Ajker Patrika

নভেরার রিকশা গার্ল হয়ে ওঠা

মীর রাকিব হাসান
নভেরার রিকশা গার্ল হয়ে ওঠা

ঢাকা: প্রথম ছবি ‘আয়নাবাজি’ নির্মাণ করেই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। এরপর কেটে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। এবার আসছেন নিজের দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রিকশা গার্ল’ নিয়ে। গত মঙ্গলবার রাতে ‘রিকশা গার্ল’–এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। সোয়া দুই মিনিটের ট্রেলারটিতে পাওয়া গেছে দারুণ এক গল্পের আভাস। সেই সঙ্গে চমৎকার দৃশ্য, রং মুগ্ধ করবে যেকোনো সিনেমাপ্রেমীকে।

ল্পীমনা নারী নাঈমার গল্প ‘রিকশা গার্ল’। অন্তত ট্রেলারে তেমনই ইঙ্গিত। সোয়া দুই মিনিটের ট্রেলারে দেখা যায়, নাঈমার কাছে ছবি আঁকা ভীষণ পছন্দের। কিন্তু দরিদ্র সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার বাবা হঠাৎ একদিন অসুস্থ হলে সবকিছু পাল্টে যায়। ছবি এঁকে যেহেতু পয়সা পাওয়া যায় না, তাই বাধ্য হয়ে সেই নাঈমা রাস্তায় রিকশা নিয়ে বের হয়। তাকে সম্মুখীন হতে হয় নানা জটিলতার।

‘রিকশা গার্ল’ সিনেমায় নভেরা রহমানমূল চরিত্র নাঈমার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান। পুরো ট্রেলারে উজ্জ্বল উপস্থিতি তাঁর। সেই সঙ্গে তাঁর মায়ের চরিত্রে দেখা যায় মোমেনা চৌধুরী ও বাবার চরিত্রে নরেশ ভুঁইয়াকে। এটি আমেরিকা ও বাংলাদেশের প্রথম যৌথ প্রযোজনায় কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

নভেরা রহমানের বয়স যখন চার মাস, তখন তাঁর মা মোমেনা চৌধুরী অভিনীত একটা নাটক চলছিল ‘দূরে কোথাও’। সেটাতে মোমেনা চৌধুরীর বাচ্চার চরিত্র করার জন্য আগে থেকেই একটা বাচ্চা ঠিক করা ছিল। কিন্তু সেই বাচ্চাটা সেটে আসতে পারেনি। বাচ্চাটা আমেরিকায় চলে গিয়েছিল। এমন একটা সমস্যার কারণে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো নভেরার।

‘রিকশা গার্ল’ সিনেমায় নভেরা রহমানমায়ের কোলেই প্রথম কাজ। প্রথম দৃশ্যটাই মা-মেয়ের কেমিস্ট্রি ভালো ছিল বলে দৃশ্যটা খুব ভালো হয়েছে। তখন এতই ছোট ছিলেন যে অনেক আত্মীয়ও তখনো তাঁকে সামনে থেকে দেখেননি। গ্রামের বাড়ি বগুড়া থেকে তাঁরাও প্রথমবার বিটিভিতে দেখলেন। টেলিভিশনে দেখেই তাঁরা বুঝে গেছেন যে এই বাচ্চাটা মোমেনার মেয়ে। নাহয় এত ভালো কেমিস্ট্রি হওয়ার কথা নয় এই বয়সে।

তারপর থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে অনেক কাজ করা হয়েছে। ‘পাখি সব করে রব’, ‘একান্নবর্তী’র মতো আরও অনেক নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করা হয়েছে। মা আরণ্যকে থাকায় মঞ্চের ব্যাকস্টেজেই বড় হয়েছেন নভেরা। এমনও হয়েছে ট্রাংকের ওপর ঘুম পাড়িয়ে শো করতে যেতেন মা মোমেনা।

সেই জায়গা থেকে থিয়েটার রক্তের মধ্যেই আছে। চোখের সামনে থিয়েটারকে একদম ভেতর থেকে দেখেছি। আরণ্যকের জন্য আমার অভিনয় বা চিন্তাভাবনার বিকাশটা হয়েছে। কারণ, সংক্রান্তি দেখে বড় হয়েছি। এমনও হয়েছে সংক্রান্তি, ময়ূর সিংহাসন–এর সংলাপ আমার মুখস্থ থাকত। এত নাটক দেখেছি এই দলের!

নভেরা রহমান, ‘রিকশা গার্ল’ অভিনেত্রী

তবে ছোটবেলা থেকে কখনোই চিন্তা ছিল না অভিনেত্রী হবেন। বড় হয়ে আর্কিওলজিস্ট হওয়ারই ভাবনা ছিল। ইতিহাস নিয়ে চিন্তাভাবনা ছিল মাথায়। কিন্তু সেটা আর শেষ পর্যন্ত হয়নি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন গেলেন তখন খুব শখ করে একটা থিয়েটার কোর্স নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কোর্সটা করে এতটা ভালো লাগল, মনে হলো আমি ওই জায়গাটাতেই থাকতে পারি। ‘এর মধ্যে আমি কানাডায় গিয়েছিলাম থিয়েটার আর ইকোনমিকসে পড়াশোনার জন্য। আলাদাভাবে দুটি বিষয়ের ওপর ডিপ্লোমা করা হচ্ছিল। থিয়েটারটা শেষ করে ইকোনমিকস আর শেষ করা হয়নি। সেটা এখন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কন্টিনিউ করছি।’ বললেন নভেরা।

কানাডায় গিয়ে যখন থিয়েটার করা শুরু করলাম। সেখান থেকে উৎসাহ পেলাম। ওখানকার সবাই বলত, তোমার অভিনয়টা ভালোই হচ্ছে। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম অভিনয়টাকে প্রফেশন হিসেবে নিতে পারি। ওভাবে কানাডায় একটা থিয়েটার কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছি। আমার ট্রেনিংটা ওখান থেকেই নেওয়া।

নভেরা রহমান, ‘রিকশা গার্ল’ অভিনেত্রী

নভেরা রহমানএকটা পর্যায়ে কানাডায় আর মন টিকল না। ভাবলেন, একটা সেমিস্টার অফ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ঘুরে আসি। সেই এক সেমিস্টারের ব্রেক নিতে এসেই পরিচয় হয় পরিচালক রুবাইয়াত হোসেনের সঙ্গে। রুবাইয়াত অডিশন নিচ্ছেলেন তাঁর সিনেমা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’–এর জন্য। সেখানে অডিশন দিতেই টিকে গেলেন। সেখানে অভিনয় করলেন। তারপর থেকে বাংলাদেশেই স্থায়ী হয়ে গেলেন। মেড ইন বাংলাদেশের পোস্ট প্রোডাকশন শেষ। মেড ইন বাংলাদেশ গার্মেন্টসের কর্মীদের স্ট্রাগল নিয়ে ছবিটি। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু। তাঁর বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এর আগেও মান্নান হীরার ‘একাত্তরের ক্ষুধিরাম’ সিনেমায় কাজ করেছেন। সেখানে মাত্র দুটি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। নতুন একজন হিন্দু বউ, তাঁকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে যাবে। ওই দৃশ্যটা এত ভালো হয়েছিল, যার জন্য মান্নান হীরা সিনেমায় তাঁর জন্য আরেকটা দৃশ্য রেখেছিলেন। যেটা ছিল সিনেমায় প্রথম কাজ। তারপর মেড ইন বাংলাদেশে কাজ করা।

সেটে গিয়ে দেখি ইয়ং একজন মেয়ে সেটে বসগিরি করছেন। সেটা আমার খুবই ভালো লেগেছিল। সিনেমাটির ডিরেক্টর, সিনেমাটোগ্রাফি, চিফ এডি, সাউন্ডে যে ছিলেন সবাই নারী। আমরা পাঁচজন নারী অভিনয় করেছি মূল চরিত্রে। অনেক নারীর দক্ষতায় সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে।

নভেরা রহমান, ‘রিকশা গার্ল’ অভিনেত্রী

এরপর শঙ্খ দাসগুপ্তর ‘সুন্দর চান’ নামের একটি শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন। সিনেমায় একজন পতিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পতিতা ও তাঁর বানরকে নিয়ে গল্পটা। ‘অভিজ্ঞতটা ক্রেজি ছিল। এই চরিত্রের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। এই শর্টফিল্মের শুটিং হয়েছে দৌলতদিয়ায়। শুটিংয়ের আগে সেখানে গিয়ে ওখানকার পতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওখানে থেকেছি, যা আমার জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা ছিল।’

মা মোমেনা চৌধুরীর সঙ্গে নভেরাওটা করার আগেই ‘রিকশা গার্ল’র কাস্টিং হয়ে গিয়েছিল। বলেন, ‘মুক্তির আগে মুখ খুলতে চাইছি না। অমিতাভ ভাই কিন্তু পুরা দেশে বড় একটা অ্যানাউন্স করেছিলেন, তুমি কি অমিতাভ রেজার পরের সিনেমায় কাজ করতে চাও? ওই পোস্টার দিয়ে ৫০ থেকে ৬০টি মেয়ের অডিশন নিয়েছেন। এর মধ্যেই আমি একজন ছিলাম। এর আগে তাঁর সঙ্গে আড়ং দুধের একটি টিভিসিতে কাজ করেছি। ওই কাজটা করার পর হয়তো তাঁর পছন্দ হয়েছিল। তবে তার চেয়ে অডিশনের পর প্রোডিউসাররা আমাকে বেশ পছন্দ করেছেন শুনেছি। আমাদের প্রোডিউসার হলেন আমেরিকান। সেভাবেই ছবিটিতে রাজি হওয়া।’

আমি অনেক গবেষণা করেছি। আমি অনেকবার ফিল্ডে গিয়েছি। ফিল্ডে গিয়ে অনেকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। রিকশা গার্লের জন্য আমার অনেক মানুষ দেখতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আমার মানুষ দেখতে ভালো লাগে। বাসে বসে মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। রিকশা গার্লের জন্য ঢাকায় অনেক ঘুরেছি।

নভেরা রহমান, ‘রিকশা গার্ল’ অভিনেত্রী

তবে নভেরার ভীষণ আগ্রহ ক্যামেরার পেছনে কাজ করার। ‘“মেড ইন বাংলাদেশ” করার পরপরই আমার মনে হলো ফিল্ম মেকিং করব। এখনো আমার ইচ্ছে আছে ক্যামেরার পেছনে কাজ করার। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই আফসানা মিমির প্রোডাকশনে সহকারী হিসেবে কাজ করতে ঢুকি। ইন্টার্ন হিসেবে ঢুকে প্রায় প্রধান সহকারী হয়ে গিয়েছিলাম। তা ছাড়া কানাডায় কস্টিউম নিয়েও পড়া হয়েছিল। এরপর দেশে এসে মায়ের “শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার” কোম্পানির কস্টিউম ও মিউজিক্যাল পার্ট দেখতাম। ঢাকার বাইরে গিয়ে কাজ করতাম, যেটা আমার নিজের ব্যস্ততায় এখন আর হচ্ছে না।’

নতুন একটা রেকর্ড লেভেলের জন্য কাজ করছেন। রেকর্ড লেভেলটার নাম হচ্ছে ‘দ্য মাদারশিপ’। ‘আমরা নতুন ব্যান্ডকে প্রকাশ করি। মাত্র শুরু করলাম আমাদের যাত্রা। ইতিমধ্যে নতুন কয়েকটি ব্যান্ড ও সলো ভালো আর্টিস্ট পেয়েছি আমরা। খুব শিগগিরই বড় পরিসরে আত্মপ্রকাশ করব।’

দেখুন ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার ট্রেলার:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাজাখস্তানে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন নিশো

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্‌যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।

দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’

নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’

দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চান হামিন আহমেদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
হামিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
হামিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’

আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’

বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’

হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয়ের মাসে সুমীর চার গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সুমী শারমীন,সাব্বির জামান ও প্রিয়াঙ্কা গোপ। ছবি: সংগৃহীত
সুমী শারমীন,সাব্বির জামান ও প্রিয়াঙ্কা গোপ। ছবি: সংগৃহীত

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।

সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।

গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’

প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’

সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’

প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে আপত্তি কেট উইন্সলেটের

বিনোদন ডেস্ক
কেট উইন্সলেট। ছবি: সংগৃহীত
কেট উইন্সলেট। ছবি: সংগৃহীত

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’

শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’

কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’

কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত