Ajker Patrika

মুখার্জিবাড়ি আর মল্লিকবাড়ির পূজার উৎসব

বিনোদন ডেস্ক
মুখার্জিবাড়ির উৎসবে কাজল ও রানী মুখার্জি। ছবি: সংগৃহীত
মুখার্জিবাড়ির উৎসবে কাজল ও রানী মুখার্জি। ছবি: সংগৃহীত

১০১ বছর ধরে কলকাতার ভবানীপুরে মুখার্জিবাড়িতে আয়োজন করা হয় দুর্গাপূজা। রঞ্জিত মল্লিক, কোয়েল মল্লিকদের সঙ্গে পূজার উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। ৭৭ বছর ধরে মুম্বাইয়ের মুখার্জিবাড়িতে চলছে পূজার আয়োজন। পিতামহ ও বাবার পর এই পরম্পরা এগিয়ে নিচ্ছেন রানী মুখার্জি। চলচ্চিত্র তারকা হওয়ায় এই দুই বাড়ির পূজাকে ঘিরে সবার থাকে বাড়তি কৌতূহল।

মুম্বাইয়ের মুখার্জিবাড়ির পূজা

বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখার্জির বাড়ির দুর্গাপূজা মানে এক বিশাল উৎসব। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক বছরের ঐতিহ্য, আবেগ আর বাঙালিয়ানার টান। মুম্বাইয়ে আলোচিত এই পূজার উৎসব ঘিরে সবার কৌতূহল। মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজে মুখার্জি পরিবারের দুর্গাপূজা শুধু ঘরোয়া অনুষ্ঠান নয়, বরং হয়ে ওঠে বলিউড তারকাদের মিলনমেলা। হাজারো মানুষের ভিড় জমে সেখানে। ভোগ বিতরণ থেকে প্রতিমা দর্শন—সবার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে এই নর্থ বোম্বের সর্বজনীন দুর্গাপূজা।

রানী মুখার্জির পরিবারের সঙ্গে রয়েছে কলকাতার নাড়ির টান। সেই সূত্রে তাঁরা মুম্বাইয়ে দুর্গাপূজার আয়োজন করছেন ৭৭ বছর ধরে। ১৯৪৮ সালে এই পূজার সূচনা করেন রানীর পিতামহ প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শশধর মুখার্জি। এরপর তাঁর ছেলে, অর্থাৎ রানীর বাবা রাম মুখার্জি সেই পরম্পরা বজায় রাখেন। এখন রানী সেই ধারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

এই পূজায় নিয়মরীতি মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত হয় পুষ্পাঞ্জলি, সিঁদুর খেলা, আরতি, ধুনুচি নাচ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রানীর পরিবারের সদস্যরা ভোগ পরিবেশন করেন। এমনকি রানীও কখনো কখনো ভোগ রান্নায় সাহায্য করেন। বোনের এই পূজায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আয়োজনে নামেন অভিনেত্রী কাজল। এই পূজায় প্রতিবছর দেখা মেলে অনেক বলিউড তারকার। অমিতাভ বচ্চন, অনুপম খের, বিদ্যা বালান, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে অনেকে উপস্থিত হন আশীর্বাদ নিতে।

রানীর মতে, এই দুর্গাপূজা তাঁর জীবনের সঙ্গে এমনভাবে মিশে আছে, যা কখনো আলাদা করা যায় না। রানীর বাড়ির এই পূজা শুধু মুখার্জি পরিবারের নয়, বরং হয়ে উঠেছে বলিউডের দুর্গোৎসবের প্রধান কেন্দ্র। এ বছর মুখার্জি পরিবারের অন্যতম সদস্য অভিনেতা দেব মুখার্জি নেই। তাই পূজার আবহে মুখার্জি পরিবারের মধ্যে বিষাদের রেশ। তাঁর স্মৃতি বুকে নিয়ে চলছে পূজার উৎসব।

এবার পূজার মূল আয়োজন শুরুর আগে মণ্ডপে ছবি তুলতে দেখা যায় রানী-কাজলকে। প্রতিদিনের মতো গতকালও অষ্টমীর দুপুরে মণ্ডপে সময় কাটান রানী মুখার্জি ও কাজল। অতিথিদের সঙ্গে গল্প করেন। তাঁদের সঙ্গে জয়া বচ্চন, তানিশা, অজয় দেবগন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অয়ন মুখার্জিসহ অনেকের দেখা পাওয়া গেছে মুখার্জিবাড়ির পূজায়।

মল্লিকবাড়ির উৎসবে রঞ্জিত মল্লিক ও পরিবারের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
মল্লিকবাড়ির উৎসবে রঞ্জিত মল্লিক ও পরিবারের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির পূজা

১০০ বছরের বেশি সময় ধরে কলকাতার ভবানীপুরের মল্লিকবাড়িতে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। পূজার কয়েক দিন সবার জন্য মল্লিকবাড়ির দরজা খোলা থাকে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও আসেন উৎসবে অংশ নিতে। পূজার আয়োজন থেকে খুঁটিনাটি দায়িত্ব নিজের হাতে সামলান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক ও তাঁর মেয়ে কোয়েল মল্লিক। মল্লিকবাড়ির পূজা নিয়ে রঞ্জিত বলেন, ‘মল্লিকবাড়ির পূজার ১০১ বছর হয়ে গেল। আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন বাইরে থাকে। তারা পূজার সময় আসে। সবার সঙ্গে তো সাধারণত দেখা হয় না। এ জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি এই কয়েকটা দিনের। পূজার দিনগুলোর মতো এত আনন্দ আর কোথাও পাওয়া যায় না।’

বাড়ির পূজায় কোয়েল মোটেই তারকা নন, বরং ঘরের মেয়ে। পূজার কাজে সকাল থেকে লেগে পড়েন। শাঁখ বাজান, আরতি সারেন। তবে এবারের পূজা তাঁর কাছে একেবারে অন্যরকম। কারণ, গত বছরের ডিসেম্বরে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁদের কন্যার প্রথম পূজা। সপ্তমীতে মেয়ে কাব্যর সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন কোয়েল। গতকাল অষ্টমীর রীতি মেনে সপরিবার অঞ্জলি দেন তিনি। শাঁখ বাজানো থেকে শুরু করে আরতি—সব নিজে করেছেন।

কোয়েল মল্লিক বলেন, ‘এই কয়েক দিন আমরা আবার সেই ছোটবেলায় ফিরে যাই। সেটা বাবা হোক কিংবা আমি। ভাগ্য খুব ভালো যে এমন একটা যৌথ পরিবারে আমার জন্ম। অনেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি। সবাই কটা দিনের জন্য চলে আসেন পূজা উপভোগ করতে। সে জন্য এই পাঁচ দিন কীভাবে যায় নিজেরাও টের পাই না। এই বছর আরও বেশি স্পেশাল। কারণ, আমার মেয়ে কাব্যর এটা প্রথম বছর। মহাষ্টমীতে সকালে কুমারীপূজা হলো, তারপর আরতি, সন্ধ্যা আরতি, মাঝে অঞ্জলি দিলাম। খুব আনন্দ করছি। আগেরবার ১০০ বছর উপলক্ষে বিশেষভাবে উদ্‌যাপন করেছিলাম। ১০০-এর পর থেকে প্রতিবছর আরও বেশি স্পেশাল হবে বলে মনে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাজাখস্তানে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন নিশো

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্‌যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।

দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’

নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’

দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চান হামিন আহমেদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
হামিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
হামিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’

আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’

বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’

হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয়ের মাসে সুমীর চার গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সুমী শারমীন,সাব্বির জামান ও প্রিয়াঙ্কা গোপ। ছবি: সংগৃহীত
সুমী শারমীন,সাব্বির জামান ও প্রিয়াঙ্কা গোপ। ছবি: সংগৃহীত

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।

সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।

গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’

প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’

সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’

প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে আপত্তি কেট উইন্সলেটের

বিনোদন ডেস্ক
কেট উইন্সলেট। ছবি: সংগৃহীত
কেট উইন্সলেট। ছবি: সংগৃহীত

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’

শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’

কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’

কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত