এ মাসের শুরুতে হইচইয়ে এসেছে শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘অদৃশ্য’। মাহফুজ আহমেদ ও অপি করিমের পাশাপাশি এ সিরিজে অভিনয় করে প্রশংসিত হচ্ছেন নিশাত প্রিয়ম। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে দর্শকের ভালোবাসা উপভোগ করছেন এ অভিনেত্রী। অদৃশ্য ওয়েব সিরিজ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিশাত প্রিয়মের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়ায় কি কোনো শুটিংয়ের কাজে গেছেন?
আমার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তাঁদের সঙ্গে অনেক দিন দেখা হয় না। তাই চলে এলাম। পরিবারের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছি।
অদৃশ্য ওয়েব সিরিজ থেকে কেমন সাড়া পেলেন?
প্রায় দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনো দর্শকের অ্যাপ্রিসিয়েশন পাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিরিজটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া আমার চরিত্রটিও সবাই পছন্দ করেছেন।
প্রত্যাশা তাহলে পূরণ হয়েছে?
অবশ্যই। অদৃশ্য নিয়ে আমার প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ হয়েছে। আমার চরিত্র নিয়ে যেভাবে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে সোনিয়া চরিত্রটি ভালোভাবেই করতে পেরেছি। এ চরিত্রে আমাকে কাস্ট করার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ দিতে চাই।
সোনিয়া হয়ে উঠতে কেমন প্রস্তুতি ছিল?
শুরু থেকেই পরিচালক শাফায়েত মনসুর রানার সঙ্গে আমার চরিত্রটি নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। তিনি আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন সোনিয়া হয়ে উঠতে। এ ছাড়া এ ক্যারেক্টারের মতো যেসব সিনেমা ও সিরিজ আছে, সেগুলো দেখেছি। অদৃশ্যর শুটিং চলাকালীন অন্য কোনো কাজ করিনি, যাতে চরিত্রটি থেকে বের না হতে হয়। আমার মনে হয়, একসঙ্গে কয়েকটি কাজ না করে একটি কাজে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার বিষয়টি আমাকে অনেক হেল্প করেছে।
সিরিজে আপনাকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে...
চরিত্রটিতে অনেক লেয়ার আছে। কখনো সে সোনিয়া, কখনো আবার নুসরাত। একেকজনের সঙ্গে সে একেক রকম। অনেকটা রহস্যময়। এই প্রথম কোনো নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি। এর আগে যত কাজ করেছি, সব পজিটিভ। তাই নতুনভাবে আমাকে দেখেছে সবাই। রিলিজের পর কোনো সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। বরং সবাই আমার প্রশংসা করেছেন।
প্রথমবার মাহফুজ আহমেদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
মাহফুজ আহমেদ আমার খুব পছন্দের শিল্পী। তাঁর অনেক কাজ দেখেছি। যখন শুনেছি ওনার সঙ্গে কাজটা করছি, তখন থেকেই এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। সহশিল্পী হিসেবে তিনি অসাধারণ। একবারের জন্যও মনে হয়নি এটা তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। শুধু অভিনেতা নয়, মানুষ হিসেবেও তিনি দারুণ।
ওয়েব কনটেন্টে আপনি ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো বেছে নিচ্ছেন...
(প্রশ্ন শেষ না হতেই) অদৃশ্য সিরিজে সোনিয়া চরিত্রটি প্রোটাগনিস্ট। এটা মুখ্য চরিত্র নয়, এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। সোনিয়া ছাড়া এ সিরিজটি পরিপূর্ণ হতো না। তবে হ্যাঁ, ‘মিশন হান্ট ডাউন’-এর কথা আমি বলতে চাই না। কারণ সেটা অনুরোধের কাজ ছিল। কিন্তু ‘অদৃশ্য’, ‘মানিহানি’ ও ‘মহানগর’ আমার খুব ভালোবাসার প্রজেক্ট। তিনটি কাজই আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা ওয়েব সিরিজ কখনো একজনকে ভিত্তি করে হয় না বা হয়ে ওঠা কঠিন। সিরিজগুলোতে দেখা যায় চার-পাঁচটি চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে গল্প এগিয়ে যায়। সব চরিত্রের একটা আলাদা জার্নি থাকে।
ইদানীং শোবিজে একটা আলোচনা চলছে যে টিভি নাটক থেকে এসে যাঁরা এখন ওটিটিতে কাজ করছেন, তাঁরা নাটককে অবহেলা করছেন বা গুরুত্ব কম দিচ্ছেন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?
নাটকের প্রতি সব সময় আমার ভালোবাসা আছে এবং আজীবন থাকবে। নাটক আমার রুট। নাটকের মাধ্যমেই দর্শক আমাকে চিনেছে। আমি কিন্তু নাটক ও ওটিটি দুই মাধ্যমেই কাজ করছি। তা ছাড়া আমি এমনিতেই অভিনয় কম করি। আর অদৃশ্য সিরিজের সময় অন্য কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় আসার কারণে নাটকে একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এর মানে এই নয় যে নাটক আর করব না। নাটককে অবহেলার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমার কাছে গল্পটা হিরো। গল্প পছন্দ হলে মাধ্যম কোনো ব্যাপার নয়।
সিনেমায় অভিনয় করবেন না?
সব অভিনয়শিল্পীরই সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে। গল্প পছন্দ হলে অবশ্যই বড় পর্দায় কাজ করব।
সামনে আর কী কী কাজ আসছে?
‘অমনিবাস’ নামের একটি অ্যান্থোলজি ফিল্মে কাজ করেছি। আটজন নির্মাতা আটটি গল্প নির্মাণ করেছেন। আমি কাজ করেছি এন রাশেদ চৌধুরীর পরিচালনায়। এতে আমার সহশিল্পী ইরেশ যাকের। আগামী মাসে দেশে ফেরার পর কয়েকটি কাজ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা আছে।
এ মাসের শুরুতে হইচইয়ে এসেছে শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘অদৃশ্য’। মাহফুজ আহমেদ ও অপি করিমের পাশাপাশি এ সিরিজে অভিনয় করে প্রশংসিত হচ্ছেন নিশাত প্রিয়ম। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে দর্শকের ভালোবাসা উপভোগ করছেন এ অভিনেত্রী। অদৃশ্য ওয়েব সিরিজ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিশাত প্রিয়মের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়ায় কি কোনো শুটিংয়ের কাজে গেছেন?
আমার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তাঁদের সঙ্গে অনেক দিন দেখা হয় না। তাই চলে এলাম। পরিবারের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছি।
অদৃশ্য ওয়েব সিরিজ থেকে কেমন সাড়া পেলেন?
প্রায় দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনো দর্শকের অ্যাপ্রিসিয়েশন পাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিরিজটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া আমার চরিত্রটিও সবাই পছন্দ করেছেন।
প্রত্যাশা তাহলে পূরণ হয়েছে?
অবশ্যই। অদৃশ্য নিয়ে আমার প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ হয়েছে। আমার চরিত্র নিয়ে যেভাবে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে সোনিয়া চরিত্রটি ভালোভাবেই করতে পেরেছি। এ চরিত্রে আমাকে কাস্ট করার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ দিতে চাই।
সোনিয়া হয়ে উঠতে কেমন প্রস্তুতি ছিল?
শুরু থেকেই পরিচালক শাফায়েত মনসুর রানার সঙ্গে আমার চরিত্রটি নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। তিনি আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন সোনিয়া হয়ে উঠতে। এ ছাড়া এ ক্যারেক্টারের মতো যেসব সিনেমা ও সিরিজ আছে, সেগুলো দেখেছি। অদৃশ্যর শুটিং চলাকালীন অন্য কোনো কাজ করিনি, যাতে চরিত্রটি থেকে বের না হতে হয়। আমার মনে হয়, একসঙ্গে কয়েকটি কাজ না করে একটি কাজে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার বিষয়টি আমাকে অনেক হেল্প করেছে।
সিরিজে আপনাকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে...
চরিত্রটিতে অনেক লেয়ার আছে। কখনো সে সোনিয়া, কখনো আবার নুসরাত। একেকজনের সঙ্গে সে একেক রকম। অনেকটা রহস্যময়। এই প্রথম কোনো নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি। এর আগে যত কাজ করেছি, সব পজিটিভ। তাই নতুনভাবে আমাকে দেখেছে সবাই। রিলিজের পর কোনো সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। বরং সবাই আমার প্রশংসা করেছেন।
প্রথমবার মাহফুজ আহমেদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
মাহফুজ আহমেদ আমার খুব পছন্দের শিল্পী। তাঁর অনেক কাজ দেখেছি। যখন শুনেছি ওনার সঙ্গে কাজটা করছি, তখন থেকেই এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। সহশিল্পী হিসেবে তিনি অসাধারণ। একবারের জন্যও মনে হয়নি এটা তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। শুধু অভিনেতা নয়, মানুষ হিসেবেও তিনি দারুণ।
ওয়েব কনটেন্টে আপনি ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো বেছে নিচ্ছেন...
(প্রশ্ন শেষ না হতেই) অদৃশ্য সিরিজে সোনিয়া চরিত্রটি প্রোটাগনিস্ট। এটা মুখ্য চরিত্র নয়, এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। সোনিয়া ছাড়া এ সিরিজটি পরিপূর্ণ হতো না। তবে হ্যাঁ, ‘মিশন হান্ট ডাউন’-এর কথা আমি বলতে চাই না। কারণ সেটা অনুরোধের কাজ ছিল। কিন্তু ‘অদৃশ্য’, ‘মানিহানি’ ও ‘মহানগর’ আমার খুব ভালোবাসার প্রজেক্ট। তিনটি কাজই আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা ওয়েব সিরিজ কখনো একজনকে ভিত্তি করে হয় না বা হয়ে ওঠা কঠিন। সিরিজগুলোতে দেখা যায় চার-পাঁচটি চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে গল্প এগিয়ে যায়। সব চরিত্রের একটা আলাদা জার্নি থাকে।
ইদানীং শোবিজে একটা আলোচনা চলছে যে টিভি নাটক থেকে এসে যাঁরা এখন ওটিটিতে কাজ করছেন, তাঁরা নাটককে অবহেলা করছেন বা গুরুত্ব কম দিচ্ছেন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?
নাটকের প্রতি সব সময় আমার ভালোবাসা আছে এবং আজীবন থাকবে। নাটক আমার রুট। নাটকের মাধ্যমেই দর্শক আমাকে চিনেছে। আমি কিন্তু নাটক ও ওটিটি দুই মাধ্যমেই কাজ করছি। তা ছাড়া আমি এমনিতেই অভিনয় কম করি। আর অদৃশ্য সিরিজের সময় অন্য কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় আসার কারণে নাটকে একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এর মানে এই নয় যে নাটক আর করব না। নাটককে অবহেলার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমার কাছে গল্পটা হিরো। গল্প পছন্দ হলে মাধ্যম কোনো ব্যাপার নয়।
সিনেমায় অভিনয় করবেন না?
সব অভিনয়শিল্পীরই সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে। গল্প পছন্দ হলে অবশ্যই বড় পর্দায় কাজ করব।
সামনে আর কী কী কাজ আসছে?
‘অমনিবাস’ নামের একটি অ্যান্থোলজি ফিল্মে কাজ করেছি। আটজন নির্মাতা আটটি গল্প নির্মাণ করেছেন। আমি কাজ করেছি এন রাশেদ চৌধুরীর পরিচালনায়। এতে আমার সহশিল্পী ইরেশ যাকের। আগামী মাসে দেশে ফেরার পর কয়েকটি কাজ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা আছে।
বছরজুড়েই নানা আয়োজনে নতুন গান উপহার দেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। সামনে আসছে ঈদ। এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে নতুন গান করছেন আসিফ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন ‘ফিরে পাব কি আবার’ শিরোনামের একটি আধুনিক গান। আগামী রোজার ঈদে এফ এ মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে গানটি। গানের কথা লিখেছেন ফারুক আনোয়ার...
১৬ ঘণ্টা আগেপ্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম এবং ভাস্কর নভেরা আহমেদকে নিয়ে ভিন্ন দুটি ডকুফিল্ম বানিয়েছেন অনন্যা রুমা। নাম ‘মনির: টেল অব টু কান্ট্রিস’ ও ‘নভেরা: স্মৃতির অভিযাত্রা’। ‘মনির: টেলস অব টু কান্ট্রিস’ নামের ডকুফিল্মটিতে উঠে এসেছে চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলামের জীবনের নানা ঘটনা, তাঁর শিল্পকর্ম, ব্যক্তিগত...
১৬ ঘণ্টা আগেগত ৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এক্স হ্যান্ডেলে অমিতাভ বচ্চন লেখেন—‘টাইম টু গো...’। অর্থাৎ চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। এরপর তাঁর অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগে, কোথায় যাচ্ছেন বিগ বি! গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, অভিনয়কে বিদায় বলে দিয়েছেন বিগ বি অমিতাভ। অবশেষে মাসখানেক পর সেই রহস্য ভাঙলেন বলিউড শাহেন শাহ। জানালেন...
১৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে ঢাকাই সিনেমায় চলছে খলনায়কের সংকট। এক দশকের বেশি সময় মিশা সওদাগর হাল ধরে রয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের কয়েকজন খল অভিনেতা নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জাহিদ ইসলাম। ২০১৫ সালে শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় তাঁর। এর পর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন...
১৭ ঘণ্টা আগে