Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

সুযোগ না থাকলে হয়তো নাটকেই থাকতাম

আফজাল হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আফজাল হোসেন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। অভিনয়জীবন, থিয়েটার চর্চা, ছবি আঁকা, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

এম এস রানা
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ০৮

দর্শক এখনো আপনাকে টিভি পর্দায় দেখতে চায়। কিন্তু টেলিভিশনে আপনাকে খুব একটা পাওয়া যায় না। কেন?

আমি তো ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আমার একটা আলাদা পেশা তৈরি হয়েছে। লক্ষ করলাম, এই পেশায় থাকতে হলে যাঁদের সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া লাগে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমি অভিনয় করি। মানে, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা এভাবে তৈরি করতে পারিনি যে অভিনেতারা দায়িত্বশীল হতে পারেন। তাই সেই সময় অভিনয় থেকে দূরত্ব তৈরি হয়।

এই অন্য পেশায় যাওয়ার কী কারণ?

আমরা আমাদের চারপাশে দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোকে পেয়েছি। যাঁরা নাটক লেখেন, অভিনয় করেন, ক্যামেরা চালান, বিভিন্ন ক্ষেত্রের কলাকুশলী যাঁরা আছেন, তাঁদের নিবেদনটাও দেখেছি ভালো কাজ করবার। ফলে আমরা সময়ের সবচেয়ে ভালো নাটকগুলোতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। এরপর অনেকগুলো টেলিভিশন হলো। যেখানে ১০ জন প্রতিভাবান প্রডিউসার নাটক বানাতেন, হঠাৎ করে ১০০ জন নির্মাতা, লেখক এসে গেলেন। আগে যেখানে মাসে বা দুই মাসে একটি নাটকে অভিনয় করা যেত, এখন এক মাসেই ১০টি নাটকে অভিনয় করা যায়। কারও কারও কাছে আনন্দের জায়গা হলেও আমার আশঙ্কা জেগেছিল, এই এত ‘হওয়া’ সুখের হবে কি না শেষ পর্যন্ত। একটা সময় খেয়াল করি, অভিজ্ঞতা অতটা ভালো না। আমার যেহেতু অন্য পথ খোলা ছিল বা সুযোগ ছিল, তাই নাটক থেকে দূরে থাকতে পেরেছি। সুযোগ না থাকলে হয়তো আমি নাটকেই থাকতাম।

প্রতি ঈদে একটা সিরিজ করেন। ছোটকাকু। এবারও কি করছেন?

ছোটকাকুর বেশ কিছু গল্প করেছি। কিন্তু গোয়েন্দা গল্পগুলো একই ধাঁচের হলে মানুষের খুব বেশি আগ্রহ থাকবার কথা নয়। ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা বই থেকে এর নাট্যরূপ, নির্দেশনা, অভিনয়—সব আমার থাকত। কিন্তু একটা পর্যায়ে মনে হলো, এটি যদি লেখা, নাট্যরূপ বা নির্দেশনায় অন্য কেউ থাকেন, তাহলে হয়তো প্রযোজনাটা আরও ভালো হবে। এবার গল্পটা লেখা শুরু হয়েছে। নতুন যে গল্পটা করছি, ওটার নাট্যরূপ দিচ্ছেন অনিমেষ আইচ। ডিরেকশনও দেবে সে। শুটিং শুরু করব।

নিয়ম করে প্রতি ঈদে শিশু-কিশোরদের নিয়ে নাটক বানানোর পেছনে কোনো কারণ আছে?

এর সঙ্গে আমার একটা ভালোবাসার বিষয় আছে। আমি ঢাকা শহরে এসে প্রথমে শিশু-কিশোর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হই। সেই যুক্ত হওয়ার কারণে, আমি যে মানুষটি এসেছিলাম, তার চিন্তাভাবনাগুলো বদলায়। সে হিসেবে আমার সর্বক্ষণ মনে হয়, এই যে শিশু-কিশোরদের জন্য কিছু করতে চাওয়া, এটা একেবারেই এখন নেই। তাই এটা করা।

অনেকে বলছেন, টেলিভিশন মিডিয়া তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। আপনি কী বলেন?

আমিও বলব, হারাচ্ছে। কারণ, টেলিভিশন হয়েছে অনেক। কিন্তু টেলিভিশন কেন, সেই প্রশ্নটাই করা হয় না। ঘুরেফিরে সেই একই অনুষ্ঠান করতে হয়। যে খবর প্রচারিত হয়, সেটাও এখন মানুষের উপভোগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। খবরের মধ্যে গল্প বলা হয়, উত্তেজনার মিশেল দেওয়া হয়। এটা টেলিভিশনের ভূমিকা নয়। যে তর্ক-বিতর্ক হয় প্রতিদিন, সেটা রাজনীতি নিয়ে। কেন? মানুষের জীবনে কি রাজনীতি ছাড়া আর কোনো বিষয় নেই কথা বলার? আর সৃজনশীল অনুষ্ঠান যেটা, সে ব্যাপারেও আমার মনে হয়, একটা অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে যে বিষয়গুলো হওয়া দরকার, সেসব থাকে না। যেমন ঈদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে দর্শকদের উপলব্ধি করতে হবে যে এটা ঈদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান। আমি বলছি বিশেষ, কিন্তু দর্শক একই রকম অনুষ্ঠান দেখছে। টেলিভিশনগুলো বলছে, তাদের অনেক কিছু হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কারণ, স্পন্সর পাওয়া যায় না। এটা খুব বিপজ্জনক কথা। কারণ, স্পন্সর পাওয়া গেলে ভালো অনুষ্ঠানের কথা ভাবা যাবে, আর পাওয়া না গেলে ভালো অনুষ্ঠান বন্ধ করা হবে। এটা যদি বলবৎ থাকে একটা দেশের গণমাধ্যমে, তাহলে বেশি ভালো অবস্থানে যাওয়ার কথা নয়।

আমাদের টেলিভিশনগুলোর কি এখন বিশেষায়িত চ্যানেল হওয়া উচিত? নাটকের জন্য, নিউজের জন্য, স্পোর্টসের জন্য, গানের জন্য আলাদা হওয়া উচিত?

আমার মনে হয়, সবার আগে আমাদের সৃজনশীল হওয়া উচিত।

আলোচিত অভিনয়শিল্পী জুটি আফজাল-সুবর্ণা। আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জনও শোনা যেত। মাঝে একসঙ্গে কিছু কাজ করলেও আগের মতো আপনাদের একসঙ্গে দেখা যায় না। আপনাদের জুটি নিয়ে কিছু বলবেন?

সুবর্ণার সঙ্গে আমার একটা স্পেশাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল; কারণ, আমরা একই দলে নাটক করতাম। সেই সময় টেলিভিশনে সেরা নাটকগুলোতে একসঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। সৌভাগ্যবশত আমাদের শুধু যোগ্যতার কারণে নয়, যেসব নাটকে অভিনয় করেছি, সে নাটকগুলো ভালো ছিল, প্রযোজক ভালো ছিলেন, আর দর্শকেরাও আমাদের একসঙ্গে দেখতে ভালোবাসতেন। সব মিলিয়ে নাটকগুলো অনেক ভালো হয়েছে। এমনও হয়েছে, স্ত্রীকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়েছি, সেখানে অনেকে বলছেন, আপনাদের অভিনয় খুব ভালো লাগে। এটা একটা দেশের দুজন অভিনয়শিল্পীর জন্য বড় অ্যাচিভমেন্ট। দর্শক ওভাবে বিষয়টা না দেখলে দুজনের নাম একসঙ্গে উচ্চারণ করছেন কেন এখন পর্যন্ত, যখন আমরা একসঙ্গে অভিনয় করি না। এটা একদিকে যেমন আনন্দের, তেমনি আবার কষ্টেরও। কারণ, সুবর্ণার মতো একজন অভিনয়শিল্পী; যিনি দীর্ঘকাল ধরে অসাধারণ অভিনয় করেছেন, তাঁর জন্য আলাদা কোনো চরিত্র দেখিনি।

সুযোগ হলে আবার একসঙ্গে অভিনয় করবেন আপনারা?

আমি নিজেও একসময় চাইতাম, আমি আর সুবর্ণা আর একসঙ্গে অভিনয় না করি। কারণ, আমি আর সুবর্ণা একসঙ্গে এত অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছি যে আমরা চাই না বেশি ব্যবহারে বিষয়টা নষ্ট হোক। তাই করতাম না। তবে গত ১০ বছরে আমরা আটটা-দশটা কাজ করেছি একসঙ্গে। নিজেরা একসঙ্গে অভিনয় করা তো অনেক আনন্দের ব্যাপার। সে জন্য দুজনের উপযোগী চরিত্র হতে হবে।

একসময় নিয়মিত থিয়েটার করতেন। এখন সময় পান না। খোঁজখবর রাখেন থিয়েটারে কী হচ্ছে?

নিজে করতে পারি না, তার কারণ হলো, থিয়েটার পার্টটাইম জব নয়। ওই সময়টা দেওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু দলের যখন দরকার হয়, যদি দল জানায় যে আসতে হবে, তখন হয়তো যাই। আর যেসব থিয়েটার এখন হয়, সেগুলো দেখার চেষ্টা করি। থিয়েটারের সঙ্গে আবার যেন যুক্ততাটা তৈরি হয়, সে জন্য আমরা একটা নাটক শুরু করেছিলাম। মাসুম রেজার লেখা, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ডিরেকশন দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাটকটি নানা কারণে মঞ্চে নিয়ে আসতে পারিনি। আশা করি, শিগগির নাটকটি নিয়ে মঞ্চে আসতে পারব।

সম্প্রতি থিয়েটার অঙ্গনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা; যেমন নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে হলেও অভিনয় না করার অনুরোধ, নাট্যকর্মীদের ওপর হামলা—পুরো বিষয়টা কী মনে হয় আপনার কাছে?

এখন ঘটছে, নাকি আগে ঘটেছে, না পরে ঘটবে; এটা মুখ্য নয়। যেটা অসুন্দর, সেটা চিরকালই অসুন্দর। আমি গান গাই, আপনি আমাকে বলবেন যে আমি গাইতে পারব না, এটা পৃথিবীর কোনো যুক্তিতেই সুন্দর হতে পারে না। নানা জনের নানা মত থাকতে পারে, আপনি আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন, কিন্তু শক্তি দিয়ে রুখবেন না, এটা কখনোই সুন্দর হতে পারে না। আমার তো বয়স কম হলো না। আমার তো আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, তারপর ২০২৪ পর্যন্ত যা যা দেখার সুযোগ হয়েছে, একদিক দিয়ে মনে হয় খুব সৌভাগ্যবান। একজীবন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ২০২৪ এ আমরা কী দেখলাম! রাস্তায় যারা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছে, আমরা তাদের বিশ্বাস, আদর্শ, মূল্যবোধ বুঝতে পেরেছি কি না। এই যে মা তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে পথে নেমে পড়েছেন, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকেরা রাস্তায় নেমেছেন, জীবনে এই অসাধারণত্ব দেখবার পর, খুব সাধারণ বিষয় দেখবার মন কিন্তু আর থাকে না। এত সবকিছুর পরেও কারও ওপর হামলে পড়া, অশ্রদ্ধা করা, অপমান করা—কোনোকালেই এসব উচিত কর্ম নয়। এটা হতে পারে না। এটা মধ্যযুগীয় বিষয়, বর্বরতা।

আপনি তো ছবি আঁকেন। নিয়মিত সময় দেন ছবি আঁকাতে?

আমি এখন ছবিই আঁকি। নিয়মিতই ছবি আঁকি।

ফেসবুকে আপনার সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস দেখি। ড্রইং দেখি। কোনো এক্সিবিশন কি আমরা দেখতে পাব?

ফেসবুকে যে স্ট্যাটাসগুলো দিই, সেগুলো আমার লিখতে ভালো লাগে, নিজের মনের ভেতর যেসব বিষয় খেলা করে, সেগুলো লিখলাম, কিছু মানুষ পড়ল। সেই পড়াটা আমার মনে হয় এনাফ। সেটা দশজন মানুষ পড়ুক বা দশ হাজার জন পড়ুক।

বিজ্ঞাপনের কোনো কাজ করছেন?

না। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কাজ হয়। এখন আমি নিজে করি না অতটা।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বলবেন? আপনার পরিবার?

আমরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম আলফাজ হোসেন। ও আমার চেয়ে বছর চারেকের ছোট। একমাত্র বোন আমার চেয়ে বিশ বছরের ছোট। আমরা মূলত গ্রামের। আমার গ্রামটার নাম হচ্ছে পারুলিয়া। সাতক্ষীরা জেলায়। বাবা চিকিৎসক ছিলেন। আমি প্রথম ঢাকা শহরে আসি পড়াশোনা করার জন্য। তারপর ছোট ভাইটা আসে, তারপর বোনটা। তারপর আমাদের আলাদা আলাদা সংসার হয়। আমি বিয়ে করি। আব্বা মারা গেলে মাকে আমরা নিয়ে আসি। বোনটা বিয়ের পর বাইরে চলে যায়। আমার দুটো ছেলে, আমার ভাইয়ের দুটো মেয়ে, আমার বোনের দুটো মেয়ে। মা বলেছিলেন, যা-ই হোক, তোরা কাছাকাছি থাকবি, একসাথে থাকবি। আমরা কাছাকাছি থাকি, আলাদা হলেও পাশাপাশি থাকি।

ছেলেরা কেউ কি অভিনয়ে এসেছেন?

ওরা কেউ অভিনয় করে না। বড় ছেলেটি ফিল্মমেকিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছে। ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ে মাস্টার্স করেছে। ও এখন পড়ায় একটা ইউনিভার্সিটিতে, আমেরিকায় থাকে। আমরা বলি মেয়ে, মানে ওর বউ, সে ওখানে পড়াশোনা করছে। একসঙ্গেই আছে ওরা। ছোট ছেলেটি আমাদের সঙ্গেই আছে। এরা প্রত্যেকেই খুব ভালো ছবি আঁকত। এখন আঁকে না। অনেক পরে জানতে পারি, ছোট ছেলেটা অভিনয়সম্পর্কিত একটা কাজও করে। এখন তো ইন্টারনেটে পৃথিবীব্যাপী ওদের বন্ধুত্ব আছে। এরা ফিল্ম বানায় এবং সেই ফিল্মে সে ভয়েস দেয়। ভয়েস আর্টিস্ট।

আপনার স্ত্রী তো ফ্যাশন ডিজাইনার?

আমার স্ত্রী ফ্যাশন ডিজাইনিং করত। তারপর সংসারে এত ব্যস্ত হয়ে গেল যে এখন অন্য কিছু করে না। ইদানীং আবার ভাবছে, ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ফিরবে।

আপনার তো নানা দিকে ব্যস্ত থাকতে হয়। আপনি কীভাবে তাঁকে সময় দেন, আর উনি কীভাবে আপনাকে মেইনটেইন করেন?

শি ইজ আ পাওয়ারহাউস। তার শক্তিটাই আসল। আমাদের প্রায় ৩৪ বছর হয়েছে বিয়ের। আমি যা যা করি বা করতে চাই, সেগুলো করতে চেয়ে সংসার করা খুবই ডিফিকাল্ট। ও আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছে। এমন কিছুতে যুক্ত করতে চায়নি, যেটাতে আমার মনোযোগ অন্যদিকে যায়। একটা সময় যখন আমার পেশাটা তৈরি হচ্ছে, আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। খুব কম সময় ঘুমাতাম। রাতদিন পরিশ্রম করতে হতো। ওই সময়টা ও সামাল দিতে পেরেছে, এটাই মূল কারণ যে আমরা এত দিন হ্যাপি আছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে ‘দম’ সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন পূজা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
পূজা চেরি। ছবি: সংগৃহীত
পূজা চেরি। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন পূজা চেরি। তবে গতকাল সকাল থেকে খবর ছড়ায়, দম সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সিনেমার মহরতে দম-এর নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো পূজা চেরির নাম।

মহরত অনুষ্ঠানে পূজা চেরিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। অনুষ্ঠানে দুই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো কথা বলা শেষ করলে, পালকিতে চড়ে প্রবেশ করেন নায়িকা। পর্দা দিয়ে ঘেরা সেই পালকি থেকে পূজাকে নামিয়ে আনেন নিশো।

দম সিনেমা নিয়ে কথা বলার সময় রীতিমতো নার্ভাস লাগছিল পূজাকে। নায়িকা জানালেন, অনেক কথা সাজিয়ে এসেছিলেন বলার জন্য, কিন্তু অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে সব গুলিয়ে ফেলেছেন। এ সময় পূজা জানান, দম সিনেমায় অডিশন দিয়েই চূড়ান্ত হয়েছেন তিনি।

পূজা চেরি বলেন, ‘দম সিনেমার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে এই সিনেমায় যুক্ত করার জন্য। এই সিনেমার চরিত্রটির জন্য আমাকে অডিশন দিতে হয়েছে। এরপর আমাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ছোটবেলায় চঞ্চল দাদার সঙ্গে কাজ করলেও, নিশো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করা হবে। আশা করছি সবাই মিলে ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারব।’

সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় সারভাইভাল গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দমের কাহিনি। দুই বছর আগে প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গিয়েছিল, চারপাশে পাহাড়বেষ্টিত মরুভূমিতে একটি গাধার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে এক ছেলে। তার চোখ বাঁধা। ধারণা করা হচ্ছে, উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া প্রবাসীদের সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠবে সিনেমায়।

দম সিনেমার শুটিং লোকেশন হিসেবে সৌদি আরব, জর্ডানের নাম শোনা গেলেও কাজাখস্তানেই দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নির্মাতারা। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে দম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্মাতার বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ নাট্যকারের

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্মাতা তৌফিকুল ইসলাম ও নাট্যকার সাদাত রাসেল
নির্মাতা তৌফিকুল ইসলাম ও নাট্যকার সাদাত রাসেল

গত বছর রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছিল নাটক ‘তুই আমারই’। তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও সাদিয়া আয়মান। ইতিমধ্যে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটির ভিউ হয়েছে ২৮ মিলিয়নের বেশি। তবে নাটক প্রকাশের দেড় বছর পার হলেও এখনো পারিশ্রমিক পাননি বলে অভিযোগ করেছেন নাট্যকার সাদাত রাসেল। একাধিকবার নির্মাতার কাছে পারিশ্রমিক চাইলেও তাঁকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নাট্যকার।

নির্মাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাদাত রাসেল বলেন, ‘একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে—শিরোনামে আমার লেখা গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে শুটিং করা হয়। পরবর্তী সময়ে নির্মাতার সিদ্ধান্তে শিরোনাম পরিবর্তন করে গত বছর ১২ এপ্রিল ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে “তুই আমারই” নামে প্রকাশ করা হয়। নাটকটি দ্রুত ট্রেন্ডিং তালিকায় উঠে আসে এবং এখনো উল্লেখযোগ্য হারে এর ভিউ বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রকাশের পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমার লেখক সম্মানী পাইনি। যদিও শুটিং শুরুর আগেই নির্মাতা আমাকে অ্যাডভান্স পেমেন্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু শুটিং শেষে নাটকটি মুক্তি দেওয়ার পরেও কোনো রকম পেমেন্ট করা হয়নি আমাকে। আরও অবাক হয়েছি, রয়্যালটির যে অ্যাগ্রিমেন্টের কথা বলা হয়— সেখানে আমার কোনো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় নাট্যকার বা লেখকের আইনগত অনুমতি ছাড়া কনটেন্ট প্রকাশিত হওয়া কতটা বৈধ, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ।’

নাট্যকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ, তাই তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করা হবে। তা না হলে লিগ্যালওয়ে তো আছে। অভিযোগ থাকলে সেভাবে সমাধান হবে।’

নাট্যকারের পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টি জানেন সিএমভির কর্ণধার শাহেদ আলী পাপ্পু। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। নাট্যকার সাদাত রাসেল কয়েক দিন আগে আমাকে জানিয়েছেন। আমি পরিচালক তৌফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে ফেলবেন।’

শাহেদ আলী আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক নাটক নির্মাণ হয়। অনেক সময় চুক্তি ভিত্তিতে নির্মাতাদের কাজগুলো দিয়ে থাকি। সে ক্ষেত্রে শিল্পী-কলাকুশলীসহ সবার পারিশ্রমিকের বিষয়টিও তাঁরা দেখেন। তুই আমারই নাটক নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা মোটেও কাম্য নয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি হয়। সিএমভির পক্ষ থেকে এ সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি পরিচালককে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি, তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত তাঁকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছি এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কাজ না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় গাইতে আসছেন অরিজিৎ সিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অরিজিৎ সিং। ছবি: সংগৃহীত
অরিজিৎ সিং। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। হিন্দি কিংবা বাংলা—দুই ভাষার দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের বাইরেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উন্মাদনা, উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে গান শোনাতে আসছেন অরিজিৎ। অনলাইন টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্ম থেকে অরিজিতের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। বিভিন্ন কনসার্টের দৃশ্য কোলাজ করে তৈরি সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্টেজে পারফর্ম করছেন অরিজিৎ। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে তাঁর গাওয়া ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার ‘ইলাহি মেরা’ গানটি। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, অরিজিৎ সিং লাইভ ইন ঢাকা।

ঢাকায় অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্টের এই ঘোষণার পর থেকেই তুমুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ভক্তদের মাঝে। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অসংখ্য মন্তব্য, প্রায় সবারই এক জিজ্ঞাসা—কবে আসবেন অরিজিৎ, কবে মিলবে কনসার্টের টিকিট। তবে, অরিজিৎ সিংয়ের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি জানালেও কনসার্টের ভেন্যু, তারিখ ও আয়োজকদের নাম প্রকাশ করেনি টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্ম।

এ বিষয়ে জানতে প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই আয়োজনের টিকিট পার্টনার হিসেবে আছে টিকিট টুমোরো। এই প্লাটফর্মেই পাওয়া যাবে অগ্রিম টিকিট, যথাসময়ে জানানো হবে তারিখ। এ ছাড়া আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বিস্তারিত। কারা আয়োজন করছে জানতে চাইলে, পলিসিগত কারণে তা প্রকাশ করতে চাইল না প্রতিষ্ঠানটি।

টিকিট টুমোরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধাপে ধাপে জানানো হবে সব। এরই মধ্যে অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে কনসার্ট নিয়ে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের পর সুবিধাজনক সময়ে কনসার্টটি আয়োজন করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে টিকিট টুমোরো।

সবশেষ ২০১৬ সালে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘অরিজিৎ সিং সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ শিরোনামের কনসার্টে পারফর্ম করেন অরিজিৎ। এদিকে আগামী নভেম্বরে ঢাকা মাতাতে আসছেন আরেক ভারতীয় শিল্পী অনুভ জৈন। অরোরা নাইট শীর্ষক কনসার্টটি আয়োজন করছে হাইপ ন্যাশন। এই কনসার্টেরও তারিখ ও ভেন্যু এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওটিটিতে আসছে জয়ার ‘ফেরেশতে’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ফেরেশতে’ সিনেমার দৃশ্য	 ছবি: সংগৃহীত
‘ফেরেশতে’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত

সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার ফেরেশতে দেখা যাবে ঘরে বসে। আগামী ২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ফেরেশতে। বানিয়েছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। গল্পে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। শুটিং হয়েছে এমন সব লোকেশনে, যেখানে আলো ঝলমল সাজসজ্জার পরিবর্তে ধরা দিয়েছে নিখাদ বাস্তবতা। ফলে গল্পটি দর্শকদের কাছে হয়ে উঠেছে আরও কাছের, আরও বিশ্বাসযোগ্য।

ফেরেশতে সিনেমায় স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। ২০২২ সালে নির্মাণ শেষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়েছে ফেরেশতে।

এদিকে, ১৯ অক্টোবর থেকে আরেক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে জয়া অভিনীত ‘নকশীকাঁথার জমিন’। হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ গল্প অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা তুলে আনা হয়েছে এই সিনেমায়। বানিয়েছেন আকরাম খান। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই বোন রাহেলা ও সালেহার গল্প নিয়েই এর কাহিনি। এতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি। আরও আছেন ইরেশ যাকের, রওনক হাসান, দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতি প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

ছুটিতে গেলেন সেই বিচারক

‘শত শত কোটি ডলারের’ ক্ষতি: অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের সালিস আদালতে এস আলম

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

খাদ্যে ভেজাল: বিদেশের মথবীজ দেশে রং মিশিয়ে মুগ ডাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত