Ajker Patrika

অ্যাম্বার হার্ডের জন্য ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেন ইলন মাস্ক

বিনোদন ডেস্ক
Thumbnail image

২০১৮ সালে মুক্তি পায় হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা সিরিজ ‘অ্যাকুয়াম্যান’–এর প্রথম কিস্তি। বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করা সিনেমাটিতে মারা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ান হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। সিনেমাটির এতো সাফল্যের পরও আসছে ডিসেম্বরে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাটির সিকুয়েল ‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’ থেকে আম্বার হার্ড কে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাবেক বয়ফ্রেন্ড টেসলা ও এক্স প্ল্যাটফর্মের মালিক ইলন মাস্কের কল্যাণে ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ সিনেমা থেকে শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েননি অ্যাম্বার হার্ড। এই হলিউড অভিনেত্রীকে বাদ দিলে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে তিনি নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেন মাস্ক।

অ্যাম্বারের বাদ পড়ার সংবাদ যখন চারদিকে চাউর হয়েছিল তখন সবাই তখন মনে করেছিলেন সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে তখনকার চলমান মামলার ফলেই সিনেমাটি থেকে বাদ পড়ছেন আম্বার। আবার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ অভিনেতা জেসন মোমোয়ার সঙ্গে যথেষ্ট অন্তরঙ্গ নন আম্বার হার্ড। এ অভিযোগেই কপাল পুড়ছে এই অভিনেত্রীর।

মারা চরিত্রে অ্যাম্বার হার্ড। ছবি: সংগৃহীততখন এমন খবর স্বীকারও করে প্রযোজনা সংস্থা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ডিসি ইউনিটের প্রধান ওয়ালটার হামাদা। হামাদা জানিয়েছিলেন, ছবিতে মারা চরিত্রে আম্বারের পরিবর্তনে কাউকে নেবেন কি না, স্টুডিও কয়েক সপ্তাহ ধরেই সে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে।

তাঁর কথায় ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাকুয়াম্যান’–এর প্রথম কিস্তিতেও নায়কের সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গতার অভাব’ ছিল আম্বারের। তিনি বলেন, ‘প্রথম ছবির রোমান্টিক দৃশ্যগুলোতে আম্বার উতরে গেছেন সম্পাদনার জেরে। পোস্ট প্রোডাকশনে “মুভি ম্যাজিক”–এর মাধ্যমে তাদের রসায়ন তৈরি করা হয়েছিল।’

তবে আপাতদৃষ্টে জনি ডেপ–আম্বার হার্ডের মামলার সঙ্গে অভিনেত্রীর ছবি থেকে বাদ পড়ার সম্পর্ক অবশ্য না থেকেও আছে। কারণ, এ মামলায় জনি ডেপের পক্ষে মামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী ছিলেন ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ডিসি ইউনিটের প্রধান ওয়ালটার হামাদা।

এ বিষয় নিয়ে ২০২২ সালের মে মাসে বিচার চলাকালীন হার্ড জানিয়েছিলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে থাকার জন্য সত্যিই কঠিন লড়াই করেছি-তারা আমাকে চলচ্চিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়নি।’
 
মাস্ক এবং হার্ডের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালে, যখন হার্ড তখনো ডেপের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন। ২০১৭ সালে জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে হার্ডের। এর আগে মাস্কের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন উঠে।

প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে অ্যাম্বার হার্ড। ছবি: এএফপিইলন মাস্কের সঙ্গে হার্ডের বার্তা আদান প্রদানের বিষয়টি জানতে পেরে সহিংস হয়ে উঠেছিলেন জনি ডেপ। একপর্যায়ে স্ত্রীর দিকে হাতের মোবাইল ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার চোখে আঘাত হানার পর অ্যাপার্টমেন্টও ভাঙচুর করেন হলিউড অভিনেতা।

যদিও জনি ডেপ তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে হার্ডকে শারীরিকভাবে আঘাতের বিষয়টি অতিরঞ্জিত বলেও তিনি দাবি করেন।

তবে মার্কিন আদালতে ফ্রাইডে নাইট লাইট অভিনেত্রী জোরালোভাবে দাবি করেন, জনি ডেপ তাকে আঘাত করেছিলেন।

বিচারক আম্বারের কাছে এও জানতে চান, ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না? উত্তরে, বিষয়টি অস্বীকার করেন এই অভিনেত্রী।

এমনকি সেসময় অভিনেতা জ্যামস ফ্র্যাঙ্কোর সঙ্গেও সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন আম্বার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত