অনলাইন ডেস্ক
আইরিশ ফটোগ্রাফার জেমস ক্রমবি নিজেই স্বীকার করেছেন, করোনা মহামারির আগে পর্যন্ত স্টারলিং পাখিদের সম্পর্কে তাঁর বিশেষ কিছু জানা ছিল না। পেশাদার ক্রীড়া আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি মূলত অলিম্পিক, রাগবি ও আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় হারলিং খেলা কভার করতেন। তবে মহামারির কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি আকস্মিকভাবেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
সূচনাটি হয়েছিল এক শোকগ্রস্ত এক বন্ধুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে। মহামারির সময় সেই বন্ধুটি ক্রমবিকে কাছাকাছি একটি লেকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ওই লেকের আকাশে স্টারলিং পাখিদের বিচিত্র নৃত্য দেখা যায়। ক্রমবি অবশ্য তাঁর ক্যামেরাটি সঙ্গে নিয়ে যেতে ভোলেননি। এই ক্যামেরাটি দ্রুতগতির মুহূর্ত ক্যাপচারের জন্য বিশেষায়িত।
ক্রমবির মতে, প্রকৃতি হোক কিংবা ক্রীড়া, ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারের হাতে থাকে মাত্র একটি মুহূর্ত। উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ-গতির শট এবং উপযুক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের মানসিক প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল। আর ক্রমবির জন্য এটি এক নতুন আবেগের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি স্টারলিং পাখিদের ছবি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা ক্রমবি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শিখতাম—কোথায় দাঁড়ালে ভালো শট পাওয়া যাবে, পাখিরা কোন দিকে উড়বে ইত্যাদি। এটা একটা নেশায় পরিণত হলো।’
স্টারলিং পাখিরা কেন এভাবে একসঙ্গে উড়ে তা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয়, এটি শিকারিদের (যেমন—বাজপাখি) হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি কৌশল। এই ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং এতে হাজার হাজার পাখি অংশ নিতে পারে।
ক্রমবি লক্ষ্য করেন—স্টারলিং পাখিরা একসঙ্গে ওড়ার সময় কখনো কখনো এমন সব আকৃতি তৈরি করে যা বিমূর্ত চিত্রকর্মের মতো মনে হয়। তাই তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং ভাবতে শুরু করেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে তিনি এমন একটি ছবি তুলতে পারবেন যা দেখতে পরিচিত কোনো আকৃতির মতো লাগবে।
প্রায় এক মাসের চেষ্টার পর, একদিন তিনি এমন একটি ছবি তোলেন যেখানে স্টারলিং পাখিদের দল একটি গাছের মতো আকৃতি তৈরি করেছিল। তিনি ভেবেছিলেন, এটাই তাঁর চূড়ান্ত ছবি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যান।
অবশেষে আসে সেই মুহূর্ত। ৫০ তম দিনে তাঁরা এমন এক দৃশ্য দেখেন যা অবিশ্বাস্য! ক্রমবির বন্ধু সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে কয়েক হাজার স্টারলিং একত্রে একটি বিশাল পাখির আকৃতি তৈরি করে এবং তা পানিতে প্রতিফলিত হয়। ক্রমবি বলেন, ‘আমি জানতাম, আমি ঠিক সময়েই শট নিয়েছি।’ তিনি দ্রুত তাঁর গাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন এবং ছবিটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করেন।
তিনি কয়েকজন পরিচিত আলোকচিত্রীকে ছবিটি পাঠিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি সত্যিই একটা দুর্দান্ত কিছু পেয়ে গেছি!’
ছবিটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। এটি আইরিশ টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাফের দেয়ালে ও নরওয়ের একটি ভবনের শাটার দরজায় এটি স্থান পায়।
এই ছবি ক্রমবির ক্যারিয়ারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তিনি আবারও পেশাদার ক্রীড়া ফটোগ্রাফিতে ফিরে গেলেও এখনো নিয়মিত লেকে যান এবং ভবিষ্যতে পুরোপুরি বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। ক্রমবি বলেন, ‘আমি এখনো লেকে যাই। যদিও আমার স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বই প্রকাশের পর এই প্রকল্প শেষ করব। কিন্তু পাব (বার) বা গলফ খেলার চেয়ে এটা অনেক ভালো সময় কাটানোর উপায়!’
আইরিশ ফটোগ্রাফার জেমস ক্রমবি নিজেই স্বীকার করেছেন, করোনা মহামারির আগে পর্যন্ত স্টারলিং পাখিদের সম্পর্কে তাঁর বিশেষ কিছু জানা ছিল না। পেশাদার ক্রীড়া আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি মূলত অলিম্পিক, রাগবি ও আয়ারল্যান্ডের জনপ্রিয় হারলিং খেলা কভার করতেন। তবে মহামারির কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি আকস্মিকভাবেই প্রকৃতির ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
সূচনাটি হয়েছিল এক শোকগ্রস্ত এক বন্ধুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে। মহামারির সময় সেই বন্ধুটি ক্রমবিকে কাছাকাছি একটি লেকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ওই লেকের আকাশে স্টারলিং পাখিদের বিচিত্র নৃত্য দেখা যায়। ক্রমবি অবশ্য তাঁর ক্যামেরাটি সঙ্গে নিয়ে যেতে ভোলেননি। এই ক্যামেরাটি দ্রুতগতির মুহূর্ত ক্যাপচারের জন্য বিশেষায়িত।
ক্রমবির মতে, প্রকৃতি হোক কিংবা ক্রীড়া, ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারের হাতে থাকে মাত্র একটি মুহূর্ত। উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ-গতির শট এবং উপযুক্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, সেই লেকে প্রথম দিন গিয়ে প্রায় ১০০টি স্টারলিং পাখিকে একসঙ্গে উড়তে দেখেছিলেন ক্রমবি এবং তাঁর বন্ধু। পরের কয়েক সপ্তাহ তারা প্রতিদিনই ওই লেকে গিয়ে বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিদিনের এই কাজটি ক্রমবির শোকগ্রস্ত বন্ধুটির জন্য এক ধরনের মানসিক প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল। আর ক্রমবির জন্য এটি এক নতুন আবেগের জন্ম দেয়।
সম্প্রতি স্টারলিং পাখিদের ছবি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা ক্রমবি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা নতুন কিছু শিখতাম—কোথায় দাঁড়ালে ভালো শট পাওয়া যাবে, পাখিরা কোন দিকে উড়বে ইত্যাদি। এটা একটা নেশায় পরিণত হলো।’
স্টারলিং পাখিরা কেন এভাবে একসঙ্গে উড়ে তা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয়, এটি শিকারিদের (যেমন—বাজপাখি) হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি কৌশল। এই ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং এতে হাজার হাজার পাখি অংশ নিতে পারে।
ক্রমবি লক্ষ্য করেন—স্টারলিং পাখিরা একসঙ্গে ওড়ার সময় কখনো কখনো এমন সব আকৃতি তৈরি করে যা বিমূর্ত চিত্রকর্মের মতো মনে হয়। তাই তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং ভাবতে শুরু করেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে তিনি এমন একটি ছবি তুলতে পারবেন যা দেখতে পরিচিত কোনো আকৃতির মতো লাগবে।
প্রায় এক মাসের চেষ্টার পর, একদিন তিনি এমন একটি ছবি তোলেন যেখানে স্টারলিং পাখিদের দল একটি গাছের মতো আকৃতি তৈরি করেছিল। তিনি ভেবেছিলেন, এটাই তাঁর চূড়ান্ত ছবি। কিন্তু তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যান।
অবশেষে আসে সেই মুহূর্ত। ৫০ তম দিনে তাঁরা এমন এক দৃশ্য দেখেন যা অবিশ্বাস্য! ক্রমবির বন্ধু সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে কয়েক হাজার স্টারলিং একত্রে একটি বিশাল পাখির আকৃতি তৈরি করে এবং তা পানিতে প্রতিফলিত হয়। ক্রমবি বলেন, ‘আমি জানতাম, আমি ঠিক সময়েই শট নিয়েছি।’ তিনি দ্রুত তাঁর গাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন এবং ছবিটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করেন।
তিনি কয়েকজন পরিচিত আলোকচিত্রীকে ছবিটি পাঠিয়ে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি সত্যিই একটা দুর্দান্ত কিছু পেয়ে গেছি!’
ছবিটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। এটি আইরিশ টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপা হয়, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাফের দেয়ালে ও নরওয়ের একটি ভবনের শাটার দরজায় এটি স্থান পায়।
এই ছবি ক্রমবির ক্যারিয়ারেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তিনি আবারও পেশাদার ক্রীড়া ফটোগ্রাফিতে ফিরে গেলেও এখনো নিয়মিত লেকে যান এবং ভবিষ্যতে পুরোপুরি বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফিতে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। ক্রমবি বলেন, ‘আমি এখনো লেকে যাই। যদিও আমার স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বই প্রকাশের পর এই প্রকল্প শেষ করব। কিন্তু পাব (বার) বা গলফ খেলার চেয়ে এটা অনেক ভালো সময় কাটানোর উপায়!’
বাংলাদেশের বন থেকে ৩১ প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্তির পথে রয়েছে আরও ৩৯০ প্রজাতির প্রাণী। বিলুপ্তির পথে থাকা প্রাণী রক্ষা এবং বিলুপ্ত হওয়া প্রাণী বনে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ময়ূর দিয়ে বিলুপ্ত প্রাণী বনে ফেরাতে চায় সরকার
৫ ঘণ্টা আগেশব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এ জন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে...
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস বর্তমানে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী শহরটি। গতকাল তালিকায় সপ্তম স্থানে থাকলেও আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার রেকর্ড অনুযায়ী, ২৫৮ বায়ুমান নিয়ে ঢাকা প্রথম স্থানে রয়েছে। গতকাল এই সময়ে ঢাকার বায়ুমান
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন রোম ও চীনে মূত্রকে প্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সম্প্রতি চীনা বিজ্ঞানীরাও মূত্র ব্যবহার করে সার উৎপাদনের চেষ্টা করছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের কৃষকেরা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি টেকসই কৃষির লক্ষ্যে প্রাচীন চীনা ও রোমক পদ্ধতি আবারও গ্রহণ করছেন।
২ দিন আগে