লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেন্সিং এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং গবেষণার প্রধান লেখক কিংহুয়া গুও বলেন, এই নতুন পরিসংখ্যানটি সম্ভবত গাছের প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ গাছ গণনা করার প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কিংহুয়া গুও আরও বলেন, প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরও বেশি হতে পারে।
২০১৯ সালে চীনের নবম জাতীয় বন জরিপে প্রতি একরে (১ হাজার ৫২ গাছ/হেক্টর) গড়ে ৪২৬টি গাছ পাওয়া গেছে, যা নতুন গবেষণার প্রতি একরের (৬৮৯ গাছ/হেক্টর) আনুমানিক ২৭৯ গাছ থেকে অনেক বেশি। তবে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সংখ্যা হয়তো এই দুই হিসাব র মধ্যেই কোথাও হতে পারে, তবে তা নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গাছের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বন পরিবেশ এবং গাছের মাধ্যমে কার্বন সংরক্ষণ পরিমাণ নির্ধারণে সাহায্য করবে। এই গবেষণায় চীনের গাছগুলোর বিস্তৃত মানচিত্রও তৈরি করা হয়েছে, যা দেশের পরিবেশগত এবং জলবায়ু সম্পর্কিত লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে।
গবেষণার জন্য গবেষকেরা লেজার-ভিত্তিক ম্যাপিং প্রযুক্তি লাইডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) ব্যবহার করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে তারা লাইডার ডেটা সংগ্রহ করছেন, যা এখন ৫৪০ বর্গমাইল (১৪০০ বর্গকিলোমিটার) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
উল্লেখ্য, লাইডার বা লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং হলো একটি লেজার-বেসড প্রযুক্তি যা দূর থেকে বস্তু বা ভূমির অবস্থা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত মাটির উচ্চতা, গাছপালা, বিল্ডিং, বা অন্যান্য ভৌত কাঠামোর তিন-মাত্রিক (৩ ডি) মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার ‘লাইডার ৩৬০’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গাছ গণনা করেছে, এবং এই সংখ্যা থেকে তারা একটি জাতীয় পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি, সায়েন্স বুলেটিন জার্নালে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন—ঘন বনাঞ্চলে গাছের নিচের স্তরের গাছগুলো সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। গুও বলেছেন, ‘এ ধরনের এলাকায় গাছের ওপরের শাখা গুলো যদি একে অপরের ওপর চলে আসে, তবে গাছের নিচের অংশের গাছ সঠিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন হয়, যার ফলে গাছের সংখ্যা কম দেখাতে পারে।’
তবে, এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, এই গবেষণার ফলাফল চীনের গাছের জনসংখ্যা সম্পর্কে পূর্ববর্তী ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চীন শিগগিরই আরও বেশি গাছ লাগাবে, কারণ দেশটি বর্তমানে গাছের চারা রোপণ করছে ব্যাপক হারে।
গোবি এবং তাকলামাকান মরুভূমি বিস্তার রোধ করার জন্য চীনের উত্তরাঞ্চলে একটি বিশাল গাছের দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে। এই গাছের দেয়ালটির নাম ‘গ্রেট গ্রিন ওয়াল’ বা ‘থ্রি-নর্থ শেলটারবেল্ট ফরেস্ট প্রোগ্রাম’। এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন গাছ রোপণ করা হবে। এই দেয়ালটি ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীজ রোপণ করা বন, যেখানে ৬৬ মিলিয়ন গাছ রোপণ করা হয়েছে। তবে এটি মরুভূমির বিস্তার রোধে কতটা সফল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি শুধু গাছের সংখ্যা গণনা এবং মানচিত্র তৈরি করতে সাহায্য করে না।
গুও বলেছেন, ‘উচ্চ-নির্ভুল ডেটা এবং বুদ্ধিমান মডেলগুলোর মিশ্রণ নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি গাছ সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে রোপণ করা হচ্ছে।’
একজন ব্যক্তির গড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন, যা প্রতিবছর প্রায় ৪ দশমিক ৩ টন। এটি পূরণ করতে একজন ব্যক্তির বিপরীতে প্রায় ১৬৫টি গাছ লাগানো প্রয়োজন। তবে দেশ ও অঞ্চল এই সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে।
এদিকে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য গাছের সংখ্যা দেশে দেশে ভিন্ন, কানাডায় সবচেয়ে বেশি এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে কম।
কানাডা: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৮ হাজার ৯৫৩টি গাছ
বাংলাদেশ: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৬টি গাছ
রাশিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪ হাজার ৪৬১টি গাছ
যুক্তরাষ্ট্র: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৭১৬টি গাছ
ভারত: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ২৮টি গাছ
ফ্রান্স: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১৮২টি গাছ
যুক্তরাজ্য: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪৭টি গাছ
অস্ট্রেলিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৩ হাজার ২৬৬টি গাছ
ব্রাজিল: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১ হাজার ৪৯৪টি গাছ
চীন: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১০২টি গাছ
নেপাল: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
শ্রীলঙ্কা: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেন্সিং এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং গবেষণার প্রধান লেখক কিংহুয়া গুও বলেন, এই নতুন পরিসংখ্যানটি সম্ভবত গাছের প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ গাছ গণনা করার প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কিংহুয়া গুও আরও বলেন, প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরও বেশি হতে পারে।
২০১৯ সালে চীনের নবম জাতীয় বন জরিপে প্রতি একরে (১ হাজার ৫২ গাছ/হেক্টর) গড়ে ৪২৬টি গাছ পাওয়া গেছে, যা নতুন গবেষণার প্রতি একরের (৬৮৯ গাছ/হেক্টর) আনুমানিক ২৭৯ গাছ থেকে অনেক বেশি। তবে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সংখ্যা হয়তো এই দুই হিসাব র মধ্যেই কোথাও হতে পারে, তবে তা নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গাছের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বন পরিবেশ এবং গাছের মাধ্যমে কার্বন সংরক্ষণ পরিমাণ নির্ধারণে সাহায্য করবে। এই গবেষণায় চীনের গাছগুলোর বিস্তৃত মানচিত্রও তৈরি করা হয়েছে, যা দেশের পরিবেশগত এবং জলবায়ু সম্পর্কিত লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে।
গবেষণার জন্য গবেষকেরা লেজার-ভিত্তিক ম্যাপিং প্রযুক্তি লাইডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) ব্যবহার করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে তারা লাইডার ডেটা সংগ্রহ করছেন, যা এখন ৫৪০ বর্গমাইল (১৪০০ বর্গকিলোমিটার) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
উল্লেখ্য, লাইডার বা লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং হলো একটি লেজার-বেসড প্রযুক্তি যা দূর থেকে বস্তু বা ভূমির অবস্থা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত মাটির উচ্চতা, গাছপালা, বিল্ডিং, বা অন্যান্য ভৌত কাঠামোর তিন-মাত্রিক (৩ ডি) মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার ‘লাইডার ৩৬০’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গাছ গণনা করেছে, এবং এই সংখ্যা থেকে তারা একটি জাতীয় পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি, সায়েন্স বুলেটিন জার্নালে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন—ঘন বনাঞ্চলে গাছের নিচের স্তরের গাছগুলো সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। গুও বলেছেন, ‘এ ধরনের এলাকায় গাছের ওপরের শাখা গুলো যদি একে অপরের ওপর চলে আসে, তবে গাছের নিচের অংশের গাছ সঠিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন হয়, যার ফলে গাছের সংখ্যা কম দেখাতে পারে।’
তবে, এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, এই গবেষণার ফলাফল চীনের গাছের জনসংখ্যা সম্পর্কে পূর্ববর্তী ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চীন শিগগিরই আরও বেশি গাছ লাগাবে, কারণ দেশটি বর্তমানে গাছের চারা রোপণ করছে ব্যাপক হারে।
গোবি এবং তাকলামাকান মরুভূমি বিস্তার রোধ করার জন্য চীনের উত্তরাঞ্চলে একটি বিশাল গাছের দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে। এই গাছের দেয়ালটির নাম ‘গ্রেট গ্রিন ওয়াল’ বা ‘থ্রি-নর্থ শেলটারবেল্ট ফরেস্ট প্রোগ্রাম’। এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন গাছ রোপণ করা হবে। এই দেয়ালটি ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীজ রোপণ করা বন, যেখানে ৬৬ মিলিয়ন গাছ রোপণ করা হয়েছে। তবে এটি মরুভূমির বিস্তার রোধে কতটা সফল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি শুধু গাছের সংখ্যা গণনা এবং মানচিত্র তৈরি করতে সাহায্য করে না।
গুও বলেছেন, ‘উচ্চ-নির্ভুল ডেটা এবং বুদ্ধিমান মডেলগুলোর মিশ্রণ নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি গাছ সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে রোপণ করা হচ্ছে।’
একজন ব্যক্তির গড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন, যা প্রতিবছর প্রায় ৪ দশমিক ৩ টন। এটি পূরণ করতে একজন ব্যক্তির বিপরীতে প্রায় ১৬৫টি গাছ লাগানো প্রয়োজন। তবে দেশ ও অঞ্চল এই সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে।
এদিকে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য গাছের সংখ্যা দেশে দেশে ভিন্ন, কানাডায় সবচেয়ে বেশি এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে কম।
কানাডা: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৮ হাজার ৯৫৩টি গাছ
বাংলাদেশ: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৬টি গাছ
রাশিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪ হাজার ৪৬১টি গাছ
যুক্তরাষ্ট্র: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৭১৬টি গাছ
ভারত: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ২৮টি গাছ
ফ্রান্স: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১৮২টি গাছ
যুক্তরাজ্য: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪৭টি গাছ
অস্ট্রেলিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৩ হাজার ২৬৬টি গাছ
ব্রাজিল: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১ হাজার ৪৯৪টি গাছ
চীন: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১০২টি গাছ
নেপাল: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
শ্রীলঙ্কা: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেন্সিং এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং গবেষণার প্রধান লেখক কিংহুয়া গুও বলেন, এই নতুন পরিসংখ্যানটি সম্ভবত গাছের প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ গাছ গণনা করার প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কিংহুয়া গুও আরও বলেন, প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরও বেশি হতে পারে।
২০১৯ সালে চীনের নবম জাতীয় বন জরিপে প্রতি একরে (১ হাজার ৫২ গাছ/হেক্টর) গড়ে ৪২৬টি গাছ পাওয়া গেছে, যা নতুন গবেষণার প্রতি একরের (৬৮৯ গাছ/হেক্টর) আনুমানিক ২৭৯ গাছ থেকে অনেক বেশি। তবে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সংখ্যা হয়তো এই দুই হিসাব র মধ্যেই কোথাও হতে পারে, তবে তা নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গাছের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বন পরিবেশ এবং গাছের মাধ্যমে কার্বন সংরক্ষণ পরিমাণ নির্ধারণে সাহায্য করবে। এই গবেষণায় চীনের গাছগুলোর বিস্তৃত মানচিত্রও তৈরি করা হয়েছে, যা দেশের পরিবেশগত এবং জলবায়ু সম্পর্কিত লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে।
গবেষণার জন্য গবেষকেরা লেজার-ভিত্তিক ম্যাপিং প্রযুক্তি লাইডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) ব্যবহার করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে তারা লাইডার ডেটা সংগ্রহ করছেন, যা এখন ৫৪০ বর্গমাইল (১৪০০ বর্গকিলোমিটার) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
উল্লেখ্য, লাইডার বা লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং হলো একটি লেজার-বেসড প্রযুক্তি যা দূর থেকে বস্তু বা ভূমির অবস্থা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত মাটির উচ্চতা, গাছপালা, বিল্ডিং, বা অন্যান্য ভৌত কাঠামোর তিন-মাত্রিক (৩ ডি) মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার ‘লাইডার ৩৬০’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গাছ গণনা করেছে, এবং এই সংখ্যা থেকে তারা একটি জাতীয় পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি, সায়েন্স বুলেটিন জার্নালে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন—ঘন বনাঞ্চলে গাছের নিচের স্তরের গাছগুলো সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। গুও বলেছেন, ‘এ ধরনের এলাকায় গাছের ওপরের শাখা গুলো যদি একে অপরের ওপর চলে আসে, তবে গাছের নিচের অংশের গাছ সঠিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন হয়, যার ফলে গাছের সংখ্যা কম দেখাতে পারে।’
তবে, এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, এই গবেষণার ফলাফল চীনের গাছের জনসংখ্যা সম্পর্কে পূর্ববর্তী ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চীন শিগগিরই আরও বেশি গাছ লাগাবে, কারণ দেশটি বর্তমানে গাছের চারা রোপণ করছে ব্যাপক হারে।
গোবি এবং তাকলামাকান মরুভূমি বিস্তার রোধ করার জন্য চীনের উত্তরাঞ্চলে একটি বিশাল গাছের দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে। এই গাছের দেয়ালটির নাম ‘গ্রেট গ্রিন ওয়াল’ বা ‘থ্রি-নর্থ শেলটারবেল্ট ফরেস্ট প্রোগ্রাম’। এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন গাছ রোপণ করা হবে। এই দেয়ালটি ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীজ রোপণ করা বন, যেখানে ৬৬ মিলিয়ন গাছ রোপণ করা হয়েছে। তবে এটি মরুভূমির বিস্তার রোধে কতটা সফল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি শুধু গাছের সংখ্যা গণনা এবং মানচিত্র তৈরি করতে সাহায্য করে না।
গুও বলেছেন, ‘উচ্চ-নির্ভুল ডেটা এবং বুদ্ধিমান মডেলগুলোর মিশ্রণ নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি গাছ সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে রোপণ করা হচ্ছে।’
একজন ব্যক্তির গড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন, যা প্রতিবছর প্রায় ৪ দশমিক ৩ টন। এটি পূরণ করতে একজন ব্যক্তির বিপরীতে প্রায় ১৬৫টি গাছ লাগানো প্রয়োজন। তবে দেশ ও অঞ্চল এই সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে।
এদিকে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য গাছের সংখ্যা দেশে দেশে ভিন্ন, কানাডায় সবচেয়ে বেশি এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে কম।
কানাডা: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৮ হাজার ৯৫৩টি গাছ
বাংলাদেশ: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৬টি গাছ
রাশিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪ হাজার ৪৬১টি গাছ
যুক্তরাষ্ট্র: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৭১৬টি গাছ
ভারত: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ২৮টি গাছ
ফ্রান্স: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১৮২টি গাছ
যুক্তরাজ্য: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪৭টি গাছ
অস্ট্রেলিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৩ হাজার ২৬৬টি গাছ
ব্রাজিল: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১ হাজার ৪৯৪টি গাছ
চীন: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১০২টি গাছ
নেপাল: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
শ্রীলঙ্কা: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেন্সিং এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং গবেষণার প্রধান লেখক কিংহুয়া গুও বলেন, এই নতুন পরিসংখ্যানটি সম্ভবত গাছের প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ গাছ গণনা করার প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কিংহুয়া গুও আরও বলেন, প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরও বেশি হতে পারে।
২০১৯ সালে চীনের নবম জাতীয় বন জরিপে প্রতি একরে (১ হাজার ৫২ গাছ/হেক্টর) গড়ে ৪২৬টি গাছ পাওয়া গেছে, যা নতুন গবেষণার প্রতি একরের (৬৮৯ গাছ/হেক্টর) আনুমানিক ২৭৯ গাছ থেকে অনেক বেশি। তবে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সংখ্যা হয়তো এই দুই হিসাব র মধ্যেই কোথাও হতে পারে, তবে তা নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
গাছের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বন পরিবেশ এবং গাছের মাধ্যমে কার্বন সংরক্ষণ পরিমাণ নির্ধারণে সাহায্য করবে। এই গবেষণায় চীনের গাছগুলোর বিস্তৃত মানচিত্রও তৈরি করা হয়েছে, যা দেশের পরিবেশগত এবং জলবায়ু সম্পর্কিত লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে।
গবেষণার জন্য গবেষকেরা লেজার-ভিত্তিক ম্যাপিং প্রযুক্তি লাইডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) ব্যবহার করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে তারা লাইডার ডেটা সংগ্রহ করছেন, যা এখন ৫৪০ বর্গমাইল (১৪০০ বর্গকিলোমিটার) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
উল্লেখ্য, লাইডার বা লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং হলো একটি লেজার-বেসড প্রযুক্তি যা দূর থেকে বস্তু বা ভূমির অবস্থা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত মাটির উচ্চতা, গাছপালা, বিল্ডিং, বা অন্যান্য ভৌত কাঠামোর তিন-মাত্রিক (৩ ডি) মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার ‘লাইডার ৩৬০’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গাছ গণনা করেছে, এবং এই সংখ্যা থেকে তারা একটি জাতীয় পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি, সায়েন্স বুলেটিন জার্নালে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন—ঘন বনাঞ্চলে গাছের নিচের স্তরের গাছগুলো সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। গুও বলেছেন, ‘এ ধরনের এলাকায় গাছের ওপরের শাখা গুলো যদি একে অপরের ওপর চলে আসে, তবে গাছের নিচের অংশের গাছ সঠিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন হয়, যার ফলে গাছের সংখ্যা কম দেখাতে পারে।’
তবে, এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, এই গবেষণার ফলাফল চীনের গাছের জনসংখ্যা সম্পর্কে পূর্ববর্তী ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চীন শিগগিরই আরও বেশি গাছ লাগাবে, কারণ দেশটি বর্তমানে গাছের চারা রোপণ করছে ব্যাপক হারে।
গোবি এবং তাকলামাকান মরুভূমি বিস্তার রোধ করার জন্য চীনের উত্তরাঞ্চলে একটি বিশাল গাছের দেয়াল তৈরি করা হচ্ছে। এই গাছের দেয়ালটির নাম ‘গ্রেট গ্রিন ওয়াল’ বা ‘থ্রি-নর্থ শেলটারবেল্ট ফরেস্ট প্রোগ্রাম’। এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ বিলিয়ন গাছ রোপণ করা হবে। এই দেয়ালটি ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীজ রোপণ করা বন, যেখানে ৬৬ মিলিয়ন গাছ রোপণ করা হয়েছে। তবে এটি মরুভূমির বিস্তার রোধে কতটা সফল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি শুধু গাছের সংখ্যা গণনা এবং মানচিত্র তৈরি করতে সাহায্য করে না।
গুও বলেছেন, ‘উচ্চ-নির্ভুল ডেটা এবং বুদ্ধিমান মডেলগুলোর মিশ্রণ নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি গাছ সবচেয়ে উপযুক্ত স্থানে রোপণ করা হচ্ছে।’
একজন ব্যক্তির গড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন, যা প্রতিবছর প্রায় ৪ দশমিক ৩ টন। এটি পূরণ করতে একজন ব্যক্তির বিপরীতে প্রায় ১৬৫টি গাছ লাগানো প্রয়োজন। তবে দেশ ও অঞ্চল এই সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে।
এদিকে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য গাছের সংখ্যা দেশে দেশে ভিন্ন, কানাডায় সবচেয়ে বেশি এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে কম।
কানাডা: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৮ হাজার ৯৫৩টি গাছ
বাংলাদেশ: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৬টি গাছ
রাশিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪ হাজার ৪৬১টি গাছ
যুক্তরাষ্ট্র: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৭১৬টি গাছ
ভারত: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ২৮টি গাছ
ফ্রান্স: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১৮২টি গাছ
যুক্তরাজ্য: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৪৭টি গাছ
অস্ট্রেলিয়া: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ৩ হাজার ২৬৬টি গাছ
ব্রাজিল: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১ হাজার ৪৯৪টি গাছ
চীন: প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় ১০২টি গাছ
নেপাল: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
শ্রীলঙ্কা: প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ টির বেশি গাছ
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস আসার পর সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। এর সঙ্গে বেড়েছে গরম। আজ মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এ ছাড়া সারা দেশে আজকের আবহাওয়াও প্রায় একই রকম শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আজকের সারা দেশের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
২৪ মার্চ ২০২৫বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
২৪ মার্চ ২০২৫পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
২৪ মার্চ ২০২৫পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
লেজার ড্রোনের সাহায্যে দেশের সব গাছ গুনলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট ১৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। এর মানে, প্রতি চীনা নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১০০টি করে গাছ রয়েছে। চীনের এই বিপুল গাছের সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশটি অত্যন্ত ঘন জনবসতিপূর্ণ।
২৪ মার্চ ২০২৫পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২ দিন আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ দিন আগে