Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে জয়া আহসানের স্মৃতিচারণা

জয়া আহসান, অভিনেত্রী
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ১২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে জয়া আহসানের স্মৃতিচারণা

এত বছর আগের একটা দিন; কিন্তু শেখ হাসিনার সেই ছবিটি এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে মনে। কিশোরীবেলার অনেকগুলো ঝলমলে স্মৃতি একসঙ্গে মিলেমিশে আছে বলেই হয়তো। উত্তুঙ্গ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জেনারেল এইচ এম এরশাদের সবেমাত্র পতন হয়েছে। প্রিয় স্বজনদেরসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সেনাশাসনের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল পুরো দেশ, মানুষ তার সেই নিকষ কালো পর্ব থেকে বেরিয়ে এসেছে। দেড় দশক পর ফুসফুস ভরে শ্বাস নিচ্ছে মুক্ত হাওয়ায়। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক মধুর পর্ব চলছে। নানা রকমের মানুষের মিলেমিশে এক হয়ে ওঠার মতো এত বড় ঘটনা তো মুক্তিযুদ্ধের পর আর ঘটেনি।

এসব অবশ্য বুঝেছি পরে। রাজনীতির জটিল জ্যামিতি বোঝার মতো বয়স তখনো আমার নয়। বড়দের পৃথিবী থেকে টুকরো টুকরো কথা কানে ভেসে আসে। সেসব আবছা কথা কল্পনায় জোড়াতালি দিয়ে আর নানা রঙে মিশিয়ে এক রকমের ধারণা করে নিই। তবে খুব যে এক আনন্দের সময় বয়ে চলেছে, সেটা বুঝি বাবার চাঞ্চল্য দেখে। বারবার কারণে-অকারণে ঘরে-বাইরে ছোটাছুটি করছেন। সিগারেট খাওয়ার হারটাও বেড়েছে। বহুদিন বাবাকে এমন মধুর মেজাজে দেখিনি।

বাইরে থেকে বাবা এমনিতে ভীষণ কড়া মেজাজের মানুষ। ভেতরটা যদিও উল্টো। নিভৃত মুহূর্তে আপনমনে কাব্যচর্চা করেন। মনে পড়ে, আমাকে একবার কবি আল মাহমুদের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার এত বড় মাপের একজন কবি; কিন্তু সে গুরুত্ব বোঝার মনও কি আর তখন হয়েছে? যাহোক, মনের কোমল অংশটা কঠিন আবরণের আড়ালে ঢেকে রাখতে অভ্যস্ত বাবার মনটা স্বৈরাচারী সেনাশাসনের পতনের পর হঠাৎ খোলামেলা হয়ে পড়ল।

না হওয়ার কথাও তো নয়। দেশটাকে যে বড় ভালোবাসতেন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে প্রাণের টানে ছুটে গিয়েছিলেন। যুদ্ধ করেছিলেন খালেদ মোশাররফের সঙ্গে ২ নম্বর সেক্টরে। মুক্তিযুদ্ধের আগেকার সেই উত্তাল বিদ্রোহী দিনে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে বিক্ষোভ চলল, তরুণ বয়সী বাবা তাতে গিয়েও যোগ দিলেন। শামিল হলেন বেতার অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে। নিজের হাতে সেখানে উড়িয়ে দিলেন মুক্তিযুদ্ধের লাল-সবুজ-হলুদ পতাকা। বেতার অফিসের সামনে বাবার সেই ফুটেজটা খুঁজে পেয়েছি সম্প্রতি। আমার অমূল্য এক সংগ্রহ।

যে প্রত্যাশা নিয়ে বাবা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আরও অনেকের মতো তাঁরও মনে হয়েছিল—সে প্রত্যাশার মৃত্যু হয়েছে। সেনাশাসনের পতনের পর তাঁর মনে হলো, বদ্ধ দরজা খুলে আবার আলো এল। বাবা বললেন, ‘চলো, আমার সঙ্গে। তোদের একটা জায়গায় নিয়ে যাই।’ কোন জায়গায়? কার কাছে? কিছুই জানি না। আমি আর আমার ছোট বোন কান্তা চললাম বাবার সঙ্গে। কান্তা চড়ে বসল বাবার কাঁধে। আমি ধরলাম তাঁর হাত।

বাবা আমাদের নিয়ে চললেন এখন যেখানে সচিবালয়, তার কাছে, পল্টনের মোড়ে। আগের দিনের লোকেরা জায়গাটাকে তখন ডাকে সেকেন্ড ক্যাপিটাল বলে। সেখানে পথে পথে উৎসব। মোড়ে মোড়ে জটলা। মানুষের মাথা মানুষে খাচ্ছে। আনন্দের বন্যা বয়ে চলেছে শহরের পথে পথে। পল্টনে বিরাট মঞ্চ পাতানো হয়েছে। বাবার হাতে এরশাদ ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের কার্টুন-ক্যারিকেচারভরা লিফলেট আর পুস্তিকা ধরিয়ে দিচ্ছে লোকেরা। বাবা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখাচ্ছেন আমাদের।

মানুষের উজান ঠেলে বাবা এরপর আমাদের নিয়ে সোজা উঠলেন ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসভরা বাড়িটিতে। যেন বেশ চেনা একটা আত্মীয়ের বাড়ি, এমনই নিশ্চিন্তে গিয়ে হাজির হলেন একটা ঘরের সামনে। দরজা ঠুকে বললেন, ‘বুবু, আসব?’ শেখ হাসিনা কে, কী, সেসব কিছু বুঝিনি। মনে মনে শুধু ভেবেছি, ও, ইনিই তাহলে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে! বিছানায় দ-এর ভঙ্গিতে কিছুটা অর্ধশায়িত। ঘরোয়া মেজাজ। কিছুটা কি ক্লান্ত? আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে সেনাশাসনবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের ঝড়ঝাপটা বয়ে গেছে তাঁর ওপর দিয়ে। কিন্তু কোথাকার কী? আমাদের দেখেই সস্নেহ একটা হাসির রেখা ফুটে উঠল মুখে। সোজা হয়ে বললেন, ‘কাকে নিয়ে এসেছ, বাবলা? তোমার মেয়ে বুঝি?’

সেই তাঁকে প্রথম দেখা। গায়ে সাধারণ একটা বেগুনি-ঘিয়ে রঙের ডুরে শাড়ি। মাথায় সামান্য ঘোমটা টানা। একেবারেই বাঙালি নারীর চিরচেনা আটপৌঢ়ে ছবি। শেখ হাসিনার চোখের রং আর দশজন সাধারণ বাঙালির মতো নয়। সেদিকে চোখ না পড়ে উপায়ই নেই। তবু সব ছাপিয়ে চোখ আঠার মতো আটকে গেল তাঁর চুলে। ঘন কালো চুলের এক মোটা গোছা। ঘোমটার আড়াল থেকে বেরিয়ে পিঠ বেয়ে এঁকেবেঁকে নেমে গেছে কোমর পর্যন্ত। এমন দীর্ঘ আর চওড়া চুলের গোছাও হয় মানুষের? মনে খচিত হয়ে গেল উজ্জ্বল ও চিরন্তন সেই বাঙালি ছবিটি।

এর পর তো পদ্মা নদী দিয়ে বহু পানিই গড়িয়ে গেছে। বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেত্রী থেকে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কয়েকবার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নিজেরও বাহ্যিক রূপান্তর কম হয়নি। কিন্তু চুলের মোটা গোছাসহ তাঁর যে ছবিটা সেদিন দেখেছিলাম, মনের গভীরে এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে সেই ছবিটিই। আমার কাছে সেটিই তাঁর স্থায়ী রূপাবয়ব।

প্রধানমন্ত্রীর গুরুতর দায়িত্বভার তাঁকে বহন করতে হয়। ছোটখাটো বিষয়ে মন দেওয়ার অবকাশ কোথায়? কিন্তু তাঁর সঙ্গে ছোট ছোট দু-একটি অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সামান্য বিষয়ের দিকেও তিনি সযত্ন দৃষ্টি রাখেন। প্রধানমন্ত্রী নন, নিতান্ত আপনজনের মতো। সেসব তাঁর না রাখলেও চলে, তাঁর হয়ে অন্য কেউ রাখলেই যথেষ্ট। তবু তিনি রাখেন। এ তাঁর অসামান্য এক গুণ। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তাঁর ভেতরের মানুষটিকে এখনো মোটেই পিষ্ট করে দিতে পারেনি।

একটা ঘটনা বলি। সেবার আমাকে ‘জিরো ডিগ্রি’ ছবিটির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার সবার হাতে তুলে দেওয়া হবে একটি অনুষ্ঠান করে। ঘটনাচক্রে সে বছর পশ্চিমবঙ্গেও আমাকে মহানায়ক উত্তম কুমার সম্মাননা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সেবারই প্রথম কোনো নারী অভিনয়শিল্পীকে আয়োজকেরা এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আলাদা একটা মর্যাদার ব্যাপার হয়ে উঠেছিল পুরস্কারটি। অর্থমূল্যও ছিল যথেষ্ট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেবেন।

ভালোই প্যাঁচ লেগে গেল। দুটো পুরস্কার দেওয়ার তারিখ পড়ল একই দিনে। শুধু কি একই দিনে? পড়ল একই দিনের কাছাকাছি সময়ে, এক-দেড় ঘণ্টার এদিকে-ওদিকে। সকালে আর বিকেলে হলেও সামাল দেওয়া যেত। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চলে যাওয়া যেত আরেকটি অনুষ্ঠানে। আয়োজকদের অনুরোধ করে সময়টাকে আগুপিছু নানা চেষ্টাচরিত্র করেও ফল হলো না। হবে যে না, সেটা এক রকম অনুমানও করেছিলাম। এত এত মানুষের সময়সূচি আবার মিলিয়ে সব ঠিক করা কি সহজ? কিন্তু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যে আমার দেশের সম্মাননা। তা ছাড়া, এর মর্যাদাও আলাদা। প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে এ পুরস্কার শিল্পী-কুশলীদের হাতে তুলে দেবেন। এই পুরস্কার না নিয়ে কি পারা যায়?

দেশেই রয়ে গেলাম। অনুষ্ঠানে যথারীতি আমার নাম ডাকা হলো। মঞ্চে উঠলাম পুরস্কার নিতে। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার সময় কোমল গলায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘জয়া, তুমি কলকাতায় যাওনি?’ তাঁর মুখে এই প্রশ্ন? এত ব্যস্ততার মধ্যে এই অকিঞ্চিৎকর তথ্যটুকু তিনি শুনেছেন, শুনে মনেও রেখেছেন? শুধু এখানেই তো শেষ নয়। আগে কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও যে আন্তর্জাতিক একটা সম্মাননার মায়া ছেড়ে দিয়ে আমি রয়ে গেছি, বক্তৃতা দিতে উঠে বললেন সে কথা। বললেন, এই হলো দেশের প্রতি ভালোবাসা। আমি তো বাকরুদ্ধ।

আমি গভীরভাবে অভিভূত হয়েছিলাম আরও একটি ঘটনায়। প্রকৃতি আর প্রাণীর প্রতি আমার প্রাণের টান। প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করে, এমন কিছু সংগঠনের সঙ্গে তাই সক্রিয় যোগাযোগ রাখি। এ রকমই এক সংগঠন থেকে একবার খবর এল, গণভবনের লাগোয়া একটি জায়গা থেকে তারা একটি কুকুর উদ্ধার করেছে। গণভবনের চিফ সিকিউরিটি এস ডি এন কবীর সাহেবের কাছে পরে শুনেছিলাম, গণভবনের বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে অর্ধশতাধিক কুকুর আছে। আছে বেড়ালেরও দল। পোষা নয়। স্বাধীন ও ছন্নছাড়া। এত গাছপালাভরা সবুজ একটা জায়গা। পাখপাখালিও সে কারণে এন্তার। যাহোক, দলছুট সারমেয় মহাশয় কোনো ফাঁকফোকর গলে গণভবনের বাইরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল পথে।

সেই দলছুট মহাশয়ের একটা হিল্লে করা হলো। কিন্তু কবীর সাহেবের কাছ থেকে আরও যে তথ্য পেলাম, তাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভালোবাসায় বুকটা ভরে গেল। সেই কুকুরগুলোর জন্য তিনি নিজেই খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। ওদের জন্য ফার্ম থেকে মুরগির মাংস আসে। সেই মুরগির সঙ্গে চাল মিশিয়ে রোজ খাবার তৈরি হয়। বেড়ালগুলোর জন্য প্রতিদিনের বরাদ্দ ২০ লিটার করে দুধ। গণভবনের ভেতরের গাছগুলো থেকে ফল পাড়তে দেওয়া হয় না। ওই সব ফলপাকুড় পাখিদের ভোজ্য। তাঁর নির্দেশে পশু-পাখিগুলোর জন্য আলাদা একটা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র নিয়ে যাঁর শত ব্যস্ততা, তাঁর মনের একটি ভাগ তিনি এদের জন্যও দিয়ে রেখেছেন। ভেতর থেকে উপচে আসা গভীর ভালোবাসা ছাড়া কি আর এটি সম্ভব?

রাষ্ট্র আর রাজনীতি কোটি মানুষকে নিয়ে কাজ করে। তার তাই হাজার পথ, হাজার মত। সে নিয়ে জটিল বিতর্কের শেষ হবে না কোনো দিন। কিন্তু যৎসামান্য স্মৃতির গুচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে মানুষী রূপ দেখেছি, তার তুলনা মেলা ভার। এখনো যখনই তাঁকে দেখি, তখনই মনে ফিরে আসে কিশোরীবেলায় দেখা মোটা চুলের গোছায় উজ্জ্বল সেই সস্নেহ মুখটি। অন্তরঙ্গ, নিবিড়, মমতামাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাল ব্যান্ডের কনসার্টের তারিখ ঘোষণা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
জাল ব্যান্ডের গহর মমতাজ। ছবি: সংগৃহীত
জাল ব্যান্ডের গহর মমতাজ। ছবি: সংগৃহীত

এক বছর পর আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল। দুই সপ্তাহ আগে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাল ব্যান্ডের প্রধান গহর মমতাজ। এবার জানা গেল কনসার্টের তারিখ ও ভেন্যু। আগামী ২৮ নভেম্বর রাজধানীর তিন শ ফিটের স্বদেশ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে ‘সাউন্ড অব সোল’ শিরোনামের এই কনসার্ট।

সাউন্ড অব সোল কনসার্টটি আয়োজন করছে স্টেজ কো. এবং গেট সেট রক। জানা গেছে, এই কনসার্টে জাল ব্যান্ডের সঙ্গে দেশের একাধিক ব্যান্ড পারফর্ম করবে। তবে এখনো ব্যান্ডগুলোর নাম প্রকাশ করেনি আয়োজকেরা। শিগগিরই গেট সেট রকের ওয়েবসাইটে শুরু হবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি।

সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করতে এসেছিল পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। ওই কনসার্ট ঘিরে ছিল নানা নাটকীয়তা। ‘লিজেন্ডস অব দ্য ডেকেড’ শিরোনামের কনসার্টটি প্রথমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ঢাকা অ্যারেনায়। কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বর শো শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে স্থগিত করা হয় আয়োজন।

পরদিন যমুনা ফিউচার পার্কে আয়োজন করা হয় কনসার্টটি। সেখানেও বাধে বিপত্তি, কনসার্ট শুরুর পর বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এতে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় আয়োজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে আবার শুরু হয় কনসার্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে একক গানে মুগ্ধ করলেন ব্রিয়ানা বিশ্বাস

আবু সাবেত, নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
কনসার্টে গাইছেন ব্রিয়ানা বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
কনসার্টে গাইছেন ব্রিয়ানা বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতশিল্পী ব্রিয়ানা বিশ্বাসের একক কনসার্ট। ব্রিয়ানার একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাঁর পরিবার ও ভক্তরা। কানেকটিকাটে ব্রিয়ানার প্রথম একক সংগীতানুষ্ঠানে সাধারণ দর্শক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ব্রিয়ানার কনসার্ট চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। একের পর এক জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন ব্রিয়ানা। গান শুরুর আগেই ব্রিয়ানা বলেন, ‘যারা আমার গানকে ভালোবাসেন তাঁদের এ মিলনায়তনে উপস্থিত দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। সবার ভালোবাসায় আমি আজকে আপনাদের সামনে বিভিন্ন মঞ্চে প্রাণ খুলে গান গাইতে পারছি।’

অনুষ্ঠানে ব্রিয়ানার বাবা নিক্সন ও মা জলি বিশ্বাস মেয়ের শিশু ও কিশোরী বয়সের নানা স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য দেন ব্রিয়ানার গানের শিক্ষাগুরু কানন হাসান, রাশিদা আখন্দ লাকী, শান্তা নাগ ও কৌশলী ইমা।

শাহরিয়ার রহমানের উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানে ব্রিয়ানা ছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন রাশিদা আখন্দ লাকী, লিটন গ্রেগরী ও লিয়ন মণ্ডল। বাঁশি বাজিয়ে শোনান রানী তালুকদার এবং কবিতা আবৃত্তি করেন মোল্লা বাহাউদ্দিন পিয়াল। শিল্পীদের তবলায় সংগত করেন গৌরাঙ্গ বৈরাগী।

প্রায় ২০ বছর আগে মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ব্রিয়ানার বাবা নিক্সন ও মা জলি বিশ্বাস। সাড়ে চার বছর বয়স থেকে গানের স্কুলে ভর্তি করান মেয়েকে। তখন থেকেই গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিয়ানা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার গল্পে শিমুল-লামিমার ‘শর্টকাট’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘শর্টকাট’ নাটকে শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। ছবি: সংগৃহীত
‘শর্টকাট’ নাটকে শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। ছবি: সংগৃহীত

মুরাদপুর গ্রামের ছেলে মামুন, যার দাদা গুপ্তধন খুঁজতে গিয়ে আর ফেরেনি। দাদার মতোই মামুনের স্বপ্ন শর্টকাটে বড়লোক হওয়া! এ নিয়ে প্রেমিকা লায়লার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চরমে। মামুন কি গুপ্তধন খুঁজে পাবে, নাকি তার ভাগ্যে অন্য কিছু লেখা আছে? এমন গল্পে তৈরি হয়েছে নাটক ‘শর্টকাট’। আজ বৃহস্পতিবার ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে নাটকটি।

‘শর্টকাট’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘শর্টকাট’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

মাজিদুল ইসলামের পরিচালনায় শর্টকাট নাটকে মামুন ও লায়লা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমুল শর্মা ও লামিমা লাম। মাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘শর্টকাট আমাদের সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি। সবাই আজকাল দ্রুত সাফল্য পেতে চায়, পরিশ্রমের মূল্য কেউ দিতে চায় না। আমরা এই সিরিয়াস বিষয়টিকেই হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কমেডি ও সাসপেন্সের মোড়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

অভিনয়ের পাশাপাশি শর্টকাট নাটকের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমুল শর্মা। এতে আরও অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ রানা, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, সামিউল হক ভূইয়া, শাহাদত শিশির প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে ‘দম’ সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন পূজা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩৭
পূজা চেরি। ছবি: সংগৃহীত
পূজা চেরি। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন পূজা চেরি। তবে গতকাল সকাল থেকে খবর ছড়ায়, দম সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সিনেমার মহরতে দম-এর নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো পূজা চেরির নাম।

মহরত অনুষ্ঠানে পূজা চেরিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। অনুষ্ঠানে দুই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো কথা বলা শেষ করলে, পালকিতে চড়ে প্রবেশ করেন নায়িকা। পর্দা দিয়ে ঘেরা সেই পালকি থেকে পূজাকে নামিয়ে আনেন নিশো।

দম সিনেমা নিয়ে কথা বলার সময় রীতিমতো নার্ভাস লাগছিল পূজাকে। নায়িকা জানালেন, অনেক কথা সাজিয়ে এসেছিলেন বলার জন্য, কিন্তু অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে সব গুলিয়ে ফেলেছেন। এ সময় পূজা জানান, দম সিনেমায় অডিশন দিয়েই চূড়ান্ত হয়েছেন তিনি।

পূজা চেরি বলেন, ‘দম সিনেমার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে এই সিনেমায় যুক্ত করার জন্য। এই সিনেমার চরিত্রটির জন্য আমাকে অডিশন দিতে হয়েছে। এরপর আমাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ছোটবেলায় চঞ্চল দাদার সঙ্গে কাজ করলেও, নিশো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করা হবে। আশা করছি সবাই মিলে ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারব।’

সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় সারভাইভাল গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দমের কাহিনি। দুই বছর আগে প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গিয়েছিল, চারপাশে পাহাড়বেষ্টিত মরুভূমিতে একটি গাধার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে এক ছেলে। তার চোখ বাঁধা। ধারণা করা হচ্ছে, উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া প্রবাসীদের সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠবে সিনেমায়।

দম সিনেমার শুটিং লোকেশন হিসেবে সৌদি আরব, জর্ডানের নাম শোনা গেলেও কাজাখস্তানেই দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নির্মাতারা। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে দম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধরে ফেলবে’ চীন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ ট্রাম্পের

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এমন ‘অদ্ভুতুড়ে’ ঘটনার কারণ তাহলে এটাই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত