কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে তীর রক্ষায় বসানো জিওব্যাগ ছিঁড়ে ঝাউবনে আঁচড়ে পড়ছে পানি। এতে সৈকত তীরের বালিয়াড়িতে বিলীন হয়ে উপড়ে পড়ছে ঝাউগাছ। গত ১৫ দিনে কক্সবাজার শহর, ইনানী, হিমছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩ হাজার ছোট-বড় ঝাউগাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সাগরের উচ্চতা বাড়ছে। বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরের উচ্চ জোয়ারে তীর ভাঙছে। তীর রক্ষায় অভিজ্ঞদের মতামত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় পরিবেশবিদরা।
এক মাস ধরে ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়া, টানা বৃষ্টি ও ভরা পূর্ণিমার জোয়ারে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী এবং কলাতলী পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এসব সৈকত পয়েন্ট গত এক দশকে কয়েকবার ভাঙনের মুখে পড়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগের বাঁধ বসিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেও কাজে আসছে না।
কবিতা চত্বর থেকে লাবণি পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, সাগরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট উচ্চতায় তীরে আছড়ে পড়ছে। ঢেউয়ের চাপে তীর রক্ষায় বসানো জিও ব্যাগগুলো ছিঁড়ে পড়ে আছে। জিও ব্যাগের বাঁধ ছাপিয়ে ঢেউয়ের পানি ঢুকে পড়ছে ঝাউ বনে। এতে একে একে ঝাউ গাছগুলো শেকড় উপড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।
কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এ সড়কেও পর্যটকদের আলাদা নজর কাড়ে ঝাউবন। সড়কটিরও বিভিন্ন অংশে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ও পাকা ব্লক বসানো হয়েছে।
আজ বুধবার হিমছড়ি এলাকায় দেখা গেছে, সাগরের তীব্র ঢেউয়ের চাপে পাকা ব্লক সরিয়ে মেরিন ড্রাইভে আঘাত হানছে। এ সড়কের টেকনাফের কয়েকটি এলাকায়ও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
হিমছড়ি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল গফুর আজকের পত্রিকাকে জানান, তিন—চার বছরের মধ্যে হিমছড়ি এলাকার সৈকতের বালিয়াড়ি বিলীন হয়ে মেরিন ড্রাইভ ছুঁয়েছে। সড়ক রক্ষায় ব্লক বসিয়েও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী বেলাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণি পয়েন্ট থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত সৈকতে এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। ফলে সৈকতপারের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
সাগরপাড় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বালুকাময় সৈকত রক্ষায় কোনো ধরনের উদ্ভিদ লাগানো উচিত এর কোনো গবেষণা নেই। বালিয়াড়িতে শুধু যত্রতত্র ঝাউগাছ রোপণ করা হচ্ছে। অথচ এক সময়ে প্রাকৃতিকভাবে বালিয়াড়িতে যে উদ্ভিদ ছিল তা সৈকতের ভাঙন রোধে কার্যকর ছিল।’
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ সরওয়ার আলম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাগর দিনদিন উত্তাল হয়ে উঠছে। উচ্চতা বাড়ছে। এর ফলে উচ্চ জোয়ারে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নাজিরারটেক, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্টসহ বেশ কয়েকটি স্থানে জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে প্রায় আড়াই শ বড় এবং আড়াই—তিন হাজারের মতো ছোট ঝাউ চারা উপড়ে গেছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিথুন ওয়াদ্দাদার বলেন, ভাঙনরোধে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিরক্ষাবাঁধ তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে ভাঙনরোধের পাশাপাশি ঝাউবন ও বালিয়াড়ি রক্ষা পাবে। এ ছাড়াও ভ্রমণে আসা পর্যটকেরাও স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করতে পারবে।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে তীর রক্ষায় বসানো জিওব্যাগ ছিঁড়ে ঝাউবনে আঁচড়ে পড়ছে পানি। এতে সৈকত তীরের বালিয়াড়িতে বিলীন হয়ে উপড়ে পড়ছে ঝাউগাছ। গত ১৫ দিনে কক্সবাজার শহর, ইনানী, হিমছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৩ হাজার ছোট-বড় ঝাউগাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সাগরের উচ্চতা বাড়ছে। বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরের উচ্চ জোয়ারে তীর ভাঙছে। তীর রক্ষায় অভিজ্ঞদের মতামত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় পরিবেশবিদরা।
এক মাস ধরে ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়া, টানা বৃষ্টি ও ভরা পূর্ণিমার জোয়ারে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী এবং কলাতলী পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এসব সৈকত পয়েন্ট গত এক দশকে কয়েকবার ভাঙনের মুখে পড়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগের বাঁধ বসিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেও কাজে আসছে না।
কবিতা চত্বর থেকে লাবণি পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, সাগরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট উচ্চতায় তীরে আছড়ে পড়ছে। ঢেউয়ের চাপে তীর রক্ষায় বসানো জিও ব্যাগগুলো ছিঁড়ে পড়ে আছে। জিও ব্যাগের বাঁধ ছাপিয়ে ঢেউয়ের পানি ঢুকে পড়ছে ঝাউ বনে। এতে একে একে ঝাউ গাছগুলো শেকড় উপড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।
কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এ সড়কেও পর্যটকদের আলাদা নজর কাড়ে ঝাউবন। সড়কটিরও বিভিন্ন অংশে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ও পাকা ব্লক বসানো হয়েছে।
আজ বুধবার হিমছড়ি এলাকায় দেখা গেছে, সাগরের তীব্র ঢেউয়ের চাপে পাকা ব্লক সরিয়ে মেরিন ড্রাইভে আঘাত হানছে। এ সড়কের টেকনাফের কয়েকটি এলাকায়ও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
হিমছড়ি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল গফুর আজকের পত্রিকাকে জানান, তিন—চার বছরের মধ্যে হিমছড়ি এলাকার সৈকতের বালিয়াড়ি বিলীন হয়ে মেরিন ড্রাইভ ছুঁয়েছে। সড়ক রক্ষায় ব্লক বসিয়েও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী বেলাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণি পয়েন্ট থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত সৈকতে এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। ফলে সৈকতপারের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
সাগরপাড় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বালুকাময় সৈকত রক্ষায় কোনো ধরনের উদ্ভিদ লাগানো উচিত এর কোনো গবেষণা নেই। বালিয়াড়িতে শুধু যত্রতত্র ঝাউগাছ রোপণ করা হচ্ছে। অথচ এক সময়ে প্রাকৃতিকভাবে বালিয়াড়িতে যে উদ্ভিদ ছিল তা সৈকতের ভাঙন রোধে কার্যকর ছিল।’
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ সরওয়ার আলম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাগর দিনদিন উত্তাল হয়ে উঠছে। উচ্চতা বাড়ছে। এর ফলে উচ্চ জোয়ারে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নাজিরারটেক, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্টসহ বেশ কয়েকটি স্থানে জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে প্রায় আড়াই শ বড় এবং আড়াই—তিন হাজারের মতো ছোট ঝাউ চারা উপড়ে গেছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিথুন ওয়াদ্দাদার বলেন, ভাঙনরোধে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিরক্ষাবাঁধ তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে ভাঙনরোধের পাশাপাশি ঝাউবন ও বালিয়াড়ি রক্ষা পাবে। এ ছাড়াও ভ্রমণে আসা পর্যটকেরাও স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করতে পারবে।
পাসিজা, ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। প্রতিদিন সকালে তাঁর ঘুম ভাঙে সমুদ্রের শব্দে। বিষয়টি শুনতে রোমান্টিক মনে হলেও, পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। সমুদ্র উপকূলে রেজোসারী সেনিক নামের এই ছোট গ্রামে তাঁর বাড়িটিই এখন একমাত্র টিকে থাকা ঘর। জাভার উত্তর উপকূলে একসময় গ্রামটি শুষ্ক ভূমিতে..
৬ ঘণ্টা আগেঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু ছুটি শেষে ব্যস্ত শহুরে জীবন শুরু হওয়ার পর থেকে বায়ুদূষণ ক্রমেই বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক দিন ধরে ঢাকা আবারও বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানেই থাকছে। আজ শনিবারও ঢাকা আছে তালিকার শীর্ষে।
৯ ঘণ্টা আগেসবচেয়ে বিস্তৃতভাবে পাওয়া গেছে ক্যাডমিয়াম ধাতু, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অংশে এই ধাতুর উপস্থিতি আশঙ্কাজনক ভাবে বেশি।
১ দিন আগেসাধারণত বৃষ্টি হলে কমে আসে দূষণ। তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তুমুল বৃষ্টির পরও বায়ুমানে তেমন উন্নতি নেই। আজ শুক্রবার, বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৯টা ৫০ এর রেকর্ড অনুযায়ী, বায়ুমান ১৬১ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা। যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক...
১ দিন আগে