
১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
বিনোদন ডেস্ক

‘৮৪০: দ্য গ্রেট বাংলা ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’ সিনেমার গল্পটা কী নিয়ে?
১৩ তারিখে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে। তখনই পুরো গল্পটা দেখতে পাব। তবে অল্প কথায় বলা যায়, এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার। একটা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা আমরা দেখতে পাই বা আমাদের দেশে দেখে এসেছি বিগত দিনগুলোতে, সেই ঘটনাগুলোরই কিছু কিছু আমরা দেখতে পাব একটা শহরকে কেন্দ্র করে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পার করলাম, এই বিষয়গুলো কি এসেছে সিনেমায়?
হ্যাঁ, এটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও আগে। শুটিং শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এর মাস ছয়েক পর আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলাম আমাদের দেশে। এই যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলাম, তার অনেক কিছুই আমাদের গল্পে উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম, পরিচালক লিখেছেন, এমনটা যে হবে আমি সত্যিই জানতাম না, কিন্তু মিরাকেলি এটা মিলে গেছে...
হ্যাঁ, এ রকম তো হয়। আর ডিরেক্টররা, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা তো অনেক কিছু দেখতে পান বা আঁচ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে একজন সাধারণ মানুষ যা দেখবে, তার চেয়ে হয়তো একটু বিস্তৃতভাবে দেখতে পান। সেগুলো তিনি তুলে আনেন, পরে হয়তো আমরা ঘটনাগুলো বাস্তবের সঙ্গে মিলাই।
ট্রেলার প্রচার হওয়ার পর থেকে দর্শকের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যতটুকু দেখা গেল, আপনি বোধ হয় মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ১০৩ পার্সেন্ট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন!
হ্যাঁ, এটাও হয় আরকি! কত কিছুই তো হয় রাজনীতিতে!
সহশিল্পী হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেন?
আমার সহশিল্পী ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, বিজরী বরকতউল্লাহ, জাকিয়া বারী মম, আশুতোষ সুজনসহ অনেকেই। সব সহশিল্পীর কাছ থেকেই আমি বেশ কমফোর্ট পেয়েছি। এর মূল কারণ হয়তো ফারুকী ভাই সবাইকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ। উনারা জানেন, যে কাজটা করছি, এটা যদি সবাই মিলেমিশে করি, তাহলেই ভালো একটা কাজ হবে। ফলে আমরা সবাই ওরকম মাস্তি নিয়ে কাজটা করেছি। শুধু অভিনয়শিল্পীরাই নয়, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশন বয় পর্যন্ত সবাই আমরা মাস্তি নিয়ে কাজ করেছি। যদিও পরিচালক অনেক টেনশনে ছিলেন।
কিসের টেনশন?
যেহেতু এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার এবং এখানে রাজনৈতিক অনেক ব্যাপার-স্যাপার উঠে আসবে, এটা না আবার জানাজানি হয়ে যায় আগে। তাহলে হয়তো সিনেমা রিলিজ দেওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ত, যদিও তিনি ওই সময়ে আমাদের এসব টেনশন বুঝতেই দেননি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যখন সিনেমা বানান, যত দূর শুনেছি স্ক্রিপ্টটা উনি নিজের মাথায় বেশি রাখেন এবং যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদেরকে চরিত্র হয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। আপনি তো তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো আপনার?
উনার সঙ্গে প্রথম কাজ হলেও উনার ঘরানার কাজ আমি করেছি উনার শিষ্য আশফাক নিপুণের সঙ্গে। তবে ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার সময় কিন্তু আমরা স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। যদিও পরে এর পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন হয়েছে। কিন্তু বেসিক জিনিসটা ঠিক ছিল। তা ছাড়া কাজী ডব্লিউ চরিত্রটার জন্য আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি, রিহার্সালও করেছি। যখনই কোনো বিষয় মাথায় এসেছে, আমরা ফোনে কথা বলে নিয়েছি। পরিচালক হিসেবে উনি ওয়ান্ডারফুল।
আপনার চরিত্রের নাম তাহলে ডব্লিউ?
কাজী ডব্লিউ।
সিনেমায় একটা সংলাপ দেখলাম, ‘আমি এত উন্নয়ন করেছি, তবু কেউ আমায় ভালোবাসল না কেন?’ সংলাপটা কী আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধিত্ব করে?
অবশ্যই করে। দেখুন এটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার বা যা-ই হোক না কেন, মানুষ তো বিনোদন পাবেই। আমার ধারণা, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এখন থেকে একটা বিশাল শিক্ষা পাওয়া উচিত। যদিও আমরা সবাই সবকিছু জানি, তবু চোখের সামনে যখন দেখতে পাই, তখন বিবেককে একটু তো নাড়া দেয় আসলে।
৮৪০-কে বলা হচ্ছে ৪২০ ধারাবাহিকের ডাবলআপ। কেন বলা হচ্ছে?
দুটোই আসলে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সে জন্যই এমনটা বলা হচ্ছে। তবে এটা কোনোভাবেই ৪২০-এর সিকুয়াল নয়, এর গল্প বা চরিত্রগুলো একেবারেই ভিন্ন, নতুন। কিন্তু ঘরানাটা হয়তো এক।

এই যে একটা শহরকে ঘিরে গল্প। এটা কোন শহর?
এটা কাল্পনিক একটা শহর।
মাইশেলফ অ্যালেন স্বপনে দেখেছি হাসতে হাসতে ভয়ংকর সব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সিনেমায়ও কি তেমনটাই করেছেন?
অ্যালেন স্বপনের যে ঘটনা ওখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার ছিল না, কিন্তু এখানে পুরো ঘটনাই সরাসরি রাজনৈতিক এবং কাজী ডব্লিউ একজন রাজনীতিবিদ। একজন রাজনীতিবিদকে আমরা যে রকম দেখি, তেমনটাই এখানে দেখতে পাব কাজী ডব্লিউর মাঝে।
নানা রকম ছলচাতুরী, আগুন লাগিয়ে দিয়ে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া, এই সব?
হ্যাঁ, যেটা আমরা ট্রেলারে দেখলাম।
সিনেমার বেলায় গ্ল্যামারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি অভিনয়টা?
এগুলো প্রায় কাছাকাছি। তবে আমার মনে হয়, যেকোনো বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সেটা অভিনয় দিয়ে পূরণ করা যায়। কিন্তু অভিনয় না জানলে সেটা পূরণ করা মুশকিল।
আপনি তো থিয়েটার করা মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে থিয়েটারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যেমন প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া, অভিনয় না করার অনুরোধ বা শিল্পীদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারা—এসব ঘটনা কি আপনাকে পীড়া দেয়?
অবশ্যই পীড়া দেয়। অনেক কিছুই পীড়া দেয়। কিন্তু যখন আমি এসব নিতে পারি না, তখন চোখটা বন্ধ করে রাখি। আমি ততটা দায়িত্ব নিতে চাই না, যতটা নিলে আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আপনার অভিনীত ‘বলি: দ্য রেসলার’ বুসানে পুরস্কার জিতেছে। অস্কার প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি?
নির্মাতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সেন্সর সনদ পেলেই দেশে মুক্তি দেবেন, তবে কবে দেবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন, আমি না। তবে সিনেমাটা কানাডায় মুক্তি পেয়েছিল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর স্ক্রিনে আপনার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ কী?
আমি তো কাজ করেছি। কিন্তু মুক্তি পায়নি বলে হয়তো স্ক্রিন উপস্থিতি কম ছিল।

নতুন আর কী কাজ করলেন?
রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’, এটাও পলিটিক্যাল গল্প নিয়ে কাজ। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনন্য প্রতীক চৌধুরী নামের একজন নতুন পরিচালকের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ করলাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন দীপা খন্দকার, পার্থসহ অনেকেই।
আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার পরিবার অনেক বড়। আমরা পাঁচ ভাই, এক বোন। আমরা ভাইয়েরা সবাই এক জায়গায় থাকি, যদিও আমাদের রান্নার হাঁড়ি ভিন্ন। আমার একান্ত পরিবারের মাঝে আছে আমার স্ত্রী আর আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে কলেজে পড়ে আর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।
ছেলে-মেয়েরা কী অভিনয় করে?
না, তারা আছে তাদের মতো, পড়াশোনা নিয়ে।
আপনার থিয়েটার লাইফ সম্পর্কে বলুন।
আমার দলের নাম তীর্যক নাট্যগোষ্ঠী চট্টগ্রাম, ওখানে আমি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছি। এখনো আছি গ্রুপের সঙ্গে, তবে নিয়মিত সময় দিতে পারি না।
এই সময়ে আমাদের সিনেমা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
যেমন হওয়া উচিত, তেমন সিনেমা এখন তৈরি হচ্ছে। ভালো গল্প হচ্ছে, ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে। মেধাবী অনেক পরিচালক, অভিনেতা পাওয়া যাচ্ছে, সিনেমার প্রায় সব সেক্টরেই মেধাবীদের পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আমরা রাইট ট্র্যাকেই আছি।
‘৮৪০: দ্য গ্রেট বাংলা ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’ সিনেমার গল্পটা কী নিয়ে?
১৩ তারিখে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে। তখনই পুরো গল্পটা দেখতে পাব। তবে অল্প কথায় বলা যায়, এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার। একটা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, যা আমরা দেখতে পাই বা আমাদের দেশে দেখে এসেছি বিগত দিনগুলোতে, সেই ঘটনাগুলোরই কিছু কিছু আমরা দেখতে পাব একটা শহরকে কেন্দ্র করে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পার করলাম, এই বিষয়গুলো কি এসেছে সিনেমায়?
হ্যাঁ, এটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। কারণ সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও আগে। শুটিং শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এর মাস ছয়েক পর আমরা বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলাম আমাদের দেশে। এই যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলাম, তার অনেক কিছুই আমাদের গল্পে উঠে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম, পরিচালক লিখেছেন, এমনটা যে হবে আমি সত্যিই জানতাম না, কিন্তু মিরাকেলি এটা মিলে গেছে...
হ্যাঁ, এ রকম তো হয়। আর ডিরেক্টররা, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা তো অনেক কিছু দেখতে পান বা আঁচ করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে একজন সাধারণ মানুষ যা দেখবে, তার চেয়ে হয়তো একটু বিস্তৃতভাবে দেখতে পান। সেগুলো তিনি তুলে আনেন, পরে হয়তো আমরা ঘটনাগুলো বাস্তবের সঙ্গে মিলাই।
ট্রেলার প্রচার হওয়ার পর থেকে দর্শকের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যতটুকু দেখা গেল, আপনি বোধ হয় মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি ১০৩ পার্সেন্ট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন!
হ্যাঁ, এটাও হয় আরকি! কত কিছুই তো হয় রাজনীতিতে!
সহশিল্পী হিসেবে কার সঙ্গে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেন?
আমার সহশিল্পী ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, মারজুক রাসেল, বিজরী বরকতউল্লাহ, জাকিয়া বারী মম, আশুতোষ সুজনসহ অনেকেই। সব সহশিল্পীর কাছ থেকেই আমি বেশ কমফোর্ট পেয়েছি। এর মূল কারণ হয়তো ফারুকী ভাই সবাইকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ। উনারা জানেন, যে কাজটা করছি, এটা যদি সবাই মিলেমিশে করি, তাহলেই ভালো একটা কাজ হবে। ফলে আমরা সবাই ওরকম মাস্তি নিয়ে কাজটা করেছি। শুধু অভিনয়শিল্পীরাই নয়, পরিচালক থেকে শুরু করে প্রোডাকশন বয় পর্যন্ত সবাই আমরা মাস্তি নিয়ে কাজ করেছি। যদিও পরিচালক অনেক টেনশনে ছিলেন।
কিসের টেনশন?
যেহেতু এটা একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার এবং এখানে রাজনৈতিক অনেক ব্যাপার-স্যাপার উঠে আসবে, এটা না আবার জানাজানি হয়ে যায় আগে। তাহলে হয়তো সিনেমা রিলিজ দেওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ত, যদিও তিনি ওই সময়ে আমাদের এসব টেনশন বুঝতেই দেননি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যখন সিনেমা বানান, যত দূর শুনেছি স্ক্রিপ্টটা উনি নিজের মাথায় বেশি রাখেন এবং যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদেরকে চরিত্র হয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। আপনি তো তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো আপনার?
উনার সঙ্গে প্রথম কাজ হলেও উনার ঘরানার কাজ আমি করেছি উনার শিষ্য আশফাক নিপুণের সঙ্গে। তবে ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার সময় কিন্তু আমরা স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। যদিও পরে এর পরিবর্তন হয়েছে, পরিমার্জন হয়েছে। কিন্তু বেসিক জিনিসটা ঠিক ছিল। তা ছাড়া কাজী ডব্লিউ চরিত্রটার জন্য আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি, রিহার্সালও করেছি। যখনই কোনো বিষয় মাথায় এসেছে, আমরা ফোনে কথা বলে নিয়েছি। পরিচালক হিসেবে উনি ওয়ান্ডারফুল।
আপনার চরিত্রের নাম তাহলে ডব্লিউ?
কাজী ডব্লিউ।
সিনেমায় একটা সংলাপ দেখলাম, ‘আমি এত উন্নয়ন করেছি, তবু কেউ আমায় ভালোবাসল না কেন?’ সংলাপটা কী আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধিত্ব করে?
অবশ্যই করে। দেখুন এটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার বা যা-ই হোক না কেন, মানুষ তো বিনোদন পাবেই। আমার ধারণা, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এখন থেকে একটা বিশাল শিক্ষা পাওয়া উচিত। যদিও আমরা সবাই সবকিছু জানি, তবু চোখের সামনে যখন দেখতে পাই, তখন বিবেককে একটু তো নাড়া দেয় আসলে।
৮৪০-কে বলা হচ্ছে ৪২০ ধারাবাহিকের ডাবলআপ। কেন বলা হচ্ছে?
দুটোই আসলে পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সে জন্যই এমনটা বলা হচ্ছে। তবে এটা কোনোভাবেই ৪২০-এর সিকুয়াল নয়, এর গল্প বা চরিত্রগুলো একেবারেই ভিন্ন, নতুন। কিন্তু ঘরানাটা হয়তো এক।

এই যে একটা শহরকে ঘিরে গল্প। এটা কোন শহর?
এটা কাল্পনিক একটা শহর।
মাইশেলফ অ্যালেন স্বপনে দেখেছি হাসতে হাসতে ভয়ংকর সব কাজ করে যাচ্ছেন। এই সিনেমায়ও কি তেমনটাই করেছেন?
অ্যালেন স্বপনের যে ঘটনা ওখানে রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার ছিল না, কিন্তু এখানে পুরো ঘটনাই সরাসরি রাজনৈতিক এবং কাজী ডব্লিউ একজন রাজনীতিবিদ। একজন রাজনীতিবিদকে আমরা যে রকম দেখি, তেমনটাই এখানে দেখতে পাব কাজী ডব্লিউর মাঝে।
নানা রকম ছলচাতুরী, আগুন লাগিয়ে দিয়ে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া, এই সব?
হ্যাঁ, যেটা আমরা ট্রেলারে দেখলাম।
সিনেমার বেলায় গ্ল্যামারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি অভিনয়টা?
এগুলো প্রায় কাছাকাছি। তবে আমার মনে হয়, যেকোনো বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সেটা অভিনয় দিয়ে পূরণ করা যায়। কিন্তু অভিনয় না জানলে সেটা পূরণ করা মুশকিল।
আপনি তো থিয়েটার করা মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে থিয়েটারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যেমন প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া, অভিনয় না করার অনুরোধ বা শিল্পীদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারা—এসব ঘটনা কি আপনাকে পীড়া দেয়?
অবশ্যই পীড়া দেয়। অনেক কিছুই পীড়া দেয়। কিন্তু যখন আমি এসব নিতে পারি না, তখন চোখটা বন্ধ করে রাখি। আমি ততটা দায়িত্ব নিতে চাই না, যতটা নিলে আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আপনার অভিনীত ‘বলি: দ্য রেসলার’ বুসানে পুরস্কার জিতেছে। অস্কার প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি?
নির্মাতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছেন। সেন্সর সনদ পেলেই দেশে মুক্তি দেবেন, তবে কবে দেবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন, আমি না। তবে সিনেমাটা কানাডায় মুক্তি পেয়েছিল।
গত বছরের তুলনায় এ বছর স্ক্রিনে আপনার উপস্থিতি কম ছিল। কারণ কী?
আমি তো কাজ করেছি। কিন্তু মুক্তি পায়নি বলে হয়তো স্ক্রিন উপস্থিতি কম ছিল।

নতুন আর কী কাজ করলেন?
রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’, এটাও পলিটিক্যাল গল্প নিয়ে কাজ। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনন্য প্রতীক চৌধুরী নামের একজন নতুন পরিচালকের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ করলাম। আমার সহশিল্পী ছিলেন দীপা খন্দকার, পার্থসহ অনেকেই।
আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার পরিবার অনেক বড়। আমরা পাঁচ ভাই, এক বোন। আমরা ভাইয়েরা সবাই এক জায়গায় থাকি, যদিও আমাদের রান্নার হাঁড়ি ভিন্ন। আমার একান্ত পরিবারের মাঝে আছে আমার স্ত্রী আর আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে কলেজে পড়ে আর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।
ছেলে-মেয়েরা কী অভিনয় করে?
না, তারা আছে তাদের মতো, পড়াশোনা নিয়ে।
আপনার থিয়েটার লাইফ সম্পর্কে বলুন।
আমার দলের নাম তীর্যক নাট্যগোষ্ঠী চট্টগ্রাম, ওখানে আমি ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছি। এখনো আছি গ্রুপের সঙ্গে, তবে নিয়মিত সময় দিতে পারি না।
এই সময়ে আমাদের সিনেমা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
যেমন হওয়া উচিত, তেমন সিনেমা এখন তৈরি হচ্ছে। ভালো গল্প হচ্ছে, ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে। মেধাবী অনেক পরিচালক, অভিনেতা পাওয়া যাচ্ছে, সিনেমার প্রায় সব সেক্টরেই মেধাবীদের পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আমরা রাইট ট্র্যাকেই আছি।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৪ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৪ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৪ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৪ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

১৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ‘৮৪০: দ্য গ্রেট বেঙ্গল ডেমোক্রেসি প্রাইভেট লিমিটেড’। সিনেমায় কাজী ডব্লিউ নামের একজন মেয়রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৪ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৪ ঘণ্টা আগে