গুঞ্জন রহমান

সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে আমি লিখতে চাইনি। কেন জানি না, তাঁর কথা ভাবতে গেলেই তাঁর গানের কথাই ঘুরেফিরে মনে আসে, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন...?’ এমনিতেই আমার চোখে অনেক সমস্যা। আমি চশমা ছাড়া কোনো লেখা পড়তে পারি না। আর কলম দিয়ে লিখতে গেলে চশমা পরেও লিখতে পারি না। কারণ, লেখার সময় কাগজের যতটা কাছে চোখ চলে যায়, সেই দূরত্ব থেকে সব ঝাপসা দেখায়। বাঁচার কথা, এই লেখা আমি কাগজের ওপর কলম দিয়ে নয়, লিখছি সরাসরি কম্পিউটারের স্ক্রিনে।
আমি সঞ্জীব চৌধুরীর গান প্রথম শুনি দলছুট ব্যান্ডের অ্যালবামে, সেটা সম্ভবত এই ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম। দ্বিতীয়টা শুনে এতটাই বিমোহিত হই যে, খুঁজে পেতে প্রথম অ্যালবামটি কিনে ফেলি। রাজশাহীর মতো ছোট শহরে তিন-চার বছর আগে রিলিজ হয়ে বিক্রি হয়ে যাওয়া অ্যালবাম সহজে পাওয়ার নয়। সে যাই হোক, দ্বিতীয় অ্যালবামের নাম ছিল সম্ভবত ‘হৃদয়পুর’, আর প্রথমটার ‘আহ্!’ আমার ভুলও হতে পারে। এখনই গুগলে সার্চ দিলেই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে, কিন্তু আমার ইচ্ছে করছে না। থাকে যদি তো থাকুক কিছু ভুল।
সঞ্জীব চৌধুরীর গোটা জীবনটাই আমার কাছে ভুলে ভরা মনে হয়। মনে হয়, এক অমিত সম্ভাবনার অসামান্য আধারের অমার্জনীয় অপচয়। মনে হয়, অমৃত সুধায় কানায় কানায় ভরা একটি পাত্র কেউ পরিবেশন করলেন তাঁর খুব প্রিয় বন্ধুর কাছে, তারপর সেই বন্ধুটি পাত্রের জন্য হাত বাড়াতেই, কেন জানি না, তিনি নিজেই সে পাত্রটি উল্টে দিলেন। একেবারে উপুড় করা নয়, কাত করে ফেলে রাখলেন টেবিলের ওপর। অসামান্য সে পানীয় গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে, বেচারা বন্ধু আর কী করে, সেখান থেকেই চেটেপুটে খাচ্ছে, পাত্রের ভেতর এখনো সামান্য জমে আছে, সেটুকু কখন উপচে পড়বে আর কখন সে চেটে খেতে পারবে, তার অপেক্ষায় গভীর অনিশ্চয়তা নিয়ে বসে আছে। আমাদের অবস্থা হয়েছে সেই বন্ধুটির মতো।
আর পরিবেশনকারী স্বয়ং সঞ্জীব চৌধুরী, যিনি পাত্র উল্টে অপচয় করলেন নিজেরই জীবনের অনবদ্য অমৃত রস, অপার সম্ভাবনা। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা আছে সম্ভবত ব্রেইন হেমারেজ, কিন্তু আমি জানি, সেটা আত্মহত্যা ছিল। একবার দুবারের চেষ্টায় নয়, দিনের পর দিন, দীর্ঘ পরিকল্পিত বা অপরিকল্পিত প্রয়াসে তিনি একটু একটু করে হত্যা করেছেন নিজেকে। কী কারণ, কিসের এত অভিমান, আমি তা জানি না। তবে অনুমান করতে পারি, তিনি ভুল সময়ে জন্মেছিলেন। আমার বন্ধু তানভীর চৌধুরী গান লিখেছিল, ‘এমন মরার দেশে/ ভুল করে চলে এসে/ অনেক কষ্ট নিয়ে/ রীতিমতো রেগে গিয়ে/ বহু আগে হেরে যাওয়া বেহিসেবি ঈশ্বর!’ সঞ্জীব চৌধুরী আমার কাছে এই ‘মরার দেশে ভুল করে চলে আসা’ এবং ‘বহু আগে হেরে যাওয়া বেহিসেবি ঈশ্বর’। অনেক আগে থেকেই হেরে যাওয়ার ব্যাপারটা তিনি জানতেন। জানতেন বলেই নিজেকে ধ্বংস করতে শুরু করে দিয়েছিলেন পুরোদমে। কারণ, মানতে পারতেন না যে তিনি হেরে গেছেন।
কর্মজীবনে পুরোদস্তুর সাংবাদিক ছিলেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের আধুনিক যুগে উত্তরণের সময়কালটায় ছিলেন পুরোভাগে। সাপ্তাহিক একতা, দৈনিক আজকের কাগজ, ভোরের কাগজে। বামধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন, সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। চোখের সামনে মার খেতে দেখেছেন, নিজেও মার খেয়েছেন, মরে যেতে দেখেছেন সহযোদ্ধা সহপাঠী, সহকর্মীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আদমজী পাটকল সবখানে এরশাদশাহির জুলুম-নিপীড়ন দেখেছেন, প্রতিবাদ করেছেন, প্রতিরোধ করেছেন। রাজপথে ব্যারিকেডে দাঁড়িয়েছেন যেমন, তেমনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বরচিত গানে তীব্র প্রতিবাদের আগুন জ্বেলেছেন। ‘...আমার স্বপ্নের কথাগুলো বলতে চাই...’!
গণমানুষের মুক্তির গান, স্বপ্নের কথা তাঁর চেয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে আর কে ছুড়ে দিয়েছে এমন সোচ্চারে? এত সাহস আর কার ছিল? আজ যখন ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু সাংবাদিক নামের কলঙ্ককে দেখি কোনো কোনো খুনে-শিল্পপতির তৈলচিত্র আঁকতে গিয়ে বলে, লোকটির সারা শরীরটাই কলিজা, তখন আমি হতভম্ব হয়ে যাই, আর আমার মনে পড়ে যায় সঞ্জীব চৌধুরীর কথা। সারা শরীরজুড়ে কলিজা যদি কারও থেকে থাকে, তো সেটা তাঁরই ছিল। আক্ষরিক অর্থেই ছিল। সত্যের সঙ্গে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বহুদূর পর্যন্ত যেতে পারতেন।
আজ যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন, তাই আজ বড়দিন। আজ সঞ্জীব দা’রও জন্মদিন, আজ দিনটা তাই সত্যিই বড়। তিনি নেই, দিনটা পড়ে আছে। আর পড়ে আছে তাঁর অসামান্য সৃষ্টি অসামান্য সব গান। আর স্ফুলিঙ্গের মতো উত্তুঙ্গ তাঁর জীবনবোধ ও প্রেরণাদায়ী চেতনা। সঞ্জীবদা, আপনি অমর!
লেখক: কবি, গীতিকবি, কথাসাহিত্যিক

সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে আমি লিখতে চাইনি। কেন জানি না, তাঁর কথা ভাবতে গেলেই তাঁর গানের কথাই ঘুরেফিরে মনে আসে, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন...?’ এমনিতেই আমার চোখে অনেক সমস্যা। আমি চশমা ছাড়া কোনো লেখা পড়তে পারি না। আর কলম দিয়ে লিখতে গেলে চশমা পরেও লিখতে পারি না। কারণ, লেখার সময় কাগজের যতটা কাছে চোখ চলে যায়, সেই দূরত্ব থেকে সব ঝাপসা দেখায়। বাঁচার কথা, এই লেখা আমি কাগজের ওপর কলম দিয়ে নয়, লিখছি সরাসরি কম্পিউটারের স্ক্রিনে।
আমি সঞ্জীব চৌধুরীর গান প্রথম শুনি দলছুট ব্যান্ডের অ্যালবামে, সেটা সম্ভবত এই ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবাম। দ্বিতীয়টা শুনে এতটাই বিমোহিত হই যে, খুঁজে পেতে প্রথম অ্যালবামটি কিনে ফেলি। রাজশাহীর মতো ছোট শহরে তিন-চার বছর আগে রিলিজ হয়ে বিক্রি হয়ে যাওয়া অ্যালবাম সহজে পাওয়ার নয়। সে যাই হোক, দ্বিতীয় অ্যালবামের নাম ছিল সম্ভবত ‘হৃদয়পুর’, আর প্রথমটার ‘আহ্!’ আমার ভুলও হতে পারে। এখনই গুগলে সার্চ দিলেই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে, কিন্তু আমার ইচ্ছে করছে না। থাকে যদি তো থাকুক কিছু ভুল।
সঞ্জীব চৌধুরীর গোটা জীবনটাই আমার কাছে ভুলে ভরা মনে হয়। মনে হয়, এক অমিত সম্ভাবনার অসামান্য আধারের অমার্জনীয় অপচয়। মনে হয়, অমৃত সুধায় কানায় কানায় ভরা একটি পাত্র কেউ পরিবেশন করলেন তাঁর খুব প্রিয় বন্ধুর কাছে, তারপর সেই বন্ধুটি পাত্রের জন্য হাত বাড়াতেই, কেন জানি না, তিনি নিজেই সে পাত্রটি উল্টে দিলেন। একেবারে উপুড় করা নয়, কাত করে ফেলে রাখলেন টেবিলের ওপর। অসামান্য সে পানীয় গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে, বেচারা বন্ধু আর কী করে, সেখান থেকেই চেটেপুটে খাচ্ছে, পাত্রের ভেতর এখনো সামান্য জমে আছে, সেটুকু কখন উপচে পড়বে আর কখন সে চেটে খেতে পারবে, তার অপেক্ষায় গভীর অনিশ্চয়তা নিয়ে বসে আছে। আমাদের অবস্থা হয়েছে সেই বন্ধুটির মতো।
আর পরিবেশনকারী স্বয়ং সঞ্জীব চৌধুরী, যিনি পাত্র উল্টে অপচয় করলেন নিজেরই জীবনের অনবদ্য অমৃত রস, অপার সম্ভাবনা। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা আছে সম্ভবত ব্রেইন হেমারেজ, কিন্তু আমি জানি, সেটা আত্মহত্যা ছিল। একবার দুবারের চেষ্টায় নয়, দিনের পর দিন, দীর্ঘ পরিকল্পিত বা অপরিকল্পিত প্রয়াসে তিনি একটু একটু করে হত্যা করেছেন নিজেকে। কী কারণ, কিসের এত অভিমান, আমি তা জানি না। তবে অনুমান করতে পারি, তিনি ভুল সময়ে জন্মেছিলেন। আমার বন্ধু তানভীর চৌধুরী গান লিখেছিল, ‘এমন মরার দেশে/ ভুল করে চলে এসে/ অনেক কষ্ট নিয়ে/ রীতিমতো রেগে গিয়ে/ বহু আগে হেরে যাওয়া বেহিসেবি ঈশ্বর!’ সঞ্জীব চৌধুরী আমার কাছে এই ‘মরার দেশে ভুল করে চলে আসা’ এবং ‘বহু আগে হেরে যাওয়া বেহিসেবি ঈশ্বর’। অনেক আগে থেকেই হেরে যাওয়ার ব্যাপারটা তিনি জানতেন। জানতেন বলেই নিজেকে ধ্বংস করতে শুরু করে দিয়েছিলেন পুরোদমে। কারণ, মানতে পারতেন না যে তিনি হেরে গেছেন।
কর্মজীবনে পুরোদস্তুর সাংবাদিক ছিলেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের আধুনিক যুগে উত্তরণের সময়কালটায় ছিলেন পুরোভাগে। সাপ্তাহিক একতা, দৈনিক আজকের কাগজ, ভোরের কাগজে। বামধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন, সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। চোখের সামনে মার খেতে দেখেছেন, নিজেও মার খেয়েছেন, মরে যেতে দেখেছেন সহযোদ্ধা সহপাঠী, সহকর্মীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আদমজী পাটকল সবখানে এরশাদশাহির জুলুম-নিপীড়ন দেখেছেন, প্রতিবাদ করেছেন, প্রতিরোধ করেছেন। রাজপথে ব্যারিকেডে দাঁড়িয়েছেন যেমন, তেমনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বরচিত গানে তীব্র প্রতিবাদের আগুন জ্বেলেছেন। ‘...আমার স্বপ্নের কথাগুলো বলতে চাই...’!
গণমানুষের মুক্তির গান, স্বপ্নের কথা তাঁর চেয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে আর কে ছুড়ে দিয়েছে এমন সোচ্চারে? এত সাহস আর কার ছিল? আজ যখন ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু সাংবাদিক নামের কলঙ্ককে দেখি কোনো কোনো খুনে-শিল্পপতির তৈলচিত্র আঁকতে গিয়ে বলে, লোকটির সারা শরীরটাই কলিজা, তখন আমি হতভম্ব হয়ে যাই, আর আমার মনে পড়ে যায় সঞ্জীব চৌধুরীর কথা। সারা শরীরজুড়ে কলিজা যদি কারও থেকে থাকে, তো সেটা তাঁরই ছিল। আক্ষরিক অর্থেই ছিল। সত্যের সঙ্গে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বহুদূর পর্যন্ত যেতে পারতেন।
আজ যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন, তাই আজ বড়দিন। আজ সঞ্জীব দা’রও জন্মদিন, আজ দিনটা তাই সত্যিই বড়। তিনি নেই, দিনটা পড়ে আছে। আর পড়ে আছে তাঁর অসামান্য সৃষ্টি অসামান্য সব গান। আর স্ফুলিঙ্গের মতো উত্তুঙ্গ তাঁর জীবনবোধ ও প্রেরণাদায়ী চেতনা। সঞ্জীবদা, আপনি অমর!
লেখক: কবি, গীতিকবি, কথাসাহিত্যিক

সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। এক বছর পর আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল।
১ ঘণ্টা আগে
২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতশিল্পী ব্রিয়ানা বিশ্বাসের একক কনসার্ট। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া কনসার্টটি চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। ব্রিয়ানা একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় শর্টকাট নাটকে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টকাট নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমুল শর্মা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এক বছর পর আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল। দুই সপ্তাহ আগে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাল ব্যান্ডের প্রধান গহর মমতাজ। এবার জানা গেল কনসার্টের তারিখ ও ভেন্যু। আগামী ২৮ নভেম্বর রাজধানীর তিন শ ফিটের স্বদেশ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে ‘সাউন্ড অব সোল’ শিরোনামের এই কনসার্ট।
সাউন্ড অব সোল কনসার্টটি আয়োজন করছে স্টেজ কো. এবং গেট সেট রক। জানা গেছে, এই কনসার্টে জাল ব্যান্ডের সঙ্গে দেশের একাধিক ব্যান্ড পারফর্ম করবে। তবে এখনো ব্যান্ডগুলোর নাম প্রকাশ করেনি আয়োজকেরা। শিগগিরই গেট সেট রকের ওয়েবসাইটে শুরু হবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। ‘লিজেন্ডস অব দ্য ডেকেড’ শিরোনামের কনসার্টটি প্রথমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ঢাকা অ্যারেনায়। কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বর শো শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে স্থগিত করা হয় আয়োজন।
পরদিন যমুনা ফিউচার পার্কে আয়োজন করা হয় কনসার্টটি। সেখানেও বাধে বিপত্তি, কনসার্ট শুরুর পর বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এতে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় আয়োজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে আবার শুরু হয় কনসার্ট।

এক বছর পর আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল। দুই সপ্তাহ আগে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাল ব্যান্ডের প্রধান গহর মমতাজ। এবার জানা গেল কনসার্টের তারিখ ও ভেন্যু। আগামী ২৮ নভেম্বর রাজধানীর তিন শ ফিটের স্বদেশ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে ‘সাউন্ড অব সোল’ শিরোনামের এই কনসার্ট।
সাউন্ড অব সোল কনসার্টটি আয়োজন করছে স্টেজ কো. এবং গেট সেট রক। জানা গেছে, এই কনসার্টে জাল ব্যান্ডের সঙ্গে দেশের একাধিক ব্যান্ড পারফর্ম করবে। তবে এখনো ব্যান্ডগুলোর নাম প্রকাশ করেনি আয়োজকেরা। শিগগিরই গেট সেট রকের ওয়েবসাইটে শুরু হবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। ‘লিজেন্ডস অব দ্য ডেকেড’ শিরোনামের কনসার্টটি প্রথমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ঢাকা অ্যারেনায়। কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বর শো শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে স্থগিত করা হয় আয়োজন।
পরদিন যমুনা ফিউচার পার্কে আয়োজন করা হয় কনসার্টটি। সেখানেও বাধে বিপত্তি, কনসার্ট শুরুর পর বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এতে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় আয়োজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে আবার শুরু হয় কনসার্ট।

সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে আমি লিখতে চাইনি। কেন জানি না, তাঁর কথা ভাবতে গেলেই তাঁর গানের কথাই ঘুরেফিরে মনে আসে, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন...?’ এমনিতেই আমার চোখে অনেক সমস্যা।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতশিল্পী ব্রিয়ানা বিশ্বাসের একক কনসার্ট। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া কনসার্টটি চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। ব্রিয়ানা একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় শর্টকাট নাটকে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টকাট নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমুল শর্মা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
১৪ ঘণ্টা আগেআবু সাবেত, নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতশিল্পী ব্রিয়ানা বিশ্বাসের একক কনসার্ট। ব্রিয়ানার একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাঁর পরিবার ও ভক্তরা। কানেকটিকাটে ব্রিয়ানার প্রথম একক সংগীতানুষ্ঠানে সাধারণ দর্শক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ব্রিয়ানার কনসার্ট চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন ব্রিয়ানা। গান শুরুর আগেই ব্রিয়ানা বলেন, ‘যারা আমার গানকে ভালোবাসেন তাঁদের এ মিলনায়তনে উপস্থিত দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। সবার ভালোবাসায় আমি আজকে আপনাদের সামনে বিভিন্ন মঞ্চে প্রাণ খুলে গান গাইতে পারছি।’
অনুষ্ঠানে ব্রিয়ানার বাবা নিক্সন ও মা জলি বিশ্বাস মেয়ের শিশু ও কিশোরী বয়সের নানা স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য দেন ব্রিয়ানার গানের শিক্ষাগুরু কানন হাসান, রাশিদা আখন্দ লাকী, শান্তা নাগ ও কৌশলী ইমা।
শাহরিয়ার রহমানের উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানে ব্রিয়ানা ছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন রাশিদা আখন্দ লাকী, লিটন গ্রেগরী ও লিয়ন মণ্ডল। বাঁশি বাজিয়ে শোনান রানী তালুকদার এবং কবিতা আবৃত্তি করেন মোল্লা বাহাউদ্দিন পিয়াল। শিল্পীদের তবলায় সংগত করেন গৌরাঙ্গ বৈরাগী।
প্রায় ২০ বছর আগে মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ব্রিয়ানার বাবা নিক্সন ও মা জলি বিশ্বাস। সাড়ে চার বছর বয়স থেকে গানের স্কুলে ভর্তি করান মেয়েকে। তখন থেকেই গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিয়ানা।

২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতশিল্পী ব্রিয়ানা বিশ্বাসের একক কনসার্ট। ব্রিয়ানার একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাঁর পরিবার ও ভক্তরা। কানেকটিকাটে ব্রিয়ানার প্রথম একক সংগীতানুষ্ঠানে সাধারণ দর্শক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ব্রিয়ানার কনসার্ট চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন ব্রিয়ানা। গান শুরুর আগেই ব্রিয়ানা বলেন, ‘যারা আমার গানকে ভালোবাসেন তাঁদের এ মিলনায়তনে উপস্থিত দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। সবার ভালোবাসায় আমি আজকে আপনাদের সামনে বিভিন্ন মঞ্চে প্রাণ খুলে গান গাইতে পারছি।’
অনুষ্ঠানে ব্রিয়ানার বাবা নিক্সন ও মা জলি বিশ্বাস মেয়ের শিশু ও কিশোরী বয়সের নানা স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য দেন ব্রিয়ানার গানের শিক্ষাগুরু কানন হাসান, রাশিদা আখন্দ লাকী, শান্তা নাগ ও কৌশলী ইমা।
শাহরিয়ার রহমানের উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানে ব্রিয়ানা ছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন রাশিদা আখন্দ লাকী, লিটন গ্রেগরী ও লিয়ন মণ্ডল। বাঁশি বাজিয়ে শোনান রানী তালুকদার এবং কবিতা আবৃত্তি করেন মোল্লা বাহাউদ্দিন পিয়াল। শিল্পীদের তবলায় সংগত করেন গৌরাঙ্গ বৈরাগী।
প্রায় ২০ বছর আগে মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ব্রিয়ানার বাবা নিক্সন ও মা জলি বিশ্বাস। সাড়ে চার বছর বয়স থেকে গানের স্কুলে ভর্তি করান মেয়েকে। তখন থেকেই গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিয়ানা।

সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে আমি লিখতে চাইনি। কেন জানি না, তাঁর কথা ভাবতে গেলেই তাঁর গানের কথাই ঘুরেফিরে মনে আসে, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন...?’ এমনিতেই আমার চোখে অনেক সমস্যা।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। এক বছর পর আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল।
১ ঘণ্টা আগে
মাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় শর্টকাট নাটকে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টকাট নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমুল শর্মা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মুরাদপুর গ্রামের ছেলে মামুন, যার দাদা গুপ্তধন খুঁজতে গিয়ে আর ফেরেনি। দাদার মতোই মামুনের স্বপ্ন শর্টকাটে বড়লোক হওয়া! এ নিয়ে প্রেমিকা লায়লার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চরমে। মামুন কি গুপ্তধন খুঁজে পাবে, নাকি তার ভাগ্যে অন্য কিছু লেখা আছে? এমন গল্পে তৈরি হয়েছে নাটক ‘শর্টকাট’। আজ বৃহস্পতিবার ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে নাটকটি।

মাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় শর্টকাট নাটকে মামুন ও লায়লা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। মাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘শর্টকাট আমাদের সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি। সবাই আজকাল দ্রুত সাফল্য পেতে চায়, পরিশ্রমের মূল্য কেউ দিতে চায় না। আমরা এই সিরিয়াস বিষয়টিকেই হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কমেডি ও সাসপেন্সের মোড়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টকাট নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমুল শর্মা। এতে আরও অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ রানা, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, সামিউল হক ভূইয়া, শাহাদত শিশির প্রমুখ।

মুরাদপুর গ্রামের ছেলে মামুন, যার দাদা গুপ্তধন খুঁজতে গিয়ে আর ফেরেনি। দাদার মতোই মামুনের স্বপ্ন শর্টকাটে বড়লোক হওয়া! এ নিয়ে প্রেমিকা লায়লার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চরমে। মামুন কি গুপ্তধন খুঁজে পাবে, নাকি তার ভাগ্যে অন্য কিছু লেখা আছে? এমন গল্পে তৈরি হয়েছে নাটক ‘শর্টকাট’। আজ বৃহস্পতিবার ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে নাটকটি।

মাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় শর্টকাট নাটকে মামুন ও লায়লা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। মাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘শর্টকাট আমাদের সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি। সবাই আজকাল দ্রুত সাফল্য পেতে চায়, পরিশ্রমের মূল্য কেউ দিতে চায় না। আমরা এই সিরিয়াস বিষয়টিকেই হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কমেডি ও সাসপেন্সের মোড়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টকাট নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমুল শর্মা। এতে আরও অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ রানা, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, সামিউল হক ভূইয়া, শাহাদত শিশির প্রমুখ।

সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে আমি লিখতে চাইনি। কেন জানি না, তাঁর কথা ভাবতে গেলেই তাঁর গানের কথাই ঘুরেফিরে মনে আসে, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন...?’ এমনিতেই আমার চোখে অনেক সমস্যা।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। এক বছর পর আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল।
১ ঘণ্টা আগে
২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতশিল্পী ব্রিয়ানা বিশ্বাসের একক কনসার্ট। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া কনসার্টটি চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। ব্রিয়ানা একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন পূজা চেরি। তবে গতকাল সকাল থেকে খবর ছড়ায়, দম সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সিনেমার মহরতে দম-এর নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো পূজা চেরির নাম।
মহরত অনুষ্ঠানে পূজা চেরিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। অনুষ্ঠানে দুই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো কথা বলা শেষ করলে, পালকিতে চড়ে প্রবেশ করেন নায়িকা। পর্দা দিয়ে ঘেরা সেই পালকি থেকে পূজাকে নামিয়ে আনেন নিশো।
দম সিনেমা নিয়ে কথা বলার সময় রীতিমতো নার্ভাস লাগছিল পূজাকে। নায়িকা জানালেন, অনেক কথা সাজিয়ে এসেছিলেন বলার জন্য, কিন্তু অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে সব গুলিয়ে ফেলেছেন। এ সময় পূজা জানান, দম সিনেমায় অডিশন দিয়েই চূড়ান্ত হয়েছেন তিনি।
পূজা চেরি বলেন, ‘দম সিনেমার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে এই সিনেমায় যুক্ত করার জন্য। এই সিনেমার চরিত্রটির জন্য আমাকে অডিশন দিতে হয়েছে। এরপর আমাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ছোটবেলায় চঞ্চল দাদার সঙ্গে কাজ করলেও, নিশো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করা হবে। আশা করছি সবাই মিলে ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারব।’
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় সারভাইভাল গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দমের কাহিনি। দুই বছর আগে প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গিয়েছিল, চারপাশে পাহাড়বেষ্টিত মরুভূমিতে একটি গাধার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে এক ছেলে। তার চোখ বাঁধা। ধারণা করা হচ্ছে, উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া প্রবাসীদের সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠবে সিনেমায়।
দম সিনেমার শুটিং লোকেশন হিসেবে সৌদি আরব, জর্ডানের নাম শোনা গেলেও কাজাখস্তানেই দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নির্মাতারা। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে দম।

প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন পূজা চেরি। তবে গতকাল সকাল থেকে খবর ছড়ায়, দম সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সিনেমার মহরতে দম-এর নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো পূজা চেরির নাম।
মহরত অনুষ্ঠানে পূজা চেরিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। অনুষ্ঠানে দুই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো কথা বলা শেষ করলে, পালকিতে চড়ে প্রবেশ করেন নায়িকা। পর্দা দিয়ে ঘেরা সেই পালকি থেকে পূজাকে নামিয়ে আনেন নিশো।
দম সিনেমা নিয়ে কথা বলার সময় রীতিমতো নার্ভাস লাগছিল পূজাকে। নায়িকা জানালেন, অনেক কথা সাজিয়ে এসেছিলেন বলার জন্য, কিন্তু অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে সব গুলিয়ে ফেলেছেন। এ সময় পূজা জানান, দম সিনেমায় অডিশন দিয়েই চূড়ান্ত হয়েছেন তিনি।
পূজা চেরি বলেন, ‘দম সিনেমার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে এই সিনেমায় যুক্ত করার জন্য। এই সিনেমার চরিত্রটির জন্য আমাকে অডিশন দিতে হয়েছে। এরপর আমাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ছোটবেলায় চঞ্চল দাদার সঙ্গে কাজ করলেও, নিশো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করা হবে। আশা করছি সবাই মিলে ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারব।’
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় সারভাইভাল গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দমের কাহিনি। দুই বছর আগে প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গিয়েছিল, চারপাশে পাহাড়বেষ্টিত মরুভূমিতে একটি গাধার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে এক ছেলে। তার চোখ বাঁধা। ধারণা করা হচ্ছে, উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া প্রবাসীদের সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠবে সিনেমায়।
দম সিনেমার শুটিং লোকেশন হিসেবে সৌদি আরব, জর্ডানের নাম শোনা গেলেও কাজাখস্তানেই দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নির্মাতারা। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে দম।

সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে আমি লিখতে চাইনি। কেন জানি না, তাঁর কথা ভাবতে গেলেই তাঁর গানের কথাই ঘুরেফিরে মনে আসে, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন...?’ এমনিতেই আমার চোখে অনেক সমস্যা।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। এক বছর পর আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল।
১ ঘণ্টা আগে
২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতশিল্পী ব্রিয়ানা বিশ্বাসের একক কনসার্ট। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া কনসার্টটি চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। ব্রিয়ানা একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় শর্টকাট নাটকে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টকাট নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমুল শর্মা।
২ ঘণ্টা আগে