Ajker Patrika

গানটি নানামুখী অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে একটু আলোর প্রত্যাশায়

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ০৫
গানটি নানামুখী অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীতে একটু আলোর প্রত্যাশায়

সম্প্রতি নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগডারে আয়োজিত মিউজিক কনফারেন্সে গিয়েছিলেন চিরকুট ব্যান্ডের শারমিন সুলতানা সুমি। দারুণ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে সেখানে। পাশাপাশি নরওয়ের শিল্পী মারতে উলফ আর চিরকুট যৌথ আয়োজনে তৈরি করেছে নতুন একটি গান। কী সেই গান? কেন চিরকুট ও মারতে তৈরি করল এমন গান? কবে মুক্তি পাবে গানটি? বিস্তারিত জানতে সুমির সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

নতুন গান বানালেন। কী নিয়ে গানটি?
গানটি যুদ্ধ ও আশা নিয়ে। পৃথিবীতে এত এত যুদ্ধ, এত ভয়াবহতা! যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ, এমনকি শিশুরাও। আমরা যদিও সরাসরি যুদ্ধের কথা বলছি না, আমরা বলছি, এই যে পৃথিবীজুড়ে এত অন্ধকার, এই অন্ধকার কেটে আলো আসা প্রয়োজন। গানের শিরোনাম ‘লেট দ্য লাইট ইন’। নরওয়ের শিল্পী মারতে উলফকে নিয়ে চিরকুটের এই যৌথ প্রয়াস।

মারতে উলফ সম্পর্কে বলুন, তাঁর সঙ্গে কীভাবে পরিচয়?
মারতে উলফ নরওয়ের একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার। গান গাওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু নিয়েও কাজ করে সে। গত বছর থেকে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব।

কেন মনে হলো এমন একটা গান করা প্রয়োজন?
গান দিয়েই তো চিরকুট প্রতিবাদ জানায়, গান দিয়েই সচেতন করে মানুষকে। নদী বাঁচাতে তাই চিরকুটকে পাওয়া গেছে ব্যতিক্রমী নদী রকস কনসার্টে। জলবায়ুর সচেতনতায়ও কাজ করছে ব্যান্ডটি। আমাদের মনে হয়েছে, যুদ্ধের ভয়াবহতা বন্ধ করে আলোকময় এক পৃথিবীর প্রত্যাশায় এমন একটা গান হওয়া প্রয়োজন। এই গানটা দিয়ে আমরা বার্তা দিতে চাই, এই যে পৃথিবীজুড়ে এত যুদ্ধ, এত অন্ধকার, এত এত মৃত্যু—এসব বন্ধ হওয়া দরকার। অন্ধকার এই পৃথিবীতে আলো আসা দরকার। 

গানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
গানের শিরোনাম ‘লেট দ্য লাইট ইন’। পুরো গানটি লিখেছে ও সুর করেছে মারতে উলফ। একটা বাংলা অংশ আছে, ওটা আমার লেখা। মিউজিক করেছে চিরকুট ব্যান্ড। গান গেয়েছে মারতে উলফ ও চিরকুট ব্যান্ড। রেকর্ডিং হয়েছে ঢাকার বাটার কমিউনিকেশন স্টুডিও এবং অসলোর একটি স্টুডিওতে।

কীভাবে তৈরি হলো গানটি?
আমরা তো দেশের বাইরে গেলে কোলাবরেশন করার চেষ্টা করি। এবার নরওয়েতে যখন ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড রাউন্ডটেবিল কনফারেন্সে গেলাম, ভাবলাম মারতের সঙ্গে একটা গান করা যায়। পরের দিন সে একটা গান বানিয়ে পাঠিয়ে দিল। বললাম, গানটা ভালো হয়েছে, মাইন্ড করবা, যদি আরেকটা গান বানাতে বলি, আরেকটু রিদমিক? মারতে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে নিল ব্যাপারটা। পরের দিন আরেকটা গান বানিয়ে পাঠাল। শুনেই আমার পছন্দ হয়ে যায়। আমি গেলাম। ভয়েস দিলাম। এরপর গানটা দেশে পাঠিয়ে দিলাম। আমাদের ব্যান্ড মেম্বাররা গানটির মিউজিক করে পাঠায়। শুনে মারতেও খুব পছন্দ করে। আমি দেশে ফিরে গানটা ফাইনাল কম্পোজিশন করি।

সুমির সেলফিতে মারতে উলফকবে এবং কোথায় রিলিজ হবে গানটি?
১ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৯টায় গানটি রিলিজ করব সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক, ইউটিউব, স্পটিফাইসহ নানা মাধ্যমে পাওয়া যাবে লেট দ্য লাইট ইন গানটি।

গানের ভিডিও কেমন হয়েছে?
ভিডিওটা হয়েছে ডকুমেন্টারি স্টাইলে। গান নিয়ে আমাদের আলোচনা, কীভাবে গানটি তৈরি হলো—সবই ফুটে উঠবে ভিডিওতে।

ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড রাউন্ডটেবিল কনফারেন্সটা কী টাইপের কনফারেন্স?
নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ডে ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগডার আয়োজিত একটি মিউজিক কনফারেন্স। বার্কলি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন, ওয়েস্ট মিনস্টারসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত ইউনিভার্সিটির স্কলাররা যাঁরা মিউজিক নিয়ে থিসিস ও রিসার্চবেইজ কাজ করেন, তাঁরা অংশ নেন এই কনফারেন্সে। প্রতিবছর এই কনফারেন্স হয়। এ বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হলো কনফারেন্সটি।

এ বছরের কনফারেন্সের অভিজ্ঞতা কেমন আপনার?
খুবই ভালো। ১ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত হয়েছে কনফারেন্স। এবার আমি কি নট স্পিকার ছিলাম। এটা আসলেই আমার জন্য, আমার দেশের জন্য অনেক সম্মানের, তাঁরা আমাকে অনেক সম্মান দিয়ে নিয়ে গেছেন। দুজন কি নট স্পিকার ছিল এ বছর, একজন বাংলাদেশের আমি অন্যজন আয়ারল্যান্ডের।

কনফারেন্সে কোন বিষয়ে কথা বলেছেন আপনি?
৩ নভেম্বর আমি কথা বলেছি সায়েন্টিফিক কনফারেন্সে ‘স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ইন মিউজিক বিজনেস’, ৭ ও ৮ নভেম্বর ‘রোল অব উইমেন ইন বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি’ এবং ৯ ও ১০ নভেম্বর স্টুডেন্ট ইভেন্ট ‘মিউজিক ফর ক্লাইমেট’ বিষয়ে। আমার প্রেজেন্টেশন নিয়ে সবাই খুব খুশি হয়েছেন। প্রশংসা করেছেন। আমাদের নদী রকস কনসার্ট নিয়ে, আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও সবাই প্রশংসা করেছেন।

মারতে উলফের সঙ্গে তো কনফারেন্সের সুবাদেই পরিচয়?
তাঁর সঙ্গে পরিচয় গত বছর। এ বছরও তাঁর একটা প্রেজেন্টেশন ছিল। আমি যাচ্ছি শুনে আগেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। এরপর নরওয়েতে গিয়ে কনফারেন্সেই আমরা গানের পরিকল্পনা করি।

গানের ব্যাপারে কনফারেন্স থেকে সহযোগিতা পাননি?
পেয়েছি। নানা ধরনের বুদ্ধি, পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন অনেকেই। এ জন্য আমরা বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছি অধ্যাপক ড. ড্যানিয়েল নরগার্ড, ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগডারের ছাত্রছাত্রী ও ড. সলভেইগ কোরামসহ অনেককে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে পূর্ণিমা জানালেন, সুখে আছেন তাঁরা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আশফাকুর রহমান ও পূর্ণিমা
আশফাকুর রহমান ও পূর্ণিমা

হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জল আর বেশি দূর গড়াতে না দিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমা জানালেন, তাঁর সংসার ভাঙার খবর সত্য নয়। স্বামীর সঙ্গে সুখে আছেন তিনি। বিচ্ছেদের খবর তাঁকে বিস্মিত করেছে।

পূর্ণিমার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে তাঁর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’ এরপরেই শুরু হয় গুঞ্জন।

বিষয়টি টের পেয়ে ২২ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন পূর্ণিমা। কিন্তু তাতেও থামছিল না গুঞ্জন। অবশেষে গতকাল বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী।

ফেসবুকে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিন শেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে। এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে!’

তিনি আরও লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসারজীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।’

২০২২ সালের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুসান থেকে ফিরে শুটিংয়ে মনোজ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মনোজ প্রামাণিক। ছবি: সংগৃহীত
মনোজ প্রামাণিক। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। এটা শেষ করেই শুটিং করবেন দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ কয়েকটি নাটকের। মনোজ বলেন, ‘বুসানে সাতটি মাস অভিনয়টা খুব মিস করেছি। ওখানে থাকতেই এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কথা হয়েছে। সাত মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। খুব ভালো লাগছে।’

সাত মাসের এই কোর্স সম্পর্কে মনোজ বলেন, ‘এই কোর্সে মূলত প্রযোজনা বিষয়ে পড়াশোনা হয়েছে। এ ছাড়া প্র্যাকটিকালি শেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সিনেমাকে মার্কেটে উপস্থাপন করতে হয়। বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে মার্কেট আছে সেখানে আমাদের পিচিং করানো হয়। এটা খুব এক্সাইটিং ছিল। এ ছাড়া পড়াশোনার ধরন, শিক্ষক, বিষয়—সবই ভালো ছিল।’

মনোজ আরও বলেন, ‘এই কোর্সে এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, রান্না করা, খাওয়া, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা—মনে হচ্ছিল আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির দারুণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে। ১৫টি দেশের নতুন বন্ধু পেয়েছি। এ এক বিশাল পাওয়া।’

অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত মনোজ। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন তিনি। এই কোর্সের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হিসেবে অনেক কাজে দেবে বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক হিসেবে কোর্সটি আমার অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কীভাবে সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করতে হয়, কীভাবে একটি প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয়, ফান্ড কালেক্ট করতে হয়—এসব বিষয়ে এই কোর্সে জোর দেওয়া হয়েছে।’

মনোজ জানিয়েছেন, তাঁর সেয়ানা সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করে আগামী বছরের প্রথম ভাগে শুরু করতে চান শুটিং। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরশাদ ওয়ারসির পছন্দের ৩ সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
আরশাদ ওয়ারসির পছন্দের ৩ সিরিজ

বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।

‘মবল্যান্ড’ সিরিজের দৃশ্য
‘মবল্যান্ড’ সিরিজের দৃশ্য

মবল্যান্ড

রোনান বেনেট পরিচালিত ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘মবল্যান্ড’-এর কেন্দ্রে আছে দুটি পরিবার—দ্য হারিগানস ও দ্য স্টিভেনসন। সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। নিজেদের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলা করতে হ্যারি দা সুজা নামের একজনকে নিয়োগ দেয় হারিগানস পরিবার। স্টিভেনসন পরিবারের সব রকমের হামলা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সে। মবল্যান্ড সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, পিয়ার্স ব্রসনান, হেলেন মিরেন প্রমুখ। গত ৩০ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট প্লাসে। মবল্যান্ড নিয়ে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণ চিত্রনাট্য, অনবদ্য নির্মাণ। এই সিরিজে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো, অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আর টানটান গল্প।’

‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজের দৃশ্য
‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজের দৃশ্য

ব্ল্যাক র‍্যাবিট

জ্যাক ও ভিন্স—দুই ভাইয়ের গল্প। এক ভাই নিউইয়র্ক শহরে রেস্টুরেন্ট চালায়। ব্ল্যাক র‍্যাবিট নামের রেস্টুরেন্টটি যখন জমজমাট, তখন একদিন হঠাৎ ফিরে আসে ভিন্সের ভাই জ্যাক। সে ঋণে জর্জরিত। জ্যাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের বিপদও আসে। মিথ্যা, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুড ল এবং জেসন বেটম্যান। নেটফ্লিক্সে ‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজটি প্রচার শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। গল্প কোথাও গতি হারায়নি, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল।’

‘ওজার্ক’ সিরিজের দৃশ্য
‘ওজার্ক’ সিরিজের দৃশ্য

ওজার্ক

আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ওজার্ক’। নেটফ্লিক্সে এই পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে চারটি সিজন। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব। তবে সবশেষ ২০২২ সালে প্রচারিত চতুর্থ সিজনে ১৪টি পর্ব ছিল। বড় অঙ্কের একটি অর্থ পাচারের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা মার্টি বার্ড ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। স্ত্রীকে নিয়ে মিসৌরির ওকার্ড হ্রদ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মাফিয়া ও অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মার্টি বার্ড। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘নির্মাতারা খুবই কৌশলী। প্রথম পর্ব এমন নাটকীয়ভাবে তৈরি করেছে যে বাকি পর্বগুলো দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম পর্ব যেভাবে মনোযোগ কেড়ে নেয়, তাতে পুরোটা না দেখে ওঠা কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সিনেমায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
কলকাতায় একসঙ্গে ফারিণ ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় একসঙ্গে ফারিণ ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চঞ্চল ও ফারিণ।

ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার কোয়েল মল্লিকের ডাকে গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফারিণ। সেখানেই চঞ্চল জানান, তাঁরা দুজনেই সেদিন সিনেমা নিয়ে আলাপ করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তবে আগে থেকে তাঁরা জানতেন না অনিরুদ্ধ তাঁদের একসঙ্গে ডেকেছেন। তাই একে অপরকে দেখে দুজনেই চমকে গিয়েছিলেন।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানতাম না দুজনেই কলকাতায় আছি, পুরোটাই কাকতালীয়। সিনেমার শুটিং আর টোনিদা অর্থাৎ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি মিটিং করার জন্য আমি কলকাতায় আসি। আর ও (ফারিণ) এখানে টোনিদার সঙ্গে মিটিং করতে আসে। দুজনেই যাওয়ার পর দেখা হয় এবং তখন জানতে পারি দুজনেই এখানে আছি।’

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দুজনকে একই সিনেমায় দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘সেটা এখনো নিশ্চিত না। তবে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা আছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

চঞ্চলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফারিণকেও বলতে শোনা যায়, ‘কথা হচ্ছে। দেখা যাক। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে খুদে বার্তায় ফারিণ জানান, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না তিনি।

টালিউড সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা পুরস্কার। এরপর বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’ এবং অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল ফারিণের। ভিসা জটিলতার কারণে দুটি সিনেমা থেকেই সরে আসেন তিনি।

গত বছর সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে যাত্রা শুরু চঞ্চল চৌধুরীর। এতে তিনি অভিনয় করেন কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে। সম্প্রতি চঞ্চল শেষ করেছেন শেকড় সিনেমার শুটিং। তাঁর হাতে রয়েছে অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধারা’। এতে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত