Ajker Patrika

আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত ২২০টি গান নিয়ে কাজ চলছে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আইয়ুব বাচ্চু সেলিব্রেটিং লাইফ, লিগ্যাসি অ্যান্ড চলো বদলে যাই’ অনুষ্ঠানের অতিথিরা
‘আইয়ুব বাচ্চু সেলিব্রেটিং লাইফ, লিগ্যাসি অ্যান্ড চলো বদলে যাই’ অনুষ্ঠানের অতিথিরা

গত শনিবার ছিল প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর ৬৩তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন। ‘আইয়ুব বাচ্চু সেলিব্রেটিং লাইফ, লিগ্যাসি অ্যান্ড চলো বদলে যাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। সেখানেই জানানো হয়, বাচ্চুর গাওয়া অপ্রকাশিত ২২০টি গান নিয়ে কাজ চলছে। ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ করবে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন।

প্রিয় শিল্পীকে স্মরণ করতে সেদিন সন্ধ্যার আগেই আইয়ুব বাচ্চুর সহকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে। অনুষ্ঠান শুরু হয় আইয়ুব বাচ্চুর জীবন ও সংগীতভ্রমণ নিয়ে নির্মিত একটি বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে। এরপর আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান, পিলু খান, হামিন আহমেদ, শেখ মনিরুল আলম টিপু, ফোয়াদ নাসের বাবু, লাবু রহমান, রফিকুল আলম, লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ অনেকে।

সোলস ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণা পর্বে সমাপনী বক্তব্য দেন আইয়ুব স্ত্রী ও এবি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফেরদৌস আক্তার চন্দনা। আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান প্রকাশের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেঁচে থাকতে বাচ্চু অনেক গান করে গেছে। এখনো তার ভয়েস দেওয়া ২২০টির মতো গান আছে, যেগুলো প্রকাশ হয়নি। সেই গানগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ পাবে। এ ছাড়া তার সুর করা গান অন্য শিল্পীদের দিয়ে গাওয়ানোর চেষ্টাও করব।’

ফেরদৌস আক্তার চন্দনা বলেন, ‘আমি সংগীতের মানুষ নই। আইয়ুব বাচ্চু আজ বেঁচে নেই। তাই তার কাজগুলো করার জন্য এই জগতে আসা। গত মাসে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সেটা তার জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানালাম।’ এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান প্রকাশের পাশাপাশি ভবিষ্যতে একটি জাদুঘর গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি।

আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে চন্দনা বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনকে আমরা ইনস্টিটিউশন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণে একটি জাদুঘর নির্মাণ করতে চাই। সেখানে ওর গিটারগুলো থাকবে। সবাই তাকে নিয়ে জানতে পারবে। তাকে নিয়ে কনসার্ট করার ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া অনেক চ্যারিটেবল কাজেও পাওয়া যাবে এই ফাউন্ডেশনকে। আশা করছি, এই উদ্যোগে সবাই আমাদের পাশে থাকবেন।’

অনেকেই ভেবেছিলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজওয়ার হয়তো ভবিষ্যতে এলআরবি ব্যান্ডের হাল ধরবেন। তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে চন্দনা বলেন, ‘বাচ্চু তার সন্তানদের বলে গেছে, তোমরা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কখনো এসো না। এটা তোমাদের জায়গা না। আমি যে লড়াই করেছি, সেটা তোমরা পারবা না। তোমরা বিদেশে যাও, ওটাই তোমাদের জায়গা। এখানে মাঝে মাঝে আসবা। বাবার জন্য কখনো কখনো গাইবে। সন্তানেরাও বাবার কথামতো দেশের বাইরে ক্যারিয়ার গড়েছে।’

অনুষ্ঠানে কেক কেটে আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন উদ্‌যাপনের সময় চালু করা হয় আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। শেষ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় কনসার্ট। সেখানে আইয়ুব বাচ্চুর গান গেয়ে শোনায় শিরোনামহীন, এলজিডব্লিউএ, সাবকনসাস এবং ডি রকস্টার শুভ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত