Ajker Patrika

সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে

এম এস রানা
সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে

কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নির্মিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই সাফল্যে গর্বিত চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবাই। চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন এই ছবির অন্যতম প্রযোজক সাইদুল হক খন্দকার সবুজ। কথোপকথনে ছিলেন এম এস রানা

আজকের পত্রিকা: কী ভেবে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিতে অর্থ লগ্নি করলেন?

সাইদুল হক খন্দকার সবুজ: ২০১২ সালে আমি, ওয়াহিদ তারেক, গোলাম হায়দার কিসলু আর আদনান হাবীব মিলে ফ্রি ফলস স্টুডিও নামে একটি প্রোডাকশন হাউস শুরু করি। আমরা মূলত বিজ্ঞাপন বানাতাম। সাদ আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ। ওর সবচেয়ে বড় গুণ, যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়েই একটা ভালো ছবি বানাতে চায়। সাদের প্রথম ছবি ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দিয়েই সেটা প্রমাণ করেছে। ছবিটি তখন সিঙ্গাপুর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা পরিচালকের পুরস্কারও জিতেছে। সাদ সব সময় ফিল্ম নিয়েই ভাবে।  ফিল্মই তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান আর স্বপ্ন। তাই সাদ যখন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বানানোর কথা জানাল, আমি সায় দিলাম। আমি ছাড়া আরও চারজন প্রযোজক আছেন—জেরেমি চুয়া, রাজিব মহাজন, এহসানুল হক বাবু ও আদনান হাবীব।

আজকের পত্রিকা: এই ছবিতেই কেন? সাদের আগের ছবির সফলতা দেখে?

সবুজ: একদমই না। সাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাদের আগে থেকেই আছে। চলচ্চিত্রের প্রতি সে চরম ডেডিকেটেড। তার ওপর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নিয়ে তার প্যাশন আমাকে অবাক করেছে। এই ছবির জন্য সে বেশ কয়েকটা বিজ্ঞাপন ছেড়ে দিয়েছে, অন্য সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দিন–রাত সে এই ফিল্ম নিয়েই ভাবছে, খাচ্ছে, কাজ করছে। তার এই ডেডিকেশনটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার বিশ্বাস ছিল সে একটা ভালো ছবি বানানোর সক্ষমতা রাখে। এই ছবি দেশের হলে ব্যাপকভাবে মুক্তি না–ও পেতে পারে, আবার আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা না–ও পেতে পারে। তবু একটা ভালো ছবি তৈরির চেষ্টার সঙ্গে থাকার জন্য, একধরনের দায়বদ্ধতা থেকেই এই লগ্নি করা।

আজকের পত্রিকা: ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে? যদি হয় তাহলে কেমন সাড়া পাবেন বলে আশা করছেন?

সবুজ: অবশ্যই মুক্তি দেওয়া হবে। কেমন সাড়া পাব, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে যাঁরা সত্যিই ভালো মানের ছবি দেখতে চান, তাঁদের ভালো লাগবে এটা হলফ করে বলতে পারি।

আজকের পত্রিকা: সাধারণত এ ধরনের ছবি দেশের সব হলে মুক্তি পেতে দেখি না। আপনারা কি সারা দেশে মুক্তি দিতে পারবেন?

সবুজ: হয়তো পারব না। সেটা আশাও করছি না। তবে এটা সত্যি, আমাদের হলগুলোর পরিবেশ সময়োপযোগী নয়, এক কথায় ভালো না। শুনেছি, হলের মালিকেরা ভালো ছবির অভাবে নতুন করে হলগুলোতে লগ্নি করতে পারছেন না। আবার ভালো হলের অভাবে লগ্নিকারকেরা ভালো মানের ছবিতে ইনভেস্ট করতে চাইছেন না। পুরো বিষয়টার একটা সমন্বয় হওয়া দরকার। দুটো কাজই একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে, তা না হলে হবে না। দেশে প্রচুর মেধা আছে, যারা ভালো ছবি বানাতে সক্ষম, কিন্তু ছবি চালানোর সংকটে তাঁরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন।

আজকের পত্রিকা: ২০০২ সালে কানের প্যারালার বিভাগ ‘ডিক্টের ফোর্টনাইট’-এ মনোনীত হয়েছিল তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ কান উৎসবে সেটাই ছিল আমাদের বড় পাওয়া। কানে অংশ নেওয়ার আগে পর্যন্ত ছবিটি হলে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন নির্মাতা। তথাকথিত বিকল্পধারার এই ছবিগুলো হলে প্রদর্শনের জন্য কি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে?

সবুজ: আমার স্থান থেকে আমি ওভাবে বলতে পারছি না। তবে এটা ঠিক, এ ধরনের ছবির দর্শক তো আমজনতা নয়, তাই স্বীকৃতিগুলো দর্শককে হলে আসার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করে।

আজকের পত্রিকা: যদিও বিষয়টা আপেক্ষিক, তবু জানতে চাই আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানানোর সক্ষমতা আমাদের কতটুকু আছে?

সবুজ: আসলেই বিষয়টা আপেক্ষিক। তবে আমাদের যতটুকু আছে, ততটুকু নিয়েই চেষ্টা করতে হবে। যা আছে তা নিয়েই আন্তর্জাতিক মানের ছবি তৈরি সম্ভব। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাদ তো জীবনের সবটাই দিয়ে দিচ্ছে চলচ্চিত্রের জন্য। শুধু টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা অর্থ লগ্নিই মূল বিষয় নয়। ভালো ছবির জন্য ডেডিকেশনটাও খুব জরুরি।

আজকের পত্রিকা: শেষ পর্যন্ত যদি বিজনেস না হয়, তাহলে কি ভবিষ্যতে ছবি প্রযোজনার ইচ্ছেটা থাকবে?

সবুজ: আমি বিজনেসের কথা একদমই চিন্তা করিনি। একটা ভালো ছবিকে উৎসাহ দিতে, ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছা থেকেই প্রোডিউস করেছি। আমি বিশ্বাস করি, অনেকেই আছেন যাঁরা ভালো ছবিকে প্রমোট করতে চান। তাঁদের সঙ্গে একটা মেলবন্ধন দরকার। তবেই দেশের চলচ্চিত্র একটা নতুন মাত্রা পাবে।

আজকের পত্রিকা: এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? হল সংস্করণের কথা বলছিলেন, সে বিষয়েও কোনো পরিকল্পনা থাকলে বলবেন?

সবুজ: ইচ্ছা তো অনেক, কিন্তু সামর্থ্যের তো সীমাবদ্ধতা আছে। চেষ্টা করছি ভালো ছবির সঙ্গে থাকতে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির সফলতা নিশ্চয়ই সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সফলতা মেধাবীদের পথ দেখাবে। আর হলের বিষয়ে আগেও ভেবেছি। একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। তবে পুরো বিষয়টি বড় ইনভেস্টের ব্যাপার। সম্মিলিত চেষ্টাতেই এটা সহজ হবে।

আজকের পত্রিকা: আর কোনো ছবিতে ইনভেস্ট করেছেন?

সবুজ: সাদের এই ছবির আগে ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’ ছবিতে করেছি। ছবিটি এখনো রিলিজ হয়নি। কেউ যদি ভালো পরিকল্পনা নিয়ে আসেন, অবশ্যই সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।

আজকের পত্রিকা: আপনার কি মনে হয় আমরা ভালো মানের ছবি তৈরি করতে পারছি?

সবুজ: অবশ্যই পারছি। তা না হলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে আমাদের ছবি সম্মানিত হতো না। তবে এটা সত্যি, সংখ্যার বিবেচনায় সেই ছবির পরিমাণ খুব কম।

আজকের পত্রিকা: ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ যদি কানে না যেত, কিংবা সাদ যদি অ্যাওয়ার্ডেড না হতেন, তাহলে কি প্রযোজনার ইচ্ছেটা দমে যেত?

সবুজ: এটাই কিন্তু আমার প্রথম প্রযোজনা নয়। যেকোনো ধরনের সম্মাননা কাজে উৎসাহ জোগায় সত্যি, তবে আমার কাছে অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে দায়বদ্ধতা এবং ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টাই ছিল মুখ্য। আমার বিশ্বাস এমন ইচ্ছা আমাদের অনেকেরই আছে। কেবল সমন্বয়টা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের চেহারা বদলে যাবে। সাদের ছবির কথাই যদি ধরেন, কান উৎসবে অফিশিয়াল আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটা মাইলফলক তৈরি করল। সাদের মতো নির্মাতারা চেষ্টা করছেন একটু একটু করে হলেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব সেই চেষ্টাকে একটা পরিপূর্ণ অবয়ব দেওয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে পূর্ণিমা জানালেন, সুখে আছেন তাঁরা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আশফাকুর রহমান ও পূর্ণিমা
আশফাকুর রহমান ও পূর্ণিমা

হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জল আর বেশি দূর গড়াতে না দিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমা জানালেন, তাঁর সংসার ভাঙার খবর সত্য নয়। স্বামীর সঙ্গে সুখে আছেন তিনি। বিচ্ছেদের খবর তাঁকে বিস্মিত করেছে।

পূর্ণিমার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে তাঁর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’ এরপরেই শুরু হয় গুঞ্জন।

বিষয়টি টের পেয়ে ২২ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন পূর্ণিমা। কিন্তু তাতেও থামছিল না গুঞ্জন। অবশেষে গতকাল বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী।

ফেসবুকে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিন শেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে। এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে!’

তিনি আরও লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসারজীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।’

২০২২ সালের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুসান থেকে ফিরে শুটিংয়ে মনোজ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মনোজ প্রামাণিক। ছবি: সংগৃহীত
মনোজ প্রামাণিক। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। এটা শেষ করেই শুটিং করবেন দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ কয়েকটি নাটকের। মনোজ বলেন, ‘বুসানে সাতটি মাস অভিনয়টা খুব মিস করেছি। ওখানে থাকতেই এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কথা হয়েছে। সাত মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। খুব ভালো লাগছে।’

সাত মাসের এই কোর্স সম্পর্কে মনোজ বলেন, ‘এই কোর্সে মূলত প্রযোজনা বিষয়ে পড়াশোনা হয়েছে। এ ছাড়া প্র্যাকটিকালি শেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সিনেমাকে মার্কেটে উপস্থাপন করতে হয়। বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে মার্কেট আছে সেখানে আমাদের পিচিং করানো হয়। এটা খুব এক্সাইটিং ছিল। এ ছাড়া পড়াশোনার ধরন, শিক্ষক, বিষয়—সবই ভালো ছিল।’

মনোজ আরও বলেন, ‘এই কোর্সে এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, রান্না করা, খাওয়া, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা—মনে হচ্ছিল আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির দারুণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে। ১৫টি দেশের নতুন বন্ধু পেয়েছি। এ এক বিশাল পাওয়া।’

অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত মনোজ। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন তিনি। এই কোর্সের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হিসেবে অনেক কাজে দেবে বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক হিসেবে কোর্সটি আমার অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কীভাবে সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করতে হয়, কীভাবে একটি প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয়, ফান্ড কালেক্ট করতে হয়—এসব বিষয়ে এই কোর্সে জোর দেওয়া হয়েছে।’

মনোজ জানিয়েছেন, তাঁর সেয়ানা সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করে আগামী বছরের প্রথম ভাগে শুরু করতে চান শুটিং। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরশাদ ওয়ারসির পছন্দের ৩ সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
আরশাদ ওয়ারসির পছন্দের ৩ সিরিজ

বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।

‘মবল্যান্ড’ সিরিজের দৃশ্য
‘মবল্যান্ড’ সিরিজের দৃশ্য

মবল্যান্ড

রোনান বেনেট পরিচালিত ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘মবল্যান্ড’-এর কেন্দ্রে আছে দুটি পরিবার—দ্য হারিগানস ও দ্য স্টিভেনসন। সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। নিজেদের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলা করতে হ্যারি দা সুজা নামের একজনকে নিয়োগ দেয় হারিগানস পরিবার। স্টিভেনসন পরিবারের সব রকমের হামলা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সে। মবল্যান্ড সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, পিয়ার্স ব্রসনান, হেলেন মিরেন প্রমুখ। গত ৩০ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট প্লাসে। মবল্যান্ড নিয়ে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণ চিত্রনাট্য, অনবদ্য নির্মাণ। এই সিরিজে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো, অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আর টানটান গল্প।’

‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজের দৃশ্য
‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজের দৃশ্য

ব্ল্যাক র‍্যাবিট

জ্যাক ও ভিন্স—দুই ভাইয়ের গল্প। এক ভাই নিউইয়র্ক শহরে রেস্টুরেন্ট চালায়। ব্ল্যাক র‍্যাবিট নামের রেস্টুরেন্টটি যখন জমজমাট, তখন একদিন হঠাৎ ফিরে আসে ভিন্সের ভাই জ্যাক। সে ঋণে জর্জরিত। জ্যাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের বিপদও আসে। মিথ্যা, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুড ল এবং জেসন বেটম্যান। নেটফ্লিক্সে ‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজটি প্রচার শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। গল্প কোথাও গতি হারায়নি, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল।’

‘ওজার্ক’ সিরিজের দৃশ্য
‘ওজার্ক’ সিরিজের দৃশ্য

ওজার্ক

আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ওজার্ক’। নেটফ্লিক্সে এই পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে চারটি সিজন। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব। তবে সবশেষ ২০২২ সালে প্রচারিত চতুর্থ সিজনে ১৪টি পর্ব ছিল। বড় অঙ্কের একটি অর্থ পাচারের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা মার্টি বার্ড ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। স্ত্রীকে নিয়ে মিসৌরির ওকার্ড হ্রদ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মাফিয়া ও অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মার্টি বার্ড। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘নির্মাতারা খুবই কৌশলী। প্রথম পর্ব এমন নাটকীয়ভাবে তৈরি করেছে যে বাকি পর্বগুলো দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম পর্ব যেভাবে মনোযোগ কেড়ে নেয়, তাতে পুরোটা না দেখে ওঠা কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সিনেমায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
কলকাতায় একসঙ্গে ফারিণ ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় একসঙ্গে ফারিণ ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চঞ্চল ও ফারিণ।

ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার কোয়েল মল্লিকের ডাকে গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফারিণ। সেখানেই চঞ্চল জানান, তাঁরা দুজনেই সেদিন সিনেমা নিয়ে আলাপ করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তবে আগে থেকে তাঁরা জানতেন না অনিরুদ্ধ তাঁদের একসঙ্গে ডেকেছেন। তাই একে অপরকে দেখে দুজনেই চমকে গিয়েছিলেন।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানতাম না দুজনেই কলকাতায় আছি, পুরোটাই কাকতালীয়। সিনেমার শুটিং আর টোনিদা অর্থাৎ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি মিটিং করার জন্য আমি কলকাতায় আসি। আর ও (ফারিণ) এখানে টোনিদার সঙ্গে মিটিং করতে আসে। দুজনেই যাওয়ার পর দেখা হয় এবং তখন জানতে পারি দুজনেই এখানে আছি।’

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দুজনকে একই সিনেমায় দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘সেটা এখনো নিশ্চিত না। তবে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা আছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

চঞ্চলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফারিণকেও বলতে শোনা যায়, ‘কথা হচ্ছে। দেখা যাক। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে খুদে বার্তায় ফারিণ জানান, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না তিনি।

টালিউড সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা পুরস্কার। এরপর বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’ এবং অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল ফারিণের। ভিসা জটিলতার কারণে দুটি সিনেমা থেকেই সরে আসেন তিনি।

গত বছর সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে যাত্রা শুরু চঞ্চল চৌধুরীর। এতে তিনি অভিনয় করেন কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে। সম্প্রতি চঞ্চল শেষ করেছেন শেকড় সিনেমার শুটিং। তাঁর হাতে রয়েছে অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধারা’। এতে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত