Ajker Patrika

বদলে গেল জেমস বন্ডের ছয় দশকের পুরোনো ঘর

বিনোদন ডেস্ক
জেমস বন্ড চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: সংগৃহীত
জেমস বন্ড চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেগ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৬০ বছর একটি পরিবারের হাতে ছিল জেমস বন্ডের নিয়ন্ত্রণ। ১৯৬২ সালে নির্মিত জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম সিনেমা ‘ডক্টর নো’ থেকে ২০২১ সালে সর্বশেষ ‘নো টাইম টু ডাই’ মোট ২৫টি সিনেমা প্রযোজনা করেছে ইয়ন ফিল্মস। মাত্র দুটি সিনেমা ‘ক্যাসিনো রয়েল’ (১৯৬৭) ও ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেইন’ (১৯৮৩) তৈরি হয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে। জেমস বন্ড কোন চশমা পরবে, কোন গাড়িতে চড়বে, কোন অস্ত্রে ঘায়েল করবে শত্রুদের—সব ঠিক করতেন ইয়নের স্বত্বাধিকারী মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলি। তবে এখন থেকে গল্পটি লেখা হবে ভিন্নভাবে।

গত বৃহস্পতিবার আমাজন এমজিএম স্টুডিও ও ইয়ন ফিল্মসের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হলো। যার আওতায় জেমস বন্ডের সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ আর থাকছে না মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলির হাতে। সফল ফ্যাঞ্চাইজি হিসেবে দীর্ঘ সময় হলিউডে রাজত্ব করছে জেমস বন্ড। ফলে চরিত্রটির স্রষ্টা ইয়ান ফ্লেমিংয়ের মতো হলিউডে প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে এর প্রযোজক ব্রোকলি পরিবারের। এ চুক্তির পর সেই প্রভাব অনেকটা কমল। তবে একেবারে বিদায় নিচ্ছেন না তাঁরা, থাকছেন সহস্বত্বাধিকারী হিসেবে। সিনেমার নতুন পর্বের সিদ্ধান্ত থেকে অভিনয়শিল্পী নির্বাচনসহ সৃজনশীল সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবে এমজিএম।

প্রাইম ভিডিও ও আমাজন এমজিএমের প্রধান মাইক হপকিন্স দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ছয় দশকের বেশি সময় আগে থিয়েটারে সূচনা হয়েছিল জেমস বন্ডের। এ চরিত্রকে সিনেমা হলে নিয়ে আসার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ প্রয়াত আলবার্ট আর. ব্রোকলি ও হ্যারি সল্টজম্যানের কাছে। তাঁদের পর মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলি শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন। তাঁদের কাছেও আমাদের কৃতজ্ঞতা। এ ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব পেয়ে আমরা সম্মানিত।’

অন্যদিকে মাইকেল জি উইলসন ও বারবারা ব্রোকলি জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে সরে গিয়ে শিল্প ও দাতব্য কাজে মনোনিবেশের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। তাই জেমস বন্ডকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন আমাজন এমজিএম স্টুডিওর হাতে। এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জেমস বন্ড অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগ। ২০০৬ সালে ‘ক্যাসিনো রয়েল’ থেকে শুরু করে ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নো টাইম টু ডাই’—পাঁচটি সিনেমায় জেমস বন্ড হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি। সর্বশেষ সিনেমার পর এ চরিত্র থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর পর নতুন জেমস বন্ড কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। শোনা গেছে, এ চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অ্যারন টেলর-জনসনকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রেক্ষাগৃহে আসছে লোকনাট্য পালা অবলম্বনে ‘বেহুলা দরদী’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বেহুলা দরদী’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘বেহুলা দরদী’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমা মুক্তির ধুম পড়েছে ঢাকাই সিনেমায়। গত দুই মাস প্রতি সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে নতুন সিনেমা। এ মাসের শেষ দিনেও মুক্তির ঘোষণা এল আরেক সিনেমার। ৩১ অক্টোবর সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘বেহুলা দরদী’। টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি ও বেহুলা নাচারি গীতিনাট্যকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সবুজ খান। উৎসব অরিজিনালসের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জাহিদুল ইসলাম।

টাঙ্গাইলসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় একসময় বেহুলা ও লখিন্দরের কাহিনিকে কেন্দ্র করে গীতিনাট্য বেহুলা নাচারি পালা প্রদর্শিত হতো। এমন একটি দলের সদস্যদের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমার কাহিনি। গল্পে দেখা যাবে, নাগবাড়ি বেহুলা নাচারি দলের প্রধান ভোলা মিয়া তাদের নাচারি গানের দলটিকে টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। কয়েকবার ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিযোগিতায় হেরে দলটির সম্মান প্রায় তলানিতে। এই অবস্থায় দলটিকে প্রতিযোগিতায় জেতাতে চলে নানা চেষ্টা।

দলের প্রধান ভোলা মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। আরও আছেন প্রাণ রায়, সূচনা সিকদার, আজিজুন মীম, আশরাফুল আশীষ, আফফান মিতুল, সানজিদা মিলা প্রমুখ। পুরো সিনেমার শুটিং হয়েছে টাঙ্গাইলে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান উৎসব অরজিনালসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘একটি দেশের সব সিনেমাই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে না। কিছু সিনেমা শুধুই বিনোদন, দর্শক চাহিদা আর বাণিজ্যিক বিষয়টি মাথায় রেখে বানানো হয়। আবার কিছু সিনেমা তৈরি হয় দেশের মাটি, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রাকে আমলে নিয়ে। সে ক্ষেত্রে নির্মাতার দর্শন ও ভাবধারা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বেহুলা দরদী তেমনই একটি সিনেমা, যার পরতে পরতে মাটির ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। আর পাওয়া যাবে এ দেশের মানুষের যাপিত জীবনের সন্ধান!’

নির্মাতা সবুজ খান বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় এক সংস্কৃতিকে নতুনভাবে দর্শকের সামনে তুলে ধরাই এই সিনেমার মূল লক্ষ্য। আশা করছি দর্শকের ভালো লাগবে।’

ফজলুর রহমান বাবু বলেন, বেহুলা দরদী টাঙ্গাইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতির গল্পে নির্মিত একটি সিনেমা। সবুজ খানের পরিচালনায় দারুণ একটি কাজ হয়েছে। সব থেকে বড় কথা, আমরা কাজটি করেছি একটি দায়বদ্ধতা থেকে। কারণ আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি বিশ্বদরবারে তুলে ধরাটা সত্যি আনন্দের।’

বেহুলা দরদী সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন মোশাররফ করিম, যাহের আলভীসহ অনেক অভিনয়শিল্পী। মোশাররফ করিম বলেন, ‘ভাসান গানের একটি দলের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বেহুলা দরদী। পরিচালনা করেছেন সবুজ খান। গল্পটি শুনেই আমি আনন্দিত, কারণ এটি আমাদের লোকজ সংস্কৃতির গল্প, আমাদের মাটির গল্প। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি সিনেমাটি দেখার জন্য। আপনাদের অংশগ্রহণ আমাদের চলচ্চিত্রকে বেগবান করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বজুড়ে বাংলা গানের প্রসারে গীতিকার সুজনের উদ্যোগ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্বজুড়ে বাংলা গানের প্রসারে গীতিকার সুজনের উদ্যোগ

গানের প্রতি এনামুল কবীর সুজনের ভালোবাসা ছেলেবেলা থেকে। বন্ধুদের সঙ্গে গাইতেন, তবে গাওয়ার চেয়ে লেখাতেই মন টানত বেশি। গানের খাতা কিংবা ডায়েরির পাতাগুলো ভরিয়ে তুলতেন নিজের লেখা গান আর কবিতায়। প্রায় দেড় দশকের বেশি হতে চলল পেশাদার গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন সুজন। দেড় দশক আগে বাসুদেব বসুর সুরে সুজনের লেখা গান কণ্ঠে তুলেছেন সাবিনা ইয়াসমীন ও জেমস। সেই থেকে দেশ-বিদেশের অনেক শিল্পী গেয়েছেন এনামুল কবীর সুজনের লেখা গান।

বাংলা গানের প্রসারে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন সুজন। দোতারা মিউজিক নামে গড়ে তুলেছেন গানের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বাংলাভাষী শিল্পীদের গান প্রকাশ করবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের গান নিয়ে কাজ শুরু করেছে প্ল্যাটফর্মটি। সুজন এখন কাজ করছেন প্রবাসী শিল্পীদের গান নিয়ে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পীদের সঙ্গে কথা এগিয়েছেন। এই তালিকায় আরও রয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কিছু দেশ।

এ ছাড়া রূপকথা প্রোডাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সুজনের। এর ব্যানারে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। বাংলা গানের প্রসারের কথা মাথায় রেখে এবার তিনি মন দিয়েছেন বিদেশের মাটিতে বাংলা গানের কনসার্ট আয়োজনে। এরই মধ্যে আসিফ আকবর ও আতিয়া আনিসাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজন করেছেন একাধিক কনসার্ট। বাংলাদেশের অন্য শিল্পীদের নিয়েও বিদেশে কনসার্ট করতে চান সুজন।

সুজন বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে বাংলা গানের প্রসারে নিরলস কাজ করার চেষ্টা করছি। আমাদের সমৃদ্ধ গানের ভান্ডার রয়েছে, রয়েছে মেধাবী শিল্পী। কিন্তু সময়োপযোগী উদ্যোগের অভাবে পিছিয়ে পড়ছি আমরা। সেই প্রাচীরটা ভাঙতে চাই আমি।’

এনামুল কবীর সুজনের লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু গান কবীর সুমনের গাওয়া ‘জীবন’, নচিকেতার গাওয়া ‘শান্তি আসুক ফিরে’, আসিফ আকবরের ‘কিছু কিছু কথা’, রথীন্দ্রনাথ রায়ের ‘ভুল পথ’, আঁখি আলমগীরের ‘প্রাণের সুজন’, রেহান রসুলের ‘নীল দেয়াল’, কৃষ্ণকলির ‘একটা গন্ধ জড়ায় থাকে’, স্বরলিপির ‘একুশের গান’ ইত্যাদি। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে খালিদ (চাইম), রথীন্দ্রনাথ রায়, আসিফ আকবর, পান্থ কানাই, কৃষ্ণকলি, মাহাদি, রাজীব, সন্দীপন, আঁখি আলমগীর, সালমা, কোনাল, কর্নিয়া, কিশোর, অবন্তি সিঁথি, ঐশীসহ জনপ্রিয় অনেক শিল্পীর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছিল সুজনের লেখা ‘বাংলাদেশ আমার’ গানটি। সুজন জানিয়েছেন, এটা এমন একটি গান যা কোনো দেশের চলতি ও সাধু ভাষায়, সব আঞ্চলিক ভাষায়, নৃতাত্ত্বিক ভাষায় এবং ইংরেজি ও সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে প্রকাশিত হয়েছে। এমন ঘটনা পৃথিবীতে বিরল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কারও সঙ্গেই সম্পর্কে নেই, বললেন ববি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ২৪
ববি। ছবি: সংগৃহীত
ববি। ছবি: সংগৃহীত

তিন বছর আগে চিত্রনায়িকা ববির জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন প্রযোজক সাকিব সনেট। সে সময় প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন নায়িকা নিজেও। জানিয়েছিলেন, তাঁরা একটি সুন্দর সম্পর্কের মধ্যে আছেন। যেটা শুরু হয়েছিল ‘নোলক’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়। এরপর নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি তাঁরা। অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ভেঙে গেছে ববি ও সনেটের প্রেম। অবশেষে সনেটের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ববি। আজকের পত্রিকাকে জানালেন, এখন কারও সঙ্গে সম্পর্কে নেই তিনি।

সাকিব সনেটের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে প্রথমে কিছুটা এড়িয়ে যেতে চাইলেন ববি। বললেন, ‘এটা অনেক আগের ঘটনা। নোলক সিনেমার সময়ের কথা। তখন আমি কিছু বলেছি কি না সেটাও আমার মনে নেই।’

কারও সঙ্গে এখন সম্পর্কে আছেন কি না জানতে চাইলে, ববির স্পষ্ট উত্তর ‘না’। এরপর ববি বলেন, ‘এখন আমি কাজ নিয়ে ব্যস্ত। হ্যাঁ, একটা কিছু তো অবশ্যই ছিল। যেটা এখন নেই। তবে আমাদের যে বন্ধুত্বটা ছিল, সেটা এখনো আছে। এর বাইরে এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য করার নেই।’

সাকিব সনেটের পর মির্জা আবুল বাশার মামুন নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন ববি—এমন গুঞ্জনও আছে। এমনকি কয়েক দিন আগে এক ব্যবসায়ীর করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের হাতে মামুন আটক হওয়ার পর নিউজে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ববির ‘কথিত স্বামী’ হিসেবে।

আসলেই কি আবুল বাশারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে ববির? জানতে চাইলে ববি বলেন, ‘এ ধরনের খবর নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। কারণ, খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমি যদি এটা নিয়ে কথা বলি তাহলে ওরা হাইলাইট হবে, যেটা আমি চাই না। ওদের একটা ঝামেলায় আমার নাম ব্যবহার করে নিউজ করা হয়েছে শুধু টিআরপি বাড়ানোর জন্য। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এর বাইরে আর কিছুই না। কিন্তু এ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করলে আমি আইনের শরণাপন্ন হব।’

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছেন ববি। যাওয়ার আগে শুটিং করেছিলেন কে এ নিলয় পরিচালিত ‘বউ’ ও অনিক বিশ্বাসের ‘শিরোনাম’ সিনেমার। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে ববি এখন ব্যস্ত বদিউল আলম খোকনের ‘তছনছ’ সিনেমার শুটিংয়ে। এই সিনেমায় তাঁর সহশিল্পী মুন্না খান। সিনেমাটির প্রযোজকও মুন্না খান। আরও অভিনয় করছেন মিশা সওদাগর, দীপা খন্দকার, জয়রাজ প্রমুখ।

ববি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেই তছনছ সিনেমার শুটিং শুরু করেছি। বিশাল আয়োজনে শুটিং হচ্ছে। আশা করছি ভালো একটি সিনেমা উপহার দিতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রেমিকা ক্যাথরিওনা হোয়াইটের সঙ্গে জিম ক্যারি। ছবি: ডেইলি মেইল
প্রেমিকা ক্যাথরিওনা হোয়াইটের সঙ্গে জিম ক্যারি। ছবি: ডেইলি মেইল

এক সময় হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিম ক্যারি যেন আজ রহস্যময় এক নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতীক। ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এর এই তারকা একসময় প্রতি সিনেমা থেকে ২ কোটি ডলার পারিশ্রমিক পেতেন। আর এখন তিনি প্রায় হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে (২০২৬) ফ্রান্সের মর্যাদাপূর্ণ সিজার অ্যাওয়ার্ডস-এর মঞ্চে জিম ক্যারিকে দেওয়া হবে ফরাসি চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মানগুলোর একটি। ফরাসিরা বিশ্বখ্যাত এই অভিনেতাকে ‘আধুনিক সিনেমার অন্যতম মৌলিক কণ্ঠ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আর বলেছে, ‘তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন—সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, এটি শিল্পের সাহসী ভাষাও হতে পারে।’

অথচ এই প্রশংসা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—সত্যিই কি জিম ক্যারির কর্মজীবন এতটা সাহসী ছিল?

কানাডীয় বংশোদ্ভূত এই অভিনেতা মাঝেমধ্যেই নিজেকে ফরাসি দস্যুর বংশধর বলে দাবি করতেন। ২০১০ সালে তিনি ফ্রান্সের ‘শেভালিয়ার অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস’ উপাধি পান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়—তিনি কখনো অস্কারের মনোনয়ন পাননি।

গত এক দশকে তাঁর উল্লেখযোগ্য কোনো চলচ্চিত্র নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাঁকে শুধু ‘সোনিক দ্য হেজহগ’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখা গেছে, যেখানে তাঁর সহ অভিনেতারা মূলত কম্পিউটার-নির্মিত চরিত্র। ২০২৭ সালে আসছে সিরিজটির চতুর্থ পর্ব। এটি হয়তো অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে, কিন্তু এটি তাঁর শিল্পজীবনে তেমন কিছু যোগ করবে না।

২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর শেষ দুটি সিনেমা ‘ডার্ক ক্রাইম’ ও ‘দ্য বেড ব্যাচ’ ছিল ভয়াবহ ব্যর্থতা। দুটি সিনেমাই সমালোচক ও দর্শকদের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। একসময় হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া এই অভিনেতা তখন থেকে প্রায় কর্মহীন, যেন তিনি অদৃশ্য হয়ে গেছেন।

জানা যায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে ১২ হাজার ৭০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রি করাও তাঁর জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে ৩.৮ মিলিয়ন ডলারে কেনা সেই বাড়ি ২০২৩ সালে ২৮.৯ মিলিয়নে বিক্রির জন্য তোলা হয়। কিন্তু ক্রেতা না পেয়ে বারবার দাম কমিয়ে অবশেষে ১৭ মিলিয়নে বিক্রি করতে হয়।

২০১৭ সাল থেকে তিনি হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি মূলত ছবি আঁকেন আর নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেন। ২০১৮ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একা থাকতে ভালোবাসি। তাই একা থাকা আমার কাছে কষ্ট নয়।’

তবে ক্যারি পুরোপুরি অবসর নেননি। সূত্র বলছে, তিনি নতুন কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছেন। এর মধ্যে ‘দ্য জেটসোন্স’ নামে ১৯৬০-এর দশকের একটি ক্ল্যাসিক কার্টুন সিরিজের লাইভ-অ্যাকশন রূপান্তরে অভিনয় করবেন তিনি।

২০২২ সালে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি শান্ত জীবন ভালোবাসি। আমি যা করেছি, যথেষ্ট করেছি। আমি পরিপূর্ণ।’ এরপর যখন তিনি ‘সোনিক-৩’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যুক্ত হন, তখন মজার ছলে বলেছিলেন, ‘আমি অনেক কিছু কিনেছি, তাই টাকার দরকার।’

কিন্তু জিম ক্যারির পতনের পেছনে কেবল ব্যর্থ সিনেমা নয়, ব্যক্তিজীবনের নানা অন্ধকার অধ্যায়ও কাজ করেছে।

২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অভিনেত্রী ও মডেল জেনি ম্যাককার্থির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। ম্যাককার্থি দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলের অটিজম নাকি ভ্যাকসিনের কারণে হয়েছিল। এমন একটি অগ্রহণযোগ্য ও ভ্রান্ত দাবিকে সে সময় ক্যারিও সমর্থন করেছিলেন। এই অবস্থান পরে তাঁকে অনেক ভক্ত ও সহকর্মীর বিরাগভাজন করে তোলে।

আরও ভয়াবহ ছিল ২০১২ সালে শুরু হওয়া তাঁর প্রেমিকা ক্যাথরিওনা হোয়াইটের সঙ্গে সম্পর্ক। বিবাহিত এই আইরিশ মেকআপ আর্টিস্ট ২০১৫ সালে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার মাত্র চার দিন আগেই ক্যারির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁর। আত্মহত্যার নোটে হোয়াইট লিখে গেছেন, ‘তুমি আমাকে ভেঙে দিয়েছ।’

এরপর হোয়াইটের স্বামী ও মা দুজনই ক্যারির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, তিনি অবৈধভাবে প্রেসক্রিপশন ওষুধ জোগাড় করেছিলেন এবং হোয়াইটকে যৌনরোগে সংক্রমিত করেছিলেন। ২০১৮ সালে এই মামলাগুলো খারিজ হয়ে গেলেও তত দিনে ভক্তদের কাছে ক্যারির ভাবমূর্তি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নিজ জীবনের বেদনা ও বিষণ্নতা সম্পর্কে ক্যারি নিজেও বহুবার খোলাখুলি কথা বলেছেন। তাঁর সাবেক স্ত্রী মেলিসা ওমর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ওর হাসিটাই ওর সবচেয়ে বড় মুখোশ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত