
১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
বিনোদন ডেস্ক

‘৮৪০: দ্য গ্রেট বাংলা ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’ সিনেমার গল্পটা কী নিয়ে?
১৩ তারিখে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে। তখনই পুরো গল্পটা দেখতে পাব। তবে অল্প কথায় বলা যায়, এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার। একটা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা আমরা দেখতে পাই বা আমাদের দেশে দেখে এসেছি বিগত দিনগুলোতে, সেই ঘটনাগুলোরই কিছু কিছু আমরা দেখতে পাব একটা শহরকে কেন্দ্র করে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পার করলাম, এই বিষয়গুলো কি এসেছে সিনেমায়?
হ্যাঁ, এটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও আগে। শুটিং শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এর মাস ছয়েক পর আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলাম আমাদের দেশে। এই যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলাম, তার অনেক কিছুই আমাদের গল্পে উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম, পরিচালক লিখেছেন, এমনটা যে হবে আমি সত্যিই জানতাম না, কিন্তু মিরাকেলি এটা মিলে গেছে...
হ্যাঁ, এ রকম তো হয়। আর ডিরেক্টররা, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা তো অনেক কিছু দেখতে পান বা আঁচ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে একজন সাধারণ মানুষ যা দেখবে, তার চেয়ে হয়তো একটু বিস্তৃতভাবে দেখতে পান। সেগুলো তিনি তুলে আনেন, পরে হয়তো আমরা ঘটনাগুলো বাস্তবের সঙ্গে মিলাই।
ট্রেলার প্রচার হওয়ার পর থেকে দর্শকের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যতটুকু দেখা গেল, আপনি বোধ হয় মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ১০৩ পার্সেন্ট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন!
হ্যাঁ, এটাও হয় আরকি! কত কিছুই তো হয় রাজনীতিতে!
সহশিল্পী হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেন?
আমার সহশিল্পী ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, বিজরী বরকতউল্লাহ, জাকিয়া বারী মম, আশুতোষ সুজনসহ অনেকেই। সব সহশিল্পীর কাছ থেকেই আমি বেশ কমফোর্ট পেয়েছি। এর মূল কারণ হয়তো ফারুকী ভাই সবাইকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ। উনারা জানেন, যে কাজটা করছি, এটা যদি সবাই মিলেমিশে করি, তাহলেই ভালো একটা কাজ হবে। ফলে আমরা সবাই ওরকম মাস্তি নিয়ে কাজটা করেছি। শুধু অভিনয়শিল্পীরাই নয়, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশন বয় পর্যন্ত সবাই আমরা মাস্তি নিয়ে কাজ করেছি। যদিও পরিচালক অনেক টেনশনে ছিলেন।
কিসের টেনশন?
যেহেতু এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার এবং এখানে রাজনৈতিক অনেক ব্যাপার-স্যাপার উঠে আসবে, এটা না আবার জানাজানি হয়ে যায় আগে। তাহলে হয়তো সিনেমা রিলিজ দেওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ত, যদিও তিনি ওই সময়ে আমাদের এসব টেনশন বুঝতেই দেননি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যখন সিনেমা বানান, যত দূর শুনেছি স্ক্রিপ্টটা উনি নিজের মাথায় বেশি রাখেন এবং যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদেরকে চরিত্র হয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। আপনি তো তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো আপনার?
উনার সঙ্গে প্রথম কাজ হলেও উনার ঘরানার কাজ আমি করেছি উনার শিষ্য আশফাক নিপুণের সঙ্গে। তবে ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার সময় কিন্তু আমরা স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। যদিও পরে এর পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন হয়েছে। কিন্তু বেসিক জিনিসটা ঠিক ছিল। তা ছাড়া কাজী ডব্লিউ চরিত্রটার জন্য আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি, রিহার্সালও করেছি। যখনই কোনো বিষয় মাথায় এসেছে, আমরা ফোনে কথা বলে নিয়েছি। পরিচালক হিসেবে উনি ওয়ান্ডারফুল।
আপনার চরিত্রের নাম তাহলে ডব্লিউ?
কাজী ডব্লিউ।
সিনেমায় একটা সংলাপ দেখলাম, ‘আমি এত উন্নয়ন করেছি, তবু কেউ আমায় ভালোবাসল না কেন?’ সংলাপটা কী আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধিত্ব করে?
অবশ্যই করে। দেখুন এটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার বা যা-ই হোক না কেন, মানুষ তো বিনোদন পাবেই। আমার ধারণা, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এখন থেকে একটা বিশাল শিক্ষা পাওয়া উচিত। যদিও আমরা সবাই সবকিছু জানি, তবু চোখের সামনে যখন দেখতে পাই, তখন বিবেককে একটু তো নাড়া দেয় আসলে।
৮৪০-কে বলা হচ্ছে ৪২০ ধারাবাহিকের ডাবলআপ। কেন বলা হচ্ছে?
দুটোই আসলে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সে জন্যই এমনটা বলা হচ্ছে। তবে এটা কোনোভাবেই ৪২০-এর সিকুয়াল নয়, এর গল্প বা চরিত্রগুলো একেবারেই ভিন্ন, নতুন। কিন্তু ঘরানাটা হয়তো এক।

এই যে একটা শহরকে ঘিরে গল্প। এটা কোন শহর?
এটা কাল্পনিক একটা শহর।
মাইশেলফ অ্যালেন স্বপনে দেখেছি হাসতে হাসতে ভয়ংকর সব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সিনেমায়ও কি তেমনটাই করেছেন?
অ্যালেন স্বপনের যে ঘটনা ওখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার ছিল না, কিন্তু এখানে পুরো ঘটনাই সরাসরি রাজনৈতিক এবং কাজী ডব্লিউ একজন রাজনীতিবিদ। একজন রাজনীতিবিদকে আমরা যে রকম দেখি, তেমনটাই এখানে দেখতে পাব কাজী ডব্লিউর মাঝে।
নানা রকম ছলচাতুরী, আগুন লাগিয়ে দিয়ে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া, এই সব?
হ্যাঁ, যেটা আমরা ট্রেলারে দেখলাম।
সিনেমার বেলায় গ্ল্যামারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি অভিনয়টা?
এগুলো প্রায় কাছাকাছি। তবে আমার মনে হয়, যেকোনো বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সেটা অভিনয় দিয়ে পূরণ করা যায়। কিন্তু অভিনয় না জানলে সেটা পূরণ করা মুশকিল।
আপনি তো থিয়েটার করা মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে থিয়েটারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যেমন প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া, অভিনয় না করার অনুরোধ বা শিল্পীদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারা—এসব ঘটনা কি আপনাকে পীড়া দেয়?
অবশ্যই পীড়া দেয়। অনেক কিছুই পীড়া দেয়। কিন্তু যখন আমি এসব নিতে পারি না, তখন চোখটা বন্ধ করে রাখি। আমি ততটা দায়িত্ব নিতে চাই না, যতটা নিলে আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আপনার অভিনীত ‘বলি: দ্য রেসলার’ বুসানে পুরস্কার জিতেছে। অস্কার প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি?
নির্মাতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সেন্সর সনদ পেলেই দেশে মুক্তি দেবেন, তবে কবে দেবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন, আমি না। তবে সিনেমাটা কানাডায় মুক্তি পেয়েছিল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর স্ক্রিনে আপনার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ কী?
আমি তো কাজ করেছি। কিন্তু মুক্তি পায়নি বলে হয়তো স্ক্রিন উপস্থিতি কম ছিল।

নতুন আর কী কাজ করলেন?
রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’, এটাও পলিটিক্যাল গল্প নিয়ে কাজ। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনন্য প্রতীক চৌধুরী নামের একজন নতুন পরিচালকের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ করলাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন দীপা খন্দকার, পার্থসহ অনেকেই।
আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার পরিবার অনেক বড়। আমরা পাঁচ ভাই, এক বোন। আমরা ভাইয়েরা সবাই এক জায়গায় থাকি, যদিও আমাদের রান্নার হাঁড়ি ভিন্ন। আমার একান্ত পরিবারের মাঝে আছে আমার স্ত্রী আর আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে কলেজে পড়ে আর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।
ছেলে-মেয়েরা কী অভিনয় করে?
না, তারা আছে তাদের মতো, পড়াশোনা নিয়ে।
আপনার থিয়েটার লাইফ সম্পর্কে বলুন।
আমার দলের নাম তীর্যক নাট্যগোষ্ঠী চট্টগ্রাম, ওখানে আমি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছি। এখনো আছি গ্রুপের সঙ্গে, তবে নিয়মিত সময় দিতে পারি না।
এই সময়ে আমাদের সিনেমা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
যেমন হওয়া উচিত, তেমন সিনেমা এখন তৈরি হচ্ছে। ভালো গল্প হচ্ছে, ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে। মেধাবী অনেক পরিচালক, অভিনেতা পাওয়া যাচ্ছে, সিনেমার প্রায় সব সেক্টরেই মেধাবীদের পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আমরা রাইট ট্র্যাকেই আছি।
‘৮৪০: দ্য গ্রেট বাংলা ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’ সিনেমার গল্পটা কী নিয়ে?
১৩ তারিখে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে। তখনই পুরো গল্পটা দেখতে পাব। তবে অল্প কথায় বলা যায়, এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার। একটা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা আমরা দেখতে পাই বা আমাদের দেশে দেখে এসেছি বিগত দিনগুলোতে, সেই ঘটনাগুলোরই কিছু কিছু আমরা দেখতে পাব একটা শহরকে কেন্দ্র করে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পার করলাম, এই বিষয়গুলো কি এসেছে সিনেমায়?
হ্যাঁ, এটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও আগে। শুটিং শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এর মাস ছয়েক পর আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলাম আমাদের দেশে। এই যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলাম, তার অনেক কিছুই আমাদের গল্পে উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম, পরিচালক লিখেছেন, এমনটা যে হবে আমি সত্যিই জানতাম না, কিন্তু মিরাকেলি এটা মিলে গেছে...
হ্যাঁ, এ রকম তো হয়। আর ডিরেক্টররা, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা তো অনেক কিছু দেখতে পান বা আঁচ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে একজন সাধারণ মানুষ যা দেখবে, তার চেয়ে হয়তো একটু বিস্তৃতভাবে দেখতে পান। সেগুলো তিনি তুলে আনেন, পরে হয়তো আমরা ঘটনাগুলো বাস্তবের সঙ্গে মিলাই।
ট্রেলার প্রচার হওয়ার পর থেকে দর্শকের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যতটুকু দেখা গেল, আপনি বোধ হয় মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ১০৩ পার্সেন্ট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন!
হ্যাঁ, এটাও হয় আরকি! কত কিছুই তো হয় রাজনীতিতে!
সহশিল্পী হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেন?
আমার সহশিল্পী ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, বিজরী বরকতউল্লাহ, জাকিয়া বারী মম, আশুতোষ সুজনসহ অনেকেই। সব সহশিল্পীর কাছ থেকেই আমি বেশ কমফোর্ট পেয়েছি। এর মূল কারণ হয়তো ফারুকী ভাই সবাইকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ। উনারা জানেন, যে কাজটা করছি, এটা যদি সবাই মিলেমিশে করি, তাহলেই ভালো একটা কাজ হবে। ফলে আমরা সবাই ওরকম মাস্তি নিয়ে কাজটা করেছি। শুধু অভিনয়শিল্পীরাই নয়, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশন বয় পর্যন্ত সবাই আমরা মাস্তি নিয়ে কাজ করেছি। যদিও পরিচালক অনেক টেনশনে ছিলেন।
কিসের টেনশন?
যেহেতু এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার এবং এখানে রাজনৈতিক অনেক ব্যাপার-স্যাপার উঠে আসবে, এটা না আবার জানাজানি হয়ে যায় আগে। তাহলে হয়তো সিনেমা রিলিজ দেওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ত, যদিও তিনি ওই সময়ে আমাদের এসব টেনশন বুঝতেই দেননি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যখন সিনেমা বানান, যত দূর শুনেছি স্ক্রিপ্টটা উনি নিজের মাথায় বেশি রাখেন এবং যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদেরকে চরিত্র হয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। আপনি তো তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো আপনার?
উনার সঙ্গে প্রথম কাজ হলেও উনার ঘরানার কাজ আমি করেছি উনার শিষ্য আশফাক নিপুণের সঙ্গে। তবে ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার সময় কিন্তু আমরা স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। যদিও পরে এর পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন হয়েছে। কিন্তু বেসিক জিনিসটা ঠিক ছিল। তা ছাড়া কাজী ডব্লিউ চরিত্রটার জন্য আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি, রিহার্সালও করেছি। যখনই কোনো বিষয় মাথায় এসেছে, আমরা ফোনে কথা বলে নিয়েছি। পরিচালক হিসেবে উনি ওয়ান্ডারফুল।
আপনার চরিত্রের নাম তাহলে ডব্লিউ?
কাজী ডব্লিউ।
সিনেমায় একটা সংলাপ দেখলাম, ‘আমি এত উন্নয়ন করেছি, তবু কেউ আমায় ভালোবাসল না কেন?’ সংলাপটা কী আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধিত্ব করে?
অবশ্যই করে। দেখুন এটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার বা যা-ই হোক না কেন, মানুষ তো বিনোদন পাবেই। আমার ধারণা, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এখন থেকে একটা বিশাল শিক্ষা পাওয়া উচিত। যদিও আমরা সবাই সবকিছু জানি, তবু চোখের সামনে যখন দেখতে পাই, তখন বিবেককে একটু তো নাড়া দেয় আসলে।
৮৪০-কে বলা হচ্ছে ৪২০ ধারাবাহিকের ডাবলআপ। কেন বলা হচ্ছে?
দুটোই আসলে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সে জন্যই এমনটা বলা হচ্ছে। তবে এটা কোনোভাবেই ৪২০-এর সিকুয়াল নয়, এর গল্প বা চরিত্রগুলো একেবারেই ভিন্ন, নতুন। কিন্তু ঘরানাটা হয়তো এক।

এই যে একটা শহরকে ঘিরে গল্প। এটা কোন শহর?
এটা কাল্পনিক একটা শহর।
মাইশেলফ অ্যালেন স্বপনে দেখেছি হাসতে হাসতে ভয়ংকর সব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সিনেমায়ও কি তেমনটাই করেছেন?
অ্যালেন স্বপনের যে ঘটনা ওখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার ছিল না, কিন্তু এখানে পুরো ঘটনাই সরাসরি রাজনৈতিক এবং কাজী ডব্লিউ একজন রাজনীতিবিদ। একজন রাজনীতিবিদকে আমরা যে রকম দেখি, তেমনটাই এখানে দেখতে পাব কাজী ডব্লিউর মাঝে।
নানা রকম ছলচাতুরী, আগুন লাগিয়ে দিয়ে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া, এই সব?
হ্যাঁ, যেটা আমরা ট্রেলারে দেখলাম।
সিনেমার বেলায় গ্ল্যামারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি অভিনয়টা?
এগুলো প্রায় কাছাকাছি। তবে আমার মনে হয়, যেকোনো বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সেটা অভিনয় দিয়ে পূরণ করা যায়। কিন্তু অভিনয় না জানলে সেটা পূরণ করা মুশকিল।
আপনি তো থিয়েটার করা মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে থিয়েটারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যেমন প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া, অভিনয় না করার অনুরোধ বা শিল্পীদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারা—এসব ঘটনা কি আপনাকে পীড়া দেয়?
অবশ্যই পীড়া দেয়। অনেক কিছুই পীড়া দেয়। কিন্তু যখন আমি এসব নিতে পারি না, তখন চোখটা বন্ধ করে রাখি। আমি ততটা দায়িত্ব নিতে চাই না, যতটা নিলে আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আপনার অভিনীত ‘বলি: দ্য রেসলার’ বুসানে পুরস্কার জিতেছে। অস্কার প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি?
নির্মাতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সেন্সর সনদ পেলেই দেশে মুক্তি দেবেন, তবে কবে দেবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন, আমি না। তবে সিনেমাটা কানাডায় মুক্তি পেয়েছিল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর স্ক্রিনে আপনার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ কী?
আমি তো কাজ করেছি। কিন্তু মুক্তি পায়নি বলে হয়তো স্ক্রিন উপস্থিতি কম ছিল।

নতুন আর কী কাজ করলেন?
রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’, এটাও পলিটিক্যাল গল্প নিয়ে কাজ। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনন্য প্রতীক চৌধুরী নামের একজন নতুন পরিচালকের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ করলাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন দীপা খন্দকার, পার্থসহ অনেকেই।
আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার পরিবার অনেক বড়। আমরা পাঁচ ভাই, এক বোন। আমরা ভাইয়েরা সবাই এক জায়গায় থাকি, যদিও আমাদের রান্নার হাঁড়ি ভিন্ন। আমার একান্ত পরিবারের মাঝে আছে আমার স্ত্রী আর আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে কলেজে পড়ে আর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।
ছেলে-মেয়েরা কী অভিনয় করে?
না, তারা আছে তাদের মতো, পড়াশোনা নিয়ে।
আপনার থিয়েটার লাইফ সম্পর্কে বলুন।
আমার দলের নাম তীর্যক নাট্যগোষ্ঠী চট্টগ্রাম, ওখানে আমি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছি। এখনো আছি গ্রুপের সঙ্গে, তবে নিয়মিত সময় দিতে পারি না।
এই সময়ে আমাদের সিনেমা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
যেমন হওয়া উচিত, তেমন সিনেমা এখন তৈরি হচ্ছে। ভালো গল্প হচ্ছে, ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে। মেধাবী অনেক পরিচালক, অভিনেতা পাওয়া যাচ্ছে, সিনেমার প্রায় সব সেক্টরেই মেধাবীদের পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আমরা রাইট ট্র্যাকেই আছি।

২০০০ সাল জুলাই থেকে টানা সাড়ে ৮ বছর ধরে টিভি চ্যানেল স্টার প্লাসে চলেছিল জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’। দেশ-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিয়ালটি। এক নববধূর শাশুড়ির সঙ্গে জটিল সম্পর্ক এবং সবকিছু দায়িত্বের সঙ্গে সামলে নেওয়ার এই গল্প সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭৬ সালে একদল তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা গান লিখবেন, গাইবেন, সুর করবেন, বাজাবেন। পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। এ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’।
৮ ঘণ্টা আগে
টিভি নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সবার লক্ষ্য থাকে সিনেমায় অভিনয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছোট পর্দার কয়েকজন অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। নাটকে প্রমাণ করার পর বড় পর্দায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণরা। এ মাসের শুরুতে প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তানজিন তিশা।
৮ ঘণ্টা আগে
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে তানিম নূর বানাচ্ছেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামের সিনেমা। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম। এত দিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বললেন মোশাররফ। জানালেন, সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০০০ সাল জুলাই থেকে টানা সাড়ে ৮ বছর ধরে টিভি চ্যানেল স্টার প্লাসে চলেছিল জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’। দেশ-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিয়ালটি। এক নববধূর শাশুড়ির সঙ্গে জটিল সম্পর্ক এবং সবকিছু দায়িত্বের সঙ্গে সামলে নেওয়ার এই গল্প সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। দর্শকেরা নিজেদের দৈনন্দিন রুটিনই পাল্টে ফেলেছিলেন যাতে কোনো পর্ব মিস না হয়। এই সিরিয়ালে নববধূ তুলসীর চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী এবং ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ২৫ বছর আগের এই সিরিয়াল আবারও ফিরে এসেছে পর্দায়। ভিরানি পরিবারের বৌ তুলসী এখন মধ্যবয়সী। সন্তানেরা বড় হয়েছে। এখন তিনি শাশুড়ি হতে চলেছেন।
জনপ্রিয় এই সিরিয়ালের দ্বিতীয় ভার্সন যতটা না মনোযোগ কেড়েছে তার চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে এই সিরিয়ালে বিল গেটসের উপস্থিতি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধারাবাহিকটির একটি পর্বের একটি অংশে দেখা গেছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজসেবক বিল গেটসকে। দেখা যায়, এই সিরিয়ালের মূল চরিত্র তুলসী অর্থাৎ স্মৃতি ইরানির সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন তিনি।
মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন বিল গেটস। উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে গেটস ফাউন্ডেশন ভারতের জনবহুল দুই রাজ্য উত্তর প্রদেশ ও বিহারে সরকারের সঙ্গে মিলিতভাবে শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু কমানোর উদ্যোগে কাজ করছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে ভারতের ওই রাজ্যগুলোতে মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্যের সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে গভীরভাবে প্রোথিত পিতৃতান্ত্রিক সমাজে এখনো বহু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা তৈরির বার্তা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে সমাজের ধারা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে এবং মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পারে মেয়েশিশু ও মায়েদের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা। আর এই লক্ষ্য পূরণের জন্য, ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’ সিরিয়ালের চেয়ে বিল গেটসের জন্য উপযুক্ত কোনো প্ল্যাটফর্ম সম্ভবত আর হতে পারত না।
নতুন সিরিয়ালটি নিয়ে কলামনিস্ট ও দ্য প্রিন্ট অনলাইন সংবাদমাধ্যমের রিডার্স এডিটর শৈলজা বাজপাই বলেন, ২৫ বছর আগের মতো তুলসী এখনো লড়ছেন। ঈর্ষান্বিত ও ভুলপথে চলা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আগের মতোই গল্পে রয়ে গেছে প্রচুর নাটকীয়তা, এমনকি মেলোড্রামাও।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি গ্যাজেট, মোবাইল ফোন আর ল্যাপটপগুলো সরিয়ে দেন, অর্থাৎ বাহ্যিক সাজসজ্জা বাদ দেন তাহলে মূলত গল্পটা একই রয়ে গেছে। কেবল এটাকে নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে আপডেট করা হয়েছে।’
শৈলজা বাজপাই যোগ করেন, তবে এখনকার ধারাবাহিকের একটি বড় পরিবর্তন হলো সামাজিক বার্তা (social messaging) অনেক বেশি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা স্মৃতি ইরানির বর্তমান পরিচয়ের সঙ্গেও মানানসই। তিনি একসময় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাই এখন ধারাবাহিকটি বিবাহবিচ্ছেদ, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও কথা বলছে।’
চার মিনিটের দৃশ্যটির শুরুতে দেখা যায়, আমেরিকান উচ্চারণে হিন্দি বলে তুলসীকে সম্ভাষণ জানান বিল গেটস, ‘নমস্তে তুলসীজি।’ সঙ্গে এটাও জিজ্ঞেস করেন, ‘ঠিক বলেছি তো?’
তুলসী হাসিমুখে জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, একদম!’
তুলসীকে একটি শিশুর জন্মের আগে ‘গোধ-ভারাই’ অনুষ্ঠানে গর্ভবতী মাকে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ দিতে দেখা যায়। এরপর এই বিল গেটসের কাছ থেকে কল আসে তাঁর কাছে।
তুলসীর ছেলে তাঁর মায়ের স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়ার সময়টি ভিডিওতে ধারণ করেছিলেন এবং সেটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বিল গেটসকে ট্যাগ করেছিলেন। আর তাঁর মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার আমন্ত্রণ জানান।
তুলসীর ছেলে মাকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান, ‘তিনি রাজি হয়েছেন!’
তুলসী কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে বলেন, ‘ওনার সঙ্গে আমি কী বলব? আমি তো শুধু তোমাদের সঙ্গেই বা তোমার বাবার সঙ্গে ভিডিও কল করি, সেটাও বাজার-সদাই নিয়ে!’
কিন্তু একবার ল্যাপটপে কল সংযুক্ত হয়ে বিল গেটস পর্দায় আসতেই তুলসী নিজের স্বাভাবিক আত্মবিশ্বাসে ফিরে আসেন। তারপর কুশল বিনিময় শেষে ঐতিহ্যবাহী ‘গোধ-ভারাই’ আচারটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে থাকেন।
তুলসী চরিত্রে স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘এই আয়োজনে সবাই মিলে গর্ভবতী মাকে আশীর্বাদ দিতে এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনায় একত্রিত হই। আমরা নারীদের বলি, নিজের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও খাদ্যের যত্ন নেওয়া কতটা জরুরি। আমরা তাদের পরামর্শ দিই চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলতে এবং সন্তান জন্মের জন্য হাসপাতালে যেতে।’
গেটস ও তুলসী দুজনেই এই কথায় একমত হন যে, ‘যখন মায়েরা সুস্থ থাকেন, তখন শিশুরা ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, আর তখনই আসলে বিশ্ব এগিয়ে যায়।’
বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ধারাবাহিকটির প্রযোজনা সংস্থা জিওস্টার এন্টারটেইনমেন্ট জানায়, মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করতে তারা গল্প বলার মাধ্যম ব্যবহার করছে।
জিওস্টারের সুমন্ত বোস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গল্প বলা শুধু বিনোদনের জন্য নয়। এটি মানুষকে তথ্য দিতে পারে, অনুপ্রাণিত করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা কাহিনীর বুননে সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে এমন প্রভাব সৃষ্টি করতে চাই, যা পর্দার বাইরে গিয়ে মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনে।’
বিল গেটস ধারাবাহিকটির তিনটি পর্বে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে জিওস্টার।
কলামিস্ট শৈলজা বলেন, দ্বিতীয় যাত্রায় ধারাবাহিকটিকে এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অসংখ্য নতুন কনটেন্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে এবং এটি আগের মতো দর্শকদের মনে সেই সাড়া তুলতে পারেনি। তবে গেটসের এই অপ্রত্যাশিত উপস্থিতি ধারাবাহিকটিকে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আবারও আলোচনায় ফিরিয়ে এনেছে।
পর্বটির চার মিনিটের এই প্রোমো এক দিনেরও কম সময়ে ইনস্টাগ্রামে ছয় মিলিয়নের বেশি ভিউ পেয়েছে। মন্তব্যের ঘরে নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাজার হাজার নেটিজেন।
একটি মন্তব্যে লেখা ছিল, ‘এটা কোন মাল্টিভার্স!’ এই মন্তব্যে ১৭ হাজারেরও বেশি লাইক পড়ে।
আরেকজন লিখেছেন, “এটা একদমই ‘ক্রিঞ্জ’, কিন্তু একই সঙ্গে দারুণও লাগছে! ”

২০০০ সাল জুলাই থেকে টানা সাড়ে ৮ বছর ধরে টিভি চ্যানেল স্টার প্লাসে চলেছিল জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’। দেশ-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিয়ালটি। এক নববধূর শাশুড়ির সঙ্গে জটিল সম্পর্ক এবং সবকিছু দায়িত্বের সঙ্গে সামলে নেওয়ার এই গল্প সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। দর্শকেরা নিজেদের দৈনন্দিন রুটিনই পাল্টে ফেলেছিলেন যাতে কোনো পর্ব মিস না হয়। এই সিরিয়ালে নববধূ তুলসীর চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী এবং ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ২৫ বছর আগের এই সিরিয়াল আবারও ফিরে এসেছে পর্দায়। ভিরানি পরিবারের বৌ তুলসী এখন মধ্যবয়সী। সন্তানেরা বড় হয়েছে। এখন তিনি শাশুড়ি হতে চলেছেন।
জনপ্রিয় এই সিরিয়ালের দ্বিতীয় ভার্সন যতটা না মনোযোগ কেড়েছে তার চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে এই সিরিয়ালে বিল গেটসের উপস্থিতি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধারাবাহিকটির একটি পর্বের একটি অংশে দেখা গেছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজসেবক বিল গেটসকে। দেখা যায়, এই সিরিয়ালের মূল চরিত্র তুলসী অর্থাৎ স্মৃতি ইরানির সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন তিনি।
মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন বিল গেটস। উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে গেটস ফাউন্ডেশন ভারতের জনবহুল দুই রাজ্য উত্তর প্রদেশ ও বিহারে সরকারের সঙ্গে মিলিতভাবে শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু কমানোর উদ্যোগে কাজ করছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে ভারতের ওই রাজ্যগুলোতে মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্যের সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে গভীরভাবে প্রোথিত পিতৃতান্ত্রিক সমাজে এখনো বহু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা তৈরির বার্তা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে সমাজের ধারা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে এবং মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পারে মেয়েশিশু ও মায়েদের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা। আর এই লক্ষ্য পূরণের জন্য, ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’ সিরিয়ালের চেয়ে বিল গেটসের জন্য উপযুক্ত কোনো প্ল্যাটফর্ম সম্ভবত আর হতে পারত না।
নতুন সিরিয়ালটি নিয়ে কলামনিস্ট ও দ্য প্রিন্ট অনলাইন সংবাদমাধ্যমের রিডার্স এডিটর শৈলজা বাজপাই বলেন, ২৫ বছর আগের মতো তুলসী এখনো লড়ছেন। ঈর্ষান্বিত ও ভুলপথে চলা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আগের মতোই গল্পে রয়ে গেছে প্রচুর নাটকীয়তা, এমনকি মেলোড্রামাও।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি গ্যাজেট, মোবাইল ফোন আর ল্যাপটপগুলো সরিয়ে দেন, অর্থাৎ বাহ্যিক সাজসজ্জা বাদ দেন তাহলে মূলত গল্পটা একই রয়ে গেছে। কেবল এটাকে নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে আপডেট করা হয়েছে।’
শৈলজা বাজপাই যোগ করেন, তবে এখনকার ধারাবাহিকের একটি বড় পরিবর্তন হলো সামাজিক বার্তা (social messaging) অনেক বেশি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা স্মৃতি ইরানির বর্তমান পরিচয়ের সঙ্গেও মানানসই। তিনি একসময় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাই এখন ধারাবাহিকটি বিবাহবিচ্ছেদ, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও কথা বলছে।’
চার মিনিটের দৃশ্যটির শুরুতে দেখা যায়, আমেরিকান উচ্চারণে হিন্দি বলে তুলসীকে সম্ভাষণ জানান বিল গেটস, ‘নমস্তে তুলসীজি।’ সঙ্গে এটাও জিজ্ঞেস করেন, ‘ঠিক বলেছি তো?’
তুলসী হাসিমুখে জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, একদম!’
তুলসীকে একটি শিশুর জন্মের আগে ‘গোধ-ভারাই’ অনুষ্ঠানে গর্ভবতী মাকে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ দিতে দেখা যায়। এরপর এই বিল গেটসের কাছ থেকে কল আসে তাঁর কাছে।
তুলসীর ছেলে তাঁর মায়ের স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়ার সময়টি ভিডিওতে ধারণ করেছিলেন এবং সেটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বিল গেটসকে ট্যাগ করেছিলেন। আর তাঁর মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার আমন্ত্রণ জানান।
তুলসীর ছেলে মাকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান, ‘তিনি রাজি হয়েছেন!’
তুলসী কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে বলেন, ‘ওনার সঙ্গে আমি কী বলব? আমি তো শুধু তোমাদের সঙ্গেই বা তোমার বাবার সঙ্গে ভিডিও কল করি, সেটাও বাজার-সদাই নিয়ে!’
কিন্তু একবার ল্যাপটপে কল সংযুক্ত হয়ে বিল গেটস পর্দায় আসতেই তুলসী নিজের স্বাভাবিক আত্মবিশ্বাসে ফিরে আসেন। তারপর কুশল বিনিময় শেষে ঐতিহ্যবাহী ‘গোধ-ভারাই’ আচারটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে থাকেন।
তুলসী চরিত্রে স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘এই আয়োজনে সবাই মিলে গর্ভবতী মাকে আশীর্বাদ দিতে এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনায় একত্রিত হই। আমরা নারীদের বলি, নিজের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও খাদ্যের যত্ন নেওয়া কতটা জরুরি। আমরা তাদের পরামর্শ দিই চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলতে এবং সন্তান জন্মের জন্য হাসপাতালে যেতে।’
গেটস ও তুলসী দুজনেই এই কথায় একমত হন যে, ‘যখন মায়েরা সুস্থ থাকেন, তখন শিশুরা ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, আর তখনই আসলে বিশ্ব এগিয়ে যায়।’
বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ধারাবাহিকটির প্রযোজনা সংস্থা জিওস্টার এন্টারটেইনমেন্ট জানায়, মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করতে তারা গল্প বলার মাধ্যম ব্যবহার করছে।
জিওস্টারের সুমন্ত বোস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গল্প বলা শুধু বিনোদনের জন্য নয়। এটি মানুষকে তথ্য দিতে পারে, অনুপ্রাণিত করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা কাহিনীর বুননে সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে এমন প্রভাব সৃষ্টি করতে চাই, যা পর্দার বাইরে গিয়ে মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনে।’
বিল গেটস ধারাবাহিকটির তিনটি পর্বে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে জিওস্টার।
কলামিস্ট শৈলজা বলেন, দ্বিতীয় যাত্রায় ধারাবাহিকটিকে এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অসংখ্য নতুন কনটেন্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে এবং এটি আগের মতো দর্শকদের মনে সেই সাড়া তুলতে পারেনি। তবে গেটসের এই অপ্রত্যাশিত উপস্থিতি ধারাবাহিকটিকে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আবারও আলোচনায় ফিরিয়ে এনেছে।
পর্বটির চার মিনিটের এই প্রোমো এক দিনেরও কম সময়ে ইনস্টাগ্রামে ছয় মিলিয়নের বেশি ভিউ পেয়েছে। মন্তব্যের ঘরে নিজেদের বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাজার হাজার নেটিজেন।
একটি মন্তব্যে লেখা ছিল, ‘এটা কোন মাল্টিভার্স!’ এই মন্তব্যে ১৭ হাজারেরও বেশি লাইক পড়ে।
আরেকজন লিখেছেন, “এটা একদমই ‘ক্রিঞ্জ’, কিন্তু একই সঙ্গে দারুণও লাগছে! ”

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭৬ সালে একদল তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা গান লিখবেন, গাইবেন, সুর করবেন, বাজাবেন। পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। এ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’।
৮ ঘণ্টা আগে
টিভি নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সবার লক্ষ্য থাকে সিনেমায় অভিনয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছোট পর্দার কয়েকজন অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। নাটকে প্রমাণ করার পর বড় পর্দায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণরা। এ মাসের শুরুতে প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তানজিন তিশা।
৮ ঘণ্টা আগে
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে তানিম নূর বানাচ্ছেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামের সিনেমা। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম। এত দিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বললেন মোশাররফ। জানালেন, সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭৬ সালে একদল তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা গান লিখবেন, গাইবেন, সুর করবেন, বাজাবেন। পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। এ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’।
১৯৯৬ সালে প্রকাশিত ব্যান্ডটির ‘ঝরা সময়ের গান’ অ্যালবামে ছিল এই গান। পরবর্তী সময়ে ‘কিছু সংলাপ কিছু প্রলাপ’ সিনেমাতেও ব্যবহৃত হয়েছিল গানটি। এবার কোক স্টুডিও বাংলায় মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের জনপ্রিয় এই গান কণ্ঠে তুললেন তানযীর তুহীন। গতকাল কোক স্টুডিও বাংলায় প্রকাশ পেয়েছে ‘ক্যাফে’ গানটি।
একটি সাধারণ ক্যাফে নিয়েই এই গান। ক্যাফে এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষের অতি সাধারণ দিনটিও গল্পে পরিণত হয়। সময় যেন থমকে যায়, কণ্ঠস্বর নিচু হয়ে আসে আর প্রতিটি টেবিল বলতে থাকে নিজেদের গল্প। কারও প্রথম দেখা, কারও শেষ বিদায়। মানুষ আসে, আবার চলেও যায়, তবু কী যেন সব সময় থেকে যায়। এই অনন্ত নীরবতার মাঝেই জন্ম নিয়েছিল আমার প্রিয়া ক্যাফে। কথা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম চট্টোপাধ্যায়। আমেরিকান লাতিন জাজ মিউজিক কম্পোজার এডি পামিয়েরির ‘ক্যাফে’ গানটি অবলম্বনে এই গান লিখেছিলেন তিনি।
নতুন করে গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন শুভেন্দু দাস। নতুন সংগীতায়োজনে স্থান পেয়েছে আফ্রো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা ও বাংলা পঙক্তি। গানটিতে তানযীর তুহীনের সঙ্গী হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান শিল্পী লিভিয়া মাতোস এবং পশ্চিমবঙ্গের গৌরব চ্যাটার্জি। একাধিক সংস্কৃতির মিশ্রণে তাঁরা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন প্রাণবন্ত এক সংগীত, যেখানে উদ্যাপিত হয়েছে ঐতিহ্য, আবেগ ও বৈশ্বিক সুরের মেলবন্ধন।
কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান হিসেবে মুক্তি পেয়েছে ‘ক্যাফে’। শিরোনামহীন ও পরবর্তী সময়ে আভাস ব্যান্ডের গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তানযীর তুহীনকে এবারই প্রথম পাওয়া গেল কোক স্টুডিও বাংলায়। এ মঞ্চে তাঁকে পেয়ে শ্রোতারা যে কতটা খুশি, তা বোঝা গেছে গানটির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই। এ প্ল্যাটফর্মে সবশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ পেয়েছিল হাবিব ওয়াহিদের গাওয়া ‘মহা জাদু’ গানটি। এতে হাবিবের সঙ্গে একটি অংশে গেয়েছেন তাজিকিস্তানের গায়িকা মেহেরনিগর রুস্তম।

ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭৬ সালে একদল তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা গান লিখবেন, গাইবেন, সুর করবেন, বাজাবেন। পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। এ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’।
১৯৯৬ সালে প্রকাশিত ব্যান্ডটির ‘ঝরা সময়ের গান’ অ্যালবামে ছিল এই গান। পরবর্তী সময়ে ‘কিছু সংলাপ কিছু প্রলাপ’ সিনেমাতেও ব্যবহৃত হয়েছিল গানটি। এবার কোক স্টুডিও বাংলায় মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের জনপ্রিয় এই গান কণ্ঠে তুললেন তানযীর তুহীন। গতকাল কোক স্টুডিও বাংলায় প্রকাশ পেয়েছে ‘ক্যাফে’ গানটি।
একটি সাধারণ ক্যাফে নিয়েই এই গান। ক্যাফে এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষের অতি সাধারণ দিনটিও গল্পে পরিণত হয়। সময় যেন থমকে যায়, কণ্ঠস্বর নিচু হয়ে আসে আর প্রতিটি টেবিল বলতে থাকে নিজেদের গল্প। কারও প্রথম দেখা, কারও শেষ বিদায়। মানুষ আসে, আবার চলেও যায়, তবু কী যেন সব সময় থেকে যায়। এই অনন্ত নীরবতার মাঝেই জন্ম নিয়েছিল আমার প্রিয়া ক্যাফে। কথা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম চট্টোপাধ্যায়। আমেরিকান লাতিন জাজ মিউজিক কম্পোজার এডি পামিয়েরির ‘ক্যাফে’ গানটি অবলম্বনে এই গান লিখেছিলেন তিনি।
নতুন করে গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন শুভেন্দু দাস। নতুন সংগীতায়োজনে স্থান পেয়েছে আফ্রো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা ও বাংলা পঙক্তি। গানটিতে তানযীর তুহীনের সঙ্গী হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান শিল্পী লিভিয়া মাতোস এবং পশ্চিমবঙ্গের গৌরব চ্যাটার্জি। একাধিক সংস্কৃতির মিশ্রণে তাঁরা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন প্রাণবন্ত এক সংগীত, যেখানে উদ্যাপিত হয়েছে ঐতিহ্য, আবেগ ও বৈশ্বিক সুরের মেলবন্ধন।
কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান হিসেবে মুক্তি পেয়েছে ‘ক্যাফে’। শিরোনামহীন ও পরবর্তী সময়ে আভাস ব্যান্ডের গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তানযীর তুহীনকে এবারই প্রথম পাওয়া গেল কোক স্টুডিও বাংলায়। এ মঞ্চে তাঁকে পেয়ে শ্রোতারা যে কতটা খুশি, তা বোঝা গেছে গানটির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই। এ প্ল্যাটফর্মে সবশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ পেয়েছিল হাবিব ওয়াহিদের গাওয়া ‘মহা জাদু’ গানটি। এতে হাবিবের সঙ্গে একটি অংশে গেয়েছেন তাজিকিস্তানের গায়িকা মেহেরনিগর রুস্তম।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
২০০০ সাল জুলাই থেকে টানা সাড়ে ৮ বছর ধরে টিভি চ্যানেল স্টার প্লাসে চলেছিল জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’। দেশ-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিয়ালটি। এক নববধূর শাশুড়ির সঙ্গে জটিল সম্পর্ক এবং সবকিছু দায়িত্বের সঙ্গে সামলে নেওয়ার এই গল্প সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগে
টিভি নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সবার লক্ষ্য থাকে সিনেমায় অভিনয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছোট পর্দার কয়েকজন অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। নাটকে প্রমাণ করার পর বড় পর্দায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণরা। এ মাসের শুরুতে প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তানজিন তিশা।
৮ ঘণ্টা আগে
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে তানিম নূর বানাচ্ছেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামের সিনেমা। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম। এত দিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বললেন মোশাররফ। জানালেন, সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

টিভি নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সবার লক্ষ্য থাকে সিনেমায় অভিনয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছোট পর্দার কয়েকজন অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। নাটকে প্রমাণ করার পর বড় পর্দায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণরা। এ মাসের শুরুতে প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তানজিন তিশা। বিষয়টি অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও কেউ কেউ আবার টিপ্পনী কাটছেন। নাটকের শিল্পী বলে হেয় করছেন। এমন নেতিবাচক মন্তব্যে অনেক শিল্পী সাহস হারাচ্ছেন বলে জানালেন সাফা কবির। নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে তিনি নিজেও সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাফা কবির জানান, তিনিও সিনেমায় অভিনয় করতে চান। তবে নেতিবাচক মন্তব্যে ভয় কাজ করছে তাঁর মধ্যে। সাফা বলেন, ‘বড় পর্দায় কবে আমাকে দেখা যাবে, এই প্রশ্নটা অনেক দিন ধরে শুনছি। আমিও নিজেকে সিনেমায় দেখতে চাই। কিন্তু এখন একটু ভয় হয়। সাম্প্রতিক সময়ে নাটকের অনেক ভালো ভালো অভিনেত্রী সিনেমা করছে। তবে তাদের কিছু মানুষ নাটকের নায়িকা বলে কটাক্ষ করছে। এই ধরনের মন্তব্য আমাকে নিরুৎসাহিত করছে। আমি এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় আসিনি, কিন্তু এ ধরনের নেগেটিভ মন্তব্যের কারণে ভয় পেয়ে যাচ্ছি।’
গত কোরবানির ঈদে ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিব খানের নায়িকা হয়েছিলেন সাবিলা নূর। এ সিনেমায় ছোট পর্দার অনেক শিল্পী অভিনয় করেছেন। সে সময় শাকিব খান বলেছিলেন, শিল্পীদের ছোট ও বড় পর্দা বলে ভেদাভেদ না করতে। সেই প্রসঙ্গে টেনে সাফা বলেন, ‘শাকিব খানের মতো তারকা এই ভেদাভেদ করতে না করেছেন। কিন্তু বাকিরা কেন করছেন? এটা আমার প্রশ্ন। ভেদাভেদের কথা শুনলে ভয় লাগে, খারাপ লাগে। এটা করা উচিত না। আমরা শিল্পীরা কিন্তু একটা পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে যেতে চাই। তার জন্য প্রয়োজন সবার উৎসাহ ও ভালোবাসা।’
ইদানীং নাটকেও কম দেখা যাচ্ছে সাফা কবিরকে। কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিন বিরতিতে ছিলাম। ক্যারিয়ারের ১১ বছর জার্নির পর এখন মনে হচ্ছে, নতুন কোনো গল্প ও চরিত্র পাচ্ছি না। পেলেও সেটা খুব কম। এই কারণেই কাজের পরিমাণটা কমে গেছে। তবে আশা করছি, আগামী মাসে সবাইকে একটা ভালো খবর দিতে পারব।’

টিভি নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সবার লক্ষ্য থাকে সিনেমায় অভিনয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছোট পর্দার কয়েকজন অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। নাটকে প্রমাণ করার পর বড় পর্দায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণরা। এ মাসের শুরুতে প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তানজিন তিশা। বিষয়টি অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও কেউ কেউ আবার টিপ্পনী কাটছেন। নাটকের শিল্পী বলে হেয় করছেন। এমন নেতিবাচক মন্তব্যে অনেক শিল্পী সাহস হারাচ্ছেন বলে জানালেন সাফা কবির। নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে তিনি নিজেও সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাফা কবির জানান, তিনিও সিনেমায় অভিনয় করতে চান। তবে নেতিবাচক মন্তব্যে ভয় কাজ করছে তাঁর মধ্যে। সাফা বলেন, ‘বড় পর্দায় কবে আমাকে দেখা যাবে, এই প্রশ্নটা অনেক দিন ধরে শুনছি। আমিও নিজেকে সিনেমায় দেখতে চাই। কিন্তু এখন একটু ভয় হয়। সাম্প্রতিক সময়ে নাটকের অনেক ভালো ভালো অভিনেত্রী সিনেমা করছে। তবে তাদের কিছু মানুষ নাটকের নায়িকা বলে কটাক্ষ করছে। এই ধরনের মন্তব্য আমাকে নিরুৎসাহিত করছে। আমি এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় আসিনি, কিন্তু এ ধরনের নেগেটিভ মন্তব্যের কারণে ভয় পেয়ে যাচ্ছি।’
গত কোরবানির ঈদে ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিব খানের নায়িকা হয়েছিলেন সাবিলা নূর। এ সিনেমায় ছোট পর্দার অনেক শিল্পী অভিনয় করেছেন। সে সময় শাকিব খান বলেছিলেন, শিল্পীদের ছোট ও বড় পর্দা বলে ভেদাভেদ না করতে। সেই প্রসঙ্গে টেনে সাফা বলেন, ‘শাকিব খানের মতো তারকা এই ভেদাভেদ করতে না করেছেন। কিন্তু বাকিরা কেন করছেন? এটা আমার প্রশ্ন। ভেদাভেদের কথা শুনলে ভয় লাগে, খারাপ লাগে। এটা করা উচিত না। আমরা শিল্পীরা কিন্তু একটা পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে যেতে চাই। তার জন্য প্রয়োজন সবার উৎসাহ ও ভালোবাসা।’
ইদানীং নাটকেও কম দেখা যাচ্ছে সাফা কবিরকে। কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিন বিরতিতে ছিলাম। ক্যারিয়ারের ১১ বছর জার্নির পর এখন মনে হচ্ছে, নতুন কোনো গল্প ও চরিত্র পাচ্ছি না। পেলেও সেটা খুব কম। এই কারণেই কাজের পরিমাণটা কমে গেছে। তবে আশা করছি, আগামী মাসে সবাইকে একটা ভালো খবর দিতে পারব।’

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
২০০০ সাল জুলাই থেকে টানা সাড়ে ৮ বছর ধরে টিভি চ্যানেল স্টার প্লাসে চলেছিল জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’। দেশ-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিয়ালটি। এক নববধূর শাশুড়ির সঙ্গে জটিল সম্পর্ক এবং সবকিছু দায়িত্বের সঙ্গে সামলে নেওয়ার এই গল্প সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭৬ সালে একদল তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা গান লিখবেন, গাইবেন, সুর করবেন, বাজাবেন। পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। এ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’।
৮ ঘণ্টা আগে
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে তানিম নূর বানাচ্ছেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামের সিনেমা। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম। এত দিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বললেন মোশাররফ। জানালেন, সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে তানিম নূর বানাচ্ছেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামের সিনেমা। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম। এত দিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বললেন মোশাররফ। জানালেন, সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী তিনি।
বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোশাররফ বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেস নিয়ে তানিম নূরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি একটি চমৎকার কাজ হবে।’ নির্মাতার ভাবনা পছন্দ হওয়ায় এ সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন বলে জানালেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে। গল্পটা আমার পড়া। দারুণ গল্প। এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার এটিও একটি কারণ। তবে পরিচালক যদি সঠিকভাবে নির্দেশনা দিতে না পারেন, তাহলে ভালো গল্পও অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। যখন আমি সিনেমা করি, তখন পরিচালকের দিকে নজর দিই। তানিম নূরের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর ভাবনা দেখেই মূলত রাজি হওয়া।’
বনলতা এক্সপ্রেস নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না মোশাররফ। শুধু বললেন, ‘সিনেমা তো কোনো ফ্যাক্টরির কাজ নয়। গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় কাজটি কেমন হবে। সিনেমার পুরো খেলাটি একেবারে মনস্তাত্ত্বিক। সেটা পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, অভিনয়শিল্পীসহ সবার দিক থেকেই। কাজ শেষ হওয়ার আগে এর বেশি বলতে চাই না। তবে আমি খুব আশাবাদী।’
বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার মাধ্যমে অনেক দিন পর আবার একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে মোশাররফ ও চঞ্চল চৌধুরীকে। মোশাররফ বলেন, ‘দর্শক আমাদের একসঙ্গে দেখতে ভালোবাসে। সে জন্য দর্শকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করছি এবারও ভালো কিছু হবে।’
‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজের নতুন সিজন নিয়েও কথা বলেন মোশাররফ করিম। ইঙ্গিত দিলেন এ সিরিজের তৃতীয় সিজন নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘ওসি হারুনকে আবার কবে দেখা যাবে, এটা ভালো বলতে পারবে পরিচালক আশফাক নিপুন। তবে মহানগর-৩ নিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা হয়তো চলছে।’

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে তানিম নূর বানাচ্ছেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামের সিনেমা। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম। এত দিন বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে নতুন সিনেমা নিয়ে কথা বললেন মোশাররফ। জানালেন, সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী তিনি।
বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোশাররফ বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেস নিয়ে তানিম নূরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি একটি চমৎকার কাজ হবে।’ নির্মাতার ভাবনা পছন্দ হওয়ায় এ সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন বলে জানালেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে। গল্পটা আমার পড়া। দারুণ গল্প। এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার এটিও একটি কারণ। তবে পরিচালক যদি সঠিকভাবে নির্দেশনা দিতে না পারেন, তাহলে ভালো গল্পও অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। যখন আমি সিনেমা করি, তখন পরিচালকের দিকে নজর দিই। তানিম নূরের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর ভাবনা দেখেই মূলত রাজি হওয়া।’
বনলতা এক্সপ্রেস নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না মোশাররফ। শুধু বললেন, ‘সিনেমা তো কোনো ফ্যাক্টরির কাজ নয়। গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় কাজটি কেমন হবে। সিনেমার পুরো খেলাটি একেবারে মনস্তাত্ত্বিক। সেটা পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, অভিনয়শিল্পীসহ সবার দিক থেকেই। কাজ শেষ হওয়ার আগে এর বেশি বলতে চাই না। তবে আমি খুব আশাবাদী।’
বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার মাধ্যমে অনেক দিন পর আবার একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে মোশাররফ ও চঞ্চল চৌধুরীকে। মোশাররফ বলেন, ‘দর্শক আমাদের একসঙ্গে দেখতে ভালোবাসে। সে জন্য দর্শকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করছি এবারও ভালো কিছু হবে।’
‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজের নতুন সিজন নিয়েও কথা বলেন মোশাররফ করিম। ইঙ্গিত দিলেন এ সিরিজের তৃতীয় সিজন নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘ওসি হারুনকে আবার কবে দেখা যাবে, এটা ভালো বলতে পারবে পরিচালক আশফাক নিপুন। তবে মহানগর-৩ নিয়ে একধরনের চিন্তাভাবনা হয়তো চলছে।’

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
২০০০ সাল জুলাই থেকে টানা সাড়ে ৮ বছর ধরে টিভি চ্যানেল স্টার প্লাসে চলেছিল জনপ্রিয় ভারতীয় সিরিয়াল ‘কিউকি সাঁস ভি কাভি বহু থি’। দেশ-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিয়ালটি। এক নববধূর শাশুড়ির সঙ্গে জটিল সম্পর্ক এবং সবকিছু দায়িত্বের সঙ্গে সামলে নেওয়ার এই গল্প সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের প্রথম বাংলা রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। ১৯৭৬ সালে একদল তরুণ সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা গান লিখবেন, গাইবেন, সুর করবেন, বাজাবেন। পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। এ ব্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’।
৮ ঘণ্টা আগে
টিভি নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সবার লক্ষ্য থাকে সিনেমায় অভিনয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছোট পর্দার কয়েকজন অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। নাটকে প্রমাণ করার পর বড় পর্দায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, তাসনিয়া ফারিণরা। এ মাসের শুরুতে প্রথম সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তানজিন তিশা।
৮ ঘণ্টা আগে