
আইরিশ ফটোগ্রাফার জেমস ক্রমবি নিজেই স্বীকার করেছেন, করোনা মহামারির আগে পর্যন্ত স্টারলিং পাখিদের সম্পর্কে তাঁর বিশেষ কিছু জানা ছিল না। পেশাদার ক্রীড়া আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি মূলত অলিম্পিক, রাগবি ও আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় হারলিং খেলা কভার করতেন। তবে মহামারির কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি আকস্মিকভাবেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
সূচনাটি হয়েছিল এক শোকগ্রস্ত এক বন্ধুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে। মহামারির সময় সেই বন্ধুটি ক্রমবিকে কাছাকাছি একটি লেকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ওই লেকের আকাশে স্টারলিং পাখিদের বিচিত্র নৃত্য দেখা যায়। ক্রমবি অবশ্য তাঁর ক্যামেরাটি সঙ্গে নিয়ে যেতে ভোলেননি। এই ক্যামেরাটি দ্রুতগতির মুহূর্ত ক্যাপচারের জন্য বিশেষায়িত।
ক্রমবির মতে, প্রকৃতি হোক কিংবা ক্রীড়া, ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারের হাতে থাকে মাত্র একটি মুহূর্ত। উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ-গতির শট এবং উপযুক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের মানসিক প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল। আর ক্রমবির জন্য এটি এক নতুন আবেগের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি স্টারলিং পাখিদের ছবি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা ক্রমবি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শিখতাম—কোথায় দাঁড়ালে ভালো শট পাওয়া যাবে, পাখিরা কোন দিকে উড়বে ইত্যাদি। এটা একটা নেশায় পরিণত হলো।’
স্টারলিং পাখিরা কেন এভাবে একসঙ্গে উড়ে তা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয়, এটি শিকারিদের (যেমন—বাজপাখি) হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি কৌশল। এই ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং এতে হাজার হাজার পাখি অংশ নিতে পারে।
ক্রমবি লক্ষ্য করেন—স্টারলিং পাখিরা একসঙ্গে ওড়ার সময় কখনো কখনো এমন সব আকৃতি তৈরি করে যা বিমূর্ত চিত্রকর্মের মতো মনে হয়। তাই তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং ভাবতে শুরু করেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে তিনি এমন একটি ছবি তুলতে পারবেন যা দেখতে পরিচিত কোনো আকৃতির মতো লাগবে।
প্রায় এক মাসের চেষ্টার পর, একদিন তিনি এমন একটি ছবি তোলেন যেখানে স্টারলিং পাখিদের দল একটি গাছের মতো আকৃতি তৈরি করেছিল। তিনি ভেবেছিলেন, এটাই তাঁর চূড়ান্ত ছবি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যান।
অবশেষে আসে সেই মুহূর্ত। ৫০ তম দিনে তাঁরা এমন এক দৃশ্য দেখেন যা অবিশ্বাস্য! ক্রমবির বন্ধু সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে কয়েক হাজার স্টারলিং একত্রে একটি বিশাল পাখির আকৃতি তৈরি করে এবং তা পানিতে প্রতিফলিত হয়। ক্রমবি বলেন, ‘আমি জানতাম, আমি ঠিক সময়েই শট নিয়েছি।’ তিনি দ্রুত তাঁর গাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন এবং ছবিটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করেন।
তিনি কয়েকজন পরিচিত আলোকচিত্রীকে ছবিটি পাঠিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি সত্যিই একটা দুর্দান্ত কিছু পেয়ে গেছি!’
ছবিটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। এটি আইরিশ টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাফের দেয়ালে ও নরওয়ের একটি ভবনের শাটার দরজায় এটি স্থান পায়।
এই ছবি ক্রমবির ক্যারিয়ারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তিনি আবারও পেশাদার ক্রীড়া ফটোগ্রাফিতে ফিরে গেলেও এখনো নিয়মিত লেকে যান এবং ভবিষ্যতে পুরোপুরি বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। ক্রমবি বলেন, ‘আমি এখনো লেকে যাই। যদিও আমার স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বই প্রকাশের পর এই প্রকল্প শেষ করব। কিন্তু পাব (বার) বা গলফ খেলার চেয়ে এটা অনেক ভালো সময় কাটানোর উপায়!’

আইরিশ ফটোগ্রাফার জেমস ক্রমবি নিজেই স্বীকার করেছেন, করোনা মহামারির আগে পর্যন্ত স্টারলিং পাখিদের সম্পর্কে তাঁর বিশেষ কিছু জানা ছিল না। পেশাদার ক্রীড়া আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি মূলত অলিম্পিক, রাগবি ও আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় হারলিং খেলা কভার করতেন। তবে মহামারির কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি আকস্মিকভাবেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
সূচনাটি হয়েছিল এক শোকগ্রস্ত এক বন্ধুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে। মহামারির সময় সেই বন্ধুটি ক্রমবিকে কাছাকাছি একটি লেকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ওই লেকের আকাশে স্টারলিং পাখিদের বিচিত্র নৃত্য দেখা যায়। ক্রমবি অবশ্য তাঁর ক্যামেরাটি সঙ্গে নিয়ে যেতে ভোলেননি। এই ক্যামেরাটি দ্রুতগতির মুহূর্ত ক্যাপচারের জন্য বিশেষায়িত।
ক্রমবির মতে, প্রকৃতি হোক কিংবা ক্রীড়া, ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারের হাতে থাকে মাত্র একটি মুহূর্ত। উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ-গতির শট এবং উপযুক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের মানসিক প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল। আর ক্রমবির জন্য এটি এক নতুন আবেগের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি স্টারলিং পাখিদের ছবি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা ক্রমবি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শিখতাম—কোথায় দাঁড়ালে ভালো শট পাওয়া যাবে, পাখিরা কোন দিকে উড়বে ইত্যাদি। এটা একটা নেশায় পরিণত হলো।’
স্টারলিং পাখিরা কেন এভাবে একসঙ্গে উড়ে তা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয়, এটি শিকারিদের (যেমন—বাজপাখি) হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি কৌশল। এই ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং এতে হাজার হাজার পাখি অংশ নিতে পারে।
ক্রমবি লক্ষ্য করেন—স্টারলিং পাখিরা একসঙ্গে ওড়ার সময় কখনো কখনো এমন সব আকৃতি তৈরি করে যা বিমূর্ত চিত্রকর্মের মতো মনে হয়। তাই তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং ভাবতে শুরু করেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে তিনি এমন একটি ছবি তুলতে পারবেন যা দেখতে পরিচিত কোনো আকৃতির মতো লাগবে।
প্রায় এক মাসের চেষ্টার পর, একদিন তিনি এমন একটি ছবি তোলেন যেখানে স্টারলিং পাখিদের দল একটি গাছের মতো আকৃতি তৈরি করেছিল। তিনি ভেবেছিলেন, এটাই তাঁর চূড়ান্ত ছবি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যান।
অবশেষে আসে সেই মুহূর্ত। ৫০ তম দিনে তাঁরা এমন এক দৃশ্য দেখেন যা অবিশ্বাস্য! ক্রমবির বন্ধু সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে কয়েক হাজার স্টারলিং একত্রে একটি বিশাল পাখির আকৃতি তৈরি করে এবং তা পানিতে প্রতিফলিত হয়। ক্রমবি বলেন, ‘আমি জানতাম, আমি ঠিক সময়েই শট নিয়েছি।’ তিনি দ্রুত তাঁর গাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন এবং ছবিটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করেন।
তিনি কয়েকজন পরিচিত আলোকচিত্রীকে ছবিটি পাঠিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি সত্যিই একটা দুর্দান্ত কিছু পেয়ে গেছি!’
ছবিটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। এটি আইরিশ টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাফের দেয়ালে ও নরওয়ের একটি ভবনের শাটার দরজায় এটি স্থান পায়।
এই ছবি ক্রমবির ক্যারিয়ারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তিনি আবারও পেশাদার ক্রীড়া ফটোগ্রাফিতে ফিরে গেলেও এখনো নিয়মিত লেকে যান এবং ভবিষ্যতে পুরোপুরি বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। ক্রমবি বলেন, ‘আমি এখনো লেকে যাই। যদিও আমার স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বই প্রকাশের পর এই প্রকল্প শেষ করব। কিন্তু পাব (বার) বা গলফ খেলার চেয়ে এটা অনেক ভালো সময় কাটানোর উপায়!’

আইরিশ ফটোগ্রাফার জেমস ক্রমবি নিজেই স্বীকার করেছেন, করোনা মহামারির আগে পর্যন্ত স্টারলিং পাখিদের সম্পর্কে তাঁর বিশেষ কিছু জানা ছিল না। পেশাদার ক্রীড়া আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি মূলত অলিম্পিক, রাগবি ও আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় হারলিং খেলা কভার করতেন। তবে মহামারির কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি আকস্মিকভাবেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
সূচনাটি হয়েছিল এক শোকগ্রস্ত এক বন্ধুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে। মহামারির সময় সেই বন্ধুটি ক্রমবিকে কাছাকাছি একটি লেকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ওই লেকের আকাশে স্টারলিং পাখিদের বিচিত্র নৃত্য দেখা যায়। ক্রমবি অবশ্য তাঁর ক্যামেরাটি সঙ্গে নিয়ে যেতে ভোলেননি। এই ক্যামেরাটি দ্রুতগতির মুহূর্ত ক্যাপচারের জন্য বিশেষায়িত।
ক্রমবির মতে, প্রকৃতি হোক কিংবা ক্রীড়া, ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারের হাতে থাকে মাত্র একটি মুহূর্ত। উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ-গতির শট এবং উপযুক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের মানসিক প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল। আর ক্রমবির জন্য এটি এক নতুন আবেগের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি স্টারলিং পাখিদের ছবি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা ক্রমবি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শিখতাম—কোথায় দাঁড়ালে ভালো শট পাওয়া যাবে, পাখিরা কোন দিকে উড়বে ইত্যাদি। এটা একটা নেশায় পরিণত হলো।’
স্টারলিং পাখিরা কেন এভাবে একসঙ্গে উড়ে তা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয়, এটি শিকারিদের (যেমন—বাজপাখি) হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি কৌশল। এই ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং এতে হাজার হাজার পাখি অংশ নিতে পারে।
ক্রমবি লক্ষ্য করেন—স্টারলিং পাখিরা একসঙ্গে ওড়ার সময় কখনো কখনো এমন সব আকৃতি তৈরি করে যা বিমূর্ত চিত্রকর্মের মতো মনে হয়। তাই তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং ভাবতে শুরু করেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে তিনি এমন একটি ছবি তুলতে পারবেন যা দেখতে পরিচিত কোনো আকৃতির মতো লাগবে।
প্রায় এক মাসের চেষ্টার পর, একদিন তিনি এমন একটি ছবি তোলেন যেখানে স্টারলিং পাখিদের দল একটি গাছের মতো আকৃতি তৈরি করেছিল। তিনি ভেবেছিলেন, এটাই তাঁর চূড়ান্ত ছবি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যান।
অবশেষে আসে সেই মুহূর্ত। ৫০ তম দিনে তাঁরা এমন এক দৃশ্য দেখেন যা অবিশ্বাস্য! ক্রমবির বন্ধু সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে কয়েক হাজার স্টারলিং একত্রে একটি বিশাল পাখির আকৃতি তৈরি করে এবং তা পানিতে প্রতিফলিত হয়। ক্রমবি বলেন, ‘আমি জানতাম, আমি ঠিক সময়েই শট নিয়েছি।’ তিনি দ্রুত তাঁর গাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন এবং ছবিটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করেন।
তিনি কয়েকজন পরিচিত আলোকচিত্রীকে ছবিটি পাঠিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি সত্যিই একটা দুর্দান্ত কিছু পেয়ে গেছি!’
ছবিটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। এটি আইরিশ টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাফের দেয়ালে ও নরওয়ের একটি ভবনের শাটার দরজায় এটি স্থান পায়।
এই ছবি ক্রমবির ক্যারিয়ারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তিনি আবারও পেশাদার ক্রীড়া ফটোগ্রাফিতে ফিরে গেলেও এখনো নিয়মিত লেকে যান এবং ভবিষ্যতে পুরোপুরি বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। ক্রমবি বলেন, ‘আমি এখনো লেকে যাই। যদিও আমার স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বই প্রকাশের পর এই প্রকল্প শেষ করব। কিন্তু পাব (বার) বা গলফ খেলার চেয়ে এটা অনেক ভালো সময় কাটানোর উপায়!’

আইরিশ ফটোগ্রাফার জেমস ক্রমবি নিজেই স্বীকার করেছেন, করোনা মহামারির আগে পর্যন্ত স্টারলিং পাখিদের সম্পর্কে তাঁর বিশেষ কিছু জানা ছিল না। পেশাদার ক্রীড়া আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি মূলত অলিম্পিক, রাগবি ও আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় হারলিং খেলা কভার করতেন। তবে মহামারির কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি আকস্মিকভাবেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
সূচনাটি হয়েছিল এক শোকগ্রস্ত এক বন্ধুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে। মহামারির সময় সেই বন্ধুটি ক্রমবিকে কাছাকাছি একটি লেকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ওই লেকের আকাশে স্টারলিং পাখিদের বিচিত্র নৃত্য দেখা যায়। ক্রমবি অবশ্য তাঁর ক্যামেরাটি সঙ্গে নিয়ে যেতে ভোলেননি। এই ক্যামেরাটি দ্রুতগতির মুহূর্ত ক্যাপচারের জন্য বিশেষায়িত।
ক্রমবির মতে, প্রকৃতি হোক কিংবা ক্রীড়া, ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারের হাতে থাকে মাত্র একটি মুহূর্ত। উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ-গতির শট এবং উপযুক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের মানসিক প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল। আর ক্রমবির জন্য এটি এক নতুন আবেগের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি স্টারলিং পাখিদের ছবি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা ক্রমবি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শিখতাম—কোথায় দাঁড়ালে ভালো শট পাওয়া যাবে, পাখিরা কোন দিকে উড়বে ইত্যাদি। এটা একটা নেশায় পরিণত হলো।’
স্টারলিং পাখিরা কেন এভাবে একসঙ্গে উড়ে তা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয়, এটি শিকারিদের (যেমন—বাজপাখি) হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি কৌশল। এই ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং এতে হাজার হাজার পাখি অংশ নিতে পারে।
ক্রমবি লক্ষ্য করেন—স্টারলিং পাখিরা একসঙ্গে ওড়ার সময় কখনো কখনো এমন সব আকৃতি তৈরি করে যা বিমূর্ত চিত্রকর্মের মতো মনে হয়। তাই তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং ভাবতে শুরু করেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে তিনি এমন একটি ছবি তুলতে পারবেন যা দেখতে পরিচিত কোনো আকৃতির মতো লাগবে।
প্রায় এক মাসের চেষ্টার পর, একদিন তিনি এমন একটি ছবি তোলেন যেখানে স্টারলিং পাখিদের দল একটি গাছের মতো আকৃতি তৈরি করেছিল। তিনি ভেবেছিলেন, এটাই তাঁর চূড়ান্ত ছবি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যান।
অবশেষে আসে সেই মুহূর্ত। ৫০ তম দিনে তাঁরা এমন এক দৃশ্য দেখেন যা অবিশ্বাস্য! ক্রমবির বন্ধু সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে কয়েক হাজার স্টারলিং একত্রে একটি বিশাল পাখির আকৃতি তৈরি করে এবং তা পানিতে প্রতিফলিত হয়। ক্রমবি বলেন, ‘আমি জানতাম, আমি ঠিক সময়েই শট নিয়েছি।’ তিনি দ্রুত তাঁর গাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন এবং ছবিটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করেন।
তিনি কয়েকজন পরিচিত আলোকচিত্রীকে ছবিটি পাঠিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি সত্যিই একটা দুর্দান্ত কিছু পেয়ে গেছি!’
ছবিটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। এটি আইরিশ টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাফের দেয়ালে ও নরওয়ের একটি ভবনের শাটার দরজায় এটি স্থান পায়।
এই ছবি ক্রমবির ক্যারিয়ারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তিনি আবারও পেশাদার ক্রীড়া ফটোগ্রাফিতে ফিরে গেলেও এখনো নিয়মিত লেকে যান এবং ভবিষ্যতে পুরোপুরি বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। ক্রমবি বলেন, ‘আমি এখনো লেকে যাই। যদিও আমার স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বই প্রকাশের পর এই প্রকল্প শেষ করব। কিন্তু পাব (বার) বা গলফ খেলার চেয়ে এটা অনেক ভালো সময় কাটানোর উপায়!’

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের...
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে