
কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে