Ajker Patrika

‘কোনো প্রতিভাকে রেটিং দিয়ে মাপা যায় না’

খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২১, ১৭: ৪৮
‘কোনো প্রতিভাকে রেটিং দিয়ে মাপা যায় না’

‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্মে কাজ শুরুর আগের অধ্যায়টি কেমন ছিল?

ফোন করে আমাকে জানানো হয়, এমন একটা গল্প তাঁরা ভাবছেন। গল্পটা চার বন্ধুকে নিয়ে। প্রথমে আমি কনভিন্সড ছিলাম না গল্পটা নিয়ে। কারন গল্পে আমার উপস্থিতি কতটুকু, গুরুত্ব কতটুকু—এগুলো নিয়ে চিন্তা ছিল। পরে আমাদের সবাইকে কল করা হয় স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের দিন। সমস্ত কাস্টিং, ক্রুদের নিয়ে রিডিংটা হয়। ওইদিন স্ক্রিপ্টটা পড়া হয় ডিটেইলে। পুরো গল্পটা পড়ে কাজ করতে রাজি হই।

এ ওয়েব ফিল্মের যিনি নির্মাতা, মিজানুর রহমান আরিয়ান, তাঁর কাজে সাধারণত এমন অভিনয়শিল্পীদেরকে দেখা যায়, ইউটিউবে যাদের অনেক ভিউ। এক্ষেত্রে তো আপনি ব্যতিক্রম। বছরজুড়ে খানিকটা আলাদা ধরনের কাজেই আপনাকে পাওয়া যায়। শুধু গল্পটা শুনে ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্মে কাজ করতে রাজি হলেন? নাকি নিজের কাজের ধরণ বদলের চেষ্টা?

আরিয়ানের কাজে অনেক ভিউ হয়, এবং তাঁর আলাদা দর্শক আছে। এদের সঙ্গে যেহেতু আমি নিয়মিত কাজ করি না, সেহেতু এ রকম একটা কাজ করার মানে হচ্ছে নিশ্চয়ই আমি আলাদা কিছু করছি। পুণরাবৃত্তি হয়নি আমার কাজে। তো আপনার প্রশ্নের মধ্যেই কিন্তু উত্তর লুকিয়ে আছে, যে আপনি কখনো এরকম কাজ করেন না। আপনার প্লট ডিফরেন্ট। ওটিটিতে আপনি অন্যমাত্রার কাজ করেন।

যেহেতু আমি অন্য কাজ করি, এবং প্রত্যেকটা কাজ থেকে প্রত্যেকটা কাজ আলাদা করার চেষ্টা করি। তার মানে এটাও একটা আলাদা প্যাটার্ন। আমি কিন্তু কখনো বলিনি, এর কাজ করবো, তার কাজ করবো না। বা এ ধরনের গল্প করব, অন্য ধরনের গল্প করব না।

নাজিয়া হক অর্ষাইউজুয়ালি গল্পগুলো কী হয়, ধরেন তথাকথিত তো গল্প একই। ঘুরেফিরে তো একই ধরনের গল্পেই আমাদের কাজ করতে হয়। কিন্তু ডিপেন্ড করে যে প্রেজেন্টেশনটা কেমন। ঠিক আছে? অথবা ধরেন কীভাবে গল্পটা বলা হচ্ছে? বা কী বলতে চাইছে? কাদের জন্য বলছে? সো এই জিনিসগুলো অনেক বড় ফ্যাক্ট।

যদি এই ফ্যাক্টগুলোকে মাথায় রাখতে হয়, তাহলে আমি চেষ্টা করি যে পুরনো ফ্যাক্টের সঙ্গে নতুন ফ্যাক্টগুলো যাতে না মেলে। কিছুটা আলাদা থাকে। যার কারণে হয়তো মনে হবে না, একই জিনিস বারবার করছি। যেটা আমার জন্য অনেক মনোটোনাস।

অডিয়েন্সের কথাও না। আমার ডিরেক্টর টিমের কথাও না। আমি নিজেই একই জিনিসের পুণরাবৃত্তি পছন্দ করি না। ওই জায়গা থেকেই ধরেন, আমি কাজের ইনডিভিজুয়ালিটি মেইনটেইন করার চেষ্টা করি। আরেকটা তথ্য হয়তো আপনি জানেন না। এ নির্মাতার সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ নয়।

এর আগেও আপনি আরিয়ানের নাটকে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সেটা তো বেশ আগে। শুরুর দিকে।

আরিয়ানের জীবনের প্রথম প্রডাকশন আমাকে নিয়ে করা। ‘আমি তুমি এবং সে’। তো আফটার নাইন ইয়ারস, ওর জীবনের প্রথম সিনেমাটাও আমাকে নিয়ে করা। আরিয়ানের সাথে আমার বন্ডিং অনেক ডিফরেন্ট। মানে যখন আরিয়ান আসলে আরিয়ান না, তখন থেকে আরিয়ানকে আমি চিনি এবং তাঁর কাজ সম্পর্কে আমি অবগত।

এ সিনেমা করতে আসার সময় আরিয়ান আর আমার একটা অদ্ভুত ইমোশনাল ব্যাপার ছিল। বলছিল, ‘আপু তোমাকে দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে আমি প্রথম কাজ করেছি।’ ওই গল্পে বোধহয় কাস্টিং ছিল আমি, ঈশানা, আরিফিন শুভ। শুভর ওটা শেষের দিকের কাজ সিনেমাতে ঢোকার আগে।

তারপর বললো যে, ‘আজকে নয় বছর পরে তোমার সাথে আবার আমার প্রথম সিনেমাতে কাজ হচ্ছে। সো আমি এক্সাইটেড এবং ইমোশনাল।’ আসলে বাইরে থেকে যা দেখতে, পেছনের গল্প অনেক আলাদা থাকে। আপনারা যেটা প্রেডিক্ট করেন, আমাদের রিলেশনের ব্যাপারটা বা আমাদের কাজের কেমিস্ট্রিটা তার উর্দ্ধে।

নাজিয়া হক অর্ষা‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ তো বন্ধুদের নিয়ে গল্প। আমি যদি আপনার ব্যক্তি জীবনের বন্ধুদের কথা জানতে চাই। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এখনো?

আমি আবার এই জায়গা থেকে লাকি। আমার বন্ধু অনেক বেশি না। আমার যারা বন্ধু, তাঁদের সাথে এখনো আমার যোগাযোগ আছে। তাঁদের সাথে ঘোরাফেরা, দেখা-সাক্ষাৎ সবকিছুই হয়। আমি তো খুবই চুপচাপ নিজের মতো লাইফ লিড করতে পছন্দ করি। এবং প্রাইভেসি পছন্দ করি। ফলে স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গেই আমার বেশি সময় পার করা হয়, যখন আমার কাজ থাকে না। এখনও আমার স্কুলের বন্ধু, আমার ইউনিভার্সিটির বন্ধু এবং কাজের ক্ষেত্রে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে এরকমও আমার বেশকিছু বন্ধু আছে, যাদের সাথে দশ বছর, বারো বছর, পনেরো বছরের সম্পর্ক। তাদের সাথে এখনও কমিউনিকেশন হয়। সো ফ্রেন্ডশিপটা আমার কাছে খুবই আলাদা জায়গা রাখে।

‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্মে একটা সংলাপ আছে আপনার চরিত্র ডাক্তার তানিয়ার মুখে— ‘এক রাতের বাস জার্নিতে প্রেম হয় না, যেটা হয় সেটা হচ্ছে ইনফ্যাচুয়েশন’। আপনি নিজে কী বিশ্বাস করেন? সম্পর্ক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সময়টা ফ্যাক্ট নাকি পরিবেশ-পরিস্থিতি?

সম্পর্কের ক্ষেত্রে সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সময় আসলে সম্পর্কগুলোকে বুঝতে শেখায়। নিজের ভুল, আবার নিজেদের ভালো-মন্দ এসব বিষয় সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করতে শেখায় সময়। আবার কিছু কিছু বন্ডিংও থাকে, যেখানে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়ে না। অল্প দু-একটা স্পার্কলিং, বন্ডিং, টিউনিং মিলে গেলে একটা ছোট জার্নি পার করে দেওয়া যায়।

আমাদের যেমন হয়, ডেইলি আমাদের নতুন নতুন চেহারার সাথে ডিল করতে হয়। আজকে প্রোডাকশনের যে ছেলেটাকে দেখছি, কালকে দেখছি আরেকটা নতুন ছেলে। কিন্তু ও আমাকে পাঁচবেলাই পাঁচ কাপ চা দিয়ে যাচ্ছে। ও আমাকে দু-বেলার খাবার এনশিওর করছে। ওর সাথে আমার একটা আলাদা পরিচিতির জায়গা তৈরি হচ্ছে। আমি ওর নাম জানার চেষ্টা করছি, কদ্দিন ধরে কাজ করে, কীভাবে এল— এ রকম কনভারসেশন আমার হয়। আমি জানি না, অন্য আর্টিস্টদের হয় কিনা! কিন্তু আমি এটা মেইনটেইন করি। দেখা যায় যে, ওইটুকুই, দুইদিনের শুটিংয়ের ওই পরিচিতিটুকুই, নেক্সট কোনো শুটিংয়ে দেখা হলে ঠিক ওই জায়গা থেকেই গল্পটা আবার শুরু হয়।

নাজিয়া হক অর্ষাতো কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে, যেগুলোর জন্য অনেক সময়ের দরকার নেই। সম্পর্কটা কখনো হয়ে যায় প্রয়োজনের, ওই সম্পর্কটা কখনো হয়ে যায় একটা ঘটনাকে ঘটানোর জন্য। কিন্তু যখন দীর্ঘ সময় পার করতে হবে, রিলেশনটা অনেক বেশি ইমপ্যাক্ট ফেলবে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে, তখন আসলে সময় দরকার।

আপনি নীরবে কাজ করায় বিশ্বাসী। সবসময় বলেন ‘প্রকাশিত হওয়া আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়’। সোশ্যাল মিডিয়ার ইদানীংকার আলোচনা-প্রশংসা কি আপনার জীবনযাপনে প্রভাব ফেলছে?

না। কারণ আমি কোনোকিছুকে পার্মানেন্টলি ধরি না। যা হচ্ছে, সেটা ঘটনার একটা বহমান ধারা। আমি যেভাবে কাজ করি, সেভাবেই কাজ করে যাব। আমি বিশ্বাস করি, কোনো প্রতিভাকে রেটিং দিয়ে মাপা যায় না। কারণ প্রত্যেকটা গুণাগুনেরই নিজস্বতা থাকে। দেখা যাচ্ছে, আজকে যে কোথাও খুব খারাপ করছে, আগামী দু-বছর পরে সে যে দুর্দান্ত কিছু ঘটিয়ে ফেলবে না— তার কোনো গ্যারান্টি নেই। আমি কেন প্রচারে বিশ্বাস করি না, কারন আমি শিখতে ভালোবাসি।

অভিনয়ে প্রায় একযুগ কাটিয়ে দিলেন। কখনো আপনাকে নিয়ে কোনোরকম আলোচনা হয়নি, আবার কখনো তুমুল বিতর্কের কবলেও পড়েছেন। কীভাবে দেখেন এই জার্নিকে?

এমনও সময় গেছে, আমাকে নিয়ে মানুষ কোনো আলোচনাই করেনি। অনেক প্রডাকশন গেছে, যে প্রডাকশনে আমিও কাজ করেছি। কিন্তু সব আলোচনা হয়েছে আমার সহশিল্পীকে নিয়ে। তাতে মনে হয়েছে, আমি ইনভিজিবল, আমি কোথাও নেই। আবার এমনও তো ঘটেছে, যেখানে মানুষ আমাকে নির্দিষ্ট একটা কাজ দিয়ে জাজমেন্ট করে, খুবই অশ্রাব্য গালিগালাজও করেছে। সুতরাং এই আলোচনা কিংবা সমালোচনায় কিছু আসে যায় না। কারন আমি জানি, কর্মই আমাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।

সাক্ষাৎকার: খায়রুল বাসার নির্ঝর

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটি পেরি ও ট্রুডোর একান্ত সময়

বিনোদন ডেস্ক
কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত
কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।

জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।

অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।

মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে একই মঞ্চে অর্থহীন ও আসিফ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আসিফ ও সুমন ছবি: ফেসবুক থেকে
আসিফ ও সুমন ছবি: ফেসবুক থেকে

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।

কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ‍্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ‍্যাত ব‍্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব‍্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব‍্যত‍্যয় ঘটেনি, ব‍্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’

আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন‍্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ‍্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন‍্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ‍্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বহুরূপী’ সিনেমায় প্রস্তাব পাওয়ার কথা বলেছিলেন মেহজাবীন, অস্বীকার করলেন নির্মাতা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’

সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/

এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামানের হাতে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামান ছবি: চ্যানেল আইয়ের সৌজন্যে
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামান ছবি: চ্যানেল আইয়ের সৌজন্যে

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।

পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত