Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

কোক স্টুডিও বাংলায় গান গেয়েছি, শুটিংও হয়েছে

রুনা লায়লা। ছবি: মোহসীন আহমেদ কাওছার

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। আজও গানের সঙ্গে কাটে তাঁর দিনরাত। সময় সুযোগ হলে নিজে যেমন গাইছেন, তেমনি সুর করছেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য। তাঁরাও রুনা লায়লার সঙ্গে গানের সাধনায় মেতে সমৃদ্ধ হচ্ছেন। আজ রুনা লায়লার জন্মদিন। ১৯৫২ সালে সিলেটে জন্ম তাঁর। জন্মদিনের আয়োজন এবং সংগীতের নানা বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

এম এস রানা
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ২৭

জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন?

অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই তো আছি ভালোই। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটছে।

জন্মদিনের কোনো আয়োজন করছেন?

না, সে রকম কোনো আয়োজন করছি না। পরিবারের মানুষদের নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটাব।

প্রতিবছর চ্যানেল আইয়ে আপনাকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন থাকে। এবারও থাকছে নিশ্চয়ই?

হ্যাঁ, চ্যানেল আইয়ে দুপুর ১২টায় একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেব (অনন্যা রুমার প্রযোজনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সানজিদা রহমানের উপস্থাপনায় ‘তারকা কথন’)। অনুষ্ঠানে অনেকেই (মানাম আহমেদ, আগুন, আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, শওকত আলী ইমন প্রমুখ) আসবেন, শুভেচ্ছা জানাবেন।

আপনার স্বামী অভিনেতা আলমগীর প্রতিবছর এদিনে আপনাকে সারপ্রাইজ গিফট দেন। এ বছর কী সারপ্রাইজ দিচ্ছেন তিনি? কোনো আভাস পাচ্ছেন?

হ্যাঁ, উনি তো প্রতিবছরই সারপ্রাইজ দেন। এ বছরও নিশ্চয়ই দেবেন। তবে কী দেবেন, তা এখনো (গতকাল) বুঝতে পারছি না। দেওয়ার পরে বুঝতে পারব।

এম এ আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবে প্রথম কাজ করেছেন, জাতীয় পুরস্কারও জিতেছেন। এরপর অনেকেই গেয়েছেন আপনার সুরে। নতুন কোনো গানে সুর করছেন?

করছি। বেশ কিছু গানের সুর করেও রেখেছি। প্রপার প্ল্যাটফর্ম লাগবে গানগুলোর জন্য। পুরোপুরি তৈরি হলে, ভালো প্ল্যাটফর্ম পেলে ধারাবাহিকভাবে রিলিজ দেব।

আপনার সুরে দেশের শিল্পীদের পাশাপাশি উপমহাদেশের খ্যাতিমান শিল্পীরাও কণ্ঠ দিয়েছেন। নতুন গানগুলোতে কারা কণ্ঠ দেবেন?

এখনো ঠিক করিনি। গান তৈরির পর শিল্পী নির্বাচন করব। তবে দেশের শিল্পীরা গাইবেন, এটা নিশ্চিত।

কোক স্টুডিও বাংলায় গাইবেন বলেছিলেন। তার কী খবর?

কোক স্টুডিও বাংলায় গান গেয়েছি, শুটিংও হয়েছে। এখন তো গান রিলিজ স্থগিত আছে। আবার শুরু হলে, সময় সুযোগ বুঝে রিলিজ দেওয়া হবে গানটি।

কোন গানটি গেয়েছেন?

এখন বলা যাবে না। এটা সারপ্রাইজ। রিলিজের পরই জানা যাবে।

একসময় সিনেমার গানগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরত। এখনো যে গান হিট হচ্ছে না তা নয়, সিনেমা হচ্ছে, কিন্তু সেই তুলনায় গান জনপ্রিয় হচ্ছে না। এর কারণ কী বলে মনে করেন?

এখন আগের মতো সিনেমা দেখা হয় না আমার, তেমন করে গানও শোনা হয় না। তবে আগের মতো তো নেই সব, বদলে গেছে অনেক কিছু। নতুন ট্রেন্ড চলছে। কিছু গান শ্রোতারা ভালোভাবে নিচ্ছে, জনপ্রিয় হয়েছে। আমিও শুনেছি কিছু গান।

প্রতিদিন গানের রেওয়াজ করা, সাধনা করা—ব্যাপারগুলো কি এখনকার শিল্পীদের মধ্যে দেখতে পান?

আসলে এখন সবকিছু ঝটপট সেরে ফেলা হয়। পুরো গান এখন গাইতে হয় না, একটা-দুটো করে লাইন গেয়ে গেয়ে পুরো গান করে ফেলা যায়। আগে অনেক প্র্যাকটিসের পর মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে পুরো গান গেয়ে রেকর্ডিং হতো। তখন অনেক কষ্ট করতে হতো। এখন সব সহজ হয়েছে। তাই সাধনা কমেছে।

এভাবে একটা গান হয়, কিন্তু স্টেজে বা সরাসরি গাইতে গেলে অসুবিধা হওয়ার কথা। আপনি তো নতুনদের সঙ্গে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে কি সেই দরদ বা সাধনা দেখতে পান?

এটা সত্যি, সাধনা না থাকলে প্রপার গান হয় না। একেবারেই যে দেখি না তা নয়, অনেকেই নিয়মিত চর্চা করে, ভালো গাইছেও। আমি তো শুনি, আমাকে পাঠায় মাঝেমধ্যে, আমি শুনে মন্তব্যও করি। তারা চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের জন্য ভালো প্ল্যাটফর্ম লাগবে; তখন তারা উৎসাহী হবে, ভালো শিল্পী বেরিয়ে আসবে। এখন সেমিক্ল্যাসিক্যাল গান খুব কম হয়। আমি কয়েকজনকে গাইয়েছিলাম, চেষ্টা করেছিলাম ওই আঙ্গিকের কিছু গান ওরা গাক। কারণ, ওরা তো সে রকম গান পায় না। ওরা খুব এনজয় করেছে, খুব খেটেছে, ভালো গেয়েছে।

আগে যাঁরা গান লিখতেন—আলাউদ্দীন আলী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার বা আরও অনেকে; তাঁরা যেমনটা লিখতেন, তেমন লেখনী বা শব্দচয়ন কি এখনকার গানে দেখতে পান? নাকি এখানেও চর্চা কমেছে?

এ ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, আমরা বলিউডকে ফলো করছি। আবার মানুষের টেস্টও বদলে গেছে। সস্তা কথার ধুমধাড়াক্কা গান বেশি পছন্দ করছে। আগে যে ধরনের সিনেমা হতো গল্পনির্ভর, ফ্যামিলি ড্রামা; সেসব তো এখন দেখি না। আগের সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালকদের অনেকেই নেই। এ প্রজন্মের যারা কাজ করছে, তারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করছে।

তাহলে কি প্রযুক্তিনির্ভরতা এই সময়ের শিল্পীদের শিল্পচর্চা বা সাধনার জায়গা থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে?

হ্যাঁ, সেটা তো হচ্ছেই। তবে যেভাবেই গান হোক, চর্চা কিন্তু লাগবেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে চুমকির সমালোচনা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফারজানা চুমকি। ছবি: সংগৃহীত
ফারজানা চুমকি। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।

কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।

যেভাবে ঘটনা শুরু

১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’

তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’

রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’

এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।

এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’

চুমকির বক্তব্য

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সৌদির রেড সি ফেস্টিভ্যালে সেরা রোহিঙ্গা ভাষার ‘লস্ট ল্যান্ড’

বিনোদন ডেস্ক
‘লস্ট ল্যান্ড’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘লস্ট ল্যান্ড’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।

‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।

লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।

পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।

এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

নির্বাচিত সেরাদের তালিকা

সিনেমা

লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)

জুরি পুরস্কার

হিজরা (শাহাদ আমিন)

পরিচালক

আমির ফখের এলদিন (ইউনান)

চিত্রনাট্য

সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)

অভিনেতা

জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)

অভিনেত্রী

সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)

সেরা তথ্যচিত্র

ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)

সৌদি চলচ্চিত্র

হিজরা (শাহাদ আমিন)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যৌথ চেষ্টায় মেলেনি অনুমতি

বাতিল হলো আতিফ আসলামের কনসার্ট, হতাশ শিল্পীরা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি না পাওয়ায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে স্থগিত হয়েছে বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা চারটি কনসার্ট। তাই শঙ্কা ছিল ১৩ ডিসেম্বর ঘোষণা দেওয়া পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে। আয়োজক পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছিল, নির্ধারিত সময়েই হবে এই কনসার্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই হলো সত্যি। নিরাপত্তার কারণে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে আতিফের কনসার্ট।

এ মাসে দুটি কনসার্টে পারফর্ম করতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল আতিফের। তবে স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ইনক ও স্পিরিটস অব জুলাই। সেভাবেই চলছিল প্রস্তুতি। দর্শকদের যাতায়াত সহজ করতে বিআরটিসির ফ্রি শাটল সার্ভিসেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন থেকে মেলেনি অনুমতি। বৃহস্পতিবার রাতে আতিফ আসলামের ফেসবুক পেজ থেকে কনসার্ট বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেইন স্টেজ ইনক ফেসবুকে জানায়, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নিরাপত্তার বিধিনিষেধের কারণে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। দর্শকদের টিকিটের মূল্য শিগগির ফেরত দেওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।

আজ পূর্বাচলের নিউ প্রজেক্ট টাউনের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আতিফ আসলামের এই কনসার্ট। আতিফের সঙ্গে পারফর্ম করার কথা বাংলাদেশের নেমেসিস ব্যান্ড এবং ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের। হঠাৎ করে কনসার্ট বাতিলের ঘোষণায় অন্য সবার মতো হতাশ হয়েছেন শিল্পীরাও। দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুক পেজে আতিফ আসলাম লিখেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশি ভক্তরা, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় নির্ধারিত কনসার্টে আমরা পারফর্ম করছি না। কারণ, কনসার্টের আয়োজক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় স্থানীয় অনুমতি, নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও লজিস্টিকস (সরঞ্জাম/ব্যবস্থাপনা) বিষয়গুলো ঠিক করতে পারেননি।’

ফুয়াদ আল মুক্তাদির বলেন, ‘আমরা ভীষণ এক্সাইটেড ছিলাম পারফর্ম করার জন্য। কয়েক দিন ধরে আমরা ইভেন্ট কোম্পানির কাছ থেকে আপডেট নিচ্ছিলাম, আর যা যা আপডেট পেয়েছিলাম, তাতে মনে হচ্ছিল সব ঠিকই আছে। সাউন্ড কোম্পানির সঙ্গেও ডাবল-চেক করেছিলাম। সবাইকে বুকিং দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানলাম, সিকিউরিটির কারণে শো ক্যানসেল হয়েছে। কনসার্ট বারবার ক্যানসেল হওয়ায় মিউজিশিয়ান, সাউন্ড কোম্পানি ভেনডোর্স, স্পনসর সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এমনকি দর্শকেরাও। আমরা সবার মতো অপেক্ষা করছি, পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, আমরাও খুব আপসেট।’

কনসার্টে স্থগিত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে নেমেসিস। ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কনসার্টের অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট আপডেট জানতে আয়োজকদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতিবার, আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, সব ব্যবস্থা যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আয়োজকেরা অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রগুলো নিশ্চিত করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। বাংলাদেশে লাইভ ইভেন্টগুলোকে ঘিরে চলমান অনিশ্চয়তা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার জন্য, বিশেষ করে আমাদের মতো শিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই ঘটনা সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের নাটকে মৌ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিজয় দিবসের নাটকে মৌ
‘ডাক্তার বাড়ি’ নাটকে মৌ। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে নাটকটি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করছেন অরুণ চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ডাক্তার বাড়ি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা একটি বাড়ি থেকে কীভাবে সহায়তা পেয়েছিলেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক ডাক্তারের মেয়ে মল্লিকা তার বাবাকে না জানিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দেয়। একসময় দুষ্কৃতকারীরা ডাক্তারকে হুমকি দেয় বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বের করে দিতে হবে। ভয় পেয়ে যায় সে। কিন্তু মল্লিকা তার বাবাকে বোঝায় একটা দিন অপেক্ষা করার জন্য। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জে হয়েছে নাটকটির শুটিং।

ডাক্তার বাড়ি নাটকে মল্লিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ। তাঁর বাবার চরিত্রে আছেন নরেশ ভুঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে আহসান হাবিব নাসিমকে। নতুন এই নাটক নিয়ে মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কাজ অনেক কম করা হয়েছে আমার। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ধারণ করতে।’

নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি বাড়ির গল্প। গল্প অনুযায়ী পর্দায় সেই সময়ের আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং করেছি নবাবগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়িতে। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।’

এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌ অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘আর্তনাদ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আকা রেজা গালিব। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘গহীন অতল’। এই ওয়েব ফিল্মে মৌ অভিনয় করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। ফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাক্রমে এক রাতে মৌ অভিনীত চরিত্রটি খুন করে ফেলে তার মেয়ের গোপন প্রেমিককে। এই ঘটনা গোপন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত