Ajker Patrika

ঢাকার বায়ুমানের কিঞ্চিৎ উন্নতি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ০৯: ২১
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বায়ুমান সূচক অনুসারে রাজধানী ঢাকায় বাতাসের কিছুটা উন্নতি হলেও আজ মঙ্গলবারও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর। বাতাসের গুণমান সূচক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই বলছে আজকের বাতাস অস্বাস্থ্যকর। তবে গতকাল সোমবার ঢাকার বাতাস ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর।

আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা বিশ্বে বায়ুদূষণের সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছে। বাতাসের গুণমান সূচকে (একিউআই) গতকাল সোমবার সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ২২৬ বায়ুমান নিয়ে প্রথম স্থানে ছিল ঢাকা। সেখানে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটের হালনাগাদ রেকর্ডে বায়ুমান ১৮৩ নিয়ে দূষিত বাতাসের তালিকায় পাঁচ ধাপ পিছিয়েছে রাজধানী।

আজ একিউআইয়ের তালিকায় দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ২৪৮, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ুর নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে যথাক্রমে আছে—চীনের বেইজিং (২২৮), পাকিস্তানের করাচি (১৯৫) ও নেপালের কাঠমান্ডু (১৮৩)।

বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত