
কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।

তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।

তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।

তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা গোটা বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা আর কোনো ফাঁকা কথায় আস্থা রাখতে চান না। তাঁরা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
শেষ হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমাবদ্ধ রাখার সেই পুরোনো লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলন। একটানা ১৩ দিনের এ সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অনেক না পাওয়া রয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি ছিল, তা নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এবার অবশ্য অপরিবর্তিত এই লক্ষ্য অর্জনের পথটি কিছুটা সুনির্দিষ্ট করতে পেরেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় যে অগ্রগতি হয়েছে, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্মত হওয়া। এ ছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শতাধিক দেশের নেতা। এই দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্রাজিল, যেখানে রয়েছে পৃথিবীর ‘ফুসফুস’খ্যাত আমাজন।
এবারের সম্মেলনে বায়ুমণ্ডলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ কমানোকে চিহ্নিত করেছেন অনেক আগেই। ফলে এবারের সম্মেলনে এই গ্রাসের নিঃসরণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক জোট হওয়াকে অনেক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া কয়লা থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করেছে ৪০ টির বেশি দেশ। তবে একে অগ্রগতি হিসেবে দেখলে এর সবচেয়ে বড় খুঁত হিসেবে এবারও রয়ে গেল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এতে সই না করাটা।
আর যা হয়েছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এই সংকট মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন করে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা। তবে ঘোষিত তহবিলকে অনেকেই অপ্রতুল বলছেন।

তারপরও কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতাদের এক কাতারে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তার কথা বলা হলেও তার কাঠামোটি এখনো স্পষ্ট নয়।
কপ ২৬ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে গোটা বিশ্ব একমত হতে না পারলে পৃথিবীই ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে বিশ্বের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা এত বেড়ে যাবে যে, তাতে পৃথিবীর বহু প্রাণ রীতিমতো বিলুপ্তির কাছে চলে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে সারা বিশ্বের তরুণেরাও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিশ্ব গ্রেটা থানবার্গের কথা জানে। এই শিশুরা এখনো জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে বিশ্বনেতাদের নিয়মিত তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান কার্বন নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এটি সম্ভব না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। আর তেমনটি হলে সব কোরাল রিফ আক্ষরিক অর্থেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অতি ক্ষুদ্র একটি প্রভাব।
এ অবস্থায় কপ২৬ যে সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে, তা আগের তুলনায় অগ্রসর হলেও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিম ওয়াটসন বিবিসিকে বলেন, খসড়া চুক্তিতে যা দেখা যাচ্ছে কিছুটা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও যে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলা হচ্ছিল তার কাছে-ধারেও এটি নেই।
খসড়া চুক্তিতে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে নিঃসরণ হ্রাসে জাতীয়ভাবে গৃহীত পরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে এটি তখনই অর্জন হবে, যখন সত্যি সত্যি দেশগুলো এমন পরিকল্পনা জমা দেবে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। এর আগে এ ধরনের এনডিসি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর পরপর।
দেড় ডিগ্রিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতিটি প্যারিস সম্মেলনের অনুরূপ হলেও তা কিছু দিক থেকে আলাদা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২১০০ সালের মধ্যে এই উষ্ণায় দেড় ডিগ্রিতে সীমিত করার কথা বলছে। আর গ্লাসগো সম্মেলনে বলা হচ্ছে—এটি করতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে সুতায় ঢিল দেওয়ার সুযোগটি বন্ধ হলো কিছুটা। আগের প্রতিশ্রুতিটিকে একটা ভাঁওতা হিসেবে দেখছিলেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, গোটা পৃথিবীর সঙ্গেই বিশ্বনেতারা একটা প্রতারণা করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড বলে দিচ্ছে—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের বদলে তাঁরা এটি একটা সীমা পর্যন্ত বাড়তে দেবেন। এবং পরে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থে ২১০০ সালের মধ্যে আবার দেড় ডিগ্রিতে ফিরিয়ে আনবেন। বিজ্ঞানীরা এই বলে বারবার সতর্ক করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। কারণ, একবার এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আর কমিয়ে আনা সহজ নয়। আর এর মধ্যে এত এত বিপর্যয় ঘটে যাবে যে, তা আর পুষিয়ে ওঠা যাবে না।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৩ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু যেখানে এই সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা হলো এটি কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে বি
১৩ নভেম্বর ২০২১
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে