Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

আমাদের তো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিই কখনো ছিল না

হামিন আহমেদ

১৭ জুলাই প্রকাশিত হলো ওয়ারফেজের পলাশ নূরের ফিচারিংয়ে ‘খুঁজি তোমায়’ শিরোনামের গান। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাইলসের হামিন আহমেদ। মাইলস ব্যান্ডের দলপ্রধানের পাশাপাশি বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন হামিন। নতুন গান, মাইলসের ব্যস্ততা আর বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হামিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

এম এস রানা
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯: ১০

খুঁজি তোমায় গানে ওয়ারফেজের পলাশ নূর এবং মাইলস থেকে আপনি ও ড্রামার সৈয়দ জিয়াউর রহমান তূর্য অংশ নিয়েছেন। এটা কি ব্যান্ডের কোলাবোরেশন নাকি শিল্পীদের?

এটা আসলে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে একটা কোলাবোরেশন হয়েছে। পলাশ আমার খুব ঘনিষ্ঠ। তার কাজ আমার ভালো লাগে। রুটনোট প্রোডাকশনের ইমরান আসিফও আমার ঘনিষ্ঠ। পলাশের রিকোয়েস্টে গানটা করা। পলাশের লেখা ও সুর খুব ভালো। গানটা শোনার পর আমার পছন্দ হয়। আমি সম্মতি জানাই। এরপর আমরা একসঙ্গে বসি। সিদ্ধান্ত নিই, ভিডিওটি গাজী শুভ্রকে করতে হবে। সব মিলিয়ে গানটি শুরু হলো, আমি ভয়েস দিলাম, গিটার বাজালাম। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্র সফরে চলে গেলাম। এর মধ্যে পলাশ তার অংশগুলো কমপ্লিট করল, ভয়েস দিল, গিটার বাজাল। আমি ট্যুরে থাকলেও ফোনে কথা হতো, পরিকল্পনা হতো। এভাবে গানটি তৈরি হলো।

তূর্যর ড্রামিং করা কীভাবে?

তূর্যর ড্রামিং পার্টও শর্ট নোটিশে। তূর্যকে জানালাম যে আমাদের এমন একটা গান হচ্ছে, তুই ড্রামসটা বাজিয়ে দে। সেই শর্ট নোটিশে সে ড্রামিং পার্টটা করল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা গান হয়েছে।

রুটনোট প্রোডাকশনের তো এটি প্রথম প্রোডাকশন?

হ্যাঁ। রুটনোট চাইছে এক্সক্লুসিভ কাজ করতে। আমিও মনে করি, এই সময়ে আনপ্রেডিক্টেবল কিছু কাজ হওয়া উচিত। যেটা রুটনোট করতে চাইছে।

গানটির ভয়েস রেকর্ডিং কবে হয়েছে এবং ভিডিও কবে শুট করেছেন?

ভয়েস রেকর্ডিং হয়েছে মার্চ-এপ্রিলে। এপ্রিলের শেষ দিকে হয়েছে ভিডিও শুট। মজার ব্যাপার হলো, আমি আর তূর্য একসঙ্গে শুটিং করেছি, আর পলাশের অংশটা আলাদা শুটিং হয়েছে। কারণ, আমাদের যুক্তরাষ্ট্র ট্যুরের সময় চলে এসেছিল, কিন্তু পলাশ তখনও শুটিংয়ের জন্য সময় দিতে পারছিল না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পর পলাশ তার অংশের শুটিং করেছে। যদিও ভিডিও দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। মনে হবে একসঙ্গেই শুটিং হয়েছে। খুব ভালো ভিডিও হয়েছে।

ব্যান্ডশিল্পীদের নিয়ে এ ধরনের আরও কোলাবোরেশন করার পরিকল্পনা আছে কি?

অবশ্যই আছে। এখন নানা ধরনের গান হচ্ছে। কিন্তু মানুষ পিওর মিউজিক শুনতে চায়।

একসময় ব্যান্ডের প্রচুর গান হতো। গানে অনেক ইনভেস্ট হতো। কিন্তু সেটা হঠাৎ করে যেন থেমে গেল। কেন এমনটি হলো?

অনেকে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কথা বলে, কিন্তু আমাদের তো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিই কখনো ছিল না। পাটুয়াটুলীর কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের গানের জনপ্রিয়তার সুবাদে অ্যালবাম প্রকাশ করত। কিন্তু যখন গানের মার্কেট একটা প্রফেশনাল ইন্ডাস্ট্রির শেপ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল, যখন একটা প্রফেশনাল স্ট্রাকচার দরকার হয়ে পড়ল, তখন সেটা হলো না। একটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য যেসব কন্ডিশন প্রয়োজন হয়, নিয়ম মানতে হয়, তার তোয়াক্কা করা হলো না। কার কী অধিকার, তা ফলো করা হলো না। ফলে শিল্পীদের গান প্রকাশ হলো, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি বলতে কিছু দাঁড়াল না। এরপর ডিজিটাল মাধ্যম চলে এল। এখন তো ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো ছাড়া গান প্রকাশ করা হয় না। তাতে কী হলো, আমাদের এখানে মিউজিকের কোনো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হলো না।

মাইলসের বর্তমান অবস্থা কী? কী করছে মাইলস এখন?

ঘটনাচক্রে হোক বা ভাগ্যের জোরে বলেন, আমরা কিন্তু সংগীত পরিবার থেকে এসেছি। আমার আর শাফিনের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। আমাদের বাবা (কমল দাশগুপ্ত), মা (ফিরোজা বেগম) সংগীতের দুই কিংবদন্তি, মানাম আহমেদের বাবা (মনসুর আহমেদ) এ দেশের একজন বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ ছিলেন। মাইলসের একটা অসম্ভব শক্তির জায়গা হলো গান বানানো। আমরা বসলেই গান হয়ে যায়। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা কোনো গান রিলিজ করিনি। ভেবে দেখেন, এটা কী ধরনের ড্যামেজ একজন শিল্পীর জন্য। আমি, আমরা কোনো ইনসেনটিভ পাইনি। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের জন্য যদি কোনো ইনসেনটিভ না থাকে, তাহলে তারা গান করবে কোন ভরসায়। তবে, আমাদের বেশ কিছু গান তৈরি হয়েছে। ইচ্ছা রয়েছে সময় সুযোগমতো গানগুলো নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করার।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এলেন। কেমন হলো সফর?

বরাবরের মতো অসাধারণ ট্যুর হয়েছে। মাইলস বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড, যে ১৯৯৬ সাল থেকে ইউএস ট্যুর করছে। মাইলসের ৪৬ বছরের ক্যারিয়ারে ফোবানার একটি শো ছাড়া প্রতিটি ট্যুরে একক শো করা হয়েছে। আগামী বছর মাইলসের ইউএস ট্যুরের ৩০ বছর পূর্তি হবে। আমরা এবার যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহরে শো করেছি। একই রকম উন্মাদনা। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরে আগামী বছর এপ্রিলে তিন মাসের জন্য কানাডা ট্যুরে যাব। দেশেও কনসার্ট করছি।

বামবার সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

বাংলাদেশে এখন সংগীত নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে খুব আশঙ্কার বিষয় রয়েছে। মিউজিক নিয়ে যে টানাটানি হয়, এটা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শো হবে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা চাইছে না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাশেজ ব্যান্ডের একটা শো হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হতে দিল না, সেখানে কাওয়ালি বা ওই ধরনের শো হলো। এমন পরিস্থিতি তো স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে দেখিনি। সব ধরণের কার্যক্রম চলছে, শুধু মিউজিক নিয়ে খুবই কম শো হচ্ছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এসব চাই না। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সময় এলে আমাদের অবস্থান জানাব।

আগের মতো ওপেন এয়ার কনসার্ট হচ্ছে না। যা-ও হচ্ছে, সেখানে বিদেশি শিল্পীদের প্রাধান্য দেখা যায়, দেশি ব্যান্ড বা শিল্পীদের অবহেলিত মনে হয়। বামবার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কি?

একটা সময় পর্যন্ত ভারতের শিল্পী এসে এ দেশ সয়লাব হয়ে গেল; অথচ মাইলস, জেমস বা এলআরবির মতো ব্যান্ড যে ওই দেশের মেইনস্ট্রিমে ঢুকে গেল, একপর্যায়ে সেটা বন্ধ করে দিল, তা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলল না। এরপর দেখছি পাকিস্তানি শিল্পীরা আসতে শুরু করলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো শিল্পীর এ দেশে আসা নিয়ে বিরোধিতা করছি না। আরও বড় আর্টিস্ট আসুক, কোল্ড প্লে আসুক। এমন পরিস্থিতি হোক যে আমরা আর্মি স্টেডিয়ামে কোল্ড প্লের পরিবেশনা দেখতে পারি। কিন্তু আমরা যেটা করি, সবকিছু নিয়ে অতিরিক্ত করি। নিজের দেশের ব্যাপারটা সাইডলাইন করে সমপর্যায়ের বিদেশি শিল্পীদের হাইলাইট করি। আমার অভিযোগ হচ্ছে, তাঁদের যখন আনেন, বাজেটের কোনো সমস্যা হয় না; অথচ মাইলসের মতো ব্যান্ড যখন শো করতে যায়, স্টেডিয়াম ভরে যায় দর্শনার্থী দিয়ে, তখন কেন বাজেট নিয়ে সমস্যা হয়?

বামবা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে?

বামবা পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু আমরা যখন আর্মি স্টেডিয়ামের মতো একটা ভেন্যু তিনবার কনফার্ম করার পরও শো করতে পারি না, তখন কী পরিমাণ ম্যাসাকার হয়? বামবা যেটা করে, সেটাই করছে। ম্যাচিউরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। সময় সুযোগ বুঝে পদক্ষেপ নেবে বামবা। এ বিষয়ে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করি। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে আমরা সংগীতের উন্নয়নে, শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওজন কমিয়ে শুটিংয়ে বাঁধন, মুক্তির অপেক্ষায় আরও দুই সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত
আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার তানিম নূরের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় সুরমা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৮ কেজি ওজন কমালেন বাঁধন। আজ থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। এ ছাড়া ইতিমধ্যে তিনি শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমার শুটিং।

গত শুক্রবার বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, এতে অভিনয় করছেন বাঁধন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, নতুন এই সিনেমার জন্য প্রস্তুত হতে তাঁকে কমাতে হয়েছে ১৮ কেজি ওজন। বাঁধন জানালেন, ওজন কমানোর এই পথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি—এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জেনেটিক কারণে ওজন বেড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। এটি শুধু ওজন কমানো নয়—এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি।’

বাঁধন জানান, এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর মেয়ে। মেয়েই তাঁকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এর আগে বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন জানান, এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম প্রেরণা ছিল তাঁর মেয়ে। বাঁধন বলেন, ‘তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে সবার আগে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। ও চায় উৎসব-এর মতো সিনেমায় আমি কাজ করি। তাই এই চিত্রনাট্য আমার কাছে এগিয়ে ছিল।’

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে বনলতা এক্সপ্রেস। এতে বাঁধনের বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও দেখা যাবে মোশাররফ করিম, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, শরিফুল রাজ, সাবিলা নূর ও শ্যামল মাওলাকে। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত
আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানালেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষে মাস্টার সিনেমাটি এখন সবাইকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানার মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। এতে বাঁধনকে দেখা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মাস্টার।

আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত
আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

এ বছরের মাঝামঝি সময়ে বাঁধন শেষ করেছেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার কাজ। ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সে শুরু হওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় এতে বাঁধনের সহশিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জাইনিন করিম চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন ওয়েব ফিল্মে বিদ্যা সিনহা মিম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: সংগৃহীত
বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: সংগৃহীত

গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে। পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ। প্রাথমিকভাবে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘লাইফ লাইন’। নতুন বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে এটি।

১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিম। মিম জানান, গল্পটা তাঁর ভালো লেগেছে। আরও জানান, গল্প ভালো না লাগায় এত দিন কাজ করা হয়নি তাঁর। মিম বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, কাজ কম করছি কেন? কারণ গল্পটাই মিলছিল না ঠিকভাবে। গল্প বা কাজের প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু গল্প বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ভালো লাগছিল না। কাজী আসাদ যখন এই গল্পটা শোনালেন এবং আমি চরকিতে তাঁর আগের কাজ দেখলাম, আমার মনে হলো কাজটা করা দরকার।’

এই ওয়েব ফিল্মে একদম নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে মিমকে। কাজী আসাদ বলেন, ‘বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। সচরাচর তাঁকে গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটাই ওখানে যে তাঁকে কীভাবে ভেঙে নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আশা করছি দর্শকেরা আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবেন।’

এখনই গল্প নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে ইমোশনাল ড্রামা ঘরানায়। গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু ও কাজী আসাদ। নির্মাতার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীর। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং। এই সিনেমায় মিমের সহশিল্পীদের নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বছরের শেষ সিনেমা ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সিনেমার দৃশ্যে ইমতিয়াজ বর্ষণ
সিনেমার দৃশ্যে ইমতিয়াজ বর্ষণ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা। গত শুক্রবার মুক্তির ঘোষণা এল আরও এক সিনেমার। ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আহমেদ হাসান সানি পরিচালিত ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’। এই সিনেমা দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর।

এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি সিনেমার গল্পে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতার নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন নির্মাতা। গত মাস থেকে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে। গানের পর ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো সিনেমার মুক্তির তারিখ।

আহমেদ হাসান সানি একজন সংগীতশিল্পী। বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলাপের অভ্যাসটা জরুরি। মানুষ যত রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, তত দেশকে নিয়ে ভাবতে শিখবে। আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি হোটেলে, বাসে, রেস্টুরেন্টে বড় করে লেখা থাকে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক আলাপ করাকে ট্যাবু হিসেবে দেখেছি আমরা। এই ট্যাবুকে ভাঙার লক্ষ্যে সিনেমাটি করা।’

সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, তানভীর অপূর্ব, এ কে আজাদ সেতু, কেয়া আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছেন খালিদ মাহমুদ তূর্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুবিন গর্গের মৃত্যুর চার্জশিট দাখিল, চারজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক
জুবিন গর্গ। ছবি: সংগৃহীত
জুবিন গর্গ। ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান আসামের জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী জুবিন গর্গ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা জানালেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছিলেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জুবিনকে। রহস্য উন্মোচনে একাধিক তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গত শুক্রবার আসাম পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) আড়াই হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে, যেখানে চারজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দাখিল করা চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের আয়োজক শ্যামকানু মোহন্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, ব্যান্ডের ড্রামার শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং গায়িকা অমৃতপ্রভা মোহন্ত। এ ছাড়া জুবিন গর্গের চাচাতো ভাই পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপন গর্গের বিরুদ্ধেও অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের শুরুতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জুবিন গর্গের মৃত্যু তদন্তের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে এসআইটি (দ্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) গঠন করে আসাম সরকার। ভারতীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন মাসে প্রায় ৩০০ জনকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। একটি টিম সিঙ্গাপুরে গিয়েও তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ার পরই জুবিনের সমাধিস্থলে ফুল, মোমবাতি হাতে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি, ভেঙে পড়েন কান্নায়। এ সময় গরিমা বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারছি না, জুবিনের মতো মানুষকেও কেউ নিজের স্বার্থে খুন করতে পারে! গোটা জীবন যে মানুষটা অন্যের জন্য বিলিয়ে দিল। নিজের সময়, অর্থ, মন—সবটাই তো চিরকাল বিলিয়ে গেছে সে। গত তিন মাস এসআইটি প্রচুর পরিশ্রম করেছে। যার ফলাফল মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে মিলে গেছে। এখন বাকি সব নির্ভর করছে বিচারব্যবস্থার ওপর। দোষী সাব্যস্তদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত