নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কোনোভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে শহরজুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে মানুষজন। আতঙ্ক ও অস্থিরতা সর্বত্র। একটু মানসিক স্বস্তির আশায় নানা মাধ্যমে জড়ো হচ্ছেন নাট্যকর্মীরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের করুণ অথবা আলৌকিক জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
অভিনেতা ও দর্শকের সম্মিলনের মধ্য দিয়েই থিয়েটার তৈরি হয়। কিন্তু করোনা এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে কাছাকাছি আসাটাই নিষিদ্ধ। তবু নানা বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে নাট্যকর্মীরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ ও মহড়া। করোনার কারণে অনেক দল সরাসরি মহড়ার আয়োজন করতে না পারলেও অনলাইনে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ, নাটকপাঠের মতো কার্যক্রম চলছে। নাট্যকর্মীদের আশা, খুব দ্রুতই দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে আবারও মঞ্চে আলো জ্বালাতে পারবেন তাঁরা। আবারও কোনো এক অভিনয় শিল্পীর দৃপ্ত কণ্ঠে কেঁপে উঠবে শিল্পকলা বা মহিলা সমিতির মঞ্চ।
করোনাকালে নাট্যচর্চা, নাট্যকর্মীদের সম্পৃক্ততা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সংগঠকেরা। করোনায় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পারিবারিক টানাপোড়েন ও ব্যক্তিগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে অনেক নাট্যকর্মীই স্বপ্নের মঞ্চ চিরতরে ছেড়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রেপার্টরি নাট্যদল তাড়ুয়ার সংগঠক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মাসের ১০ তারিখ আমাদের “লেট মি আউট” নাটকের শো করার কথা ছিল। আমরা অনলাইনে মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের কারণে আমাদের শো বাতিল করা হলো। এটা হলে আমাদের অভিনেতাদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিতে পারতাম।’
লকডাউনে নাট্যকর্মীদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় সবাই তাঁদের জীবন নির্বাহের জন্যে নানাবিধ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। একজন অভিনেতা শুধু অভিনয় করতে চান। কিন্তু অভিনয়ের সুযোগ কোথায়? বাধ্য হয়ে অন্য কাজ করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই আমাদের অনলাইন প্রশিক্ষণ ক্লাসগুলোতে যুক্ত হতে পারছে না। বর্তমানে যে অবস্থা—টাকা নেই, খাবার নেই; থিয়েটার করবে কিভাবে?’
করোনার আগের সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বদলে গেছে করোনা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট। যেখানে সরাসরি দর্শকের সামনে অভিনয় শিল্পীরা এক হয়ে ঘটনাকে রূপ দিতে মঞ্চে, এখন সেখানে একসঙ্গে মহড়া করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেকেই যুক্ত হতে পারছেন না মহড়ায়। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে যুক্ত হতে পারছেন না অনলাইন আড্ডা বা প্রশিক্ষণেও।
এম্পটি স্পেস থিয়েটার গত বছর করোনার পরপর জুলাই মাসে ‘নিউ টেস্টামেন্ট অব রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের মহড়া শুরু করেছিল। এর আগে করোনাকালে অনলাইনে নাটকটি নিয়ে কাজ করেন দলটির কর্মীরা। ডিসেম্বর মাসে নাটকটির প্রদর্শনী হয়। নাটকটি নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল দলটি। একইসঙ্গে হাইনার মুলারের ‘হ্যামলেট মেশিন’–এর কাজও শুরু করেছিল দলটি। জানুয়ারিতে প্রদর্শনীর কথা থাকলেও আবারও করোনার প্রকোপে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে দলটির।
দলটির সংগঠক গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত বলেন, ‘নতুন নাটকের কাজ শুরু করতে পারছি না। একটি নতুন নাটকের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। করোনার কারণে কোনো স্পনসর পাচ্ছি না। নিজেদের অবস্থাও খারাপ। দর্শকের আশায়ও নেমে পড়া যাচ্ছে না। নতুন নাটক নামিয়ে দর্শকের সামনেই যদি না আসতে পারি, তবে আর লাভ কী?’ এখন আবার করোনা মোকাবিলায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন দলটির সংগঠক ও কলা-কুশলীরা। দলের সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখতে অনলাইনে লাইট, সেট, কস্টিউম, প্রপসের ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ নাট্যকর্মীই মনে করছেন আপাতত মানুষের জীবন বাঁচানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অভিনেতাদের সুস্থ থেকে ব্যক্তিক চর্চার মাধ্যমে আত্মোন্নয়নই করণীয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ নাট্যকর্মী ও সংগঠকেরা।
এ বিষয়ে সুবচন নাট্য সংসদের সংগঠক আহমেদ গিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত এক বছর ধরে দলের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ। আমি মনে করি, আগে জীবনটা বাঁচুক, তারপর থিয়েটার। আমরা গত ফেব্রুয়ারি ‘মহাজনের নাও’–এর সর্বশেষ প্রদর্শনী করেছি। আর গত ফেব্রুয়ারিতে একটি পথনাটক। এ ছাড়া আর কিছু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একেবারেই কিছু করা সম্ভব না। করোনায় সবার অবস্থাই খারাপ। এটা কাটাতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে প্রতিনিয়ত অনলাইন আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরাসরি নাটকের মহড়ায় যুক্ত হওয়া সবার জন্যই বিপজ্জনক বলে মনে করেন আরণ্যক নাট্যদলের সংগঠক রিয়া চৌধুরী। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রম অনেকটা স্থগিত বলে জানান তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাট্যকর্মীরা মঞ্চে ফিরবেন বলে তিনি আশাবাদী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ‘গত বছর আমাদের “ফেসবুক” নাটকটির প্রদর্শনী হয়েছে। এর পর করোনার কারণে আর কোনো নতুন নাটকের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এই মাসে প্রদর্শনীর কথা ছিল। মার্চে আমরা মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু আবার সব বন্ধ হয়ে গেল।’
মঞ্চ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার ফলে অনেক নাট্যকর্মীই হতাশায় ভুগছেন। নাট্যদলগুলোতে বেশির ভাগ সদস্যই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুা তরুণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁরা ঢাকা বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে অনলাইন বা সরাসরি কোনো মহড়াতেই তাঁদের যুক্ত করা যাচ্ছে না। নেটওয়ার্ক সমস্যা ও অর্থনৈতিক সংকটও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তরুণ নাট্যকর্মীদের সামনে। তবুও সব বাধা উপেক্ষা করে শিগগিরই মঞ্চে ফিরবেন বলে আশা করছেন বিভিন্ন নাট্যদলের সংগঠকেরা। তাঁরা মনে করেন, একজন নাট্যকর্মী তখনই জীবন্ত হয়ে ওঠেন, যখন তিনি মঞ্চের আলোয় আলোকিত হন। সংকটময় পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরাসরি কাছাকাছি না থাকতে পারলেও বিকল্প মাধ্যমে দলবদ্ধ থাকার চেষ্টা করছেন নাট্যকর্মীরা।
করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কোনোভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে শহরজুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে মানুষজন। আতঙ্ক ও অস্থিরতা সর্বত্র। একটু মানসিক স্বস্তির আশায় নানা মাধ্যমে জড়ো হচ্ছেন নাট্যকর্মীরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের করুণ অথবা আলৌকিক জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
অভিনেতা ও দর্শকের সম্মিলনের মধ্য দিয়েই থিয়েটার তৈরি হয়। কিন্তু করোনা এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে কাছাকাছি আসাটাই নিষিদ্ধ। তবু নানা বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে নাট্যকর্মীরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ ও মহড়া। করোনার কারণে অনেক দল সরাসরি মহড়ার আয়োজন করতে না পারলেও অনলাইনে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ, নাটকপাঠের মতো কার্যক্রম চলছে। নাট্যকর্মীদের আশা, খুব দ্রুতই দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে আবারও মঞ্চে আলো জ্বালাতে পারবেন তাঁরা। আবারও কোনো এক অভিনয় শিল্পীর দৃপ্ত কণ্ঠে কেঁপে উঠবে শিল্পকলা বা মহিলা সমিতির মঞ্চ।
করোনাকালে নাট্যচর্চা, নাট্যকর্মীদের সম্পৃক্ততা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সংগঠকেরা। করোনায় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পারিবারিক টানাপোড়েন ও ব্যক্তিগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে অনেক নাট্যকর্মীই স্বপ্নের মঞ্চ চিরতরে ছেড়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রেপার্টরি নাট্যদল তাড়ুয়ার সংগঠক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মাসের ১০ তারিখ আমাদের “লেট মি আউট” নাটকের শো করার কথা ছিল। আমরা অনলাইনে মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের কারণে আমাদের শো বাতিল করা হলো। এটা হলে আমাদের অভিনেতাদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিতে পারতাম।’
লকডাউনে নাট্যকর্মীদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় সবাই তাঁদের জীবন নির্বাহের জন্যে নানাবিধ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। একজন অভিনেতা শুধু অভিনয় করতে চান। কিন্তু অভিনয়ের সুযোগ কোথায়? বাধ্য হয়ে অন্য কাজ করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই আমাদের অনলাইন প্রশিক্ষণ ক্লাসগুলোতে যুক্ত হতে পারছে না। বর্তমানে যে অবস্থা—টাকা নেই, খাবার নেই; থিয়েটার করবে কিভাবে?’
করোনার আগের সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বদলে গেছে করোনা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট। যেখানে সরাসরি দর্শকের সামনে অভিনয় শিল্পীরা এক হয়ে ঘটনাকে রূপ দিতে মঞ্চে, এখন সেখানে একসঙ্গে মহড়া করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেকেই যুক্ত হতে পারছেন না মহড়ায়। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে যুক্ত হতে পারছেন না অনলাইন আড্ডা বা প্রশিক্ষণেও।
এম্পটি স্পেস থিয়েটার গত বছর করোনার পরপর জুলাই মাসে ‘নিউ টেস্টামেন্ট অব রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের মহড়া শুরু করেছিল। এর আগে করোনাকালে অনলাইনে নাটকটি নিয়ে কাজ করেন দলটির কর্মীরা। ডিসেম্বর মাসে নাটকটির প্রদর্শনী হয়। নাটকটি নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল দলটি। একইসঙ্গে হাইনার মুলারের ‘হ্যামলেট মেশিন’–এর কাজও শুরু করেছিল দলটি। জানুয়ারিতে প্রদর্শনীর কথা থাকলেও আবারও করোনার প্রকোপে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে দলটির।
দলটির সংগঠক গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত বলেন, ‘নতুন নাটকের কাজ শুরু করতে পারছি না। একটি নতুন নাটকের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। করোনার কারণে কোনো স্পনসর পাচ্ছি না। নিজেদের অবস্থাও খারাপ। দর্শকের আশায়ও নেমে পড়া যাচ্ছে না। নতুন নাটক নামিয়ে দর্শকের সামনেই যদি না আসতে পারি, তবে আর লাভ কী?’ এখন আবার করোনা মোকাবিলায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন দলটির সংগঠক ও কলা-কুশলীরা। দলের সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখতে অনলাইনে লাইট, সেট, কস্টিউম, প্রপসের ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ নাট্যকর্মীই মনে করছেন আপাতত মানুষের জীবন বাঁচানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অভিনেতাদের সুস্থ থেকে ব্যক্তিক চর্চার মাধ্যমে আত্মোন্নয়নই করণীয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ নাট্যকর্মী ও সংগঠকেরা।
এ বিষয়ে সুবচন নাট্য সংসদের সংগঠক আহমেদ গিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত এক বছর ধরে দলের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ। আমি মনে করি, আগে জীবনটা বাঁচুক, তারপর থিয়েটার। আমরা গত ফেব্রুয়ারি ‘মহাজনের নাও’–এর সর্বশেষ প্রদর্শনী করেছি। আর গত ফেব্রুয়ারিতে একটি পথনাটক। এ ছাড়া আর কিছু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একেবারেই কিছু করা সম্ভব না। করোনায় সবার অবস্থাই খারাপ। এটা কাটাতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে প্রতিনিয়ত অনলাইন আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরাসরি নাটকের মহড়ায় যুক্ত হওয়া সবার জন্যই বিপজ্জনক বলে মনে করেন আরণ্যক নাট্যদলের সংগঠক রিয়া চৌধুরী। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রম অনেকটা স্থগিত বলে জানান তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাট্যকর্মীরা মঞ্চে ফিরবেন বলে তিনি আশাবাদী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ‘গত বছর আমাদের “ফেসবুক” নাটকটির প্রদর্শনী হয়েছে। এর পর করোনার কারণে আর কোনো নতুন নাটকের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এই মাসে প্রদর্শনীর কথা ছিল। মার্চে আমরা মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু আবার সব বন্ধ হয়ে গেল।’
মঞ্চ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার ফলে অনেক নাট্যকর্মীই হতাশায় ভুগছেন। নাট্যদলগুলোতে বেশির ভাগ সদস্যই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুা তরুণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁরা ঢাকা বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে অনলাইন বা সরাসরি কোনো মহড়াতেই তাঁদের যুক্ত করা যাচ্ছে না। নেটওয়ার্ক সমস্যা ও অর্থনৈতিক সংকটও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তরুণ নাট্যকর্মীদের সামনে। তবুও সব বাধা উপেক্ষা করে শিগগিরই মঞ্চে ফিরবেন বলে আশা করছেন বিভিন্ন নাট্যদলের সংগঠকেরা। তাঁরা মনে করেন, একজন নাট্যকর্মী তখনই জীবন্ত হয়ে ওঠেন, যখন তিনি মঞ্চের আলোয় আলোকিত হন। সংকটময় পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরাসরি কাছাকাছি না থাকতে পারলেও বিকল্প মাধ্যমে দলবদ্ধ থাকার চেষ্টা করছেন নাট্যকর্মীরা।
মিউজিক ট্যুরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড গড়ল ব্রিটিশ রক ব্যান্ড কোল্ড প্লে। গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১ লাখ ৩৪ হাজার জন দর্শক এসেছিলেন কোল্ড প্লের কনসার্টে। এটাই এখন পর্যন্ত কোনো মিউজিক ট্যুরের কনসার্টে সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতি। সেই সুবাদে গিনেস...
২ ঘণ্টা আগে৩০ জানুয়ারি লন্ডনে মারা গেছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগেনেট দুনিয়ায় রাতারাতি সেনসেশন বনে যাওয়া এ তরুণী বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে। বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনাও তাঁর রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কুম্ভ মেলায় এসে ভাগ্য খুলে গেল তাঁর। শোনা যাচ্ছে...
৭ ঘণ্টা আগে