
আফজাল হোসেন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। অভিনয়জীবন, থিয়েটার চর্চা, ছবি আঁকা, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

দর্শক এখনো আপনাকে টিভি পর্দায় দেখতে চায়। কিন্তু টেলিভিশনে আপনাকে খুব একটা পাওয়া যায় না। কেন?
আমি তো ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আমার একটা আলাদা পেশা তৈরি হয়েছে। লক্ষ করলাম, এই পেশায় থাকতে হলে যাঁদের সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া লাগে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমি অভিনয় করি। মানে, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা এভাবে তৈরি করতে পারিনি যে অভিনেতারা দায়িত্বশীল হতে পারেন। তাই সেই সময় অভিনয় থেকে দূরত্ব তৈরি হয়।
এই অন্য পেশায় যাওয়ার কী কারণ?
আমরা আমাদের চারপাশে দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোকে পেয়েছি। যাঁরা নাটক লেখেন, অভিনয় করেন, ক্যামেরা চালান, বিভিন্ন ক্ষেত্রের কলাকুশলী যাঁরা আছেন, তাঁদের নিবেদনটাও দেখেছি ভালো কাজ করবার। ফলে আমরা সময়ের সবচেয়ে ভালো নাটকগুলোতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। এরপর অনেকগুলো টেলিভিশন হলো। যেখানে ১০ জন প্রতিভাবান প্রডিউসার নাটক বানাতেন, হঠাৎ করে ১০০ জন নির্মাতা, লেখক এসে গেলেন। আগে যেখানে মাসে বা দুই মাসে একটি নাটকে অভিনয় করা যেত, এখন এক মাসেই ১০টি নাটকে অভিনয় করা যায়। কারও কারও কাছে আনন্দের জায়গা হলেও আমার আশঙ্কা জেগেছিল, এই এত ‘হওয়া’ সুখের হবে কি না শেষ পর্যন্ত। একটা সময় খেয়াল করি, অভিজ্ঞতা অতটা ভালো না। আমার যেহেতু অন্য পথ খোলা ছিল বা সুযোগ ছিল, তাই নাটক থেকে দূরে থাকতে পেরেছি। সুযোগ না থাকলে হয়তো আমি নাটকেই থাকতাম।
প্রতি ঈদে একটা সিরিজ করেন। ছোটকাকু। এবারও কি করছেন?
ছোটকাকুর বেশ কিছু গল্প করেছি। কিন্তু গোয়েন্দা গল্পগুলো একই ধাঁচের হলে মানুষের খুব বেশি আগ্রহ থাকবার কথা নয়। ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা বই থেকে এর নাট্যরূপ, নির্দেশনা, অভিনয়—সব আমার থাকত। কিন্তু একটা পর্যায়ে মনে হলো, এটি যদি লেখা, নাট্যরূপ বা নির্দেশনায় অন্য কেউ থাকেন, তাহলে হয়তো প্রযোজনাটা আরও ভালো হবে। এবার গল্পটা লেখা শুরু হয়েছে। নতুন যে গল্পটা করছি, ওটার নাট্যরূপ দিচ্ছেন অনিমেষ আইচ। ডিরেকশনও দেবে সে। শুটিং শুরু করব।
নিয়ম করে প্রতি ঈদে শিশু-কিশোরদের নিয়ে নাটক বানানোর পেছনে কোনো কারণ আছে?
এর সঙ্গে আমার একটা ভালোবাসার বিষয় আছে। আমি ঢাকা শহরে এসে প্রথমে শিশু-কিশোর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হই। সেই যুক্ত হওয়ার কারণে, আমি যে মানুষটি এসেছিলাম, তার চিন্তাভাবনাগুলো বদলায়। সে হিসেবে আমার সর্বক্ষণ মনে হয়, এই যে শিশু-কিশোরদের জন্য কিছু করতে চাওয়া, এটা একেবারেই এখন নেই। তাই এটা করা।
অনেকে বলছেন, টেলিভিশন মিডিয়া তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। আপনি কী বলেন?
আমিও বলব, হারাচ্ছে। কারণ, টেলিভিশন হয়েছে অনেক। কিন্তু টেলিভিশন কেন, সেই প্রশ্নটাই করা হয় না। ঘুরেফিরে সেই একই অনুষ্ঠান করতে হয়। যে খবর প্রচারিত হয়, সেটাও এখন মানুষের উপভোগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। খবরের মধ্যে গল্প বলা হয়, উত্তেজনার মিশেল দেওয়া হয়। এটা টেলিভিশনের ভূমিকা নয়। যে তর্ক-বিতর্ক হয় প্রতিদিন, সেটা রাজনীতি নিয়ে। কেন? মানুষের জীবনে কি রাজনীতি ছাড়া আর কোনো বিষয় নেই কথা বলার? আর সৃজনশীল অনুষ্ঠান যেটা, সে ব্যাপারেও আমার মনে হয়, একটা অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে যে বিষয়গুলো হওয়া দরকার, সেসব থাকে না। যেমন ঈদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে দর্শকদের উপলব্ধি করতে হবে যে এটা ঈদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান। আমি বলছি বিশেষ, কিন্তু দর্শক একই রকম অনুষ্ঠান দেখছে। টেলিভিশনগুলো বলছে, তাদের অনেক কিছু হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কারণ, স্পন্সর পাওয়া যায় না। এটা খুব বিপজ্জনক কথা। কারণ, স্পন্সর পাওয়া গেলে ভালো অনুষ্ঠানের কথা ভাবা যাবে, আর পাওয়া না গেলে ভালো অনুষ্ঠান বন্ধ করা হবে। এটা যদি বলবৎ থাকে একটা দেশের গণমাধ্যমে, তাহলে বেশি ভালো অবস্থানে যাওয়ার কথা নয়।
আমাদের টেলিভিশনগুলোর কি এখন বিশেষায়িত চ্যানেল হওয়া উচিত? নাটকের জন্য, নিউজের জন্য, স্পোর্টসের জন্য, গানের জন্য আলাদা হওয়া উচিত?
আমার মনে হয়, সবার আগে আমাদের সৃজনশীল হওয়া উচিত।
আলোচিত অভিনয়শিল্পী জুটি আফজাল-সুবর্ণা। আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জনও শোনা যেত। মাঝে একসঙ্গে কিছু কাজ করলেও আগের মতো আপনাদের একসঙ্গে দেখা যায় না। আপনাদের জুটি নিয়ে কিছু বলবেন?
সুবর্ণার সঙ্গে আমার একটা স্পেশাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল; কারণ, আমরা একই দলে নাটক করতাম। সেই সময় টেলিভিশনে সেরা নাটকগুলোতে একসঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। সৌভাগ্যবশত আমাদের শুধু যোগ্যতার কারণে নয়, যেসব নাটকে অভিনয় করেছি, সে নাটকগুলো ভালো ছিল, প্রযোজক ভালো ছিলেন, আর দর্শকেরাও আমাদের একসঙ্গে দেখতে ভালোবাসতেন। সব মিলিয়ে নাটকগুলো অনেক ভালো হয়েছে। এমনও হয়েছে, স্ত্রীকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়েছি, সেখানে অনেকে বলছেন, আপনাদের অভিনয় খুব ভালো লাগে। এটা একটা দেশের দুজন অভিনয়শিল্পীর জন্য বড় অ্যাচিভমেন্ট। দর্শক ওভাবে বিষয়টা না দেখলে দুজনের নাম একসঙ্গে উচ্চারণ করছেন কেন এখন পর্যন্ত, যখন আমরা একসঙ্গে অভিনয় করি না। এটা একদিকে যেমন আনন্দের, তেমনি আবার কষ্টেরও। কারণ, সুবর্ণার মতো একজন অভিনয়শিল্পী; যিনি দীর্ঘকাল ধরে অসাধারণ অভিনয় করেছেন, তাঁর জন্য আলাদা কোনো চরিত্র দেখিনি।
সুযোগ হলে আবার একসঙ্গে অভিনয় করবেন আপনারা?
আমি নিজেও একসময় চাইতাম, আমি আর সুবর্ণা আর একসঙ্গে অভিনয় না করি। কারণ, আমি আর সুবর্ণা একসঙ্গে এত অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছি যে আমরা চাই না বেশি ব্যবহারে বিষয়টা নষ্ট হোক। তাই করতাম না। তবে গত ১০ বছরে আমরা আটটা-দশটা কাজ করেছি একসঙ্গে। নিজেরা একসঙ্গে অভিনয় করা তো অনেক আনন্দের ব্যাপার। সে জন্য দুজনের উপযোগী চরিত্র হতে হবে।
একসময় নিয়মিত থিয়েটার করতেন। এখন সময় পান না। খোঁজখবর রাখেন থিয়েটারে কী হচ্ছে?
নিজে করতে পারি না, তার কারণ হলো, থিয়েটার পার্টটাইম জব নয়। ওই সময়টা দেওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু দলের যখন দরকার হয়, যদি দল জানায় যে আসতে হবে, তখন হয়তো যাই। আর যেসব থিয়েটার এখন হয়, সেগুলো দেখার চেষ্টা করি। থিয়েটারের সঙ্গে আবার যেন যুক্ততাটা তৈরি হয়, সে জন্য আমরা একটা নাটক শুরু করেছিলাম। মাসুম রেজার লেখা, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ডিরেকশন দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাটকটি নানা কারণে মঞ্চে নিয়ে আসতে পারিনি। আশা করি, শিগগির নাটকটি নিয়ে মঞ্চে আসতে পারব।
সম্প্রতি থিয়েটার অঙ্গনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা; যেমন নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে হলেও অভিনয় না করার অনুরোধ, নাট্যকর্মীদের ওপর হামলা—পুরো বিষয়টা কী মনে হয় আপনার কাছে?
এখন ঘটছে, নাকি আগে ঘটেছে, না পরে ঘটবে; এটা মুখ্য নয়। যেটা অসুন্দর, সেটা চিরকালই অসুন্দর। আমি গান গাই, আপনি আমাকে বলবেন যে আমি গাইতে পারব না, এটা পৃথিবীর কোনো যুক্তিতেই সুন্দর হতে পারে না। নানা জনের নানা মত থাকতে পারে, আপনি আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন, কিন্তু শক্তি দিয়ে রুখবেন না, এটা কখনোই সুন্দর হতে পারে না। আমার তো বয়স কম হলো না। আমার তো আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, তারপর ২০২৪ পর্যন্ত যা যা দেখার সুযোগ হয়েছে, একদিক দিয়ে মনে হয় খুব সৌভাগ্যবান। একজীবন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ২০২৪ এ আমরা কী দেখলাম! রাস্তায় যারা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছে, আমরা তাদের বিশ্বাস, আদর্শ, মূল্যবোধ বুঝতে পেরেছি কি না। এই যে মা তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে পথে নেমে পড়েছেন, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকেরা রাস্তায় নেমেছেন, জীবনে এই অসাধারণত্ব দেখবার পর, খুব সাধারণ বিষয় দেখবার মন কিন্তু আর থাকে না। এত সবকিছুর পরেও কারও ওপর হামলে পড়া, অশ্রদ্ধা করা, অপমান করা—কোনোকালেই এসব উচিত কর্ম নয়। এটা হতে পারে না। এটা মধ্যযুগীয় বিষয়, বর্বরতা।
আপনি তো ছবি আঁকেন। নিয়মিত সময় দেন ছবি আঁকাতে?
আমি এখন ছবিই আঁকি। নিয়মিতই ছবি আঁকি।
ফেসবুকে আপনার সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস দেখি। ড্রইং দেখি। কোনো এক্সিবিশন কি আমরা দেখতে পাব?
ফেসবুকে যে স্ট্যাটাসগুলো দিই, সেগুলো আমার লিখতে ভালো লাগে, নিজের মনের ভেতর যেসব বিষয় খেলা করে, সেগুলো লিখলাম, কিছু মানুষ পড়ল। সেই পড়াটা আমার মনে হয় এনাফ। সেটা দশজন মানুষ পড়ুক বা দশ হাজার জন পড়ুক।
বিজ্ঞাপনের কোনো কাজ করছেন?
না। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কাজ হয়। এখন আমি নিজে করি না অতটা।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বলবেন? আপনার পরিবার?
আমরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম আলফাজ হোসেন। ও আমার চেয়ে বছর চারেকের ছোট। একমাত্র বোন আমার চেয়ে বিশ বছরের ছোট। আমরা মূলত গ্রামের। আমার গ্রামটার নাম হচ্ছে পারুলিয়া। সাতক্ষীরা জেলায়। বাবা চিকিৎসক ছিলেন। আমি প্রথম ঢাকা শহরে আসি পড়াশোনা করার জন্য। তারপর ছোট ভাইটা আসে, তারপর বোনটা। তারপর আমাদের আলাদা আলাদা সংসার হয়। আমি বিয়ে করি। আব্বা মারা গেলে মাকে আমরা নিয়ে আসি। বোনটা বিয়ের পর বাইরে চলে যায়। আমার দুটো ছেলে, আমার ভাইয়ের দুটো মেয়ে, আমার বোনের দুটো মেয়ে। মা বলেছিলেন, যা-ই হোক, তোরা কাছাকাছি থাকবি, একসাথে থাকবি। আমরা কাছাকাছি থাকি, আলাদা হলেও পাশাপাশি থাকি।
ছেলেরা কেউ কি অভিনয়ে এসেছেন?
ওরা কেউ অভিনয় করে না। বড় ছেলেটি ফিল্মমেকিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছে। ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ে মাস্টার্স করেছে। ও এখন পড়ায় একটা ইউনিভার্সিটিতে, আমেরিকায় থাকে। আমরা বলি মেয়ে, মানে ওর বউ, সে ওখানে পড়াশোনা করছে। একসঙ্গেই আছে ওরা। ছোট ছেলেটি আমাদের সঙ্গেই আছে। এরা প্রত্যেকেই খুব ভালো ছবি আঁকত। এখন আঁকে না। অনেক পরে জানতে পারি, ছোট ছেলেটা অভিনয়সম্পর্কিত একটা কাজও করে। এখন তো ইন্টারনেটে পৃথিবীব্যাপী ওদের বন্ধুত্ব আছে। এরা ফিল্ম বানায় এবং সেই ফিল্মে সে ভয়েস দেয়। ভয়েস আর্টিস্ট।
আপনার স্ত্রী তো ফ্যাশন ডিজাইনার?
আমার স্ত্রী ফ্যাশন ডিজাইনিং করত। তারপর সংসারে এত ব্যস্ত হয়ে গেল যে এখন অন্য কিছু করে না। ইদানীং আবার ভাবছে, ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ফিরবে।
আপনার তো নানা দিকে ব্যস্ত থাকতে হয়। আপনি কীভাবে তাঁকে সময় দেন, আর উনি কীভাবে আপনাকে মেইনটেইন করেন?
শি ইজ আ পাওয়ারহাউস। তার শক্তিটাই আসল। আমাদের প্রায় ৩৪ বছর হয়েছে বিয়ের। আমি যা যা করি বা করতে চাই, সেগুলো করতে চেয়ে সংসার করা খুবই ডিফিকাল্ট। ও আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছে। এমন কিছুতে যুক্ত করতে চায়নি, যেটাতে আমার মনোযোগ অন্যদিকে যায়। একটা সময় যখন আমার পেশাটা তৈরি হচ্ছে, আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। খুব কম সময় ঘুমাতাম। রাতদিন পরিশ্রম করতে হতো। ওই সময়টা ও সামাল দিতে পেরেছে, এটাই মূল কারণ যে আমরা এত দিন হ্যাপি আছি।
দর্শক এখনো আপনাকে টিভি পর্দায় দেখতে চায়। কিন্তু টেলিভিশনে আপনাকে খুব একটা পাওয়া যায় না। কেন?
আমি তো ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আমার একটা আলাদা পেশা তৈরি হয়েছে। লক্ষ করলাম, এই পেশায় থাকতে হলে যাঁদের সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া লাগে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমি অভিনয় করি। মানে, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা এভাবে তৈরি করতে পারিনি যে অভিনেতারা দায়িত্বশীল হতে পারেন। তাই সেই সময় অভিনয় থেকে দূরত্ব তৈরি হয়।
এই অন্য পেশায় যাওয়ার কী কারণ?
আমরা আমাদের চারপাশে দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোকে পেয়েছি। যাঁরা নাটক লেখেন, অভিনয় করেন, ক্যামেরা চালান, বিভিন্ন ক্ষেত্রের কলাকুশলী যাঁরা আছেন, তাঁদের নিবেদনটাও দেখেছি ভালো কাজ করবার। ফলে আমরা সময়ের সবচেয়ে ভালো নাটকগুলোতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। এরপর অনেকগুলো টেলিভিশন হলো। যেখানে ১০ জন প্রতিভাবান প্রডিউসার নাটক বানাতেন, হঠাৎ করে ১০০ জন নির্মাতা, লেখক এসে গেলেন। আগে যেখানে মাসে বা দুই মাসে একটি নাটকে অভিনয় করা যেত, এখন এক মাসেই ১০টি নাটকে অভিনয় করা যায়। কারও কারও কাছে আনন্দের জায়গা হলেও আমার আশঙ্কা জেগেছিল, এই এত ‘হওয়া’ সুখের হবে কি না শেষ পর্যন্ত। একটা সময় খেয়াল করি, অভিজ্ঞতা অতটা ভালো না। আমার যেহেতু অন্য পথ খোলা ছিল বা সুযোগ ছিল, তাই নাটক থেকে দূরে থাকতে পেরেছি। সুযোগ না থাকলে হয়তো আমি নাটকেই থাকতাম।
প্রতি ঈদে একটা সিরিজ করেন। ছোটকাকু। এবারও কি করছেন?
ছোটকাকুর বেশ কিছু গল্প করেছি। কিন্তু গোয়েন্দা গল্পগুলো একই ধাঁচের হলে মানুষের খুব বেশি আগ্রহ থাকবার কথা নয়। ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা বই থেকে এর নাট্যরূপ, নির্দেশনা, অভিনয়—সব আমার থাকত। কিন্তু একটা পর্যায়ে মনে হলো, এটি যদি লেখা, নাট্যরূপ বা নির্দেশনায় অন্য কেউ থাকেন, তাহলে হয়তো প্রযোজনাটা আরও ভালো হবে। এবার গল্পটা লেখা শুরু হয়েছে। নতুন যে গল্পটা করছি, ওটার নাট্যরূপ দিচ্ছেন অনিমেষ আইচ। ডিরেকশনও দেবে সে। শুটিং শুরু করব।
নিয়ম করে প্রতি ঈদে শিশু-কিশোরদের নিয়ে নাটক বানানোর পেছনে কোনো কারণ আছে?
এর সঙ্গে আমার একটা ভালোবাসার বিষয় আছে। আমি ঢাকা শহরে এসে প্রথমে শিশু-কিশোর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হই। সেই যুক্ত হওয়ার কারণে, আমি যে মানুষটি এসেছিলাম, তার চিন্তাভাবনাগুলো বদলায়। সে হিসেবে আমার সর্বক্ষণ মনে হয়, এই যে শিশু-কিশোরদের জন্য কিছু করতে চাওয়া, এটা একেবারেই এখন নেই। তাই এটা করা।
অনেকে বলছেন, টেলিভিশন মিডিয়া তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। আপনি কী বলেন?
আমিও বলব, হারাচ্ছে। কারণ, টেলিভিশন হয়েছে অনেক। কিন্তু টেলিভিশন কেন, সেই প্রশ্নটাই করা হয় না। ঘুরেফিরে সেই একই অনুষ্ঠান করতে হয়। যে খবর প্রচারিত হয়, সেটাও এখন মানুষের উপভোগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। খবরের মধ্যে গল্প বলা হয়, উত্তেজনার মিশেল দেওয়া হয়। এটা টেলিভিশনের ভূমিকা নয়। যে তর্ক-বিতর্ক হয় প্রতিদিন, সেটা রাজনীতি নিয়ে। কেন? মানুষের জীবনে কি রাজনীতি ছাড়া আর কোনো বিষয় নেই কথা বলার? আর সৃজনশীল অনুষ্ঠান যেটা, সে ব্যাপারেও আমার মনে হয়, একটা অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে যে বিষয়গুলো হওয়া দরকার, সেসব থাকে না। যেমন ঈদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে দর্শকদের উপলব্ধি করতে হবে যে এটা ঈদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান। আমি বলছি বিশেষ, কিন্তু দর্শক একই রকম অনুষ্ঠান দেখছে। টেলিভিশনগুলো বলছে, তাদের অনেক কিছু হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কারণ, স্পন্সর পাওয়া যায় না। এটা খুব বিপজ্জনক কথা। কারণ, স্পন্সর পাওয়া গেলে ভালো অনুষ্ঠানের কথা ভাবা যাবে, আর পাওয়া না গেলে ভালো অনুষ্ঠান বন্ধ করা হবে। এটা যদি বলবৎ থাকে একটা দেশের গণমাধ্যমে, তাহলে বেশি ভালো অবস্থানে যাওয়ার কথা নয়।
আমাদের টেলিভিশনগুলোর কি এখন বিশেষায়িত চ্যানেল হওয়া উচিত? নাটকের জন্য, নিউজের জন্য, স্পোর্টসের জন্য, গানের জন্য আলাদা হওয়া উচিত?
আমার মনে হয়, সবার আগে আমাদের সৃজনশীল হওয়া উচিত।
আলোচিত অভিনয়শিল্পী জুটি আফজাল-সুবর্ণা। আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জনও শোনা যেত। মাঝে একসঙ্গে কিছু কাজ করলেও আগের মতো আপনাদের একসঙ্গে দেখা যায় না। আপনাদের জুটি নিয়ে কিছু বলবেন?
সুবর্ণার সঙ্গে আমার একটা স্পেশাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল; কারণ, আমরা একই দলে নাটক করতাম। সেই সময় টেলিভিশনে সেরা নাটকগুলোতে একসঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। সৌভাগ্যবশত আমাদের শুধু যোগ্যতার কারণে নয়, যেসব নাটকে অভিনয় করেছি, সে নাটকগুলো ভালো ছিল, প্রযোজক ভালো ছিলেন, আর দর্শকেরাও আমাদের একসঙ্গে দেখতে ভালোবাসতেন। সব মিলিয়ে নাটকগুলো অনেক ভালো হয়েছে। এমনও হয়েছে, স্ত্রীকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়েছি, সেখানে অনেকে বলছেন, আপনাদের অভিনয় খুব ভালো লাগে। এটা একটা দেশের দুজন অভিনয়শিল্পীর জন্য বড় অ্যাচিভমেন্ট। দর্শক ওভাবে বিষয়টা না দেখলে দুজনের নাম একসঙ্গে উচ্চারণ করছেন কেন এখন পর্যন্ত, যখন আমরা একসঙ্গে অভিনয় করি না। এটা একদিকে যেমন আনন্দের, তেমনি আবার কষ্টেরও। কারণ, সুবর্ণার মতো একজন অভিনয়শিল্পী; যিনি দীর্ঘকাল ধরে অসাধারণ অভিনয় করেছেন, তাঁর জন্য আলাদা কোনো চরিত্র দেখিনি।
সুযোগ হলে আবার একসঙ্গে অভিনয় করবেন আপনারা?
আমি নিজেও একসময় চাইতাম, আমি আর সুবর্ণা আর একসঙ্গে অভিনয় না করি। কারণ, আমি আর সুবর্ণা একসঙ্গে এত অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছি যে আমরা চাই না বেশি ব্যবহারে বিষয়টা নষ্ট হোক। তাই করতাম না। তবে গত ১০ বছরে আমরা আটটা-দশটা কাজ করেছি একসঙ্গে। নিজেরা একসঙ্গে অভিনয় করা তো অনেক আনন্দের ব্যাপার। সে জন্য দুজনের উপযোগী চরিত্র হতে হবে।
একসময় নিয়মিত থিয়েটার করতেন। এখন সময় পান না। খোঁজখবর রাখেন থিয়েটারে কী হচ্ছে?
নিজে করতে পারি না, তার কারণ হলো, থিয়েটার পার্টটাইম জব নয়। ওই সময়টা দেওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু দলের যখন দরকার হয়, যদি দল জানায় যে আসতে হবে, তখন হয়তো যাই। আর যেসব থিয়েটার এখন হয়, সেগুলো দেখার চেষ্টা করি। থিয়েটারের সঙ্গে আবার যেন যুক্ততাটা তৈরি হয়, সে জন্য আমরা একটা নাটক শুরু করেছিলাম। মাসুম রেজার লেখা, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ডিরেকশন দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাটকটি নানা কারণে মঞ্চে নিয়ে আসতে পারিনি। আশা করি, শিগগির নাটকটি নিয়ে মঞ্চে আসতে পারব।
সম্প্রতি থিয়েটার অঙ্গনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা; যেমন নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে হলেও অভিনয় না করার অনুরোধ, নাট্যকর্মীদের ওপর হামলা—পুরো বিষয়টা কী মনে হয় আপনার কাছে?
এখন ঘটছে, নাকি আগে ঘটেছে, না পরে ঘটবে; এটা মুখ্য নয়। যেটা অসুন্দর, সেটা চিরকালই অসুন্দর। আমি গান গাই, আপনি আমাকে বলবেন যে আমি গাইতে পারব না, এটা পৃথিবীর কোনো যুক্তিতেই সুন্দর হতে পারে না। নানা জনের নানা মত থাকতে পারে, আপনি আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন, কিন্তু শক্তি দিয়ে রুখবেন না, এটা কখনোই সুন্দর হতে পারে না। আমার তো বয়স কম হলো না। আমার তো আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, তারপর ২০২৪ পর্যন্ত যা যা দেখার সুযোগ হয়েছে, একদিক দিয়ে মনে হয় খুব সৌভাগ্যবান। একজীবন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ২০২৪ এ আমরা কী দেখলাম! রাস্তায় যারা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছে, আমরা তাদের বিশ্বাস, আদর্শ, মূল্যবোধ বুঝতে পেরেছি কি না। এই যে মা তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে পথে নেমে পড়েছেন, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকেরা রাস্তায় নেমেছেন, জীবনে এই অসাধারণত্ব দেখবার পর, খুব সাধারণ বিষয় দেখবার মন কিন্তু আর থাকে না। এত সবকিছুর পরেও কারও ওপর হামলে পড়া, অশ্রদ্ধা করা, অপমান করা—কোনোকালেই এসব উচিত কর্ম নয়। এটা হতে পারে না। এটা মধ্যযুগীয় বিষয়, বর্বরতা।
আপনি তো ছবি আঁকেন। নিয়মিত সময় দেন ছবি আঁকাতে?
আমি এখন ছবিই আঁকি। নিয়মিতই ছবি আঁকি।
ফেসবুকে আপনার সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস দেখি। ড্রইং দেখি। কোনো এক্সিবিশন কি আমরা দেখতে পাব?
ফেসবুকে যে স্ট্যাটাসগুলো দিই, সেগুলো আমার লিখতে ভালো লাগে, নিজের মনের ভেতর যেসব বিষয় খেলা করে, সেগুলো লিখলাম, কিছু মানুষ পড়ল। সেই পড়াটা আমার মনে হয় এনাফ। সেটা দশজন মানুষ পড়ুক বা দশ হাজার জন পড়ুক।
বিজ্ঞাপনের কোনো কাজ করছেন?
না। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কাজ হয়। এখন আমি নিজে করি না অতটা।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বলবেন? আপনার পরিবার?
আমরা দুই ভাই, এক বোন। ভাইয়ের নাম আলফাজ হোসেন। ও আমার চেয়ে বছর চারেকের ছোট। একমাত্র বোন আমার চেয়ে বিশ বছরের ছোট। আমরা মূলত গ্রামের। আমার গ্রামটার নাম হচ্ছে পারুলিয়া। সাতক্ষীরা জেলায়। বাবা চিকিৎসক ছিলেন। আমি প্রথম ঢাকা শহরে আসি পড়াশোনা করার জন্য। তারপর ছোট ভাইটা আসে, তারপর বোনটা। তারপর আমাদের আলাদা আলাদা সংসার হয়। আমি বিয়ে করি। আব্বা মারা গেলে মাকে আমরা নিয়ে আসি। বোনটা বিয়ের পর বাইরে চলে যায়। আমার দুটো ছেলে, আমার ভাইয়ের দুটো মেয়ে, আমার বোনের দুটো মেয়ে। মা বলেছিলেন, যা-ই হোক, তোরা কাছাকাছি থাকবি, একসাথে থাকবি। আমরা কাছাকাছি থাকি, আলাদা হলেও পাশাপাশি থাকি।
ছেলেরা কেউ কি অভিনয়ে এসেছেন?
ওরা কেউ অভিনয় করে না। বড় ছেলেটি ফিল্মমেকিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছে। ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ে মাস্টার্স করেছে। ও এখন পড়ায় একটা ইউনিভার্সিটিতে, আমেরিকায় থাকে। আমরা বলি মেয়ে, মানে ওর বউ, সে ওখানে পড়াশোনা করছে। একসঙ্গেই আছে ওরা। ছোট ছেলেটি আমাদের সঙ্গেই আছে। এরা প্রত্যেকেই খুব ভালো ছবি আঁকত। এখন আঁকে না। অনেক পরে জানতে পারি, ছোট ছেলেটা অভিনয়সম্পর্কিত একটা কাজও করে। এখন তো ইন্টারনেটে পৃথিবীব্যাপী ওদের বন্ধুত্ব আছে। এরা ফিল্ম বানায় এবং সেই ফিল্মে সে ভয়েস দেয়। ভয়েস আর্টিস্ট।
আপনার স্ত্রী তো ফ্যাশন ডিজাইনার?
আমার স্ত্রী ফ্যাশন ডিজাইনিং করত। তারপর সংসারে এত ব্যস্ত হয়ে গেল যে এখন অন্য কিছু করে না। ইদানীং আবার ভাবছে, ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ফিরবে।
আপনার তো নানা দিকে ব্যস্ত থাকতে হয়। আপনি কীভাবে তাঁকে সময় দেন, আর উনি কীভাবে আপনাকে মেইনটেইন করেন?
শি ইজ আ পাওয়ারহাউস। তার শক্তিটাই আসল। আমাদের প্রায় ৩৪ বছর হয়েছে বিয়ের। আমি যা যা করি বা করতে চাই, সেগুলো করতে চেয়ে সংসার করা খুবই ডিফিকাল্ট। ও আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছে। এমন কিছুতে যুক্ত করতে চায়নি, যেটাতে আমার মনোযোগ অন্যদিকে যায়। একটা সময় যখন আমার পেশাটা তৈরি হচ্ছে, আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। খুব কম সময় ঘুমাতাম। রাতদিন পরিশ্রম করতে হতো। ওই সময়টা ও সামাল দিতে পেরেছে, এটাই মূল কারণ যে আমরা এত দিন হ্যাপি আছি।

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
৫ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

আমি তো ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আমার একটা আলাদা পেশা তৈরি হয়েছে। লক্ষ করলাম, এই পেশায় থাকতে হলে যাঁদের সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া লাগে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমি অভিনয় করি। মানে, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা এভাবে তৈরি করতে
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
৫ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

আমি তো ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আমার একটা আলাদা পেশা তৈরি হয়েছে। লক্ষ করলাম, এই পেশায় থাকতে হলে যাঁদের সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া লাগে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমি অভিনয় করি। মানে, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা এভাবে তৈরি করতে
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

আমি তো ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আমার একটা আলাদা পেশা তৈরি হয়েছে। লক্ষ করলাম, এই পেশায় থাকতে হলে যাঁদের সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া লাগে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমি অভিনয় করি। মানে, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা এভাবে তৈরি করতে
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
৫ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

আমি তো ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আমার একটা আলাদা পেশা তৈরি হয়েছে। লক্ষ করলাম, এই পেশায় থাকতে হলে যাঁদের সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা তৈরি হয়, তাঁদের সঙ্গে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হওয়া লাগে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমি অভিনয় করি। মানে, আমাদের সামাজিক অবস্থাটা এভাবে তৈরি করতে
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
৫ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
১১ ঘণ্টা আগে