Ajker Patrika

ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানালেন তারকারা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ০৪
আজমেরি হক বাঁধন, নির্মাতা আশফাক নিপুন ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত
আজমেরি হক বাঁধন, নির্মাতা আশফাক নিপুন ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মাহফুজ আলম শ্রাবণ নামের একজনকে হত্যার অভিযোগে ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে অভিনেতা ইরেশ যাকেরের নাম। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিবাদ করছেন শোবিজ তারকারা। তাঁদের অনেকে দাবি করছেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন অভিনেতা ইরেশ যাকের। আন্দোলনের পক্ষে থাকার পরও এই অভিনেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ফেসবুকে লেখেন, ‘ইরেশ সব সময় সত্যের পক্ষে থেকেছেন। ছাত্রদের সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে, প্রতিটি সংগ্রামের মুহূর্তে তিনি ছিলেন। ৪ আগস্ট, যখন কারফিউ ঘোষণা করা হয়, আমরা শাহবাগে একসঙ্গে ছিলাম। সব বিপদের মাঝেও তিনি নিশ্চিত করেছিলেন, আমি যেন নিরাপদে কালশী ফ্লাইওভারে পৌঁছাতে পারি—এমন এক সময়ে যখন যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারত, তিনি বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সেই রাতে, গণভবনে যাওয়ার জন্য আমাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। তবে ইরেশ যাকের দৃঢ়ভাবে ‘না’ বলেছিলেন। তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্রদের পাশে, সত্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি। যখন দেখি তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে, তখন হৃদয় ভেঙে যায়। যদিও এটা আমাদের জন্য নতুন নয়—আমরা আগেও দেখেছি, যারা সাহস করে দাঁড়িয়েছে, তাদের এভাবে দমন করা হয়েছে। তবু এখন, যখন ভেবেছিলাম আমরা একটি ভালো, নিরাপদ দেশ গড়ে তুলছি, তখন এটা আরও বেশি কষ্টের এবং হতাশাজনক। যারা সত্যের পক্ষে দাঁড়ায়, তাদের রক্ষা করা উচিত, নিপীড়ন নয়। আমরা ইরেশের পাশে আছি। আমরা তাদের পাশেই আছি, যারা কখনো আশা ছাড়েনি।’

অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা লিখেছেন, ‘প্রথমে দুর্নীতির অভিযোগ, তারপর জুলাই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে হত্যা মামলা। আর সেটাও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যিনি জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আগস্ট মাসের ১ তারিখ ফার্মগেটে আমাদের অনেকের সঙ্গে পুরোটা সময় ইরেশ যাকের এবং তাঁর স্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন জুলাই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে। উনার এবং আমাদের অনেক সহকর্মী একই সময় বিটিভি ভবনে শোক প্রকাশ করতে গেলেও উনি সেখানে যান নাই। উনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, হোক। কিন্তু উনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিতান্তই হাস্যকর। এ রকম গায়েবি মামলায় আসামি করতে গিয়ে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সত্যিকার আসামিদের পরিত্রাণের পথ সুগম করে দেওয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে। সেই বিষয়ে সাবধান হোন সরকার।’

নির্মাতা শিহাব শাহীন লেখেন, ‘ইরেশ যাকের জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, আর তাঁর বিরুদ্ধে কিনা জুলাই হত্যা মামলা!

নির্মাতা রেদওয়ান রনি লেখেন, ‘যিনি জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেই জুলাই হত্যা মামলা! লজ্জাজনক তো বটেই, তবে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, এতে জুলাই হত্যা মামলাগুলোকে খেলনা ও মূল অপরাধীদের আড়াল করার ষড়যন্ত্রটা চোখের আড়ালে থেকে যায়। জুলাই আন্দোলন যখন থেকে শুরু হয়, তখন থেকেই সক্রিয় ছিলেন ইরেশ যাকের। কিন্তু মনগড়া ঢালাও হত্যা মামলা খুবই হতাশাজনক! এই সরকারের কাছে একটাই চাওয়া, আবারও যেন ভিন্ন ফর্মে ফ্যাসিবাদের চাষ শুরু না হয়, দ্রুত পদক্ষেপ কাম্য।’

আরজে কিবরিয়া লিখেছেন, ‘ইরেশ যাকের হত্যা মামলার আসামি! এই লিস্টগুলো বানায় কারা? এরা কি আসলেই চায় জুলাই অপরাধীদের বিচার হোক? কাজেকর্মে তো মনে হয় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কূটনৈতিক পাসপোর্টকে রাতারাতি অর্ডিনারি বানিয়ে দেওয়া পরিচালক বরখাস্ত

এবার সরানো হলো জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে

৩৫ বছর ভারতে, স্বামী–সন্তান রেখে দেশে ফেরার নোটিশ পেলেন পাকিস্তানি সারদা

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত