ফজলুল হক, অভিনেতা

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য। পরিচালক তারেক মাসুদ মঞ্চে উঠে এলেন। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন, এতক্ষণ আপনারা যে সিনেমা দেখলেন, এর নায়কের সাথে পরিচিত হবেন না? গোটা হল জুড়ে আওয়াজ উঠলো, হ্যাঁ।
তারেক ভাই মঞ্চ থেকে ইশারায় আমাকে ডাকলেন, সামনে চলে এসো। তারেক ভাইয়ের ইঙ্গিত অনুসরণ করে আমাকে দেখার জন্য সকলে পেছনে ফিরে তাকালেন।
আমি একদম পেছন থেকে এগিয়ে যাচ্ছি মঞ্চের দিকে। আশপাশ থেকে তুমুল করতালি। কেউ কেউ অন্যদের থেকে মাথা ডানে-বায়ে সরিয়ে আমাকে দেখছেন। আঙুলের ইশারায় আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এগিয়ে যাওয়ার সময় দু-পাশ থেকে হাত বাড়িয়ে অনেকে হাত মিলাচ্ছেন আমার সাথে। ঠিক এই মুহুর্তে আমি যেন এক মস্ত বড় রাজা! সমস্ত শরীরে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে আমার। আমি মঞ্চে উঠলাম।
তারেক ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন আমাকে, ‘এই হচ্ছে আমাদের রুহুল (রানওয়ে চলচ্চিত্রে আমার নাম রুহুল ছিল)। এখন আরেকটি শো শুরু হবে। আপনারা যদি কেউ আমাদের সাথে কথা বলতে চান, আপনাদের যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, প্রশ্ন থাকে, কোনো পরামর্শ বা অনুভূতি প্রকাশ চান, আমরা বাইরে আছি।’
বেরিয়ে এলাম তারেক ভাইয়ের সাথে। দর্শকদের মধ্যে অনেকে ঘিরে ধরলেন আমাকে। ছবি তুলবেন একসাথে। অটোগ্রাফ চাইলেন আমার। জীবনে প্রথম অটোগ্রাফ দিয়ে চলেছি। এই আনন্দ লেখায় কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়!
অবশ্যই আমার এ সফলতার পেছনে তারেক ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। আমি মহাসৌভাগ্যবান যে, তারেক ভাইয়ের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম।
‘রানওয়ে’-র অডিশনের গল্প আমি অনেকবার বলেছি, আজ না হয় শুটিংয়ের কিছু কথা বলি। আমাদের শুটিং হতো অত্যন্ত সাবলীল ছন্দে। কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। পরদিন কোন কোন দৃশ্যের শুটিং হবে, সেটি সম্ভাব্য কত সময়জুড়ে হতে পারে— তেমন একটি লিস্ট পেয়ে যেতাম আগের দিনই।
আরেকটি বিষয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সারাদিন জুড়ে শুটিং হতো না। যেদিন খুব ভোর থেকে শুটিং শুরু হতো, সেদিন দেখা যেত— বিকেল কিংবা সন্ধ্যার আগেই শুটিং শেষ। আর যেদিন রাতের দৃশ্য থাকতো, সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুটিং শুরু হতো। এভাবে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে শুটিং করেছি। উপভোগ করেছি।
আমার দেখা তারেক মাসুদ একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। কেউ তার সাথে দেখা করতে চেয়েছেন, কথা বলতে চেয়েছেন, অথচ তিনি তাকে অবজ্ঞা করেছেন, সময় দেন নি, এমনটি কখনো হয়নি।
অনেক বড় নির্মাতা বা চলচ্চিত্রবোদ্ধা থেকে শুরু করে একদম নবীন নির্মাতা বা নির্মাণে আগ্রহী ব্যক্তির সাথেও তিনি তাঁর মূল্যবান সময় শেয়ার করেছেন অকপটে। দিগন্ত বিস্তৃত হাসিমুখের এই মানুষটির মধ্যে অহংকার বা আত্নগরিমা ছিল না। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকার চলচ্চিত্রপ্রেমী।
শুটিং চলাকালীন লোকেশনে তারেক ভাইকে দেখে মনে হতো একজন মহারাজা। তিনি যখন হেঁটে বেড়াতেন, সকলে তটস্থ হয়ে থাকত। নিজ নিজ কাজের প্রতি প্রত্যেকের মনযোগ শতভাগ থাকত তখন। তিনি যে কাউকে বকাঝকা করে কথা বলেছেন এমনটি নয়, তাঁর মুখ থেকে একটি অকথ্য শব্দও আমি কখনো শুনিনি।
তাঁকে সবাই যতটা না ভয় পেত, বরং তার চেয়ে বেশি সম্মানে বিনয়ে অবনত হয়ে থাকত। শুটিংয়ের প্রতিটি বিভাগের কাজই তিনি বুঝতেন। ক্যামেরা, লাইট, আর্ট, মেকআপ, সাউন্ড, অভিনয়— সব তিনি পর্যবেক্ষণ করতেন নিবিড়ভাবে। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকা আমি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ অবাক হয়ে দেখতাম।
শুটিংয়ের মজার একটা ঘটনা বলি। কয়েকটা দিন বিরতি পেয়েছি। অলসভাবে ঘুরেফিরে দিন কাটছিল। দাড়ি-গোঁফ বড় হয়ে যাচ্ছিল। কেমন যেন নিজের কাছে বেখাপ্পা লাগছিল নিজেকে। ভাবলাম, কাঁচি চালিয়ে হালকা একটু ছোট করে ফেলি। আয়না হাতে নিয়ে কাঁচি দিয়ে গোঁফটা একটু ছোট করে ফেললাম। মাথাটা ভালো করে ডানে-বায়ে ঘুরিয়ে আয়নায় তাকিয়ে দেখি অন্য এক পাশের তুলনায় আরেকপাশ সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। আবার একটু কেটেকুটে মিলানোর চেষ্টা করলাম।
অনভিজ্ঞ হাতে এবারও ভুল হলো। যে পাশ ছোট করলাম, তা আরেক পাশের তুলনায় সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। এই মিলকরণের খেলা শেষে আয়নায় যখন নিজের চেহারা দেখলাম, নিজেই আঁতকে উঠলাম! একি! গোঁফ অনেক ছোট হয়ে গেছে। এখন যদি শুটিংয়ের কল এসে পড়ে তখন উপায়!
তাড়াতাড়ি করে চলে এলাম তারেক ভাইয়ের অফিসে (তখন মোহাম্মদপুর বাবর রোডে অফিস ছিল)। অফিসে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক। তিনি আদ্যোপান্ত দেখে এবং শুনে চোখ ছানাবড়া করে ফেললেন। জানলাম যে আগামীকাল শুটিং। আমাকে কল দেয়া হতো এখনই।
কালবিলম্ব না করে আমাকে পাঠালেন তারেক ভাইয়ের বাসায়। তারেক ভাইয়ের গাড়ি অফিসে ছিল। সেটিতে করেই তাঁর বাসায় চলে এলাম। মনে মনে দোয়া যতগুলো পারি পড়া শুরু করেছি। তারেক ভাই কি যে বলবেন আজকে! কি দরকার ছিলো এত চালাকি করার!
উৎকন্ঠা নিয়ে তারেক ভাইয়ের বাসায় পৌঁছুলাম। দরজা খুললেন তারেক ভাই নিজেই। আমাকে দেখে তিনি তাকিয়ে আছেন একদৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে। কিছুক্ষণ পর খুব শান্ত গলায় বললেন, এসো ভিতরে এসো। কোন উচ্চবাচ্য না, কড়া কথা না, কটু কথা না, এতো শান্তভাবে তিনি বললেন যে প্রাণ ফিরে পেলাম। এই হলেন তারেক মাসুদ। তিনি জানেন কীভাবে নিজেকে শান্তু ও অবিচল রাখতে হয়। পরের দিন ঠিকই শুটিং করেছিলাম আমরা। ওই অবস্থাতেই।
পিতৃতুল্য তারেক মাসুদকে আমি কী ভীষণ অনুভব করি, তা বোঝাতে পারবো না কোনোদিনই। তিনি আমার সুখ-দুঃখ সব সময়ে পিতার মতোই পাশে ছিলেন। কাঁধে হাত রেখে সাহস দিয়েছেন। সেই দিনের কথাটি আমার এখনও মনে পড়ে। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। সমালোচকদের ভোটে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া আমার জন্য দারুণ একটি অর্জন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের দিন আমার পাশে ছিলেন তারেক মাসুদ, ছিলেন ক্যাথরিন মাসুদ ও ‘রানওয়ে’-তে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা মনি আপা।
আমরা অপেক্ষা করছি। নাম ঘোষণা করা হচ্ছে একেকটি ক্যাটাগরিতে। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে আমি পুরস্কারটি পাই নি। মন খারাপ হয়ে গেল। তারেক ভাই আমার পিঠ চাপড়ে বললেন, মন খারাপ করো না। এতো অল্প সময়ে অনেকে এতদূর পর্যন্ত আসতেও পারে না। তুমি সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পর্যন্ত পেয়েছ, এটি কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। সামনে অনেক পথ বাকি আছে। সেদিন তারেক ভাইয়ের সস্নেহে আমি দুঃখ ভুলে গিয়েছিলাম। সত্যি বলছি, আমার মধ্যে আর একটুও মন খারাপ ছিলো না। এমন পিতা যার কাঁধে হাত রেখে সাহস দেয়, শক্তি যোগায়, তার আর অপূর্ণতা কোথায়?
আজ তারেক ভাই নেই, এটা আমি এখনও মানতে পারি না। জনবহুল এলাকায় পুত্রের সাহস পরীক্ষার জন্য যেমন পুত্রকে রেখে পিতা আড়াল হয়ে পুত্র কি করে পর্যবেক্ষণ করেন, তেমনি আমার সব সময় মনে হয় তারেক ভাই আড়াল থেকে আমাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমি ভয় পেলে তিনি আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে ডাকবেন, ‘রুহুল, এই যে আমি এখানে’।
অনেকেই শুনেছেন হয়তো, তারেক ভাই একটি কথা প্রায়ই বলতেন, দর্শকই আমার প্রাণ। সেই প্রাণ আজও বেঁচে রয়েছে হাজারো দর্শকের মাঝে। বেঁচে থাকবে চিরকাল। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
শুভ জন্মদিন তারেক ভাই।

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য। পরিচালক তারেক মাসুদ মঞ্চে উঠে এলেন। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন, এতক্ষণ আপনারা যে সিনেমা দেখলেন, এর নায়কের সাথে পরিচিত হবেন না? গোটা হল জুড়ে আওয়াজ উঠলো, হ্যাঁ।
তারেক ভাই মঞ্চ থেকে ইশারায় আমাকে ডাকলেন, সামনে চলে এসো। তারেক ভাইয়ের ইঙ্গিত অনুসরণ করে আমাকে দেখার জন্য সকলে পেছনে ফিরে তাকালেন।
আমি একদম পেছন থেকে এগিয়ে যাচ্ছি মঞ্চের দিকে। আশপাশ থেকে তুমুল করতালি। কেউ কেউ অন্যদের থেকে মাথা ডানে-বায়ে সরিয়ে আমাকে দেখছেন। আঙুলের ইশারায় আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এগিয়ে যাওয়ার সময় দু-পাশ থেকে হাত বাড়িয়ে অনেকে হাত মিলাচ্ছেন আমার সাথে। ঠিক এই মুহুর্তে আমি যেন এক মস্ত বড় রাজা! সমস্ত শরীরে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে আমার। আমি মঞ্চে উঠলাম।
তারেক ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন আমাকে, ‘এই হচ্ছে আমাদের রুহুল (রানওয়ে চলচ্চিত্রে আমার নাম রুহুল ছিল)। এখন আরেকটি শো শুরু হবে। আপনারা যদি কেউ আমাদের সাথে কথা বলতে চান, আপনাদের যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, প্রশ্ন থাকে, কোনো পরামর্শ বা অনুভূতি প্রকাশ চান, আমরা বাইরে আছি।’
বেরিয়ে এলাম তারেক ভাইয়ের সাথে। দর্শকদের মধ্যে অনেকে ঘিরে ধরলেন আমাকে। ছবি তুলবেন একসাথে। অটোগ্রাফ চাইলেন আমার। জীবনে প্রথম অটোগ্রাফ দিয়ে চলেছি। এই আনন্দ লেখায় কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়!
অবশ্যই আমার এ সফলতার পেছনে তারেক ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। আমি মহাসৌভাগ্যবান যে, তারেক ভাইয়ের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম।
‘রানওয়ে’-র অডিশনের গল্প আমি অনেকবার বলেছি, আজ না হয় শুটিংয়ের কিছু কথা বলি। আমাদের শুটিং হতো অত্যন্ত সাবলীল ছন্দে। কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। পরদিন কোন কোন দৃশ্যের শুটিং হবে, সেটি সম্ভাব্য কত সময়জুড়ে হতে পারে— তেমন একটি লিস্ট পেয়ে যেতাম আগের দিনই।
আরেকটি বিষয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সারাদিন জুড়ে শুটিং হতো না। যেদিন খুব ভোর থেকে শুটিং শুরু হতো, সেদিন দেখা যেত— বিকেল কিংবা সন্ধ্যার আগেই শুটিং শেষ। আর যেদিন রাতের দৃশ্য থাকতো, সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুটিং শুরু হতো। এভাবে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে শুটিং করেছি। উপভোগ করেছি।
আমার দেখা তারেক মাসুদ একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। কেউ তার সাথে দেখা করতে চেয়েছেন, কথা বলতে চেয়েছেন, অথচ তিনি তাকে অবজ্ঞা করেছেন, সময় দেন নি, এমনটি কখনো হয়নি।
অনেক বড় নির্মাতা বা চলচ্চিত্রবোদ্ধা থেকে শুরু করে একদম নবীন নির্মাতা বা নির্মাণে আগ্রহী ব্যক্তির সাথেও তিনি তাঁর মূল্যবান সময় শেয়ার করেছেন অকপটে। দিগন্ত বিস্তৃত হাসিমুখের এই মানুষটির মধ্যে অহংকার বা আত্নগরিমা ছিল না। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকার চলচ্চিত্রপ্রেমী।
শুটিং চলাকালীন লোকেশনে তারেক ভাইকে দেখে মনে হতো একজন মহারাজা। তিনি যখন হেঁটে বেড়াতেন, সকলে তটস্থ হয়ে থাকত। নিজ নিজ কাজের প্রতি প্রত্যেকের মনযোগ শতভাগ থাকত তখন। তিনি যে কাউকে বকাঝকা করে কথা বলেছেন এমনটি নয়, তাঁর মুখ থেকে একটি অকথ্য শব্দও আমি কখনো শুনিনি।
তাঁকে সবাই যতটা না ভয় পেত, বরং তার চেয়ে বেশি সম্মানে বিনয়ে অবনত হয়ে থাকত। শুটিংয়ের প্রতিটি বিভাগের কাজই তিনি বুঝতেন। ক্যামেরা, লাইট, আর্ট, মেকআপ, সাউন্ড, অভিনয়— সব তিনি পর্যবেক্ষণ করতেন নিবিড়ভাবে। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকা আমি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ অবাক হয়ে দেখতাম।
শুটিংয়ের মজার একটা ঘটনা বলি। কয়েকটা দিন বিরতি পেয়েছি। অলসভাবে ঘুরেফিরে দিন কাটছিল। দাড়ি-গোঁফ বড় হয়ে যাচ্ছিল। কেমন যেন নিজের কাছে বেখাপ্পা লাগছিল নিজেকে। ভাবলাম, কাঁচি চালিয়ে হালকা একটু ছোট করে ফেলি। আয়না হাতে নিয়ে কাঁচি দিয়ে গোঁফটা একটু ছোট করে ফেললাম। মাথাটা ভালো করে ডানে-বায়ে ঘুরিয়ে আয়নায় তাকিয়ে দেখি অন্য এক পাশের তুলনায় আরেকপাশ সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। আবার একটু কেটেকুটে মিলানোর চেষ্টা করলাম।
অনভিজ্ঞ হাতে এবারও ভুল হলো। যে পাশ ছোট করলাম, তা আরেক পাশের তুলনায় সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। এই মিলকরণের খেলা শেষে আয়নায় যখন নিজের চেহারা দেখলাম, নিজেই আঁতকে উঠলাম! একি! গোঁফ অনেক ছোট হয়ে গেছে। এখন যদি শুটিংয়ের কল এসে পড়ে তখন উপায়!
তাড়াতাড়ি করে চলে এলাম তারেক ভাইয়ের অফিসে (তখন মোহাম্মদপুর বাবর রোডে অফিস ছিল)। অফিসে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক। তিনি আদ্যোপান্ত দেখে এবং শুনে চোখ ছানাবড়া করে ফেললেন। জানলাম যে আগামীকাল শুটিং। আমাকে কল দেয়া হতো এখনই।
কালবিলম্ব না করে আমাকে পাঠালেন তারেক ভাইয়ের বাসায়। তারেক ভাইয়ের গাড়ি অফিসে ছিল। সেটিতে করেই তাঁর বাসায় চলে এলাম। মনে মনে দোয়া যতগুলো পারি পড়া শুরু করেছি। তারেক ভাই কি যে বলবেন আজকে! কি দরকার ছিলো এত চালাকি করার!
উৎকন্ঠা নিয়ে তারেক ভাইয়ের বাসায় পৌঁছুলাম। দরজা খুললেন তারেক ভাই নিজেই। আমাকে দেখে তিনি তাকিয়ে আছেন একদৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে। কিছুক্ষণ পর খুব শান্ত গলায় বললেন, এসো ভিতরে এসো। কোন উচ্চবাচ্য না, কড়া কথা না, কটু কথা না, এতো শান্তভাবে তিনি বললেন যে প্রাণ ফিরে পেলাম। এই হলেন তারেক মাসুদ। তিনি জানেন কীভাবে নিজেকে শান্তু ও অবিচল রাখতে হয়। পরের দিন ঠিকই শুটিং করেছিলাম আমরা। ওই অবস্থাতেই।
পিতৃতুল্য তারেক মাসুদকে আমি কী ভীষণ অনুভব করি, তা বোঝাতে পারবো না কোনোদিনই। তিনি আমার সুখ-দুঃখ সব সময়ে পিতার মতোই পাশে ছিলেন। কাঁধে হাত রেখে সাহস দিয়েছেন। সেই দিনের কথাটি আমার এখনও মনে পড়ে। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। সমালোচকদের ভোটে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া আমার জন্য দারুণ একটি অর্জন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের দিন আমার পাশে ছিলেন তারেক মাসুদ, ছিলেন ক্যাথরিন মাসুদ ও ‘রানওয়ে’-তে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা মনি আপা।
আমরা অপেক্ষা করছি। নাম ঘোষণা করা হচ্ছে একেকটি ক্যাটাগরিতে। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে আমি পুরস্কারটি পাই নি। মন খারাপ হয়ে গেল। তারেক ভাই আমার পিঠ চাপড়ে বললেন, মন খারাপ করো না। এতো অল্প সময়ে অনেকে এতদূর পর্যন্ত আসতেও পারে না। তুমি সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পর্যন্ত পেয়েছ, এটি কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। সামনে অনেক পথ বাকি আছে। সেদিন তারেক ভাইয়ের সস্নেহে আমি দুঃখ ভুলে গিয়েছিলাম। সত্যি বলছি, আমার মধ্যে আর একটুও মন খারাপ ছিলো না। এমন পিতা যার কাঁধে হাত রেখে সাহস দেয়, শক্তি যোগায়, তার আর অপূর্ণতা কোথায়?
আজ তারেক ভাই নেই, এটা আমি এখনও মানতে পারি না। জনবহুল এলাকায় পুত্রের সাহস পরীক্ষার জন্য যেমন পুত্রকে রেখে পিতা আড়াল হয়ে পুত্র কি করে পর্যবেক্ষণ করেন, তেমনি আমার সব সময় মনে হয় তারেক ভাই আড়াল থেকে আমাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমি ভয় পেলে তিনি আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে ডাকবেন, ‘রুহুল, এই যে আমি এখানে’।
অনেকেই শুনেছেন হয়তো, তারেক ভাই একটি কথা প্রায়ই বলতেন, দর্শকই আমার প্রাণ। সেই প্রাণ আজও বেঁচে রয়েছে হাজারো দর্শকের মাঝে। বেঁচে থাকবে চিরকাল। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
শুভ জন্মদিন তারেক ভাই।

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। তবে এই অমূল্য সংগ্রহকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গানের জটিল কপিরাইট সমস্যা।
৩০ বছর বয়সী বিশাল কলিতা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে ঘুরে ঘুরে জুবিন গার্গের দুর্লভ ক্যাসেট সংগ্রহ করেছেন। এই ব্যক্তিগত সংগ্রহটিতে ক্যাসেট ছাড়াও রয়েছে শত শত সিডি এবং বিশ্বজুড়ে সংগীতশিল্পীদের বিরল পোস্টার। তবে দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জুবিন গার্গের গানের ডিস্কোগ্রাফি নিয়ে।
গত মাসে সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যুর পর তাঁর লাখ লাখ ভক্তের এখনো শোক কাটেনি। বিশাল কলিতার দাবি, তাঁর সংগ্রহে জুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার গান রয়েছে, যার মধ্যে এমন গানও রয়েছে যা এখন আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
শিল্পী নিজেও তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিন আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর, জুবিন গার্গ বিশাল কলিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে এই সংগ্রহ তাঁর ‘দীর্ঘদিন ভুলে যাওয়া’ কিছু সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিশাল কলিতা এখন জুবিন গার্গের ভক্ত ও বন্ধুদের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ। তাদের মূল লক্ষ্য—জুবিনের গানগুলো অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আরও সহজলভ্য করা এবং শিল্পীর পরিবারের জন্য রয়্যালটি নিশ্চিত করা। কলিতা বলেন, ‘কিছু ক্যাসেট খুবই পুরোনো এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি সেগুলোকে জনস্মৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
তবে কাজটি সহজ নয়। গার্গের বহু গানের স্বত্ব একটি জটিল প্রযোজক, পরিবেশক এবং মিউজিক লেবেলের মধ্যে বিভক্ত। ফলে স্বত্বাধিকার নিয়ে স্পষ্টতার অভাবে সেগুলোকে অনলাইনে আপলোড করলে কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে যায়।

জুবিন গার্গের মৃত্যুর পরই ভক্তরা এই জটিলতার আঁচ পান, যখন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’ শীর্ষক জনপ্রিয় গানটি কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানটি পরে একজন ব্যবহারকারী আপলোড করলেও লাইসেন্সিং সমস্যার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও জুবিনের বন্ধু মানস বড়ুয়া জানান, তাঁর শত শত গানের স্বত্ব হয় খুঁজে বের করা কঠিন, নয়তো বিতর্কিত।
দিল্লিভিত্তিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস (আইপিআর) আইনজীবী নীল মেসন জানান, ভারতে কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ সংগীত স্বত্বের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর অধীনে গানের কথা, সংগীত কম্পোজিশন এবং সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা কপিরাইট রয়েছে।
গানের কথা ও সুরের ক্ষেত্রে গীতিকার ও সুরকাররাই ‘প্রথম মালিক’ হলেও, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজককেই রচয়িতা বলে গণ্য করা হয়’। ফলে তারাই প্রথম মালিক হন। স্বত্বাধিকারীরা তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্সের মাধ্যমে অধিকার হস্তান্তর বা প্রদান করতে পারেন। এটি যত্নসহকারে নথিভুক্ত না থাকলে একটি জটিল জাল তৈরি করে।
জুবিন গার্গের গানের প্রযোজক শ্যামন্তক গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর গান তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (আইপিআরএস)-এর সঙ্গে এ পর্যন্ত জুবিনের অন্তত ১ হাজার ৩৩টি গান নিবন্ধিত হয়েছে।’
আইপিআরএস ভারতে সংগীত রয়্যালটি সংগ্রহ ও বিতরণ করার একমাত্র সরকারি অনুমোদিত সংস্থা। তারা নিশ্চিত করছে, গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হলে শিল্পী বা তাঁর পরিবার যেন প্রাপ্য অর্থ পান। আইপিআরএস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকেশ নিগাম বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দ্রুত উত্থান স্বত্বাধিকার ট্র্যাকিং আরও জটিল করে তুলেছে। তবে আইপিআরএস-এর সঙ্গে নিবন্ধিত গানগুলো ‘তাঁর জীবনকাল পেরিয়ে আরও ৬০ বছর সুরক্ষিত থাকবে।’
এদিকে বিশাল কলিতা এখন জুবিনের দুর্লভ ক্যাসেটগুলো সর্বোচ্চ মানের ডিজিটালের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই বিরল টেপগুলো সেরা মানে ডিজিটাইজ করা হোক। জুবিন গার্গ তাঁর গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। আর তাঁর একজন ভক্ত হিসেবে, এটাই আমার পক্ষ থেকে তাঁর জন্য ক্ষুদ্রতম কাজ।’

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। তবে এই অমূল্য সংগ্রহকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গানের জটিল কপিরাইট সমস্যা।
৩০ বছর বয়সী বিশাল কলিতা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে ঘুরে ঘুরে জুবিন গার্গের দুর্লভ ক্যাসেট সংগ্রহ করেছেন। এই ব্যক্তিগত সংগ্রহটিতে ক্যাসেট ছাড়াও রয়েছে শত শত সিডি এবং বিশ্বজুড়ে সংগীতশিল্পীদের বিরল পোস্টার। তবে দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জুবিন গার্গের গানের ডিস্কোগ্রাফি নিয়ে।
গত মাসে সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যুর পর তাঁর লাখ লাখ ভক্তের এখনো শোক কাটেনি। বিশাল কলিতার দাবি, তাঁর সংগ্রহে জুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার গান রয়েছে, যার মধ্যে এমন গানও রয়েছে যা এখন আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
শিল্পী নিজেও তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিন আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর, জুবিন গার্গ বিশাল কলিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে এই সংগ্রহ তাঁর ‘দীর্ঘদিন ভুলে যাওয়া’ কিছু সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিশাল কলিতা এখন জুবিন গার্গের ভক্ত ও বন্ধুদের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ। তাদের মূল লক্ষ্য—জুবিনের গানগুলো অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আরও সহজলভ্য করা এবং শিল্পীর পরিবারের জন্য রয়্যালটি নিশ্চিত করা। কলিতা বলেন, ‘কিছু ক্যাসেট খুবই পুরোনো এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি সেগুলোকে জনস্মৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
তবে কাজটি সহজ নয়। গার্গের বহু গানের স্বত্ব একটি জটিল প্রযোজক, পরিবেশক এবং মিউজিক লেবেলের মধ্যে বিভক্ত। ফলে স্বত্বাধিকার নিয়ে স্পষ্টতার অভাবে সেগুলোকে অনলাইনে আপলোড করলে কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে যায়।

জুবিন গার্গের মৃত্যুর পরই ভক্তরা এই জটিলতার আঁচ পান, যখন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’ শীর্ষক জনপ্রিয় গানটি কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানটি পরে একজন ব্যবহারকারী আপলোড করলেও লাইসেন্সিং সমস্যার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও জুবিনের বন্ধু মানস বড়ুয়া জানান, তাঁর শত শত গানের স্বত্ব হয় খুঁজে বের করা কঠিন, নয়তো বিতর্কিত।
দিল্লিভিত্তিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস (আইপিআর) আইনজীবী নীল মেসন জানান, ভারতে কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ সংগীত স্বত্বের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর অধীনে গানের কথা, সংগীত কম্পোজিশন এবং সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা কপিরাইট রয়েছে।
গানের কথা ও সুরের ক্ষেত্রে গীতিকার ও সুরকাররাই ‘প্রথম মালিক’ হলেও, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজককেই রচয়িতা বলে গণ্য করা হয়’। ফলে তারাই প্রথম মালিক হন। স্বত্বাধিকারীরা তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্সের মাধ্যমে অধিকার হস্তান্তর বা প্রদান করতে পারেন। এটি যত্নসহকারে নথিভুক্ত না থাকলে একটি জটিল জাল তৈরি করে।
জুবিন গার্গের গানের প্রযোজক শ্যামন্তক গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর গান তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (আইপিআরএস)-এর সঙ্গে এ পর্যন্ত জুবিনের অন্তত ১ হাজার ৩৩টি গান নিবন্ধিত হয়েছে।’
আইপিআরএস ভারতে সংগীত রয়্যালটি সংগ্রহ ও বিতরণ করার একমাত্র সরকারি অনুমোদিত সংস্থা। তারা নিশ্চিত করছে, গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হলে শিল্পী বা তাঁর পরিবার যেন প্রাপ্য অর্থ পান। আইপিআরএস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকেশ নিগাম বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দ্রুত উত্থান স্বত্বাধিকার ট্র্যাকিং আরও জটিল করে তুলেছে। তবে আইপিআরএস-এর সঙ্গে নিবন্ধিত গানগুলো ‘তাঁর জীবনকাল পেরিয়ে আরও ৬০ বছর সুরক্ষিত থাকবে।’
এদিকে বিশাল কলিতা এখন জুবিনের দুর্লভ ক্যাসেটগুলো সর্বোচ্চ মানের ডিজিটালের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই বিরল টেপগুলো সেরা মানে ডিজিটাইজ করা হোক। জুবিন গার্গ তাঁর গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। আর তাঁর একজন ভক্ত হিসেবে, এটাই আমার পক্ষ থেকে তাঁর জন্য ক্ষুদ্রতম কাজ।’

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
১০ ঘণ্টা আগে