ইশতিয়াক হাসান
বছর তিনেক আগের কথা। বান্দরবানের রুমা উপজেলা। কেওক্রাডংয়ের পাদদেশে দার্জিলিং পাড়া। সেখানে গিয়ে আস্তানা গেড়েছি মেঘলা দিদিদের কটেজে। বাড়ির পেছনে ছোট্ট একটি পাহাড়ে হয়েছে আদার চাষ। সকালে ঘুম ভাঙার পর সেখানে ওঠে সামনে তাকাতেই চোখে পড়ল কেওক্রাডং ফেরত পর্যটকেরা হেঁটে ফিরছেন পাড়ার মাঝের মাঠ ধরে। তারপরই চোখ গেল উল্টো দিকে। আর তাতেই চমকালাম। মাঝারি উচ্চতার পাহাড়টায় ঘন গাছপালার সারি। কোনো কোনোটি হয়তো শত বর্ষের সীমানা পেরিয়েছে। এর পাশে একটু দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক পাহাড়েও গাছপালার ঠাসবুনোট।
পরে দার্জিলিং পাড়ার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম জঙ্গলে ঠাসা পাহাড় দুটি বন্যপ্রাণীর আড্ডাখানা। মায়া হরিণ আছে সেখানে। আর আছে মাথা গরম ভালুকেরা।
আজ ২১ মার্চ, আন্তর্জাতিক বন দিবস। তাই চলুন আরও কয়েকটি অরণ্যের গল্প শুনি। কাপ্তাইয়ে বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিস থেকে চমৎকার দেখা যায় সীতা পাহাড়ের অরণ্য। ২০০৬-৭ সালের দিকে প্রথম যখন সেখানে যাই তখনই কর্ণফুলীর ওপাশের সীতা পাহাড়ের অংশটা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। প্রাচীন সব গাছপালা, লতা-গুল্ম মিলে এমন একে দেখে মনে হচ্ছিল কল্পরাজ্য থেকে ওঠে আসা প্রাগৈতিহাসিক কোনো অরণ্য। কেন যেন ঘুরে-ফিরে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত বই লস্ট ওয়ার্ল্ডের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
সীতা পাহাড়ের অরণ্যে ডানা মেলা এক শিকারি ইগলকে দেখে ভাবছিলাম লস্ট ওয়ার্ল্ড বা হারানো পৃথিবীর টেরোড্যাকটিলের কথা। পরদিন ভোরে সীতা পাহাড়ের ওপরে গাছের ডালে খেলা করা হনুমানগুলিকে হাতের আঙুলের চেয়ে বড় দেখাচ্ছিল না কোনোমতেই। পরে অবশ্য আরও বেশ কয়েক বার গিয়েছি কাপ্তাইয়ে। উঠেছি সীতা পাহাড়ের চূড়ায়ও।
মনে পড়ে কালেঙ্গার জঙ্গলে গিয়ে শ ফুটি সব গাছে কালো বিশালাকায় কাঠবিড়ালিদের মেলা কিংবা বড় মোদকের আগে হঠাৎ পৌঁছে যাওয়া নেই নীরব এলাকার কথা, যেখানে নদীর দু-ধারে কেবলই ছিল উঁচু সব বৃক্ষরাজির রাজত্ব। লাঠিটিলার গহিন অরণ্যের আকাশ ঢেকে দেওয়া সেই সব মায়াবী গাছপালার কথাও ভুলতে পারি না। আজ বিশেষ এই দিনটিতে ভাবি, কেমন আছে প্রিয় সেই অরণ্যগুলো।
বাঘের খোঁজে বান্দরবানের গহিনে, হাতির খোঁজে রাঙামাটির কাসালং, চিতার খোঁজে কাপ্তাই মুখ খাল—কত জঙ্গলে যে চষে বেরিয়েছি। যেখানেই গিয়েছি পেয়ে বসেছে হতাশা, চোখের কোণে অজান্তেই জমা হয়েছে জল। কাসালংয়ের মাইনির বন বাংলোতে গিয়ে দেখি চারপাশে বনের ছিটেফোঁটা নেই। অথচ এনায়েত মাওলা ষাট-সত্তর বছর আগে মাইনির ধারেই চিতা বাঘ-বাঘ শিকার করেছেন। সাঙ্গুর দিকে যাওয়ার সময় ২০১১ সালে রেমাক্রির ধারে একটা পাহাড় দেখিয়ে আমাদের মধ্যবয়স্ক মারমা গাইড বলছিলেন, তাঁর বালক বয়সে লুকিয়ে সেখানে বাঘ দেখার গল্প। মধুপুরে গিয়ে মনে পড়েছে ১৯৫০ সালের আশপাশে এদিকেও ছিল বাঘের রাজত্ব। চিতা বাঘ ছিল ওখানে মুক্তিযুদ্ধের আশপাশের সময়। ভাওয়াল-মধুপুরের অরণ্যের অবস্থাও মোটেই ভালো নয় এখন।
সিলেটের বনগুলোতে গিয়েও মন খারাপ হতো পুরোনো দিনের কথা ভেবে। আবদুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জের লাউর এলাকায় ও খাসিয়া পাহাড়ে বাঘ-হাতির যে রাজ্যের কথা বলে গিয়েছেন তা কোথায় হারাল! তখন সেখানে ছিল গভীর বনানী। নানির মুখে শোনা গোয়াল থেকে বাঘ গরু নিয়ে যাওয়ার গল্প কিংবা নানার বাড়ির কাছে দুই ভাইয়ের খালি হাতে বাঘ শিকারের ঘটনা, সাতছড়িতে চিতা বাঘের গাড়ির কাচে থাবা চালানোর সেই সব ঘটনা মনে পড়লেও অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ-অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে শরীরে।
টেকনাফ গেলে আবার মনে পড়ে ধীরাজ ভট্টাচার্যের যখন পুলিশ ছিলামের সেই গহিন অরণ্যে ভরপুর, বাঘ ডাকা টেকনাফের বর্ণনার কথা। আমার দাদির ওসি বাবার পোস্টিং সূত্রে প্রায় নব্বই-পঁচানব্বই বছর আগে ছিলেন কক্সবাজার, টেকনাফ, হ্নীলার মতো জায়গাগুলোতে। দাদিরা বাঘের ডাক শুনতে পেতেন রাতে। কোয়ার্টার ঘেরা ছিল উঁচু পাচিলে।
তবে তখন বুঝতে পারিনি সামনে আরও খারাপ দিন আসছে। যত দিন গড়াচ্ছে তত বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েকটা উদাহরণই যথেষ্ট। কির্সতং-রুংরাংয়ের মায়ায় পড়েছেন অনেক অরণ্যপ্রেমীই। যে ধনেশ পাখির নামে রুংরাং-র নাম সেখানে এখন ধনেশ পাখির দেখা পাওয়া ভার। ক্রিসতংও হারিয়েছে আগের আদিম চেহারা। বছর তিনেক আগে কেওক্রাডং গিয়ে শুনেছিলাম ধনেশ পাখির ঠোঁট বিক্রির খবর।
রাঙামাটি-বান্দরবানের গহিনে গাছ কাটার খবরও কানে আসে। কখনো সংবাদমাধ্যমে, কখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এক সময় খুব সমৃদ্ধ এক বন ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ গেম রিজার্ভ। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা আসার পর এই অরণ্যের করুণ হাল হয়েছে। কক্সবাজার জেলার অনেক অরণ্যই এখন রোহিঙ্গা-সংকটে সঙিন অবস্থায় আছে।
অথচ বন আর বন্যপ্রাণী মানুষের কম উপকার তো করে না। আমাদের ছেড়ে দেওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে গাছ। পৃথিবীর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বড় সংরক্ষণাগার এই অরণ্য। শুধুমাত্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্যগুলোতেই ২ হাজার ৫০০ কোটি টন সংরক্ষিত আছে কোনো না কোনোভাবে। গাছপালা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও সরবরাহ করে।
ছায়া দিয়ে বনের গাছপালা আমাদের শীতলতা দেয়। এ ছাড়া ট্রান্সপিরেশন নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চারপাশের বাতাসের তাপমাত্রা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শিকড়ের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করে গাছ। তারপর পাতার মাধ্যমে কিছু পানি বাতাসে ছেড়ে দেয়। এভাবে উত্তপ্ত পরিবেশ শীতল হয়।
মাটি থেকে পানি নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয় গাছ। তাই বড়সড় জায়গা নিয়ে বিস্তৃত জঙ্গলগুলো নিজেদের একটা ক্ষুদ্র জলবায়ু এলাকা তৈরির পাশাপাশি আবহাওয়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন. দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের জঙ্গল শুধু এর ভেতরে ও আশপাশে বৃষ্টিপাত ঘটাতে ভূমিকা রাখে তা নয়, এমনকি উত্তর আমেরিকার বিশাল সমতলভূমিতেও বৃষ্টি ঝরতে পারে এর প্রভাবে।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার পাশাপাশি কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইড থেকে বাতাসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বন। সাহায্য করে ভূমিক্ষয় রোধেও।
আরও অনেক উপকারিতাই আছে বন ও এর গাছপালার। সেগুলো না হয় তোলা থাকল অন্য কোনো দিনের জন্য।
কিন্তু এত সব উপকারিতার বিনিময়ে বনকে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। বরং নানাভাবে ক্ষতিই করে গিয়েছি। আগে আমাদের চমৎকার গ্রামীণ বন ছিল। এসব বনে মেছো বিড়াল, খাটাশ বা গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, শিয়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর আড্ডাখানা। কিন্তু এখন খুব কম গ্রামেই এ ধরনের বন বা বাগান আছে। তাই গ্রামের আশপাশে বাস করা প্রাণীরাও আছে বড় বিপদে। লোকালয়ে এসে মানুষের পিটুনিতে নিয়মিত মেছো বিড়াল, বন বিড়াল মারা পড়ার সংবাদ শুনে কেঁদে উঠে মন।
এখন মনে হচ্ছে, বন দিবসের নিরাশার কথা বেশি হয়ে গিয়েছে। আশার কথাও আছে। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই এখন গাছের চারা লাগাচ্ছেন। তেমনি বন্যপ্রাণী ও অরণ্য নিয়ে কাজ করছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা কোনো জায়গায় বন্যপ্রাণী ধরা পড়লে সেগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের সহায়তায় অরণ্যে ও নিরাপদ পরিবেশে মুক্ত করছে। তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কোনো জায়গায় হাতিসহ আহত বা অসুস্থ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ এমন খবরও পড়েছি। আবার স্থানীয়রাও সচেতন হচ্ছেন। এই তো গত মঙ্গলবার মেহেরপুর উপজেলায় একটা মেছো বিড়াল আটকা পড়েছিল হাঁসের খামারে। সেটিকে খাঁচায় আটকে ফেলা হলেও মেরে ফেলা হয়নি, বন বিভাগের সহায়তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বন দিবসে দেশের অরণ্য আর বন্যপ্রাণীদের জন্য শুভকামনা। আশা করি, আবার রুংরাংয়ে মহানন্দে বিশাল ডানা ছড়িয়ে উড়ে বেড়াবে ধনেশ, অরণ্যচারী পথ হারাবেন কির্সতংয়ের দিনেই রাত নামা বনে কিংবা সাঙ্গু-মাতামুহুরিতে নিরাপদে থাকবে শতবর্ষী গাছেরা।
সূত্র: বনের উপকারিতার কিছু তথ্য ট্রি হাগার ডট কম ও ব্লগ ডট টেনট্রি ডট কম থেকে নেওয়া হয়েছে।
বছর তিনেক আগের কথা। বান্দরবানের রুমা উপজেলা। কেওক্রাডংয়ের পাদদেশে দার্জিলিং পাড়া। সেখানে গিয়ে আস্তানা গেড়েছি মেঘলা দিদিদের কটেজে। বাড়ির পেছনে ছোট্ট একটি পাহাড়ে হয়েছে আদার চাষ। সকালে ঘুম ভাঙার পর সেখানে ওঠে সামনে তাকাতেই চোখে পড়ল কেওক্রাডং ফেরত পর্যটকেরা হেঁটে ফিরছেন পাড়ার মাঝের মাঠ ধরে। তারপরই চোখ গেল উল্টো দিকে। আর তাতেই চমকালাম। মাঝারি উচ্চতার পাহাড়টায় ঘন গাছপালার সারি। কোনো কোনোটি হয়তো শত বর্ষের সীমানা পেরিয়েছে। এর পাশে একটু দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক পাহাড়েও গাছপালার ঠাসবুনোট।
পরে দার্জিলিং পাড়ার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম জঙ্গলে ঠাসা পাহাড় দুটি বন্যপ্রাণীর আড্ডাখানা। মায়া হরিণ আছে সেখানে। আর আছে মাথা গরম ভালুকেরা।
আজ ২১ মার্চ, আন্তর্জাতিক বন দিবস। তাই চলুন আরও কয়েকটি অরণ্যের গল্প শুনি। কাপ্তাইয়ে বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিস থেকে চমৎকার দেখা যায় সীতা পাহাড়ের অরণ্য। ২০০৬-৭ সালের দিকে প্রথম যখন সেখানে যাই তখনই কর্ণফুলীর ওপাশের সীতা পাহাড়ের অংশটা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। প্রাচীন সব গাছপালা, লতা-গুল্ম মিলে এমন একে দেখে মনে হচ্ছিল কল্পরাজ্য থেকে ওঠে আসা প্রাগৈতিহাসিক কোনো অরণ্য। কেন যেন ঘুরে-ফিরে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত বই লস্ট ওয়ার্ল্ডের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
সীতা পাহাড়ের অরণ্যে ডানা মেলা এক শিকারি ইগলকে দেখে ভাবছিলাম লস্ট ওয়ার্ল্ড বা হারানো পৃথিবীর টেরোড্যাকটিলের কথা। পরদিন ভোরে সীতা পাহাড়ের ওপরে গাছের ডালে খেলা করা হনুমানগুলিকে হাতের আঙুলের চেয়ে বড় দেখাচ্ছিল না কোনোমতেই। পরে অবশ্য আরও বেশ কয়েক বার গিয়েছি কাপ্তাইয়ে। উঠেছি সীতা পাহাড়ের চূড়ায়ও।
মনে পড়ে কালেঙ্গার জঙ্গলে গিয়ে শ ফুটি সব গাছে কালো বিশালাকায় কাঠবিড়ালিদের মেলা কিংবা বড় মোদকের আগে হঠাৎ পৌঁছে যাওয়া নেই নীরব এলাকার কথা, যেখানে নদীর দু-ধারে কেবলই ছিল উঁচু সব বৃক্ষরাজির রাজত্ব। লাঠিটিলার গহিন অরণ্যের আকাশ ঢেকে দেওয়া সেই সব মায়াবী গাছপালার কথাও ভুলতে পারি না। আজ বিশেষ এই দিনটিতে ভাবি, কেমন আছে প্রিয় সেই অরণ্যগুলো।
বাঘের খোঁজে বান্দরবানের গহিনে, হাতির খোঁজে রাঙামাটির কাসালং, চিতার খোঁজে কাপ্তাই মুখ খাল—কত জঙ্গলে যে চষে বেরিয়েছি। যেখানেই গিয়েছি পেয়ে বসেছে হতাশা, চোখের কোণে অজান্তেই জমা হয়েছে জল। কাসালংয়ের মাইনির বন বাংলোতে গিয়ে দেখি চারপাশে বনের ছিটেফোঁটা নেই। অথচ এনায়েত মাওলা ষাট-সত্তর বছর আগে মাইনির ধারেই চিতা বাঘ-বাঘ শিকার করেছেন। সাঙ্গুর দিকে যাওয়ার সময় ২০১১ সালে রেমাক্রির ধারে একটা পাহাড় দেখিয়ে আমাদের মধ্যবয়স্ক মারমা গাইড বলছিলেন, তাঁর বালক বয়সে লুকিয়ে সেখানে বাঘ দেখার গল্প। মধুপুরে গিয়ে মনে পড়েছে ১৯৫০ সালের আশপাশে এদিকেও ছিল বাঘের রাজত্ব। চিতা বাঘ ছিল ওখানে মুক্তিযুদ্ধের আশপাশের সময়। ভাওয়াল-মধুপুরের অরণ্যের অবস্থাও মোটেই ভালো নয় এখন।
সিলেটের বনগুলোতে গিয়েও মন খারাপ হতো পুরোনো দিনের কথা ভেবে। আবদুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জের লাউর এলাকায় ও খাসিয়া পাহাড়ে বাঘ-হাতির যে রাজ্যের কথা বলে গিয়েছেন তা কোথায় হারাল! তখন সেখানে ছিল গভীর বনানী। নানির মুখে শোনা গোয়াল থেকে বাঘ গরু নিয়ে যাওয়ার গল্প কিংবা নানার বাড়ির কাছে দুই ভাইয়ের খালি হাতে বাঘ শিকারের ঘটনা, সাতছড়িতে চিতা বাঘের গাড়ির কাচে থাবা চালানোর সেই সব ঘটনা মনে পড়লেও অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ-অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে শরীরে।
টেকনাফ গেলে আবার মনে পড়ে ধীরাজ ভট্টাচার্যের যখন পুলিশ ছিলামের সেই গহিন অরণ্যে ভরপুর, বাঘ ডাকা টেকনাফের বর্ণনার কথা। আমার দাদির ওসি বাবার পোস্টিং সূত্রে প্রায় নব্বই-পঁচানব্বই বছর আগে ছিলেন কক্সবাজার, টেকনাফ, হ্নীলার মতো জায়গাগুলোতে। দাদিরা বাঘের ডাক শুনতে পেতেন রাতে। কোয়ার্টার ঘেরা ছিল উঁচু পাচিলে।
তবে তখন বুঝতে পারিনি সামনে আরও খারাপ দিন আসছে। যত দিন গড়াচ্ছে তত বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েকটা উদাহরণই যথেষ্ট। কির্সতং-রুংরাংয়ের মায়ায় পড়েছেন অনেক অরণ্যপ্রেমীই। যে ধনেশ পাখির নামে রুংরাং-র নাম সেখানে এখন ধনেশ পাখির দেখা পাওয়া ভার। ক্রিসতংও হারিয়েছে আগের আদিম চেহারা। বছর তিনেক আগে কেওক্রাডং গিয়ে শুনেছিলাম ধনেশ পাখির ঠোঁট বিক্রির খবর।
রাঙামাটি-বান্দরবানের গহিনে গাছ কাটার খবরও কানে আসে। কখনো সংবাদমাধ্যমে, কখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এক সময় খুব সমৃদ্ধ এক বন ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ গেম রিজার্ভ। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা আসার পর এই অরণ্যের করুণ হাল হয়েছে। কক্সবাজার জেলার অনেক অরণ্যই এখন রোহিঙ্গা-সংকটে সঙিন অবস্থায় আছে।
অথচ বন আর বন্যপ্রাণী মানুষের কম উপকার তো করে না। আমাদের ছেড়ে দেওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে গাছ। পৃথিবীর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বড় সংরক্ষণাগার এই অরণ্য। শুধুমাত্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্যগুলোতেই ২ হাজার ৫০০ কোটি টন সংরক্ষিত আছে কোনো না কোনোভাবে। গাছপালা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও সরবরাহ করে।
ছায়া দিয়ে বনের গাছপালা আমাদের শীতলতা দেয়। এ ছাড়া ট্রান্সপিরেশন নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চারপাশের বাতাসের তাপমাত্রা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শিকড়ের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করে গাছ। তারপর পাতার মাধ্যমে কিছু পানি বাতাসে ছেড়ে দেয়। এভাবে উত্তপ্ত পরিবেশ শীতল হয়।
মাটি থেকে পানি নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয় গাছ। তাই বড়সড় জায়গা নিয়ে বিস্তৃত জঙ্গলগুলো নিজেদের একটা ক্ষুদ্র জলবায়ু এলাকা তৈরির পাশাপাশি আবহাওয়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন. দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের জঙ্গল শুধু এর ভেতরে ও আশপাশে বৃষ্টিপাত ঘটাতে ভূমিকা রাখে তা নয়, এমনকি উত্তর আমেরিকার বিশাল সমতলভূমিতেও বৃষ্টি ঝরতে পারে এর প্রভাবে।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার পাশাপাশি কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইড থেকে বাতাসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বন। সাহায্য করে ভূমিক্ষয় রোধেও।
আরও অনেক উপকারিতাই আছে বন ও এর গাছপালার। সেগুলো না হয় তোলা থাকল অন্য কোনো দিনের জন্য।
কিন্তু এত সব উপকারিতার বিনিময়ে বনকে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। বরং নানাভাবে ক্ষতিই করে গিয়েছি। আগে আমাদের চমৎকার গ্রামীণ বন ছিল। এসব বনে মেছো বিড়াল, খাটাশ বা গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, শিয়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর আড্ডাখানা। কিন্তু এখন খুব কম গ্রামেই এ ধরনের বন বা বাগান আছে। তাই গ্রামের আশপাশে বাস করা প্রাণীরাও আছে বড় বিপদে। লোকালয়ে এসে মানুষের পিটুনিতে নিয়মিত মেছো বিড়াল, বন বিড়াল মারা পড়ার সংবাদ শুনে কেঁদে উঠে মন।
এখন মনে হচ্ছে, বন দিবসের নিরাশার কথা বেশি হয়ে গিয়েছে। আশার কথাও আছে। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই এখন গাছের চারা লাগাচ্ছেন। তেমনি বন্যপ্রাণী ও অরণ্য নিয়ে কাজ করছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা কোনো জায়গায় বন্যপ্রাণী ধরা পড়লে সেগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের সহায়তায় অরণ্যে ও নিরাপদ পরিবেশে মুক্ত করছে। তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কোনো জায়গায় হাতিসহ আহত বা অসুস্থ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ এমন খবরও পড়েছি। আবার স্থানীয়রাও সচেতন হচ্ছেন। এই তো গত মঙ্গলবার মেহেরপুর উপজেলায় একটা মেছো বিড়াল আটকা পড়েছিল হাঁসের খামারে। সেটিকে খাঁচায় আটকে ফেলা হলেও মেরে ফেলা হয়নি, বন বিভাগের সহায়তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বন দিবসে দেশের অরণ্য আর বন্যপ্রাণীদের জন্য শুভকামনা। আশা করি, আবার রুংরাংয়ে মহানন্দে বিশাল ডানা ছড়িয়ে উড়ে বেড়াবে ধনেশ, অরণ্যচারী পথ হারাবেন কির্সতংয়ের দিনেই রাত নামা বনে কিংবা সাঙ্গু-মাতামুহুরিতে নিরাপদে থাকবে শতবর্ষী গাছেরা।
সূত্র: বনের উপকারিতার কিছু তথ্য ট্রি হাগার ডট কম ও ব্লগ ডট টেনট্রি ডট কম থেকে নেওয়া হয়েছে।
ইশতিয়াক হাসান
বছর তিনেক আগের কথা। বান্দরবানের রুমা উপজেলা। কেওক্রাডংয়ের পাদদেশে দার্জিলিং পাড়া। সেখানে গিয়ে আস্তানা গেড়েছি মেঘলা দিদিদের কটেজে। বাড়ির পেছনে ছোট্ট একটি পাহাড়ে হয়েছে আদার চাষ। সকালে ঘুম ভাঙার পর সেখানে ওঠে সামনে তাকাতেই চোখে পড়ল কেওক্রাডং ফেরত পর্যটকেরা হেঁটে ফিরছেন পাড়ার মাঝের মাঠ ধরে। তারপরই চোখ গেল উল্টো দিকে। আর তাতেই চমকালাম। মাঝারি উচ্চতার পাহাড়টায় ঘন গাছপালার সারি। কোনো কোনোটি হয়তো শত বর্ষের সীমানা পেরিয়েছে। এর পাশে একটু দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক পাহাড়েও গাছপালার ঠাসবুনোট।
পরে দার্জিলিং পাড়ার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম জঙ্গলে ঠাসা পাহাড় দুটি বন্যপ্রাণীর আড্ডাখানা। মায়া হরিণ আছে সেখানে। আর আছে মাথা গরম ভালুকেরা।
আজ ২১ মার্চ, আন্তর্জাতিক বন দিবস। তাই চলুন আরও কয়েকটি অরণ্যের গল্প শুনি। কাপ্তাইয়ে বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিস থেকে চমৎকার দেখা যায় সীতা পাহাড়ের অরণ্য। ২০০৬-৭ সালের দিকে প্রথম যখন সেখানে যাই তখনই কর্ণফুলীর ওপাশের সীতা পাহাড়ের অংশটা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। প্রাচীন সব গাছপালা, লতা-গুল্ম মিলে এমন একে দেখে মনে হচ্ছিল কল্পরাজ্য থেকে ওঠে আসা প্রাগৈতিহাসিক কোনো অরণ্য। কেন যেন ঘুরে-ফিরে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত বই লস্ট ওয়ার্ল্ডের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
সীতা পাহাড়ের অরণ্যে ডানা মেলা এক শিকারি ইগলকে দেখে ভাবছিলাম লস্ট ওয়ার্ল্ড বা হারানো পৃথিবীর টেরোড্যাকটিলের কথা। পরদিন ভোরে সীতা পাহাড়ের ওপরে গাছের ডালে খেলা করা হনুমানগুলিকে হাতের আঙুলের চেয়ে বড় দেখাচ্ছিল না কোনোমতেই। পরে অবশ্য আরও বেশ কয়েক বার গিয়েছি কাপ্তাইয়ে। উঠেছি সীতা পাহাড়ের চূড়ায়ও।
মনে পড়ে কালেঙ্গার জঙ্গলে গিয়ে শ ফুটি সব গাছে কালো বিশালাকায় কাঠবিড়ালিদের মেলা কিংবা বড় মোদকের আগে হঠাৎ পৌঁছে যাওয়া নেই নীরব এলাকার কথা, যেখানে নদীর দু-ধারে কেবলই ছিল উঁচু সব বৃক্ষরাজির রাজত্ব। লাঠিটিলার গহিন অরণ্যের আকাশ ঢেকে দেওয়া সেই সব মায়াবী গাছপালার কথাও ভুলতে পারি না। আজ বিশেষ এই দিনটিতে ভাবি, কেমন আছে প্রিয় সেই অরণ্যগুলো।
বাঘের খোঁজে বান্দরবানের গহিনে, হাতির খোঁজে রাঙামাটির কাসালং, চিতার খোঁজে কাপ্তাই মুখ খাল—কত জঙ্গলে যে চষে বেরিয়েছি। যেখানেই গিয়েছি পেয়ে বসেছে হতাশা, চোখের কোণে অজান্তেই জমা হয়েছে জল। কাসালংয়ের মাইনির বন বাংলোতে গিয়ে দেখি চারপাশে বনের ছিটেফোঁটা নেই। অথচ এনায়েত মাওলা ষাট-সত্তর বছর আগে মাইনির ধারেই চিতা বাঘ-বাঘ শিকার করেছেন। সাঙ্গুর দিকে যাওয়ার সময় ২০১১ সালে রেমাক্রির ধারে একটা পাহাড় দেখিয়ে আমাদের মধ্যবয়স্ক মারমা গাইড বলছিলেন, তাঁর বালক বয়সে লুকিয়ে সেখানে বাঘ দেখার গল্প। মধুপুরে গিয়ে মনে পড়েছে ১৯৫০ সালের আশপাশে এদিকেও ছিল বাঘের রাজত্ব। চিতা বাঘ ছিল ওখানে মুক্তিযুদ্ধের আশপাশের সময়। ভাওয়াল-মধুপুরের অরণ্যের অবস্থাও মোটেই ভালো নয় এখন।
সিলেটের বনগুলোতে গিয়েও মন খারাপ হতো পুরোনো দিনের কথা ভেবে। আবদুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জের লাউর এলাকায় ও খাসিয়া পাহাড়ে বাঘ-হাতির যে রাজ্যের কথা বলে গিয়েছেন তা কোথায় হারাল! তখন সেখানে ছিল গভীর বনানী। নানির মুখে শোনা গোয়াল থেকে বাঘ গরু নিয়ে যাওয়ার গল্প কিংবা নানার বাড়ির কাছে দুই ভাইয়ের খালি হাতে বাঘ শিকারের ঘটনা, সাতছড়িতে চিতা বাঘের গাড়ির কাচে থাবা চালানোর সেই সব ঘটনা মনে পড়লেও অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ-অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে শরীরে।
টেকনাফ গেলে আবার মনে পড়ে ধীরাজ ভট্টাচার্যের যখন পুলিশ ছিলামের সেই গহিন অরণ্যে ভরপুর, বাঘ ডাকা টেকনাফের বর্ণনার কথা। আমার দাদির ওসি বাবার পোস্টিং সূত্রে প্রায় নব্বই-পঁচানব্বই বছর আগে ছিলেন কক্সবাজার, টেকনাফ, হ্নীলার মতো জায়গাগুলোতে। দাদিরা বাঘের ডাক শুনতে পেতেন রাতে। কোয়ার্টার ঘেরা ছিল উঁচু পাচিলে।
তবে তখন বুঝতে পারিনি সামনে আরও খারাপ দিন আসছে। যত দিন গড়াচ্ছে তত বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েকটা উদাহরণই যথেষ্ট। কির্সতং-রুংরাংয়ের মায়ায় পড়েছেন অনেক অরণ্যপ্রেমীই। যে ধনেশ পাখির নামে রুংরাং-র নাম সেখানে এখন ধনেশ পাখির দেখা পাওয়া ভার। ক্রিসতংও হারিয়েছে আগের আদিম চেহারা। বছর তিনেক আগে কেওক্রাডং গিয়ে শুনেছিলাম ধনেশ পাখির ঠোঁট বিক্রির খবর।
রাঙামাটি-বান্দরবানের গহিনে গাছ কাটার খবরও কানে আসে। কখনো সংবাদমাধ্যমে, কখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এক সময় খুব সমৃদ্ধ এক বন ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ গেম রিজার্ভ। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা আসার পর এই অরণ্যের করুণ হাল হয়েছে। কক্সবাজার জেলার অনেক অরণ্যই এখন রোহিঙ্গা-সংকটে সঙিন অবস্থায় আছে।
অথচ বন আর বন্যপ্রাণী মানুষের কম উপকার তো করে না। আমাদের ছেড়ে দেওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে গাছ। পৃথিবীর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বড় সংরক্ষণাগার এই অরণ্য। শুধুমাত্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্যগুলোতেই ২ হাজার ৫০০ কোটি টন সংরক্ষিত আছে কোনো না কোনোভাবে। গাছপালা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও সরবরাহ করে।
ছায়া দিয়ে বনের গাছপালা আমাদের শীতলতা দেয়। এ ছাড়া ট্রান্সপিরেশন নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চারপাশের বাতাসের তাপমাত্রা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শিকড়ের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করে গাছ। তারপর পাতার মাধ্যমে কিছু পানি বাতাসে ছেড়ে দেয়। এভাবে উত্তপ্ত পরিবেশ শীতল হয়।
মাটি থেকে পানি নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয় গাছ। তাই বড়সড় জায়গা নিয়ে বিস্তৃত জঙ্গলগুলো নিজেদের একটা ক্ষুদ্র জলবায়ু এলাকা তৈরির পাশাপাশি আবহাওয়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন. দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের জঙ্গল শুধু এর ভেতরে ও আশপাশে বৃষ্টিপাত ঘটাতে ভূমিকা রাখে তা নয়, এমনকি উত্তর আমেরিকার বিশাল সমতলভূমিতেও বৃষ্টি ঝরতে পারে এর প্রভাবে।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার পাশাপাশি কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইড থেকে বাতাসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বন। সাহায্য করে ভূমিক্ষয় রোধেও।
আরও অনেক উপকারিতাই আছে বন ও এর গাছপালার। সেগুলো না হয় তোলা থাকল অন্য কোনো দিনের জন্য।
কিন্তু এত সব উপকারিতার বিনিময়ে বনকে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। বরং নানাভাবে ক্ষতিই করে গিয়েছি। আগে আমাদের চমৎকার গ্রামীণ বন ছিল। এসব বনে মেছো বিড়াল, খাটাশ বা গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, শিয়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর আড্ডাখানা। কিন্তু এখন খুব কম গ্রামেই এ ধরনের বন বা বাগান আছে। তাই গ্রামের আশপাশে বাস করা প্রাণীরাও আছে বড় বিপদে। লোকালয়ে এসে মানুষের পিটুনিতে নিয়মিত মেছো বিড়াল, বন বিড়াল মারা পড়ার সংবাদ শুনে কেঁদে উঠে মন।
এখন মনে হচ্ছে, বন দিবসের নিরাশার কথা বেশি হয়ে গিয়েছে। আশার কথাও আছে। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই এখন গাছের চারা লাগাচ্ছেন। তেমনি বন্যপ্রাণী ও অরণ্য নিয়ে কাজ করছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা কোনো জায়গায় বন্যপ্রাণী ধরা পড়লে সেগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের সহায়তায় অরণ্যে ও নিরাপদ পরিবেশে মুক্ত করছে। তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কোনো জায়গায় হাতিসহ আহত বা অসুস্থ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ এমন খবরও পড়েছি। আবার স্থানীয়রাও সচেতন হচ্ছেন। এই তো গত মঙ্গলবার মেহেরপুর উপজেলায় একটা মেছো বিড়াল আটকা পড়েছিল হাঁসের খামারে। সেটিকে খাঁচায় আটকে ফেলা হলেও মেরে ফেলা হয়নি, বন বিভাগের সহায়তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বন দিবসে দেশের অরণ্য আর বন্যপ্রাণীদের জন্য শুভকামনা। আশা করি, আবার রুংরাংয়ে মহানন্দে বিশাল ডানা ছড়িয়ে উড়ে বেড়াবে ধনেশ, অরণ্যচারী পথ হারাবেন কির্সতংয়ের দিনেই রাত নামা বনে কিংবা সাঙ্গু-মাতামুহুরিতে নিরাপদে থাকবে শতবর্ষী গাছেরা।
সূত্র: বনের উপকারিতার কিছু তথ্য ট্রি হাগার ডট কম ও ব্লগ ডট টেনট্রি ডট কম থেকে নেওয়া হয়েছে।
বছর তিনেক আগের কথা। বান্দরবানের রুমা উপজেলা। কেওক্রাডংয়ের পাদদেশে দার্জিলিং পাড়া। সেখানে গিয়ে আস্তানা গেড়েছি মেঘলা দিদিদের কটেজে। বাড়ির পেছনে ছোট্ট একটি পাহাড়ে হয়েছে আদার চাষ। সকালে ঘুম ভাঙার পর সেখানে ওঠে সামনে তাকাতেই চোখে পড়ল কেওক্রাডং ফেরত পর্যটকেরা হেঁটে ফিরছেন পাড়ার মাঝের মাঠ ধরে। তারপরই চোখ গেল উল্টো দিকে। আর তাতেই চমকালাম। মাঝারি উচ্চতার পাহাড়টায় ঘন গাছপালার সারি। কোনো কোনোটি হয়তো শত বর্ষের সীমানা পেরিয়েছে। এর পাশে একটু দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক পাহাড়েও গাছপালার ঠাসবুনোট।
পরে দার্জিলিং পাড়ার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম জঙ্গলে ঠাসা পাহাড় দুটি বন্যপ্রাণীর আড্ডাখানা। মায়া হরিণ আছে সেখানে। আর আছে মাথা গরম ভালুকেরা।
আজ ২১ মার্চ, আন্তর্জাতিক বন দিবস। তাই চলুন আরও কয়েকটি অরণ্যের গল্প শুনি। কাপ্তাইয়ে বন বিভাগের রাম পাহাড় বিট অফিস থেকে চমৎকার দেখা যায় সীতা পাহাড়ের অরণ্য। ২০০৬-৭ সালের দিকে প্রথম যখন সেখানে যাই তখনই কর্ণফুলীর ওপাশের সীতা পাহাড়ের অংশটা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। প্রাচীন সব গাছপালা, লতা-গুল্ম মিলে এমন একে দেখে মনে হচ্ছিল কল্পরাজ্য থেকে ওঠে আসা প্রাগৈতিহাসিক কোনো অরণ্য। কেন যেন ঘুরে-ফিরে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত বই লস্ট ওয়ার্ল্ডের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
সীতা পাহাড়ের অরণ্যে ডানা মেলা এক শিকারি ইগলকে দেখে ভাবছিলাম লস্ট ওয়ার্ল্ড বা হারানো পৃথিবীর টেরোড্যাকটিলের কথা। পরদিন ভোরে সীতা পাহাড়ের ওপরে গাছের ডালে খেলা করা হনুমানগুলিকে হাতের আঙুলের চেয়ে বড় দেখাচ্ছিল না কোনোমতেই। পরে অবশ্য আরও বেশ কয়েক বার গিয়েছি কাপ্তাইয়ে। উঠেছি সীতা পাহাড়ের চূড়ায়ও।
মনে পড়ে কালেঙ্গার জঙ্গলে গিয়ে শ ফুটি সব গাছে কালো বিশালাকায় কাঠবিড়ালিদের মেলা কিংবা বড় মোদকের আগে হঠাৎ পৌঁছে যাওয়া নেই নীরব এলাকার কথা, যেখানে নদীর দু-ধারে কেবলই ছিল উঁচু সব বৃক্ষরাজির রাজত্ব। লাঠিটিলার গহিন অরণ্যের আকাশ ঢেকে দেওয়া সেই সব মায়াবী গাছপালার কথাও ভুলতে পারি না। আজ বিশেষ এই দিনটিতে ভাবি, কেমন আছে প্রিয় সেই অরণ্যগুলো।
বাঘের খোঁজে বান্দরবানের গহিনে, হাতির খোঁজে রাঙামাটির কাসালং, চিতার খোঁজে কাপ্তাই মুখ খাল—কত জঙ্গলে যে চষে বেরিয়েছি। যেখানেই গিয়েছি পেয়ে বসেছে হতাশা, চোখের কোণে অজান্তেই জমা হয়েছে জল। কাসালংয়ের মাইনির বন বাংলোতে গিয়ে দেখি চারপাশে বনের ছিটেফোঁটা নেই। অথচ এনায়েত মাওলা ষাট-সত্তর বছর আগে মাইনির ধারেই চিতা বাঘ-বাঘ শিকার করেছেন। সাঙ্গুর দিকে যাওয়ার সময় ২০১১ সালে রেমাক্রির ধারে একটা পাহাড় দেখিয়ে আমাদের মধ্যবয়স্ক মারমা গাইড বলছিলেন, তাঁর বালক বয়সে লুকিয়ে সেখানে বাঘ দেখার গল্প। মধুপুরে গিয়ে মনে পড়েছে ১৯৫০ সালের আশপাশে এদিকেও ছিল বাঘের রাজত্ব। চিতা বাঘ ছিল ওখানে মুক্তিযুদ্ধের আশপাশের সময়। ভাওয়াল-মধুপুরের অরণ্যের অবস্থাও মোটেই ভালো নয় এখন।
সিলেটের বনগুলোতে গিয়েও মন খারাপ হতো পুরোনো দিনের কথা ভেবে। আবদুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জের লাউর এলাকায় ও খাসিয়া পাহাড়ে বাঘ-হাতির যে রাজ্যের কথা বলে গিয়েছেন তা কোথায় হারাল! তখন সেখানে ছিল গভীর বনানী। নানির মুখে শোনা গোয়াল থেকে বাঘ গরু নিয়ে যাওয়ার গল্প কিংবা নানার বাড়ির কাছে দুই ভাইয়ের খালি হাতে বাঘ শিকারের ঘটনা, সাতছড়িতে চিতা বাঘের গাড়ির কাচে থাবা চালানোর সেই সব ঘটনা মনে পড়লেও অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ-অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে শরীরে।
টেকনাফ গেলে আবার মনে পড়ে ধীরাজ ভট্টাচার্যের যখন পুলিশ ছিলামের সেই গহিন অরণ্যে ভরপুর, বাঘ ডাকা টেকনাফের বর্ণনার কথা। আমার দাদির ওসি বাবার পোস্টিং সূত্রে প্রায় নব্বই-পঁচানব্বই বছর আগে ছিলেন কক্সবাজার, টেকনাফ, হ্নীলার মতো জায়গাগুলোতে। দাদিরা বাঘের ডাক শুনতে পেতেন রাতে। কোয়ার্টার ঘেরা ছিল উঁচু পাচিলে।
তবে তখন বুঝতে পারিনি সামনে আরও খারাপ দিন আসছে। যত দিন গড়াচ্ছে তত বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েকটা উদাহরণই যথেষ্ট। কির্সতং-রুংরাংয়ের মায়ায় পড়েছেন অনেক অরণ্যপ্রেমীই। যে ধনেশ পাখির নামে রুংরাং-র নাম সেখানে এখন ধনেশ পাখির দেখা পাওয়া ভার। ক্রিসতংও হারিয়েছে আগের আদিম চেহারা। বছর তিনেক আগে কেওক্রাডং গিয়ে শুনেছিলাম ধনেশ পাখির ঠোঁট বিক্রির খবর।
রাঙামাটি-বান্দরবানের গহিনে গাছ কাটার খবরও কানে আসে। কখনো সংবাদমাধ্যমে, কখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এক সময় খুব সমৃদ্ধ এক বন ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ গেম রিজার্ভ। বিশেষ করে রোহিঙ্গারা আসার পর এই অরণ্যের করুণ হাল হয়েছে। কক্সবাজার জেলার অনেক অরণ্যই এখন রোহিঙ্গা-সংকটে সঙিন অবস্থায় আছে।
অথচ বন আর বন্যপ্রাণী মানুষের কম উপকার তো করে না। আমাদের ছেড়ে দেওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে গাছ। পৃথিবীর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বড় সংরক্ষণাগার এই অরণ্য। শুধুমাত্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্যগুলোতেই ২ হাজার ৫০০ কোটি টন সংরক্ষিত আছে কোনো না কোনোভাবে। গাছপালা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও সরবরাহ করে।
ছায়া দিয়ে বনের গাছপালা আমাদের শীতলতা দেয়। এ ছাড়া ট্রান্সপিরেশন নামের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চারপাশের বাতাসের তাপমাত্রা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শিকড়ের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করে গাছ। তারপর পাতার মাধ্যমে কিছু পানি বাতাসে ছেড়ে দেয়। এভাবে উত্তপ্ত পরিবেশ শীতল হয়।
মাটি থেকে পানি নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয় গাছ। তাই বড়সড় জায়গা নিয়ে বিস্তৃত জঙ্গলগুলো নিজেদের একটা ক্ষুদ্র জলবায়ু এলাকা তৈরির পাশাপাশি আবহাওয়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন. দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের জঙ্গল শুধু এর ভেতরে ও আশপাশে বৃষ্টিপাত ঘটাতে ভূমিকা রাখে তা নয়, এমনকি উত্তর আমেরিকার বিশাল সমতলভূমিতেও বৃষ্টি ঝরতে পারে এর প্রভাবে।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার পাশাপাশি কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইড থেকে বাতাসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বন। সাহায্য করে ভূমিক্ষয় রোধেও।
আরও অনেক উপকারিতাই আছে বন ও এর গাছপালার। সেগুলো না হয় তোলা থাকল অন্য কোনো দিনের জন্য।
কিন্তু এত সব উপকারিতার বিনিময়ে বনকে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। বরং নানাভাবে ক্ষতিই করে গিয়েছি। আগে আমাদের চমৎকার গ্রামীণ বন ছিল। এসব বনে মেছো বিড়াল, খাটাশ বা গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, শিয়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর আড্ডাখানা। কিন্তু এখন খুব কম গ্রামেই এ ধরনের বন বা বাগান আছে। তাই গ্রামের আশপাশে বাস করা প্রাণীরাও আছে বড় বিপদে। লোকালয়ে এসে মানুষের পিটুনিতে নিয়মিত মেছো বিড়াল, বন বিড়াল মারা পড়ার সংবাদ শুনে কেঁদে উঠে মন।
এখন মনে হচ্ছে, বন দিবসের নিরাশার কথা বেশি হয়ে গিয়েছে। আশার কথাও আছে। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই এখন গাছের চারা লাগাচ্ছেন। তেমনি বন্যপ্রাণী ও অরণ্য নিয়ে কাজ করছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা কোনো জায়গায় বন্যপ্রাণী ধরা পড়লে সেগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের সহায়তায় অরণ্যে ও নিরাপদ পরিবেশে মুক্ত করছে। তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কোনো জায়গায় হাতিসহ আহত বা অসুস্থ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ এমন খবরও পড়েছি। আবার স্থানীয়রাও সচেতন হচ্ছেন। এই তো গত মঙ্গলবার মেহেরপুর উপজেলায় একটা মেছো বিড়াল আটকা পড়েছিল হাঁসের খামারে। সেটিকে খাঁচায় আটকে ফেলা হলেও মেরে ফেলা হয়নি, বন বিভাগের সহায়তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বন দিবসে দেশের অরণ্য আর বন্যপ্রাণীদের জন্য শুভকামনা। আশা করি, আবার রুংরাংয়ে মহানন্দে বিশাল ডানা ছড়িয়ে উড়ে বেড়াবে ধনেশ, অরণ্যচারী পথ হারাবেন কির্সতংয়ের দিনেই রাত নামা বনে কিংবা সাঙ্গু-মাতামুহুরিতে নিরাপদে থাকবে শতবর্ষী গাছেরা।
সূত্র: বনের উপকারিতার কিছু তথ্য ট্রি হাগার ডট কম ও ব্লগ ডট টেনট্রি ডট কম থেকে নেওয়া হয়েছে।
আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
আজ আন্তর্জাতিক বন দিবসে পরিচিত হব দেশের কিছু অরণ্যের সঙ্গে। জানব আমাদের কী উপকার করে বনগুলি অর্থাৎ এদের কেন রক্ষা করা উচিত। সেই সঙ্গে থাকবে বন নিয়ে অনেক মন খারাপের, আর কিছু আশার কথা।
২১ মার্চ ২০২৪পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ আন্তর্জাতিক বন দিবসে পরিচিত হব দেশের কিছু অরণ্যের সঙ্গে। জানব আমাদের কী উপকার করে বনগুলি অর্থাৎ এদের কেন রক্ষা করা উচিত। সেই সঙ্গে থাকবে বন নিয়ে অনেক মন খারাপের, আর কিছু আশার কথা।
২১ মার্চ ২০২৪আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক বন দিবসে পরিচিত হব দেশের কিছু অরণ্যের সঙ্গে। জানব আমাদের কী উপকার করে বনগুলি অর্থাৎ এদের কেন রক্ষা করা উচিত। সেই সঙ্গে থাকবে বন নিয়ে অনেক মন খারাপের, আর কিছু আশার কথা।
২১ মার্চ ২০২৪আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
আজ আন্তর্জাতিক বন দিবসে পরিচিত হব দেশের কিছু অরণ্যের সঙ্গে। জানব আমাদের কী উপকার করে বনগুলি অর্থাৎ এদের কেন রক্ষা করা উচিত। সেই সঙ্গে থাকবে বন নিয়ে অনেক মন খারাপের, আর কিছু আশার কথা।
২১ মার্চ ২০২৪আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগে