এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চলে মিলেছে যেসব এলাকায় আগে খুব বেশি অনুসন্ধান করা হয়নি, আবার কিছু জিনিস জাদুঘরের কোনো একটি আলমারিতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে। এরা আমাদের গ্রহের জীবজগতের মূল্যবান বৈচিত্র্যই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
আর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সূত্রে এমন কিছু বিচিত্র প্রজাতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
মাছের গন্ধযুক্ত ছত্রাক
গত এক বছরে লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনস এবং এর সহযোগীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ভিদের ১৪৯টি এবং ছত্রাকের ২৩টি নতুন প্রজাতি শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে তিনটি নতুন ছত্রাক তাদের স্বতন্ত্র মাছের গন্ধের জন্য বিশেষ নজর করেছে।
রুসালা গণে প্রায় ৮০০টি মাশরুম প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এ মাশরুমগুলো আপেলের মাংসের মতো কাণ্ডযুক্ত। মাটির নিচে বেড়ে ওঠা দীর্ঘ শাখা-প্রশাখাযুক্ত রুসালার হাইফা প্রায়ই গাছের সঙ্গে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব মাশরুম ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন যৌগ উৎপন্ন করে, যা এদের তীব্র মাছের গন্ধের উৎস।
নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির মধ্যে একটি হলো রুসালা ল্যাপোনিকা, যা সুইডেন, নরওয়ে এবং এস্তোনিয়ার মিশ্রিত বার্চ, স্প্রুস, পাইন, হ্যাজেল এবং অ্যাসপেন বনে পাওয়া গেছে। আরেকটি প্রজাতি, রুসালা নিওপাসকুয়া, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো এবং মন্টানার রকি পর্বতমালার উইলো গাছের আশপাশে পাওয়া যায়। তৃতীয় প্রজাতি রুসালা অলিম্পিয়ানা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বনভূমিতে দেখা যায়।
ভ্যাম্পায়ার হেজহগ
এই নতুন হেজহগ প্রজাতিটির শরীর কাটার বদলে নরম এবং খসখসে লোমে আবৃত। তবে এটির একমাত্র ‘কাঁটাযুক্ত’ বৈশিষ্ট্য এর মুখের ভেতর লুকিয়ে আছে। ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত এই প্রজাতির পুরুষ হেজহগের লম্বা, ছুরি-সদৃশ দাঁত রয়েছে, যা এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোমিস ম্যাকারং রাখার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামী ভাষায় ম্যাকারং অর্থ ভ্যাম্পায়ার।
১৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং দেখতে অনেকটা ইঁদুর ও ছুচোর মিশেল বলে মনে হওয়া এই লোমশ নিশাচর প্রাণীটির ছবি প্রথমবার ২০০৯ সালে রাশিয়ান-ভিয়েতনামী একটি গবেষণাকেন্দ্রের মাধ্যমে তোলা হয়েছিল। তবে প্রাণীটির একটি নমুনা ১৯৬১ সাল থেকেই ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ধূলিমাখা সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ছিল, যা এত দিন উপেক্ষিত ছিল।
বিজ্ঞানীরা যখন বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত নরম-লোমযুক্ত হেজহগ প্রজাতিগুলোর নমুনা বিশ্লেষণ করেন এবং জেনেটিক বিশ্লেষণের সাহায্যে তুলনা করতে শুরু করেন, তখন তারা বুঝতে পারেন যে এটি বিজ্ঞানীদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি অজানা প্রজাতি। এই লম্বা দাঁতের সুনির্দিষ্ট আকৃতি এখনো রহস্যজনক, তবে পুরুষদের দাঁত অপেক্ষাকৃত বড় হওয়ায় ধারণা করা হয়, এটি সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করতে পারে।
হাইলোমিস ম্যাকারং বৃহত্তর মেকং অঞ্চলে গত বছর আবিষ্কৃত ২৩৪টি নতুন প্রজাতির একটি। কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের মতো অঞ্চল এ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের বৈচিত্র্যতাকে আরও একবার তুলে ধরেছে।
ভুতুড়ে পাম
২০২৪ সালে রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষকদের আরেকটি রহস্যময় উদ্ভিদ আবিষ্কার হলো বোর্নিওর পশ্চিমাঞ্চলে পাওয়া এক ধরনের পামগাছ। এই গাছটির পাতা সাদা রঙের নিচের অংশ এবং ধূসর কাণ্ডের কারণে স্থানীয়ভাবে একে ‘উই মুকুপ’ বা ‘উই মুকাউপ’ নামে ডাকা হয়।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সুরক্ষিত বর্ষা বনে পাওয়া এই তালগাছ ঐতিহ্যগতভাবে ঝুড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক নাম ছিল না। এবার একে প্লেকটোকমিওপসিস হান্তু নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘হান্তু’ শব্দটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় ভাষায় ‘ভূত’ বোঝায়, যা এর অদ্ভুত চেহারাকে প্রতিফলিত করে।
বাউন্টি ট্রগ
এটি কোনো একক আবিষ্কার নয়, বরং নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের উপকূলের নিচের সমুদ্রতল ‘বাউন্টি ট্রগ’ নামে পরিচিত একটি এলাকাকে নতুন প্রজাতির খনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমুদ্র জরিপের অংশ হিসেবে, বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪,৮০০ মিটার (১৫,৭৪৮ ফুট) গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন, যা ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৮ মাইল) দীর্ঘ এই এলাকায় বিস্তৃত।
তিন সপ্তাহের অভিযানে প্রশান্ত মহাসাগরের নতুন সামুদ্রিক প্রজাতির বিশাল সংগ্রহ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ডজনখানেক মলাস্ক (শামুক-ঝিনুকজাতীয় খোলযুক্ত প্রাণী), তিনটি মাছ, একটি চিংড়ি এবং একটি নতুন প্রজাতির প্রবাল রয়েছে।
কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট
নামটি বেশ ভয়ংকর মনে হলেও এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটি ভীষণ লাজুক। ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বনঘেরা পাহাড়ি পথে একটি খামারের ঝিরিতে পাথরের নিচে লুকিয়ে ছিল। এর নামকরণ করা হয়েছে টাইলোটোট্রিটন কোলিয়েনসিস। কোলিয়া মাউন্টেন পাস-এর কোলিয়া অর্গানিক খামারে পাওয়া যাওয়াতেই এমন নামকরণ।
এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটির পিঠে কুমিরের মতো দেখতে হাড়ের খাঁজ ও গুটির মতো রয়েছে। তবে সাদৃশ্য এখানেই শেষ। বড় স্ত্রীদের দৈর্ঘ্য মাত্র ৭.৩ সেন্টিমিটার (২.৮ ইঞ্চি)। প্রাণীটি প্রায় সম্পূর্ণ কালো রঙের, তবে এর আঙুল ও পায়ের ডগাগুলো উজ্জ্বল কমলা। লেজের নিচের অংশে একটি কমলা রঙের দাগ রয়েছে।
ক্রোকোডাইল নিউট হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন উভচর প্রাণীগুলোর একটি। কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট আবিষ্কার করা রুশ, ভিয়েতনামী ও ফরাসি গবেষকেরা মনে করেন, এটি এর আত্মীয়দের মতো শিকারি এবং অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসার শিকার হতে পারে।
দস্যু মাকড়সা
আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দূরবর্তী উষ্ণ দ্বীপে, গবেষকেরা দস্যু কিংবা ডাকাতের মতো আচরণ করে মাকড়সার এমন দুটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। এই মাকড়সাগুলো সেন্ট হেলেনার সংকটাপন্ন মেঘবন বা ক্লাউড ফরেস্টে বাস করে। সেন্ট হেলেনা হলো সাগরের মধ্যখানে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনাধীন একটি এলাকা। সেখানে তারা অন্য মাকড়সার জাল দখল করে সেই জালের বাসিন্দাদের হত্যা করার অভ্যাসে অভ্যস্ত।
ইরো লিজি এবং ইরো নাতাশি নামে এই প্রজাতিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এবং বেলজিয়ামের রয়্যাল মিউজিয়াম অব সেন্ট্রাল আফ্রিকাতে সংরক্ষিত নমুনার ওপর জিনগত বিশ্লেষণ চালানোর পর। ৪ মিলিমিটার (০.১৫ ইঞ্চি) লম্বা ইরো লিজির শরীরের পেছনে দুই জোড়া কাটার মতো আবরণ রয়েছে। এগুলোর সুনির্দিষ্ট কাজ এখনো অজানা, তবে এটি একে ভয়ংকর একটি চেহারা দিয়েছে।
হাড়বহুল স্যালমান্ডার কেরমিট
বিখ্যাত এক ব্যাঙের নামে নামকরণ করা কেরমিটপস গ্র্যাটাস নামের প্রাণীটি জীবিত নেই, তবে এটি জীবাশ্ম হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। গত চার দশক ধরে এই রহস্যময় জীবাশ্মটি ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির সংগ্রহে ছিল। এবার, ২০২৪ সালে, একে ধূলিমুক্ত করে নামকরণ করা হয়েছে।
নামে ব্যাঙের সঙ্গে মিল থাকলেও নতুন আবিষ্কৃত উভচর প্রাণীটি দেখতে অনেকটা মোটা হাড়ের সালামান্ডারের মতো। প্রায় ২৭ কোটি বছর আগে এটি বর্তমান টেক্সাস অঞ্চলে বাস করত এবং পোকামাকড় জাতীয় খাবার খেত।
ফুটকি ভরা মাথার মাছ এবং আধা-জলজ ইঁদুর
পেরুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আল্টো মায়ো এলাকায় ৩৮ দিনের অভিযানের সময়, গবেষকেরা ২৭টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেন, যার মধ্যে একটি বিরল উভচর ইঁদুর এবং একটি অদ্ভুত মাছ রয়েছে।
ফুটকি-মাথার এই অদ্ভুত মাছটিকে গবেষকেরা একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার বলছেন। এর অদ্ভুত মাথার আকৃতি এখনো একটি রহস্য। ওই অঞ্চলের পাথুরে পাহাড়ি খরস্রোতা ঝিরিতে এটি পাওয়া যায়। এটি ক্যাটফিশের একটি প্রজাতি। যদিও এটি এলাকার আদিবাসী আওয়াজুনদের কাছে পরিচিত ছিল, তবে এটি বিজ্ঞানের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
অন্যদিকে, আধা-জলজ ইঁদুরটি একটি ছোট জলাভূমি বনে পাওয়া গেছে। এর পায়ের আঙুলে জাল থাকায় এটি জলজ পরিবেশে বসবাসের জন্য উপযুক্ত। তবে গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন যে, এর বাসস্থান ইতিমধ্যেই কৃষির জন্য হুমকির সম্মুখীন।
জীববৈচিত্র্য সংকট
এ বছরের উদ্ভিদ, ছত্রাক এবং দুর্লভ প্রাণীদের আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচুর উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তবে, রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের আফ্রিকা অঞ্চলের সিনিয়র গবেষণা নেতা মার্টিন চিক সতর্ক করে বলেছেন, এই আবিষ্কারগুলো মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপের কারণে জীববৈচিত্র্যের ওপর ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রভাবের একটি বার্তা বহন করছে।
চিক বলেন, ‘আমরা ক্রমশই দেখতে পাচ্ছি যে নতুন প্রজাতিগুলো প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পাওয়া যাচ্ছে, অথবা কখনো কখনো আমরা তাদের খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য মানুষের কারণে তাদের বাসস্থান ধ্বংস হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি দায়ী।’
চিক আরও বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য সংকট আমাদের সবার ওপরই প্রভাব ফেলে। এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার এবং বৈশ্বিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সমর্থন দেওয়ার। না হলে এমন একদিন ঘুম থেকে উঠে আমরা বুঝতে পারব, কিছু করার জন্য খুব দেরি হয়ে গেছে।’
এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চলে মিলেছে যেসব এলাকায় আগে খুব বেশি অনুসন্ধান করা হয়নি, আবার কিছু জিনিস জাদুঘরের কোনো একটি আলমারিতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে। এরা আমাদের গ্রহের জীবজগতের মূল্যবান বৈচিত্র্যই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
আর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সূত্রে এমন কিছু বিচিত্র প্রজাতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
মাছের গন্ধযুক্ত ছত্রাক
গত এক বছরে লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনস এবং এর সহযোগীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ভিদের ১৪৯টি এবং ছত্রাকের ২৩টি নতুন প্রজাতি শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে তিনটি নতুন ছত্রাক তাদের স্বতন্ত্র মাছের গন্ধের জন্য বিশেষ নজর করেছে।
রুসালা গণে প্রায় ৮০০টি মাশরুম প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এ মাশরুমগুলো আপেলের মাংসের মতো কাণ্ডযুক্ত। মাটির নিচে বেড়ে ওঠা দীর্ঘ শাখা-প্রশাখাযুক্ত রুসালার হাইফা প্রায়ই গাছের সঙ্গে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব মাশরুম ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন যৌগ উৎপন্ন করে, যা এদের তীব্র মাছের গন্ধের উৎস।
নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির মধ্যে একটি হলো রুসালা ল্যাপোনিকা, যা সুইডেন, নরওয়ে এবং এস্তোনিয়ার মিশ্রিত বার্চ, স্প্রুস, পাইন, হ্যাজেল এবং অ্যাসপেন বনে পাওয়া গেছে। আরেকটি প্রজাতি, রুসালা নিওপাসকুয়া, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো এবং মন্টানার রকি পর্বতমালার উইলো গাছের আশপাশে পাওয়া যায়। তৃতীয় প্রজাতি রুসালা অলিম্পিয়ানা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বনভূমিতে দেখা যায়।
ভ্যাম্পায়ার হেজহগ
এই নতুন হেজহগ প্রজাতিটির শরীর কাটার বদলে নরম এবং খসখসে লোমে আবৃত। তবে এটির একমাত্র ‘কাঁটাযুক্ত’ বৈশিষ্ট্য এর মুখের ভেতর লুকিয়ে আছে। ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত এই প্রজাতির পুরুষ হেজহগের লম্বা, ছুরি-সদৃশ দাঁত রয়েছে, যা এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোমিস ম্যাকারং রাখার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামী ভাষায় ম্যাকারং অর্থ ভ্যাম্পায়ার।
১৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং দেখতে অনেকটা ইঁদুর ও ছুচোর মিশেল বলে মনে হওয়া এই লোমশ নিশাচর প্রাণীটির ছবি প্রথমবার ২০০৯ সালে রাশিয়ান-ভিয়েতনামী একটি গবেষণাকেন্দ্রের মাধ্যমে তোলা হয়েছিল। তবে প্রাণীটির একটি নমুনা ১৯৬১ সাল থেকেই ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ধূলিমাখা সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ছিল, যা এত দিন উপেক্ষিত ছিল।
বিজ্ঞানীরা যখন বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত নরম-লোমযুক্ত হেজহগ প্রজাতিগুলোর নমুনা বিশ্লেষণ করেন এবং জেনেটিক বিশ্লেষণের সাহায্যে তুলনা করতে শুরু করেন, তখন তারা বুঝতে পারেন যে এটি বিজ্ঞানীদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি অজানা প্রজাতি। এই লম্বা দাঁতের সুনির্দিষ্ট আকৃতি এখনো রহস্যজনক, তবে পুরুষদের দাঁত অপেক্ষাকৃত বড় হওয়ায় ধারণা করা হয়, এটি সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করতে পারে।
হাইলোমিস ম্যাকারং বৃহত্তর মেকং অঞ্চলে গত বছর আবিষ্কৃত ২৩৪টি নতুন প্রজাতির একটি। কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের মতো অঞ্চল এ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের বৈচিত্র্যতাকে আরও একবার তুলে ধরেছে।
ভুতুড়ে পাম
২০২৪ সালে রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষকদের আরেকটি রহস্যময় উদ্ভিদ আবিষ্কার হলো বোর্নিওর পশ্চিমাঞ্চলে পাওয়া এক ধরনের পামগাছ। এই গাছটির পাতা সাদা রঙের নিচের অংশ এবং ধূসর কাণ্ডের কারণে স্থানীয়ভাবে একে ‘উই মুকুপ’ বা ‘উই মুকাউপ’ নামে ডাকা হয়।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সুরক্ষিত বর্ষা বনে পাওয়া এই তালগাছ ঐতিহ্যগতভাবে ঝুড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক নাম ছিল না। এবার একে প্লেকটোকমিওপসিস হান্তু নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘হান্তু’ শব্দটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় ভাষায় ‘ভূত’ বোঝায়, যা এর অদ্ভুত চেহারাকে প্রতিফলিত করে।
বাউন্টি ট্রগ
এটি কোনো একক আবিষ্কার নয়, বরং নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের উপকূলের নিচের সমুদ্রতল ‘বাউন্টি ট্রগ’ নামে পরিচিত একটি এলাকাকে নতুন প্রজাতির খনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমুদ্র জরিপের অংশ হিসেবে, বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪,৮০০ মিটার (১৫,৭৪৮ ফুট) গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন, যা ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৮ মাইল) দীর্ঘ এই এলাকায় বিস্তৃত।
তিন সপ্তাহের অভিযানে প্রশান্ত মহাসাগরের নতুন সামুদ্রিক প্রজাতির বিশাল সংগ্রহ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ডজনখানেক মলাস্ক (শামুক-ঝিনুকজাতীয় খোলযুক্ত প্রাণী), তিনটি মাছ, একটি চিংড়ি এবং একটি নতুন প্রজাতির প্রবাল রয়েছে।
কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট
নামটি বেশ ভয়ংকর মনে হলেও এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটি ভীষণ লাজুক। ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বনঘেরা পাহাড়ি পথে একটি খামারের ঝিরিতে পাথরের নিচে লুকিয়ে ছিল। এর নামকরণ করা হয়েছে টাইলোটোট্রিটন কোলিয়েনসিস। কোলিয়া মাউন্টেন পাস-এর কোলিয়া অর্গানিক খামারে পাওয়া যাওয়াতেই এমন নামকরণ।
এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটির পিঠে কুমিরের মতো দেখতে হাড়ের খাঁজ ও গুটির মতো রয়েছে। তবে সাদৃশ্য এখানেই শেষ। বড় স্ত্রীদের দৈর্ঘ্য মাত্র ৭.৩ সেন্টিমিটার (২.৮ ইঞ্চি)। প্রাণীটি প্রায় সম্পূর্ণ কালো রঙের, তবে এর আঙুল ও পায়ের ডগাগুলো উজ্জ্বল কমলা। লেজের নিচের অংশে একটি কমলা রঙের দাগ রয়েছে।
ক্রোকোডাইল নিউট হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন উভচর প্রাণীগুলোর একটি। কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট আবিষ্কার করা রুশ, ভিয়েতনামী ও ফরাসি গবেষকেরা মনে করেন, এটি এর আত্মীয়দের মতো শিকারি এবং অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসার শিকার হতে পারে।
দস্যু মাকড়সা
আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দূরবর্তী উষ্ণ দ্বীপে, গবেষকেরা দস্যু কিংবা ডাকাতের মতো আচরণ করে মাকড়সার এমন দুটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। এই মাকড়সাগুলো সেন্ট হেলেনার সংকটাপন্ন মেঘবন বা ক্লাউড ফরেস্টে বাস করে। সেন্ট হেলেনা হলো সাগরের মধ্যখানে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনাধীন একটি এলাকা। সেখানে তারা অন্য মাকড়সার জাল দখল করে সেই জালের বাসিন্দাদের হত্যা করার অভ্যাসে অভ্যস্ত।
ইরো লিজি এবং ইরো নাতাশি নামে এই প্রজাতিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এবং বেলজিয়ামের রয়্যাল মিউজিয়াম অব সেন্ট্রাল আফ্রিকাতে সংরক্ষিত নমুনার ওপর জিনগত বিশ্লেষণ চালানোর পর। ৪ মিলিমিটার (০.১৫ ইঞ্চি) লম্বা ইরো লিজির শরীরের পেছনে দুই জোড়া কাটার মতো আবরণ রয়েছে। এগুলোর সুনির্দিষ্ট কাজ এখনো অজানা, তবে এটি একে ভয়ংকর একটি চেহারা দিয়েছে।
হাড়বহুল স্যালমান্ডার কেরমিট
বিখ্যাত এক ব্যাঙের নামে নামকরণ করা কেরমিটপস গ্র্যাটাস নামের প্রাণীটি জীবিত নেই, তবে এটি জীবাশ্ম হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। গত চার দশক ধরে এই রহস্যময় জীবাশ্মটি ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির সংগ্রহে ছিল। এবার, ২০২৪ সালে, একে ধূলিমুক্ত করে নামকরণ করা হয়েছে।
নামে ব্যাঙের সঙ্গে মিল থাকলেও নতুন আবিষ্কৃত উভচর প্রাণীটি দেখতে অনেকটা মোটা হাড়ের সালামান্ডারের মতো। প্রায় ২৭ কোটি বছর আগে এটি বর্তমান টেক্সাস অঞ্চলে বাস করত এবং পোকামাকড় জাতীয় খাবার খেত।
ফুটকি ভরা মাথার মাছ এবং আধা-জলজ ইঁদুর
পেরুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আল্টো মায়ো এলাকায় ৩৮ দিনের অভিযানের সময়, গবেষকেরা ২৭টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেন, যার মধ্যে একটি বিরল উভচর ইঁদুর এবং একটি অদ্ভুত মাছ রয়েছে।
ফুটকি-মাথার এই অদ্ভুত মাছটিকে গবেষকেরা একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার বলছেন। এর অদ্ভুত মাথার আকৃতি এখনো একটি রহস্য। ওই অঞ্চলের পাথুরে পাহাড়ি খরস্রোতা ঝিরিতে এটি পাওয়া যায়। এটি ক্যাটফিশের একটি প্রজাতি। যদিও এটি এলাকার আদিবাসী আওয়াজুনদের কাছে পরিচিত ছিল, তবে এটি বিজ্ঞানের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
অন্যদিকে, আধা-জলজ ইঁদুরটি একটি ছোট জলাভূমি বনে পাওয়া গেছে। এর পায়ের আঙুলে জাল থাকায় এটি জলজ পরিবেশে বসবাসের জন্য উপযুক্ত। তবে গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন যে, এর বাসস্থান ইতিমধ্যেই কৃষির জন্য হুমকির সম্মুখীন।
জীববৈচিত্র্য সংকট
এ বছরের উদ্ভিদ, ছত্রাক এবং দুর্লভ প্রাণীদের আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচুর উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তবে, রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের আফ্রিকা অঞ্চলের সিনিয়র গবেষণা নেতা মার্টিন চিক সতর্ক করে বলেছেন, এই আবিষ্কারগুলো মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপের কারণে জীববৈচিত্র্যের ওপর ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রভাবের একটি বার্তা বহন করছে।
চিক বলেন, ‘আমরা ক্রমশই দেখতে পাচ্ছি যে নতুন প্রজাতিগুলো প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পাওয়া যাচ্ছে, অথবা কখনো কখনো আমরা তাদের খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য মানুষের কারণে তাদের বাসস্থান ধ্বংস হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি দায়ী।’
চিক আরও বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য সংকট আমাদের সবার ওপরই প্রভাব ফেলে। এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার এবং বৈশ্বিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সমর্থন দেওয়ার। না হলে এমন একদিন ঘুম থেকে উঠে আমরা বুঝতে পারব, কিছু করার জন্য খুব দেরি হয়ে গেছে।’
এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চলে মিলেছে যেসব এলাকায় আগে খুব বেশি অনুসন্ধান করা হয়নি, আবার কিছু জিনিস জাদুঘরের কোনো একটি আলমারিতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে। এরা আমাদের গ্রহের জীবজগতের মূল্যবান বৈচিত্র্যই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
আর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সূত্রে এমন কিছু বিচিত্র প্রজাতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
মাছের গন্ধযুক্ত ছত্রাক
গত এক বছরে লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনস এবং এর সহযোগীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ভিদের ১৪৯টি এবং ছত্রাকের ২৩টি নতুন প্রজাতি শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে তিনটি নতুন ছত্রাক তাদের স্বতন্ত্র মাছের গন্ধের জন্য বিশেষ নজর করেছে।
রুসালা গণে প্রায় ৮০০টি মাশরুম প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এ মাশরুমগুলো আপেলের মাংসের মতো কাণ্ডযুক্ত। মাটির নিচে বেড়ে ওঠা দীর্ঘ শাখা-প্রশাখাযুক্ত রুসালার হাইফা প্রায়ই গাছের সঙ্গে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব মাশরুম ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন যৌগ উৎপন্ন করে, যা এদের তীব্র মাছের গন্ধের উৎস।
নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির মধ্যে একটি হলো রুসালা ল্যাপোনিকা, যা সুইডেন, নরওয়ে এবং এস্তোনিয়ার মিশ্রিত বার্চ, স্প্রুস, পাইন, হ্যাজেল এবং অ্যাসপেন বনে পাওয়া গেছে। আরেকটি প্রজাতি, রুসালা নিওপাসকুয়া, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো এবং মন্টানার রকি পর্বতমালার উইলো গাছের আশপাশে পাওয়া যায়। তৃতীয় প্রজাতি রুসালা অলিম্পিয়ানা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বনভূমিতে দেখা যায়।
ভ্যাম্পায়ার হেজহগ
এই নতুন হেজহগ প্রজাতিটির শরীর কাটার বদলে নরম এবং খসখসে লোমে আবৃত। তবে এটির একমাত্র ‘কাঁটাযুক্ত’ বৈশিষ্ট্য এর মুখের ভেতর লুকিয়ে আছে। ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত এই প্রজাতির পুরুষ হেজহগের লম্বা, ছুরি-সদৃশ দাঁত রয়েছে, যা এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোমিস ম্যাকারং রাখার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামী ভাষায় ম্যাকারং অর্থ ভ্যাম্পায়ার।
১৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং দেখতে অনেকটা ইঁদুর ও ছুচোর মিশেল বলে মনে হওয়া এই লোমশ নিশাচর প্রাণীটির ছবি প্রথমবার ২০০৯ সালে রাশিয়ান-ভিয়েতনামী একটি গবেষণাকেন্দ্রের মাধ্যমে তোলা হয়েছিল। তবে প্রাণীটির একটি নমুনা ১৯৬১ সাল থেকেই ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ধূলিমাখা সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ছিল, যা এত দিন উপেক্ষিত ছিল।
বিজ্ঞানীরা যখন বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত নরম-লোমযুক্ত হেজহগ প্রজাতিগুলোর নমুনা বিশ্লেষণ করেন এবং জেনেটিক বিশ্লেষণের সাহায্যে তুলনা করতে শুরু করেন, তখন তারা বুঝতে পারেন যে এটি বিজ্ঞানীদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি অজানা প্রজাতি। এই লম্বা দাঁতের সুনির্দিষ্ট আকৃতি এখনো রহস্যজনক, তবে পুরুষদের দাঁত অপেক্ষাকৃত বড় হওয়ায় ধারণা করা হয়, এটি সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করতে পারে।
হাইলোমিস ম্যাকারং বৃহত্তর মেকং অঞ্চলে গত বছর আবিষ্কৃত ২৩৪টি নতুন প্রজাতির একটি। কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের মতো অঞ্চল এ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের বৈচিত্র্যতাকে আরও একবার তুলে ধরেছে।
ভুতুড়ে পাম
২০২৪ সালে রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষকদের আরেকটি রহস্যময় উদ্ভিদ আবিষ্কার হলো বোর্নিওর পশ্চিমাঞ্চলে পাওয়া এক ধরনের পামগাছ। এই গাছটির পাতা সাদা রঙের নিচের অংশ এবং ধূসর কাণ্ডের কারণে স্থানীয়ভাবে একে ‘উই মুকুপ’ বা ‘উই মুকাউপ’ নামে ডাকা হয়।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সুরক্ষিত বর্ষা বনে পাওয়া এই তালগাছ ঐতিহ্যগতভাবে ঝুড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক নাম ছিল না। এবার একে প্লেকটোকমিওপসিস হান্তু নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘হান্তু’ শব্দটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় ভাষায় ‘ভূত’ বোঝায়, যা এর অদ্ভুত চেহারাকে প্রতিফলিত করে।
বাউন্টি ট্রগ
এটি কোনো একক আবিষ্কার নয়, বরং নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের উপকূলের নিচের সমুদ্রতল ‘বাউন্টি ট্রগ’ নামে পরিচিত একটি এলাকাকে নতুন প্রজাতির খনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমুদ্র জরিপের অংশ হিসেবে, বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪,৮০০ মিটার (১৫,৭৪৮ ফুট) গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন, যা ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৮ মাইল) দীর্ঘ এই এলাকায় বিস্তৃত।
তিন সপ্তাহের অভিযানে প্রশান্ত মহাসাগরের নতুন সামুদ্রিক প্রজাতির বিশাল সংগ্রহ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ডজনখানেক মলাস্ক (শামুক-ঝিনুকজাতীয় খোলযুক্ত প্রাণী), তিনটি মাছ, একটি চিংড়ি এবং একটি নতুন প্রজাতির প্রবাল রয়েছে।
কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট
নামটি বেশ ভয়ংকর মনে হলেও এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটি ভীষণ লাজুক। ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বনঘেরা পাহাড়ি পথে একটি খামারের ঝিরিতে পাথরের নিচে লুকিয়ে ছিল। এর নামকরণ করা হয়েছে টাইলোটোট্রিটন কোলিয়েনসিস। কোলিয়া মাউন্টেন পাস-এর কোলিয়া অর্গানিক খামারে পাওয়া যাওয়াতেই এমন নামকরণ।
এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটির পিঠে কুমিরের মতো দেখতে হাড়ের খাঁজ ও গুটির মতো রয়েছে। তবে সাদৃশ্য এখানেই শেষ। বড় স্ত্রীদের দৈর্ঘ্য মাত্র ৭.৩ সেন্টিমিটার (২.৮ ইঞ্চি)। প্রাণীটি প্রায় সম্পূর্ণ কালো রঙের, তবে এর আঙুল ও পায়ের ডগাগুলো উজ্জ্বল কমলা। লেজের নিচের অংশে একটি কমলা রঙের দাগ রয়েছে।
ক্রোকোডাইল নিউট হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন উভচর প্রাণীগুলোর একটি। কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট আবিষ্কার করা রুশ, ভিয়েতনামী ও ফরাসি গবেষকেরা মনে করেন, এটি এর আত্মীয়দের মতো শিকারি এবং অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসার শিকার হতে পারে।
দস্যু মাকড়সা
আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দূরবর্তী উষ্ণ দ্বীপে, গবেষকেরা দস্যু কিংবা ডাকাতের মতো আচরণ করে মাকড়সার এমন দুটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। এই মাকড়সাগুলো সেন্ট হেলেনার সংকটাপন্ন মেঘবন বা ক্লাউড ফরেস্টে বাস করে। সেন্ট হেলেনা হলো সাগরের মধ্যখানে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনাধীন একটি এলাকা। সেখানে তারা অন্য মাকড়সার জাল দখল করে সেই জালের বাসিন্দাদের হত্যা করার অভ্যাসে অভ্যস্ত।
ইরো লিজি এবং ইরো নাতাশি নামে এই প্রজাতিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এবং বেলজিয়ামের রয়্যাল মিউজিয়াম অব সেন্ট্রাল আফ্রিকাতে সংরক্ষিত নমুনার ওপর জিনগত বিশ্লেষণ চালানোর পর। ৪ মিলিমিটার (০.১৫ ইঞ্চি) লম্বা ইরো লিজির শরীরের পেছনে দুই জোড়া কাটার মতো আবরণ রয়েছে। এগুলোর সুনির্দিষ্ট কাজ এখনো অজানা, তবে এটি একে ভয়ংকর একটি চেহারা দিয়েছে।
হাড়বহুল স্যালমান্ডার কেরমিট
বিখ্যাত এক ব্যাঙের নামে নামকরণ করা কেরমিটপস গ্র্যাটাস নামের প্রাণীটি জীবিত নেই, তবে এটি জীবাশ্ম হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। গত চার দশক ধরে এই রহস্যময় জীবাশ্মটি ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির সংগ্রহে ছিল। এবার, ২০২৪ সালে, একে ধূলিমুক্ত করে নামকরণ করা হয়েছে।
নামে ব্যাঙের সঙ্গে মিল থাকলেও নতুন আবিষ্কৃত উভচর প্রাণীটি দেখতে অনেকটা মোটা হাড়ের সালামান্ডারের মতো। প্রায় ২৭ কোটি বছর আগে এটি বর্তমান টেক্সাস অঞ্চলে বাস করত এবং পোকামাকড় জাতীয় খাবার খেত।
ফুটকি ভরা মাথার মাছ এবং আধা-জলজ ইঁদুর
পেরুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আল্টো মায়ো এলাকায় ৩৮ দিনের অভিযানের সময়, গবেষকেরা ২৭টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেন, যার মধ্যে একটি বিরল উভচর ইঁদুর এবং একটি অদ্ভুত মাছ রয়েছে।
ফুটকি-মাথার এই অদ্ভুত মাছটিকে গবেষকেরা একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার বলছেন। এর অদ্ভুত মাথার আকৃতি এখনো একটি রহস্য। ওই অঞ্চলের পাথুরে পাহাড়ি খরস্রোতা ঝিরিতে এটি পাওয়া যায়। এটি ক্যাটফিশের একটি প্রজাতি। যদিও এটি এলাকার আদিবাসী আওয়াজুনদের কাছে পরিচিত ছিল, তবে এটি বিজ্ঞানের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
অন্যদিকে, আধা-জলজ ইঁদুরটি একটি ছোট জলাভূমি বনে পাওয়া গেছে। এর পায়ের আঙুলে জাল থাকায় এটি জলজ পরিবেশে বসবাসের জন্য উপযুক্ত। তবে গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন যে, এর বাসস্থান ইতিমধ্যেই কৃষির জন্য হুমকির সম্মুখীন।
জীববৈচিত্র্য সংকট
এ বছরের উদ্ভিদ, ছত্রাক এবং দুর্লভ প্রাণীদের আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচুর উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তবে, রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের আফ্রিকা অঞ্চলের সিনিয়র গবেষণা নেতা মার্টিন চিক সতর্ক করে বলেছেন, এই আবিষ্কারগুলো মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপের কারণে জীববৈচিত্র্যের ওপর ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রভাবের একটি বার্তা বহন করছে।
চিক বলেন, ‘আমরা ক্রমশই দেখতে পাচ্ছি যে নতুন প্রজাতিগুলো প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পাওয়া যাচ্ছে, অথবা কখনো কখনো আমরা তাদের খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য মানুষের কারণে তাদের বাসস্থান ধ্বংস হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি দায়ী।’
চিক আরও বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য সংকট আমাদের সবার ওপরই প্রভাব ফেলে। এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার এবং বৈশ্বিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সমর্থন দেওয়ার। না হলে এমন একদিন ঘুম থেকে উঠে আমরা বুঝতে পারব, কিছু করার জন্য খুব দেরি হয়ে গেছে।’
এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চলে মিলেছে যেসব এলাকায় আগে খুব বেশি অনুসন্ধান করা হয়নি, আবার কিছু জিনিস জাদুঘরের কোনো একটি আলমারিতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে। এরা আমাদের গ্রহের জীবজগতের মূল্যবান বৈচিত্র্যই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
আর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সূত্রে এমন কিছু বিচিত্র প্রজাতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
মাছের গন্ধযুক্ত ছত্রাক
গত এক বছরে লন্ডনের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনস এবং এর সহযোগীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ভিদের ১৪৯টি এবং ছত্রাকের ২৩টি নতুন প্রজাতি শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে তিনটি নতুন ছত্রাক তাদের স্বতন্ত্র মাছের গন্ধের জন্য বিশেষ নজর করেছে।
রুসালা গণে প্রায় ৮০০টি মাশরুম প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এ মাশরুমগুলো আপেলের মাংসের মতো কাণ্ডযুক্ত। মাটির নিচে বেড়ে ওঠা দীর্ঘ শাখা-প্রশাখাযুক্ত রুসালার হাইফা প্রায়ই গাছের সঙ্গে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব মাশরুম ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন যৌগ উৎপন্ন করে, যা এদের তীব্র মাছের গন্ধের উৎস।
নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির মধ্যে একটি হলো রুসালা ল্যাপোনিকা, যা সুইডেন, নরওয়ে এবং এস্তোনিয়ার মিশ্রিত বার্চ, স্প্রুস, পাইন, হ্যাজেল এবং অ্যাসপেন বনে পাওয়া গেছে। আরেকটি প্রজাতি, রুসালা নিওপাসকুয়া, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো এবং মন্টানার রকি পর্বতমালার উইলো গাছের আশপাশে পাওয়া যায়। তৃতীয় প্রজাতি রুসালা অলিম্পিয়ানা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বনভূমিতে দেখা যায়।
ভ্যাম্পায়ার হেজহগ
এই নতুন হেজহগ প্রজাতিটির শরীর কাটার বদলে নরম এবং খসখসে লোমে আবৃত। তবে এটির একমাত্র ‘কাঁটাযুক্ত’ বৈশিষ্ট্য এর মুখের ভেতর লুকিয়ে আছে। ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত এই প্রজাতির পুরুষ হেজহগের লম্বা, ছুরি-সদৃশ দাঁত রয়েছে, যা এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোমিস ম্যাকারং রাখার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামী ভাষায় ম্যাকারং অর্থ ভ্যাম্পায়ার।
১৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং দেখতে অনেকটা ইঁদুর ও ছুচোর মিশেল বলে মনে হওয়া এই লোমশ নিশাচর প্রাণীটির ছবি প্রথমবার ২০০৯ সালে রাশিয়ান-ভিয়েতনামী একটি গবেষণাকেন্দ্রের মাধ্যমে তোলা হয়েছিল। তবে প্রাণীটির একটি নমুনা ১৯৬১ সাল থেকেই ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ধূলিমাখা সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ছিল, যা এত দিন উপেক্ষিত ছিল।
বিজ্ঞানীরা যখন বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত নরম-লোমযুক্ত হেজহগ প্রজাতিগুলোর নমুনা বিশ্লেষণ করেন এবং জেনেটিক বিশ্লেষণের সাহায্যে তুলনা করতে শুরু করেন, তখন তারা বুঝতে পারেন যে এটি বিজ্ঞানীদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি অজানা প্রজাতি। এই লম্বা দাঁতের সুনির্দিষ্ট আকৃতি এখনো রহস্যজনক, তবে পুরুষদের দাঁত অপেক্ষাকৃত বড় হওয়ায় ধারণা করা হয়, এটি সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করতে পারে।
হাইলোমিস ম্যাকারং বৃহত্তর মেকং অঞ্চলে গত বছর আবিষ্কৃত ২৩৪টি নতুন প্রজাতির একটি। কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের মতো অঞ্চল এ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের বৈচিত্র্যতাকে আরও একবার তুলে ধরেছে।
ভুতুড়ে পাম
২০২৪ সালে রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের গবেষকদের আরেকটি রহস্যময় উদ্ভিদ আবিষ্কার হলো বোর্নিওর পশ্চিমাঞ্চলে পাওয়া এক ধরনের পামগাছ। এই গাছটির পাতা সাদা রঙের নিচের অংশ এবং ধূসর কাণ্ডের কারণে স্থানীয়ভাবে একে ‘উই মুকুপ’ বা ‘উই মুকাউপ’ নামে ডাকা হয়।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সুরক্ষিত বর্ষা বনে পাওয়া এই তালগাছ ঐতিহ্যগতভাবে ঝুড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক নাম ছিল না। এবার একে প্লেকটোকমিওপসিস হান্তু নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘হান্তু’ শব্দটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় ভাষায় ‘ভূত’ বোঝায়, যা এর অদ্ভুত চেহারাকে প্রতিফলিত করে।
বাউন্টি ট্রগ
এটি কোনো একক আবিষ্কার নয়, বরং নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের উপকূলের নিচের সমুদ্রতল ‘বাউন্টি ট্রগ’ নামে পরিচিত একটি এলাকাকে নতুন প্রজাতির খনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমুদ্র জরিপের অংশ হিসেবে, বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪,৮০০ মিটার (১৫,৭৪৮ ফুট) গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন, যা ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৮ মাইল) দীর্ঘ এই এলাকায় বিস্তৃত।
তিন সপ্তাহের অভিযানে প্রশান্ত মহাসাগরের নতুন সামুদ্রিক প্রজাতির বিশাল সংগ্রহ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ডজনখানেক মলাস্ক (শামুক-ঝিনুকজাতীয় খোলযুক্ত প্রাণী), তিনটি মাছ, একটি চিংড়ি এবং একটি নতুন প্রজাতির প্রবাল রয়েছে।
কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট
নামটি বেশ ভয়ংকর মনে হলেও এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটি ভীষণ লাজুক। ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বনঘেরা পাহাড়ি পথে একটি খামারের ঝিরিতে পাথরের নিচে লুকিয়ে ছিল। এর নামকরণ করা হয়েছে টাইলোটোট্রিটন কোলিয়েনসিস। কোলিয়া মাউন্টেন পাস-এর কোলিয়া অর্গানিক খামারে পাওয়া যাওয়াতেই এমন নামকরণ।
এই ছোট্ট উভচর প্রাণীটির পিঠে কুমিরের মতো দেখতে হাড়ের খাঁজ ও গুটির মতো রয়েছে। তবে সাদৃশ্য এখানেই শেষ। বড় স্ত্রীদের দৈর্ঘ্য মাত্র ৭.৩ সেন্টিমিটার (২.৮ ইঞ্চি)। প্রাণীটি প্রায় সম্পূর্ণ কালো রঙের, তবে এর আঙুল ও পায়ের ডগাগুলো উজ্জ্বল কমলা। লেজের নিচের অংশে একটি কমলা রঙের দাগ রয়েছে।
ক্রোকোডাইল নিউট হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন উভচর প্রাণীগুলোর একটি। কাও ব্যাং ক্রোকোডাইল নিউট আবিষ্কার করা রুশ, ভিয়েতনামী ও ফরাসি গবেষকেরা মনে করেন, এটি এর আত্মীয়দের মতো শিকারি এবং অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসার শিকার হতে পারে।
দস্যু মাকড়সা
আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দূরবর্তী উষ্ণ দ্বীপে, গবেষকেরা দস্যু কিংবা ডাকাতের মতো আচরণ করে মাকড়সার এমন দুটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। এই মাকড়সাগুলো সেন্ট হেলেনার সংকটাপন্ন মেঘবন বা ক্লাউড ফরেস্টে বাস করে। সেন্ট হেলেনা হলো সাগরের মধ্যখানে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনাধীন একটি এলাকা। সেখানে তারা অন্য মাকড়সার জাল দখল করে সেই জালের বাসিন্দাদের হত্যা করার অভ্যাসে অভ্যস্ত।
ইরো লিজি এবং ইরো নাতাশি নামে এই প্রজাতিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এবং বেলজিয়ামের রয়্যাল মিউজিয়াম অব সেন্ট্রাল আফ্রিকাতে সংরক্ষিত নমুনার ওপর জিনগত বিশ্লেষণ চালানোর পর। ৪ মিলিমিটার (০.১৫ ইঞ্চি) লম্বা ইরো লিজির শরীরের পেছনে দুই জোড়া কাটার মতো আবরণ রয়েছে। এগুলোর সুনির্দিষ্ট কাজ এখনো অজানা, তবে এটি একে ভয়ংকর একটি চেহারা দিয়েছে।
হাড়বহুল স্যালমান্ডার কেরমিট
বিখ্যাত এক ব্যাঙের নামে নামকরণ করা কেরমিটপস গ্র্যাটাস নামের প্রাণীটি জীবিত নেই, তবে এটি জীবাশ্ম হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। গত চার দশক ধরে এই রহস্যময় জীবাশ্মটি ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির সংগ্রহে ছিল। এবার, ২০২৪ সালে, একে ধূলিমুক্ত করে নামকরণ করা হয়েছে।
নামে ব্যাঙের সঙ্গে মিল থাকলেও নতুন আবিষ্কৃত উভচর প্রাণীটি দেখতে অনেকটা মোটা হাড়ের সালামান্ডারের মতো। প্রায় ২৭ কোটি বছর আগে এটি বর্তমান টেক্সাস অঞ্চলে বাস করত এবং পোকামাকড় জাতীয় খাবার খেত।
ফুটকি ভরা মাথার মাছ এবং আধা-জলজ ইঁদুর
পেরুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আল্টো মায়ো এলাকায় ৩৮ দিনের অভিযানের সময়, গবেষকেরা ২৭টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেন, যার মধ্যে একটি বিরল উভচর ইঁদুর এবং একটি অদ্ভুত মাছ রয়েছে।
ফুটকি-মাথার এই অদ্ভুত মাছটিকে গবেষকেরা একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার বলছেন। এর অদ্ভুত মাথার আকৃতি এখনো একটি রহস্য। ওই অঞ্চলের পাথুরে পাহাড়ি খরস্রোতা ঝিরিতে এটি পাওয়া যায়। এটি ক্যাটফিশের একটি প্রজাতি। যদিও এটি এলাকার আদিবাসী আওয়াজুনদের কাছে পরিচিত ছিল, তবে এটি বিজ্ঞানের জন্য সম্পূর্ণ নতুন।
অন্যদিকে, আধা-জলজ ইঁদুরটি একটি ছোট জলাভূমি বনে পাওয়া গেছে। এর পায়ের আঙুলে জাল থাকায় এটি জলজ পরিবেশে বসবাসের জন্য উপযুক্ত। তবে গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন যে, এর বাসস্থান ইতিমধ্যেই কৃষির জন্য হুমকির সম্মুখীন।
জীববৈচিত্র্য সংকট
এ বছরের উদ্ভিদ, ছত্রাক এবং দুর্লভ প্রাণীদের আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচুর উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তবে, রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের আফ্রিকা অঞ্চলের সিনিয়র গবেষণা নেতা মার্টিন চিক সতর্ক করে বলেছেন, এই আবিষ্কারগুলো মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপের কারণে জীববৈচিত্র্যের ওপর ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রভাবের একটি বার্তা বহন করছে।
চিক বলেন, ‘আমরা ক্রমশই দেখতে পাচ্ছি যে নতুন প্রজাতিগুলো প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পাওয়া যাচ্ছে, অথবা কখনো কখনো আমরা তাদের খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য মানুষের কারণে তাদের বাসস্থান ধ্বংস হওয়াটাই সবচেয়ে বেশি দায়ী।’
চিক আরও বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য সংকট আমাদের সবার ওপরই প্রভাব ফেলে। এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার এবং বৈশ্বিক সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সমর্থন দেওয়ার। না হলে এমন একদিন ঘুম থেকে উঠে আমরা বুঝতে পারব, কিছু করার জন্য খুব দেরি হয়ে গেছে।’
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
এ বছর হাজারের বেশি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি সত্যিই রীতিমতো অদ্ভুত। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের পর্বতমালা পর্যন্ত, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এ বছর অনেক অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর নতুন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু প্রজাতি এমন অঞ্চ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
১ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগে