আহসান রফিক

১৯৭১ সালে মোঃ আব্দুল জব্বার যখন হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজপথে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে ব্যস্ত, তখন তাঁর দরাজ কণ্ঠের গান বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে।
সময়টা ছিল তাঁর সঙ্গীত জীবনের মধ্যগগণ। পূর্ব বাংলার রুপালি পর্দার সে সময়টায় আব্দুল জব্বার ছিলেন এক প্রয়োজনীয় কন্ঠ। বিশেষ করে বিরহের গানের উপস্থাপনায় তিনি ছিলেন এক বিস্ময়কর প্রতিভা। রেডিও, টিভিতে তাঁর উপস্থিতি ছিল অনিবার্য ও প্রাঞ্জল।
আব্দুল জব্বারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৭ নভেম্বর, কুষ্টিয়ায়। ৮ ভাই- বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। আকাশবাণী কলকাতায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, মান্না দে, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের গান শুনে কৈশোরেই মনের মধ্যে গায়ক হওয়ার স্বপ্ন উঁকি দিয়েছিল। কুষ্টিয়ায় আব্দুল জব্বারের গানের হাতেখড়ি ওসমান মাস্টারের কাছে। ক্ল্যাসিক্যাল শিখেছেন ওস্তাদ লুৎফুল হকের কাছে।
এরপর হুট করেই পালালেন কলকাতার রানাঘাটে। সেখানে প্রশিক্ষণ নেন ওস্তাদ শীবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। টানা সাত বছর গান শিখে ফিরে আসেন কুষ্টিয়ায়। একদিন এক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় তিনি নজর কাড়েন সে সময়ের প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমানের।
আজিজুর রহমান তাঁকে ঢাকায় এনে নিজ বাড়িতে রাখেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে থেকে আব্দুল জব্বার রেডিওতে অডিশন দিয়ে পাশ করেন ১৯৫৯ সালে। রেডিওতে তাঁর গাওয়া প্রথম গানটি ছিল আজিজুর রহমানেরই লেখা ‘হারিয়ে এলাম কোথায় বলো আমার সেই সাথীটিরে’। আজিজুর রহমানের লেখা আরও দুটি গান— ‘নিশিথের চাঁদ ডুবে ব্যথার বকুল বনে’ এবং ‘তারা ভরা রাতে তোমার কথা যে মনে পড়ে বেদনায় গো’ তাঁকে শ্রোতাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সংগীত পরিচালক রবীন ঘোষ তাঁকে প্রথম প্লেব্যাক করান এহতেশামের ‘নতুন সুর’ ছবিতে।
চলচ্চিত্রে আব্দুল জব্বারের প্রথম গানটি ছিল ফেরদৌসী রহমানের সাথে দ্বৈত গান ‘তুমি আছ কাছে তাই’। একই বছর তিনি বিয়ে করেন ছোটবেলার সাথী হালিমা খাতুনকে। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার সূচনা লগ্ন থেকেই আব্দুল জব্বার টিভিতে গান গেয়েছেন। ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম উর্দু রঙিন সিনেমাস্কোপ জহির রায়হানের ‘সঙ্গম’-এ একটি কোরাসে কন্ঠ দেন। এরপর ‘আঁখেরি স্টেশন’সহ আরও কিছু উর্দু ছবিতে প্লেব্যাক করেন আব্দুল জব্বার।
তাঁর প্লেব্যাক অধ্যায়টি ছিল বর্ণাঢ্য। বাংলা ছবির গানের স্বর্ণযুগে তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রধান কন্ঠ। অস্বীকার করার উপায় নেই, মাহমুদুন্নবী, মোঃ আলী সিদ্দিকী, বশীর আহমেদ, খন্দকার ফারুক আহমেদ, সৈয়দ আব্দুল হাদী ও খুরশীদ আলম—তাঁরা সবাই মিলেই সেই স্বর্ণালি অধ্যায়টি গড়েছিলেন, তবে মধ্যমণি ছিলেন আব্দুল জব্বার।
চলচ্চিত্রের ভাবগম্ভীর দৃশ্যে আব্দুল জব্বারের গান হয়ে উঠেছিল অনিবার্য। হৃদয়ের সমস্ত আবেগ ঢেলে স্যাড মুডের গানগুলোকে নিয়ে যেতেন অন্য মাত্রায়। ১৯৬৬ সালে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ও সত্য সাহার সুরে ‘কাগজের নৌকা’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘তোমার অসীম সুদূঢ় পথের পরে, অশ্রু আমার বকুল হয়ে ঝরে’ গানটি শুনলে যে কোনো অনুভুতিসম্পন্ন শ্রোতার বুকে কান্নার রোল ওঠে। গানটির প্রথম অন্তরায় ‘গন্ধে তাহার আকুল হলো নিবিড় স্মৃতিগুলি’ আব্দুল জব্বারের ভয়েস ভ্যারিয়েশন ও অফ হ্যাণ্ড মুড কন্ট্রোলিং বিশেষভাবে উল্লেখের দাবী রাখে।
ঢাকাই ছবির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, টাইটেল গানের ব্যবহার। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছবির টাইটেল গান গেয়েছেন আব্দুল জব্বার।
আনোয়ার পারভেজের সুইট টিউন আর রিচ অর্কেস্ট্রেশনে শাহনাজ রহমতুল্লাহর সাথে গাওয়া ‘কত যে মিনতি’ ছবির ‘তুমি সাত সাগরের ওপার হতে আমায় দেখেছ’ গানটিকে অনেক সংগীতবোদ্ধা প্লেব্যাকের সেরা ডুয়েট হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আব্দুল জব্বারের কণ্ঠ-বৈচিত্রের প্রমাণ পাওয়া যায় ‘আলিঙ্গন’ ছবির কমেডি গান ‘গোস্বা তুমি কইরো না’তে। কাজী জহীরের বিখ্যাত ছবি ‘অবুঝ মন’-এ বেশিরভাগ শ্রোতা মনে রেখেছেন সাবিনা ইয়াসমীনের সেই রোমান্টিক অ্যাপ্রোচ ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’। কিন্তু এর স্যাড ভার্সনটি মন দিয়ে শুনলে বোঝা যায়, এটি গাইতে আব্দুল জব্বার কীভাবে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
যেভাবে সমস্ত আবেগ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘এতটুকু আশা’ ছবির সেই কালজয়ী গান ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’। আব্দুল জব্বারের এই গানটির অসাধারণ গায়কি বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। প্রথম অন্তরায় ‘আমি তো দেখেছি কত যে স্বপ্ন মুকুলে ঝরে যায়/ শুকনো পাতার মর্মরে বাজে কত সুর বেদনায়’, তারপর স্থায়ী হয়ে সঞ্চারী— ‘প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে/ জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে’ গানটির এই দু-এরিয়া জুড়ে আপার-লোয়ার ভয়েস ভ্যারিয়েশন, রিদমিক ফ্র্যাকচুয়েশন তারপর শেষ অন্তরায় আপার নোটে জাম্পিং, এই টোটাল কম্বিনেশনটাই যেন এক ‘আব্দুল জব্বার স্পেশাল’।
আব্দুল জব্বার গান গেয়েছেন তিন শতাধিক ছবিতে। তাঁর গাওয়া রেডিওর আধুনিক গান আমাদের সংগীতের মূল্যবান সম্পদ হয়ে আরও বহুকাল সগৌরবে বেঁচে থাকবে।
আব্দুল জব্বারের গাওয়া দুটি শিশুতোষ গান— একটি রেডিওতে প্রচারিত ‘খোকন মণি রাগ করে না বায়না অমন ধরে না’ এবং ‘সখী তুমি কার’ ছবিতে ‘এক দেশে ছিল এক বাদশা/ সেই বাদশার ছিল এক বেগম’ তাঁকে শিশুদের হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। আব্দুল জব্বারের শ্রোতাপ্রিয় গানের সংখ্যা অসংখ্য। তাঁর গাওয়া বহু গান যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে হারিয়েও গেছে।
আব্দুল জব্বার বাংলাদেশের আবির্ভাব ও এর সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান গায়ক হিসেবে পশ্চিম বাংলার পথে-প্রান্তরে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। প্রবাসী সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন প্রায় তের লক্ষ রুপি।
তাঁর ভরাট কন্ঠে গাওয়া ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘মুজিব বাইয়া যাও রে’, ‘আমার বাংলা সোনার বাংলা’, ‘সাত কোটি মানুষের আরেক নাম মুজিবর’, ‘হাজার বছর পরে/ আবার এসেছি ফিরে/ বাংলার বুকে আছি দাঁড়িয়ে’ গানগুলো মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধারা হয়েছিলেন উদ্দীপ্ত ।
মানবতার গায়ক আব্দুল জব্বারের গান পছন্দ করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে খালাস পেয়ে বঙ্গবন্ধু প্রথমেই যাদের খোঁজ করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আব্দুল জব্বারও। যাকে তিনি আদর করে ‘পাগলা’ বলে ডাকতেন। একবার ৩২ নম্বরে দেখা করতে গেলে বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, ‘কি রে পাগলা, তুই যেভাবে শুরু করেছিস, সরকার তো তোকে জেলে ঢোকাবে’। উত্তরে আব্দুল জব্বার বললেন, ‘জেলে ঢুকলে ঢুকব, তবে আপনাকে একটু প্রাণভরে দেখে নেই বাবা’। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পর্যন্ত এই বাবা আর পাগলার মধুর সম্পর্ক অটুট ছিল।
বঙ্গবন্ধু প্রস্তাব দিয়েছিলেন বেতারের বড় চেয়ার অলংকৃত করার। কিন্তু আব্দুল জব্বার চেয়েছিলেন শুধু গান গাইতে। গানের মাধ্যমে জনসাধারণের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে। তবু, শ্রোতার হৃদয়ে এক অতৃপ্তি রয়ে গেছে ‘ওরে নীল দরিয়া’র মতো গনের গায়ক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি বলে। বাউল সুর মিশ্রিত ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানটিও শ্রোতাদেরকে আলোড়িত করে চলেছে আজ অবধি।

১৯৭১ সালে মোঃ আব্দুল জব্বার যখন হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজপথে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে ব্যস্ত, তখন তাঁর দরাজ কণ্ঠের গান বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে।
সময়টা ছিল তাঁর সঙ্গীত জীবনের মধ্যগগণ। পূর্ব বাংলার রুপালি পর্দার সে সময়টায় আব্দুল জব্বার ছিলেন এক প্রয়োজনীয় কন্ঠ। বিশেষ করে বিরহের গানের উপস্থাপনায় তিনি ছিলেন এক বিস্ময়কর প্রতিভা। রেডিও, টিভিতে তাঁর উপস্থিতি ছিল অনিবার্য ও প্রাঞ্জল।
আব্দুল জব্বারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৭ নভেম্বর, কুষ্টিয়ায়। ৮ ভাই- বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। আকাশবাণী কলকাতায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, মান্না দে, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের গান শুনে কৈশোরেই মনের মধ্যে গায়ক হওয়ার স্বপ্ন উঁকি দিয়েছিল। কুষ্টিয়ায় আব্দুল জব্বারের গানের হাতেখড়ি ওসমান মাস্টারের কাছে। ক্ল্যাসিক্যাল শিখেছেন ওস্তাদ লুৎফুল হকের কাছে।
এরপর হুট করেই পালালেন কলকাতার রানাঘাটে। সেখানে প্রশিক্ষণ নেন ওস্তাদ শীবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। টানা সাত বছর গান শিখে ফিরে আসেন কুষ্টিয়ায়। একদিন এক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় তিনি নজর কাড়েন সে সময়ের প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমানের।
আজিজুর রহমান তাঁকে ঢাকায় এনে নিজ বাড়িতে রাখেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে থেকে আব্দুল জব্বার রেডিওতে অডিশন দিয়ে পাশ করেন ১৯৫৯ সালে। রেডিওতে তাঁর গাওয়া প্রথম গানটি ছিল আজিজুর রহমানেরই লেখা ‘হারিয়ে এলাম কোথায় বলো আমার সেই সাথীটিরে’। আজিজুর রহমানের লেখা আরও দুটি গান— ‘নিশিথের চাঁদ ডুবে ব্যথার বকুল বনে’ এবং ‘তারা ভরা রাতে তোমার কথা যে মনে পড়ে বেদনায় গো’ তাঁকে শ্রোতাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সংগীত পরিচালক রবীন ঘোষ তাঁকে প্রথম প্লেব্যাক করান এহতেশামের ‘নতুন সুর’ ছবিতে।
চলচ্চিত্রে আব্দুল জব্বারের প্রথম গানটি ছিল ফেরদৌসী রহমানের সাথে দ্বৈত গান ‘তুমি আছ কাছে তাই’। একই বছর তিনি বিয়ে করেন ছোটবেলার সাথী হালিমা খাতুনকে। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার সূচনা লগ্ন থেকেই আব্দুল জব্বার টিভিতে গান গেয়েছেন। ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম উর্দু রঙিন সিনেমাস্কোপ জহির রায়হানের ‘সঙ্গম’-এ একটি কোরাসে কন্ঠ দেন। এরপর ‘আঁখেরি স্টেশন’সহ আরও কিছু উর্দু ছবিতে প্লেব্যাক করেন আব্দুল জব্বার।
তাঁর প্লেব্যাক অধ্যায়টি ছিল বর্ণাঢ্য। বাংলা ছবির গানের স্বর্ণযুগে তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রধান কন্ঠ। অস্বীকার করার উপায় নেই, মাহমুদুন্নবী, মোঃ আলী সিদ্দিকী, বশীর আহমেদ, খন্দকার ফারুক আহমেদ, সৈয়দ আব্দুল হাদী ও খুরশীদ আলম—তাঁরা সবাই মিলেই সেই স্বর্ণালি অধ্যায়টি গড়েছিলেন, তবে মধ্যমণি ছিলেন আব্দুল জব্বার।
চলচ্চিত্রের ভাবগম্ভীর দৃশ্যে আব্দুল জব্বারের গান হয়ে উঠেছিল অনিবার্য। হৃদয়ের সমস্ত আবেগ ঢেলে স্যাড মুডের গানগুলোকে নিয়ে যেতেন অন্য মাত্রায়। ১৯৬৬ সালে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা ও সত্য সাহার সুরে ‘কাগজের নৌকা’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘তোমার অসীম সুদূঢ় পথের পরে, অশ্রু আমার বকুল হয়ে ঝরে’ গানটি শুনলে যে কোনো অনুভুতিসম্পন্ন শ্রোতার বুকে কান্নার রোল ওঠে। গানটির প্রথম অন্তরায় ‘গন্ধে তাহার আকুল হলো নিবিড় স্মৃতিগুলি’ আব্দুল জব্বারের ভয়েস ভ্যারিয়েশন ও অফ হ্যাণ্ড মুড কন্ট্রোলিং বিশেষভাবে উল্লেখের দাবী রাখে।
ঢাকাই ছবির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, টাইটেল গানের ব্যবহার। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছবির টাইটেল গান গেয়েছেন আব্দুল জব্বার।
আনোয়ার পারভেজের সুইট টিউন আর রিচ অর্কেস্ট্রেশনে শাহনাজ রহমতুল্লাহর সাথে গাওয়া ‘কত যে মিনতি’ ছবির ‘তুমি সাত সাগরের ওপার হতে আমায় দেখেছ’ গানটিকে অনেক সংগীতবোদ্ধা প্লেব্যাকের সেরা ডুয়েট হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আব্দুল জব্বারের কণ্ঠ-বৈচিত্রের প্রমাণ পাওয়া যায় ‘আলিঙ্গন’ ছবির কমেডি গান ‘গোস্বা তুমি কইরো না’তে। কাজী জহীরের বিখ্যাত ছবি ‘অবুঝ মন’-এ বেশিরভাগ শ্রোতা মনে রেখেছেন সাবিনা ইয়াসমীনের সেই রোমান্টিক অ্যাপ্রোচ ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’। কিন্তু এর স্যাড ভার্সনটি মন দিয়ে শুনলে বোঝা যায়, এটি গাইতে আব্দুল জব্বার কীভাবে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
যেভাবে সমস্ত আবেগ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘এতটুকু আশা’ ছবির সেই কালজয়ী গান ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’। আব্দুল জব্বারের এই গানটির অসাধারণ গায়কি বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। প্রথম অন্তরায় ‘আমি তো দেখেছি কত যে স্বপ্ন মুকুলে ঝরে যায়/ শুকনো পাতার মর্মরে বাজে কত সুর বেদনায়’, তারপর স্থায়ী হয়ে সঞ্চারী— ‘প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে/ জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে’ গানটির এই দু-এরিয়া জুড়ে আপার-লোয়ার ভয়েস ভ্যারিয়েশন, রিদমিক ফ্র্যাকচুয়েশন তারপর শেষ অন্তরায় আপার নোটে জাম্পিং, এই টোটাল কম্বিনেশনটাই যেন এক ‘আব্দুল জব্বার স্পেশাল’।
আব্দুল জব্বার গান গেয়েছেন তিন শতাধিক ছবিতে। তাঁর গাওয়া রেডিওর আধুনিক গান আমাদের সংগীতের মূল্যবান সম্পদ হয়ে আরও বহুকাল সগৌরবে বেঁচে থাকবে।
আব্দুল জব্বারের গাওয়া দুটি শিশুতোষ গান— একটি রেডিওতে প্রচারিত ‘খোকন মণি রাগ করে না বায়না অমন ধরে না’ এবং ‘সখী তুমি কার’ ছবিতে ‘এক দেশে ছিল এক বাদশা/ সেই বাদশার ছিল এক বেগম’ তাঁকে শিশুদের হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। আব্দুল জব্বারের শ্রোতাপ্রিয় গানের সংখ্যা অসংখ্য। তাঁর গাওয়া বহু গান যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে হারিয়েও গেছে।
আব্দুল জব্বার বাংলাদেশের আবির্ভাব ও এর সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান গায়ক হিসেবে পশ্চিম বাংলার পথে-প্রান্তরে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। প্রবাসী সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন প্রায় তের লক্ষ রুপি।
তাঁর ভরাট কন্ঠে গাওয়া ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘মুজিব বাইয়া যাও রে’, ‘আমার বাংলা সোনার বাংলা’, ‘সাত কোটি মানুষের আরেক নাম মুজিবর’, ‘হাজার বছর পরে/ আবার এসেছি ফিরে/ বাংলার বুকে আছি দাঁড়িয়ে’ গানগুলো মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধারা হয়েছিলেন উদ্দীপ্ত ।
মানবতার গায়ক আব্দুল জব্বারের গান পছন্দ করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে খালাস পেয়ে বঙ্গবন্ধু প্রথমেই যাদের খোঁজ করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আব্দুল জব্বারও। যাকে তিনি আদর করে ‘পাগলা’ বলে ডাকতেন। একবার ৩২ নম্বরে দেখা করতে গেলে বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, ‘কি রে পাগলা, তুই যেভাবে শুরু করেছিস, সরকার তো তোকে জেলে ঢোকাবে’। উত্তরে আব্দুল জব্বার বললেন, ‘জেলে ঢুকলে ঢুকব, তবে আপনাকে একটু প্রাণভরে দেখে নেই বাবা’। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পর্যন্ত এই বাবা আর পাগলার মধুর সম্পর্ক অটুট ছিল।
বঙ্গবন্ধু প্রস্তাব দিয়েছিলেন বেতারের বড় চেয়ার অলংকৃত করার। কিন্তু আব্দুল জব্বার চেয়েছিলেন শুধু গান গাইতে। গানের মাধ্যমে জনসাধারণের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে। তবু, শ্রোতার হৃদয়ে এক অতৃপ্তি রয়ে গেছে ‘ওরে নীল দরিয়া’র মতো গনের গায়ক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি বলে। বাউল সুর মিশ্রিত ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানটিও শ্রোতাদেরকে আলোড়িত করে চলেছে আজ অবধি।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৮ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

১৯৭১ সালে মোঃ আব্দুল জব্বার যখন হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজপথে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে ব্যস্ত, তখন তাঁর দরাজ কণ্ঠের গান বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে।
৩০ আগস্ট ২০২১
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৮ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

১৯৭১ সালে মোঃ আব্দুল জব্বার যখন হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজপথে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে ব্যস্ত, তখন তাঁর দরাজ কণ্ঠের গান বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে।
৩০ আগস্ট ২০২১
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৮ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

১৯৭১ সালে মোঃ আব্দুল জব্বার যখন হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজপথে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে ব্যস্ত, তখন তাঁর দরাজ কণ্ঠের গান বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে।
৩০ আগস্ট ২০২১
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৮ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

১৯৭১ সালে মোঃ আব্দুল জব্বার যখন হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজপথে গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে ব্যস্ত, তখন তাঁর দরাজ কণ্ঠের গান বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে।
৩০ আগস্ট ২০২১
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৮ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৮ ঘণ্টা আগে