ইশতিয়াক হাসান
২০২০-এর ডিসেম্বর। বান্দরবানের বগা লেক থেকে কেওক্রাডাং যাচ্ছিলাম হেঁটে। পথে দার্জিলিং পাড়ায় পৌঁছানোর বেশ কতকটা আগে উঁচু এক পাহাড় পড়ে। হাঁপাতে হাঁপাতে ওটায় উঠে পড়লাম। সেখানে বমদের কয়েকটা ছাপড়া দোকান। অনেকটা পথ হেঁটে, পাহাড় বেয়ে ক্লান্ত পর্যটকদের কাছে ফল ও এটা-সেটা বিক্রি করেন বমরা। এ রকম একটি দোকানের বেঞ্চে বসে লেবুর শরবত পান করতে করতে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম। এ সময় সঙ্গে করে আনা বাঘ, চিতা বাঘ, মেঘলা চিতাসহ বিভিন্ন প্রাণীর ছবি দেখাতে লাগলাম বম নারী-পুরুষদের। একপর্যায়ে একটা ছবি দেখিয়ে একজন বললেন, লতা বাঘ আছে এদিককার পাহাড়ে। অবাক হলাম, স্থানীয় বম নামের পাশাপাশি লতা বাঘ নামেও একে তাঁরা চেনেন দেখে।
অবশ্য লতা বাঘ নামটির সঙ্গে পরিচিত এই ভ্রমণেরও এক যুগ আগে। সালটা ২০০৭-০৮। বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বন-পাহাড়ে। কয়েকটা দিন রাম পাহাড়, সীতা পাহাড় এবং কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গল, ঝিরিতে দারুণ রোমাঞ্চকর সময় কাটল। তখনই ওখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে শুনি লতা বাঘের গল্প। গাছে চড়ায় নাকি ওদের জুড়ি মেলা ভার। বর্ণনা শুনে অনুমান করলাম, জন্তুটা মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ হতে পারে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান ভাই কাপ্তাইয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবিও পান।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রিয় এই প্রাণীকে এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। দেখেছি বন্দী অবস্থায়, কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এবং ভারতের দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায়।
আজ ৪ আগস্ট। বিশ্ব মেঘলা চিতা দিবস। মেঘলা চিতা নিয়ে পুরোনো দিনের এবং এখনকার আরও অনেক গল্পই হবে। তবে এর আগে বরং সংক্ষেপে জেনে নেই, সে দেখতে কেমন।
গায়ের রং ধূসর থেকে মেটে বাদামি। শরীরে মেঘের মতো ছোপ ছোপ। তাই নাম ক্লাউডেড ল্যাপার্ড বা মেঘলা চিতা। অবশ্য আরও নানা নাম আছে প্রাণীটির। গেছো বাঘ, মেঘা বাঘ, লাম চিতা ইত্যাদি। ওজন ১৮-২০ কেজি। লম্বায় তিন ফুট বা তার বেশি। প্রায় শরীরের সমান লেজটি ভারী সুন্দর। বৃক্ষচর মেঘলা চিতাদের গাছে গাছে কাটে সময়। গাছে চলাফেরার সময় লম্বা লেজটি শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে কাজে লাগে। দিন-রাতের একটা বড় সময় মেঘলা চিতাদের পায়ের পাতা বিড়াল গোত্রের অন্য জন্তুদের মতো নরম নয়, শক্ত।
গাছে বেশি সময় থাকার কারণে এদের প্রিয় শিকার বানর। কখনো ওপর থেকে হরিণ বা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর ওপর লাফিয়ে পড়ে আচমকা। গাছ থেকে নামার সময় মাথা থাকে নিচের দিকে।
একসময় প্রাণিবিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে বুঝি বা মেঘলা চিতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তার পরই এদের বেশ কয়েকটিকে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তক ঘেঁটে যদ্দুর জেনেছি, ১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুটি লাম চিতার বাচ্চা ধরা পড়ে। ২০০৫ সালে পাওয়া যায় ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে। ২০০৯ সালে রাঙামাটির এক পাহাড়ে দুটি বাচ্চা নিয়ে একটি মা লাম চিতা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। স্থানীয়রা তাড়া করলে একটি বাচ্চা নিয়ে মা পালাতে পারলেও অপর বাচ্চাটি ধরা পড়ে। শুনেছি পরে ওই বাচ্চাকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বান্দরবানের থানচি-আলীকদম এলাকায় সাঙ্গু-মাতামুহুরী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ওখানকার খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি। বছর দশেক আগের কথা। বান্দরবানের গহিনে বড় একটি ভ্রমণ শেষে ফিরে পর্বতারোহী ও বনপ্রেমী সালেহীন আরশাদী কথা প্রসঙ্গে জানায়, আন্ধারমানিকে যে পাড়াটায় উঠেছিল, সেখানের এক বাড়িতে একটা মৃত প্রাণীর চামড়া দেখে চিতা বাঘ মনে করে ছবি তুলে এনেছে। ওরা সেখানে পৌঁছার দিন কয়েক আগেই নাকি শিকার করা হয়েছে। অনুরোধ করতেই ছবিটা পাঠিয়ে দিল মেইল করে। দেখেই সন্দেহ হয়, তার পরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাঠাই অধ্যাপক মনিরুল খানকে। যা ভেবেছিলাম তাই, ওটা একটা লাম চিতার চামড়া।
রাঙামাটির সাজেক-কাসালংয়ের পাশেই ভারতের ডামপা টাইগার রিজার্ভ। আমার জানামতে, পৃথিবীর যেসব অরণ্যে মেঘলা চিতার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ডামপা উল্লেখযোগ্য। কাসালং রিজার্ভ ফরেস্ট ও সাজেকের পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাসালংয়ের জঙ্গলে যে এরা এখনো মোটামুটি সংখ্যায় আছে, এর প্রমাণ ক্যামেরা ট্র্যাপে বারবার এদের বন্দী হওয়া। ২০২১ সালের মাঝামাঝি দেশের দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ের খণ্ড বনগুলো করিডরের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর বিষয়ে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে বন বিভাগ। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইইউসিএনকে। এই সমীক্ষার অংশ হিসেবেই অন্য গবেষক, বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যান মনিরুল খান। তখন ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়ে মেঘলা চিতা।
এদিকে বন্যপ্রাণী গবেষক এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমা জানিয়েছেন, গত জুনেও কাসালংয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবি ধরা পড়েছে। একবার নয়, কয়েকবারই তাঁদের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে বন্দী হয়েছে আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণী। এখনো বাংলাদেশের অনেক বনের তুলনায় কাসালংয়ে মেঘলা চিতা ভালো সংখ্যায় থাকতে পারে বলে অনুমান সুপ্রিয় চাকমার।
পাহাড়ি জঙ্গল মেঘলা চিতাদের বেশ প্রিয়। এমনকি হিমালয়ের ৯ হাজার ফুট উচ্চতায়ও দেখা মিলেছে এদের। তবে ম্যানগ্রোভ বনেও বাস করার রেকর্ড আছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তুর। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের ম্যানগ্রোভ অরণ্যে মেঘলা চিতারা সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে।
এবার একটু সিলেটের জঙ্গলের দিকে নজর দিই। একসময় সিলেট অঞ্চলে লাম চিতারা সংখ্যায় বেশ ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। ছোটবেলায় হবিগঞ্জে নানাবাড়িতে গেলে বিশাল লোহাগড়া বাঘ, মাঝারি আকারের ফুলেশ্বরীসহ নানা ধরনের বাঘের গল্প শুনতাম। পরে জানতে পারি, এই ফুলেশ্বরী আসলে গেছো বাঘ বা লাম চিতাই। মুক্তাগাছার জমিদার ব্রজেন্দ্রনারায়ণ আচার্য চৌধুরী তাঁর বই ‘শিকার ও শিকারি’তে লিখেছেন ফুলেশ্বরীর কথা। সেখানেও তিনি এর গাছে চড়ায় দক্ষতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কোথাও কোথাও অবশ্য চিতা বাঘকেও ফুলেশ্বরী বলা হয় বলে শুনেছি।
কর্নেল এইচ এস উড ছিলেন চিকিৎসক। আসাম, বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) ও সিলেটে ছিল পোস্টিং। সিভিল সার্জন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ওই সব এলাকায়। তাঁর বইয়েও সিলেটের বন-পাহাড়ে একসময় অনেকে ক্লাউডেড ল্যাপার্ড থাকার তথ্য আছে। সে সময় এসব মেঘলা চিতা স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে ধরাও পড়ত হঠাৎ হঠাৎ।
এইচ এস উড লিখেছেন, এসব অঞ্চলের লোকেরা একে ‘বান্দর বাঘ’ বলত। তবে গাছ বাওয়ায় দক্ষ বলে, নাকি বানর শিকারে পটু বলে এই নামকরণ—নিশ্চিত হতে পারেননি উড। মেঘলা চিতার ভয়ে বানরদের তিনি দলেবলে গাছে না থেকে পাথরের চাতালে রাত কাটাতে দেখেছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো অবশ্য আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগের। উড একটা লাম চিতা শিকারও করেছিলেন। গাছের প্রায় ৮০ ফুট ওপরে উঠে তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল চিতাটা। তখনই শটগানের গুলিতে মারেন জন্তুটাকে।
সিলেটের জঙ্গলে উঁচু উঁচু গাছে এখনো অল্প হলেও মেঘলা চিতাদের আবাস আছে বলে ধারণা করা হয়। আমার অনুমান, সিলেট বিভাগের রেমা-কালেঙ্গা, লাঠিটিলা, সাগরনাল, আদমপুর-খুরমার মতো অরণ্যগুলোতে মেঘলা চিতাদের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
একটা সময় আমার ধারণা ছিল মেঘলা চিতা বুঝি বা শুধু পাহাড়ি এলাকায়ই থাকতে পারে। তবে খোঁজ-খবর নিতেই জানতে পারি ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে এমনকি শালবনেও এদের থাকার নজির আছে। সাম্প্রতিক এক আলাপে মনিরুল খান জানান, একটা সময় গজনীসহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শালবনে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কিংবা ধরা পড়ার খবর আসত। সেটা অবশ্য গত শতকের নব্বইয়ের দশকের ঘটনা। সে হিসাবে মধুপুর–ভাওয়ালের শালবনেও আগে এরা থাকাটা খুব স্বাভাবিক।
এ ধরনের একটা মেঘলা চিতা শিকারের বিবরণ আছে সরওয়ার পাঠানের শিকার রোমাঞ্চ বইয়ে। ঘটনাটা ১৯৬৭-৬৮ সালের। গাজীপুরের শালবন থেকে একটি গেছো বাঘ শীতলক্ষ্যা পেরিয়ে চলে আসে নরসিংদীর চরসিন্দুরের সুলতানপুর গ্রামে। বেশ কয়েকটা ছাগল আর কুকুর পেটে যায় ওর। ওটাকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তখন শিকার করেন সরওয়ার ভাইয়ের বাবা ফজলুল হক পাঠান।
বাংলাদেশ ছাড়া লাম চিতা আছে ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে। সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপের মেঘলা চিতা বা ক্লাউডেড ল্যাপার্ডদের একটু ভিন্ন ধরনের একটি প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয়, বোর্নিও দ্বীপে বাঘ ও চিতা বাঘের অনুপস্থিতির কারণে মেঘলা চিতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আমার মতে, বাংলাদেশের বনগুলোতে এখন চিতা বাঘের সংখ্যা একেবারে কমে গেলেও মেঘলা চিতারা তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছে।
শাহরিয়ার সিজার রহমানদের সংগঠন ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) ক্যামেরা ট্র্যাপে সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্যে মেঘলা চিতারা বন্দী হয়েছে কয়েকবারই। ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিজার রহমানের ছবিসহ একটি পোস্ট দেখে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেশ নাদুসনুদুস একটা মেঘলা চিতা মারা পড়ছিল আলীকদম এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিকারিদের হাতে।
কয়েক বছর আগে আলীকদমের দুর্গম অঞ্চলে থাকা একজন ম্রোর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাতামুহুরি অরণ্যে এখনো এরা আছে। গহিন জঙ্গলে যাওয়া মানুষেরা দেখা পান হঠাৎ হঠাৎ। পাহাড় ও অরণ্যপ্রেমী অপু নজরুল বছর তিন-চার আগে থানচি থেকে রাতের বেলা বান্দরবান শহরে আসার পথে গাড়ির লাইটের আলোয় রাস্তা পেরিয়ে যেতে দেখেছেন লাম চিতাকে।
মেঘলা চিতারা কিন্তু বাঘ কিংবা চিতা বাঘের মতো গর্জন করতে পারে না। আর পা একটু খাট হওয়ায় মূল আকৃতির তুলনায় একটু ছোট দেখায় এদের। কিন্তু এদের কোনো কোনোটির শরীরের দৈর্ঘ্য চিতা বাঘের কাছাকাছিই। এবার লাম চিতাদের নিয়ে একটা আশ্চর্য তথ্য দিচ্ছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০০ ডিগ্রি কোণে মুখ হাঁ করতে পারে এরা। আবার মাথার খুলির আকার অনুপাতে বিড়াল গোত্রের জন্তুদের মধ্যে এদের শ্বদন্তই সবচেয়ে বড়। অনেকে আদর করে এদের ‘টুথ টাইগার’ বা ‘দাঁতাল বাঘ’ নামে ডাকে। আমি যেমন এদের ‘নয়া জমানার দাঁতাল বাঘ’ বলে বেশ আনন্দ পাই।
সম্ভবত গহীন অরণ্যে বাস এবং গাছে বেশি সময় কাটানোই এদের এখনো দেশের কোনো কোনো বনে টিকিয়ে রেখেছে। উঁচু উঁচু মহিরুহে ডাল, লতাপাতার আড়ালে শরীর মিশিয়ে দিয়ে আরও বহু বছর রহস্যময় মেঘলা চিতারা ফাঁকি দেবে মানুষকে, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবে, শিকার করবে বনে-পাহাড়ে—এটাই আশা।
২০২০-এর ডিসেম্বর। বান্দরবানের বগা লেক থেকে কেওক্রাডাং যাচ্ছিলাম হেঁটে। পথে দার্জিলিং পাড়ায় পৌঁছানোর বেশ কতকটা আগে উঁচু এক পাহাড় পড়ে। হাঁপাতে হাঁপাতে ওটায় উঠে পড়লাম। সেখানে বমদের কয়েকটা ছাপড়া দোকান। অনেকটা পথ হেঁটে, পাহাড় বেয়ে ক্লান্ত পর্যটকদের কাছে ফল ও এটা-সেটা বিক্রি করেন বমরা। এ রকম একটি দোকানের বেঞ্চে বসে লেবুর শরবত পান করতে করতে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম। এ সময় সঙ্গে করে আনা বাঘ, চিতা বাঘ, মেঘলা চিতাসহ বিভিন্ন প্রাণীর ছবি দেখাতে লাগলাম বম নারী-পুরুষদের। একপর্যায়ে একটা ছবি দেখিয়ে একজন বললেন, লতা বাঘ আছে এদিককার পাহাড়ে। অবাক হলাম, স্থানীয় বম নামের পাশাপাশি লতা বাঘ নামেও একে তাঁরা চেনেন দেখে।
অবশ্য লতা বাঘ নামটির সঙ্গে পরিচিত এই ভ্রমণেরও এক যুগ আগে। সালটা ২০০৭-০৮। বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বন-পাহাড়ে। কয়েকটা দিন রাম পাহাড়, সীতা পাহাড় এবং কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গল, ঝিরিতে দারুণ রোমাঞ্চকর সময় কাটল। তখনই ওখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে শুনি লতা বাঘের গল্প। গাছে চড়ায় নাকি ওদের জুড়ি মেলা ভার। বর্ণনা শুনে অনুমান করলাম, জন্তুটা মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ হতে পারে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান ভাই কাপ্তাইয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবিও পান।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রিয় এই প্রাণীকে এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। দেখেছি বন্দী অবস্থায়, কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এবং ভারতের দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায়।
আজ ৪ আগস্ট। বিশ্ব মেঘলা চিতা দিবস। মেঘলা চিতা নিয়ে পুরোনো দিনের এবং এখনকার আরও অনেক গল্পই হবে। তবে এর আগে বরং সংক্ষেপে জেনে নেই, সে দেখতে কেমন।
গায়ের রং ধূসর থেকে মেটে বাদামি। শরীরে মেঘের মতো ছোপ ছোপ। তাই নাম ক্লাউডেড ল্যাপার্ড বা মেঘলা চিতা। অবশ্য আরও নানা নাম আছে প্রাণীটির। গেছো বাঘ, মেঘা বাঘ, লাম চিতা ইত্যাদি। ওজন ১৮-২০ কেজি। লম্বায় তিন ফুট বা তার বেশি। প্রায় শরীরের সমান লেজটি ভারী সুন্দর। বৃক্ষচর মেঘলা চিতাদের গাছে গাছে কাটে সময়। গাছে চলাফেরার সময় লম্বা লেজটি শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে কাজে লাগে। দিন-রাতের একটা বড় সময় মেঘলা চিতাদের পায়ের পাতা বিড়াল গোত্রের অন্য জন্তুদের মতো নরম নয়, শক্ত।
গাছে বেশি সময় থাকার কারণে এদের প্রিয় শিকার বানর। কখনো ওপর থেকে হরিণ বা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর ওপর লাফিয়ে পড়ে আচমকা। গাছ থেকে নামার সময় মাথা থাকে নিচের দিকে।
একসময় প্রাণিবিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে বুঝি বা মেঘলা চিতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তার পরই এদের বেশ কয়েকটিকে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তক ঘেঁটে যদ্দুর জেনেছি, ১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুটি লাম চিতার বাচ্চা ধরা পড়ে। ২০০৫ সালে পাওয়া যায় ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে। ২০০৯ সালে রাঙামাটির এক পাহাড়ে দুটি বাচ্চা নিয়ে একটি মা লাম চিতা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। স্থানীয়রা তাড়া করলে একটি বাচ্চা নিয়ে মা পালাতে পারলেও অপর বাচ্চাটি ধরা পড়ে। শুনেছি পরে ওই বাচ্চাকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বান্দরবানের থানচি-আলীকদম এলাকায় সাঙ্গু-মাতামুহুরী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ওখানকার খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি। বছর দশেক আগের কথা। বান্দরবানের গহিনে বড় একটি ভ্রমণ শেষে ফিরে পর্বতারোহী ও বনপ্রেমী সালেহীন আরশাদী কথা প্রসঙ্গে জানায়, আন্ধারমানিকে যে পাড়াটায় উঠেছিল, সেখানের এক বাড়িতে একটা মৃত প্রাণীর চামড়া দেখে চিতা বাঘ মনে করে ছবি তুলে এনেছে। ওরা সেখানে পৌঁছার দিন কয়েক আগেই নাকি শিকার করা হয়েছে। অনুরোধ করতেই ছবিটা পাঠিয়ে দিল মেইল করে। দেখেই সন্দেহ হয়, তার পরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাঠাই অধ্যাপক মনিরুল খানকে। যা ভেবেছিলাম তাই, ওটা একটা লাম চিতার চামড়া।
রাঙামাটির সাজেক-কাসালংয়ের পাশেই ভারতের ডামপা টাইগার রিজার্ভ। আমার জানামতে, পৃথিবীর যেসব অরণ্যে মেঘলা চিতার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ডামপা উল্লেখযোগ্য। কাসালং রিজার্ভ ফরেস্ট ও সাজেকের পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাসালংয়ের জঙ্গলে যে এরা এখনো মোটামুটি সংখ্যায় আছে, এর প্রমাণ ক্যামেরা ট্র্যাপে বারবার এদের বন্দী হওয়া। ২০২১ সালের মাঝামাঝি দেশের দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ের খণ্ড বনগুলো করিডরের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর বিষয়ে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে বন বিভাগ। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইইউসিএনকে। এই সমীক্ষার অংশ হিসেবেই অন্য গবেষক, বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যান মনিরুল খান। তখন ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়ে মেঘলা চিতা।
এদিকে বন্যপ্রাণী গবেষক এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমা জানিয়েছেন, গত জুনেও কাসালংয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবি ধরা পড়েছে। একবার নয়, কয়েকবারই তাঁদের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে বন্দী হয়েছে আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণী। এখনো বাংলাদেশের অনেক বনের তুলনায় কাসালংয়ে মেঘলা চিতা ভালো সংখ্যায় থাকতে পারে বলে অনুমান সুপ্রিয় চাকমার।
পাহাড়ি জঙ্গল মেঘলা চিতাদের বেশ প্রিয়। এমনকি হিমালয়ের ৯ হাজার ফুট উচ্চতায়ও দেখা মিলেছে এদের। তবে ম্যানগ্রোভ বনেও বাস করার রেকর্ড আছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তুর। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের ম্যানগ্রোভ অরণ্যে মেঘলা চিতারা সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে।
এবার একটু সিলেটের জঙ্গলের দিকে নজর দিই। একসময় সিলেট অঞ্চলে লাম চিতারা সংখ্যায় বেশ ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। ছোটবেলায় হবিগঞ্জে নানাবাড়িতে গেলে বিশাল লোহাগড়া বাঘ, মাঝারি আকারের ফুলেশ্বরীসহ নানা ধরনের বাঘের গল্প শুনতাম। পরে জানতে পারি, এই ফুলেশ্বরী আসলে গেছো বাঘ বা লাম চিতাই। মুক্তাগাছার জমিদার ব্রজেন্দ্রনারায়ণ আচার্য চৌধুরী তাঁর বই ‘শিকার ও শিকারি’তে লিখেছেন ফুলেশ্বরীর কথা। সেখানেও তিনি এর গাছে চড়ায় দক্ষতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কোথাও কোথাও অবশ্য চিতা বাঘকেও ফুলেশ্বরী বলা হয় বলে শুনেছি।
কর্নেল এইচ এস উড ছিলেন চিকিৎসক। আসাম, বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) ও সিলেটে ছিল পোস্টিং। সিভিল সার্জন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ওই সব এলাকায়। তাঁর বইয়েও সিলেটের বন-পাহাড়ে একসময় অনেকে ক্লাউডেড ল্যাপার্ড থাকার তথ্য আছে। সে সময় এসব মেঘলা চিতা স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে ধরাও পড়ত হঠাৎ হঠাৎ।
এইচ এস উড লিখেছেন, এসব অঞ্চলের লোকেরা একে ‘বান্দর বাঘ’ বলত। তবে গাছ বাওয়ায় দক্ষ বলে, নাকি বানর শিকারে পটু বলে এই নামকরণ—নিশ্চিত হতে পারেননি উড। মেঘলা চিতার ভয়ে বানরদের তিনি দলেবলে গাছে না থেকে পাথরের চাতালে রাত কাটাতে দেখেছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো অবশ্য আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগের। উড একটা লাম চিতা শিকারও করেছিলেন। গাছের প্রায় ৮০ ফুট ওপরে উঠে তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল চিতাটা। তখনই শটগানের গুলিতে মারেন জন্তুটাকে।
সিলেটের জঙ্গলে উঁচু উঁচু গাছে এখনো অল্প হলেও মেঘলা চিতাদের আবাস আছে বলে ধারণা করা হয়। আমার অনুমান, সিলেট বিভাগের রেমা-কালেঙ্গা, লাঠিটিলা, সাগরনাল, আদমপুর-খুরমার মতো অরণ্যগুলোতে মেঘলা চিতাদের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
একটা সময় আমার ধারণা ছিল মেঘলা চিতা বুঝি বা শুধু পাহাড়ি এলাকায়ই থাকতে পারে। তবে খোঁজ-খবর নিতেই জানতে পারি ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে এমনকি শালবনেও এদের থাকার নজির আছে। সাম্প্রতিক এক আলাপে মনিরুল খান জানান, একটা সময় গজনীসহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শালবনে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কিংবা ধরা পড়ার খবর আসত। সেটা অবশ্য গত শতকের নব্বইয়ের দশকের ঘটনা। সে হিসাবে মধুপুর–ভাওয়ালের শালবনেও আগে এরা থাকাটা খুব স্বাভাবিক।
এ ধরনের একটা মেঘলা চিতা শিকারের বিবরণ আছে সরওয়ার পাঠানের শিকার রোমাঞ্চ বইয়ে। ঘটনাটা ১৯৬৭-৬৮ সালের। গাজীপুরের শালবন থেকে একটি গেছো বাঘ শীতলক্ষ্যা পেরিয়ে চলে আসে নরসিংদীর চরসিন্দুরের সুলতানপুর গ্রামে। বেশ কয়েকটা ছাগল আর কুকুর পেটে যায় ওর। ওটাকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তখন শিকার করেন সরওয়ার ভাইয়ের বাবা ফজলুল হক পাঠান।
বাংলাদেশ ছাড়া লাম চিতা আছে ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে। সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপের মেঘলা চিতা বা ক্লাউডেড ল্যাপার্ডদের একটু ভিন্ন ধরনের একটি প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয়, বোর্নিও দ্বীপে বাঘ ও চিতা বাঘের অনুপস্থিতির কারণে মেঘলা চিতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আমার মতে, বাংলাদেশের বনগুলোতে এখন চিতা বাঘের সংখ্যা একেবারে কমে গেলেও মেঘলা চিতারা তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছে।
শাহরিয়ার সিজার রহমানদের সংগঠন ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) ক্যামেরা ট্র্যাপে সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্যে মেঘলা চিতারা বন্দী হয়েছে কয়েকবারই। ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিজার রহমানের ছবিসহ একটি পোস্ট দেখে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেশ নাদুসনুদুস একটা মেঘলা চিতা মারা পড়ছিল আলীকদম এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিকারিদের হাতে।
কয়েক বছর আগে আলীকদমের দুর্গম অঞ্চলে থাকা একজন ম্রোর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাতামুহুরি অরণ্যে এখনো এরা আছে। গহিন জঙ্গলে যাওয়া মানুষেরা দেখা পান হঠাৎ হঠাৎ। পাহাড় ও অরণ্যপ্রেমী অপু নজরুল বছর তিন-চার আগে থানচি থেকে রাতের বেলা বান্দরবান শহরে আসার পথে গাড়ির লাইটের আলোয় রাস্তা পেরিয়ে যেতে দেখেছেন লাম চিতাকে।
মেঘলা চিতারা কিন্তু বাঘ কিংবা চিতা বাঘের মতো গর্জন করতে পারে না। আর পা একটু খাট হওয়ায় মূল আকৃতির তুলনায় একটু ছোট দেখায় এদের। কিন্তু এদের কোনো কোনোটির শরীরের দৈর্ঘ্য চিতা বাঘের কাছাকাছিই। এবার লাম চিতাদের নিয়ে একটা আশ্চর্য তথ্য দিচ্ছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০০ ডিগ্রি কোণে মুখ হাঁ করতে পারে এরা। আবার মাথার খুলির আকার অনুপাতে বিড়াল গোত্রের জন্তুদের মধ্যে এদের শ্বদন্তই সবচেয়ে বড়। অনেকে আদর করে এদের ‘টুথ টাইগার’ বা ‘দাঁতাল বাঘ’ নামে ডাকে। আমি যেমন এদের ‘নয়া জমানার দাঁতাল বাঘ’ বলে বেশ আনন্দ পাই।
সম্ভবত গহীন অরণ্যে বাস এবং গাছে বেশি সময় কাটানোই এদের এখনো দেশের কোনো কোনো বনে টিকিয়ে রেখেছে। উঁচু উঁচু মহিরুহে ডাল, লতাপাতার আড়ালে শরীর মিশিয়ে দিয়ে আরও বহু বছর রহস্যময় মেঘলা চিতারা ফাঁকি দেবে মানুষকে, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবে, শিকার করবে বনে-পাহাড়ে—এটাই আশা।
ইশতিয়াক হাসান
২০২০-এর ডিসেম্বর। বান্দরবানের বগা লেক থেকে কেওক্রাডাং যাচ্ছিলাম হেঁটে। পথে দার্জিলিং পাড়ায় পৌঁছানোর বেশ কতকটা আগে উঁচু এক পাহাড় পড়ে। হাঁপাতে হাঁপাতে ওটায় উঠে পড়লাম। সেখানে বমদের কয়েকটা ছাপড়া দোকান। অনেকটা পথ হেঁটে, পাহাড় বেয়ে ক্লান্ত পর্যটকদের কাছে ফল ও এটা-সেটা বিক্রি করেন বমরা। এ রকম একটি দোকানের বেঞ্চে বসে লেবুর শরবত পান করতে করতে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম। এ সময় সঙ্গে করে আনা বাঘ, চিতা বাঘ, মেঘলা চিতাসহ বিভিন্ন প্রাণীর ছবি দেখাতে লাগলাম বম নারী-পুরুষদের। একপর্যায়ে একটা ছবি দেখিয়ে একজন বললেন, লতা বাঘ আছে এদিককার পাহাড়ে। অবাক হলাম, স্থানীয় বম নামের পাশাপাশি লতা বাঘ নামেও একে তাঁরা চেনেন দেখে।
অবশ্য লতা বাঘ নামটির সঙ্গে পরিচিত এই ভ্রমণেরও এক যুগ আগে। সালটা ২০০৭-০৮। বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বন-পাহাড়ে। কয়েকটা দিন রাম পাহাড়, সীতা পাহাড় এবং কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গল, ঝিরিতে দারুণ রোমাঞ্চকর সময় কাটল। তখনই ওখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে শুনি লতা বাঘের গল্প। গাছে চড়ায় নাকি ওদের জুড়ি মেলা ভার। বর্ণনা শুনে অনুমান করলাম, জন্তুটা মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ হতে পারে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান ভাই কাপ্তাইয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবিও পান।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রিয় এই প্রাণীকে এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। দেখেছি বন্দী অবস্থায়, কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এবং ভারতের দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায়।
আজ ৪ আগস্ট। বিশ্ব মেঘলা চিতা দিবস। মেঘলা চিতা নিয়ে পুরোনো দিনের এবং এখনকার আরও অনেক গল্পই হবে। তবে এর আগে বরং সংক্ষেপে জেনে নেই, সে দেখতে কেমন।
গায়ের রং ধূসর থেকে মেটে বাদামি। শরীরে মেঘের মতো ছোপ ছোপ। তাই নাম ক্লাউডেড ল্যাপার্ড বা মেঘলা চিতা। অবশ্য আরও নানা নাম আছে প্রাণীটির। গেছো বাঘ, মেঘা বাঘ, লাম চিতা ইত্যাদি। ওজন ১৮-২০ কেজি। লম্বায় তিন ফুট বা তার বেশি। প্রায় শরীরের সমান লেজটি ভারী সুন্দর। বৃক্ষচর মেঘলা চিতাদের গাছে গাছে কাটে সময়। গাছে চলাফেরার সময় লম্বা লেজটি শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে কাজে লাগে। দিন-রাতের একটা বড় সময় মেঘলা চিতাদের পায়ের পাতা বিড়াল গোত্রের অন্য জন্তুদের মতো নরম নয়, শক্ত।
গাছে বেশি সময় থাকার কারণে এদের প্রিয় শিকার বানর। কখনো ওপর থেকে হরিণ বা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর ওপর লাফিয়ে পড়ে আচমকা। গাছ থেকে নামার সময় মাথা থাকে নিচের দিকে।
একসময় প্রাণিবিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে বুঝি বা মেঘলা চিতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তার পরই এদের বেশ কয়েকটিকে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তক ঘেঁটে যদ্দুর জেনেছি, ১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুটি লাম চিতার বাচ্চা ধরা পড়ে। ২০০৫ সালে পাওয়া যায় ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে। ২০০৯ সালে রাঙামাটির এক পাহাড়ে দুটি বাচ্চা নিয়ে একটি মা লাম চিতা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। স্থানীয়রা তাড়া করলে একটি বাচ্চা নিয়ে মা পালাতে পারলেও অপর বাচ্চাটি ধরা পড়ে। শুনেছি পরে ওই বাচ্চাকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বান্দরবানের থানচি-আলীকদম এলাকায় সাঙ্গু-মাতামুহুরী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ওখানকার খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি। বছর দশেক আগের কথা। বান্দরবানের গহিনে বড় একটি ভ্রমণ শেষে ফিরে পর্বতারোহী ও বনপ্রেমী সালেহীন আরশাদী কথা প্রসঙ্গে জানায়, আন্ধারমানিকে যে পাড়াটায় উঠেছিল, সেখানের এক বাড়িতে একটা মৃত প্রাণীর চামড়া দেখে চিতা বাঘ মনে করে ছবি তুলে এনেছে। ওরা সেখানে পৌঁছার দিন কয়েক আগেই নাকি শিকার করা হয়েছে। অনুরোধ করতেই ছবিটা পাঠিয়ে দিল মেইল করে। দেখেই সন্দেহ হয়, তার পরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাঠাই অধ্যাপক মনিরুল খানকে। যা ভেবেছিলাম তাই, ওটা একটা লাম চিতার চামড়া।
রাঙামাটির সাজেক-কাসালংয়ের পাশেই ভারতের ডামপা টাইগার রিজার্ভ। আমার জানামতে, পৃথিবীর যেসব অরণ্যে মেঘলা চিতার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ডামপা উল্লেখযোগ্য। কাসালং রিজার্ভ ফরেস্ট ও সাজেকের পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাসালংয়ের জঙ্গলে যে এরা এখনো মোটামুটি সংখ্যায় আছে, এর প্রমাণ ক্যামেরা ট্র্যাপে বারবার এদের বন্দী হওয়া। ২০২১ সালের মাঝামাঝি দেশের দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ের খণ্ড বনগুলো করিডরের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর বিষয়ে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে বন বিভাগ। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইইউসিএনকে। এই সমীক্ষার অংশ হিসেবেই অন্য গবেষক, বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যান মনিরুল খান। তখন ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়ে মেঘলা চিতা।
এদিকে বন্যপ্রাণী গবেষক এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমা জানিয়েছেন, গত জুনেও কাসালংয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবি ধরা পড়েছে। একবার নয়, কয়েকবারই তাঁদের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে বন্দী হয়েছে আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণী। এখনো বাংলাদেশের অনেক বনের তুলনায় কাসালংয়ে মেঘলা চিতা ভালো সংখ্যায় থাকতে পারে বলে অনুমান সুপ্রিয় চাকমার।
পাহাড়ি জঙ্গল মেঘলা চিতাদের বেশ প্রিয়। এমনকি হিমালয়ের ৯ হাজার ফুট উচ্চতায়ও দেখা মিলেছে এদের। তবে ম্যানগ্রোভ বনেও বাস করার রেকর্ড আছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তুর। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের ম্যানগ্রোভ অরণ্যে মেঘলা চিতারা সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে।
এবার একটু সিলেটের জঙ্গলের দিকে নজর দিই। একসময় সিলেট অঞ্চলে লাম চিতারা সংখ্যায় বেশ ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। ছোটবেলায় হবিগঞ্জে নানাবাড়িতে গেলে বিশাল লোহাগড়া বাঘ, মাঝারি আকারের ফুলেশ্বরীসহ নানা ধরনের বাঘের গল্প শুনতাম। পরে জানতে পারি, এই ফুলেশ্বরী আসলে গেছো বাঘ বা লাম চিতাই। মুক্তাগাছার জমিদার ব্রজেন্দ্রনারায়ণ আচার্য চৌধুরী তাঁর বই ‘শিকার ও শিকারি’তে লিখেছেন ফুলেশ্বরীর কথা। সেখানেও তিনি এর গাছে চড়ায় দক্ষতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কোথাও কোথাও অবশ্য চিতা বাঘকেও ফুলেশ্বরী বলা হয় বলে শুনেছি।
কর্নেল এইচ এস উড ছিলেন চিকিৎসক। আসাম, বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) ও সিলেটে ছিল পোস্টিং। সিভিল সার্জন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ওই সব এলাকায়। তাঁর বইয়েও সিলেটের বন-পাহাড়ে একসময় অনেকে ক্লাউডেড ল্যাপার্ড থাকার তথ্য আছে। সে সময় এসব মেঘলা চিতা স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে ধরাও পড়ত হঠাৎ হঠাৎ।
এইচ এস উড লিখেছেন, এসব অঞ্চলের লোকেরা একে ‘বান্দর বাঘ’ বলত। তবে গাছ বাওয়ায় দক্ষ বলে, নাকি বানর শিকারে পটু বলে এই নামকরণ—নিশ্চিত হতে পারেননি উড। মেঘলা চিতার ভয়ে বানরদের তিনি দলেবলে গাছে না থেকে পাথরের চাতালে রাত কাটাতে দেখেছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো অবশ্য আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগের। উড একটা লাম চিতা শিকারও করেছিলেন। গাছের প্রায় ৮০ ফুট ওপরে উঠে তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল চিতাটা। তখনই শটগানের গুলিতে মারেন জন্তুটাকে।
সিলেটের জঙ্গলে উঁচু উঁচু গাছে এখনো অল্প হলেও মেঘলা চিতাদের আবাস আছে বলে ধারণা করা হয়। আমার অনুমান, সিলেট বিভাগের রেমা-কালেঙ্গা, লাঠিটিলা, সাগরনাল, আদমপুর-খুরমার মতো অরণ্যগুলোতে মেঘলা চিতাদের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
একটা সময় আমার ধারণা ছিল মেঘলা চিতা বুঝি বা শুধু পাহাড়ি এলাকায়ই থাকতে পারে। তবে খোঁজ-খবর নিতেই জানতে পারি ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে এমনকি শালবনেও এদের থাকার নজির আছে। সাম্প্রতিক এক আলাপে মনিরুল খান জানান, একটা সময় গজনীসহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শালবনে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কিংবা ধরা পড়ার খবর আসত। সেটা অবশ্য গত শতকের নব্বইয়ের দশকের ঘটনা। সে হিসাবে মধুপুর–ভাওয়ালের শালবনেও আগে এরা থাকাটা খুব স্বাভাবিক।
এ ধরনের একটা মেঘলা চিতা শিকারের বিবরণ আছে সরওয়ার পাঠানের শিকার রোমাঞ্চ বইয়ে। ঘটনাটা ১৯৬৭-৬৮ সালের। গাজীপুরের শালবন থেকে একটি গেছো বাঘ শীতলক্ষ্যা পেরিয়ে চলে আসে নরসিংদীর চরসিন্দুরের সুলতানপুর গ্রামে। বেশ কয়েকটা ছাগল আর কুকুর পেটে যায় ওর। ওটাকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তখন শিকার করেন সরওয়ার ভাইয়ের বাবা ফজলুল হক পাঠান।
বাংলাদেশ ছাড়া লাম চিতা আছে ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে। সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপের মেঘলা চিতা বা ক্লাউডেড ল্যাপার্ডদের একটু ভিন্ন ধরনের একটি প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয়, বোর্নিও দ্বীপে বাঘ ও চিতা বাঘের অনুপস্থিতির কারণে মেঘলা চিতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আমার মতে, বাংলাদেশের বনগুলোতে এখন চিতা বাঘের সংখ্যা একেবারে কমে গেলেও মেঘলা চিতারা তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছে।
শাহরিয়ার সিজার রহমানদের সংগঠন ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) ক্যামেরা ট্র্যাপে সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্যে মেঘলা চিতারা বন্দী হয়েছে কয়েকবারই। ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিজার রহমানের ছবিসহ একটি পোস্ট দেখে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেশ নাদুসনুদুস একটা মেঘলা চিতা মারা পড়ছিল আলীকদম এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিকারিদের হাতে।
কয়েক বছর আগে আলীকদমের দুর্গম অঞ্চলে থাকা একজন ম্রোর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাতামুহুরি অরণ্যে এখনো এরা আছে। গহিন জঙ্গলে যাওয়া মানুষেরা দেখা পান হঠাৎ হঠাৎ। পাহাড় ও অরণ্যপ্রেমী অপু নজরুল বছর তিন-চার আগে থানচি থেকে রাতের বেলা বান্দরবান শহরে আসার পথে গাড়ির লাইটের আলোয় রাস্তা পেরিয়ে যেতে দেখেছেন লাম চিতাকে।
মেঘলা চিতারা কিন্তু বাঘ কিংবা চিতা বাঘের মতো গর্জন করতে পারে না। আর পা একটু খাট হওয়ায় মূল আকৃতির তুলনায় একটু ছোট দেখায় এদের। কিন্তু এদের কোনো কোনোটির শরীরের দৈর্ঘ্য চিতা বাঘের কাছাকাছিই। এবার লাম চিতাদের নিয়ে একটা আশ্চর্য তথ্য দিচ্ছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০০ ডিগ্রি কোণে মুখ হাঁ করতে পারে এরা। আবার মাথার খুলির আকার অনুপাতে বিড়াল গোত্রের জন্তুদের মধ্যে এদের শ্বদন্তই সবচেয়ে বড়। অনেকে আদর করে এদের ‘টুথ টাইগার’ বা ‘দাঁতাল বাঘ’ নামে ডাকে। আমি যেমন এদের ‘নয়া জমানার দাঁতাল বাঘ’ বলে বেশ আনন্দ পাই।
সম্ভবত গহীন অরণ্যে বাস এবং গাছে বেশি সময় কাটানোই এদের এখনো দেশের কোনো কোনো বনে টিকিয়ে রেখেছে। উঁচু উঁচু মহিরুহে ডাল, লতাপাতার আড়ালে শরীর মিশিয়ে দিয়ে আরও বহু বছর রহস্যময় মেঘলা চিতারা ফাঁকি দেবে মানুষকে, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবে, শিকার করবে বনে-পাহাড়ে—এটাই আশা।
২০২০-এর ডিসেম্বর। বান্দরবানের বগা লেক থেকে কেওক্রাডাং যাচ্ছিলাম হেঁটে। পথে দার্জিলিং পাড়ায় পৌঁছানোর বেশ কতকটা আগে উঁচু এক পাহাড় পড়ে। হাঁপাতে হাঁপাতে ওটায় উঠে পড়লাম। সেখানে বমদের কয়েকটা ছাপড়া দোকান। অনেকটা পথ হেঁটে, পাহাড় বেয়ে ক্লান্ত পর্যটকদের কাছে ফল ও এটা-সেটা বিক্রি করেন বমরা। এ রকম একটি দোকানের বেঞ্চে বসে লেবুর শরবত পান করতে করতে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম। এ সময় সঙ্গে করে আনা বাঘ, চিতা বাঘ, মেঘলা চিতাসহ বিভিন্ন প্রাণীর ছবি দেখাতে লাগলাম বম নারী-পুরুষদের। একপর্যায়ে একটা ছবি দেখিয়ে একজন বললেন, লতা বাঘ আছে এদিককার পাহাড়ে। অবাক হলাম, স্থানীয় বম নামের পাশাপাশি লতা বাঘ নামেও একে তাঁরা চেনেন দেখে।
অবশ্য লতা বাঘ নামটির সঙ্গে পরিচিত এই ভ্রমণেরও এক যুগ আগে। সালটা ২০০৭-০৮। বন্যপ্রাণীপ্রেমী সরওয়ার পাঠান ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বন-পাহাড়ে। কয়েকটা দিন রাম পাহাড়, সীতা পাহাড় এবং কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গল, ঝিরিতে দারুণ রোমাঞ্চকর সময় কাটল। তখনই ওখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে শুনি লতা বাঘের গল্প। গাছে চড়ায় নাকি ওদের জুড়ি মেলা ভার। বর্ণনা শুনে অনুমান করলাম, জন্তুটা মেঘলা চিতা বা গেছো বাঘ হতে পারে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান ভাই কাপ্তাইয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবিও পান।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রিয় এই প্রাণীকে এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। দেখেছি বন্দী অবস্থায়, কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এবং ভারতের দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায়।
আজ ৪ আগস্ট। বিশ্ব মেঘলা চিতা দিবস। মেঘলা চিতা নিয়ে পুরোনো দিনের এবং এখনকার আরও অনেক গল্পই হবে। তবে এর আগে বরং সংক্ষেপে জেনে নেই, সে দেখতে কেমন।
গায়ের রং ধূসর থেকে মেটে বাদামি। শরীরে মেঘের মতো ছোপ ছোপ। তাই নাম ক্লাউডেড ল্যাপার্ড বা মেঘলা চিতা। অবশ্য আরও নানা নাম আছে প্রাণীটির। গেছো বাঘ, মেঘা বাঘ, লাম চিতা ইত্যাদি। ওজন ১৮-২০ কেজি। লম্বায় তিন ফুট বা তার বেশি। প্রায় শরীরের সমান লেজটি ভারী সুন্দর। বৃক্ষচর মেঘলা চিতাদের গাছে গাছে কাটে সময়। গাছে চলাফেরার সময় লম্বা লেজটি শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে কাজে লাগে। দিন-রাতের একটা বড় সময় মেঘলা চিতাদের পায়ের পাতা বিড়াল গোত্রের অন্য জন্তুদের মতো নরম নয়, শক্ত।
গাছে বেশি সময় থাকার কারণে এদের প্রিয় শিকার বানর। কখনো ওপর থেকে হরিণ বা অন্য কোনো বন্য প্রাণীর ওপর লাফিয়ে পড়ে আচমকা। গাছ থেকে নামার সময় মাথা থাকে নিচের দিকে।
একসময় প্রাণিবিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে বুঝি বা মেঘলা চিতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তার পরই এদের বেশ কয়েকটিকে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তক ঘেঁটে যদ্দুর জেনেছি, ১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুটি লাম চিতার বাচ্চা ধরা পড়ে। ২০০৫ সালে পাওয়া যায় ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে। ২০০৯ সালে রাঙামাটির এক পাহাড়ে দুটি বাচ্চা নিয়ে একটি মা লাম চিতা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। স্থানীয়রা তাড়া করলে একটি বাচ্চা নিয়ে মা পালাতে পারলেও অপর বাচ্চাটি ধরা পড়ে। শুনেছি পরে ওই বাচ্চাকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বান্দরবানের থানচি-আলীকদম এলাকায় সাঙ্গু-মাতামুহুরী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ওখানকার খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি। বছর দশেক আগের কথা। বান্দরবানের গহিনে বড় একটি ভ্রমণ শেষে ফিরে পর্বতারোহী ও বনপ্রেমী সালেহীন আরশাদী কথা প্রসঙ্গে জানায়, আন্ধারমানিকে যে পাড়াটায় উঠেছিল, সেখানের এক বাড়িতে একটা মৃত প্রাণীর চামড়া দেখে চিতা বাঘ মনে করে ছবি তুলে এনেছে। ওরা সেখানে পৌঁছার দিন কয়েক আগেই নাকি শিকার করা হয়েছে। অনুরোধ করতেই ছবিটা পাঠিয়ে দিল মেইল করে। দেখেই সন্দেহ হয়, তার পরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাঠাই অধ্যাপক মনিরুল খানকে। যা ভেবেছিলাম তাই, ওটা একটা লাম চিতার চামড়া।
রাঙামাটির সাজেক-কাসালংয়ের পাশেই ভারতের ডামপা টাইগার রিজার্ভ। আমার জানামতে, পৃথিবীর যেসব অরণ্যে মেঘলা চিতার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ডামপা উল্লেখযোগ্য। কাসালং রিজার্ভ ফরেস্ট ও সাজেকের পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাসালংয়ের জঙ্গলে যে এরা এখনো মোটামুটি সংখ্যায় আছে, এর প্রমাণ ক্যামেরা ট্র্যাপে বারবার এদের বন্দী হওয়া। ২০২১ সালের মাঝামাঝি দেশের দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ের খণ্ড বনগুলো করিডরের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর বিষয়ে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে বন বিভাগ। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইইউসিএনকে। এই সমীক্ষার অংশ হিসেবেই অন্য গবেষক, বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাসালংয়ের গহিন অরণ্যে যান মনিরুল খান। তখন ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়ে মেঘলা চিতা।
এদিকে বন্যপ্রাণী গবেষক এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রিয় চাকমা জানিয়েছেন, গত জুনেও কাসালংয়ে ক্যামেরা ট্র্যাপে মেঘলা চিতার ছবি ধরা পড়েছে। একবার নয়, কয়েকবারই তাঁদের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে বন্দী হয়েছে আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণী। এখনো বাংলাদেশের অনেক বনের তুলনায় কাসালংয়ে মেঘলা চিতা ভালো সংখ্যায় থাকতে পারে বলে অনুমান সুপ্রিয় চাকমার।
পাহাড়ি জঙ্গল মেঘলা চিতাদের বেশ প্রিয়। এমনকি হিমালয়ের ৯ হাজার ফুট উচ্চতায়ও দেখা মিলেছে এদের। তবে ম্যানগ্রোভ বনেও বাস করার রেকর্ড আছে আশ্চর্য সুন্দর এই জন্তুর। ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের ম্যানগ্রোভ অরণ্যে মেঘলা চিতারা সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে।
এবার একটু সিলেটের জঙ্গলের দিকে নজর দিই। একসময় সিলেট অঞ্চলে লাম চিতারা সংখ্যায় বেশ ছিল, তাতে সন্দেহ নেই। ছোটবেলায় হবিগঞ্জে নানাবাড়িতে গেলে বিশাল লোহাগড়া বাঘ, মাঝারি আকারের ফুলেশ্বরীসহ নানা ধরনের বাঘের গল্প শুনতাম। পরে জানতে পারি, এই ফুলেশ্বরী আসলে গেছো বাঘ বা লাম চিতাই। মুক্তাগাছার জমিদার ব্রজেন্দ্রনারায়ণ আচার্য চৌধুরী তাঁর বই ‘শিকার ও শিকারি’তে লিখেছেন ফুলেশ্বরীর কথা। সেখানেও তিনি এর গাছে চড়ায় দক্ষতার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কোথাও কোথাও অবশ্য চিতা বাঘকেও ফুলেশ্বরী বলা হয় বলে শুনেছি।
কর্নেল এইচ এস উড ছিলেন চিকিৎসক। আসাম, বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) ও সিলেটে ছিল পোস্টিং। সিভিল সার্জন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ওই সব এলাকায়। তাঁর বইয়েও সিলেটের বন-পাহাড়ে একসময় অনেকে ক্লাউডেড ল্যাপার্ড থাকার তথ্য আছে। সে সময় এসব মেঘলা চিতা স্থানীয় অধিবাসীদের হাতে ধরাও পড়ত হঠাৎ হঠাৎ।
এইচ এস উড লিখেছেন, এসব অঞ্চলের লোকেরা একে ‘বান্দর বাঘ’ বলত। তবে গাছ বাওয়ায় দক্ষ বলে, নাকি বানর শিকারে পটু বলে এই নামকরণ—নিশ্চিত হতে পারেননি উড। মেঘলা চিতার ভয়ে বানরদের তিনি দলেবলে গাছে না থেকে পাথরের চাতালে রাত কাটাতে দেখেছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো অবশ্য আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগের। উড একটা লাম চিতা শিকারও করেছিলেন। গাছের প্রায় ৮০ ফুট ওপরে উঠে তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল চিতাটা। তখনই শটগানের গুলিতে মারেন জন্তুটাকে।
সিলেটের জঙ্গলে উঁচু উঁচু গাছে এখনো অল্প হলেও মেঘলা চিতাদের আবাস আছে বলে ধারণা করা হয়। আমার অনুমান, সিলেট বিভাগের রেমা-কালেঙ্গা, লাঠিটিলা, সাগরনাল, আদমপুর-খুরমার মতো অরণ্যগুলোতে মেঘলা চিতাদের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
একটা সময় আমার ধারণা ছিল মেঘলা চিতা বুঝি বা শুধু পাহাড়ি এলাকায়ই থাকতে পারে। তবে খোঁজ-খবর নিতেই জানতে পারি ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে এমনকি শালবনেও এদের থাকার নজির আছে। সাম্প্রতিক এক আলাপে মনিরুল খান জানান, একটা সময় গজনীসহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শালবনে হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা চিতার দেখা পাওয়ার কিংবা ধরা পড়ার খবর আসত। সেটা অবশ্য গত শতকের নব্বইয়ের দশকের ঘটনা। সে হিসাবে মধুপুর–ভাওয়ালের শালবনেও আগে এরা থাকাটা খুব স্বাভাবিক।
এ ধরনের একটা মেঘলা চিতা শিকারের বিবরণ আছে সরওয়ার পাঠানের শিকার রোমাঞ্চ বইয়ে। ঘটনাটা ১৯৬৭-৬৮ সালের। গাজীপুরের শালবন থেকে একটি গেছো বাঘ শীতলক্ষ্যা পেরিয়ে চলে আসে নরসিংদীর চরসিন্দুরের সুলতানপুর গ্রামে। বেশ কয়েকটা ছাগল আর কুকুর পেটে যায় ওর। ওটাকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তখন শিকার করেন সরওয়ার ভাইয়ের বাবা ফজলুল হক পাঠান।
বাংলাদেশ ছাড়া লাম চিতা আছে ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে। সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপের মেঘলা চিতা বা ক্লাউডেড ল্যাপার্ডদের একটু ভিন্ন ধরনের একটি প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হয়, বোর্নিও দ্বীপে বাঘ ও চিতা বাঘের অনুপস্থিতির কারণে মেঘলা চিতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আমার মতে, বাংলাদেশের বনগুলোতে এখন চিতা বাঘের সংখ্যা একেবারে কমে গেলেও মেঘলা চিতারা তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছে।
শাহরিয়ার সিজার রহমানদের সংগঠন ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) ক্যামেরা ট্র্যাপে সাঙ্গু-মাতামুহুরি অরণ্যে মেঘলা চিতারা বন্দী হয়েছে কয়েকবারই। ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিজার রহমানের ছবিসহ একটি পোস্ট দেখে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেশ নাদুসনুদুস একটা মেঘলা চিতা মারা পড়ছিল আলীকদম এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিকারিদের হাতে।
কয়েক বছর আগে আলীকদমের দুর্গম অঞ্চলে থাকা একজন ম্রোর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাতামুহুরি অরণ্যে এখনো এরা আছে। গহিন জঙ্গলে যাওয়া মানুষেরা দেখা পান হঠাৎ হঠাৎ। পাহাড় ও অরণ্যপ্রেমী অপু নজরুল বছর তিন-চার আগে থানচি থেকে রাতের বেলা বান্দরবান শহরে আসার পথে গাড়ির লাইটের আলোয় রাস্তা পেরিয়ে যেতে দেখেছেন লাম চিতাকে।
মেঘলা চিতারা কিন্তু বাঘ কিংবা চিতা বাঘের মতো গর্জন করতে পারে না। আর পা একটু খাট হওয়ায় মূল আকৃতির তুলনায় একটু ছোট দেখায় এদের। কিন্তু এদের কোনো কোনোটির শরীরের দৈর্ঘ্য চিতা বাঘের কাছাকাছিই। এবার লাম চিতাদের নিয়ে একটা আশ্চর্য তথ্য দিচ্ছি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০০ ডিগ্রি কোণে মুখ হাঁ করতে পারে এরা। আবার মাথার খুলির আকার অনুপাতে বিড়াল গোত্রের জন্তুদের মধ্যে এদের শ্বদন্তই সবচেয়ে বড়। অনেকে আদর করে এদের ‘টুথ টাইগার’ বা ‘দাঁতাল বাঘ’ নামে ডাকে। আমি যেমন এদের ‘নয়া জমানার দাঁতাল বাঘ’ বলে বেশ আনন্দ পাই।
সম্ভবত গহীন অরণ্যে বাস এবং গাছে বেশি সময় কাটানোই এদের এখনো দেশের কোনো কোনো বনে টিকিয়ে রেখেছে। উঁচু উঁচু মহিরুহে ডাল, লতাপাতার আড়ালে শরীর মিশিয়ে দিয়ে আরও বহু বছর রহস্যময় মেঘলা চিতারা ফাঁকি দেবে মানুষকে, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবে, শিকার করবে বনে-পাহাড়ে—এটাই আশা।
আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
গহীন অরণ্যে বাস করা আশ্চর্য সুন্দর এক প্রাণী মেঘলা চিতা। বৃক্ষচর স্বভাবের কারণে এদের দেখা পাওয়া কঠিন। অনেকেরই জানা নেই বাংলাদেশের বন-পাহাড়েও বিচরণ আছে এই জন্তুর।
০৪ আগস্ট ২০২৩পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গহীন অরণ্যে বাস করা আশ্চর্য সুন্দর এক প্রাণী মেঘলা চিতা। বৃক্ষচর স্বভাবের কারণে এদের দেখা পাওয়া কঠিন। অনেকেরই জানা নেই বাংলাদেশের বন-পাহাড়েও বিচরণ আছে এই জন্তুর।
০৪ আগস্ট ২০২৩আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
গহীন অরণ্যে বাস করা আশ্চর্য সুন্দর এক প্রাণী মেঘলা চিতা। বৃক্ষচর স্বভাবের কারণে এদের দেখা পাওয়া কঠিন। অনেকেরই জানা নেই বাংলাদেশের বন-পাহাড়েও বিচরণ আছে এই জন্তুর।
০৪ আগস্ট ২০২৩আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
গহীন অরণ্যে বাস করা আশ্চর্য সুন্দর এক প্রাণী মেঘলা চিতা। বৃক্ষচর স্বভাবের কারণে এদের দেখা পাওয়া কঠিন। অনেকেরই জানা নেই বাংলাদেশের বন-পাহাড়েও বিচরণ আছে এই জন্তুর।
০৪ আগস্ট ২০২৩আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগে