নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্যারিস চুক্তির পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের পরিবেশবাদীরা তাকিয়ে ছিলেন এই সম্মেলনের দিকে। আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা। তাঁদের মতে, শতভাগ প্রত্যাশা পূরণ না হলেও ব্যর্থ হয়নি এই সম্মেলন। স্কটল্যান্ড গ্লাসগোর একটানা ১৩ দিনের পর শেষ হয়েছে কপ ২৬ সম্মেলন।
গত বুধবার সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ হয়। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে থাকা বিশ্বকে নাড়া দিতে পেরেছে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। বিশেষ করে ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পেরেছে। বাংলাদেশ ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি তুলেছেন তা অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশও সমর্থন দিয়েছে।
পৃথিবীকে বাঁচাতে এই সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতারেসে বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংস করে আমরাই নিজেদের কবর খুঁড়ছি। পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানো না গেলে বিশ্ব নেতাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না।
বিশ্ব উষ্ণতা আর বাড়তে না দেওয়া, মিথেন গ্যাসের ব্যবহার কমানো, বনাঞ্চল ধ্বংস না করা, কয়লার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনাসহ নানা অর্জন এসেছে এই সম্মেলন থেকে। ১২ নভেম্বর শেষ হওয়া এই সম্মেলন নতুন করে পৃথিবীকে মনে করিয়ে দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা। জলবায়ু গবেষকেরা বলছেন, এমন এক সময় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবীবাসী নানাভাবে আক্রান্ত। দুনিয়ার এক প্রান্তে যখন তীব্র দাবদাহ অন্য দিকে তখন চলছে ঝড়, অতিবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশও আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। এই সময় এমন একটি সম্মেলন খুব দরকার ছিল বলে মনে করছেন তারা।
কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে এই সম্মেলনকে সফল বলছেন গবেষকেরা। কয়লা থেকে বিশ্বে মোট কার্বন নিঃসরণ হয় ৩৭ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো ২০৪০ এর মধ্যে এটি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কিছু দেশ এতে রাজি নন। এদিকে মিথেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের ১০৩টি দেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ মিথেন গ্যাস কমানোর উদ্যোগ নেবে দেশগুলো। কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি তাপ বাড়ায় মিথেন গ্যাস। এটি কার্যকর হলে বিশ্বের মোট তাপমাত্রার শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ কমে যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে এটির বাস্তবায়ন কতটুকু হবে তার ওপরে। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। এই সম্মেলনের পরিণতি তেমনটি হবে বলে আশা করছেন তিনি। পৃথিবীর সব নেতাদের এক মঞ্চে বসিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করতে পারাটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল দেওয়ার ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলো কথা দিয়েছে-এটা বড় আশার দিক।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনসহ জলবায়ু পরিবর্তনে লিঙ্গবৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতৃত্ব নারীর ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
এ ছাড়া ২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের নতুন প্রোগ্রামও ঘোষণা করেছেন জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক মন্ত্রী অলোক শর্মা। এই অর্থের মাধ্যমে অভিযোজন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ, দূষণ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু নেতা হিসেবে ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন জলবায়ু তহবিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তহবিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে বছরে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল। এটি যেহেতু কার্যকর হয়নি। তাই আগামী ২০২৩ সাল থেকে এটি কার্যকর করা হবে সম্মেলনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা বলার মতো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকা জরুরি। এই সম্মেলন সেই সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। জলবায়ু তহবিল গঠনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আশাবাদী হয়েছে। এমন সম্মেলন বারবার হলে পৃথিবীর মানুষ আরও সচেতন হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধ করা হবে বলে রাজি হয়েছে বিশ্বের ১১০টি দেশ। এ জন্য ১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার তহবিলের অঙ্গীকার এসেছে। এটি করা গেলে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমবে। অক্সিজেন বাড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বাড়তে না দেওয়ার ব্যাপারে বেশির ভাগ দেশই একমত হয়েছে। যদিও এটি প্যারিস চুক্তিতে থাকার পরও বাস্তবায়ন হয়নি।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, সারা বিশ্বের পরিবেশবাদীরা অনেক আশাবাদী ছিল এই সম্মেলন নিয়ে। তার সবটুকু পূরণ হয়নি। তবে যতটুকু হয়েছে তাও কম নয়। আসলে এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে শিল্পোন্নত দেশের নেতাদের ওপর। তারা চাইলেই এই সম্মেলন সফল হবে। না চাইলে ব্যর্থ হবে।
প্যারিস চুক্তির পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের পরিবেশবাদীরা তাকিয়ে ছিলেন এই সম্মেলনের দিকে। আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা। তাঁদের মতে, শতভাগ প্রত্যাশা পূরণ না হলেও ব্যর্থ হয়নি এই সম্মেলন। স্কটল্যান্ড গ্লাসগোর একটানা ১৩ দিনের পর শেষ হয়েছে কপ ২৬ সম্মেলন।
গত বুধবার সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ হয়। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে থাকা বিশ্বকে নাড়া দিতে পেরেছে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। বিশেষ করে ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পেরেছে। বাংলাদেশ ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি তুলেছেন তা অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশও সমর্থন দিয়েছে।
পৃথিবীকে বাঁচাতে এই সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতারেসে বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংস করে আমরাই নিজেদের কবর খুঁড়ছি। পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানো না গেলে বিশ্ব নেতাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না।
বিশ্ব উষ্ণতা আর বাড়তে না দেওয়া, মিথেন গ্যাসের ব্যবহার কমানো, বনাঞ্চল ধ্বংস না করা, কয়লার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনাসহ নানা অর্জন এসেছে এই সম্মেলন থেকে। ১২ নভেম্বর শেষ হওয়া এই সম্মেলন নতুন করে পৃথিবীকে মনে করিয়ে দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা। জলবায়ু গবেষকেরা বলছেন, এমন এক সময় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবীবাসী নানাভাবে আক্রান্ত। দুনিয়ার এক প্রান্তে যখন তীব্র দাবদাহ অন্য দিকে তখন চলছে ঝড়, অতিবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশও আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। এই সময় এমন একটি সম্মেলন খুব দরকার ছিল বলে মনে করছেন তারা।
কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে এই সম্মেলনকে সফল বলছেন গবেষকেরা। কয়লা থেকে বিশ্বে মোট কার্বন নিঃসরণ হয় ৩৭ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো ২০৪০ এর মধ্যে এটি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কিছু দেশ এতে রাজি নন। এদিকে মিথেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের ১০৩টি দেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ মিথেন গ্যাস কমানোর উদ্যোগ নেবে দেশগুলো। কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি তাপ বাড়ায় মিথেন গ্যাস। এটি কার্যকর হলে বিশ্বের মোট তাপমাত্রার শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ কমে যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে এটির বাস্তবায়ন কতটুকু হবে তার ওপরে। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। এই সম্মেলনের পরিণতি তেমনটি হবে বলে আশা করছেন তিনি। পৃথিবীর সব নেতাদের এক মঞ্চে বসিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করতে পারাটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল দেওয়ার ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলো কথা দিয়েছে-এটা বড় আশার দিক।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনসহ জলবায়ু পরিবর্তনে লিঙ্গবৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতৃত্ব নারীর ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
এ ছাড়া ২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের নতুন প্রোগ্রামও ঘোষণা করেছেন জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক মন্ত্রী অলোক শর্মা। এই অর্থের মাধ্যমে অভিযোজন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ, দূষণ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু নেতা হিসেবে ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন জলবায়ু তহবিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তহবিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে বছরে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল। এটি যেহেতু কার্যকর হয়নি। তাই আগামী ২০২৩ সাল থেকে এটি কার্যকর করা হবে সম্মেলনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা বলার মতো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকা জরুরি। এই সম্মেলন সেই সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। জলবায়ু তহবিল গঠনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আশাবাদী হয়েছে। এমন সম্মেলন বারবার হলে পৃথিবীর মানুষ আরও সচেতন হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধ করা হবে বলে রাজি হয়েছে বিশ্বের ১১০টি দেশ। এ জন্য ১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার তহবিলের অঙ্গীকার এসেছে। এটি করা গেলে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমবে। অক্সিজেন বাড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বাড়তে না দেওয়ার ব্যাপারে বেশির ভাগ দেশই একমত হয়েছে। যদিও এটি প্যারিস চুক্তিতে থাকার পরও বাস্তবায়ন হয়নি।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, সারা বিশ্বের পরিবেশবাদীরা অনেক আশাবাদী ছিল এই সম্মেলন নিয়ে। তার সবটুকু পূরণ হয়নি। তবে যতটুকু হয়েছে তাও কম নয়। আসলে এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে শিল্পোন্নত দেশের নেতাদের ওপর। তারা চাইলেই এই সম্মেলন সফল হবে। না চাইলে ব্যর্থ হবে।
মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর থেকে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্য সব অঞ্চল ছিল একেবারেই বৃষ্টিহীন। সে কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেউষ্ণমণ্ডলীয় বনগুলো (রেইনফরেস্ট) বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণ করে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেল এর বিপরীত চিত্র। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার রেইনফরেস্টগুলো বিশ্বের প্রথম এমন বনাঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা এখন বায়ুমণ্ডলে কার্বন শোষণের চেয়ে নিঃসরণ বেশি করছে।
২০ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে...
১ দিন আগেগত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। সে কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকায় গতকাল সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ একই সময়ে সেই তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগে