Ajker Patrika

ববিতার মুখে শোনা কয়েকটি গল্প

খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা 
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ২১: ০৫
ববিতা। ছবি: সংগৃহীত
ববিতা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।

ভালো সিনেমার পাশে সব সময়

ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

‘অশনি সংকেত’ সিনেমার শুটিং, ববিতাকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন সত্যজিৎ রায়। ছবি: সংগৃহীত
‘অশনি সংকেত’ সিনেমার শুটিং, ববিতাকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন সত্যজিৎ রায়। ছবি: সংগৃহীত

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া

‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’

চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না

১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।

বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’

তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।

‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’

শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

‘অনন্ত প্রেম’ সিনেমার দৃশ্যে রাজ্জাক ও ববিতা। ছবি: সংগৃহীত
‘অনন্ত প্রেম’ সিনেমার দৃশ্যে রাজ্জাক ও ববিতা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

পর্দার জনপ্রিয় জুটি জাফর ইকবাল ও ববিতা। ছবি: সংগৃহীত
পর্দার জনপ্রিয় জুটি জাফর ইকবাল ও ববিতা। ছবি: সংগৃহীত

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল

একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববাজারে সোনা বিক্রির হিড়িক, ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানেই, যোগ্যদেরকে ডিসি নিয়োগ— বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত আজীবন নিষিদ্ধ

গাজার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে—আশঙ্কা ট্রাম্প প্রশাসনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতারণার অভিযোগে তিশার জবাব

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতারণার অভিযোগে তিশার জবাব

একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রচার না করার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তবে অভিনেত্রীর দাবি, সেই শাড়ি উপহার হিসেবে পেয়েছেন তিনি।

এ্যাপোনিয়া নামের ওই অনলাইন ফ্যাশন পেজের কর্ণধার ঝিনুক জানান, গত জানুয়ারিতে তানজিন তিশা একটি হলুদ জামদানি শাড়ি পছন্দ করেন, যার দাম ছিল ২৮ হাজার ৮০০ টাকা। তিশার জনপ্রিয়তা বিবেচনায় ঝিনুক প্রস্তাব দেন, শাড়িটি ফ্রি দেবেন। তবে শর্ত হলো, তিশা সেটি পরে ছবি তুলে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্র্যান্ডটির প্রচার করবেন। তিশা প্রস্তাবে রাজি হন এবং শাড়িটি তাঁর বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

ঝিনুক আরও জানান, এরপর প্রায় ১০ মাস হয়ে গেলেও তিশা তাঁর কথা রাখেননি। মাঝে কয়েকবার ভয়েস মেসেজ দিয়ে দ্রুত কাজটি করে দেওয়ার কথাও বলেন তিশা। পরবর্তী সময়ে তিশা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এই ঘটনায় এখন ওই নারী উদ্যোক্তা শাড়ির দাম ফেরত চান, না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তিশা লেখেন, ‘গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক! হাহা! আর ফটোশুটই যদি করাতে চান, পারিশ্রমিক কই? আজব নারী উদ্যোক্তা! আপনার গিফটরে সালাম।’

তিশার বিরুদ্ধে যখন এই প্রতারণার অভিযোগ উঠল, সেই সময়ে অভিনেত্রী ব্যস্ত তাঁর প্রথম সিনেমার শুটিংয়ে। ‘সোলজার’ নামের এই সিনেমায় তিশার সঙ্গে আছেন শাকিব খান। পরিচালনা করছেন সাকিব ফাহাদ। তবে তিশা এখনো সোলজার নিয়ে কোনো কথা বলেননি, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সিনেমায় অভিনয়ের কথা জানাননি।

সম্প্রতি এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিশা বলেন, ‘নতুন এক যাত্রা শুরু করেছি। এটা একটা টিমওয়ার্ক। আমি একা কিছু বলতে পারি না। এটুকু বলতে চাই, সবার কাছে দোয়া চাই, যাতে এই নতুন যাত্রায় ভালো করতে পারি।’

দেশপ্রেমকে উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে সোলজার সিনেমার কাহিনি। সোলজার টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাস্তবতার, লড়াইয়ের ও আশাবাদী হওয়ার গল্প বলবে সোলজার। এতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, তৌকীর আহমেদ, জান্নাতুল ঐশী প্রমুখ। এখন চলছে সিনেমার শুটিং। এ বছরই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে চান নির্মাতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববাজারে সোনা বিক্রির হিড়িক, ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানেই, যোগ্যদেরকে ডিসি নিয়োগ— বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত আজীবন নিষিদ্ধ

গাজার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে—আশঙ্কা ট্রাম্প প্রশাসনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই দম্পতির গল্প নিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’–এ মীর রাব্বি ও জৌপারী লুসাই (বাঁয়ে) এবং সুদীপ বিশ্বাস দীপ ও আরিয়ানা জামান। ছবি: সংগৃহীত
ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’–এ মীর রাব্বি ও জৌপারী লুসাই (বাঁয়ে) এবং সুদীপ বিশ্বাস দীপ ও আরিয়ানা জামান। ছবি: সংগৃহীত

গত বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’। এরপর নতুন কোনো কাজ দেখা যায়নি মনপুরা খ্যাত এই নির্মাতার। এক বছরের বেশি সময় পর নতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ২২ অক্টোবর মধ্যরাতে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’।

ইতিমধ্যে প্রকাশিত পারফেক্ট ওয়াইফের ট্রেলারে দেখা গেল, দুই দম্পতির গল্প নিয়ে ফিকশনটির কাহিনি। এক মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসে এক যুবক। সেখানে দুই পরিবারের মাঝে শুরু হয় নানা দ্বন্দ্ব। একে অন্যের প্রতি ভালোবাসার কমতি না থাকলেও নিজেদের মাঝে শুরু হতে থাকে কলহ। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর রাব্বি, সুদীপ বিশ্বাস দীপ, আরিয়ানা জামান ও জৌপারী লুসাই ।

নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘পুরুষালি দৃষ্টিভঙ্গিতে মনের মতো বউ বলে একটা বিষয় কাজ করে। স্বামী দ্বারা নির্ধারিত কিছু গুণ থাকলেই হয়তো সেই স্ত্রী পারফেক্ট। এই প্রচলিত ধারণা বা আকাঙ্ক্ষাকে প্রশ্ন করতেই আমাদের নতুন নির্মাণ পারফেক্ট ওয়াইফ। আমরা এই গল্পটা একটু মজা করে বলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় দর্শকেরা পছন্দ করবেন।’

অভিনেতা মীর রাব্বির মতে পারফেক্ট বিষয়টা আপেক্ষিক। অভিনেতা বলেন, ‘গল্পটিতে প্রচলিত প্রবণতা বা অভ্যাসকে স্যাটায়ার করার চেষ্টা আছে। আমি যে ধরনের কাজ করে এসেছি, পারফেক্ট ওয়াইফ তার থেকে একটু আলাদা। এখানে একটু কমেডি-ফান রয়েছে, বলা যায় সিচুয়েশনাল কমেডি। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি, আশা করছি আমাদের কাজটা দর্শকদের আনন্দ দিতে পারবে।’

মীর রাব্বির বিপরীতে অভিনয় করেছেন জৌপারী লুসাই। ট্রেলারে বাংলা ছাড়াও তাঁকে অন্য ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে। জৌপারী লুসাই বলেন, ‘এই চরিত্রটি আমার জন্য খুবই আনএক্সপেক্টেড। আমার বিশ্বাস দর্শকেরাও একটা ধাক্কা খাবেন চরিত্রটি দেখে। শেষটা আরও চমকপ্রদ।’

সুদীপ বিশ্বাস দীপ বলেন, ‘ফিকশনটিতে আমি আইনজীবী বাবার বখে যাওয়া এক সন্তানের চরিত্রে অভিনয় করেছি। কোনো কিছুরই অভাব নেই আমার, তবু কি আমি পারফেক্ট? এমন অনেক বিষয় খুব মজার ছলে গল্পটিতে বলার চেষ্টা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববাজারে সোনা বিক্রির হিড়িক, ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানেই, যোগ্যদেরকে ডিসি নিয়োগ— বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত আজীবন নিষিদ্ধ

গাজার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে—আশঙ্কা ট্রাম্প প্রশাসনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসরানির মৃত্যু, চুপিসারে হলো শেষকৃত্য

বিনোদন ডেস্ক
আসরানির মৃত্যু, চুপিসারে হলো শেষকৃত্য

দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলিউড অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি। বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে। তাঁর ফুসফুসে পানি জমে গিয়েছিল। গত সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অভিনেতার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই দিন সন্ধ্যায় কাউকে না জানিয়ে অনেকটা চুপিসারে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় আসরানির। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় অভিনেতার মৃত্যুর খবর।

জানা গেছে, আসরানি নিজেই চাননি তাঁর শেষযাত্রায় আনুষ্ঠানিকতার বিষয় থাকুক। অভিনেতার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, মৃত্যুর আগে স্ত্রী মঞ্জুর কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, পৃথিবী থেকে নীরবে বিদায় নিতে চান তিনি। অভিনেতা চেয়েছিলেন, আমজনতা তাঁকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই মনে রাখুক। এ জন্য স্ত্রী মঞ্জুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে যেন কোনো রকম হট্টগোল বা মিডিয়ার ভিড় না হয় শেষযাত্রায়। অভিনেতার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতেই তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হলো শেষকৃত্যের পর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববাজারে সোনা বিক্রির হিড়িক, ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানেই, যোগ্যদেরকে ডিসি নিয়োগ— বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত আজীবন নিষিদ্ধ

গাজার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে—আশঙ্কা ট্রাম্প প্রশাসনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৯ বছর পর সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত
সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত

‎ঢালিউডের নামকরা অভিনেতা প্রয়াত সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। আজ দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম। ‎

‎তিনি বলেন, নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল রাতেই রমনা থানায় তাঁর মামা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ‎

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়াবাসা থেকে সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সালমান শাহের বাবা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন।

২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়।

২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন আবেদন করেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহ ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন।

পিবিআইয়ের সেই প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলেন নীলা চৌধুরী। একই সঙ্গে প্রতিবেদনটির বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন তিনি।

গতকাল নীলা চৌধুরীর সেই আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ বছর আগের ঘটনায় হত্যা মামলা করার নির্দেশ দেন আদালত; যা তদন্তের ভার দেওয়া হয় রমনা থানাকে।

এ অবস্থায় গতকাল রাতেই রমনা থানায় সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববাজারে সোনা বিক্রির হিড়িক, ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানেই, যোগ্যদেরকে ডিসি নিয়োগ— বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত আজীবন নিষিদ্ধ

গাজার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে—আশঙ্কা ট্রাম্প প্রশাসনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত