
ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
তুষারপাত শুরু হলেই কিছু প্রাণীর গ্রীষ্মের বাদামি লোম শীতের শুভ্র রঙে পরিবর্তিত হয়। শীতের সঙ্গে রূপ বদলায় এমন ছয়টি প্রাণীর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
বেজি
বেজি বেশ সক্রিয় বুনো শিকারি। এদের খাবারের ৮০ শতাংশই ইঁদুর। বিশ্বের সব জায়গাতেই বেজি পাওয়া গেলেও শুধু উত্তর গোলার্ধের বেজিরাই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে রং পাল্টায়।
বেজির তিনটি প্রজাতি রং পাল্টায়: লিস্ট বেজি (মুস্টেলা নিভালিস), লম্বা লেজের বেজি (মুস্টেলা ফ্রেনেটা) ও ছোট লেজের বেজি (মুস্টেলা এরমিনি)। ছোট লেজের বেজিগুলোর লোম গ্রীষ্মকালে লালচে বাদামি রঙের থাকে। শীত আসলে এদের গাঢ় রঙের লোমগুলো সাদা রঙে পরিণত হয়ে যায়। এ পরিবর্তন প্রাণীটির পেট, বুক ও গলার লোম থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাদা বেজিগুলো সহজেই বরফের মধ্যে মিশে যেতে পারে। এর ফলে শিকার করা যেমন সহজ হয়, তেমন প্যাঁচা, বাজপাখি ও শেয়ালের মতো শিকারি প্রাণীর দৃষ্টির আড়ালে থাকা যায়।
আর্কটিক শেয়াল
আর্কটিক শেয়াল (ভালপ্স লাগোপাস) পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলগুলোর একটি আর্কটিক তুন্দ্রায় বাস করে। এ অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ও গ্রীষ্ম খুবই সংক্ষিপ্ত। গ্রীষ্মে আর্কটিক শেয়ালের গায়ে ছোট ছোট, পাতলা ও হালকা ধূসর রঙের লোম দেখা যায়। শীতে তা তুন্দ্রার বরফের সঙ্গে মিলে সাদা ঘন লোমে পরিণত হয়। শিকারের সময় বরফের সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদা লোমের সুবিধা পায় আর্কটিক শেয়াল।
খরগোশ
খরগোশের প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি রয়েছে। তবে এর মধ্যে শুধু ছয়টি প্রজাতিই শীতকালে বর্ণ পরিবর্তন করে। এর মধ্যে রয়েছে: তুষার খরগোশ (লেপুস আমেরিকানাস), আর্কটিক খরগোশ (লেপুস আর্কটিকাস) ও পর্বত খরগোশ (লেপুস টিমিডাস)।
স্নোশু হেয়ার বা তুষারপদ খরগোশের নামকরণ হয়েছে এদের বড়, লোমশ পায়ের জন্য। এ পা তাদের ভারী তুষারের ওপর চলতে সাহায্য করে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উত্তরের দিকের অংশে এ খরগোশগুলো দেখা যায়। বসন্ত ও গ্রীষ্মে এ খরগোশগুলোর শরীর গাঢ় ধূসর ও বাদামি রঙের লোমে ঢেকে থাকে। এর কারণে মাটি ও পাথরের মধ্যে এদের আলাদা করা যায় না। শীতে দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোম ক্রমশ সাদা হতে থাকে।
টার্মিগান
টার্মিগান বুনোহাঁস আর্কটিক তুন্দ্রা থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়ার বোরিয়াল বনাঞ্চলে বাস করে। এর তিনটি প্রজাতি শীতকালে রং বদলায়: পাথুরে টার্মিগান (লাগোপাস মুটা), সাদা লেজের টার্মিগান (লাগোপাস লেউকিউরাস) ও উইলো টার্মিগান (লাগোপাস লাগোপাস)।
তিনটি প্রজাতিরই পালকে ঢাকা পা রয়েছে, যার সাহায্যে এরা বরফের ওপর হাঁটতে পারে। পাখিটির গাঢ় বাদামি পালক শীতকালে ধীরে ধীরে সাদায় পরিণত হয়। তবে পুরুষ টার্মিগানেরা স্ত্রী টার্মিগানদের আকৃষ্ট করতে প্রজনন মৌসুম পর্যন্ত এদের সাদা পালক থাকে। গ্রীষ্মের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ প্রজনন মৌসুম থাকে। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরুষ টার্মিগানেরা ধুলাবালু মেখে সাদা পালক বিবর্ণ করে।
রুশ বেটে হ্যামস্টার
কাজাখস্তান, চীনের উত্তরাঞ্চল ও রাশিয়ার ঘাসযুক্ত বিস্তীর্ণ ভূমিতে ছোট ছোট হ্যামস্টারের দেখা পাওয়া যায়। এগুলো মূলত পোষা প্রাণী হিসেবেই বেশি পরিচিত।
রাশিয়ার বামন হ্যামস্টার (ফডোপাস সুনগোরাস) এক ধরনের গোলাকার হ্যামস্টার। এদের বাদামি ও ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। কোনো কোনোটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বাটে দাগ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে গেলে ও দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোমের বর্ণ সাদা হওয়ায় এগুলোকে তুষারশুভ্র হ্যামস্টারও বলা হয়। তবে খাঁচায় বন্দী রাখা হলে এদের বর্ণ পরিবর্তন হয় না।
পিয়ারি বলগা হরিণ
পিয়ারি বলগা হরিণ (র্যাঙ্গিফার ট্যারান্ডাস পিয়ারি) কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বলগা হরিণের একটি প্রজাতি। চওড়া ও কোদালের মতো খুর দিয়ে তারা ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যবর্তী পানিতে চলাফেরা করে। এ ছাড়া ঘাস ও জলাভূমিতেও এরা চরে বেড়ায়।
এদের লোম দ্বিস্তর বিশিষ্ট: একটি ঘন স্তর বিশিষ্ট অন্যটি লম্বা লোম বিশিষ্ট। এদের লম্বা লোমগুলো শরীরে তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পিয়ারি বলগা হরিণের লোম মূলত সাদাই এবং এর পিঠ ধূসর বর্ণের। তবে গ্রীষ্মকালে তা হালকা বাদামি বর্ণ ধারণ করে। শীতকালে এদের লোম সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়।

ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
তুষারপাত শুরু হলেই কিছু প্রাণীর গ্রীষ্মের বাদামি লোম শীতের শুভ্র রঙে পরিবর্তিত হয়। শীতের সঙ্গে রূপ বদলায় এমন ছয়টি প্রাণীর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
বেজি
বেজি বেশ সক্রিয় বুনো শিকারি। এদের খাবারের ৮০ শতাংশই ইঁদুর। বিশ্বের সব জায়গাতেই বেজি পাওয়া গেলেও শুধু উত্তর গোলার্ধের বেজিরাই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে রং পাল্টায়।
বেজির তিনটি প্রজাতি রং পাল্টায়: লিস্ট বেজি (মুস্টেলা নিভালিস), লম্বা লেজের বেজি (মুস্টেলা ফ্রেনেটা) ও ছোট লেজের বেজি (মুস্টেলা এরমিনি)। ছোট লেজের বেজিগুলোর লোম গ্রীষ্মকালে লালচে বাদামি রঙের থাকে। শীত আসলে এদের গাঢ় রঙের লোমগুলো সাদা রঙে পরিণত হয়ে যায়। এ পরিবর্তন প্রাণীটির পেট, বুক ও গলার লোম থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাদা বেজিগুলো সহজেই বরফের মধ্যে মিশে যেতে পারে। এর ফলে শিকার করা যেমন সহজ হয়, তেমন প্যাঁচা, বাজপাখি ও শেয়ালের মতো শিকারি প্রাণীর দৃষ্টির আড়ালে থাকা যায়।
আর্কটিক শেয়াল
আর্কটিক শেয়াল (ভালপ্স লাগোপাস) পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলগুলোর একটি আর্কটিক তুন্দ্রায় বাস করে। এ অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ও গ্রীষ্ম খুবই সংক্ষিপ্ত। গ্রীষ্মে আর্কটিক শেয়ালের গায়ে ছোট ছোট, পাতলা ও হালকা ধূসর রঙের লোম দেখা যায়। শীতে তা তুন্দ্রার বরফের সঙ্গে মিলে সাদা ঘন লোমে পরিণত হয়। শিকারের সময় বরফের সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদা লোমের সুবিধা পায় আর্কটিক শেয়াল।
খরগোশ
খরগোশের প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি রয়েছে। তবে এর মধ্যে শুধু ছয়টি প্রজাতিই শীতকালে বর্ণ পরিবর্তন করে। এর মধ্যে রয়েছে: তুষার খরগোশ (লেপুস আমেরিকানাস), আর্কটিক খরগোশ (লেপুস আর্কটিকাস) ও পর্বত খরগোশ (লেপুস টিমিডাস)।
স্নোশু হেয়ার বা তুষারপদ খরগোশের নামকরণ হয়েছে এদের বড়, লোমশ পায়ের জন্য। এ পা তাদের ভারী তুষারের ওপর চলতে সাহায্য করে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উত্তরের দিকের অংশে এ খরগোশগুলো দেখা যায়। বসন্ত ও গ্রীষ্মে এ খরগোশগুলোর শরীর গাঢ় ধূসর ও বাদামি রঙের লোমে ঢেকে থাকে। এর কারণে মাটি ও পাথরের মধ্যে এদের আলাদা করা যায় না। শীতে দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোম ক্রমশ সাদা হতে থাকে।
টার্মিগান
টার্মিগান বুনোহাঁস আর্কটিক তুন্দ্রা থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়ার বোরিয়াল বনাঞ্চলে বাস করে। এর তিনটি প্রজাতি শীতকালে রং বদলায়: পাথুরে টার্মিগান (লাগোপাস মুটা), সাদা লেজের টার্মিগান (লাগোপাস লেউকিউরাস) ও উইলো টার্মিগান (লাগোপাস লাগোপাস)।
তিনটি প্রজাতিরই পালকে ঢাকা পা রয়েছে, যার সাহায্যে এরা বরফের ওপর হাঁটতে পারে। পাখিটির গাঢ় বাদামি পালক শীতকালে ধীরে ধীরে সাদায় পরিণত হয়। তবে পুরুষ টার্মিগানেরা স্ত্রী টার্মিগানদের আকৃষ্ট করতে প্রজনন মৌসুম পর্যন্ত এদের সাদা পালক থাকে। গ্রীষ্মের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ প্রজনন মৌসুম থাকে। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরুষ টার্মিগানেরা ধুলাবালু মেখে সাদা পালক বিবর্ণ করে।
রুশ বেটে হ্যামস্টার
কাজাখস্তান, চীনের উত্তরাঞ্চল ও রাশিয়ার ঘাসযুক্ত বিস্তীর্ণ ভূমিতে ছোট ছোট হ্যামস্টারের দেখা পাওয়া যায়। এগুলো মূলত পোষা প্রাণী হিসেবেই বেশি পরিচিত।
রাশিয়ার বামন হ্যামস্টার (ফডোপাস সুনগোরাস) এক ধরনের গোলাকার হ্যামস্টার। এদের বাদামি ও ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। কোনো কোনোটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বাটে দাগ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে গেলে ও দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোমের বর্ণ সাদা হওয়ায় এগুলোকে তুষারশুভ্র হ্যামস্টারও বলা হয়। তবে খাঁচায় বন্দী রাখা হলে এদের বর্ণ পরিবর্তন হয় না।
পিয়ারি বলগা হরিণ
পিয়ারি বলগা হরিণ (র্যাঙ্গিফার ট্যারান্ডাস পিয়ারি) কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বলগা হরিণের একটি প্রজাতি। চওড়া ও কোদালের মতো খুর দিয়ে তারা ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যবর্তী পানিতে চলাফেরা করে। এ ছাড়া ঘাস ও জলাভূমিতেও এরা চরে বেড়ায়।
এদের লোম দ্বিস্তর বিশিষ্ট: একটি ঘন স্তর বিশিষ্ট অন্যটি লম্বা লোম বিশিষ্ট। এদের লম্বা লোমগুলো শরীরে তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পিয়ারি বলগা হরিণের লোম মূলত সাদাই এবং এর পিঠ ধূসর বর্ণের। তবে গ্রীষ্মকালে তা হালকা বাদামি বর্ণ ধারণ করে। শীতকালে এদের লোম সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়।

ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
তুষারপাত শুরু হলেই কিছু প্রাণীর গ্রীষ্মের বাদামি লোম শীতের শুভ্র রঙে পরিবর্তিত হয়। শীতের সঙ্গে রূপ বদলায় এমন ছয়টি প্রাণীর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
বেজি
বেজি বেশ সক্রিয় বুনো শিকারি। এদের খাবারের ৮০ শতাংশই ইঁদুর। বিশ্বের সব জায়গাতেই বেজি পাওয়া গেলেও শুধু উত্তর গোলার্ধের বেজিরাই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে রং পাল্টায়।
বেজির তিনটি প্রজাতি রং পাল্টায়: লিস্ট বেজি (মুস্টেলা নিভালিস), লম্বা লেজের বেজি (মুস্টেলা ফ্রেনেটা) ও ছোট লেজের বেজি (মুস্টেলা এরমিনি)। ছোট লেজের বেজিগুলোর লোম গ্রীষ্মকালে লালচে বাদামি রঙের থাকে। শীত আসলে এদের গাঢ় রঙের লোমগুলো সাদা রঙে পরিণত হয়ে যায়। এ পরিবর্তন প্রাণীটির পেট, বুক ও গলার লোম থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাদা বেজিগুলো সহজেই বরফের মধ্যে মিশে যেতে পারে। এর ফলে শিকার করা যেমন সহজ হয়, তেমন প্যাঁচা, বাজপাখি ও শেয়ালের মতো শিকারি প্রাণীর দৃষ্টির আড়ালে থাকা যায়।
আর্কটিক শেয়াল
আর্কটিক শেয়াল (ভালপ্স লাগোপাস) পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলগুলোর একটি আর্কটিক তুন্দ্রায় বাস করে। এ অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ও গ্রীষ্ম খুবই সংক্ষিপ্ত। গ্রীষ্মে আর্কটিক শেয়ালের গায়ে ছোট ছোট, পাতলা ও হালকা ধূসর রঙের লোম দেখা যায়। শীতে তা তুন্দ্রার বরফের সঙ্গে মিলে সাদা ঘন লোমে পরিণত হয়। শিকারের সময় বরফের সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদা লোমের সুবিধা পায় আর্কটিক শেয়াল।
খরগোশ
খরগোশের প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি রয়েছে। তবে এর মধ্যে শুধু ছয়টি প্রজাতিই শীতকালে বর্ণ পরিবর্তন করে। এর মধ্যে রয়েছে: তুষার খরগোশ (লেপুস আমেরিকানাস), আর্কটিক খরগোশ (লেপুস আর্কটিকাস) ও পর্বত খরগোশ (লেপুস টিমিডাস)।
স্নোশু হেয়ার বা তুষারপদ খরগোশের নামকরণ হয়েছে এদের বড়, লোমশ পায়ের জন্য। এ পা তাদের ভারী তুষারের ওপর চলতে সাহায্য করে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উত্তরের দিকের অংশে এ খরগোশগুলো দেখা যায়। বসন্ত ও গ্রীষ্মে এ খরগোশগুলোর শরীর গাঢ় ধূসর ও বাদামি রঙের লোমে ঢেকে থাকে। এর কারণে মাটি ও পাথরের মধ্যে এদের আলাদা করা যায় না। শীতে দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোম ক্রমশ সাদা হতে থাকে।
টার্মিগান
টার্মিগান বুনোহাঁস আর্কটিক তুন্দ্রা থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়ার বোরিয়াল বনাঞ্চলে বাস করে। এর তিনটি প্রজাতি শীতকালে রং বদলায়: পাথুরে টার্মিগান (লাগোপাস মুটা), সাদা লেজের টার্মিগান (লাগোপাস লেউকিউরাস) ও উইলো টার্মিগান (লাগোপাস লাগোপাস)।
তিনটি প্রজাতিরই পালকে ঢাকা পা রয়েছে, যার সাহায্যে এরা বরফের ওপর হাঁটতে পারে। পাখিটির গাঢ় বাদামি পালক শীতকালে ধীরে ধীরে সাদায় পরিণত হয়। তবে পুরুষ টার্মিগানেরা স্ত্রী টার্মিগানদের আকৃষ্ট করতে প্রজনন মৌসুম পর্যন্ত এদের সাদা পালক থাকে। গ্রীষ্মের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ প্রজনন মৌসুম থাকে। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরুষ টার্মিগানেরা ধুলাবালু মেখে সাদা পালক বিবর্ণ করে।
রুশ বেটে হ্যামস্টার
কাজাখস্তান, চীনের উত্তরাঞ্চল ও রাশিয়ার ঘাসযুক্ত বিস্তীর্ণ ভূমিতে ছোট ছোট হ্যামস্টারের দেখা পাওয়া যায়। এগুলো মূলত পোষা প্রাণী হিসেবেই বেশি পরিচিত।
রাশিয়ার বামন হ্যামস্টার (ফডোপাস সুনগোরাস) এক ধরনের গোলাকার হ্যামস্টার। এদের বাদামি ও ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। কোনো কোনোটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বাটে দাগ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে গেলে ও দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোমের বর্ণ সাদা হওয়ায় এগুলোকে তুষারশুভ্র হ্যামস্টারও বলা হয়। তবে খাঁচায় বন্দী রাখা হলে এদের বর্ণ পরিবর্তন হয় না।
পিয়ারি বলগা হরিণ
পিয়ারি বলগা হরিণ (র্যাঙ্গিফার ট্যারান্ডাস পিয়ারি) কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বলগা হরিণের একটি প্রজাতি। চওড়া ও কোদালের মতো খুর দিয়ে তারা ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যবর্তী পানিতে চলাফেরা করে। এ ছাড়া ঘাস ও জলাভূমিতেও এরা চরে বেড়ায়।
এদের লোম দ্বিস্তর বিশিষ্ট: একটি ঘন স্তর বিশিষ্ট অন্যটি লম্বা লোম বিশিষ্ট। এদের লম্বা লোমগুলো শরীরে তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পিয়ারি বলগা হরিণের লোম মূলত সাদাই এবং এর পিঠ ধূসর বর্ণের। তবে গ্রীষ্মকালে তা হালকা বাদামি বর্ণ ধারণ করে। শীতকালে এদের লোম সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়।

ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
তুষারপাত শুরু হলেই কিছু প্রাণীর গ্রীষ্মের বাদামি লোম শীতের শুভ্র রঙে পরিবর্তিত হয়। শীতের সঙ্গে রূপ বদলায় এমন ছয়টি প্রাণীর কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
বেজি
বেজি বেশ সক্রিয় বুনো শিকারি। এদের খাবারের ৮০ শতাংশই ইঁদুর। বিশ্বের সব জায়গাতেই বেজি পাওয়া গেলেও শুধু উত্তর গোলার্ধের বেজিরাই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে রং পাল্টায়।
বেজির তিনটি প্রজাতি রং পাল্টায়: লিস্ট বেজি (মুস্টেলা নিভালিস), লম্বা লেজের বেজি (মুস্টেলা ফ্রেনেটা) ও ছোট লেজের বেজি (মুস্টেলা এরমিনি)। ছোট লেজের বেজিগুলোর লোম গ্রীষ্মকালে লালচে বাদামি রঙের থাকে। শীত আসলে এদের গাঢ় রঙের লোমগুলো সাদা রঙে পরিণত হয়ে যায়। এ পরিবর্তন প্রাণীটির পেট, বুক ও গলার লোম থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
সাদা বেজিগুলো সহজেই বরফের মধ্যে মিশে যেতে পারে। এর ফলে শিকার করা যেমন সহজ হয়, তেমন প্যাঁচা, বাজপাখি ও শেয়ালের মতো শিকারি প্রাণীর দৃষ্টির আড়ালে থাকা যায়।
আর্কটিক শেয়াল
আর্কটিক শেয়াল (ভালপ্স লাগোপাস) পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলগুলোর একটি আর্কটিক তুন্দ্রায় বাস করে। এ অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ও গ্রীষ্ম খুবই সংক্ষিপ্ত। গ্রীষ্মে আর্কটিক শেয়ালের গায়ে ছোট ছোট, পাতলা ও হালকা ধূসর রঙের লোম দেখা যায়। শীতে তা তুন্দ্রার বরফের সঙ্গে মিলে সাদা ঘন লোমে পরিণত হয়। শিকারের সময় বরফের সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদা লোমের সুবিধা পায় আর্কটিক শেয়াল।
খরগোশ
খরগোশের প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি রয়েছে। তবে এর মধ্যে শুধু ছয়টি প্রজাতিই শীতকালে বর্ণ পরিবর্তন করে। এর মধ্যে রয়েছে: তুষার খরগোশ (লেপুস আমেরিকানাস), আর্কটিক খরগোশ (লেপুস আর্কটিকাস) ও পর্বত খরগোশ (লেপুস টিমিডাস)।
স্নোশু হেয়ার বা তুষারপদ খরগোশের নামকরণ হয়েছে এদের বড়, লোমশ পায়ের জন্য। এ পা তাদের ভারী তুষারের ওপর চলতে সাহায্য করে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উত্তরের দিকের অংশে এ খরগোশগুলো দেখা যায়। বসন্ত ও গ্রীষ্মে এ খরগোশগুলোর শরীর গাঢ় ধূসর ও বাদামি রঙের লোমে ঢেকে থাকে। এর কারণে মাটি ও পাথরের মধ্যে এদের আলাদা করা যায় না। শীতে দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোম ক্রমশ সাদা হতে থাকে।
টার্মিগান
টার্মিগান বুনোহাঁস আর্কটিক তুন্দ্রা থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়ার বোরিয়াল বনাঞ্চলে বাস করে। এর তিনটি প্রজাতি শীতকালে রং বদলায়: পাথুরে টার্মিগান (লাগোপাস মুটা), সাদা লেজের টার্মিগান (লাগোপাস লেউকিউরাস) ও উইলো টার্মিগান (লাগোপাস লাগোপাস)।
তিনটি প্রজাতিরই পালকে ঢাকা পা রয়েছে, যার সাহায্যে এরা বরফের ওপর হাঁটতে পারে। পাখিটির গাঢ় বাদামি পালক শীতকালে ধীরে ধীরে সাদায় পরিণত হয়। তবে পুরুষ টার্মিগানেরা স্ত্রী টার্মিগানদের আকৃষ্ট করতে প্রজনন মৌসুম পর্যন্ত এদের সাদা পালক থাকে। গ্রীষ্মের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ প্রজনন মৌসুম থাকে। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরুষ টার্মিগানেরা ধুলাবালু মেখে সাদা পালক বিবর্ণ করে।
রুশ বেটে হ্যামস্টার
কাজাখস্তান, চীনের উত্তরাঞ্চল ও রাশিয়ার ঘাসযুক্ত বিস্তীর্ণ ভূমিতে ছোট ছোট হ্যামস্টারের দেখা পাওয়া যায়। এগুলো মূলত পোষা প্রাণী হিসেবেই বেশি পরিচিত।
রাশিয়ার বামন হ্যামস্টার (ফডোপাস সুনগোরাস) এক ধরনের গোলাকার হ্যামস্টার। এদের বাদামি ও ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। কোনো কোনোটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বাটে দাগ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে গেলে ও দিন ছোট হয়ে এলে এদের লোমের বর্ণ সাদা হওয়ায় এগুলোকে তুষারশুভ্র হ্যামস্টারও বলা হয়। তবে খাঁচায় বন্দী রাখা হলে এদের বর্ণ পরিবর্তন হয় না।
পিয়ারি বলগা হরিণ
পিয়ারি বলগা হরিণ (র্যাঙ্গিফার ট্যারান্ডাস পিয়ারি) কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বলগা হরিণের একটি প্রজাতি। চওড়া ও কোদালের মতো খুর দিয়ে তারা ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যবর্তী পানিতে চলাফেরা করে। এ ছাড়া ঘাস ও জলাভূমিতেও এরা চরে বেড়ায়।
এদের লোম দ্বিস্তর বিশিষ্ট: একটি ঘন স্তর বিশিষ্ট অন্যটি লম্বা লোম বিশিষ্ট। এদের লম্বা লোমগুলো শরীরে তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পিয়ারি বলগা হরিণের লোম মূলত সাদাই এবং এর পিঠ ধূসর বর্ণের। তবে গ্রীষ্মকালে তা হালকা বাদামি বর্ণ ধারণ করে। শীতকালে এদের লোম সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১৩ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
২০ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১৩ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
২০ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউএলএবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যৎও।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে উপদেষ্টা আরও বলেন, আজ তোমরা সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গাউন ও ক্যাপ পরেছ, কাল দায়িত্বের প্রতীক পরবে। সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে চলো। মানুষের, দেশের ও পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব কখনো ভুলে যেও না।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ইউএলএবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম।
অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউএলএবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যৎও।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে উপদেষ্টা আরও বলেন, আজ তোমরা সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গাউন ও ক্যাপ পরেছ, কাল দায়িত্বের প্রতীক পরবে। সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে চলো। মানুষের, দেশের ও পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব কখনো ভুলে যেও না।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ইউএলএবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম।
অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
২০ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৪২১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা এবং পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৬৯, ১৭৬ ও ১৬৫।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৪২১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা এবং পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৬৯, ১৭৬ ও ১৬৫।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১৩ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে খুব বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকালের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোন্থা আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এভাবে বৃষ্টি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে খুব বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকালের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোন্থা আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এভাবে বৃষ্টি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঋতু বদলের সঙ্গে প্রাণীদের মধ্যেও নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কিছু প্রাণী পরিযায়ী হয়, কেউ চলে যায় শীতনিদ্রায়, আবার কেউ লেগে পড়ে খাবার সংগ্রহে। দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ায় ও রাত দীর্ঘ হওয়ায় শীতের প্রস্তুতি হিসেবে প্রাণীদের হরমোনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১৩ ঘণ্টা আগে
হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
২০ ঘণ্টা আগে