১৭ জুলাই প্রকাশিত হলো ওয়ারফেজের পলাশ নূরের ফিচারিংয়ে ‘খুঁজি তোমায়’ শিরোনামের গান। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাইলসের হামিন আহমেদ। মাইলস ব্যান্ডের দলপ্রধানের পাশাপাশি বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন হামিন। নতুন গান, মাইলসের ব্যস্ততা আর বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হামিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা
খুঁজি তোমায় গানে ওয়ারফেজের পলাশ নূর এবং মাইলস থেকে আপনি ও ড্রামার সৈয়দ জিয়াউর রহমান তূর্য অংশ নিয়েছেন। এটা কি ব্যান্ডের কোলাবোরেশন নাকি শিল্পীদের?
এটা আসলে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে একটা কোলাবোরেশন হয়েছে। পলাশ আমার খুব ঘনিষ্ঠ। তার কাজ আমার ভালো লাগে। রুটনোট প্রোডাকশনের ইমরান আসিফও আমার ঘনিষ্ঠ। পলাশের রিকোয়েস্টে গানটা করা। পলাশের লেখা ও সুর খুব ভালো। গানটা শোনার পর আমার পছন্দ হয়। আমি সম্মতি জানাই। এরপর আমরা একসঙ্গে বসি। সিদ্ধান্ত নিই, ভিডিওটি গাজী শুভ্রকে করতে হবে। সব মিলিয়ে গানটি শুরু হলো, আমি ভয়েস দিলাম, গিটার বাজালাম। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্র সফরে চলে গেলাম। এর মধ্যে পলাশ তার অংশগুলো কমপ্লিট করল, ভয়েস দিল, গিটার বাজাল। আমি ট্যুরে থাকলেও ফোনে কথা হতো, পরিকল্পনা হতো। এভাবে গানটি তৈরি হলো।
তূর্যর ড্রামিং করা কীভাবে?
তূর্যর ড্রামিং পার্টও শর্ট নোটিশে। তূর্যকে জানালাম যে আমাদের এমন একটা গান হচ্ছে, তুই ড্রামসটা বাজিয়ে দে। সেই শর্ট নোটিশে সে ড্রামিং পার্টটা করল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা গান হয়েছে।
রুটনোট প্রোডাকশনের তো এটি প্রথম প্রোডাকশন?
হ্যাঁ। রুটনোট চাইছে এক্সক্লুসিভ কাজ করতে। আমিও মনে করি, এই সময়ে আনপ্রেডিক্টেবল কিছু কাজ হওয়া উচিত। যেটা রুটনোট করতে চাইছে।
গানটির ভয়েস রেকর্ডিং কবে হয়েছে এবং ভিডিও কবে শুট করেছেন?
ভয়েস রেকর্ডিং হয়েছে মার্চ-এপ্রিলে। এপ্রিলের শেষ দিকে হয়েছে ভিডিও শুট। মজার ব্যাপার হলো, আমি আর তূর্য একসঙ্গে শুটিং করেছি, আর পলাশের অংশটা আলাদা শুটিং হয়েছে। কারণ, আমাদের যুক্তরাষ্ট্র ট্যুরের সময় চলে এসেছিল, কিন্তু পলাশ তখনও শুটিংয়ের জন্য সময় দিতে পারছিল না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পর পলাশ তার অংশের শুটিং করেছে। যদিও ভিডিও দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। মনে হবে একসঙ্গেই শুটিং হয়েছে। খুব ভালো ভিডিও হয়েছে।
ব্যান্ডশিল্পীদের নিয়ে এ ধরনের আরও কোলাবোরেশন করার পরিকল্পনা আছে কি?
অবশ্যই আছে। এখন নানা ধরনের গান হচ্ছে। কিন্তু মানুষ পিওর মিউজিক শুনতে চায়।
একসময় ব্যান্ডের প্রচুর গান হতো। গানে অনেক ইনভেস্ট হতো। কিন্তু সেটা হঠাৎ করে যেন থেমে গেল। কেন এমনটি হলো?
অনেকে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কথা বলে, কিন্তু আমাদের তো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিই কখনো ছিল না। পাটুয়াটুলীর কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের গানের জনপ্রিয়তার সুবাদে অ্যালবাম প্রকাশ করত। কিন্তু যখন গানের মার্কেট একটা প্রফেশনাল ইন্ডাস্ট্রির শেপ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল, যখন একটা প্রফেশনাল স্ট্রাকচার দরকার হয়ে পড়ল, তখন সেটা হলো না। একটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য যেসব কন্ডিশন প্রয়োজন হয়, নিয়ম মানতে হয়, তার তোয়াক্কা করা হলো না। কার কী অধিকার, তা ফলো করা হলো না। ফলে শিল্পীদের গান প্রকাশ হলো, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি বলতে কিছু দাঁড়াল না। এরপর ডিজিটাল মাধ্যম চলে এল। এখন তো ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো ছাড়া গান প্রকাশ করা হয় না। তাতে কী হলো, আমাদের এখানে মিউজিকের কোনো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হলো না।
মাইলসের বর্তমান অবস্থা কী? কী করছে মাইলস এখন?
ঘটনাচক্রে হোক বা ভাগ্যের জোরে বলেন, আমরা কিন্তু সংগীত পরিবার থেকে এসেছি। আমার আর শাফিনের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। আমাদের বাবা (কমল দাশগুপ্ত), মা (ফিরোজা বেগম) সংগীতের দুই কিংবদন্তি, মানাম আহমেদের বাবা (মনসুর আহমেদ) এ দেশের একজন বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ ছিলেন। মাইলসের একটা অসম্ভব শক্তির জায়গা হলো গান বানানো। আমরা বসলেই গান হয়ে যায়। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা কোনো গান রিলিজ করিনি। ভেবে দেখেন, এটা কী ধরনের ড্যামেজ একজন শিল্পীর জন্য। আমি, আমরা কোনো ইনসেনটিভ পাইনি। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের জন্য যদি কোনো ইনসেনটিভ না থাকে, তাহলে তারা গান করবে কোন ভরসায়। তবে, আমাদের বেশ কিছু গান তৈরি হয়েছে। ইচ্ছা রয়েছে সময় সুযোগমতো গানগুলো নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করার।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এলেন। কেমন হলো সফর?
বরাবরের মতো অসাধারণ ট্যুর হয়েছে। মাইলস বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড, যে ১৯৯৬ সাল থেকে ইউএস ট্যুর করছে। মাইলসের ৪৬ বছরের ক্যারিয়ারে ফোবানার একটি শো ছাড়া প্রতিটি ট্যুরে একক শো করা হয়েছে। আগামী বছর মাইলসের ইউএস ট্যুরের ৩০ বছর পূর্তি হবে। আমরা এবার যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহরে শো করেছি। একই রকম উন্মাদনা। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরে আগামী বছর এপ্রিলে তিন মাসের জন্য কানাডা ট্যুরে যাব। দেশেও কনসার্ট করছি।
বামবার সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
বাংলাদেশে এখন সংগীত নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে খুব আশঙ্কার বিষয় রয়েছে। মিউজিক নিয়ে যে টানাটানি হয়, এটা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শো হবে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা চাইছে না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাশেজ ব্যান্ডের একটা শো হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হতে দিল না, সেখানে কাওয়ালি বা ওই ধরনের শো হলো। এমন পরিস্থিতি তো স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে দেখিনি। সব ধরণের কার্যক্রম চলছে, শুধু মিউজিক নিয়ে খুবই কম শো হচ্ছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এসব চাই না। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সময় এলে আমাদের অবস্থান জানাব।
আগের মতো ওপেন এয়ার কনসার্ট হচ্ছে না। যা-ও হচ্ছে, সেখানে বিদেশি শিল্পীদের প্রাধান্য দেখা যায়, দেশি ব্যান্ড বা শিল্পীদের অবহেলিত মনে হয়। বামবার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কি?
একটা সময় পর্যন্ত ভারতের শিল্পী এসে এ দেশ সয়লাব হয়ে গেল; অথচ মাইলস, জেমস বা এলআরবির মতো ব্যান্ড যে ওই দেশের মেইনস্ট্রিমে ঢুকে গেল, একপর্যায়ে সেটা বন্ধ করে দিল, তা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলল না। এরপর দেখছি পাকিস্তানি শিল্পীরা আসতে শুরু করলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো শিল্পীর এ দেশে আসা নিয়ে বিরোধিতা করছি না। আরও বড় আর্টিস্ট আসুক, কোল্ড প্লে আসুক। এমন পরিস্থিতি হোক যে আমরা আর্মি স্টেডিয়ামে কোল্ড প্লের পরিবেশনা দেখতে পারি। কিন্তু আমরা যেটা করি, সবকিছু নিয়ে অতিরিক্ত করি। নিজের দেশের ব্যাপারটা সাইডলাইন করে সমপর্যায়ের বিদেশি শিল্পীদের হাইলাইট করি। আমার অভিযোগ হচ্ছে, তাঁদের যখন আনেন, বাজেটের কোনো সমস্যা হয় না; অথচ মাইলসের মতো ব্যান্ড যখন শো করতে যায়, স্টেডিয়াম ভরে যায় দর্শনার্থী দিয়ে, তখন কেন বাজেট নিয়ে সমস্যা হয়?
বামবা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে?
বামবা পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু আমরা যখন আর্মি স্টেডিয়ামের মতো একটা ভেন্যু তিনবার কনফার্ম করার পরও শো করতে পারি না, তখন কী পরিমাণ ম্যাসাকার হয়? বামবা যেটা করে, সেটাই করছে। ম্যাচিউরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। সময় সুযোগ বুঝে পদক্ষেপ নেবে বামবা। এ বিষয়ে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করি। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে আমরা সংগীতের উন্নয়নে, শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
খুঁজি তোমায় গানে ওয়ারফেজের পলাশ নূর এবং মাইলস থেকে আপনি ও ড্রামার সৈয়দ জিয়াউর রহমান তূর্য অংশ নিয়েছেন। এটা কি ব্যান্ডের কোলাবোরেশন নাকি শিল্পীদের?
এটা আসলে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে একটা কোলাবোরেশন হয়েছে। পলাশ আমার খুব ঘনিষ্ঠ। তার কাজ আমার ভালো লাগে। রুটনোট প্রোডাকশনের ইমরান আসিফও আমার ঘনিষ্ঠ। পলাশের রিকোয়েস্টে গানটা করা। পলাশের লেখা ও সুর খুব ভালো। গানটা শোনার পর আমার পছন্দ হয়। আমি সম্মতি জানাই। এরপর আমরা একসঙ্গে বসি। সিদ্ধান্ত নিই, ভিডিওটি গাজী শুভ্রকে করতে হবে। সব মিলিয়ে গানটি শুরু হলো, আমি ভয়েস দিলাম, গিটার বাজালাম। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্র সফরে চলে গেলাম। এর মধ্যে পলাশ তার অংশগুলো কমপ্লিট করল, ভয়েস দিল, গিটার বাজাল। আমি ট্যুরে থাকলেও ফোনে কথা হতো, পরিকল্পনা হতো। এভাবে গানটি তৈরি হলো।
তূর্যর ড্রামিং করা কীভাবে?
তূর্যর ড্রামিং পার্টও শর্ট নোটিশে। তূর্যকে জানালাম যে আমাদের এমন একটা গান হচ্ছে, তুই ড্রামসটা বাজিয়ে দে। সেই শর্ট নোটিশে সে ড্রামিং পার্টটা করল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা গান হয়েছে।
রুটনোট প্রোডাকশনের তো এটি প্রথম প্রোডাকশন?
হ্যাঁ। রুটনোট চাইছে এক্সক্লুসিভ কাজ করতে। আমিও মনে করি, এই সময়ে আনপ্রেডিক্টেবল কিছু কাজ হওয়া উচিত। যেটা রুটনোট করতে চাইছে।
গানটির ভয়েস রেকর্ডিং কবে হয়েছে এবং ভিডিও কবে শুট করেছেন?
ভয়েস রেকর্ডিং হয়েছে মার্চ-এপ্রিলে। এপ্রিলের শেষ দিকে হয়েছে ভিডিও শুট। মজার ব্যাপার হলো, আমি আর তূর্য একসঙ্গে শুটিং করেছি, আর পলাশের অংশটা আলাদা শুটিং হয়েছে। কারণ, আমাদের যুক্তরাষ্ট্র ট্যুরের সময় চলে এসেছিল, কিন্তু পলাশ তখনও শুটিংয়ের জন্য সময় দিতে পারছিল না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার পর পলাশ তার অংশের শুটিং করেছে। যদিও ভিডিও দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। মনে হবে একসঙ্গেই শুটিং হয়েছে। খুব ভালো ভিডিও হয়েছে।
ব্যান্ডশিল্পীদের নিয়ে এ ধরনের আরও কোলাবোরেশন করার পরিকল্পনা আছে কি?
অবশ্যই আছে। এখন নানা ধরনের গান হচ্ছে। কিন্তু মানুষ পিওর মিউজিক শুনতে চায়।
একসময় ব্যান্ডের প্রচুর গান হতো। গানে অনেক ইনভেস্ট হতো। কিন্তু সেটা হঠাৎ করে যেন থেমে গেল। কেন এমনটি হলো?
অনেকে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কথা বলে, কিন্তু আমাদের তো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিই কখনো ছিল না। পাটুয়াটুলীর কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের গানের জনপ্রিয়তার সুবাদে অ্যালবাম প্রকাশ করত। কিন্তু যখন গানের মার্কেট একটা প্রফেশনাল ইন্ডাস্ট্রির শেপ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল, যখন একটা প্রফেশনাল স্ট্রাকচার দরকার হয়ে পড়ল, তখন সেটা হলো না। একটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য যেসব কন্ডিশন প্রয়োজন হয়, নিয়ম মানতে হয়, তার তোয়াক্কা করা হলো না। কার কী অধিকার, তা ফলো করা হলো না। ফলে শিল্পীদের গান প্রকাশ হলো, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি বলতে কিছু দাঁড়াল না। এরপর ডিজিটাল মাধ্যম চলে এল। এখন তো ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো ছাড়া গান প্রকাশ করা হয় না। তাতে কী হলো, আমাদের এখানে মিউজিকের কোনো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হলো না।
মাইলসের বর্তমান অবস্থা কী? কী করছে মাইলস এখন?
ঘটনাচক্রে হোক বা ভাগ্যের জোরে বলেন, আমরা কিন্তু সংগীত পরিবার থেকে এসেছি। আমার আর শাফিনের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। আমাদের বাবা (কমল দাশগুপ্ত), মা (ফিরোজা বেগম) সংগীতের দুই কিংবদন্তি, মানাম আহমেদের বাবা (মনসুর আহমেদ) এ দেশের একজন বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ ছিলেন। মাইলসের একটা অসম্ভব শক্তির জায়গা হলো গান বানানো। আমরা বসলেই গান হয়ে যায়। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা কোনো গান রিলিজ করিনি। ভেবে দেখেন, এটা কী ধরনের ড্যামেজ একজন শিল্পীর জন্য। আমি, আমরা কোনো ইনসেনটিভ পাইনি। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের জন্য যদি কোনো ইনসেনটিভ না থাকে, তাহলে তারা গান করবে কোন ভরসায়। তবে, আমাদের বেশ কিছু গান তৈরি হয়েছে। ইচ্ছা রয়েছে সময় সুযোগমতো গানগুলো নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করার।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এলেন। কেমন হলো সফর?
বরাবরের মতো অসাধারণ ট্যুর হয়েছে। মাইলস বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড, যে ১৯৯৬ সাল থেকে ইউএস ট্যুর করছে। মাইলসের ৪৬ বছরের ক্যারিয়ারে ফোবানার একটি শো ছাড়া প্রতিটি ট্যুরে একক শো করা হয়েছে। আগামী বছর মাইলসের ইউএস ট্যুরের ৩০ বছর পূর্তি হবে। আমরা এবার যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহরে শো করেছি। একই রকম উন্মাদনা। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরে আগামী বছর এপ্রিলে তিন মাসের জন্য কানাডা ট্যুরে যাব। দেশেও কনসার্ট করছি।
বামবার সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
বাংলাদেশে এখন সংগীত নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে খুব আশঙ্কার বিষয় রয়েছে। মিউজিক নিয়ে যে টানাটানি হয়, এটা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শো হবে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা চাইছে না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাশেজ ব্যান্ডের একটা শো হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হতে দিল না, সেখানে কাওয়ালি বা ওই ধরনের শো হলো। এমন পরিস্থিতি তো স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে দেখিনি। সব ধরণের কার্যক্রম চলছে, শুধু মিউজিক নিয়ে খুবই কম শো হচ্ছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এসব চাই না। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সময় এলে আমাদের অবস্থান জানাব।
আগের মতো ওপেন এয়ার কনসার্ট হচ্ছে না। যা-ও হচ্ছে, সেখানে বিদেশি শিল্পীদের প্রাধান্য দেখা যায়, দেশি ব্যান্ড বা শিল্পীদের অবহেলিত মনে হয়। বামবার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কি?
একটা সময় পর্যন্ত ভারতের শিল্পী এসে এ দেশ সয়লাব হয়ে গেল; অথচ মাইলস, জেমস বা এলআরবির মতো ব্যান্ড যে ওই দেশের মেইনস্ট্রিমে ঢুকে গেল, একপর্যায়ে সেটা বন্ধ করে দিল, তা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলল না। এরপর দেখছি পাকিস্তানি শিল্পীরা আসতে শুরু করলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো শিল্পীর এ দেশে আসা নিয়ে বিরোধিতা করছি না। আরও বড় আর্টিস্ট আসুক, কোল্ড প্লে আসুক। এমন পরিস্থিতি হোক যে আমরা আর্মি স্টেডিয়ামে কোল্ড প্লের পরিবেশনা দেখতে পারি। কিন্তু আমরা যেটা করি, সবকিছু নিয়ে অতিরিক্ত করি। নিজের দেশের ব্যাপারটা সাইডলাইন করে সমপর্যায়ের বিদেশি শিল্পীদের হাইলাইট করি। আমার অভিযোগ হচ্ছে, তাঁদের যখন আনেন, বাজেটের কোনো সমস্যা হয় না; অথচ মাইলসের মতো ব্যান্ড যখন শো করতে যায়, স্টেডিয়াম ভরে যায় দর্শনার্থী দিয়ে, তখন কেন বাজেট নিয়ে সমস্যা হয়?
বামবা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে?
বামবা পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু আমরা যখন আর্মি স্টেডিয়ামের মতো একটা ভেন্যু তিনবার কনফার্ম করার পরও শো করতে পারি না, তখন কী পরিমাণ ম্যাসাকার হয়? বামবা যেটা করে, সেটাই করছে। ম্যাচিউরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। সময় সুযোগ বুঝে পদক্ষেপ নেবে বামবা। এ বিষয়ে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করি। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে আমরা সংগীতের উন্নয়নে, শিল্পীদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
দুই বাংলায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসানের। গত কোরবানির ঈদে দেশের হলে মুক্তি পায় তাঁর জোড়া সিনেমা ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘ডিয়ার মা’।
৮ ঘণ্টা আগেকয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পর বাংলাদেশের সিনেমা ‘মাস্তুল’ এবার আমন্ত্রণ পেল ভারতের চতুর্থ ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কলকাতায়। ভাসমান জীবনের গল্প নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।
১ দিন আগেহ্যারি পটার সিরিজের কাজ চলবে প্রায় এক দশক ধরে। তাহলে যেসব শিশু এতে অভিনয় করছে, তাদের পড়াশোনার কী হবে? এ বিষয়টি চিন্তা করে শুটিং স্পটেই একটি অস্থায়ী স্কুল তৈরি করা হয়েছে। শুটিংয়ের পাশাপাশি সেখানেই চলবে তাদের পড়াশোনা।
১ দিন আগেজীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোমাঞ্চকর সিনেমাটিক দৃশ্য উপহার দেন স্টান্টম্যানরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা থাকে না। থাকে না স্বাস্থ্যবীমা। তাঁদের জন্য বড় উদ্যোগ নিলেন অক্ষয় কুমার।
১ দিন আগে