মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন অবলম্বনে মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
রিওয়াইল্ডিং ইউরোপ নামের একটি সংগঠনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউরোপের অনেক জাতের পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর এভাবে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়।
তা প্রোম, কম্বোডিয়া
খেমার রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী অ্যাংকরের পূর্বে তা প্রোম মন্দিরের অবস্থান। ১২ শতকের শেষের দিকে একটি বৌদ্ধমন্দির এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্মিত হয় এটি। এ সময় ১২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মন্দিরের চৌহদ্দিতে বাস করতেন। আশপাশের গ্রামগুলোতে বাস করতেন আরও ৮০ হাজার মানুষ। মোটামুটি ৩০০ বছর পরে রাজধানী অ্যাংকর থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে মন্দির এবং আশপাশের অরণ্য এলাকা পরিত্যক্ত হয়।
তারপর থেকে মন্দিরটিতে মানুষের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। ফলে ভবনটিতে নানা ধরনের গাছ বেড়ে ওঠে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বিশাল ডুমুর, বট আর কাপক (তুলাজাতীয় গাছ) গাছ। যেগুলোর শিকড় ঢেকে দিয়েছে মন্দিরের বিভিন্ন দেয়াল। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকার দখল নিয়েছে গাছপালা, হাজির হয়েছে নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
এখানকার অরণ্যে এখন মায়া হরিণ এবং বুনো শূকরের পাশাপাশি দেখা মেলে ভোঁদড়, ধনেশ পাখি এবং সবুজ ময়ূর বা ইন্দোনেশীয় ময়ূরের মতো প্রাণীদেরও।
হতোয়ান, চীন
শেংশান দ্বীপের হতোয়ানে একসময় ছিল তিন হাজারের বেশি অধিবাসী। তবে মূলভূমির সঙ্গে দূরত্বের কারণে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতো গ্রামবাসীকে। একজন-দুজন করে গ্রাম ছাড়তে ছাড়তে ২০০২ সালে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় জায়গাটি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রকৃতি নিজের মতো করে একে সাজাতে থাকে।
এখানে মোটামুটি যা কিছু আছে, সবকিছুকেই ঢেকে দিয়েছে সবুজ লতাগাছ। স্বাভাবিকভাবেই বন্য প্রাণীদের বিচরণের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। এখন গ্রামটি দেখতে পর্যটকেরা যাচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে সেখানে পদধূলি দিয়েছেন ৯০ হাজার পর্যটক।
মানগাপুরুয়া উপত্যকা, নিউজিল্যান্ড
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধফেরত সৈনিকদের মানগাপুরুয়া ভ্যালিতে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯১৯ সালে গোড়াপত্তনের পর কোনো এক সময় ৪০ জন সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারের বসবাস ছিল জায়গাটিতে। কিন্তু দুর্গমতা এবং জমি চাষাবাদের উপযোগী না হওয়ায় ১৯৪০-র দশকের মাঝামাঝিতে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় এটি। আর এটাই জায়গাটিতে অরণ্যের পুনর্দখল দেওয়ার এবং বন্য প্রাণীদের ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।
এখন এটি হুয়ানগানুই জাতীয় উদ্যানের অংশ। এই উদ্যান কিউই পাখিসহ নানা জাতের পাখির জন্য বিখ্যাত।
এস এস ইয়নগালা, অস্ট্রেলিয়া
টাইটানিক ডুবির ঘটনার ঠিক এক বছর আগে ১৯১১ সালে সাগরে আরেক বড় ট্র্যাজেডির জন্ম হয়। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যায় এস এস ইয়ানগালা নামের একটি জাহাজ। এর ১২২ জন যাত্রী এবং নাবিক নিখোঁজ হন এর সঙ্গে। ১৯৫৮ সালে সাগরতলে খোঁজ মেলে সাগরটির।
বর্তমানে ১০৯ মিটার ৩৫৭ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের দখল নিয়েছে উজ্জ্বল রঙের প্রবাল। এখানে বাস বুল শার্ক, মার্বল রেসহ কয়েক শ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর।
ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে, ব্রাজিল
সাও পাওলোর উপকূল থেকে ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে দ্বীপটিকে প্রথম দেখায় অসাধারণ সুন্দর একটি জায়গা বলেই মনে হবে আপনার। তবে বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ান এ দ্বীপের কথা জানলেও সেখানে যাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। কারণ, জঙ্গলে ঢাকা দ্বীপে ২০০০-৪০০০টি সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপার সাপের আস্তানা। গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। আর এই সাপগুলোকে পাবেন কেবল এ দ্বীপেই। এই দ্বীপের পরিচিতিই হয়ে গেছে স্নেক আইল্যান্ড বা সাপের দ্বীপ নামে। এর পাশাপাশি দ্বীপে আছে বাদুড়, নানা ধরনের সরীসৃপ এবং সামুদ্রিক পাখি।
ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলোর অধ্যাপক মার্সিয়ো মার্তিনস সিএনএনকে বলেন, দ্বীপটি একসময় মূল ভূমির অংশ ছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ওঠানামার কারণে ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে আনুমানিক ১১ হাজার বছর আগে পুরোপুরি সাগরের পানিবেষ্টিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মূলভুমি থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এখান থেকে অন্য কোথাও যেতে না পারা সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপাররা এই পরিবেশে মানিয়ে নেয়।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে দ্বীপটিতে ৩-৪ জন বাতিঘর রক্ষক এবং নাবিক বাস করতেন। ১৯২০-র দশক থেকে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার বিষধর সাপের উপস্থিতি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জায়গাটিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে।
ডিমিলিটারাইজড জোন, কোরিয়া
কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির পর সত্তর বছর ধরে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্তকারী ১৬০ মাইলের ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজি) নো-ম্যানস ল্যান্ড হিসেবেই আছে। আর তাই ৬ হাজারের বেশি উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির বাস এখন সেখানে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে কোরিয়ার বিপন্ন বন্য প্রাণীদের মধ্যে শতকরা ৩৮ শতাংশ পাওয়া যায় এই এলাকায়।
আল মাদাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
যখন প্রকৃতি কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে, এমন কোনো জায়গার চিন্তা মাথায় আসবে সবুজের আধিপত্যের কথাই ভাববেন। তবে আল মাদাম গ্রামে প্রকৃতি সেজেছে ভিন্নভাবে।
দুবাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটির গোড়াপত্তন হয় ১৯৭০-র দশকে, বেদুইনদের আবাস হিসেবে। দুই দশক পরেই এটি পরিত্যক্ত হয়। আর এখন সেখানকার দালানকোঠা থেকে শুরু করে সবকিছুর দখল নিচ্ছে মরুভূমি আর তার বালু। এখানে এখন ঘুরে বেড়ায় মরুভূমিতে বিচরণ করা বিভিন্ন বন্য প্রাণী।
ফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে উত্তর জাপানের ফুকুশিমা পাওয়ার প্ল্যান্টে বড় ধরনের পারমাণবিক বিপর্যয় হয়। তারপর জাপান সরকার গড়ে তোলে ১২.৫ মাইলের ফুকুশিমা এক্সক্লুসন জোন। এখানকার দেড় লাখের বেশি মানুষকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তবে পরে ধীরে ধীরে এখানকার কোনো কোনো শহর বা গ্রামে মানুষকে ফিরে আসতে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু কিছু এলাকায় মানুষের বসবাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েই গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক জেমস বিসলে ২০১৬ সালে এই এলাকার বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি মন্তব্য করেন, বন্য শূকরের সংখ্যা এত বেশি যে কিছু এলাকায় এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে বসত গাড়া অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বন ছাগল, লাল শিয়াল প্রভৃতি।
সেন্ট কিলডা, স্কটল্যান্ড
উঁচু সব পাথুরে পাহাড়, পরিষ্কার জল এবং পানির তলের গুহা—সবকিছু মিলিয়ে সেন্ট কিল্ডা দ্বীপ দেখার মতো এক জায়গা। ১৯৩০ সালে খাদ্যঘাটতি, চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো কঠিন হওয়া এবং জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে, অবশিষ্ট ৩৬ জন দ্বীপবাসীকে মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপর থেকে মানুষের বসতি না থাকায় সেন্ট কিলডা দ্বীপ নানা ধরনের বন্য প্রাণীর চমৎকার আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এই এলাকা প্রায় ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল। এদের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের আটলান্টিক পাফিনদের সবচেয়ে বড় কলোনিও। জায়গাটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
স্টেক রক ফোর্ট, ওয়েলশ
পশ্চিম ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার উপকূলে অবস্থিত স্টেক রক ফোর্ট দুর্গটি সমুদ্রপথে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ১৮৫০-র দশকে নির্মিত হয়। তখন এখানে বেশ কিছু সৈনিকের পাশাপাশি যথেষ্ট গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অল্প কিছু সৈন্য দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। অবশেষে ১৯২৯ সালে এখান থেকে সব সৈনিক ও অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রায় ১০০ বছর ধরে মানুষের স্পর্শ না থাকায় দুর্গটির দখল ধীরে ধীরে নিয়ে নেয় নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণীরা। দুর্গের বর্তমান রক্ষক নিকোলাস মুয়েলার সিএনএনকে জানান, বাদামগাছ জন্মায় এখানে, নানা ধরনের সামুদ্রিক পাখিরও বাস জায়গাটিতে।
মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন অবলম্বনে মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
রিওয়াইল্ডিং ইউরোপ নামের একটি সংগঠনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউরোপের অনেক জাতের পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর এভাবে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়।
তা প্রোম, কম্বোডিয়া
খেমার রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী অ্যাংকরের পূর্বে তা প্রোম মন্দিরের অবস্থান। ১২ শতকের শেষের দিকে একটি বৌদ্ধমন্দির এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্মিত হয় এটি। এ সময় ১২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মন্দিরের চৌহদ্দিতে বাস করতেন। আশপাশের গ্রামগুলোতে বাস করতেন আরও ৮০ হাজার মানুষ। মোটামুটি ৩০০ বছর পরে রাজধানী অ্যাংকর থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে মন্দির এবং আশপাশের অরণ্য এলাকা পরিত্যক্ত হয়।
তারপর থেকে মন্দিরটিতে মানুষের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। ফলে ভবনটিতে নানা ধরনের গাছ বেড়ে ওঠে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বিশাল ডুমুর, বট আর কাপক (তুলাজাতীয় গাছ) গাছ। যেগুলোর শিকড় ঢেকে দিয়েছে মন্দিরের বিভিন্ন দেয়াল। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকার দখল নিয়েছে গাছপালা, হাজির হয়েছে নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
এখানকার অরণ্যে এখন মায়া হরিণ এবং বুনো শূকরের পাশাপাশি দেখা মেলে ভোঁদড়, ধনেশ পাখি এবং সবুজ ময়ূর বা ইন্দোনেশীয় ময়ূরের মতো প্রাণীদেরও।
হতোয়ান, চীন
শেংশান দ্বীপের হতোয়ানে একসময় ছিল তিন হাজারের বেশি অধিবাসী। তবে মূলভূমির সঙ্গে দূরত্বের কারণে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতো গ্রামবাসীকে। একজন-দুজন করে গ্রাম ছাড়তে ছাড়তে ২০০২ সালে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় জায়গাটি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রকৃতি নিজের মতো করে একে সাজাতে থাকে।
এখানে মোটামুটি যা কিছু আছে, সবকিছুকেই ঢেকে দিয়েছে সবুজ লতাগাছ। স্বাভাবিকভাবেই বন্য প্রাণীদের বিচরণের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। এখন গ্রামটি দেখতে পর্যটকেরা যাচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে সেখানে পদধূলি দিয়েছেন ৯০ হাজার পর্যটক।
মানগাপুরুয়া উপত্যকা, নিউজিল্যান্ড
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধফেরত সৈনিকদের মানগাপুরুয়া ভ্যালিতে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯১৯ সালে গোড়াপত্তনের পর কোনো এক সময় ৪০ জন সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারের বসবাস ছিল জায়গাটিতে। কিন্তু দুর্গমতা এবং জমি চাষাবাদের উপযোগী না হওয়ায় ১৯৪০-র দশকের মাঝামাঝিতে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় এটি। আর এটাই জায়গাটিতে অরণ্যের পুনর্দখল দেওয়ার এবং বন্য প্রাণীদের ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।
এখন এটি হুয়ানগানুই জাতীয় উদ্যানের অংশ। এই উদ্যান কিউই পাখিসহ নানা জাতের পাখির জন্য বিখ্যাত।
এস এস ইয়নগালা, অস্ট্রেলিয়া
টাইটানিক ডুবির ঘটনার ঠিক এক বছর আগে ১৯১১ সালে সাগরে আরেক বড় ট্র্যাজেডির জন্ম হয়। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যায় এস এস ইয়ানগালা নামের একটি জাহাজ। এর ১২২ জন যাত্রী এবং নাবিক নিখোঁজ হন এর সঙ্গে। ১৯৫৮ সালে সাগরতলে খোঁজ মেলে সাগরটির।
বর্তমানে ১০৯ মিটার ৩৫৭ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের দখল নিয়েছে উজ্জ্বল রঙের প্রবাল। এখানে বাস বুল শার্ক, মার্বল রেসহ কয়েক শ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর।
ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে, ব্রাজিল
সাও পাওলোর উপকূল থেকে ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে দ্বীপটিকে প্রথম দেখায় অসাধারণ সুন্দর একটি জায়গা বলেই মনে হবে আপনার। তবে বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ান এ দ্বীপের কথা জানলেও সেখানে যাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। কারণ, জঙ্গলে ঢাকা দ্বীপে ২০০০-৪০০০টি সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপার সাপের আস্তানা। গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। আর এই সাপগুলোকে পাবেন কেবল এ দ্বীপেই। এই দ্বীপের পরিচিতিই হয়ে গেছে স্নেক আইল্যান্ড বা সাপের দ্বীপ নামে। এর পাশাপাশি দ্বীপে আছে বাদুড়, নানা ধরনের সরীসৃপ এবং সামুদ্রিক পাখি।
ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলোর অধ্যাপক মার্সিয়ো মার্তিনস সিএনএনকে বলেন, দ্বীপটি একসময় মূল ভূমির অংশ ছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ওঠানামার কারণে ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে আনুমানিক ১১ হাজার বছর আগে পুরোপুরি সাগরের পানিবেষ্টিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মূলভুমি থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এখান থেকে অন্য কোথাও যেতে না পারা সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপাররা এই পরিবেশে মানিয়ে নেয়।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে দ্বীপটিতে ৩-৪ জন বাতিঘর রক্ষক এবং নাবিক বাস করতেন। ১৯২০-র দশক থেকে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার বিষধর সাপের উপস্থিতি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জায়গাটিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে।
ডিমিলিটারাইজড জোন, কোরিয়া
কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির পর সত্তর বছর ধরে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্তকারী ১৬০ মাইলের ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজি) নো-ম্যানস ল্যান্ড হিসেবেই আছে। আর তাই ৬ হাজারের বেশি উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির বাস এখন সেখানে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে কোরিয়ার বিপন্ন বন্য প্রাণীদের মধ্যে শতকরা ৩৮ শতাংশ পাওয়া যায় এই এলাকায়।
আল মাদাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
যখন প্রকৃতি কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে, এমন কোনো জায়গার চিন্তা মাথায় আসবে সবুজের আধিপত্যের কথাই ভাববেন। তবে আল মাদাম গ্রামে প্রকৃতি সেজেছে ভিন্নভাবে।
দুবাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটির গোড়াপত্তন হয় ১৯৭০-র দশকে, বেদুইনদের আবাস হিসেবে। দুই দশক পরেই এটি পরিত্যক্ত হয়। আর এখন সেখানকার দালানকোঠা থেকে শুরু করে সবকিছুর দখল নিচ্ছে মরুভূমি আর তার বালু। এখানে এখন ঘুরে বেড়ায় মরুভূমিতে বিচরণ করা বিভিন্ন বন্য প্রাণী।
ফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে উত্তর জাপানের ফুকুশিমা পাওয়ার প্ল্যান্টে বড় ধরনের পারমাণবিক বিপর্যয় হয়। তারপর জাপান সরকার গড়ে তোলে ১২.৫ মাইলের ফুকুশিমা এক্সক্লুসন জোন। এখানকার দেড় লাখের বেশি মানুষকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তবে পরে ধীরে ধীরে এখানকার কোনো কোনো শহর বা গ্রামে মানুষকে ফিরে আসতে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু কিছু এলাকায় মানুষের বসবাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েই গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক জেমস বিসলে ২০১৬ সালে এই এলাকার বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি মন্তব্য করেন, বন্য শূকরের সংখ্যা এত বেশি যে কিছু এলাকায় এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে বসত গাড়া অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বন ছাগল, লাল শিয়াল প্রভৃতি।
সেন্ট কিলডা, স্কটল্যান্ড
উঁচু সব পাথুরে পাহাড়, পরিষ্কার জল এবং পানির তলের গুহা—সবকিছু মিলিয়ে সেন্ট কিল্ডা দ্বীপ দেখার মতো এক জায়গা। ১৯৩০ সালে খাদ্যঘাটতি, চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো কঠিন হওয়া এবং জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে, অবশিষ্ট ৩৬ জন দ্বীপবাসীকে মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপর থেকে মানুষের বসতি না থাকায় সেন্ট কিলডা দ্বীপ নানা ধরনের বন্য প্রাণীর চমৎকার আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এই এলাকা প্রায় ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল। এদের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের আটলান্টিক পাফিনদের সবচেয়ে বড় কলোনিও। জায়গাটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
স্টেক রক ফোর্ট, ওয়েলশ
পশ্চিম ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার উপকূলে অবস্থিত স্টেক রক ফোর্ট দুর্গটি সমুদ্রপথে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ১৮৫০-র দশকে নির্মিত হয়। তখন এখানে বেশ কিছু সৈনিকের পাশাপাশি যথেষ্ট গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অল্প কিছু সৈন্য দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। অবশেষে ১৯২৯ সালে এখান থেকে সব সৈনিক ও অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রায় ১০০ বছর ধরে মানুষের স্পর্শ না থাকায় দুর্গটির দখল ধীরে ধীরে নিয়ে নেয় নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণীরা। দুর্গের বর্তমান রক্ষক নিকোলাস মুয়েলার সিএনএনকে জানান, বাদামগাছ জন্মায় এখানে, নানা ধরনের সামুদ্রিক পাখিরও বাস জায়গাটিতে।
মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন অবলম্বনে মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
রিওয়াইল্ডিং ইউরোপ নামের একটি সংগঠনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউরোপের অনেক জাতের পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর এভাবে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়।
তা প্রোম, কম্বোডিয়া
খেমার রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী অ্যাংকরের পূর্বে তা প্রোম মন্দিরের অবস্থান। ১২ শতকের শেষের দিকে একটি বৌদ্ধমন্দির এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্মিত হয় এটি। এ সময় ১২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মন্দিরের চৌহদ্দিতে বাস করতেন। আশপাশের গ্রামগুলোতে বাস করতেন আরও ৮০ হাজার মানুষ। মোটামুটি ৩০০ বছর পরে রাজধানী অ্যাংকর থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে মন্দির এবং আশপাশের অরণ্য এলাকা পরিত্যক্ত হয়।
তারপর থেকে মন্দিরটিতে মানুষের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। ফলে ভবনটিতে নানা ধরনের গাছ বেড়ে ওঠে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বিশাল ডুমুর, বট আর কাপক (তুলাজাতীয় গাছ) গাছ। যেগুলোর শিকড় ঢেকে দিয়েছে মন্দিরের বিভিন্ন দেয়াল। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকার দখল নিয়েছে গাছপালা, হাজির হয়েছে নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
এখানকার অরণ্যে এখন মায়া হরিণ এবং বুনো শূকরের পাশাপাশি দেখা মেলে ভোঁদড়, ধনেশ পাখি এবং সবুজ ময়ূর বা ইন্দোনেশীয় ময়ূরের মতো প্রাণীদেরও।
হতোয়ান, চীন
শেংশান দ্বীপের হতোয়ানে একসময় ছিল তিন হাজারের বেশি অধিবাসী। তবে মূলভূমির সঙ্গে দূরত্বের কারণে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতো গ্রামবাসীকে। একজন-দুজন করে গ্রাম ছাড়তে ছাড়তে ২০০২ সালে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় জায়গাটি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রকৃতি নিজের মতো করে একে সাজাতে থাকে।
এখানে মোটামুটি যা কিছু আছে, সবকিছুকেই ঢেকে দিয়েছে সবুজ লতাগাছ। স্বাভাবিকভাবেই বন্য প্রাণীদের বিচরণের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। এখন গ্রামটি দেখতে পর্যটকেরা যাচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে সেখানে পদধূলি দিয়েছেন ৯০ হাজার পর্যটক।
মানগাপুরুয়া উপত্যকা, নিউজিল্যান্ড
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধফেরত সৈনিকদের মানগাপুরুয়া ভ্যালিতে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯১৯ সালে গোড়াপত্তনের পর কোনো এক সময় ৪০ জন সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারের বসবাস ছিল জায়গাটিতে। কিন্তু দুর্গমতা এবং জমি চাষাবাদের উপযোগী না হওয়ায় ১৯৪০-র দশকের মাঝামাঝিতে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় এটি। আর এটাই জায়গাটিতে অরণ্যের পুনর্দখল দেওয়ার এবং বন্য প্রাণীদের ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।
এখন এটি হুয়ানগানুই জাতীয় উদ্যানের অংশ। এই উদ্যান কিউই পাখিসহ নানা জাতের পাখির জন্য বিখ্যাত।
এস এস ইয়নগালা, অস্ট্রেলিয়া
টাইটানিক ডুবির ঘটনার ঠিক এক বছর আগে ১৯১১ সালে সাগরে আরেক বড় ট্র্যাজেডির জন্ম হয়। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যায় এস এস ইয়ানগালা নামের একটি জাহাজ। এর ১২২ জন যাত্রী এবং নাবিক নিখোঁজ হন এর সঙ্গে। ১৯৫৮ সালে সাগরতলে খোঁজ মেলে সাগরটির।
বর্তমানে ১০৯ মিটার ৩৫৭ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের দখল নিয়েছে উজ্জ্বল রঙের প্রবাল। এখানে বাস বুল শার্ক, মার্বল রেসহ কয়েক শ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর।
ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে, ব্রাজিল
সাও পাওলোর উপকূল থেকে ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে দ্বীপটিকে প্রথম দেখায় অসাধারণ সুন্দর একটি জায়গা বলেই মনে হবে আপনার। তবে বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ান এ দ্বীপের কথা জানলেও সেখানে যাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। কারণ, জঙ্গলে ঢাকা দ্বীপে ২০০০-৪০০০টি সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপার সাপের আস্তানা। গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। আর এই সাপগুলোকে পাবেন কেবল এ দ্বীপেই। এই দ্বীপের পরিচিতিই হয়ে গেছে স্নেক আইল্যান্ড বা সাপের দ্বীপ নামে। এর পাশাপাশি দ্বীপে আছে বাদুড়, নানা ধরনের সরীসৃপ এবং সামুদ্রিক পাখি।
ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলোর অধ্যাপক মার্সিয়ো মার্তিনস সিএনএনকে বলেন, দ্বীপটি একসময় মূল ভূমির অংশ ছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ওঠানামার কারণে ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে আনুমানিক ১১ হাজার বছর আগে পুরোপুরি সাগরের পানিবেষ্টিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মূলভুমি থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এখান থেকে অন্য কোথাও যেতে না পারা সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপাররা এই পরিবেশে মানিয়ে নেয়।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে দ্বীপটিতে ৩-৪ জন বাতিঘর রক্ষক এবং নাবিক বাস করতেন। ১৯২০-র দশক থেকে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার বিষধর সাপের উপস্থিতি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জায়গাটিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে।
ডিমিলিটারাইজড জোন, কোরিয়া
কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির পর সত্তর বছর ধরে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্তকারী ১৬০ মাইলের ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজি) নো-ম্যানস ল্যান্ড হিসেবেই আছে। আর তাই ৬ হাজারের বেশি উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির বাস এখন সেখানে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে কোরিয়ার বিপন্ন বন্য প্রাণীদের মধ্যে শতকরা ৩৮ শতাংশ পাওয়া যায় এই এলাকায়।
আল মাদাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
যখন প্রকৃতি কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে, এমন কোনো জায়গার চিন্তা মাথায় আসবে সবুজের আধিপত্যের কথাই ভাববেন। তবে আল মাদাম গ্রামে প্রকৃতি সেজেছে ভিন্নভাবে।
দুবাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটির গোড়াপত্তন হয় ১৯৭০-র দশকে, বেদুইনদের আবাস হিসেবে। দুই দশক পরেই এটি পরিত্যক্ত হয়। আর এখন সেখানকার দালানকোঠা থেকে শুরু করে সবকিছুর দখল নিচ্ছে মরুভূমি আর তার বালু। এখানে এখন ঘুরে বেড়ায় মরুভূমিতে বিচরণ করা বিভিন্ন বন্য প্রাণী।
ফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে উত্তর জাপানের ফুকুশিমা পাওয়ার প্ল্যান্টে বড় ধরনের পারমাণবিক বিপর্যয় হয়। তারপর জাপান সরকার গড়ে তোলে ১২.৫ মাইলের ফুকুশিমা এক্সক্লুসন জোন। এখানকার দেড় লাখের বেশি মানুষকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তবে পরে ধীরে ধীরে এখানকার কোনো কোনো শহর বা গ্রামে মানুষকে ফিরে আসতে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু কিছু এলাকায় মানুষের বসবাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েই গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক জেমস বিসলে ২০১৬ সালে এই এলাকার বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি মন্তব্য করেন, বন্য শূকরের সংখ্যা এত বেশি যে কিছু এলাকায় এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে বসত গাড়া অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বন ছাগল, লাল শিয়াল প্রভৃতি।
সেন্ট কিলডা, স্কটল্যান্ড
উঁচু সব পাথুরে পাহাড়, পরিষ্কার জল এবং পানির তলের গুহা—সবকিছু মিলিয়ে সেন্ট কিল্ডা দ্বীপ দেখার মতো এক জায়গা। ১৯৩০ সালে খাদ্যঘাটতি, চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো কঠিন হওয়া এবং জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে, অবশিষ্ট ৩৬ জন দ্বীপবাসীকে মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপর থেকে মানুষের বসতি না থাকায় সেন্ট কিলডা দ্বীপ নানা ধরনের বন্য প্রাণীর চমৎকার আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এই এলাকা প্রায় ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল। এদের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের আটলান্টিক পাফিনদের সবচেয়ে বড় কলোনিও। জায়গাটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
স্টেক রক ফোর্ট, ওয়েলশ
পশ্চিম ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার উপকূলে অবস্থিত স্টেক রক ফোর্ট দুর্গটি সমুদ্রপথে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ১৮৫০-র দশকে নির্মিত হয়। তখন এখানে বেশ কিছু সৈনিকের পাশাপাশি যথেষ্ট গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অল্প কিছু সৈন্য দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। অবশেষে ১৯২৯ সালে এখান থেকে সব সৈনিক ও অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রায় ১০০ বছর ধরে মানুষের স্পর্শ না থাকায় দুর্গটির দখল ধীরে ধীরে নিয়ে নেয় নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণীরা। দুর্গের বর্তমান রক্ষক নিকোলাস মুয়েলার সিএনএনকে জানান, বাদামগাছ জন্মায় এখানে, নানা ধরনের সামুদ্রিক পাখিরও বাস জায়গাটিতে।
মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন অবলম্বনে মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
রিওয়াইল্ডিং ইউরোপ নামের একটি সংগঠনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউরোপের অনেক জাতের পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর এভাবে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়।
তা প্রোম, কম্বোডিয়া
খেমার রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী অ্যাংকরের পূর্বে তা প্রোম মন্দিরের অবস্থান। ১২ শতকের শেষের দিকে একটি বৌদ্ধমন্দির এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্মিত হয় এটি। এ সময় ১২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মন্দিরের চৌহদ্দিতে বাস করতেন। আশপাশের গ্রামগুলোতে বাস করতেন আরও ৮০ হাজার মানুষ। মোটামুটি ৩০০ বছর পরে রাজধানী অ্যাংকর থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে মন্দির এবং আশপাশের অরণ্য এলাকা পরিত্যক্ত হয়।
তারপর থেকে মন্দিরটিতে মানুষের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। ফলে ভবনটিতে নানা ধরনের গাছ বেড়ে ওঠে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বিশাল ডুমুর, বট আর কাপক (তুলাজাতীয় গাছ) গাছ। যেগুলোর শিকড় ঢেকে দিয়েছে মন্দিরের বিভিন্ন দেয়াল। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকার দখল নিয়েছে গাছপালা, হাজির হয়েছে নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
এখানকার অরণ্যে এখন মায়া হরিণ এবং বুনো শূকরের পাশাপাশি দেখা মেলে ভোঁদড়, ধনেশ পাখি এবং সবুজ ময়ূর বা ইন্দোনেশীয় ময়ূরের মতো প্রাণীদেরও।
হতোয়ান, চীন
শেংশান দ্বীপের হতোয়ানে একসময় ছিল তিন হাজারের বেশি অধিবাসী। তবে মূলভূমির সঙ্গে দূরত্বের কারণে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতো গ্রামবাসীকে। একজন-দুজন করে গ্রাম ছাড়তে ছাড়তে ২০০২ সালে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় জায়গাটি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রকৃতি নিজের মতো করে একে সাজাতে থাকে।
এখানে মোটামুটি যা কিছু আছে, সবকিছুকেই ঢেকে দিয়েছে সবুজ লতাগাছ। স্বাভাবিকভাবেই বন্য প্রাণীদের বিচরণের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। এখন গ্রামটি দেখতে পর্যটকেরা যাচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে সেখানে পদধূলি দিয়েছেন ৯০ হাজার পর্যটক।
মানগাপুরুয়া উপত্যকা, নিউজিল্যান্ড
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধফেরত সৈনিকদের মানগাপুরুয়া ভ্যালিতে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯১৯ সালে গোড়াপত্তনের পর কোনো এক সময় ৪০ জন সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারের বসবাস ছিল জায়গাটিতে। কিন্তু দুর্গমতা এবং জমি চাষাবাদের উপযোগী না হওয়ায় ১৯৪০-র দশকের মাঝামাঝিতে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় এটি। আর এটাই জায়গাটিতে অরণ্যের পুনর্দখল দেওয়ার এবং বন্য প্রাণীদের ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।
এখন এটি হুয়ানগানুই জাতীয় উদ্যানের অংশ। এই উদ্যান কিউই পাখিসহ নানা জাতের পাখির জন্য বিখ্যাত।
এস এস ইয়নগালা, অস্ট্রেলিয়া
টাইটানিক ডুবির ঘটনার ঠিক এক বছর আগে ১৯১১ সালে সাগরে আরেক বড় ট্র্যাজেডির জন্ম হয়। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যায় এস এস ইয়ানগালা নামের একটি জাহাজ। এর ১২২ জন যাত্রী এবং নাবিক নিখোঁজ হন এর সঙ্গে। ১৯৫৮ সালে সাগরতলে খোঁজ মেলে সাগরটির।
বর্তমানে ১০৯ মিটার ৩৫৭ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের দখল নিয়েছে উজ্জ্বল রঙের প্রবাল। এখানে বাস বুল শার্ক, মার্বল রেসহ কয়েক শ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর।
ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে, ব্রাজিল
সাও পাওলোর উপকূল থেকে ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে দ্বীপটিকে প্রথম দেখায় অসাধারণ সুন্দর একটি জায়গা বলেই মনে হবে আপনার। তবে বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ান এ দ্বীপের কথা জানলেও সেখানে যাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। কারণ, জঙ্গলে ঢাকা দ্বীপে ২০০০-৪০০০টি সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপার সাপের আস্তানা। গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। আর এই সাপগুলোকে পাবেন কেবল এ দ্বীপেই। এই দ্বীপের পরিচিতিই হয়ে গেছে স্নেক আইল্যান্ড বা সাপের দ্বীপ নামে। এর পাশাপাশি দ্বীপে আছে বাদুড়, নানা ধরনের সরীসৃপ এবং সামুদ্রিক পাখি।
ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলোর অধ্যাপক মার্সিয়ো মার্তিনস সিএনএনকে বলেন, দ্বীপটি একসময় মূল ভূমির অংশ ছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ওঠানামার কারণে ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে আনুমানিক ১১ হাজার বছর আগে পুরোপুরি সাগরের পানিবেষ্টিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মূলভুমি থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এখান থেকে অন্য কোথাও যেতে না পারা সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপাররা এই পরিবেশে মানিয়ে নেয়।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে দ্বীপটিতে ৩-৪ জন বাতিঘর রক্ষক এবং নাবিক বাস করতেন। ১৯২০-র দশক থেকে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার বিষধর সাপের উপস্থিতি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জায়গাটিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে।
ডিমিলিটারাইজড জোন, কোরিয়া
কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির পর সত্তর বছর ধরে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্তকারী ১৬০ মাইলের ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজি) নো-ম্যানস ল্যান্ড হিসেবেই আছে। আর তাই ৬ হাজারের বেশি উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির বাস এখন সেখানে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে কোরিয়ার বিপন্ন বন্য প্রাণীদের মধ্যে শতকরা ৩৮ শতাংশ পাওয়া যায় এই এলাকায়।
আল মাদাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
যখন প্রকৃতি কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে, এমন কোনো জায়গার চিন্তা মাথায় আসবে সবুজের আধিপত্যের কথাই ভাববেন। তবে আল মাদাম গ্রামে প্রকৃতি সেজেছে ভিন্নভাবে।
দুবাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটির গোড়াপত্তন হয় ১৯৭০-র দশকে, বেদুইনদের আবাস হিসেবে। দুই দশক পরেই এটি পরিত্যক্ত হয়। আর এখন সেখানকার দালানকোঠা থেকে শুরু করে সবকিছুর দখল নিচ্ছে মরুভূমি আর তার বালু। এখানে এখন ঘুরে বেড়ায় মরুভূমিতে বিচরণ করা বিভিন্ন বন্য প্রাণী।
ফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে উত্তর জাপানের ফুকুশিমা পাওয়ার প্ল্যান্টে বড় ধরনের পারমাণবিক বিপর্যয় হয়। তারপর জাপান সরকার গড়ে তোলে ১২.৫ মাইলের ফুকুশিমা এক্সক্লুসন জোন। এখানকার দেড় লাখের বেশি মানুষকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তবে পরে ধীরে ধীরে এখানকার কোনো কোনো শহর বা গ্রামে মানুষকে ফিরে আসতে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু কিছু এলাকায় মানুষের বসবাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েই গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক জেমস বিসলে ২০১৬ সালে এই এলাকার বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি মন্তব্য করেন, বন্য শূকরের সংখ্যা এত বেশি যে কিছু এলাকায় এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে বসত গাড়া অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বন ছাগল, লাল শিয়াল প্রভৃতি।
সেন্ট কিলডা, স্কটল্যান্ড
উঁচু সব পাথুরে পাহাড়, পরিষ্কার জল এবং পানির তলের গুহা—সবকিছু মিলিয়ে সেন্ট কিল্ডা দ্বীপ দেখার মতো এক জায়গা। ১৯৩০ সালে খাদ্যঘাটতি, চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো কঠিন হওয়া এবং জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে, অবশিষ্ট ৩৬ জন দ্বীপবাসীকে মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপর থেকে মানুষের বসতি না থাকায় সেন্ট কিলডা দ্বীপ নানা ধরনের বন্য প্রাণীর চমৎকার আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এই এলাকা প্রায় ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল। এদের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের আটলান্টিক পাফিনদের সবচেয়ে বড় কলোনিও। জায়গাটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
স্টেক রক ফোর্ট, ওয়েলশ
পশ্চিম ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার উপকূলে অবস্থিত স্টেক রক ফোর্ট দুর্গটি সমুদ্রপথে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ১৮৫০-র দশকে নির্মিত হয়। তখন এখানে বেশ কিছু সৈনিকের পাশাপাশি যথেষ্ট গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অল্প কিছু সৈন্য দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। অবশেষে ১৯২৯ সালে এখান থেকে সব সৈনিক ও অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রায় ১০০ বছর ধরে মানুষের স্পর্শ না থাকায় দুর্গটির দখল ধীরে ধীরে নিয়ে নেয় নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণীরা। দুর্গের বর্তমান রক্ষক নিকোলাস মুয়েলার সিএনএনকে জানান, বাদামগাছ জন্মায় এখানে, নানা ধরনের সামুদ্রিক পাখিরও বাস জায়গাটিতে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী...
১৩ ঘণ্টা আগেআজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মধ্য অক্টোবর থেকে সারা দেশে কমেছে বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও গতকাল বুধবার দেশের কোথাও তা-ও ছিল না; বরং কার্তিকের শুরুর এই সময় বাড়ছে গরম। ইটপাথরের নগরী রাজধানী ঢাকায় আবহাওয়া ছিল শুষ্ক, গরমও বেশ তীব্র ছিল।
আজ বৃহস্পতিবারও ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া বেশ শুষ্ক ও উষ্ণ থাকতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের
অদূরে তামিলনাড়ু উপকূলে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এই লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশে খুব একটা পড়বে না। তবে আজ বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
কার্তিক মাসে গরম পড়ার কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্টোবর বা কার্তিক মাসের এ সময়টি হলো বর্ষা-পরবর্তী কাল। এখন আবহাওয়া কিছুটা এলোমেলো হয়ে থাকে। কারণ বৃষ্টি কম হয়, আকাশে মেঘ কমে যায়, সূর্যের তেজও থাকে। এসব কারণে গরম একটু পড়ে। মূলত বছরের এই সময়ে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় গরম পড়ে। আগামী কয়েক দিন সারা দেশে আবহাওয়া এ রকমই থাকবে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলাদেশে নেই জানিয়ে শাহীনুল ইসলাম বলেন, লঘুচাপটি ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যাচ্ছে। তবে চলতি অক্টোবরের শেষে আন্দামানের দিকে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে হয়তো তখন বাংলাদেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্য অক্টোবর থেকে সারা দেশে কমেছে বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও গতকাল বুধবার দেশের কোথাও তা-ও ছিল না; বরং কার্তিকের শুরুর এই সময় বাড়ছে গরম। ইটপাথরের নগরী রাজধানী ঢাকায় আবহাওয়া ছিল শুষ্ক, গরমও বেশ তীব্র ছিল।
আজ বৃহস্পতিবারও ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া বেশ শুষ্ক ও উষ্ণ থাকতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের
অদূরে তামিলনাড়ু উপকূলে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এই লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশে খুব একটা পড়বে না। তবে আজ বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
কার্তিক মাসে গরম পড়ার কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অক্টোবর বা কার্তিক মাসের এ সময়টি হলো বর্ষা-পরবর্তী কাল। এখন আবহাওয়া কিছুটা এলোমেলো হয়ে থাকে। কারণ বৃষ্টি কম হয়, আকাশে মেঘ কমে যায়, সূর্যের তেজও থাকে। এসব কারণে গরম একটু পড়ে। মূলত বছরের এই সময়ে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় গরম পড়ে। আগামী কয়েক দিন সারা দেশে আবহাওয়া এ রকমই থাকবে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলাদেশে নেই জানিয়ে শাহীনুল ইসলাম বলেন, লঘুচাপটি ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যাচ্ছে। তবে চলতি অক্টোবরের শেষে আন্দামানের দিকে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে হয়তো তখন বাংলাদেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
২১ নভেম্বর ২০২৩আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই। অবশ্য ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আজ বুধবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
গতকালের পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না-ও নিতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না।
মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
২১ নভেম্বর ২০২৩পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী...
১৩ ঘণ্টা আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
২১ নভেম্বর ২০২৩পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী...
১৩ ঘণ্টা আগেআজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি।
২১ নভেম্বর ২০২৩পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী...
১৩ ঘণ্টা আগেআজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেপূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ দিন আগে