Ajker Patrika

মারা গেছেন অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৪
মারা গেছেন অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা

অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পটিয়ার মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি বহুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। সিডনি পটিয়ার জীবনের শেষ সময়টা কাটান বাহামায়। আর সেখানেই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেড মিচেলের কার্যালয়।

১৯৫৫ সালে ‘ব্যাকবোর্ড জঙ্গল’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান। ‘লিলিস অব দ্য ফিল্ড’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৩ সালে অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন পটিয়ার। এর পাঁচ বছর আগে 'দ্য ডিফিয়েন্ট ওয়ানস' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। ওই বছর বাফটা পান তিনি। সে সময় চলচ্চিত্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ভালো কাজের সুযোগ কম থাকলেও অভিনয়ের গুণে পটিয়ার হয়ে উঠেছিলেন তাঁর সময়ের শীর্ষ অভিনেতাদের একজন।

সিডনি পটিয়ারযুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে ১৯২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জন্ম নেন সিডনি পটিয়ার। বেড়ে ওঠেন বাহামা দ্বীপপুঞ্জে। তাঁর বাবা-মা ছিলেন সাধারণ কৃষক। অল্প বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে পটিয়ার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সেনাবাহিনীর চাকরি ছাড়ার পর তিনি কিছুদিন বাসন পরিষ্কারের কাজ করেন। এর পরই গুণী এই অভিনেতা আমেরিকার থিয়েটার স্কুল অব ড্রামায় ভর্তির সুযোগ পেয়ে যান।

তাঁর অভিনীত অনেক চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য ছিল মার্কিন নাগরিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক পরিবর্তন। এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘নো ওয়ে আউট’ (১৯৫০), ‘দ্য ব্ল্যাকবোর্ড জঙ্গল’ (১৯৫৫), ‘অ্যা রেইজিন ইন দ্য সান’ (১৯৬১), ‘অ্যা প্যাচ অব ব্লু’ (১৯৬৫), ‘হিট অব দ্য নাইট’ (১৯৬৬), ‘টু স্যার, উইথ লাভ’ (১৯৬৭), “গেস হু’স ইজ কামিং টু ডিনার” (১৯৬৭)।

সিডনি পটিয়ারসিডনি পটিয়ারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিনোদনসহ বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিরা। ২০০৯ সালে সিডনি পটিয়ারকে আমেরিকার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ দেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক শোকবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘সিডনি পটিয়ার তার অভিনয় দিয়ে আমাদের একত্রিত করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অভিনয়ের দরজা খুলে দিয়েছিলেন।’

মার্কিন সম্প্রচারক ও সাংবাদিক অপরাহ উইনফ্রেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মাথার ওপর থাকা সবচেয়ে বড় ছায়াটি আজ সরে গেল। তিনি ছিলেন বড় মনের মানুষ। আমার হৃদয়ে তাঁর জায়গা থাকবে চিরকাল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত