কক্সবাজার প্রতিনিধি
বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা বিপাকে পড়েছেন।
সৈকতে গতকাল বুধবার থেকে টুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ডের সদস্যরা পর্যটকদের সৈকতে গোসলে না নামতে সতর্কতা জারি করে প্রচারণা চালাচ্ছে। শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, নাজিরারটেক, লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলের বেড়িবাঁধগুলোতে জোয়ারের পানি তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় আঁচড়ে পড়ছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে এখন পর্যাপ্ত পর্যটকের সমাগম হয়। আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্টগুলোতে গড়ে ৭০ শতাংশ কক্ষ ভাড়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রিপ জোন ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির জিকু পাল আজকের পত্রিকাকে জানান, বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটক এসেছে। তারকা মানের হোটেলগুলোর ৮০ শতাংশ ও মাঝারি মানের হোটেলগুলোর ৫০ শতাংশের ওপরে কক্ষ ভাড়া হয়েছে। শুক্র ও শনিবার আরও পর্যটক আসবে।
সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক নেমেছে। অনেকেই নির্দেশনা না মেনে নোনাজলে গোসলে নামতে মরিয়া। যাদের একেবারে মানানো যাচ্ছে না তাঁদের হাঁটু পানিতে নামার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বিচ পরিচালনা কমিটির তথ্য কেন্দ্র বরাবর সৈকতের জিওব্যাগে আঁচড়ে পড়ছে ঢেউ। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ঢেউয়ের চাপে জিওব্যাগের সামনের ইটের গাঁথুনি ধসে পড়ে বালু সরে যাচ্ছে। সৈকতের এ পয়েন্টের ফটকে টুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা এ সময় হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে পর্যটকদের সৈকতে নামা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় এখনো সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এ জন্য বিপদ এড়াতে পর্যটকেরা যাতে সমুদ্রে না নামেন, তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে এবং মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
এদিকে গত ১০-১২ দিনের তাপপ্রবাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জনজীবন। বুধবার থেকে চলা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘কক্সবাজার উপকূলে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সর্বোচ্চ চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ জন্য সাগরে সব ধরনের নৌযান উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।’
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে সৈকতের ডায়বেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত বর্ষায় সামুদ্রিক জোয়ারে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এসব পয়েন্টে ভাঙনরোধে জিওব্যাগ বসানোর কাজ চলমান রয়েছে। সেখানে স্থায়ী ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা বিপাকে পড়েছেন।
সৈকতে গতকাল বুধবার থেকে টুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ডের সদস্যরা পর্যটকদের সৈকতে গোসলে না নামতে সতর্কতা জারি করে প্রচারণা চালাচ্ছে। শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, নাজিরারটেক, লাবণী পয়েন্ট, হিমছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলের বেড়িবাঁধগুলোতে জোয়ারের পানি তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় আঁচড়ে পড়ছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে এখন পর্যাপ্ত পর্যটকের সমাগম হয়। আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্টগুলোতে গড়ে ৭০ শতাংশ কক্ষ ভাড়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রিপ জোন ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির জিকু পাল আজকের পত্রিকাকে জানান, বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটক এসেছে। তারকা মানের হোটেলগুলোর ৮০ শতাংশ ও মাঝারি মানের হোটেলগুলোর ৫০ শতাংশের ওপরে কক্ষ ভাড়া হয়েছে। শুক্র ও শনিবার আরও পর্যটক আসবে।
সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক নেমেছে। অনেকেই নির্দেশনা না মেনে নোনাজলে গোসলে নামতে মরিয়া। যাদের একেবারে মানানো যাচ্ছে না তাঁদের হাঁটু পানিতে নামার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বিচ পরিচালনা কমিটির তথ্য কেন্দ্র বরাবর সৈকতের জিওব্যাগে আঁচড়ে পড়ছে ঢেউ। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ঢেউয়ের চাপে জিওব্যাগের সামনের ইটের গাঁথুনি ধসে পড়ে বালু সরে যাচ্ছে। সৈকতের এ পয়েন্টের ফটকে টুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা এ সময় হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে পর্যটকদের সৈকতে নামা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় এখনো সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এ জন্য বিপদ এড়াতে পর্যটকেরা যাতে সমুদ্রে না নামেন, তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে এবং মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
এদিকে গত ১০-১২ দিনের তাপপ্রবাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল জনজীবন। বুধবার থেকে চলা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘কক্সবাজার উপকূলে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সর্বোচ্চ চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ জন্য সাগরে সব ধরনের নৌযান উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।’
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে সৈকতের ডায়বেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত বর্ষায় সামুদ্রিক জোয়ারে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এসব পয়েন্টে ভাঙনরোধে জিওব্যাগ বসানোর কাজ চলমান রয়েছে। সেখানে স্থায়ী ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
ঢাকার বায়ুমানে গতকাল শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ শনিবার বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকার ১০ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান সপ্তম। শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। গতকাল যেখানে ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল, সেখানে আজ ঢাকার বাতাস কিছুটা উন্নত হয়ে সংবেদনশীল মানুষের...
২৩ মিনিট আগেভারত ও বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এই বদ্বীপ অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু পরিবর্তনপ্রবণ স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এখানে প্রতিবছর প্রায় ৮ মিলিমিটার করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। যেখানে এর বৈশ্বিক গড় প্রায় ৩ দশমিক ১ মিলিমিটার। এর পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় প্রায় নিয়মিত দুর্যোগে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
১ দিন আগেপরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছের চারা রোপণ, উত্তোলন এবং বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন-১ অধিশাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
২ দিন আগে