নাজমুল হক নাঈম
তিন বছর আগে আজকের দিনেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর মরদেহ। আজও তাঁর অনেক অনুরাগী বিশ্বাস করতে পারেন না সুশান্ত আর নেই। ঠিক কী কারণে আত্মঘাতী হলেন তিনি? আদৌ সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন তো? এজাতীয় প্রশ্ন আজও ঘুরপাক খায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আজও তাঁর ভক্তরা সুশান্তের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চান। সুবিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর পরিবার।
প্রথমে মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সে সময় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার তত্ত্বের ওপরই জোর দেওয়া হয়। এরপরই সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে রিয়া চক্রবর্তী-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পাটনা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে সুশান্ত মৃত্যুর মামলার দায়িত্ব নেওয়ার অনুমোদন দেয়।
সিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করার পর সুশান্তের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট নতুন করে খতিয়ে দেখেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা। জানানো হয়, অভিনেতার শরীরে অস্বাভাবিক কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায়নি। সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সুধীর গুপ্ত জানিয়ে দেন, আত্মহত্যাই করেছেন বলিউড অভিনেতা। কিন্তু তারপরও সিবিআই আরও কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই তদন্তের চার্জশিট এখনো জমা পড়েনি।
আত্মহত্যা কিংবা হত্যা তা নিশ্চিত না হলেও এটা নিশ্চিত, শেষ সময়টায় বেশ হতাশায় কেটেছে সুশান্তর। একেকটা সিনেমা হাত থেকে ছুটে যাওয়া, ফিল্ম পলিটিকস সবকিছু মিলিয়ে বলিউডে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল সুশান্তকে।
কোনো গডফাদার ছাড়াই শুধু নিজের অভিনয় প্রতিভা দিয়ে সুশান্ত পেয়েছিলেন দর্শকপ্রিয়তা। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে বলিউড পার্টি—সবকিছু থেকে দূরে রাখা হতো তাঁকে। এর পরেও টিভি থেকে বড় পর্দা কাঁপিয়েছিলেন বিহারের ছেলে সুশান্ত।
নিজের সিনেমার প্রমোশনে পাত্তা দেওয়া হতো না তাঁকে। পরিচালক অপূর্ব আশরানি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘সুশান্তের সঙ্গে সেটা হয়েছিল পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃতভাবেই। আসলে কারও সাহায্য ছাড়াই সাফল্য দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি। সুশান্তকে নিয়ে ‘ছিছোড়ে’ সিনেমাটি করা হয়, তখন সব জায়গায় গড়ে একই রিভিউ। বলা হলো, সিনেমাটি খুব খারাপ। কিন্তু সিনেমাটি শুধু হিট হয়েছিল তাই নয়, ২০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছিল।’
সুশান্ত ছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসী। সিনেমায় অভিনয় করার পরিকল্পনায় জনপ্রিয়তার মধ্যেই ছেড়েছিলেন টেলিভিশন। তখনকার সময়ে অর্থকষ্টে ভুগেছিলেন, কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। একবার এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি সিনেমায় কাজ না পেতেন কী করতেন? আর তার জবাবে সুশান্ত জানিয়েছিলেন, ‘আমি টেলিভিশনে অভিনয় ছাড়ার পর অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি তো চলচ্চিত্র নির্মাণের কোর্স করেছ, এ রকম যদি হয়, তুমি কোনো সিনেমায় সুযোগ পেলে না, তাহলে কী করবে? আমার উত্তর ছিল, নিজেকে নিয়ে সিনেমা বানাব। আমি ভেবেই রেখেছিলাম ফিল্ম সিটিতে একটা ক্যানটিন খুলব। সেখান থেকে রোজগার করে ক্যামেরা কিনব। আর সেই ক্যানটিন নিয়ে শর্ট ফিল্ম বানাব, তাতে আমি নিজেই অভিনয় করব।’
সুশান্ত জানিয়েছিলেন, আসলে ফিল্ম সিটিতে থাকতে তাঁর ভালো লাগে। আর সে কারণেই সেখানে ক্যানটিন খুলতেন তিনি। যেখানে তিনি খাবারও খেতে পারবেন, আবার শুটিংয়ের ভাইবসও নিতে পারবেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের একটা বড় গুণ ছিল, তিনি শুটিং ইউনিট মাতিয়ে রাখতেন। ‘এমএস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিয়ারা জানিয়েছিলেন, ‘সুশান্ত শুটিং সেট মাতিয়ে রাখতেন সব সময়। ও ভিশন বিনয়ী ও সারা দিন বেশ চনমনেই থাকত। সেটে কখনো ক্লান্ত থাকত না। আসলে ও ওভাবেই নিজেকে তৈরি করে নিয়েছিল।’
একতা কাপুরের হিট মেগা ‘পবিত্র রিস্তা’য় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সুশান্ত। এরপর সিনেমায় পা রাখেন ‘কাই পো চে’ দিয়ে। ‘এমএস ধোনি’, ‘ব্যোমকেশ বক্সী’, ‘কেদারনাথ’, ‘ছিছোড়ে’র মতো সিনেমা দিয়ে তিনি আজও রয়ে গেছেন দর্শক মনে।
তিন বছর আগে আজকের দিনেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর মরদেহ। আজও তাঁর অনেক অনুরাগী বিশ্বাস করতে পারেন না সুশান্ত আর নেই। ঠিক কী কারণে আত্মঘাতী হলেন তিনি? আদৌ সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন তো? এজাতীয় প্রশ্ন আজও ঘুরপাক খায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আজও তাঁর ভক্তরা সুশান্তের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চান। সুবিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর পরিবার।
প্রথমে মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সে সময় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার তত্ত্বের ওপরই জোর দেওয়া হয়। এরপরই সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে রিয়া চক্রবর্তী-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পাটনা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে সুশান্ত মৃত্যুর মামলার দায়িত্ব নেওয়ার অনুমোদন দেয়।
সিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করার পর সুশান্তের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট নতুন করে খতিয়ে দেখেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা। জানানো হয়, অভিনেতার শরীরে অস্বাভাবিক কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায়নি। সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সুধীর গুপ্ত জানিয়ে দেন, আত্মহত্যাই করেছেন বলিউড অভিনেতা। কিন্তু তারপরও সিবিআই আরও কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই তদন্তের চার্জশিট এখনো জমা পড়েনি।
আত্মহত্যা কিংবা হত্যা তা নিশ্চিত না হলেও এটা নিশ্চিত, শেষ সময়টায় বেশ হতাশায় কেটেছে সুশান্তর। একেকটা সিনেমা হাত থেকে ছুটে যাওয়া, ফিল্ম পলিটিকস সবকিছু মিলিয়ে বলিউডে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল সুশান্তকে।
কোনো গডফাদার ছাড়াই শুধু নিজের অভিনয় প্রতিভা দিয়ে সুশান্ত পেয়েছিলেন দর্শকপ্রিয়তা। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে বলিউড পার্টি—সবকিছু থেকে দূরে রাখা হতো তাঁকে। এর পরেও টিভি থেকে বড় পর্দা কাঁপিয়েছিলেন বিহারের ছেলে সুশান্ত।
নিজের সিনেমার প্রমোশনে পাত্তা দেওয়া হতো না তাঁকে। পরিচালক অপূর্ব আশরানি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘সুশান্তের সঙ্গে সেটা হয়েছিল পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃতভাবেই। আসলে কারও সাহায্য ছাড়াই সাফল্য দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি। সুশান্তকে নিয়ে ‘ছিছোড়ে’ সিনেমাটি করা হয়, তখন সব জায়গায় গড়ে একই রিভিউ। বলা হলো, সিনেমাটি খুব খারাপ। কিন্তু সিনেমাটি শুধু হিট হয়েছিল তাই নয়, ২০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছিল।’
সুশান্ত ছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসী। সিনেমায় অভিনয় করার পরিকল্পনায় জনপ্রিয়তার মধ্যেই ছেড়েছিলেন টেলিভিশন। তখনকার সময়ে অর্থকষ্টে ভুগেছিলেন, কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। একবার এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি সিনেমায় কাজ না পেতেন কী করতেন? আর তার জবাবে সুশান্ত জানিয়েছিলেন, ‘আমি টেলিভিশনে অভিনয় ছাড়ার পর অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি তো চলচ্চিত্র নির্মাণের কোর্স করেছ, এ রকম যদি হয়, তুমি কোনো সিনেমায় সুযোগ পেলে না, তাহলে কী করবে? আমার উত্তর ছিল, নিজেকে নিয়ে সিনেমা বানাব। আমি ভেবেই রেখেছিলাম ফিল্ম সিটিতে একটা ক্যানটিন খুলব। সেখান থেকে রোজগার করে ক্যামেরা কিনব। আর সেই ক্যানটিন নিয়ে শর্ট ফিল্ম বানাব, তাতে আমি নিজেই অভিনয় করব।’
সুশান্ত জানিয়েছিলেন, আসলে ফিল্ম সিটিতে থাকতে তাঁর ভালো লাগে। আর সে কারণেই সেখানে ক্যানটিন খুলতেন তিনি। যেখানে তিনি খাবারও খেতে পারবেন, আবার শুটিংয়ের ভাইবসও নিতে পারবেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের একটা বড় গুণ ছিল, তিনি শুটিং ইউনিট মাতিয়ে রাখতেন। ‘এমএস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমায় তাঁর সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিয়ারা জানিয়েছিলেন, ‘সুশান্ত শুটিং সেট মাতিয়ে রাখতেন সব সময়। ও ভিশন বিনয়ী ও সারা দিন বেশ চনমনেই থাকত। সেটে কখনো ক্লান্ত থাকত না। আসলে ও ওভাবেই নিজেকে তৈরি করে নিয়েছিল।’
একতা কাপুরের হিট মেগা ‘পবিত্র রিস্তা’য় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সুশান্ত। এরপর সিনেমায় পা রাখেন ‘কাই পো চে’ দিয়ে। ‘এমএস ধোনি’, ‘ব্যোমকেশ বক্সী’, ‘কেদারনাথ’, ‘ছিছোড়ে’র মতো সিনেমা দিয়ে তিনি আজও রয়ে গেছেন দর্শক মনে।
সিনেমা অনবদ্য অভিনয়, নির্মাণ, প্রযোজনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অন্যরকম জনপ্রিয়তা রয়েছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত বলিউড তারকা আমীর খান। প্রাক্তন দুই স্ত্রীর সঙ্গে এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি তাঁর মায়ের জন্মদিনে অন্য স্বজন...
১ ঘণ্টা আগেআজ শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। নতুন বইয়ের গন্ধে বইপ্রেমীরা মেতে উঠবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রতিবছরই মেলায় খ্যাতিমান লেখকদের বই যেমন প্রকাশিত হয়, তেমনি তরুণ লেখকদের বইও আসে। পাশাপাশি শোবিজ তারকারাও উপহার দেন তাঁদের লেখা বই। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও আসছে বেশ কজন তারকার নতুন..
১ ঘণ্টা আগেঅভিনেতা হিসেবে তিনি যে দুর্দান্ত, তা বলা বাহুল্য। বলিউডে দুই যুগের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করছেন তিনি। সেই বোমান ইরানি এবার দাঁড়ালেন ক্যামেরার পেছনে। প্রথমবারের মতো হাজির হলেন পরিচালক হিসেবে। বানিয়েছেন ‘দ্য মেহতা বয়েজ’। ৭ ফেব্রুয়ারি আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেনব্বইয়ের দশকে ঢাকার মঞ্চের কয়েকজন তরুণ নাট্যপ্রেমী গড়ে তোলেন ‘প্রাচ্যনাট’ নামের নতুন নাট্যদল। নামটি দিয়েছিলেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও গবেষক সেলিম আল দীন। ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দলটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে দলটি যেমন নতুন নতুন নাটক উপহার দিয়েছে, তেমনি নাট্যকর্মী সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ...
২ ঘণ্টা আগে