Ajker Patrika

হলিউড ছাড়লেন অ্যাম্বার হার্ড

আপডেট : ০৬ মে ২০২৩, ১৩: ০৪
হলিউড ছাড়লেন অ্যাম্বার হার্ড

হলিউড ছেড়ে স্পেনের মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। এমনটাই দাবি করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। সংবাদপত্রটির সাংবাদিক অ্যালিসন বোশফ গত বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন যে অ্যাম্বার হার্ড হলিউড ছেড়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘হার্ড হলিউড ছেড়ে কন্যা ওনাঘকে সঙ্গে নিয়ে স্পেনে পাড়ি জমিয়েছেন।’ হার্ডের এক বন্ধুর বরাত দিয়ে বোশফ বলেছেন, ‘অ্যাম্বার স্প্যানিশ ভাষায় দ্বিভাষী এবং সেখানেই তিনি খুশি। তিনি তাঁর মেয়েকে সমস্ত ঝামেলা থেকে দূরে রাখার জন্য স্পেনে পাড়ি জমিয়েছেন।’

হার্ডের বন্ধু ডেইলি মেইলকে আরও বলেন যে ৩৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী হলিউডে ফিরেও আসতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে তিনি সুখী জীবনযাপনের দিকেই মনোনিবেশ করছেন।

হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডঅভিনেত্রীর বন্ধুর মতে, ‘আমি মনে করি না যে তিনি কাজ বা হলিউডে ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো তাড়াহুড়ো করছেন। তবে সঠিক প্রকল্পের জন্য সঠিক সময়ে তিনি সম্ভবত ঠিকই ফিরে আসবেন।’

সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে পরাজয়ের পর নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন হার্ড। গত বছরের জুলাই মাসে তারকা ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজের ইউকা ভ্যালি ১.১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছেন। জনি ডেপের সঙ্গে মানহানির মামলার বিচারের প্রায় এক বছর পরে স্পেনে পাড়ি জমিয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড। 

২০১৭ সালে বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় হার্ডের। এরপর ২০১৮ সালে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের একটি নিবন্ধে ডেপের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন হার্ড। এতে ওই বছরই হার্ডের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলারের মানহানির মামলা করেন ডেপ। জনি ডেপ বলেন, ‘অ্যাম্বারের ওই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর আমার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। উপেক্ষা করেছে হলিউড। আমি চাই সত্যটা সামনে আসুক।’

সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে অ্যাম্বার হার্ডএরপর অ্যাম্বার হার্ডও ১০ কোটি ডলারের পাল্টা মামলা করেন ডেপের বিরুদ্ধে। ডেপের করা মামলার সাক্ষ্য দিতে এসে অ্যাম্বার বলেন, জনি ডেপের সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল ‘জাদুর’ মতো, কিন্তু হঠাৎই সহিংস হয়ে ওঠে সবকিছু। জনি ডেপের শরীরে আঁকা একটি ট্যাটু নিয়ে প্রশ্ন করে প্রথমবার নির্যাতনের শিকার হন বলে জানান তিনি। অভিনেত্রী বলেন, তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ট্যাটুতে কী লেখা আছে। উত্তরে ডেপ বলেছিলেন, ‘উইনো’। উত্তর শুনে হেসে ফেলেছিলেন হার্ড, ভেবেছিলেন এটা হয়তো কোনো কৌতুক। এরপরই জনি তাঁর গালে চড় মারেন বলে অভিযোগ করেন হার্ড। হার্ড তাঁর সাক্ষ্যে বলেন, এরপর তাঁকে আরও দুবার চড় মারেন জনি ডেপ।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ডেপ বলেন, তিনি কখনো অ্যাম্বার হার্ড বা কোনো নারীকে আঘাত করেননি, বরং হার্ডই অনৈতিক সুযোগ নিয়েছেন।

ডেপ দাবি করেন, মতের অমিল হলেই তাঁকে চড় কিংবা ধাক্কা দিতেন হার্ড। এমনকি একদিন মদের বোতল ছুড়ে মারেন হার্ড। এতে ডেপের ডান হাতের মধ্যমা আঙুলের ওপরের অংশ কেটে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত