‘এখন দেখছি, নাটক নয় তথাকথিত ক্ষমতার রাজনীতিই প্রধান হয়ে উঠেছে। …আমাদের প্রধান কাজ নাটক করা, নাটক নিয়ে রাজনীতি করা নয়’— কথাগুলো নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের।
অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব-বিবাদে অস্থির হয়ে উঠেছে মঞ্চপাড়া। গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় পরিষদের এক সভা ডেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান অভিনেতা কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দেয়। আনা হয় আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। একইসঙ্গে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সংগঠনের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রফিক উল্ল্যাহ সেলিমকেও।
বিপরীতে কামাল বায়েজীদও অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে। এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর বিবাদে অস্থির নাটকপাড়া। অস্বস্তিতে আছেন অভিনয়শিল্পীরা।
এ বিষয়ে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন রামেন্দু মজুমদার। থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’র ফেসবুক পেজে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তিন শতাধিক নাট্যদলের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন গঠিত হয় ১৯৮০ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন রামেন্দু মজুমদার। তাই নিজের হাতে গড়া সংগঠনের এমন দুর্দিনে এগিয়ে এসেছেন তিনি। খোলা চিঠিতে রামেন্দু মজুমদার প্রকাশ করেছেন নিজের মতামত।
রামেন্দু মজুমদার লিখেছেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠাকালে যে ফেডারেশানের স্বপ্ন দেখেছিলাম, আজকের পরিস্থিতি আমাদের কল্পনারও অতীত ছিল। অনেক কষ্ট করে সকল মত ও পথের মানুষকে ফেডারেশানের পতাকাতলে এক করে সংগঠনকে নাট্যকর্মীদের একটি বিশাল শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছিলাম। কোনো সরকারি আর্থিক অনুদান ছাড়া নিজেরা পরিশ্রম করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন ফেডারেশানের কাজকর্ম চালিয়েছি। আমরা সমবয়সী হলেও একে অন্যের সিদ্ধান্ত মেনে চলেছি, অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করেছি।
এখন দেখছি, নাটক নয় তথাকথিত ক্ষমতার রাজনীতিই প্রধান হয়ে উঠেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো ফেডারেশানের নির্বাচনে প্রার্থীরা দেশব্যাপী ঘুরে প্রচার চালান, প্রতিনিধিরা ঢাকায় এলে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন কেবল ভোটের আশায়। কী এমন মধু আছে ফেডারেশানে, আমি বুঝতে পারি না।
বর্তমানে ফেডারেশানের কর্তাব্যক্তিদের এই বিরোধ জনসমক্ষে নাট্যকর্মীদের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে কালিমালিপ্ত করেছে। এর দায় নাট্যকর্মীরা কেন নেবেন? তাঁরা সুন্দর পরিবেশে নাটক করতে চান। নোংরা রাজনীতি চান না।’
এই পরিস্থিতির সমাধানের জন্য ওই খোলা চিঠিতে কিছু প্রস্তাবনা প্রকাশ করেছেন রামেন্দু মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ‘এমন অবস্থায় আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের জন্যে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সকল কর্মকান্ড স্থগিত করা হোক এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হোক।
গঠনতান্ত্রিক উপায়ে কাজটি করার জন্যে ফেডারেশানের একটি জরুরি সাধারণ সভা আহবান করে এসব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বর্তমান নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় পরিষদ বাতিল করে ৭/৮ জনের একটি অ্যাডহক কমিটি করে দেওয়া যেতে পারে যারা বেশ কিছুদিন পর পরিস্থিতি শীতল হলে ফেডারেশানকে ঢেলে সাজিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করবেন। …আসুন সকলে নিজ নিজ নাট্যকর্মে মনোযোগ দিই। কারণ আমাদের প্রধান কাজ নাটক করা, নাটক নিয়ে রাজনীতি করা নয়।’
রামেন্দু মজুমদারের এই বক্তব্যে সহমত জানিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চলমান সংকট নিরসনে শ্রদ্ধাভাজন রামেন্দু মজুমদারের খোলা চিঠিতে প্রদত্ত প্রস্তাবে আমি সহমত প্রকাশ করছি।’
‘এখন দেখছি, নাটক নয় তথাকথিত ক্ষমতার রাজনীতিই প্রধান হয়ে উঠেছে। …আমাদের প্রধান কাজ নাটক করা, নাটক নিয়ে রাজনীতি করা নয়’— কথাগুলো নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের।
অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব-বিবাদে অস্থির হয়ে উঠেছে মঞ্চপাড়া। গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় পরিষদের এক সভা ডেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান অভিনেতা কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দেয়। আনা হয় আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। একইসঙ্গে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সংগঠনের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রফিক উল্ল্যাহ সেলিমকেও।
বিপরীতে কামাল বায়েজীদও অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে। এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর বিবাদে অস্থির নাটকপাড়া। অস্বস্তিতে আছেন অভিনয়শিল্পীরা।
এ বিষয়ে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন রামেন্দু মজুমদার। থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’র ফেসবুক পেজে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তিন শতাধিক নাট্যদলের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন গঠিত হয় ১৯৮০ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন রামেন্দু মজুমদার। তাই নিজের হাতে গড়া সংগঠনের এমন দুর্দিনে এগিয়ে এসেছেন তিনি। খোলা চিঠিতে রামেন্দু মজুমদার প্রকাশ করেছেন নিজের মতামত।
রামেন্দু মজুমদার লিখেছেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠাকালে যে ফেডারেশানের স্বপ্ন দেখেছিলাম, আজকের পরিস্থিতি আমাদের কল্পনারও অতীত ছিল। অনেক কষ্ট করে সকল মত ও পথের মানুষকে ফেডারেশানের পতাকাতলে এক করে সংগঠনকে নাট্যকর্মীদের একটি বিশাল শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছিলাম। কোনো সরকারি আর্থিক অনুদান ছাড়া নিজেরা পরিশ্রম করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন ফেডারেশানের কাজকর্ম চালিয়েছি। আমরা সমবয়সী হলেও একে অন্যের সিদ্ধান্ত মেনে চলেছি, অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করেছি।
এখন দেখছি, নাটক নয় তথাকথিত ক্ষমতার রাজনীতিই প্রধান হয়ে উঠেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো ফেডারেশানের নির্বাচনে প্রার্থীরা দেশব্যাপী ঘুরে প্রচার চালান, প্রতিনিধিরা ঢাকায় এলে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন কেবল ভোটের আশায়। কী এমন মধু আছে ফেডারেশানে, আমি বুঝতে পারি না।
বর্তমানে ফেডারেশানের কর্তাব্যক্তিদের এই বিরোধ জনসমক্ষে নাট্যকর্মীদের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে কালিমালিপ্ত করেছে। এর দায় নাট্যকর্মীরা কেন নেবেন? তাঁরা সুন্দর পরিবেশে নাটক করতে চান। নোংরা রাজনীতি চান না।’
এই পরিস্থিতির সমাধানের জন্য ওই খোলা চিঠিতে কিছু প্রস্তাবনা প্রকাশ করেছেন রামেন্দু মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ‘এমন অবস্থায় আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের জন্যে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সকল কর্মকান্ড স্থগিত করা হোক এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হোক।
গঠনতান্ত্রিক উপায়ে কাজটি করার জন্যে ফেডারেশানের একটি জরুরি সাধারণ সভা আহবান করে এসব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বর্তমান নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় পরিষদ বাতিল করে ৭/৮ জনের একটি অ্যাডহক কমিটি করে দেওয়া যেতে পারে যারা বেশ কিছুদিন পর পরিস্থিতি শীতল হলে ফেডারেশানকে ঢেলে সাজিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করবেন। …আসুন সকলে নিজ নিজ নাট্যকর্মে মনোযোগ দিই। কারণ আমাদের প্রধান কাজ নাটক করা, নাটক নিয়ে রাজনীতি করা নয়।’
রামেন্দু মজুমদারের এই বক্তব্যে সহমত জানিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের চলমান সংকট নিরসনে শ্রদ্ধাভাজন রামেন্দু মজুমদারের খোলা চিঠিতে প্রদত্ত প্রস্তাবে আমি সহমত প্রকাশ করছি।’
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে। তাঁর রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। সংক্রমণ বেড়ে গেছে। কিডনি জটিলতাও রয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
৫ মিনিট আগেক্রিকেট বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভালোবাসার জায়গা। বাংলাদেশের খেলার দিন মন পড়ে থাকে খেলার মাঠে। একটা ছক্কায় গোটা দেশ উল্লাসে মেতে ওঠে, একটা উইকেটে কোটি মানুষ একসঙ্গে চিৎকার করে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক গৌরবময় অধ্যায় ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়।
২ ঘণ্টা আগেনাট্যদল জাগরণী থিয়েটারের ২১তম প্রযোজনা ‘কাদামাটি’। গত জুলাইয়ে মঞ্চে এসেছে নাটকটি। আগামীকাল ১১ সেপ্টেম্বর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে দেখা যাবে এর তৃতীয় প্রদর্শনী।
৩ ঘণ্টা আগেঅনুমতি ছাড়া বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নাম-ছবি বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এআই নির্মিত অশ্লীল-বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তা-ই নয়, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তাঁর কণ্ঠস্বরেরও অপব্যবহার হচ্ছে। তাই ভারতীয় আইন মোতাবেক ‘ব্যক্তিত্বের অধিকার’ কার্যকর করার দাবি
১৪ ঘণ্টা আগে