কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের সোনারপাড়া সৈকতে ভেসে এল আরও দুটি মৃত মা কচ্ছপ। অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা প্রজাতির এই কচ্ছপ দুটির পেটেও মিলল ১৮৫টি ডিম।
আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়ার সোনার পাড়া সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে কচ্ছপ দুটি।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, অন্তত দুই সপ্তাহ আগে সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে এসে মা কচ্ছপ দুটি মারা পড়েছে। দুটি কচ্ছপের শরীর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটির পেটে ৯০টি ও অপরটির পেটে ৯৫টি ডিম পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ছয় দিনে আশপাশের সোনারপাড়া, রেজুখালের মোহনা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে আরও ১১টি মা কচ্ছপ ভেসে আসে। সব কচ্ছপ অলিভ রিডলি প্রজাতির।
প্রতিদিন মৃত কচ্ছপ ভেসে আসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিকভাবে সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে এসে জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাত পেয়ে কচ্ছপগুলো মারা পড়ছে। এ ছাড়া এ সময়ে তিনটি ডলফিন ও একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইসের মরদেহ ভেসে এসেছে।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলেন, টানা সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন। আগে এমন হয়নি। ফলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে অনুসন্ধান করা জরুরি। না হয় আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এর আগে বোরি মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বোরির হিসেবে মতে, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪১টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কক্সবাজারের সোনারপাড়া সৈকতে ভেসে এল আরও দুটি মৃত মা কচ্ছপ। অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা প্রজাতির এই কচ্ছপ দুটির পেটেও মিলল ১৮৫টি ডিম।
আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়ার সোনার পাড়া সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে কচ্ছপ দুটি।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, অন্তত দুই সপ্তাহ আগে সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে এসে মা কচ্ছপ দুটি মারা পড়েছে। দুটি কচ্ছপের শরীর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটির পেটে ৯০টি ও অপরটির পেটে ৯৫টি ডিম পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ছয় দিনে আশপাশের সোনারপাড়া, রেজুখালের মোহনা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে আরও ১১টি মা কচ্ছপ ভেসে আসে। সব কচ্ছপ অলিভ রিডলি প্রজাতির।
প্রতিদিন মৃত কচ্ছপ ভেসে আসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিকভাবে সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে এসে জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাত পেয়ে কচ্ছপগুলো মারা পড়ছে। এ ছাড়া এ সময়ে তিনটি ডলফিন ও একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইসের মরদেহ ভেসে এসেছে।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলেন, টানা সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন। আগে এমন হয়নি। ফলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে অনুসন্ধান করা জরুরি। না হয় আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এর আগে বোরি মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বোরির হিসেবে মতে, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪১টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ মেঘলা থাকলেও এ এলাকর আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের আজ বুধবার সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮৬। আইকিউ এয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের করা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান ১৩তম।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ‘নদীমাতৃক দেশ’ হলেও বেশির ভাগ নদ-নদীর উৎপত্তি দেশের বাইরে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর ৮০ শতাংশ উৎপত্তি হয়েছে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে; বিশেষ করে ভারত থেকে। এ কারণে পানির প্রবাহ ও প্রাপ্যতা বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে এক জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়।
১৯ ঘণ্টা আগেসুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। তবে এখনো তাদের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য কমে যাওয়া, শিকারিদের অপতৎপরতা ও যথাযথ সুরক্ষা না থাকায় এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১ দিন আগে