Ajker Patrika

পাহাড় চূড়ায় শায়িত হলেন আলম খান

পাহাড় চূড়ায় শায়িত হলেন আলম খান

কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা আলম খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। চিরস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের মহাজিরাবাদ এলাকার পাহাড় চূড়ায় নির্মিত মসজিদুল আউলিয়া হজরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (র.)–এর প্রাঙ্গণে জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সে। এই কমপ্লেক্সে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন সুরস্রষ্টা ও সংগীত পরিচালক আলম খানের স্ত্রী হাবিবুননেসা গুলবানু। আলম খানের ছেলে আরমান খান বলেন, ‘আজ সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের মহাজেরাবাদের জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সের মসজিদুল আউলিয়া হযরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (রঃ) এ আব্বার শেষ জানাজা হয়। জানাজা শেষে জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো আব্বাকে।’

জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সে। ছবি: সংগৃহীতআলম খানের ইচ্ছের কথা জানিয়ে আরমান বলেন, ‘আম্মাকে ওখানে কবর দেওয়ার পর থেকেই আব্বা বলেছিলেন তিনি মারা যাওয়ার পর যেন সেখানেই কবর দেওয়া হয়। আমরাও আব্বার ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের পাশেই কবর দিয়েছি।’

শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকালে কিংবদন্তি সুরকার আলম খানের জানাজা হয় নগরের চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। জানাজা হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বড় ছেলে আরমান খান উপস্থিত সকল শিল্পী-সুরকার-গীতিকার-স্বজন ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বলেন, তার বাবার কোনও আচরণে কেউ কষ্ট পেলে যেন ক্ষমা করে দেন। এছাড়া তিনি কপিরাইট ইস্যুতেও কথা বলেন। এই সংগীতজ্ঞর ছেলে বলেন,‘আমরা চাই বাবার রেখে যাওয়া গানগুলো সবাই কণ্ঠে তুলুক। কারণ, এভাবেই আমার বাবা বেঁচে থাকতে পারেন হাজার বছর। তাই এই বিষয়ে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি থাকবে না। অনুরোধ শুধু এটুকু, গানের সুর ঠিক রেখে যে কেউ গাইতে পারেন। এমনকি রিমেকও করতে পারেন। ট্রিবিউট টু আলম খান- এমন অনুভূতি নিয়ে অ্যালবাম হোক, টিভি অনুষ্ঠান হোক, কনসার্ট হোক; ক্ষতি নেই তো। আর উনি তো সুর করেছেন এই দেশ ও মানুষের জন্য। উনার সৃষ্টি তো নির্দিষ্ট কারোর জন্য তৈরি হয়নি। আমরা ভাবি না বাবার গান মানে আমাদের সম্পত্তি। উনার সৃষ্টি সবার। তবে সেটি অবশ্যই করতে হবে সঠিক সুরে সঠিক সম্মান প্রকাশের মাধ্যমে। এটুকুই আমাদের অনুরোধ।’

পাহাড় চূড়ায় শায়িত হলেন আলম খান। ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা আলম খান। ২০১১ সালে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত