Ajker Patrika

‘চলতে চলতে থামতেও জানতে হয়’

বিনোদন প্রতিবেদক
আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, ১১: ৫৮
‘চলতে চলতে থামতেও জানতে হয়’

ঢাকা: আগামীকাল হইচইয়ে প্রচার শুরু হবে ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজের। সিরিজটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম। তিনি কথা বললেন ব্যক্তিজীবন নিয়েও।

‘মহানগর’ সিরিজটি করতে কেন রাজি হওয়া?

প্রথমত, পরিচালক আশফাক নিপুণের কাজের প্রশংসা নিয়মিতই শুনি। বাইরের মানুষের কাছে কাজের প্রশংসা শুনে একটা সময় নিজেও তাঁর নিয়মিত কাজের খোঁজখবর রাখতাম। তিনি যখন প্রথমবারের মতো প্রস্তাব দিলেন, তখন চরিত্রটা কী, তা ভাবার আগে ভাবলাম যা হয় হোক না, নতুন কিছু তো হবে। এরপর আস্তে আস্তে শুনলাম কাস্টিং কী, সর্বশেষ যখন নিজে কোন চরিত্রটা করব জানলাম, তখন উচ্ছ্বাস বেড়ে গেল।

কী চরিত্র করছেন?

সিরিজে এএসপি শাহানা হুদা চরিত্রে দেখা যাবে। পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরিত্রের প্রতি এমনিতেও আমার একটা ফ্যাসিনেশন আছে। মনে হয় এই চরিত্রগুলো অনেক বেশি চরিত্র ফেইস করে। তাই কাজটি করে বেশ আরাম পেয়েছি।

চরিত্রটি করার আগে প্রস্তুতিটা কেমন ছিল?

শাহানা চরিত্রটা করার জন্য চুল কেটে ছোট করেছি। সেটা যে পরিচালক বলেছিলেন, তা নয়। যখন পরিচালক চরিত্রটা জানালেন তখন নিজেই ঠিক করে নিলাম যে চুলটা কেটে ছোট করলে আরও বেশি মানানসই হবে।

কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কারণ, মোশাররফ ভাই, শ্যামল, ইমরান, খায়রুল বাশারসহ সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছি। যারা প্রফেশনাল জায়গাটাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেন–এমন কিছু মানুষের সঙ্গে কাজ করি। যারা এতটা দিন একটা পেশায় থাকার পরও নিজেকে কীভাবে আরও বেশি ইমপ্রুভ করতে পারেন–তার পেছনে সারাক্ষণ ছোটেন। শুটিং হয়েছে সারা রাত ধরে। বিকেলে শুরু হয়ে কাজ চলত ভোর অবধি। আমরা তরমুজও খেয়েছি পাল্লা দিয়ে। শুটিংয়ের সময় প্রচুর তরমুজ খাওয়া হয়েছে।

জাকিয়া বারী মমগেল কয়েক বছরে অভিনয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ক্রমে ব্যস্ততা কমছে কেন?

একটা সময় কিন্তু এই জায়গাটাতে আসতেই হবে–আমি আসলে কী করছি। মনের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে, এক কাজ কেন বারবার করব! রিপিটিডলি এক কাজ করতে চাই না বলে কাজ কমাচ্ছি। হয়তো অনেকের কাছে তাই কম কাজ করছি বলে মনে হয়। এমন কাজ করতে চাই যেটা আমাকে কষ্ট দেয়, ভাবায়, আমার মধ্যে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। সেই কাজগুলোই করতে চাই। ভাবলেশহীন কাজ আর নয়। চলতে চলতে থামতেও জানতে হয় একটা সময়।

তাহলে অনেক বেশি বেকার সময়?

যখন আমি কিছু করছি না। তখনো আমি মনে মনে কিছু করছি। ভাবছি। প্রস্তুত হচ্ছি। সপ্তাহে সাত দিন অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা নেই। তিন মাস ধরে তাই ছাদবাগান নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাই। বাসা ও ছাদ মিলিয়ে গাছের সংখ্যা এখন শখানেক। নানা জাতের ফুলের গাছ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে হরেক রকম সবজি এবং ফলের গাছ। গাছটা আমাকে একদম অদ্ভুতভাবে আরাম দিচ্ছে। মাঝেমধ্যে শুটিংও তো আছে। এইতো আছি বেশ।

সংসারটাও কি বেশ চলছে? বাইরে তো বিচ্ছেদের গুঞ্জন...

কাজটাই আমার সংসার।

সেটা এড়িয়ে যাওয়া। গুঞ্জনের উত্তর না…

আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমে…চাঁদ, ফুল, জোছনার গান আর নয়… আর নয় নিষ্ফল ক্রন্দন, শুধু নিজেরই স্বার্থের বন্ধন।

গানটাই উত্তর?

গুঞ্জনের মতো গুঞ্জন চলুক। আমি আমার কাজ করতে চাই। আমি কিছু জানাতে পারব না। আর আমাকে কেন জিজ্ঞেস করেন? জিজ্ঞেস করার তো আরও একজন আছেন, তাঁকে জিজ্ঞেস করেন। তবে অন্য কিছু হলেও তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা কখনোই কমবে না। যার যার সম্মান তার তার কাছে।

অন্য কিছু কি?

না না না। আর কিছু বলব না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত