সৌগত বসু, ঢাকা

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’
সৌগত বসু, ঢাকা

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
২ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
২ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
২ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৭ ঘণ্টা আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
২ দিন আগে