মীর রাকিব হাসান

আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
নিমা: এই করোনার মধ্যে সুস্থ আছি—এটাই বড় পাওয়া। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিবারের সঙ্গে আছি, তাদের সঙ্গেই এই দিনে ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: শৈশবের জন্মদিনগুলো কীভাবে কাটাতেন?
নিমা: শৈশবে খুব ধুমধাম করে জন্মদিন পালন হতো। আমার জন্মদিনগুলো বেশির ভাগ সময়ই নাটকের দলের সঙ্গে কাটত। আমাদের বাসায় রীতি আছে, আমরা আগের দিন রাতে কেক কাটি। সেটা প্রতিবারই হয়। জানাই থাকে কেক কাটা হবে। আমার জন্মদিন সব সময়ই আয়োজন করে উদ্যাপনের চেষ্টা করি। আগে থেকেই আমার জন্মদিন নিয়ে বলতে থাকি, আমার জন্মদিন জন্মদিন। তারিক ও ছেলে আরিক মিলে ব্যবস্থা করে, সারপ্রাইজ রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি এত এক্সাইটেড থাকি যে ওদের সারপ্রাইজের খবরও জেনে যাই।
আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
নিমা: ছোটবেলার একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে জন্মদিন আসলেই। তখন আমার বয়স ছয় কি সাত বছর। বিটিভির নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বলা হলো, সেদিন আমার জন্মদিনে কোনো আয়োজন করা হবে না। সবাই অনেক ব্যস্ত। আমার তো ভীষণ মন খারাপ হলো। তখন সুবর্ণার বাবা গোলাম মুস্তাফা সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো, তোমার মন খারাপ কেন?’ তাঁকে জানালাম যে আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু কোনো আয়োজন করতে পারছি না। উনি আফসোস করে উহু, আহা বললেন। উনি লাঞ্চের সময় পূর্বাণী হোটেলে খেতে যেতেন। সেখান থেকে উনি একটা কেক নিয়ে আসেন। আমার মা খাবার আনিয়ে বড় আয়োজন করে ফেললেন। সেদিনের সেই মানুষগুলো অনেকেই আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু স্মৃতিগুলো রয়েই গেছে।
আজকের পত্রিকা: জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিয়ে বলুন…
নিমা: জন্ম ঢাকাতেই। হলি ফ্যামিলি হসপিটালে। তখনকার দিনে হলি ফ্যামিলি হসপিটালে জন্ম হওয়া একটা বড় ব্যাপার। তখন নতুন হয়েছে হলি ফ্যামিলি হসপিটাল। বাবা জুট বিজনেস করতেন। বলতে পারি ধনার্ঢ্য পরিবারেই আমার জন্ম। বাবা পাকিস্তান আমলেই জুটের প্রথম সারির ব্যবসায়ী ছিলেন। নানা হচ্ছেন কবি গোলাম মোস্তফা। মোস্তফা মনোয়ার আমার মামা। একদিকে ব্যবসায়িক পরিবারের, অন্যদিকে কালচারাল। দুটো বিষয় দেখেই বড় হওয়া। তবে আজকের অবস্থানে আসার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার মায়ের। খুব কালচারাল মাইন্ডের ছিলেন তিনি। মায়ের কাছ থেকেই প্রথমে কবিতা, ছড়াগান—এগুলো শিখি। মা–ই আমাকে নাটকে নিয়ে আসেন। স্টেজে নাটক করতে দেন। হাত ধরে শিল্প–সংস্কৃতির জগতে ওনার সঙ্গে হেঁটেছি।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
নিমা: এখন বড় ব্যস্ততা ‘গুলশান এভিনিউ’–এর দ্বিতীয় সিজন নিয়ে। আমার পরিচালনায় ধারাবাহিকটি প্রচার হবে বাংলাভিশনে। যখন লকডাউন থাকছে না তখন শুটিং করছি। বাসায় বসে স্ক্রিপ্ট কারেকশন করছি। লকডাউনের কারণেই একটু দেরি হয়ে গেল। মাস খানেকের মধ্যেই প্রচারে আসবে ধারাবাহিকটি। দর্শক চাইলে এবারও আগের মতো লম্বা ধারাবাহিক করার ইচ্ছে আছে। এবারের অন্যতম চমক এর পাত্র-পাত্রী। বেশির ভাগ অভিনেতাই নতুন। গল্পেও চমক আছে। গুলশানের একটা বাসায় শুটিং করছি। বেশ বড় রকমের আয়োজন বলতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে ডেইলি সোপ খুব একটা জনপ্রিয় হচ্ছে না কেন?
নিমা: কারণ, আমরা অতটা সিরিয়াস না। আমরা গল্পটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। অভিনয়টাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। হয়তো অভিনয় সিরিয়াসলি নিচ্ছি গল্প ভালো হচ্ছে না। কলকাতায় তো সবাই চাকরির মতো কাজ করে। প্রত্যেক দিন ওদের শুটিং থাকে। একটা গল্পের মধ্যে বসবাস করে। আমাদের তো সেটা হয় না। সিরিয়াস হতে হলে সবাই মিলে কাজটা করতে হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে যখন ছোট ছোট কনটেন্ট হচ্ছে, তখন টেলিভিশনের দর্শক ধরে রাখার জন্য মানসম্মত ডেইলি সোপ খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: মঞ্চের খবর কী?
নিমা: মঞ্চ নিয়ে এখন কিছুই বলা যায় না। এই মুহূর্তে অনলাইনে কিছু ক্লাস নিয়েছি। কিছু ওয়ার্কশপ করার চেষ্টা করেছি। আসলে মঞ্চের কাজ অনলাইনে হয় না। মঞ্চের মজাটা মঞ্চেই। করোনা চলে গেলে আমরা আবার ফিরব।
আজকের পত্রিকা: অবসর কাটছে কীভাবে?
নিমা: বাসায় থাকি। পরিবারের জন্য রান্নাবান্না করি। গান শুনি। ঘুম আমার খুব প্রিয়। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয়। বেশির ভাগই বিদেশে আছে। ওদের সঙ্গে কথা বললেও ভালো সময় কাটে। সেটা রেগুলার মেইনটেইন করার চেষ্টা করি। রোজ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলে মনে হয় কী যেন হলো না।
আজকের পত্রিকা: এই সময়ে মিডিয়ার অনেককেই নিয়ে নানা কথা উঠছে। এমনটা কেন হচ্ছে বলে মনে করেন?
নিমা: সামাজিক দায়বদ্ধতা জরুরি। আমি যে সমাজে বাস করি, সেই সমাজে আমার কাজটা কতটা নেতিবাচক ইমপেক্ট ফেলবে—তা নিয়ে যদি দায়বদ্ধতা না থাকে তাহলে তো শিল্পী হতে পারব না। শুধু শিল্পী কেন, সব পেশার মানুষেরই এই বোধটুকু থাকা উচিত। তা ছাড়া ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করতে হয়। আমি মনে করি সেটাও একজন শিল্পীর বড় হওয়ার অন্যতম শর্ত। চর্চাও করতে হয়। রাতারাতি শিল্পী হওয়া যায় না। শিল্পী হতে হলে বেসিক কিছু গুণ থাকাও জরুরি। ব্যাকগ্রাউন্ডেরও একটা বিষয় আছে।
আজকের পত্রিকা: সেটা কেমন?
নিমা: আমরা কাজ করছি সেই ছোট থেকে। পাশাপাশি পড়াশোনাতেও কিন্তু বেশ সিরিয়াস ছিলাম। পরিবারও একটা বিষয়। আমরা কী করতে পারি, কতটা করতে পারি—সে বিষয়ে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা যখন শুরু করেছি, ভালো ভালো পরিবার থেকে মেয়েরা সংস্কৃতিজগতে আসত। সংস্কৃতিজগতে আসতে হলেই মনে হতো আমার জানাশোনা থাকতে হবে। মেধাবী মানুষেরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দুইকথা বলতে গেলে তো নিজেরও সেভাবে প্রস্তুতি থাকতে হতো। সেই শিক্ষাটা খুব ম্যাটার করে। এখনকার দিনে অনেকেই আসছে যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে, জানাশোনা নিয়ে সন্দিহান। শুধু সৌন্দর্য মেইনটেইন করলেই হবে না। অনেক বই পড়তে হতো আমাদের। ওয়ার্কশপ করতে হতো। এগুলো তো এখন হয় না। পড়াশোনাটা তো একটা বিশাল ব্যাপার।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে বাংলাদেশে ‘লাইফস্টাইল শো’–এর পাইওনিয়র বলা হয়। বর্তমান সময়ে শোগুলো কীভাবে দেখছেন?
নিমা: আমার করা ‘আমাদের কথা’ ভেঙেই এখন অনেক রকম শো হচ্ছে। রান্না, রূপচর্চা, ঘর সাজানো, সেলিব্রেটিদের সাক্ষাৎকার, এক্সারসাইজ—সব একসঙ্গে নিয়ে শো করেছি। এখনকার সময়ে আমরা মনে হয় ঠিক ধরতে পারছি না কোন জায়গাটা ধরলে সাকসেসফুল হবে। রিসার্চ দরকার প্রচুর। অনেক প্রোগ্রাম দরকার নেই। একটা ভালো প্রোগ্রাম হলেও একটা টেলিভিশন হিট হয়ে যেতে পারে। তাই সময় নিয়ে সেটা করা দরকার। আমরা অনেক বিষয়েই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: পরিবার নিয়ে কিছু জানতে চাচ্ছি…
নিমা: পরিবারে আড্ডাটা খুব জরুরি। আমাদের পরিবারে নিয়মিত আড্ডা হয়। সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা হয়। আমার পুত্রবধূ এগনেস র্যাচেল প্যারিস প্রিয়াংকা নাচের মেয়ে। ছেলে ফিল্ম বানায়। তারিক আনাম সাহেব তো আছেনই। এরা এগুলোর সঙ্গে রেগুলার আছেন। আমি সেখানে একটু চুপচাপই থাকি। ওদের সঙ্গে আড্ডায় বাইরের দুনিয়াটা এখন দেখতে পাই। এই আড্ডাটা আমাদের পরিবারের প্রাণ।

আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
নিমা: এই করোনার মধ্যে সুস্থ আছি—এটাই বড় পাওয়া। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিবারের সঙ্গে আছি, তাদের সঙ্গেই এই দিনে ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: শৈশবের জন্মদিনগুলো কীভাবে কাটাতেন?
নিমা: শৈশবে খুব ধুমধাম করে জন্মদিন পালন হতো। আমার জন্মদিনগুলো বেশির ভাগ সময়ই নাটকের দলের সঙ্গে কাটত। আমাদের বাসায় রীতি আছে, আমরা আগের দিন রাতে কেক কাটি। সেটা প্রতিবারই হয়। জানাই থাকে কেক কাটা হবে। আমার জন্মদিন সব সময়ই আয়োজন করে উদ্যাপনের চেষ্টা করি। আগে থেকেই আমার জন্মদিন নিয়ে বলতে থাকি, আমার জন্মদিন জন্মদিন। তারিক ও ছেলে আরিক মিলে ব্যবস্থা করে, সারপ্রাইজ রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি এত এক্সাইটেড থাকি যে ওদের সারপ্রাইজের খবরও জেনে যাই।
আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
নিমা: ছোটবেলার একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে জন্মদিন আসলেই। তখন আমার বয়স ছয় কি সাত বছর। বিটিভির নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বলা হলো, সেদিন আমার জন্মদিনে কোনো আয়োজন করা হবে না। সবাই অনেক ব্যস্ত। আমার তো ভীষণ মন খারাপ হলো। তখন সুবর্ণার বাবা গোলাম মুস্তাফা সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো, তোমার মন খারাপ কেন?’ তাঁকে জানালাম যে আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু কোনো আয়োজন করতে পারছি না। উনি আফসোস করে উহু, আহা বললেন। উনি লাঞ্চের সময় পূর্বাণী হোটেলে খেতে যেতেন। সেখান থেকে উনি একটা কেক নিয়ে আসেন। আমার মা খাবার আনিয়ে বড় আয়োজন করে ফেললেন। সেদিনের সেই মানুষগুলো অনেকেই আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু স্মৃতিগুলো রয়েই গেছে।
আজকের পত্রিকা: জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিয়ে বলুন…
নিমা: জন্ম ঢাকাতেই। হলি ফ্যামিলি হসপিটালে। তখনকার দিনে হলি ফ্যামিলি হসপিটালে জন্ম হওয়া একটা বড় ব্যাপার। তখন নতুন হয়েছে হলি ফ্যামিলি হসপিটাল। বাবা জুট বিজনেস করতেন। বলতে পারি ধনার্ঢ্য পরিবারেই আমার জন্ম। বাবা পাকিস্তান আমলেই জুটের প্রথম সারির ব্যবসায়ী ছিলেন। নানা হচ্ছেন কবি গোলাম মোস্তফা। মোস্তফা মনোয়ার আমার মামা। একদিকে ব্যবসায়িক পরিবারের, অন্যদিকে কালচারাল। দুটো বিষয় দেখেই বড় হওয়া। তবে আজকের অবস্থানে আসার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার মায়ের। খুব কালচারাল মাইন্ডের ছিলেন তিনি। মায়ের কাছ থেকেই প্রথমে কবিতা, ছড়াগান—এগুলো শিখি। মা–ই আমাকে নাটকে নিয়ে আসেন। স্টেজে নাটক করতে দেন। হাত ধরে শিল্প–সংস্কৃতির জগতে ওনার সঙ্গে হেঁটেছি।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
নিমা: এখন বড় ব্যস্ততা ‘গুলশান এভিনিউ’–এর দ্বিতীয় সিজন নিয়ে। আমার পরিচালনায় ধারাবাহিকটি প্রচার হবে বাংলাভিশনে। যখন লকডাউন থাকছে না তখন শুটিং করছি। বাসায় বসে স্ক্রিপ্ট কারেকশন করছি। লকডাউনের কারণেই একটু দেরি হয়ে গেল। মাস খানেকের মধ্যেই প্রচারে আসবে ধারাবাহিকটি। দর্শক চাইলে এবারও আগের মতো লম্বা ধারাবাহিক করার ইচ্ছে আছে। এবারের অন্যতম চমক এর পাত্র-পাত্রী। বেশির ভাগ অভিনেতাই নতুন। গল্পেও চমক আছে। গুলশানের একটা বাসায় শুটিং করছি। বেশ বড় রকমের আয়োজন বলতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে ডেইলি সোপ খুব একটা জনপ্রিয় হচ্ছে না কেন?
নিমা: কারণ, আমরা অতটা সিরিয়াস না। আমরা গল্পটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। অভিনয়টাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। হয়তো অভিনয় সিরিয়াসলি নিচ্ছি গল্প ভালো হচ্ছে না। কলকাতায় তো সবাই চাকরির মতো কাজ করে। প্রত্যেক দিন ওদের শুটিং থাকে। একটা গল্পের মধ্যে বসবাস করে। আমাদের তো সেটা হয় না। সিরিয়াস হতে হলে সবাই মিলে কাজটা করতে হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে যখন ছোট ছোট কনটেন্ট হচ্ছে, তখন টেলিভিশনের দর্শক ধরে রাখার জন্য মানসম্মত ডেইলি সোপ খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: মঞ্চের খবর কী?
নিমা: মঞ্চ নিয়ে এখন কিছুই বলা যায় না। এই মুহূর্তে অনলাইনে কিছু ক্লাস নিয়েছি। কিছু ওয়ার্কশপ করার চেষ্টা করেছি। আসলে মঞ্চের কাজ অনলাইনে হয় না। মঞ্চের মজাটা মঞ্চেই। করোনা চলে গেলে আমরা আবার ফিরব।
আজকের পত্রিকা: অবসর কাটছে কীভাবে?
নিমা: বাসায় থাকি। পরিবারের জন্য রান্নাবান্না করি। গান শুনি। ঘুম আমার খুব প্রিয়। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয়। বেশির ভাগই বিদেশে আছে। ওদের সঙ্গে কথা বললেও ভালো সময় কাটে। সেটা রেগুলার মেইনটেইন করার চেষ্টা করি। রোজ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলে মনে হয় কী যেন হলো না।
আজকের পত্রিকা: এই সময়ে মিডিয়ার অনেককেই নিয়ে নানা কথা উঠছে। এমনটা কেন হচ্ছে বলে মনে করেন?
নিমা: সামাজিক দায়বদ্ধতা জরুরি। আমি যে সমাজে বাস করি, সেই সমাজে আমার কাজটা কতটা নেতিবাচক ইমপেক্ট ফেলবে—তা নিয়ে যদি দায়বদ্ধতা না থাকে তাহলে তো শিল্পী হতে পারব না। শুধু শিল্পী কেন, সব পেশার মানুষেরই এই বোধটুকু থাকা উচিত। তা ছাড়া ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করতে হয়। আমি মনে করি সেটাও একজন শিল্পীর বড় হওয়ার অন্যতম শর্ত। চর্চাও করতে হয়। রাতারাতি শিল্পী হওয়া যায় না। শিল্পী হতে হলে বেসিক কিছু গুণ থাকাও জরুরি। ব্যাকগ্রাউন্ডেরও একটা বিষয় আছে।
আজকের পত্রিকা: সেটা কেমন?
নিমা: আমরা কাজ করছি সেই ছোট থেকে। পাশাপাশি পড়াশোনাতেও কিন্তু বেশ সিরিয়াস ছিলাম। পরিবারও একটা বিষয়। আমরা কী করতে পারি, কতটা করতে পারি—সে বিষয়ে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা যখন শুরু করেছি, ভালো ভালো পরিবার থেকে মেয়েরা সংস্কৃতিজগতে আসত। সংস্কৃতিজগতে আসতে হলেই মনে হতো আমার জানাশোনা থাকতে হবে। মেধাবী মানুষেরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দুইকথা বলতে গেলে তো নিজেরও সেভাবে প্রস্তুতি থাকতে হতো। সেই শিক্ষাটা খুব ম্যাটার করে। এখনকার দিনে অনেকেই আসছে যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে, জানাশোনা নিয়ে সন্দিহান। শুধু সৌন্দর্য মেইনটেইন করলেই হবে না। অনেক বই পড়তে হতো আমাদের। ওয়ার্কশপ করতে হতো। এগুলো তো এখন হয় না। পড়াশোনাটা তো একটা বিশাল ব্যাপার।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে বাংলাদেশে ‘লাইফস্টাইল শো’–এর পাইওনিয়র বলা হয়। বর্তমান সময়ে শোগুলো কীভাবে দেখছেন?
নিমা: আমার করা ‘আমাদের কথা’ ভেঙেই এখন অনেক রকম শো হচ্ছে। রান্না, রূপচর্চা, ঘর সাজানো, সেলিব্রেটিদের সাক্ষাৎকার, এক্সারসাইজ—সব একসঙ্গে নিয়ে শো করেছি। এখনকার সময়ে আমরা মনে হয় ঠিক ধরতে পারছি না কোন জায়গাটা ধরলে সাকসেসফুল হবে। রিসার্চ দরকার প্রচুর। অনেক প্রোগ্রাম দরকার নেই। একটা ভালো প্রোগ্রাম হলেও একটা টেলিভিশন হিট হয়ে যেতে পারে। তাই সময় নিয়ে সেটা করা দরকার। আমরা অনেক বিষয়েই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: পরিবার নিয়ে কিছু জানতে চাচ্ছি…
নিমা: পরিবারে আড্ডাটা খুব জরুরি। আমাদের পরিবারে নিয়মিত আড্ডা হয়। সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা হয়। আমার পুত্রবধূ এগনেস র্যাচেল প্যারিস প্রিয়াংকা নাচের মেয়ে। ছেলে ফিল্ম বানায়। তারিক আনাম সাহেব তো আছেনই। এরা এগুলোর সঙ্গে রেগুলার আছেন। আমি সেখানে একটু চুপচাপই থাকি। ওদের সঙ্গে আড্ডায় বাইরের দুনিয়াটা এখন দেখতে পাই। এই আড্ডাটা আমাদের পরিবারের প্রাণ।

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। তবে এই অমূল্য সংগ্রহকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গানের জটিল কপিরাইট সমস্যা।
৩০ বছর বয়সী বিশাল কলিতা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে ঘুরে ঘুরে জুবিন গার্গের দুর্লভ ক্যাসেট সংগ্রহ করেছেন। এই ব্যক্তিগত সংগ্রহটিতে ক্যাসেট ছাড়াও রয়েছে শত শত সিডি এবং বিশ্বজুড়ে সংগীতশিল্পীদের বিরল পোস্টার। তবে দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জুবিন গার্গের গানের ডিস্কোগ্রাফি নিয়ে।
গত মাসে সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যুর পর তাঁর লাখ লাখ ভক্তের এখনো শোক কাটেনি। বিশাল কলিতার দাবি, তাঁর সংগ্রহে জুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার গান রয়েছে, যার মধ্যে এমন গানও রয়েছে যা এখন আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
শিল্পী নিজেও তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিন আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর, জুবিন গার্গ বিশাল কলিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে এই সংগ্রহ তাঁর ‘দীর্ঘদিন ভুলে যাওয়া’ কিছু সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিশাল কলিতা এখন জুবিন গার্গের ভক্ত ও বন্ধুদের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ। তাদের মূল লক্ষ্য—জুবিনের গানগুলো অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আরও সহজলভ্য করা এবং শিল্পীর পরিবারের জন্য রয়্যালটি নিশ্চিত করা। কলিতা বলেন, ‘কিছু ক্যাসেট খুবই পুরোনো এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি সেগুলোকে জনস্মৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
তবে কাজটি সহজ নয়। গার্গের বহু গানের স্বত্ব একটি জটিল প্রযোজক, পরিবেশক এবং মিউজিক লেবেলের মধ্যে বিভক্ত। ফলে স্বত্বাধিকার নিয়ে স্পষ্টতার অভাবে সেগুলোকে অনলাইনে আপলোড করলে কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে যায়।

জুবিন গার্গের মৃত্যুর পরই ভক্তরা এই জটিলতার আঁচ পান, যখন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’ শীর্ষক জনপ্রিয় গানটি কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানটি পরে একজন ব্যবহারকারী আপলোড করলেও লাইসেন্সিং সমস্যার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও জুবিনের বন্ধু মানস বড়ুয়া জানান, তাঁর শত শত গানের স্বত্ব হয় খুঁজে বের করা কঠিন, নয়তো বিতর্কিত।
দিল্লিভিত্তিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস (আইপিআর) আইনজীবী নীল মেসন জানান, ভারতে কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ সংগীত স্বত্বের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর অধীনে গানের কথা, সংগীত কম্পোজিশন এবং সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা কপিরাইট রয়েছে।
গানের কথা ও সুরের ক্ষেত্রে গীতিকার ও সুরকাররাই ‘প্রথম মালিক’ হলেও, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজককেই রচয়িতা বলে গণ্য করা হয়’। ফলে তারাই প্রথম মালিক হন। স্বত্বাধিকারীরা তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্সের মাধ্যমে অধিকার হস্তান্তর বা প্রদান করতে পারেন। এটি যত্নসহকারে নথিভুক্ত না থাকলে একটি জটিল জাল তৈরি করে।
জুবিন গার্গের গানের প্রযোজক শ্যামন্তক গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর গান তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (আইপিআরএস)-এর সঙ্গে এ পর্যন্ত জুবিনের অন্তত ১ হাজার ৩৩টি গান নিবন্ধিত হয়েছে।’
আইপিআরএস ভারতে সংগীত রয়্যালটি সংগ্রহ ও বিতরণ করার একমাত্র সরকারি অনুমোদিত সংস্থা। তারা নিশ্চিত করছে, গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হলে শিল্পী বা তাঁর পরিবার যেন প্রাপ্য অর্থ পান। আইপিআরএস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকেশ নিগাম বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দ্রুত উত্থান স্বত্বাধিকার ট্র্যাকিং আরও জটিল করে তুলেছে। তবে আইপিআরএস-এর সঙ্গে নিবন্ধিত গানগুলো ‘তাঁর জীবনকাল পেরিয়ে আরও ৬০ বছর সুরক্ষিত থাকবে।’
এদিকে বিশাল কলিতা এখন জুবিনের দুর্লভ ক্যাসেটগুলো সর্বোচ্চ মানের ডিজিটালের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই বিরল টেপগুলো সেরা মানে ডিজিটাইজ করা হোক। জুবিন গার্গ তাঁর গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। আর তাঁর একজন ভক্ত হিসেবে, এটাই আমার পক্ষ থেকে তাঁর জন্য ক্ষুদ্রতম কাজ।’

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। তবে এই অমূল্য সংগ্রহকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গানের জটিল কপিরাইট সমস্যা।
৩০ বছর বয়সী বিশাল কলিতা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে ঘুরে ঘুরে জুবিন গার্গের দুর্লভ ক্যাসেট সংগ্রহ করেছেন। এই ব্যক্তিগত সংগ্রহটিতে ক্যাসেট ছাড়াও রয়েছে শত শত সিডি এবং বিশ্বজুড়ে সংগীতশিল্পীদের বিরল পোস্টার। তবে দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জুবিন গার্গের গানের ডিস্কোগ্রাফি নিয়ে।
গত মাসে সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যুর পর তাঁর লাখ লাখ ভক্তের এখনো শোক কাটেনি। বিশাল কলিতার দাবি, তাঁর সংগ্রহে জুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার গান রয়েছে, যার মধ্যে এমন গানও রয়েছে যা এখন আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
শিল্পী নিজেও তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিন আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর, জুবিন গার্গ বিশাল কলিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে এই সংগ্রহ তাঁর ‘দীর্ঘদিন ভুলে যাওয়া’ কিছু সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিশাল কলিতা এখন জুবিন গার্গের ভক্ত ও বন্ধুদের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ। তাদের মূল লক্ষ্য—জুবিনের গানগুলো অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আরও সহজলভ্য করা এবং শিল্পীর পরিবারের জন্য রয়্যালটি নিশ্চিত করা। কলিতা বলেন, ‘কিছু ক্যাসেট খুবই পুরোনো এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি সেগুলোকে জনস্মৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
তবে কাজটি সহজ নয়। গার্গের বহু গানের স্বত্ব একটি জটিল প্রযোজক, পরিবেশক এবং মিউজিক লেবেলের মধ্যে বিভক্ত। ফলে স্বত্বাধিকার নিয়ে স্পষ্টতার অভাবে সেগুলোকে অনলাইনে আপলোড করলে কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে যায়।

জুবিন গার্গের মৃত্যুর পরই ভক্তরা এই জটিলতার আঁচ পান, যখন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’ শীর্ষক জনপ্রিয় গানটি কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানটি পরে একজন ব্যবহারকারী আপলোড করলেও লাইসেন্সিং সমস্যার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও জুবিনের বন্ধু মানস বড়ুয়া জানান, তাঁর শত শত গানের স্বত্ব হয় খুঁজে বের করা কঠিন, নয়তো বিতর্কিত।
দিল্লিভিত্তিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস (আইপিআর) আইনজীবী নীল মেসন জানান, ভারতে কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ সংগীত স্বত্বের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর অধীনে গানের কথা, সংগীত কম্পোজিশন এবং সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা কপিরাইট রয়েছে।
গানের কথা ও সুরের ক্ষেত্রে গীতিকার ও সুরকাররাই ‘প্রথম মালিক’ হলেও, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজককেই রচয়িতা বলে গণ্য করা হয়’। ফলে তারাই প্রথম মালিক হন। স্বত্বাধিকারীরা তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্সের মাধ্যমে অধিকার হস্তান্তর বা প্রদান করতে পারেন। এটি যত্নসহকারে নথিভুক্ত না থাকলে একটি জটিল জাল তৈরি করে।
জুবিন গার্গের গানের প্রযোজক শ্যামন্তক গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর গান তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (আইপিআরএস)-এর সঙ্গে এ পর্যন্ত জুবিনের অন্তত ১ হাজার ৩৩টি গান নিবন্ধিত হয়েছে।’
আইপিআরএস ভারতে সংগীত রয়্যালটি সংগ্রহ ও বিতরণ করার একমাত্র সরকারি অনুমোদিত সংস্থা। তারা নিশ্চিত করছে, গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হলে শিল্পী বা তাঁর পরিবার যেন প্রাপ্য অর্থ পান। আইপিআরএস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকেশ নিগাম বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দ্রুত উত্থান স্বত্বাধিকার ট্র্যাকিং আরও জটিল করে তুলেছে। তবে আইপিআরএস-এর সঙ্গে নিবন্ধিত গানগুলো ‘তাঁর জীবনকাল পেরিয়ে আরও ৬০ বছর সুরক্ষিত থাকবে।’
এদিকে বিশাল কলিতা এখন জুবিনের দুর্লভ ক্যাসেটগুলো সর্বোচ্চ মানের ডিজিটালের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই বিরল টেপগুলো সেরা মানে ডিজিটাইজ করা হোক। জুবিন গার্গ তাঁর গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। আর তাঁর একজন ভক্ত হিসেবে, এটাই আমার পক্ষ থেকে তাঁর জন্য ক্ষুদ্রতম কাজ।’

অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও নির্দেশক নিমা রহমানের জন্মদিন আজ। দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন। যদিও ব্যস্ততা রয়েছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। নিজের এবং কাজের আরও অনেক কথাই বললেন তিনি
১০ আগস্ট ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও নির্দেশক নিমা রহমানের জন্মদিন আজ। দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন। যদিও ব্যস্ততা রয়েছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। নিজের এবং কাজের আরও অনেক কথাই বললেন তিনি
১০ আগস্ট ২০২১
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও নির্দেশক নিমা রহমানের জন্মদিন আজ। দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন। যদিও ব্যস্ততা রয়েছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। নিজের এবং কাজের আরও অনেক কথাই বললেন তিনি
১০ আগস্ট ২০২১
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও নির্দেশক নিমা রহমানের জন্মদিন আজ। দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন। যদিও ব্যস্ততা রয়েছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। নিজের এবং কাজের আরও অনেক কথাই বললেন তিনি
১০ আগস্ট ২০২১
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে