Ajker Patrika

ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা চিলমারীতে, বিপর্যস্ত জনজীবন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ৫৪
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা চিলমারীতে, বিপর্যস্ত জনজীবন

গত দুই দিন থেকে কনকনে ঠান্ডা পড়ছে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে। সেই সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দিনের বেলাতেই বিভিন্ন রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। এদিকে শীত বাড়ায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের কষ্ট হচ্ছে বেশি। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। 

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, চরাঞ্চলের শীতের প্রকোপ দিনে দিনে বাড়ছে। বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষ পড়ছে ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজিখেত ও বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। 

উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার মো. আমির হোসেন বলেন, ‘আমি হোটেলে কাজ করি। সারা রাত কনকনে ঠান্ডা। দিনের বেলায়ও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নাই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুটবে না। তাই কাজে যাচ্ছি।’ 

একই ইউনিয়নের নৌবন্দর এলাকার আজিজুল হক বলেন, ‘দুই দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়তেছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।’ 

থানাহাট ইউনিয়নের বালবাড়ী হাট এলাকার রিকশাচালক আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ খুব ঠান্ডা পড়েছে। কেমন করি রিকশা নিয়ে বাইর হমো চিন্তায় পড়ে গেলাম।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এভাবে ঠান্ডা থাকলে রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে।’ 
 
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, জেলায় আজ মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত