Ajker Patrika

তিন ডাকসাইটের চোখে সত্যজিৎ

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৪: ৪৫
তিন ডাকসাইটের চোখে সত্যজিৎ

যে তিনজন মানুষ সত্যজিৎ রায়ের বিষয়ে এখানে কথা বলেছেন, একবারের জন্য হলেও সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা উপলক্ষে তাঁদের দেখা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।

১৯৭৫ সালে সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে। সেখান থেকেই এই লেখাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। সে সংকলনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখার্জী, শর্মিলা ঠাকুরসহ ভারতের আরও কয়েকজন শিল্পীর চোখে সত্যজিৎ রায় কেমন ছিলেন, তার বর্ণনা আছে। আমরা তো সেগুলো বাংলাতেই পড়ে নিতে পারব। এখানে ভিনদেশী তিন চলচ্চিত্র বোদ্ধার কথাই শুনি বরং।

জর্জ সাদ্যুল ছিলেন তুখোড় ফরাসী সাংবাদিক। চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতেন তিনি। ছিলেন স্যুরিয়ালিস্ট, ১৯৩২ সালে পরিণত হয়েছিলেন কমিউনিস্টে। বিশ্ব চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর লেখা বই l'Histoire générale du cinéma, সমীহ জাগানিয়া। ১৯০৪ সালে জন্ম নেওয়া এই সাংবাদিক মারা যান ১৯৬৭ সালে। সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

ফরাসি সাংবাদিক জর্জ সাদ্যুল। ছবি: সংগৃহীতসাদ্যুল লিখছেন, ‘রায় সম্পর্কে জানা `কিংবদন্তী’গুলো সম্পর্কে বলি: নিজেরাই আমরা কারও গায়ে কোনো একটা তকমা এঁকে দিই, তারপর তা প্রচার করি। প্যারিসে আমি কয়েকবার সত্যজিৎ রায়কে দেখেছি। ওর কয়েকটি সিনেমা দেখেছি এবং তা থেকে ব্যক্তি সত্যজিৎ ও তাঁর নান্দনিক পথযাত্রা সম্পর্কে নিজের একটা ধারণা জন্মেছে। কলকাতার এই শিল্পী শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন সেই দিনটিতে, যেদিন তিনি ঝাঁ ও ক্লদ রেনোয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। এরা দুজন বাংলায় গিয়েছিলেন ‘দ্য রিভার’–এর শুটিং করতে। তাঁদের এই সাক্ষাতের পরই রায় চিৎকার করে উঠেছিলেন—‘আমিও সিনেমা পরিচালক!’ এবং তারপর তিনি ‘পথের পাঁচালী’র জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর আগ পর্যন্ত এই ছবি সম্পর্কে ভারতে কোনো আলোড়নই ওঠেনি। কানেও ছবিটি নিয়ে আলোড়ন উঠত না, যদি না আঁদ্রে বাজেন ছবিটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ না করতেন। ‘বছরের সেরা মানবিক দলিল’ পুরস্কারটা পেয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’। ইউরোপের স্বীকৃতি না পেলে সত্যজিৎ রায়ের পক্ষে তাঁর চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ত। ‘অপরাজিত’ ছবির জন্য ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে `স্বর্ণ সিংহ’ লাভ করলেও তাতে ভারতে তাঁর জনপ্রিয়তা আসেনি। বছরের পর বছর তিনি ছবি তৈরি করেছেন, কিন্তু সেটা দেশের বাজারে জায়গা করে নিতে পারেনি। ইংল্যান্ড আর আমেরিকার বাজারে তাতে সাফল্য এসেছে। তাই অনেকেই বলাবলি করত, পূর্বদেশের এই চলচ্চিত্র পরিচালক সম্পূর্ণই পশ্চিমা–নির্ভর। কিন্তু এই কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি ও কলকাতায় দীর্ঘ সময় বসবাস করে এবং কয়েক ঘণ্টা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলার পর সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে গড়ে ওঠা ওইসব কিংবদন্তী আর টিকে থাকেনি। ভারতে সত্যজিৎ রায়কে কেউ চেনে না—এ কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি কিংবা কলকাতার রাস্তায় নেমে এলেই পথচারীর দল কীভাবে তাঁকে ঘিরে ধরত এবং অটোগ্রাফ নিত, সেটা তো আমি নিজ চোখে দেখেছি। রাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রীরা তাঁকে সমীহ করে কথা বলতেন।

জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়াকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু এটুকু বললেই চলে যে, তিনি চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পরিচালক। জাপানের টোকিওয় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১০ সালে। সে শহরেই মারা গেছেন ১৯৯৮ সালে।

সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে রচিত একটি রুশ সংকলনের জন্য মস্কোতে ১৯৭৫ সালে কুরোসাওয়ার মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, প্রথমবারের মতো সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ দেখার পর আমার ভেতরটা যেভাবে আন্দোলিত হয়ে উঠেছিল, সেটা এখনো ভুলতে পারি না। এরপরও বারবার আমি এই ছবি দেখেছি, আর প্রতিবারই আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে সেটা। যেন পূর্ণযৌবনা নদী বয়ে চলেছে ধীরে চলচ্চিত্রের সকল শৌকর্য নিয়ে। মানুষের জন্ম হয়, সে বেঁচে থাকে ও একসময় মরে যায়। সত্যজিৎ রায় মানবজীবনের এই স্বাভাবিক চক্রটি নিয়েই ছবি তৈরি করেন এবং তা করেন এমন অবলীলায় যে, তাতে অমসৃণ কিছু থাকে না। অথচ তা প্রবলভাবে দর্শক–শ্রোতার আবেগকে গ্রাস করে নেয়। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের ভাষা খুবই সুক্ষ্ণ, তাতেই তার পূর্ণতা। রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল টোকিওতে। মনে আছে, আমার মনে কী এক অসামান্য ছাপ ফেলেছিল শিল্পীর অবয়ব—উচ্চতায় অনেকখানি, হাত–পায়ের ভঙ্গি আকর্ষণীয়, অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। আর তা দেখেই আমার মাথায় ভাবনাটা এল—এ রকম মানুষের পক্ষেই এ ধরনের বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব। তখনই আমি তাঁর প্রতি আরও গভীরভাবে আকৃষ্ট হলাম। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর ছবিগুলোর মধ্যে আমি শুধু তিনটি ছবি দেখেছি. ‘পথের পাচালী’, ‘অপরাজিত’, আর ‘অপুর সংসার’। পৃথিবীর সকল পরিচালককে আমি বলব, এখনই সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখে ফেলুন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী, আর ‘অপরাজিত’। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র না দেখার অর্থ পৃথিবীতে বসবাস করে সূর্য ও চাঁদকে না দেখা।

গ্রিগরি চুখরাইয়ের নাম অনেকেরই মনে পড়ে যাবে ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবিটির কথা মনে করিয়ে দিলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এ রকম কাব্যিক ছবি খুব কমই হয়েছে। সে ছবি গ্রিগরি চুখরাইয়ের তৈরি। চুখরাইও সত্যজিৎ রায়কে চলচ্চিত্র জগতের এক মহাশক্তি বলেই মনে করেন।

ইউক্রেনের পরিচালক গিগরি চুখরাই। ছবি: সংগৃহীতচুখরাইয়ের জন্ম ১৯২১ সালে ইউক্রেনের মেলিতাপোলে। মস্কোতে মারা যান ২০০১ সালে। চুখরাই লিখছেন, ‘আধুনিক চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক। রাষ্ট্রের সীমানা আর ভাষার অবোধ্যতা দূর হয়ে যায় প্রায় বিনাশ্রমে। বলা যায়, সাহিত্যের চেয়েও দ্রুত অন্য ভাষাভাষীকে আকৃষ্ট করে চলচ্চিত্রের ভাষা। কোনো দেশের লাখ লাখ মানুষ সিনেমা দেখে, অন্য দেশের মানুষ তা উপভোগ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সব দেশের সবার কথা মাথায় রেখে কিন্তু পরিচালক ছবি নির্মাণ করেন না। যদি কেউ নিজের দেশ, নিজ সংস্কৃতির ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক ছবি নির্মাণ করার কথা ভাবেন, তাহলে তার সে ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়বে। সে রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জাতীয় জীবনের প্রতিফলন আছে যে ছবিতে, সে ছবিই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র হিসেবে টিকে যায়। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাও সফল হয়েছে তার জাতীয় সংস্কৃতির চরিত্রের জন্যই। ভারতীয় বাণিজ্যিক ছবিই সর্বপ্রথম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। এরই ফাঁকে একসময় রাশিয়ায় আসে সাতিয়াজিৎ রায়ের নাম, যদিও ভারতীয় উচ্চারণে তা ‘শত্যোজিৎ রায়’।

চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের ছবি সম্পর্কে বলা যায়, ভারতকে ভেতরের চোখ দিয়ে দেখা। ওপরের চাকচিক্য নয়, ভেতরটাই উঠে আসে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে। সত্যজিৎ রায়ের ছবি মানেই একজন শিল্পীর সৃষ্টি, একজন সৃষ্টিশীল মানুষের কারবার, যে মানুষটি দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর দর্শন ও নান্দনিক ভাবনার ভিত্তির ওপর। অপু ট্রিলজি, জলসাঘর, চারুলতা, অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি সত্যজিৎ রায়কে সম্মান এনে দিয়েছে। আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে পথের পাঁচালী। একটি দরিদ্র পরিবারকে নিয়েই এর গল্প। গল্পের শুরুতে মনে করতে চাই বা না চাই, মনে হবে এটা ইতালির নিওরিয়ালিস্ট ছবির মতো। নব্যবাস্তবতাবাদী ছবির সঙ্গেই এর যত মিল। ক্রিয়েটিভ টেকনিকগুলোও একরকম মনে হবে। যদিও স্বাধীনতা–পূর্ব ভারতের দারিদ্র্য আর বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী ইতালির দারিদ্র্যের তুলনা চলে না, তবুও ছবি হিসেবে তা একই রকম লাগবে। কিন্তু ছবিটি যখন এগিয়ে যেতে থাকবে, তখন বুঝতে পারা যাবে যে, এটা নিওরিয়ালাজিম মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ নয়। এটা সত্যজিৎ রায়ের তৈরি বাস্তবতা এবং এর চলচ্চিত্রের ভাষাও সত্যজিৎ রায়েরই। ছবিতে ইন্দিরা ঠাকরুণের যে চেহারা হাজির করা হয়েছে, তা নান্দনিকতা বহির্ভূত। বার্ধক্য তাঁকে এতটাই কাহিল করে তুলেছে যে, তাঁর দিকে তাকাতেই অস্বস্তি হয়। কিন্তু ছবিটি দেখা শুরু করার একটু পর থেকেই আমি নিজের অজান্তেই এই বৃদ্ধাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমার জন্য এই বৃদ্ধা হয়ে পড়লেন অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। কীভাবে এই জাদু ঘটে গেল, তার ব্যাখ্যা খুব সহজ নয়। মানে, ব্যাখ্যা করা সম্ভব সবকিছুই এবং তা দরকারিও। যেকোনো ব্যাখ্যার জন্যই দরকার ঠিক শব্দটি খুঁজে পাওয়া। কিন্তু এখানে শব্দ নয়, জাদুটা আসলে শিল্পের। শিল্পই ঘটিয়ে দিল এই জাদুটি। একজন বড় শিল্পীই এই জাদুকরি কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। এই বিধ্বস্ত কুৎসিৎ পরিবর্তিত হলো বিধ্বস্ত সুন্দর মন্দিরে। আর এটা ঘটতে পারল এ জন্য যে, পরিচালক তাঁর নন্দনতাত্ত্বিক আবহে মূল্যবান করে তুলেছেন মানুষের মনকে, মানুষকে। এ ধরনের ছবি বানাতে ভেতরের সাহস লাগে, আর নিজ জাতির প্রতি লাগে অমলিন ভালোবাসা। কেউ কেউ আছেন, যারা মনে করেন, নিজ জাতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের ঠিক উপায় হচ্ছে, তার আলোকিত সেরা জিনিসগুলোর উপস্থাপন। সত্যজিৎ রায় সেটা মনে করেন না। তিনি মনে করেন, দেখাতে হবে সেটাই, যা সত্য। আমিও তাঁর সঙ্গে একমত। সত্যজিৎ রায়ের ছবির কাব্যময়তাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কত সুক্ষ্ণভাবেই না তাঁর ছবিতে প্রকৃতি, বৃষ্টি, ফুল, আকাশ, পানি নিজের শব্দে সত্যের প্রকাশ ঘটায়। প্রকৃতির এ রকম নান্দনিক উপস্থাপনা কেবল তাঁর পক্ষেই করা সম্ভব, যিনি নিজে গভীরভাবে তা অনুভব করেন। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে প্রকৃতিও জীবন্ত, পরিচালকের সঙ্গেই সে শ্বাস–প্রশ্বাস নেয়। প্রকৃতি, চরিত্র, দৃশ্য—সবমিলে একটা সংগীতের সৃষ্টি হয়, সবকিছুর যেন একটাই ত্বক, একই অণু–পরমাণু, সব যেন একসঙ্গে মিলেমিশে গেছে।

সত্যজিতের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতি হাতড়ে চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ১৯৬৩ সালে। সে সময় আমরা একসঙ্গে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরিবোর্ডে ছিলাম। তিনি শুধু তাঁর পেশাদারি মনোভাব এবং বিশাল তাত্ত্বিক জ্ঞান দিয়ে আমাকে আকৃষ্ট করেননি। তিনি আকৃষ্ট করেছেন তাঁর উচ্চ মূল্যবোধ ও সরলতা দিয়ে। জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে যে জটিল সমস্যাগুলোয় পড়তাম, সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে সে বিষয়ে ঠিক পরামর্শটি পেতাম। সব ব্যাপারেই তাঁর কিছু না কিছু বলার ছিল। খুব মুশকিল হয়, যখন কেউ তাঁর বিবেচনাবোধ দিয়ে দোদুল্যমান হয়। নিজস্ব নীতিও খুব দরকারি। আরেকটা বিষয়ে বলি। অনেকেই মনে করেন, সত্যজিৎ রায়ের সব ছবিই একইভাবে নির্মিত। রায়ের নান্দনিক ভাষা এক ছবি থেকে আরেক ছবিতে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত ছবি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র ভাষা, ‘পথের পাচালী’ বা গ্রামকেন্দ্রিক ছবির ভাষা থেকে একেবারে আলাদা। রায় বেড়ে উঠেছেন ভারতের ধ্রুপদী সংস্কৃতির আওতায়। কিন্তু তিনি নিশ্বাস–প্রশ্বাস নিয়েছেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভুবনে। দেশ ও আন্তর্জাতিকতা—দুইয়ের মিলনই সত্যজিৎ রায়কে করে তুলেছে বিশ্বমানের চলচ্চিত্রকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে পূর্ণিমা জানালেন, সুখে আছেন তাঁরা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩২
আশফাকুর রহমান ও পূর্ণিমা
আশফাকুর রহমান ও পূর্ণিমা

হঠাৎ করে আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জল আর বেশি দূর গড়াতে না দিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমা জানালেন, তাঁর সংসার ভাঙার খবর সত্য নয়। স্বামীর সঙ্গে সুখে আছেন তিনি। বিচ্ছেদের খবর তাঁকে বিস্মিত করেছে।

পূর্ণিমার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে তাঁর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’ এরপরেই শুরু হয় গুঞ্জন।

বিষয়টি টের পেয়ে ২২ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন পূর্ণিমা। কিন্তু তাতেও থামছিল না গুঞ্জন। অবশেষে গতকাল বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী।

ফেসবুকে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিন শেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে। এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে!’

তিনি আরও লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসারজীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।’

২০২২ সালের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুসান থেকে ফিরে শুটিংয়ে মনোজ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মনোজ প্রামাণিক। ছবি: সংগৃহীত
মনোজ প্রামাণিক। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। এটা শেষ করেই শুটিং করবেন দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ কয়েকটি নাটকের। মনোজ বলেন, ‘বুসানে সাতটি মাস অভিনয়টা খুব মিস করেছি। ওখানে থাকতেই এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কথা হয়েছে। সাত মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। খুব ভালো লাগছে।’

সাত মাসের এই কোর্স সম্পর্কে মনোজ বলেন, ‘এই কোর্সে মূলত প্রযোজনা বিষয়ে পড়াশোনা হয়েছে। এ ছাড়া প্র্যাকটিকালি শেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সিনেমাকে মার্কেটে উপস্থাপন করতে হয়। বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে মার্কেট আছে সেখানে আমাদের পিচিং করানো হয়। এটা খুব এক্সাইটিং ছিল। এ ছাড়া পড়াশোনার ধরন, শিক্ষক, বিষয়—সবই ভালো ছিল।’

মনোজ আরও বলেন, ‘এই কোর্সে এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, রান্না করা, খাওয়া, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা—মনে হচ্ছিল আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির দারুণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে। ১৫টি দেশের নতুন বন্ধু পেয়েছি। এ এক বিশাল পাওয়া।’

অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত মনোজ। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন তিনি। এই কোর্সের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হিসেবে অনেক কাজে দেবে বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক হিসেবে কোর্সটি আমার অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কীভাবে সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করতে হয়, কীভাবে একটি প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয়, ফান্ড কালেক্ট করতে হয়—এসব বিষয়ে এই কোর্সে জোর দেওয়া হয়েছে।’

মনোজ জানিয়েছেন, তাঁর সেয়ানা সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করে আগামী বছরের প্রথম ভাগে শুরু করতে চান শুটিং। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরশাদ ওয়ারসির পছন্দের ৩ সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
আরশাদ ওয়ারসির পছন্দের ৩ সিরিজ

বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।

‘মবল্যান্ড’ সিরিজের দৃশ্য
‘মবল্যান্ড’ সিরিজের দৃশ্য

মবল্যান্ড

রোনান বেনেট পরিচালিত ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘মবল্যান্ড’-এর কেন্দ্রে আছে দুটি পরিবার—দ্য হারিগানস ও দ্য স্টিভেনসন। সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। নিজেদের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলা করতে হ্যারি দা সুজা নামের একজনকে নিয়োগ দেয় হারিগানস পরিবার। স্টিভেনসন পরিবারের সব রকমের হামলা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সে। মবল্যান্ড সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, পিয়ার্স ব্রসনান, হেলেন মিরেন প্রমুখ। গত ৩০ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট প্লাসে। মবল্যান্ড নিয়ে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণ চিত্রনাট্য, অনবদ্য নির্মাণ। এই সিরিজে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো, অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আর টানটান গল্প।’

‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজের দৃশ্য
‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজের দৃশ্য

ব্ল্যাক র‍্যাবিট

জ্যাক ও ভিন্স—দুই ভাইয়ের গল্প। এক ভাই নিউইয়র্ক শহরে রেস্টুরেন্ট চালায়। ব্ল্যাক র‍্যাবিট নামের রেস্টুরেন্টটি যখন জমজমাট, তখন একদিন হঠাৎ ফিরে আসে ভিন্সের ভাই জ্যাক। সে ঋণে জর্জরিত। জ্যাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের বিপদও আসে। মিথ্যা, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুড ল এবং জেসন বেটম্যান। নেটফ্লিক্সে ‘ব্ল্যাক র‍্যাবিট’ সিরিজটি প্রচার শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। গল্প কোথাও গতি হারায়নি, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল।’

‘ওজার্ক’ সিরিজের দৃশ্য
‘ওজার্ক’ সিরিজের দৃশ্য

ওজার্ক

আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ওজার্ক’। নেটফ্লিক্সে এই পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে চারটি সিজন। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব। তবে সবশেষ ২০২২ সালে প্রচারিত চতুর্থ সিজনে ১৪টি পর্ব ছিল। বড় অঙ্কের একটি অর্থ পাচারের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা মার্টি বার্ড ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। স্ত্রীকে নিয়ে মিসৌরির ওকার্ড হ্রদ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মাফিয়া ও অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মার্টি বার্ড। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘নির্মাতারা খুবই কৌশলী। প্রথম পর্ব এমন নাটকীয়ভাবে তৈরি করেছে যে বাকি পর্বগুলো দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম পর্ব যেভাবে মনোযোগ কেড়ে নেয়, তাতে পুরোটা না দেখে ওঠা কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সিনেমায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
কলকাতায় একসঙ্গে ফারিণ ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় একসঙ্গে ফারিণ ও চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চঞ্চল ও ফারিণ।

ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার কোয়েল মল্লিকের ডাকে গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফারিণ। সেখানেই চঞ্চল জানান, তাঁরা দুজনেই সেদিন সিনেমা নিয়ে আলাপ করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তবে আগে থেকে তাঁরা জানতেন না অনিরুদ্ধ তাঁদের একসঙ্গে ডেকেছেন। তাই একে অপরকে দেখে দুজনেই চমকে গিয়েছিলেন।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানতাম না দুজনেই কলকাতায় আছি, পুরোটাই কাকতালীয়। সিনেমার শুটিং আর টোনিদা অর্থাৎ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি মিটিং করার জন্য আমি কলকাতায় আসি। আর ও (ফারিণ) এখানে টোনিদার সঙ্গে মিটিং করতে আসে। দুজনেই যাওয়ার পর দেখা হয় এবং তখন জানতে পারি দুজনেই এখানে আছি।’

অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দুজনকে একই সিনেমায় দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘সেটা এখনো নিশ্চিত না। তবে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা আছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

চঞ্চলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফারিণকেও বলতে শোনা যায়, ‘কথা হচ্ছে। দেখা যাক। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’

এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে খুদে বার্তায় ফারিণ জানান, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না তিনি।

টালিউড সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা পুরস্কার। এরপর বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’ এবং অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল ফারিণের। ভিসা জটিলতার কারণে দুটি সিনেমা থেকেই সরে আসেন তিনি।

গত বছর সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে যাত্রা শুরু চঞ্চল চৌধুরীর। এতে তিনি অভিনয় করেন কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে। সম্প্রতি চঞ্চল শেষ করেছেন শেকড় সিনেমার শুটিং। তাঁর হাতে রয়েছে অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধারা’। এতে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত