খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমা নিয়ে কাজ করছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ফান্ড। অবশেষে জানা গেল এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম। দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমায় অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তিন অভিনেত্রী...
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে শবনম বুবলীর সঙ্গে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আবদুন নূর সজল। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। শাপলা শালুকের পর আরও এক সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন সজল। এবার তাঁর নায়িকা অপু বিশ্বাস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দুর্বার’ নামের সিনেমার শুটিং।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। সেই থেকে নিয়মিত কাজ করছেন শোবিজে। এখনো একাধিক সিনেমা রয়েছে তাঁর হাতে। হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমা নিয়ে কাজ করছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ফান্ড। অবশেষে জানা গেল এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম। দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমায় অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তিন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। তাঁদের সঙ্গে আছেন জাইনিন করিম চৌধুরী। সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটিকে এমনটাই জানিয়েছেন নির্মাতা।
সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে, এক মেয়ের স্বপ্ন রূপকথার মতো আয়োজনে তার বিয়ে হবে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে এক জটিল রোগে ভুগছে। সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে। কোনো ফল না পাওয়ায় মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। একদিন বিউটি পারলারে গিয়ে লম্বা চুলের এক রহস্যময় নারীকে কল্পনায় দেখতে শুরু করে মেয়েটি।
ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সিনেমাটির শুটিং। অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী উজাড় করে দিয়েছেন। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। আমি তাঁদের আস্থা, তাঁদের উদারতা, তাঁদের নিখুঁত শৈল্পিকতা এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্য কৃতজ্ঞ।’ নির্মাতা জানান, গল্পটি নিয়ে প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করছেন তিনি। ২০০৬ সালে প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড। পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত বদলে পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্মাণের পথে হাঁটেন।
রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘২১ বছর ধরে গল্পটি মনের মধ্যে রেখেছি, বারবার লিখেছি। আমার জীবনের অর্ধেক সময়জুড়ে আছে এই গল্প। অবশেষে একটা দুর্দান্ত টিম নিয়ে সিনেমাটি বানাতে পেরেছি। এটা আমার কাছে মিরাকলের মতো লাগছে।’
দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার চিত্রগ্রহণে আছেন পর্তুগিজ নির্মাতা লিওনর টেলস। অন্যান্য বিভাগেও কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক কলাকুশলীরা। রুবাইয়াত হোসেনের সঙ্গে সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন ফ্রান্সের ফ্রাঁসোয়া ডি’আর্টেমারে, জার্মানির আন্না ক্যাচকো, পর্তুগালের পেড্রো বোর্গস, নরওয়ের ইনগার্ড লিল হটন।
১৩ ডিসেম্বর থেকে ফ্রান্সে শুরু হতে যাওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। জানা গেছে, এখন চলছে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। ২০২৬ সালের মার্চ নাগাদ প্রস্তুত হবে দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড। এর পর অংশ নেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমা নিয়ে কাজ করছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ফান্ড। অবশেষে জানা গেল এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম। দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমায় অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তিন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। তাঁদের সঙ্গে আছেন জাইনিন করিম চৌধুরী। সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটিকে এমনটাই জানিয়েছেন নির্মাতা।
সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে, এক মেয়ের স্বপ্ন রূপকথার মতো আয়োজনে তার বিয়ে হবে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে এক জটিল রোগে ভুগছে। সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে। কোনো ফল না পাওয়ায় মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। একদিন বিউটি পারলারে গিয়ে লম্বা চুলের এক রহস্যময় নারীকে কল্পনায় দেখতে শুরু করে মেয়েটি।
ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সিনেমাটির শুটিং। অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী উজাড় করে দিয়েছেন। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। আমি তাঁদের আস্থা, তাঁদের উদারতা, তাঁদের নিখুঁত শৈল্পিকতা এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্য কৃতজ্ঞ।’ নির্মাতা জানান, গল্পটি নিয়ে প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করছেন তিনি। ২০০৬ সালে প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড। পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত বদলে পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্মাণের পথে হাঁটেন।
রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘২১ বছর ধরে গল্পটি মনের মধ্যে রেখেছি, বারবার লিখেছি। আমার জীবনের অর্ধেক সময়জুড়ে আছে এই গল্প। অবশেষে একটা দুর্দান্ত টিম নিয়ে সিনেমাটি বানাতে পেরেছি। এটা আমার কাছে মিরাকলের মতো লাগছে।’
দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার চিত্রগ্রহণে আছেন পর্তুগিজ নির্মাতা লিওনর টেলস। অন্যান্য বিভাগেও কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক কলাকুশলীরা। রুবাইয়াত হোসেনের সঙ্গে সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন ফ্রান্সের ফ্রাঁসোয়া ডি’আর্টেমারে, জার্মানির আন্না ক্যাচকো, পর্তুগালের পেড্রো বোর্গস, নরওয়ের ইনগার্ড লিল হটন।
১৩ ডিসেম্বর থেকে ফ্রান্সে শুরু হতে যাওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। জানা গেছে, এখন চলছে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। ২০২৬ সালের মার্চ নাগাদ প্রস্তুত হবে দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড। এর পর অংশ নেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
কয়েক দিন আগে শবনম বুবলীর সঙ্গে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আবদুন নূর সজল। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। শাপলা শালুকের পর আরও এক সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন সজল। এবার তাঁর নায়িকা অপু বিশ্বাস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দুর্বার’ নামের সিনেমার শুটিং।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। সেই থেকে নিয়মিত কাজ করছেন শোবিজে। এখনো একাধিক সিনেমা রয়েছে তাঁর হাতে। হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েক দিন আগে শবনম বুবলীর সঙ্গে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আবদুন নূর সজল। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। শাপলা শালুকের পর আরও এক সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন সজল। এবার তাঁর নায়িকা অপু বিশ্বাস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দুর্বার’ নামের সিনেমার শুটিং। এটি পরিচালনা করছেন কামরুল হাসান ফুয়াদ।
দুর্বার সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে থ্রিলার ও মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে একটানা দৃশ্যধারণের কাজ শেষ করতে চান তিনি। এতে আরও অভিনয় করছেন জান্নাতুল নূর, সানজু জনসহ অনেকে। সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু।
শোনা যাচ্ছে, আগামী বছর কোরবানির ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে দুর্বার। নির্মাতা কামরুল হাসান ফুয়াদ বলেন, ‘আগে সিনেমার কাজ ভালোভাবে শেষ করতে চাই। এরপর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করব। আমাদের ইচ্ছা আছে কোনো একটি উৎসবে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার। তবে কোনো রকম তাড়াহুড়া করতে চাই না। আমাদের সবার উদ্দেশ্য, দর্শকদের ভালো একটি সিনেমা উপহার দেওয়া।’
জানা গেছে, এখন সিনেমার রিহার্সালে ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনয়শিল্পীরা। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চান সজল ও অপু। শুটিং শুরুর আগে ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ফটোশুটে অংশ নেওয়ার কথা আছে তাঁদের।
সিনেমার পাশাপাশি ডাবিং আর্টিস্ট হিসেবেও ব্যস্ত সময় পার করছেন সজল। একাধিক বিদেশি সিরিয়ালের ডাবিং করছেন তিনি। এই মাধ্যমের কাজও দারুণ উপভোগ করছেন সজল। অন্যদিকে, কয়েক দিন আগে জানা গেছে অপু বিশ্বাসের আরও এক সিনেমার খবর। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘সিক্রেট’ নামে আরেক সিনেমায় অভিনয় করবেন তিনি। এতে অপুর নায়ক আদর আজাদ। দুর্বারের কাজ শেষ হওয়ার পর সিক্রেট সিনেমার শুটিং শুরু করবেন অপু।

কয়েক দিন আগে শবনম বুবলীর সঙ্গে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আবদুন নূর সজল। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। শাপলা শালুকের পর আরও এক সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন সজল। এবার তাঁর নায়িকা অপু বিশ্বাস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দুর্বার’ নামের সিনেমার শুটিং। এটি পরিচালনা করছেন কামরুল হাসান ফুয়াদ।
দুর্বার সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে থ্রিলার ও মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে একটানা দৃশ্যধারণের কাজ শেষ করতে চান তিনি। এতে আরও অভিনয় করছেন জান্নাতুল নূর, সানজু জনসহ অনেকে। সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু।
শোনা যাচ্ছে, আগামী বছর কোরবানির ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে দুর্বার। নির্মাতা কামরুল হাসান ফুয়াদ বলেন, ‘আগে সিনেমার কাজ ভালোভাবে শেষ করতে চাই। এরপর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করব। আমাদের ইচ্ছা আছে কোনো একটি উৎসবে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার। তবে কোনো রকম তাড়াহুড়া করতে চাই না। আমাদের সবার উদ্দেশ্য, দর্শকদের ভালো একটি সিনেমা উপহার দেওয়া।’
জানা গেছে, এখন সিনেমার রিহার্সালে ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনয়শিল্পীরা। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চান সজল ও অপু। শুটিং শুরুর আগে ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ফটোশুটে অংশ নেওয়ার কথা আছে তাঁদের।
সিনেমার পাশাপাশি ডাবিং আর্টিস্ট হিসেবেও ব্যস্ত সময় পার করছেন সজল। একাধিক বিদেশি সিরিয়ালের ডাবিং করছেন তিনি। এই মাধ্যমের কাজও দারুণ উপভোগ করছেন সজল। অন্যদিকে, কয়েক দিন আগে জানা গেছে অপু বিশ্বাসের আরও এক সিনেমার খবর। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘সিক্রেট’ নামে আরেক সিনেমায় অভিনয় করবেন তিনি। এতে অপুর নায়ক আদর আজাদ। দুর্বারের কাজ শেষ হওয়ার পর সিক্রেট সিনেমার শুটিং শুরু করবেন অপু।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমা নিয়ে কাজ করছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ফান্ড। অবশেষে জানা গেল এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম। দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমায় অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তিন অভিনেত্রী...
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। সেই থেকে নিয়মিত কাজ করছেন শোবিজে। এখনো একাধিক সিনেমা রয়েছে তাঁর হাতে। হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। সেই থেকে নিয়মিত কাজ করছেন শোবিজে। এখনো একাধিক সিনেমা রয়েছে তাঁর হাতে। হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বাকিটা জীবন কাটাতে চান মৌ।
অভিনয়কে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়ে গতকাল ফেসবুকে মৌ খান লেখেন, ‘আমার এই দীর্ঘ অভিনয়জীবনে আপনাদের অসীম ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া সব সময় গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখব। তবে আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের জায়গা থেকে জানাতে চাই, আমি আর অভিনয় ক্যারিয়ারটি চালিয়ে যেতে চাই না।’
অভিনয় ছাড়ার কারণ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবেই আমার নিজস্ব ও ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্ত। জীবনের বাকি পথ আমি আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী, নামাজ-কোরআন ও দ্বীনের আলোকে চলতে চাই। রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরেই আমার পরবর্তী জীবন গড়ে তুলতে চাই।’
নতুন করে কোনো সিনেমায় আর চুক্তিবদ্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন মৌ খান। তবে হাতে থাকা অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করবেন। দ্রুত সেই কাজগুলো শেষ করতে পরিচালকদের অনুরোধ করেছেন তিনি। মৌ খান বলেন, ‘যে কয়েকটি কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে, সেগুলোর সম্মানিত পরিচালকদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে আপনারা সেগুলো সম্পন্ন করে নেবেন। আমার যতটুকু কাজ আছে, তা আমি শেষ করে দেব।’
সব শেষ গত অক্টোবরে মুক্তি পেয়েছিল মৌ খান অভিনীত সিনেমা ‘বান্ধব’। এখন কাজ করছেন ‘আবার হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’ এবং ‘তবুও প্রেম দামি’ সিনেমায়।

২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। সেই থেকে নিয়মিত কাজ করছেন শোবিজে। এখনো একাধিক সিনেমা রয়েছে তাঁর হাতে। হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বাকিটা জীবন কাটাতে চান মৌ।
অভিনয়কে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়ে গতকাল ফেসবুকে মৌ খান লেখেন, ‘আমার এই দীর্ঘ অভিনয়জীবনে আপনাদের অসীম ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া সব সময় গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখব। তবে আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের জায়গা থেকে জানাতে চাই, আমি আর অভিনয় ক্যারিয়ারটি চালিয়ে যেতে চাই না।’
অভিনয় ছাড়ার কারণ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবেই আমার নিজস্ব ও ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্ত। জীবনের বাকি পথ আমি আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী, নামাজ-কোরআন ও দ্বীনের আলোকে চলতে চাই। রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরেই আমার পরবর্তী জীবন গড়ে তুলতে চাই।’
নতুন করে কোনো সিনেমায় আর চুক্তিবদ্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন মৌ খান। তবে হাতে থাকা অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করবেন। দ্রুত সেই কাজগুলো শেষ করতে পরিচালকদের অনুরোধ করেছেন তিনি। মৌ খান বলেন, ‘যে কয়েকটি কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে, সেগুলোর সম্মানিত পরিচালকদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে আপনারা সেগুলো সম্পন্ন করে নেবেন। আমার যতটুকু কাজ আছে, তা আমি শেষ করে দেব।’
সব শেষ গত অক্টোবরে মুক্তি পেয়েছিল মৌ খান অভিনীত সিনেমা ‘বান্ধব’। এখন কাজ করছেন ‘আবার হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’ এবং ‘তবুও প্রেম দামি’ সিনেমায়।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমা নিয়ে কাজ করছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ফান্ড। অবশেষে জানা গেল এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম। দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমায় অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তিন অভিনেত্রী...
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে শবনম বুবলীর সঙ্গে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আবদুন নূর সজল। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। শাপলা শালুকের পর আরও এক সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন সজল। এবার তাঁর নায়িকা অপু বিশ্বাস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দুর্বার’ নামের সিনেমার শুটিং।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। ১০ দিনের এই উৎসবে ৫০টির বেশি দেশের ১০০টির বেশি সিনেমা প্রদর্শিত হবে।
প্রতিবছর রেড সি ফেস্টিভ্যালে হলিউড, বলিউডসহ আরববিশ্বের নামকরা অভিনয়শিল্পী-নির্মাতারা হাজির থাকেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে উৎসবের রেড কার্পেট হয়ে উঠেছিল তারকাময়। হাজির ছিলেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, ঐশ্বরিয়া রাই, কার্স্টেন ডানস্ট, ভিন ডিজেল, জেসিকা আলবা, কুইন লতিফা, ডাকোটা জনসন, আনা ডি আরমাস, রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, উমা থারম্যান, কৃতি শ্যানন প্রমুখ। সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয় জুলিয়েট বিনোচে, স্যার মাইকেল কেইন, স্ট্যানলি টংয়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের।
উৎসবের প্রথম দিন এক ঘণ্টার বিশেষ সেমিনারে যোগ দেন ঐশ্বরিয়া রাই। সেখানে নিজের ক্যারিয়ারের নানা পর্যায় নিয়ে আলাপ করেন অভিনেত্রী। দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যেসব সিনেমার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন, যেসব সিনেমার কলাকুশলীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঐশ্বরিয়া জানান, জীবনের সব পরিস্থিতিতে কখনোই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেননি তিনি। অন্যরা কী বলবে, এ চিন্তা না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কখনো অনিরাপদ বোধ করি না; যে কারণে আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। চারপাশের নানা মানুষের নানা মত অনেক সময় মানুষের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। কিন্তু আমি সেটা হতে দিইনি।’
জীবনকে সব সময় একজন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে দেখেছেন ঐশ্বরিয়া। নানা পরিস্থিতি থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করেছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। আমি সায়েন্সের ছাত্রী ছিলাম। স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। পরে ভাগ্য আমাকে শোবিজে নিয়ে এসেছে। এখনো জীবনের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি একজন শিক্ষার্থীর মতো; যা কিছু ঘটেছে, শেখার চেষ্টা করেছি।’
বড় আয়োজন কিংবা বড় বাজেটের সিনেমা নয়, ঐশ্বরিয়া সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো কাজের সঙ্গী হতে। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘দেবদাস’-এর মতো বড় প্রজেক্টে অভিনয়ের পর যুক্ত হয়েছিলেন কম বাজেটের বাংলা সিনেমায়। ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘আমার মনে আছে, দেবদাসের পর সবাই ভাবছিল, এরপর আমার বড় প্রজেক্ট কী হবে? তখন আমি ঋতুপর্ণ ঘোষের “চোখের বালি” করেছি। কারণ, এমন সুন্দর গল্পেই আমি সব সময় কাজ করতে চেয়েছি।’

কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। ১০ দিনের এই উৎসবে ৫০টির বেশি দেশের ১০০টির বেশি সিনেমা প্রদর্শিত হবে।
প্রতিবছর রেড সি ফেস্টিভ্যালে হলিউড, বলিউডসহ আরববিশ্বের নামকরা অভিনয়শিল্পী-নির্মাতারা হাজির থাকেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে উৎসবের রেড কার্পেট হয়ে উঠেছিল তারকাময়। হাজির ছিলেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, ঐশ্বরিয়া রাই, কার্স্টেন ডানস্ট, ভিন ডিজেল, জেসিকা আলবা, কুইন লতিফা, ডাকোটা জনসন, আনা ডি আরমাস, রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, উমা থারম্যান, কৃতি শ্যানন প্রমুখ। সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয় জুলিয়েট বিনোচে, স্যার মাইকেল কেইন, স্ট্যানলি টংয়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের।
উৎসবের প্রথম দিন এক ঘণ্টার বিশেষ সেমিনারে যোগ দেন ঐশ্বরিয়া রাই। সেখানে নিজের ক্যারিয়ারের নানা পর্যায় নিয়ে আলাপ করেন অভিনেত্রী। দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যেসব সিনেমার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন, যেসব সিনেমার কলাকুশলীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঐশ্বরিয়া জানান, জীবনের সব পরিস্থিতিতে কখনোই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেননি তিনি। অন্যরা কী বলবে, এ চিন্তা না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কখনো অনিরাপদ বোধ করি না; যে কারণে আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। চারপাশের নানা মানুষের নানা মত অনেক সময় মানুষের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। কিন্তু আমি সেটা হতে দিইনি।’
জীবনকে সব সময় একজন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে দেখেছেন ঐশ্বরিয়া। নানা পরিস্থিতি থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করেছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। আমি সায়েন্সের ছাত্রী ছিলাম। স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। পরে ভাগ্য আমাকে শোবিজে নিয়ে এসেছে। এখনো জীবনের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি একজন শিক্ষার্থীর মতো; যা কিছু ঘটেছে, শেখার চেষ্টা করেছি।’
বড় আয়োজন কিংবা বড় বাজেটের সিনেমা নয়, ঐশ্বরিয়া সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো কাজের সঙ্গী হতে। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘দেবদাস’-এর মতো বড় প্রজেক্টে অভিনয়ের পর যুক্ত হয়েছিলেন কম বাজেটের বাংলা সিনেমায়। ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘আমার মনে আছে, দেবদাসের পর সবাই ভাবছিল, এরপর আমার বড় প্রজেক্ট কী হবে? তখন আমি ঋতুপর্ণ ঘোষের “চোখের বালি” করেছি। কারণ, এমন সুন্দর গল্পেই আমি সব সময় কাজ করতে চেয়েছি।’

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমা নিয়ে কাজ করছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ফান্ড। অবশেষে জানা গেল এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম। দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমায় অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তিন অভিনেত্রী...
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে শবনম বুবলীর সঙ্গে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আবদুন নূর সজল। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। শাপলা শালুকের পর আরও এক সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন সজল। এবার তাঁর নায়িকা অপু বিশ্বাস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দুর্বার’ নামের সিনেমার শুটিং।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। সেই থেকে নিয়মিত কাজ করছেন শোবিজে। এখনো একাধিক সিনেমা রয়েছে তাঁর হাতে। হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে