মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ)
কুপি বাতি জ্বলছে। সেই কুপিবাতি ঘিরেই বেশ কিছু মানুষ গোল হয়ে বসে আছে। তাদের চোখ-মুখে ঔৎসুক্য। দূর থেকে মনে হতে পারে আলো দেখতেই বুঝি তাঁরা জড়ো হয়েছেন। কিন্তু একটু দূরত্ব কমলেই কানে এসে লাগবে সুন্দর সুরেলা একটি কণ্ঠ—
‘বলি গাছের কি বাহার
শুনলে হবেন চমৎকার
বলি গাছের কি বাহার
মেন্দিয়ে কয় আমি মেন্দি
আমি হইলাম সবার বান্দি
আমায় নিয়ে দেয় কত
নতুন বউয়ের উপহার।’
আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার বর্ণনা করছেন আবদুল মালেক, সেই গাছও কি একটু দুলে উঠছে না? উঠছে হয়তো।
এমন দৃশ্য আগে গ্রামবাংলায় হামেশাই দেখা গেলেও এখন অনেকটাই বিরল। সেই কুপিবাতিও নেই, নেই আবদুল মালেকেরাও।
পুঁথিগান বাংলার লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি গুরুপূর্ণ সম্পদ। কিশোরগঞ্জের পুঁথি নিয়ে ভাবতে গেলে যে নামটি প্রথমেই সামনে আসে, তা আবদুল মালেকের। ২০১২ সালের শেষ দিন, অর্থাৎ, ৩১ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। কিন্তু তাঁর গল্প, তাঁর পুথি পাঠের শৈলীর কথা এখনো ঘোরেফেরে মানুষের মুখে মুখে। হ্যাঁ, অবশ্যই তরুণদের নয়। মূলত পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মানুষের মুখের কথায় এবং অতি অবশ্যই মনে আবদুল মালেক এখনো জীবিত।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে প্রাচীনকাল থেকেই পুঁথি ও কবি গানের আসর বসত। বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, এমনকি শখ করে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি সন্ধ্যা নামলেই পুথি গান ও কবি গানের আসর বসত। মুখরিত হয়ে উঠত চারপাশ। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী লোকজন উঠান কিংবা বাড়ির বারান্দায় জড়ো হতো পুথি ও কবিগান শোনার জন্য।
আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির ছোঁয়ায় আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে পুথি ও কবি গান। মূল্যায়নের অভাবে এবং জীবিকার তাগিদে অনেক পুথি সাহিত্যিক ও গীতিকার অভিমান করে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের এই সাহিত্যকর্ম। অবমূল্যায়নের শঙ্কায় তাঁদের সন্তানদেরও তাঁরা শিখিয়ে যাননি এ শিল্পের কলাকৌশল। ফলে গ্রামবাংলার পুথি পাঠ ও কবি গানের আসর এখন বিলীনপ্রায়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্যতম পুথি সাহিত্যিক ছিলেন আবদুল মালেক। কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাগপাড়া গ্রামে ১৯৩৮ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম হয় আবদুল মালেকের। তাঁর বাবার নাম জহুর আলী।
আরিজ মিয়া আবদুল মালেকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন। তিনি বলেন, ‘মালেক ভাই কাজে-কর্মে খুব সুন্দর একজন মানুষ আছিল। আমরা কত দিন কত জায়গায় গিয়া পুথি গান শুনছি, তার কোনো হিসাব নাই। অহন মানুষও নাই, আর আগের পুথি গানও নাই!’ বললেন, তাঁর মতো আরও ছিলেন হারিয়াকান্দি গ্রামের ওয়াছ মিয়া, আলিম উদ্দিন ইত্যাদি।
কবি আবদুল মালেক ছোট সময় থেকেই নিজে নিজে গান তৈরি করে তা সুর করে পাঠ করে শোনাতেন লোকজনকে। গান সৃষ্টিতে অসামান্য দক্ষতা ও নিপুণ পাঠের কারণে খুব অল্প সময়ে কুলিয়ারচরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। শুধু কুলিয়ারচর নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে পুথি পাঠ করে তিনি সুনাম অর্জন করেন। তাঁর কবিতায়, গানে অমরত্ব পেয়েছেন স্থানীয় অনেকেই। এমনই একজন রুছতম আলী। একজন সফল কৃষক হিসেবেই আবদুল মালেকের কবিতায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন রুছতম আলী। তিনিও বেঁচে নেই আর। তবে আবদুল মালেকের কবিতায়-গানে তিনি যে জায়গা পেয়েছেন, তা তো মুছে যাওয়ার নয়—
‘কামালপুরের রুছমত আলী
সবার তিনি চেনা
সাদা-কালা হালের বলদ
গোলা ভরা দানা
মানুষের উপকারী
রুছমত আলী নাম
এই গেরামের সবাই জানে
কেমন যে তার দাম’
মানুষ রুছতম আলীর দাম যেমন জেনেছে, তেমনি জেনেছে তাদের প্রিয় আবদুল মালেকের দামও। তিনি নানা বিষয় নিয়ে পুথি গান রচনা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ভৈরবকে জেলা করাসহ অসংখ্য পুথি গান তৈরি করে গেয়েছেন তিনি। বিচিত্র তাঁর ভান্ডার। এসব সৃষ্টির অনেক কিছুই সেভাবে সংরক্ষিত নয়। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে, মগজে ও মনে তাঁর কবিতা ও গান রয়ে গেছে। শুরুতে আবদুল মালেকের যে পুথির কথা উল্লেখ করা হলো, তার নাম কেউ না জানলেও এই পুথির বাণী মানুষের মুখে এখনো শোনা যায়।
আবদুল মালেকের বড় ছেলে খালখাড়া কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু মুছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা তাৎক্ষণিকভাবে পুথি গান তৈরি করতে পারতেন। সব সময় তিনি হাসি-খুশি ছিলেন। মানুষকেও হাসি-খুশি রাখার চেষ্টা করতেন। আব্বা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেও শত শত গান তৈরি করে গেছেন। কটিয়াদী মুতি মিয়ার দোকানে এই পুথি গানগুলো রেকর্ড করা হতো। আধুনিক যুগে এসে মনে হচ্ছে—আব্বাকে, আব্বার কাজকে বাঁচিয়ে রাখাটা এখন খুব জরুরি।’
কোনাপাড়া গ্রামের শিক্ষক রাকিবুল হান্নান মিজান বলেন, ‘আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি তাঁকে। অনেক পুথি গান শুনেছি তাঁর মুখ থেকে। কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জেলার, বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা খুব ভালোভাবে জানেন, পুথি সাহিত্যিক আবদুল মালেক কে ছিলেন। তাঁর পুথি গানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাটা কুলিয়ারচরের মানুষের জন্য খুব জরুরি।’
কুলিয়ারচরে এখন কুপিবাতি বিরল। বিরল আবদুল মালেকের মতো মানুষও। তাঁদের কীর্তিও এমনকি সেভাবে রক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশের অন্য কোথাও কুলিয়ারচরের আবদুল মালেকের মতো কবি ও সাহিত্যিক আছেন কিনা, কে জানে। তাঁদের খোঁজই বা কে রাখে। তবে এই সময়ে এসে দেরিতে হলেও তাঁদের কাজ সংরক্ষণে যথাযথ মনযোগ দেওয়া দরকার।
কুপি বাতি জ্বলছে। সেই কুপিবাতি ঘিরেই বেশ কিছু মানুষ গোল হয়ে বসে আছে। তাদের চোখ-মুখে ঔৎসুক্য। দূর থেকে মনে হতে পারে আলো দেখতেই বুঝি তাঁরা জড়ো হয়েছেন। কিন্তু একটু দূরত্ব কমলেই কানে এসে লাগবে সুন্দর সুরেলা একটি কণ্ঠ—
‘বলি গাছের কি বাহার
শুনলে হবেন চমৎকার
বলি গাছের কি বাহার
মেন্দিয়ে কয় আমি মেন্দি
আমি হইলাম সবার বান্দি
আমায় নিয়ে দেয় কত
নতুন বউয়ের উপহার।’
আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার বর্ণনা করছেন আবদুল মালেক, সেই গাছও কি একটু দুলে উঠছে না? উঠছে হয়তো।
এমন দৃশ্য আগে গ্রামবাংলায় হামেশাই দেখা গেলেও এখন অনেকটাই বিরল। সেই কুপিবাতিও নেই, নেই আবদুল মালেকেরাও।
পুঁথিগান বাংলার লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি গুরুপূর্ণ সম্পদ। কিশোরগঞ্জের পুঁথি নিয়ে ভাবতে গেলে যে নামটি প্রথমেই সামনে আসে, তা আবদুল মালেকের। ২০১২ সালের শেষ দিন, অর্থাৎ, ৩১ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। কিন্তু তাঁর গল্প, তাঁর পুথি পাঠের শৈলীর কথা এখনো ঘোরেফেরে মানুষের মুখে মুখে। হ্যাঁ, অবশ্যই তরুণদের নয়। মূলত পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মানুষের মুখের কথায় এবং অতি অবশ্যই মনে আবদুল মালেক এখনো জীবিত।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে প্রাচীনকাল থেকেই পুঁথি ও কবি গানের আসর বসত। বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, এমনকি শখ করে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি সন্ধ্যা নামলেই পুথি গান ও কবি গানের আসর বসত। মুখরিত হয়ে উঠত চারপাশ। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী লোকজন উঠান কিংবা বাড়ির বারান্দায় জড়ো হতো পুথি ও কবিগান শোনার জন্য।
আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির ছোঁয়ায় আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে পুথি ও কবি গান। মূল্যায়নের অভাবে এবং জীবিকার তাগিদে অনেক পুথি সাহিত্যিক ও গীতিকার অভিমান করে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের এই সাহিত্যকর্ম। অবমূল্যায়নের শঙ্কায় তাঁদের সন্তানদেরও তাঁরা শিখিয়ে যাননি এ শিল্পের কলাকৌশল। ফলে গ্রামবাংলার পুথি পাঠ ও কবি গানের আসর এখন বিলীনপ্রায়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্যতম পুথি সাহিত্যিক ছিলেন আবদুল মালেক। কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাগপাড়া গ্রামে ১৯৩৮ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম হয় আবদুল মালেকের। তাঁর বাবার নাম জহুর আলী।
আরিজ মিয়া আবদুল মালেকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন। তিনি বলেন, ‘মালেক ভাই কাজে-কর্মে খুব সুন্দর একজন মানুষ আছিল। আমরা কত দিন কত জায়গায় গিয়া পুথি গান শুনছি, তার কোনো হিসাব নাই। অহন মানুষও নাই, আর আগের পুথি গানও নাই!’ বললেন, তাঁর মতো আরও ছিলেন হারিয়াকান্দি গ্রামের ওয়াছ মিয়া, আলিম উদ্দিন ইত্যাদি।
কবি আবদুল মালেক ছোট সময় থেকেই নিজে নিজে গান তৈরি করে তা সুর করে পাঠ করে শোনাতেন লোকজনকে। গান সৃষ্টিতে অসামান্য দক্ষতা ও নিপুণ পাঠের কারণে খুব অল্প সময়ে কুলিয়ারচরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। শুধু কুলিয়ারচর নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে পুথি পাঠ করে তিনি সুনাম অর্জন করেন। তাঁর কবিতায়, গানে অমরত্ব পেয়েছেন স্থানীয় অনেকেই। এমনই একজন রুছতম আলী। একজন সফল কৃষক হিসেবেই আবদুল মালেকের কবিতায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন রুছতম আলী। তিনিও বেঁচে নেই আর। তবে আবদুল মালেকের কবিতায়-গানে তিনি যে জায়গা পেয়েছেন, তা তো মুছে যাওয়ার নয়—
‘কামালপুরের রুছমত আলী
সবার তিনি চেনা
সাদা-কালা হালের বলদ
গোলা ভরা দানা
মানুষের উপকারী
রুছমত আলী নাম
এই গেরামের সবাই জানে
কেমন যে তার দাম’
মানুষ রুছতম আলীর দাম যেমন জেনেছে, তেমনি জেনেছে তাদের প্রিয় আবদুল মালেকের দামও। তিনি নানা বিষয় নিয়ে পুথি গান রচনা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ভৈরবকে জেলা করাসহ অসংখ্য পুথি গান তৈরি করে গেয়েছেন তিনি। বিচিত্র তাঁর ভান্ডার। এসব সৃষ্টির অনেক কিছুই সেভাবে সংরক্ষিত নয়। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে, মগজে ও মনে তাঁর কবিতা ও গান রয়ে গেছে। শুরুতে আবদুল মালেকের যে পুথির কথা উল্লেখ করা হলো, তার নাম কেউ না জানলেও এই পুথির বাণী মানুষের মুখে এখনো শোনা যায়।
আবদুল মালেকের বড় ছেলে খালখাড়া কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু মুছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা তাৎক্ষণিকভাবে পুথি গান তৈরি করতে পারতেন। সব সময় তিনি হাসি-খুশি ছিলেন। মানুষকেও হাসি-খুশি রাখার চেষ্টা করতেন। আব্বা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেও শত শত গান তৈরি করে গেছেন। কটিয়াদী মুতি মিয়ার দোকানে এই পুথি গানগুলো রেকর্ড করা হতো। আধুনিক যুগে এসে মনে হচ্ছে—আব্বাকে, আব্বার কাজকে বাঁচিয়ে রাখাটা এখন খুব জরুরি।’
কোনাপাড়া গ্রামের শিক্ষক রাকিবুল হান্নান মিজান বলেন, ‘আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি তাঁকে। অনেক পুথি গান শুনেছি তাঁর মুখ থেকে। কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জেলার, বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা খুব ভালোভাবে জানেন, পুথি সাহিত্যিক আবদুল মালেক কে ছিলেন। তাঁর পুথি গানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাটা কুলিয়ারচরের মানুষের জন্য খুব জরুরি।’
কুলিয়ারচরে এখন কুপিবাতি বিরল। বিরল আবদুল মালেকের মতো মানুষও। তাঁদের কীর্তিও এমনকি সেভাবে রক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশের অন্য কোথাও কুলিয়ারচরের আবদুল মালেকের মতো কবি ও সাহিত্যিক আছেন কিনা, কে জানে। তাঁদের খোঁজই বা কে রাখে। তবে এই সময়ে এসে দেরিতে হলেও তাঁদের কাজ সংরক্ষণে যথাযথ মনযোগ দেওয়া দরকার।
দর্শক চাহিদা না থাকায় প্রথম সপ্তাহ শেষ না হতেই শাকিব খান অভিনীত ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমাটি নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সিনেপ্লেক্স থেকে। সিঙ্গেল স্ক্রিনেও দর্শক টানতে পারেনি সিনেমাটি। অন্তরাত্মার ভরাডুবির কারণ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সিনেমার অন্যতম অভিনয়শিল্পী শাহেদ শরীফ খান।
৫ ঘণ্টা আগেদুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনো উৎসবের আমেজ ধরে রেখেছে ঈদের সিনেমাগুলো। প্রথমদিকে সিনেপ্লেক্সে কমসংখ্যক শো পেলেও সময়ের সঙ্গে বেড়ে চলেছে জংলির সিনেমার চাহিদা। তৃতীয় সপ্তাহ আরও বাড়ছে শোয়ের সংখ্যা।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলা নতুন বছরের শুরুতে আগামীকাল শুক্রবার নিজেদের নন্দিত নাটক ‘খনা’ মঞ্চে নিয়ে আসছে বটতলা। মোহাম্মদ আলী হায়দার নির্দেশিত নাটকটির ৯২তম মঞ্চায়ন হবে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে।
৮ ঘণ্টা আগেস্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই ঢাকাই সিনেমার সঙ্গে জড়িত সোহেল রানা। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর
১৮ ঘণ্টা আগে