সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা
আজারবাইজানের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও একবার হতাশ করেছেন নীতিনির্ধারকেরা। সম্মেলনের শেষ দিনে এসে বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার খসড়া উপস্থাপন করেছে কপ প্রেসিডেন্সি। সেখানে দাবি ছিল ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। কপ প্রেসিডেন্সির এই ঘোষণার নিন্দা করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষতির মুখে থাকা অনুন্নত, উন্নয়নশীল ও দ্বীপরাষ্ট্রগুলো। সম্মেলনের সময় এক দিন বাড়লেও স্পষ্ট হয়নি অর্থায়নের বিষয়টি।
বাকু শহরে কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনের প্রেসিডেন্সি একটি খসড়া অর্থায়ন চুক্তি প্রকাশ করেছে। এতে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। এমন প্রস্তাব প্রকাশের পরই সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
খসড়া চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩০ সাল পর্যন্ত অভিযোজন অর্থায়নের জন্য বার্ষিক প্রয়োজন ধরা হয়েছে ২১৫-৩৮৭ বিলিয়ন ডলার। সমালোচকেরা বলছেন, তহবিল নগণ্য হওয়া ছাড়াও এ খসড়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার কৌশলের স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই।
অর্থায়নের প্রস্তাবটি প্রবল আপত্তির মুখে পড়েছে প্রাণ, প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, কপ প্রেসিডেন্সির এই ঘোষণা শুভঙ্করের ফাঁকি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা অনুন্নত, উন্নয়নশীল ও দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এক বিরাট প্রহসন করা হয়েছে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
পরিবেশ আন্দোলনকর্মী এবং গ্লোবাল এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর ফর দ্য ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের প্রধান হারজিৎ সিং আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তার তুলনায় প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রস্তাব ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা।’
হারজিৎ সিং বলেন, পুরো বিশ্বের অর্ধেকের বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, কয়লা, গ্যাস) ব্যবহার করে পাঁচটি বৃহৎ রাষ্ট্র। বাকি প্রায় ৫০ শতাংশের বেশির ভাগ ব্যবহার করে অন্য উন্নত রাষ্ট্রগুলো। আর এর দায় নিতে হচ্ছে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। এর ক্ষতিপূরণ উন্নত রাষ্ট্রগুলোকেই করার দাবি করেন এই পরিবেশকর্মী।
দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে লিখছেন বাংলাদেশি সংবাদকর্মী সামছুদ্দিন ইলিয়াস। কপ প্রেসিডেন্সির এমন প্রস্তাবে হতাশা প্রকাশ করে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩০০ বিলিয়নের যে ঘোষণা তারও কোনো গাইডলাইন নেই। ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো জানে না এই অর্থ তাদের ক্ষতিপূরণ নাকি ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে।’
সামছুদ্দিন ইলিয়াস বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলোই মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী বলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। কিন্তু জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তারা হয়তো নতুন ঋণের ফাঁদের পাঁয়তারা করছে। ঘোষণার ৩০০ বিলিয়ন ডলার কীভাবে জোগাড় হবে তা কপ প্রেসিডেন্সি জানাতে পারেনি। যদি ব্যাংক বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই অর্থের জোগান হয় তা আর ক্ষতিপূরণ থাকবে না, হয়ে উঠবে ঋণের ফাঁদ।
আজারবাইজানের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও একবার হতাশ করেছেন নীতিনির্ধারকেরা। সম্মেলনের শেষ দিনে এসে বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার খসড়া উপস্থাপন করেছে কপ প্রেসিডেন্সি। সেখানে দাবি ছিল ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। কপ প্রেসিডেন্সির এই ঘোষণার নিন্দা করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষতির মুখে থাকা অনুন্নত, উন্নয়নশীল ও দ্বীপরাষ্ট্রগুলো। সম্মেলনের সময় এক দিন বাড়লেও স্পষ্ট হয়নি অর্থায়নের বিষয়টি।
বাকু শহরে কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনের প্রেসিডেন্সি একটি খসড়া অর্থায়ন চুক্তি প্রকাশ করেছে। এতে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। এমন প্রস্তাব প্রকাশের পরই সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
খসড়া চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩০ সাল পর্যন্ত অভিযোজন অর্থায়নের জন্য বার্ষিক প্রয়োজন ধরা হয়েছে ২১৫-৩৮৭ বিলিয়ন ডলার। সমালোচকেরা বলছেন, তহবিল নগণ্য হওয়া ছাড়াও এ খসড়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার কৌশলের স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই।
অর্থায়নের প্রস্তাবটি প্রবল আপত্তির মুখে পড়েছে প্রাণ, প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, কপ প্রেসিডেন্সির এই ঘোষণা শুভঙ্করের ফাঁকি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা অনুন্নত, উন্নয়নশীল ও দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এক বিরাট প্রহসন করা হয়েছে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
পরিবেশ আন্দোলনকর্মী এবং গ্লোবাল এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর ফর দ্য ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের প্রধান হারজিৎ সিং আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তার তুলনায় প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রস্তাব ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা।’
হারজিৎ সিং বলেন, পুরো বিশ্বের অর্ধেকের বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, কয়লা, গ্যাস) ব্যবহার করে পাঁচটি বৃহৎ রাষ্ট্র। বাকি প্রায় ৫০ শতাংশের বেশির ভাগ ব্যবহার করে অন্য উন্নত রাষ্ট্রগুলো। আর এর দায় নিতে হচ্ছে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। এর ক্ষতিপূরণ উন্নত রাষ্ট্রগুলোকেই করার দাবি করেন এই পরিবেশকর্মী।
দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে লিখছেন বাংলাদেশি সংবাদকর্মী সামছুদ্দিন ইলিয়াস। কপ প্রেসিডেন্সির এমন প্রস্তাবে হতাশা প্রকাশ করে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩০০ বিলিয়নের যে ঘোষণা তারও কোনো গাইডলাইন নেই। ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো জানে না এই অর্থ তাদের ক্ষতিপূরণ নাকি ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে।’
সামছুদ্দিন ইলিয়াস বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলোই মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী বলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। কিন্তু জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তারা হয়তো নতুন ঋণের ফাঁদের পাঁয়তারা করছে। ঘোষণার ৩০০ বিলিয়ন ডলার কীভাবে জোগাড় হবে তা কপ প্রেসিডেন্সি জানাতে পারেনি। যদি ব্যাংক বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই অর্থের জোগান হয় তা আর ক্ষতিপূরণ থাকবে না, হয়ে উঠবে ঋণের ফাঁদ।
মাঘের মাঝামাঝি এসে আজ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ দিন দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামীকালও এমন আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে...
১৭ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের
১৮ ঘণ্টা আগেসারা দেশে আজ তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে আগামীকাল থেকে দেশের চার বিভাগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
২ দিন আগেঢাকার বাতাসে ব্যাপক দূষণ। বায়ুমান সূচকে সকালের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এই শহরের আজকের বায়ুমান ২৬৭। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে তা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ধরা হয় এবং এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বা ভয়ানক পর্যায়ের দূষণ হিসেবে ধরা হয়। এ দিকে ঝুঁকিপূর্ণ...
২ দিন আগে