
কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে