গোদাগাড়ীতে ২৩৬ ও তানোরে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
বরেন্দ্র অঞ্চলের ফসলি মাঠ উঁচুনিচু সিঁড়ির মতো। দুপাশ উঁচু, মাঝের কিছু অংশ তুলনামূলক নিচু হলে সেই অংশটিকে ‘কান্দর’ বলে থাকেন লোকজন। বরেন্দ্র অঞ্চলের এসব কান্দরগুলো তলিয়ে গিয়ে বিলের মতো হয়ে গেছে। এসব জমিতে আছে আমন ধান। কখনো কখনো বিলের ধান ডুবলেও সাধারণত কান্দর কখনো ডোবে না। কিন্তু এবার শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সবই তলিয়েছে।
এ বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন বিলে অপরিকল্পিতভাবে খনন করা পুকুরগুলো তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তাই বিল ও খাড়িগুলোতে মানুষ দল বেঁধে মাছ ধরতে নেমেছে। গতকাল রোববার সকালে পবা উপজেলার শুলিতলা ভিমারডাইং এলাকায় জোয়াখালি নদীর স্রোত দক্ষিণে যাচ্ছে দেখিয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই নদীর স্রোত সব সময় উত্তর দিকে যায়। কিন্তু উত্তরেই এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে যে পানি যাচ্ছে দক্ষিণে। এটাকে বলা হয় উত্তরা পেলি। এই উত্তরা পেলি আমি আমার জীবনে এবার দ্বিতীয়বার দেখছি।’
বৃষ্টির পানিতে বিলের ভেতর থাকা পুকুরগুলো ভেসে গেছে। এতে মৎস্যচাষিদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টিতে পার্শ্ববর্তী মোহনপুর ও বাগমারায় পানবরজেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদ জানান, মোট ৪৬৩ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রিশিকুল ইউনিয়নের ৭১টি মাটির বাড়ি ধসে গেছে। পাকড়ি ইউনিয়নে আরও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গেছে। তবে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলেই দাবি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে ৫০০ হেক্টর ধানের ক্ষতির একটা প্রতিবেদন দিচ্ছি। শুয়ে পড়লেই কিন্তু ক্ষতি হবে না। আমি মাঠেই আছি, দেখছি।’
মৎস্যচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানাতে পারেননি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু উপজেলা থেকে পুকুর ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এটা হয়েছে অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে। একই কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের মতো উঁচু জমিও এই সময়ে তলিয়ে গেছে। মাছচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের একটা প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের বলেছি।’
ঋণের দুশ্চিন্তায় দুটি পরিবার
এসএসসি পাস করে সংসারের অভাব-অনটনে লেখাপড়া বাদ দেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের কালীগঞ্জ গ্রামের রাব্বি হাসান (২০)। পরে বাড়ির পাশেই শুরু করেন পোলট্রি মুরগির খামার। দুই বছর লাভ-লোকসান হলেও এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে একেবারে পথে বসে গেছেন তিনি। শুক্রবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতে হঠাৎ করে হাঁটুপানি জমে খামারে। এতে মারা যায় প্রায় তাঁর ১ হাজার ৫০০ মুরগি। যার একেকটির ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।
অপরদিকে একই দিনে উপজেলার আলীপুর গ্রামে সজল আহম্মেদের খামারের একই অবস্থা। রাতে তাঁর খামার তলিয়ে মারা ১ হাজার মুরগি। ফলে দুই পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। এই অবস্থায় এনজিওর টাকা পরিশোধ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই পরিবার। খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস তাঁর কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি খামার পরিদর্শন করেছেন।
ধানগাছ পচে নষ্টের শঙ্কা
লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাকা-আধা পাকা আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় ফসলহানির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা জানান, নুয়ে পড়া পাকা ধান কেটে নিলেও আধা পাকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হলেও পুরোদমে ধান মাড়াই শুরু হতে আরও ২০-২৫ দিন লাগবে। এ সময় বৃষ্টি আর বাতাসে নষ্ট হলো উঠতি আমন ধান। এমন গবাদিপশুর খাদ্য ধানগাছ তথা খড় পচে নষ্টের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফলে ঋণ পরিশোধ আর উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবারের খাবার জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
৫৫ হেক্টর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত
শেরপুরে গত তিন দিনের বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ায় উঠতি আমন ধান ও শীতকালীন সবজি খেতের চরম ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, আমন ধান, সবজি ও গোল আলু মিলে মোট ৫৫ হেক্টর জমির আবাদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে। তবে কৃষকদের দাবি, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আগাম জাতের ধান ও রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা বলেন, অনেকে পাকা ধান কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন, সেগুলো পানিতে নষ্ট হচ্ছে। ধুরাইল ইউনিয়নের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘শেষ সময়ে আইসা বৃষ্টি অইবো ভাববার পারি নাই। যেইদিন ধান কাইট্টা খেতে রাখছি, হেইদিন থাইকা বৃষ্টি শুরু অইছে। বৃষ্টি না কমায় খেত থাইকা ধান উঠাইবার পারছি না। সব আল্লাহর ইচ্ছা।’

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
নুয়ে পড়েছে ৮০ ভাগ ধান
গতকাল সকালে রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার দরগাপাড়া গ্রামে কথা হয় কৃষক জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। নিজের জমির পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এত বর্ষণ জীবনেও দেখিনি। কান্দরে ধানের ভুঁইয়ের ভেতর দিয়্যা পানির সুত বহিছে। মাঠের ৮০ ভাগ ধান শুয়ে পড়েছে। এই ধান তুইলতে লোকও পাওয়া যাবে না। কারণ, সবাইকেই তো ধান তুইলতে হবে। একসাথে এত লোক পাওয়া যাবে কুণ্ঠে। আমরা এবার মাঠেই মাডার।’
সরেজমিনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষক জহিরুল ইসলামের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তথ্যমতে, গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারা দিন গোদাগাড়ীতে ২৩৬ ও তানোরে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
বরেন্দ্র অঞ্চলের ফসলি মাঠ উঁচুনিচু সিঁড়ির মতো। দুপাশ উঁচু, মাঝের কিছু অংশ তুলনামূলক নিচু হলে সেই অংশটিকে ‘কান্দর’ বলে থাকেন লোকজন। বরেন্দ্র অঞ্চলের এসব কান্দরগুলো তলিয়ে গিয়ে বিলের মতো হয়ে গেছে। এসব জমিতে আছে আমন ধান। কখনো কখনো বিলের ধান ডুবলেও সাধারণত কান্দর কখনো ডোবে না। কিন্তু এবার শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সবই তলিয়েছে।
এ বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন বিলে অপরিকল্পিতভাবে খনন করা পুকুরগুলো তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তাই বিল ও খাড়িগুলোতে মানুষ দল বেঁধে মাছ ধরতে নেমেছে। গতকাল রোববার সকালে পবা উপজেলার শুলিতলা ভিমারডাইং এলাকায় জোয়াখালি নদীর স্রোত দক্ষিণে যাচ্ছে দেখিয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই নদীর স্রোত সব সময় উত্তর দিকে যায়। কিন্তু উত্তরেই এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে যে পানি যাচ্ছে দক্ষিণে। এটাকে বলা হয় উত্তরা পেলি। এই উত্তরা পেলি আমি আমার জীবনে এবার দ্বিতীয়বার দেখছি।’
বৃষ্টির পানিতে বিলের ভেতর থাকা পুকুরগুলো ভেসে গেছে। এতে মৎস্যচাষিদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টিতে পার্শ্ববর্তী মোহনপুর ও বাগমারায় পানবরজেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদ জানান, মোট ৪৬৩ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রিশিকুল ইউনিয়নের ৭১টি মাটির বাড়ি ধসে গেছে। পাকড়ি ইউনিয়নে আরও কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গেছে। তবে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলেই দাবি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে ৫০০ হেক্টর ধানের ক্ষতির একটা প্রতিবেদন দিচ্ছি। শুয়ে পড়লেই কিন্তু ক্ষতি হবে না। আমি মাঠেই আছি, দেখছি।’
মৎস্যচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানাতে পারেননি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু উপজেলা থেকে পুকুর ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এটা হয়েছে অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে। একই কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের মতো উঁচু জমিও এই সময়ে তলিয়ে গেছে। মাছচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের একটা প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের বলেছি।’
ঋণের দুশ্চিন্তায় দুটি পরিবার
এসএসসি পাস করে সংসারের অভাব-অনটনে লেখাপড়া বাদ দেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের কালীগঞ্জ গ্রামের রাব্বি হাসান (২০)। পরে বাড়ির পাশেই শুরু করেন পোলট্রি মুরগির খামার। দুই বছর লাভ-লোকসান হলেও এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে একেবারে পথে বসে গেছেন তিনি। শুক্রবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতে হঠাৎ করে হাঁটুপানি জমে খামারে। এতে মারা যায় প্রায় তাঁর ১ হাজার ৫০০ মুরগি। যার একেকটির ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।
অপরদিকে একই দিনে উপজেলার আলীপুর গ্রামে সজল আহম্মেদের খামারের একই অবস্থা। রাতে তাঁর খামার তলিয়ে মারা ১ হাজার মুরগি। ফলে দুই পরিবারে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। এই অবস্থায় এনজিওর টাকা পরিশোধ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই পরিবার। খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস তাঁর কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি খামার পরিদর্শন করেছেন।
ধানগাছ পচে নষ্টের শঙ্কা
লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাকা-আধা পাকা আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় ফসলহানির শঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা জানান, নুয়ে পড়া পাকা ধান কেটে নিলেও আধা পাকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হলেও পুরোদমে ধান মাড়াই শুরু হতে আরও ২০-২৫ দিন লাগবে। এ সময় বৃষ্টি আর বাতাসে নষ্ট হলো উঠতি আমন ধান। এমন গবাদিপশুর খাদ্য ধানগাছ তথা খড় পচে নষ্টের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফলে ঋণ পরিশোধ আর উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবারের খাবার জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
৫৫ হেক্টর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত
শেরপুরে গত তিন দিনের বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ায় উঠতি আমন ধান ও শীতকালীন সবজি খেতের চরম ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, আমন ধান, সবজি ও গোল আলু মিলে মোট ৫৫ হেক্টর জমির আবাদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে। তবে কৃষকদের দাবি, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আগাম জাতের ধান ও রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা বলেন, অনেকে পাকা ধান কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছিলেন, সেগুলো পানিতে নষ্ট হচ্ছে। ধুরাইল ইউনিয়নের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘শেষ সময়ে আইসা বৃষ্টি অইবো ভাববার পারি নাই। যেইদিন ধান কাইট্টা খেতে রাখছি, হেইদিন থাইকা বৃষ্টি শুরু অইছে। বৃষ্টি না কমায় খেত থাইকা ধান উঠাইবার পারছি না। সব আল্লাহর ইচ্ছা।’

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে আছে। এর মধ্যে আজ রোববার ভারতের দিল্লির অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে
বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে একরের পর একর জমির ফসল। ভেসে গেছে বিভিন্ন বিল-পুকুরের মাছ। বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। এমন পরিস্থিতিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে আছে। এর মধ্যে আজ রোববার ভারতের দিল্লির অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
সাধারণত প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তবে কিছুদিন ধরে ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থাকলেও গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববার সকালে বায়ুমান সহনীয় অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ৯৭। সে হিসেবে বাতাসের মান ‘সহনীয়’।
আজ রোববার বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা ১৩তম স্থানে আছে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ ৪১৭ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো—
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৩৯, বিপজ্জনক)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে একই দেশের শহর করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই (১৯৭, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর কিনশাসা (১৬৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর—
৬. তাসখন্দ, উজবেকিস্তান (১৬০)
৭. দোহা, কাতার (১৫৯)
৮. উহান, চীন (১৩৯)
৯. মিলান, ইতালি (১৩৩)
১০. মানামা, বাহরাইন (১২৬)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে আছে। এর মধ্যে আজ রোববার ভারতের দিল্লির অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
সাধারণত প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তবে কিছুদিন ধরে ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থাকলেও গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববার সকালে বায়ুমান সহনীয় অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ৯৭। সে হিসেবে বাতাসের মান ‘সহনীয়’।
আজ রোববার বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা ১৩তম স্থানে আছে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ ৪১৭ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো—
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৩৯, বিপজ্জনক)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে একই দেশের শহর করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই (১৯৭, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর কিনশাসা (১৬৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর—
৬. তাসখন্দ, উজবেকিস্তান (১৬০)
৭. দোহা, কাতার (১৫৯)
৮. উহান, চীন (১৩৯)
৯. মিলান, ইতালি (১৩৩)
১০. মানামা, বাহরাইন (১২৬)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে একরের পর একর জমির ফসল। ভেসে গেছে বিভিন্ন বিল-পুকুরের মাছ। বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। এমন পরিস্থিতিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নভেম্বর মাসের প্রথম দিন গতকাল শনিবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের প্রায় সব বিভাগে বজ্রসহ বেশ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৬৩ মিলিমিটার। আজও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ রোববার সারা দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দুপুর পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় আজকের সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিটে এবং আগামীকালের সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৬ মিনিটে।

নভেম্বর মাসের প্রথম দিন গতকাল শনিবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের প্রায় সব বিভাগে বজ্রসহ বেশ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৬৩ মিলিমিটার। আজও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ রোববার সারা দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দুপুর পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় আজকের সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিটে এবং আগামীকালের সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৬ মিনিটে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে আছে। এর মধ্যে আজ রোববার ভারতের দিল্লির অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে একরের পর একর জমির ফসল। ভেসে গেছে বিভিন্ন বিল-পুকুরের মাছ। বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। এমন পরিস্থিতিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে একরের পর একর জমির ফসল। ভেসে গেছে বিভিন্ন বিল-পুকুরের মাছ। বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। এমন পরিস্থিতিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
খেতে জমে আছে পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে মাঠের ফসল। বিশেষ করে শত শত বিঘা জমির ধানের গাছ পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে বিল-পুকুরের মাছও। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় বৃষ্টির কারণে শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান শুয়ে গেছে। এসব ধানগাছের বেশির ভাগেই রয়েছে আধপাকা শিষ। অনেক জমিতে পানিও জমে আছে। খাল-বিলও পানিতে ভরে গেছে। এসব খাল-বিল দিয়ে পানির তীব্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।
পাঁচন্দর এলাকার কৃষক বদিউজ্জামান বদি বলেন, ‘অনেকেই আগাম আলু চাষ শুরু করেছিলেন। বীজ আলু থেকে এখনো গাছ বের হয়নি। বৃষ্টির কারণে আলুর খেত ডুবে গেছে।’
ডুবে মরল খামারের মুরগি
দুর্গাপুর প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় অসময়ের রাতভর বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় রোপা আমন ধান, পানবরজ, পেঁয়াজ খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে বৃষ্টির পানি জমে ডুবে মারা গেছে দেড় হাজার পোলট্রি মুরগি। খামারি রাব্বি হাসান বলেন, ‘কোনো দিন এই খামারে পানি ওঠে না। আমরাও বুঝতে পারিনি। প্রায় ১৫০০ মুরগি ছিল। সকালে উঠে দেখি সব মুরগি মরে ভেসে আছে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
রেললাইনে হাঁটুপানি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। শনিবার সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, ভারী বৃষ্টিতে রেললাইনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এ কারণে ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে।
শুধু রেললাইন নয়; রাতভর ভারী বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে শহরেও। অনেক বাসাবাড়ি, সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। একই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান ও শীতকালীন সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ।

ভেসে গেছে পুকুরের মাছ
নিয়ামতপুর, রানীনগর ও মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতে ধান ও সবজির খেত ডুবে গেছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। এতে কৃষক ও মাছচাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নিয়ামতপুরে গত শুক্রবার রাতভর ভারী বৃষ্টিতে মাঠের প্রায় ২৫ শতাংশ ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে এবং প্রায় ১৫ শতাংশ জমির ধান ডুবে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় ধান কাটা শুরু হলেও আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান কাটার কথা ছিল। হঠাৎ ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলের খেত তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। উপজেলার ভাবিচা গ্রামের ধনঞ্জয় মহন্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১২ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’
এ ছাড়া তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, অসময়ে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে পাকা রোপা আমন, বোনা সরিষা ও মৌসুমি শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীতে আমন ধান ও শীতকালীন শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। মাঠের আধপাকা ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। শুধু ধান নয়, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, পেঁয়াজ ও আলু খেতের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, টানা তিন দিনের বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন ধান। আধা পাকা এসব ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া আগাম আলু এবং রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কদিন বাদেই যে ফসল ঘরে উঠত, তা নিয়ে এখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৮ হেক্টর জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আগাম রোপণ করা ৫ হেক্টর আলু এবং ৬ হেক্টর শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ জানান, কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, যেসব ধান শুয়ে পড়েছে সেগুলো গোছা করে বেঁধে দিতে। এতে কিছুটা হলেও ক্ষতি কম হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে একরের পর একর জমির ফসল। ভেসে গেছে বিভিন্ন বিল-পুকুরের মাছ। বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধানগাছ। এমন পরিস্থিতিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।
খেতে জমে আছে পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে মাঠের ফসল। বিশেষ করে শত শত বিঘা জমির ধানের গাছ পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে বিল-পুকুরের মাছও। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় বৃষ্টির কারণে শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান শুয়ে গেছে। এসব ধানগাছের বেশির ভাগেই রয়েছে আধপাকা শিষ। অনেক জমিতে পানিও জমে আছে। খাল-বিলও পানিতে ভরে গেছে। এসব খাল-বিল দিয়ে পানির তীব্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।
পাঁচন্দর এলাকার কৃষক বদিউজ্জামান বদি বলেন, ‘অনেকেই আগাম আলু চাষ শুরু করেছিলেন। বীজ আলু থেকে এখনো গাছ বের হয়নি। বৃষ্টির কারণে আলুর খেত ডুবে গেছে।’
ডুবে মরল খামারের মুরগি
দুর্গাপুর প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় অসময়ের রাতভর বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় রোপা আমন ধান, পানবরজ, পেঁয়াজ খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে বৃষ্টির পানি জমে ডুবে মারা গেছে দেড় হাজার পোলট্রি মুরগি। খামারি রাব্বি হাসান বলেন, ‘কোনো দিন এই খামারে পানি ওঠে না। আমরাও বুঝতে পারিনি। প্রায় ১৫০০ মুরগি ছিল। সকালে উঠে দেখি সব মুরগি মরে ভেসে আছে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
রেললাইনে হাঁটুপানি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। শনিবার সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, ভারী বৃষ্টিতে রেললাইনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এ কারণে ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে।
শুধু রেললাইন নয়; রাতভর ভারী বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে শহরেও। অনেক বাসাবাড়ি, সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। একই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান ও শীতকালীন সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ।

ভেসে গেছে পুকুরের মাছ
নিয়ামতপুর, রানীনগর ও মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতে ধান ও সবজির খেত ডুবে গেছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। এতে কৃষক ও মাছচাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নিয়ামতপুরে গত শুক্রবার রাতভর ভারী বৃষ্টিতে মাঠের প্রায় ২৫ শতাংশ ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে এবং প্রায় ১৫ শতাংশ জমির ধান ডুবে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় ধান কাটা শুরু হলেও আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান কাটার কথা ছিল। হঠাৎ ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলের খেত তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। উপজেলার ভাবিচা গ্রামের ধনঞ্জয় মহন্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১২ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’
এ ছাড়া তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, অসময়ে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে পাকা রোপা আমন, বোনা সরিষা ও মৌসুমি শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীতে আমন ধান ও শীতকালীন শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। মাঠের আধপাকা ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। শুধু ধান নয়, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, পেঁয়াজ ও আলু খেতের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, টানা তিন দিনের বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন ধান। আধা পাকা এসব ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া আগাম আলু এবং রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কদিন বাদেই যে ফসল ঘরে উঠত, তা নিয়ে এখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৮ হেক্টর জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আগাম রোপণ করা ৫ হেক্টর আলু এবং ৬ হেক্টর শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ জানান, কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, যেসব ধান শুয়ে পড়েছে সেগুলো গোছা করে বেঁধে দিতে। এতে কিছুটা হলেও ক্ষতি কম হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও খামার, ভেসে গেছে পুকুর। নুয়ে পড়েছে বেশির ভাগ জমির ধান। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে আছে। এর মধ্যে আজ রোববার ভারতের দিল্লির অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
২১ ঘণ্টা আগে
বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১ দিন আগে