বিশ্বনন্দিত ইরানি সিনেমা নির্মাতা জাফর পানাহির ছেলে পানাহ পানাহি প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। নাম ‘হিট দ্য রোড’। ছবিটির ক্যামেরাম্যান পানাহর বোন সোলমেজ পানাহি। ইরানে নিষিদ্ধ পরিচালক জাফরের ছেলের এই সিনেমা প্রথমবারের মতো দেখা গেল কানে। এই বছর ৭৩তম কান উৎসবে সিনেমাটি ‘ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট’ বিভাগে প্রতিযোগিতা করছে। ‘ইয়ার অব দ্য এভারলাস্টিং স্ট্রম’ এন্থলজি শর্টফিল্ম বানিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন। পানাহ বলেন, ‘সিনেমা নির্মাণের আগে থেকেই জানি যে আমার প্রথম লড়াইটা হবে আমার বাবার সঙ্গে। আমার বাবা কানে ১৯৯৫ সালেই পুরস্কিত হয়েছেন। আর মানুষ তাঁর সঙ্গে আমার তুলনা শুরু করবেন, এটাই স্বাভাবিক। যেটা আমার বাবার জন্য অস্বস্তির। কারণ তিনি চান যে আমার মৌলিক কোনো কৃতিত্ব থাকুক যার জন্য তিনি গর্ববোধ করতে পারেন। সারাজীবন আমি সেই চেষ্টাই করব। আর তার প্রথমধাপ এই সিনেমা। সিনেমাটি নির্মাণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো বাবার ছিটেফোঁটাও যেন এখানে আশ্রয় না পায়।’
এক ইরানি পরিবারের রোড ট্রিপের গল্প দেখানো হয়েছে ‘হিট দ্য রোড’ সিনেমায়। সিনেমায় ইরানের সমাজটাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে বাবার সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন পানাহ। নিজের প্রথম সিনেমায় বাবার সাহায্য ছিলো না? ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পানাহ বলেন,‘স্ক্রিপ্ট লিখে আমি বাবাকে দেখিয়েছি। বললাম আমি এই স্ক্রিপ্টে খুব শীঘ্রই শুটিং শুরু করতে চাই। বাবা কোনো কারেকশন দেননি। তবে পোস্ট প্রডাকশনে অনেক হেল্প করেছেন।’
দুই বছর আগে ৭১তম কান উৎসবেও পুরস্কৃত হয়েছিল জাফর পানাহির ছবি ‘থ্রি ফেসেস’। ছবিটি জিতে নিয়েছে আসরের সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার। তবে ‘গৃহবন্দি’ থাকার কারণে পুরস্কার নিতে পারেননি পানাহি। এই ছবিটি এডিটিং করেছিলেন পানাহ।
ইরান সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এনে ২০১০ সালে স্ত্রী-কন্যাসহ জাফর পানাহিকে গ্রেপ্তার করে। তখন তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, সঙ্গে ২০ বছর চলচ্চিত্র নির্মাণে নিষেধাজ্ঞাও। কারাভোগের পর এই নির্মাতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। বিদেশ ভ্রমণ ও সব রকম সাক্ষাৎকার দেওয়াতেও দেশটির আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এরপরও থমকে যাননি ৬১ বছর বয়সী এই হার না মানা নির্মাতা। সব প্রতিবন্ধকতাকে পায়ে ঢেলে নির্মাণ করে গেছেন চলচ্চিত্র। বন্দি জীবনে মোট চারটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। এর একটিই হলো ‘থ্রি ফেসেস’।
ফ্রান্স সরকার ইরান সরকারের কাছে পানাহিকে আসতে দেওয়ার সুপারিশ করলেও তাতে কাজ হয়নি। তার সম্মানে সেই বছর সংবাদ সম্মেলনের একটি চেয়ার শূন্য রাখা হয়।
‘থ্রি ফেসেস’ নির্মাণ করাটা এতো সহজ ব্যাপার ছিলো না। নিষেধাজ্ঞা কাঁধে নিয়ে লুকিয়ে পুরো ছবির শুটিং শেষ করতে হয়েছে। সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রামে ছবিটির শুটিং হয়। স্থানগুলোর মধ্যে একটি পানাহির বাবার জন্মস্থান, একটি তার মায়ের আর অন্যটি তার দাদার। সেখানকার মানুষ পানাহিকে চেনেন তাই শুটিং করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জাফর পানাহি।
বিশ্বনন্দিত ইরানি সিনেমা নির্মাতা জাফর পানাহির ছেলে পানাহ পানাহি প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। নাম ‘হিট দ্য রোড’। ছবিটির ক্যামেরাম্যান পানাহর বোন সোলমেজ পানাহি। ইরানে নিষিদ্ধ পরিচালক জাফরের ছেলের এই সিনেমা প্রথমবারের মতো দেখা গেল কানে। এই বছর ৭৩তম কান উৎসবে সিনেমাটি ‘ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট’ বিভাগে প্রতিযোগিতা করছে। ‘ইয়ার অব দ্য এভারলাস্টিং স্ট্রম’ এন্থলজি শর্টফিল্ম বানিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন। পানাহ বলেন, ‘সিনেমা নির্মাণের আগে থেকেই জানি যে আমার প্রথম লড়াইটা হবে আমার বাবার সঙ্গে। আমার বাবা কানে ১৯৯৫ সালেই পুরস্কিত হয়েছেন। আর মানুষ তাঁর সঙ্গে আমার তুলনা শুরু করবেন, এটাই স্বাভাবিক। যেটা আমার বাবার জন্য অস্বস্তির। কারণ তিনি চান যে আমার মৌলিক কোনো কৃতিত্ব থাকুক যার জন্য তিনি গর্ববোধ করতে পারেন। সারাজীবন আমি সেই চেষ্টাই করব। আর তার প্রথমধাপ এই সিনেমা। সিনেমাটি নির্মাণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো বাবার ছিটেফোঁটাও যেন এখানে আশ্রয় না পায়।’
এক ইরানি পরিবারের রোড ট্রিপের গল্প দেখানো হয়েছে ‘হিট দ্য রোড’ সিনেমায়। সিনেমায় ইরানের সমাজটাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে বাবার সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন পানাহ। নিজের প্রথম সিনেমায় বাবার সাহায্য ছিলো না? ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পানাহ বলেন,‘স্ক্রিপ্ট লিখে আমি বাবাকে দেখিয়েছি। বললাম আমি এই স্ক্রিপ্টে খুব শীঘ্রই শুটিং শুরু করতে চাই। বাবা কোনো কারেকশন দেননি। তবে পোস্ট প্রডাকশনে অনেক হেল্প করেছেন।’
দুই বছর আগে ৭১তম কান উৎসবেও পুরস্কৃত হয়েছিল জাফর পানাহির ছবি ‘থ্রি ফেসেস’। ছবিটি জিতে নিয়েছে আসরের সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার। তবে ‘গৃহবন্দি’ থাকার কারণে পুরস্কার নিতে পারেননি পানাহি। এই ছবিটি এডিটিং করেছিলেন পানাহ।
ইরান সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এনে ২০১০ সালে স্ত্রী-কন্যাসহ জাফর পানাহিকে গ্রেপ্তার করে। তখন তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, সঙ্গে ২০ বছর চলচ্চিত্র নির্মাণে নিষেধাজ্ঞাও। কারাভোগের পর এই নির্মাতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। বিদেশ ভ্রমণ ও সব রকম সাক্ষাৎকার দেওয়াতেও দেশটির আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এরপরও থমকে যাননি ৬১ বছর বয়সী এই হার না মানা নির্মাতা। সব প্রতিবন্ধকতাকে পায়ে ঢেলে নির্মাণ করে গেছেন চলচ্চিত্র। বন্দি জীবনে মোট চারটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। এর একটিই হলো ‘থ্রি ফেসেস’।
ফ্রান্স সরকার ইরান সরকারের কাছে পানাহিকে আসতে দেওয়ার সুপারিশ করলেও তাতে কাজ হয়নি। তার সম্মানে সেই বছর সংবাদ সম্মেলনের একটি চেয়ার শূন্য রাখা হয়।
‘থ্রি ফেসেস’ নির্মাণ করাটা এতো সহজ ব্যাপার ছিলো না। নিষেধাজ্ঞা কাঁধে নিয়ে লুকিয়ে পুরো ছবির শুটিং শেষ করতে হয়েছে। সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রামে ছবিটির শুটিং হয়। স্থানগুলোর মধ্যে একটি পানাহির বাবার জন্মস্থান, একটি তার মায়ের আর অন্যটি তার দাদার। সেখানকার মানুষ পানাহিকে চেনেন তাই শুটিং করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জাফর পানাহি।
এবারের ঈদুল আজহায় চরকি তার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসছে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক প্যাকেজ। এই এক ওটিটিতেই সিনেপ্রেমিরা পেয়ে যাবেন ভরপুর বিনোদন। সেই মহা আয়োজনের নাম ‘বিরাট গরুর হাট’। গ্রামীণফোন নিবেদিত এই আয়োজনে থাকছে দর্শকনন্দিত সেরা ৪টি চলচ্চিত্র। এগুলোর সব কটিই ইতোমধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতি ঈদেই সিঙ্গেলস্ক্রিন দখলে থাকে শাকিব খানের। এই ঈদে সেই প্রভাবটা যেন আরও বেশি। হল-সংকটের সময়েও ১৩২ হলে মুক্তি পেয়েছে তাণ্ডব। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের রেকর্ড বলে দাবি করছে।
১১ ঘণ্টা আগেআজ ঈদের দিন থেকে টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। ঈদের বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের খবর থাকছে পাঠকের জন্য।
১২ ঘণ্টা আগেঈদের দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে সাত পর্বের ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। বাছাই করা এসব ধারাবাহিকের খবর থাকছে পাঠকের জন্য।
১ দিন আগে